নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসনে সরাসরি প্রচার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নৌকার মনোনয়ন চেয়ে মানুষের দোয়া চাচ্ছেন হাফ ডজনের বেশি প্রার্থী। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহিন মনোয়ারা হক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুলতানা পারভীন বিউটি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক সুমন, আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদ ইসলাম বিপ্লব, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ও রানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. ইউনুস আলী প্রামাণিক এবং রানীনগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র উপদেষ্টা আব্দুর রহমান।
সরকারদলীয় এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকেই আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। শুধু দলকে আঁকড়ে ধরে রাখায় আমার ছোট ভাই রানীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম হত্যার শিকার হয়েছে। গত উপনির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার সার্বিক উন্নয়নকে বেগবান করেছি। আশা করছি আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে দল আবারও আমাকে মনোনয়ন দেবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এবং পরবর্তী সময়ে দেশকে পূর্ণ গঠনে নানাভাবে কাজ করেছি। এর আগে কয়েকবার মনোনয়ন চেয়েছিলাম। সেই থেকেই এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশে আছি এবং জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু দলের একজন সৎ মানুষকে মনোনয়ন দেবেন, সেহেতু আশা করছি এবার মনোনয়ন পাব।’
সুলতানা পারভীন বিউটি বলেন, ‘আমার স্বামী প্রয়াত ইসরাফিল আলম এমপির সঙ্গে শুরু থেকেই তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম এবং এখনো আছি। স্বামী ইসরাফিল আলমের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। মনোনয়ন পেলে এলাকার লোকজন সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করবেন বলে আশা করছি।’
ওমর ফারুক সুমন বলেন, ‘যোগ্যতা ও তৃণমূলের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে মনোনয়ন দিলে আমিই মনোনয়ন পাব ইনশাল্লাহ।’
ড. ইউনুস আলী প্রামাণিক বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে নিয়মিত গণসংযোগ করে যাচ্ছি। আশা করছি সবকিছু বিবেচনা করে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে।’
১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসন ছিল বিএনপির দখলে। একটানা ১৫ বছর এ আসনে বিএনপির এমপি ছিলেন তৎকালীন চারদলীয় জোটের সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর। এরপর বিএনপি সরকারের শেষ মুহূর্তে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে আলমগীর কবীর দল ত্যাগ করেন এবং পরে এলডিপিতে যোগদান করেন। পরে ২০০৮ সালে নির্বাচনে তৎকালীন ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল আলম আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে এ আসনে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বুলুকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। সেই থেকে ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে এই আসনটি।
এরই মধ্যে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলমগীর কবীর আবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। সে সময় আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে ইসরাফিল আলম আবারও এমপি নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ২৭ জুলাই এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে ওই আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আনোয়ার হোসেন হেলালকে মনোনয়ন দেয়া হয়। নির্বাচনে বিএনপি থেকে শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু, ন্যাশনাল পিপলস্ পাটি থেকে ইন্তেখাব আলম রুবেল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে শাহজাহান আলী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আবার আসনটি ফিরে পাবেন তারা।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকিয়ে আছেন দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে। দলীয় সিদ্ধান্ত ক্রমে যদি তারা নির্বাচনে অংশ নেয়, এ ক্ষেত্রে এ আসