মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর তিন উন্নয়ন প্রকল্পের যৌথ উদ্বোধন

দুই দেশের বন্ধুত্বের অনন্য নিদর্শন: হাসিনা

সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: মোদি
ছবি : বাসস
আপডেটেড
১ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:০৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সহায়তায় বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের যৌথ উদ্বোধন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনন্যসাধারণ বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রমাণ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা (ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমি) আজ (বুধবার) যৌথভাবে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। এটি আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যকার অনন্য সাধারণ বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতারই বহিঃপ্রকাশ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথভাবে প্রকল্প তিনটি উদ্বোধনকালে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং নয়াদিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশাবাদী- সামনের দিনগুলোতে আমাদের যৌথ সহযোগিতার দৃষ্টান্তস্বরূপ আরও এমন অনেক সাফল্যের উদাহরণ তৈরি হবে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখলে দেশের উন্নতি হয়, আমরা সেটাই প্রমাণ করেছি। আমি মনে করি, বিশ্বের জন্য এটা একটা দৃষ্টান্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, আমরা আবার ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা উদ্‌যাপন করতে একত্রিত হয়েছি। আমাদের সম্পর্ক আপাতদৃষ্টিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।’

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

তিনটি প্রকল্প হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেল সংযোগ এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভাষা দ্বারা আবদ্ধ। আমাদের দুই দেশই ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গণতন্ত্রসহ অগণিত বিষয়ে অভিন্ন মূল্যবোধ পোষণ করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। বিগত বছরগুলোতে আমরা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। যার মধ্যে রয়েছে- যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহজীকরণসহ আরও অনেক কিছু।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে আমাদের অর্জন দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, সে সময় তাঁর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। এই দুটি খাতে বাংলাদেশের অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য তিনি ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো এবং উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদর্শনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের জনগণ ও তাঁর তরফ থেকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করতে আপনার আন্তরিকতার জন্যও আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণের জন্য ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। চলচ্চিত্রটি বর্তমানে ভারতসহ বাংলাদেশের সকল প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে। নির্মাণ-সংশ্লিষ্ট সব কলা-কুশলীসহ সবাইকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আত্মত্যাগের কথা জানতে পারবে।

সরকার প্রধান বলেন, আজকে যে তিনটি প্রকল্প আমরা উদ্বোধন করেছি তা উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। এই প্রকল্পগুলো আঞ্চলিক যোগাযোগের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টটি আরো সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ অবদান রাখবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে অন্যান্য ব্যয়বহুল উৎসের ওপর থেকে আমাদের নির্ভরতাকে কমিয়ে নিয়ে আসবে। পাশাপাশি সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়তা করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ আমাদের দু’দেশের জনগণের মধ্যে বিশেষকরে ভারতের উত্তর পূর্ব অংশের সঙ্গে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেল সংযোগ প্রকল্পটি মোংলা বন্দরকে বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সারাসরি যুক্ত করবে। এতে করে আমাদানীকৃত কন্টেনারইগুলো সহজেই রেলের সাহায্যে দেশের উত্তরপূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন সম্ভব হবে।

আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর এবং চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের জনগণ যাতে ব্যবহার করতে পারে সেজন্য তাঁর সরকার উন্মুক্ত করে দিয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত প্রায় ১৫ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অথনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি হিসেবে আবিভর্ূূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশে^র ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। দেশের চরম দারিদ্রের হার ২০০৬ সালে থাকা ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে তার সরকার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে ২ হাজার ৭শ’ ৬৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে।

বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁদের স্বপ্ন ও লক্ষ্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেজন্যই তাঁর সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। গতবছর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেতু আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশেষ অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।

পাশাপাশি রাজধানীতে মেট্রোরেল পরিষেবা চালু, ঢাকায় প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং এই অক্টোবর মাসে পদ্মাসেতু রেল পরিষেবারও উদ্বোধন করা হয়েছে। মাত্র ক’দিন আগে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেছি। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো সুযোগ সৃষ্টি হবে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দু’দেশের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক বাস্তব ফলাফল অর্জন করেছি। যারমধ্যে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের অন্যান্য রাজ্যসমূহের সাথে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সংযোগ সহজিকরণ প্রভৃতি।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চিরজীবী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে আসন্ন দীপাবলী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতের জনগণকে তাঁর অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তৃতা শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী।

১২.২৪ কিলোমিটার আখাউড়া-আগরতলা ক্রস-বর্ডার রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন এবং ৫.৪৬ কিলোমিটার ত্রিপুরায় ৩৯২.৫২ কোটি টাকা ভারতের অনুদান সহায়তায় বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন এবং জনগণের সাথে জনগণের সংযোগ বাড়াবে।

সোমবার,এই রুটে ট্রায়াল রান হয়েছিল,যেখানে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী ট্রেন চলে। অন্যদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনের ট্রায়াল রান শিগশিরই অনুষ্ঠিত হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

খুলনা-মংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারতের রেয়াতি লাইন অফ ক্রেডিট দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় এলওসি থেকে ৬৯.১৮ শতাংশ অর্থায়ন)।

প্রায় ৬৪.৭ কিলোমিটার রেললাইনের নির্মাণ কাজ ৪,২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে যা মোংলা বন্দর সহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সুযোগের সূচনা করবে।

রেল সংযোগ চালু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়েছে।

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট ভারতীয় কনসেশনাল ফিনান্সিং স্কিম লোনের অধীনে নির্মাণ হচ্ছে।

বিআইএফপিসিএল সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসিলি যৌথভাবে এই কোম্পানি গঠন করেছে। দুই দেশের দুই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এই কোম্পানির সমান অংশীদার। বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে উভয়ের মধ্যে ২০১২ সালের ৩০ আগষ্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিঃ এর মধ্যে চুক্তি হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ’ কোটি ডলার। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।

প্লান্টটি বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ১ম ইউনিট ও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীগণ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন এবং আজ ইউনিট-২ উদ্বোধন করা হলো।

সূত্র: বাসস


নিউইয়র্কে এনসিপি নেতা আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপ, আওয়ামী লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডিম নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ অভিযোগে মিজানুর রহমান চৌধুরী নামের একজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও বেশ কয়েকজনকে পুলিশ খুঁজছে। তাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর টার্মিনালে অবতরণ করে। এ সময় টার্মিনালের বাইরের পার্কিং লটে প্রচুর সংখ্যক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা টার্মিনাল থেকে বর হয়ে গাড়িতে ওঠার সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারে। এ ঘটনার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ কর্মী মিজানুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আগমনে দুপুর থেকেই নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। প্রধান উপদেষ্টাসহ বিএনপির মহাসচিকে স্বাগর জানাতে আনন্দ সমাবেশ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। উভয় দলের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। উভয় দলের কর্মীদের হাতে ছিলে নানা রঙের ব্যানার ও ফেস্টুন। চরম উত্তেজন বিরাজ করতে থাকে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে। ফ্লাইটটি আট নম্বর টার্মিনালে অবতরণের আগেই বাইরে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা টার্মিনাল এলাকা। দুপুর থেকেই জেএফকে বিমাবন্দরে জড়ো হন প্রধান উপদেষ্টাকে বরণ করতে আসা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। টার্মিনালের আরেক পাশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলো প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রতিবাদসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।


টয়লেট পরিচালনা প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশ যাচ্ছেন ৩ কর্মকর্তা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট (ভিআইপি) পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চীন যাচ্ছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের তিন কর্মকর্তা।স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিনের সই করা এক সরকারি আদেশে (জিও) তাদের এ বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর জারি করা ওই সরকারি আদেশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফারুক হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন এ প্রশিক্ষণের জন্য চীন সফরে যাবেন।

আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর কিংবা ছুটি শুরুর তারিখ থেকে সাত দিনের জন্য তারা বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি পেয়েছেন।

সরকারি আদেশে আরো বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা পাঁচটি নতুন মোবাইল টয়লেট (ভিআইপি) সরবরাহের বিপরীতে তারা সেগুলো পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাদের এ ভ্রমণকে দায়িত্বের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং সব ধরনের ব্যয় বহন করবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান শ্যাংডং কিউয়ানবাই ইন্টেলিজেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।


সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কত বাড়ানো হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে কোনো মন্তব্য করেননি বাণিজ্য উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পর্যালোচনা করছি। তারপর তাদের সঙ্গে আবার করে ভোজ্যতেলের দাম কত বাড়ানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২০০ ডলার পর্যন্ত হয়েছে। এই তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ভোজ্য তেলের দাম যৌক্তিক হারে বৃদ্ধির বিষয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।


ইউরোপের কয়েকটি বড় বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত, ফ্লাইট বিপর্যয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

একটি সাইবার হ্যাকার আক্রমণের কারণে ইউরোপের কয়েকটি বড় বিমানবন্দরে চেক-ইন ও বোর্ডিং সিস্টেমে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে যাত্রীদের ফ্লাইট বাতিল, বিলম্ব ও দীর্ঘ লাইনের মতো ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরটিএক্স কোম্পানির অধীনস্থ কলিন্স অ্যারোস্পেসের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা হয়। যারা বিশ্বের নানা প্রান্তের বিমানবন্দরে চেক-ইন ও বোর্ডিং সফ্টওয়্যার সরবরাহ করে।

লন্ডনের হিথ্রো, বার্লিন ও ব্রাসেলস বিমানবন্দর সবচেয়ে বেশি এই সমস্যার শিকার হয়েছে। শনিবার যাত্রীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এবং অনেক ফ্লাইট বাতিল হয়। রোববার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও ব্রাসেলস বিমানবন্দর সোমবারের ফ্লাইটগুলোর অর্ধেক বাতিলের নির্দেশ দেয়, কারণ কলিন্স অ্যারোস্পেস এখনো প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার আপডেট সরবরাহ করতে পারেনি।

ব্রাসেলস বিমানবন্দর জানায়, রবিবারের ২৫৭টি নির্ধারিত ফ্লাইটের মধ্যে ৫০টি এবং শনিবারের ২৩৪টি ফ্লাইটের মধ্যে ২৫টি বাতিল করা হয়েছে।

কলিন্স অ্যারোস্পেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে। অস্থায়ীভাবে অনেক বিমানবন্দর ম্যানুয়াল চেক-ইন পদ্ধতি চালু করেছে, যাতে যাত্রীদের কষ্ট কিছুটা কমানো যায়। যদিও হিথ্রো ও বার্লিন বিমানবন্দর জানিয়েছে, তাদের কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, তবুও কিছু জায়গায় অপেক্ষার সময় বেশি হচ্ছে।

হ্যাকিংয়ের পেছনে কারা রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে সংশ্লিষ্ট সাইবার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি বিভিন্ন খাতে যেমন স্বাস্থ্যসেবা, গাড়িশিল্প ও খুচরা বাজারে এ রকম সাইবার হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে।

সূত্র: রয়টার্স


চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১৮ নভেম্বর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গতকাল সোমবার ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত ৩১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখ বা তার পূর্বে যাদের জন্ম এমন নাগরিকদের নিবন্ধন করতে নাগরিকের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, দাবি, আপত্তি ও সংশোধনের আবেদন দাখিল এবং দাখিলকৃত আবেদন নিষ্পত্তিকরণে ইসি সময়সূচি নির্ধারণ করেছে।

হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকার পিডিএফ প্রস্তুত ও মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসারের সিএমএস পোর্টালে লিংক প্রেরণের শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর।

হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা মুদ্রণ করে প্রকাশ করা হবে ১ নভেম্বর। দাবি, আপত্তি ও সংশোধনের জন্য আবেদন দাখিলের শেষ সময় ১৬ নভেম্বর।

সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দাবি, আপত্তি ও সংশোধনীর জন্য দাখিলকৃত আবেদন নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ নভেম্বর। হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর।

এরআগে গত ৩১ আগস্ট সম্পূরক চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে দেখা যাচ্ছে, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জন এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন। আর হিজড়া ১২৩০ জন।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ওইদিন জানিয়েছিলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে আমরা একটি তালিকা প্রকাশ করব। সে অনুযায়ী আমরা ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করব।


সৌদি আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।

শুধু ইসলাম ধর্মের পবিত্র ভূমি হিসেবে নয় বরং আমাদের ৩২ লাখেরও বেশি প্রবাসী কর্মীর দ্বিতীয় আবাসস্থল হিসেবেও এটি বাংলাদেশিদের হৃদয়ের গভীরে আসীন রয়েছে। সৌদি প্রবাসীদের অবদান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ এবং এটি একইসাথে আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধ হিসেবেও কাজ করছে। বাংলাদেশি প্রবাসীদের কল্যাণে সৌদি আরবের অব্যাহত সহায়তা দু’দেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের স্মারক বহন করছে।

২২ সেপ্টেম্বর, সোমবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে সৌদি আরবের ৯৫তম জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আরব বিশ্ব এবং বাংলার জনগণের মধ্যে সম্পর্ক শতাব্দী প্রাচীন যা বাণিজ্য-সংস্কৃতি বিনিময় এবং সর্বোপরি আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমে লালিত। ভ্রাতৃত্বের এই ঐতিহাসিক বন্ধন আমাদের আধুনিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ভিত্তি স্থাপন করেছে।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যকার আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম গৌরবময় বছর উদ্যাপন ক্ষণে আমরা এই সত্যে গর্বিত যে দু’দেশের পারস্পরিক বন্ধন, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস ইসলামি ঐতিহ্যের ওপর নিহিত, যা যুগ যুগ ধরে টিকে আছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ এর পথে উচ্চাকাঙ্ক্ষী যাত্রা শুরু করেছে। এ সাহসী এবং দূরদর্শী উদ্যোগ কেবল সৌদি আরবের জনগণকে অনুপ্রাণিত করছে না বরং এটি এই অঞ্চলের অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আধুনিক ও বৈচিত্রময়করণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধিতে সৌদি নেতৃত্বের সহযোগিতা নিঃসন্দেহে প্রশংসা ও আন্তরিকতার দাবিদার।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফর এইচ. বিন আবিয়াহ, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।


এবার উৎবসমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় কোন নিরাপত্তার ঝুকি নাই। বিগত সময়ের চেয়ে এবার আরও বেশী সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে এবং উৎবসমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশনের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

দুর্গাপূজা উৎসব কে কেন্দ্র করে কোন ধরনের শঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের শংকা নাই।সারাদেশে ৩৩ হাজার মন্ডবে শারদীয় দুর্গা পুজোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে পূজা উদযাপন কমিটি ৭ জন করে ভলেন্টিয়ার নিয়োগ দিবে, আনসার সদস্য থাকবে ৮জন করে। এছাড়াও পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময়ই ছিলো। এ বছর সম্প্রীতি আরও ভালো হয়েছে। এবার পূজা উৎসবমুখর হবে। আর নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নাই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন, র‍্যাব-১১ অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারন সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, আমলাপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবির কুমার সাহাসহ প্রমুখ।


জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে বদলি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল হক। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে।

এর আগে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে তৎকালীন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তখন তার পরিবর্তে মোখলেস উর রহমানকে দুই বছরের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে নিয়োগের ১৩ মাসের মাথায় মোখলেস উর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।


পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশ মানুষের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী বছর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা ভোট দিতে যাবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতার কোনো ধারণা নেই।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসালটিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক জরিপের দ্বিতীয় দফার প্রথম পর্বে এই ফলাফল উঠে এসেছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে এক গোলটেবিল আলোচনায় এই জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ইনোভেশন কনসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাইয়াৎ সারওয়ার। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে বিভিন্ন বয়সের ১০ হাজার ৪১৩ জন মানুষের মতামত নেওয়া হয়। দেশের ৬৪ জেলা থেকে তাদের বাছাই করে সরাসরি মতামত নেওয়া হয়। জরিপে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে ধারণা, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ধারণা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনের সময় ও ভোটার উপস্থিতি—এই ছয় বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের মতামত নেওয়া হয়।

জরিপের ফলাফল তুলে ধরে সভায় বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারের কার্যক্রমকে ‘ভালো’ বলেছেন ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ‘মোটামুটি’ বলেছেন ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে। এছাড়া, ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন যে তারা নির্ভয়ে ও নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন।

আগামী বছর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা ভোট দিতে যাবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতার কোনো ধারণা নেই।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসালটিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক জরিপের দ্বিতীয় দফার প্রথম পর্বে এই ফলাফল উঠে এসেছে।

জরিপ অনুযায়ী, পিআর পদ্ধতির বিষয়ে প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় নবীন প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা ও ইতিবাচক মনোভাব বেশি।

জরিপে আরও উঠে এসেছে, সাধারণ উত্তরদাতাদের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে কম আগ্রহী এবং নির্বাচনের সময় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিমত বেশি।

এছাড়া অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতার বিষয়ে তুলনামূলক কম ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশের পর আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪তম মাসে এসে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের সমর্থন থাকার অর্থই হলো সরকারের কার্যক্রমে জনগণ সন্তষ্ট। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সারা দেশের মানুষ নির্বাচন চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক বছর পর ভালো একটা নির্বাচনের দিকে দেশ যাচ্ছে। সরকারপ্রধান বারবার বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষেরও আশাবাদ, এমন থাকলে কারও সাধ্য নেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহকারী সাইমুম পারভেজ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম, ভয়েস ফর রিফর্মের সহ–আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর, বিআরএআইএনের নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন প্রমুখ।


গুলশানে ফ্ল্যাটের মালিক টিউলিপ

আদালতে নথিপত্র দিলেন সাক্ষীরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ে একটি ফ্ল্যাটের মালিক শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। গতকাল রোববার রাজউকের প্লট দুর্নীতি মামলার চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানিতে জব্দতালিকার সাক্ষীরা এমন নথিপত্র দাখিল করেছেন।

এদিন ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা এমন সাক্ষ্যপ্রদান করেন৷ তারা হলেন- ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের নির্বাহী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফরহাদুজ্জামান, অপারেটর শেখ শমশের আলী, অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ সদস্য হিমেল চন্দ্র দাস। এছাড়া এদিন সাক্ষ্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্তার জাহানও সাক্ষ্য দেন।

জবানবন্দিতে তারা আরও বলে, টিউলিপ সিদ্দিক ফ্ল্যাটটি পরবর্তীতে তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হস্তান্তরের দাবি করেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনবিহীন দলিল দিয়ে হস্তান্তর আইনগতভাবে কার্যকর নয়। তাই এখনো তিনি এই ফ্ল্যাটের মালিক। আসামিরা পলাতক থাকায় জেরা হয়নি।

এ নিয়ে প্লট জালিয়াতি নিয়ে আলাদা তিন মামলায় ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এসব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, আগামী ৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে সাক্ষীরা আদালতকে জানান, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের প্রভাবে নিয়মবহির্ভূতভাবে পূর্বাচলে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দ দিতে আদেশ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এসব মামলা করে দুদক।

গুলশান ইস্টার্ন হাউজিংয়ে প্লটের মালিক থাকা স্বত্বেও ঢাকা বা তার আশপাশে কোনো ফ্ল্যাট বা প্লট নেই দেখিয়ে পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট নেন টিউলিপ সিদ্দিক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।

গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।


বিএসসি'র নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ অর্জন যুগান্তকারী মাইলফলক: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) এর নিজস্ব অর্থায়নে দুটি আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ সংগ্রহের লক্ষ্যে বিএসসি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি এর মধ্যে জাহাজ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেল আয়োজিত এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে দেশের শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে এটি একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। নতুন দুই জাহাজ বিএসসিতে যুক্ত হলে বছরে ১৫০ কোটি টাকা আয় বাড়বে। বিএসসির নিজস্ব পরিবহন সক্ষমতা প্রায় ১,২০,০০০ ডিডব্লিউটি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সমুদ্র বাণিজ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপিংয়ের সম্মান অর্জন করবে।

বিএসসির বহরে যুক্ত হতে যাওয়া জাহাজগুলোতে- জ্বালানি খরচ হ্রাস ও পরিচালন দক্ষতা বেশি; প্রধান ইঞ্জিন থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, যা পরিবেশ দুষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়; নকশা ও প্রযুক্তিগত সমাধানগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশগত মানদণ্ডসম্মত এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থার নির্ধারিত সর্বশেষ পরিবেশগত মানদণ্ড পূরণ করে। জাহাজে উচ্চমানের ইউরোপীয় ও জাপানি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। জার্মান লাইসেন্সে জাহাজগুলো চীনে উৎপাদন করা হয়েছে। স্পেনের পাম্প ও নরওয়ের কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম জাহাজ অক্টোবর ২০২৫ এবং দ্বিতীয় জাহাজ ডিসেম্বর ২০২৫-এ বিএসসিকে হস্তান্তর করা হবে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিএসসির জন্য আরেও তিনটি জাহাজ কেনার বিষয় প্রক্রিয়াধীন। সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের সময়ে বিএসসির জন্য পাঁচটি জাহাজ কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নতুন এই জাহাজগুলো যুক্ত হলে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন কেবল আয়ের দিক থেকেই লাভবান হবে না, বরং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাজারে ‘গ্রিন শিপিং নেশন’ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও মজবুত হবে।


সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম: নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম। তিনি আজ রবিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান- বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক শুভ মহালয়া ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।


ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সকল ধর্মই আমাদেরকে অন্যায়, অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়। আমাদেরকে আত্মশুদ্ধির সুযোগ করে দেয়। মানবসেবা ও দেশাত্মবোধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।

শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাংলাদেশের সর্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বাংলাদেশের সকলের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচিত হয়, সমাজের সকল মানবসৃষ্ট ভেদাভেদ, বৈষম্য দূরীভূত হয় এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব দেশব্যাপী আনন্দমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন । একই সাথে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে গুলশান- বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।


জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানকে বদলি

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ আগস্ট মো. মোখলেস উর রহমানকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।


banner close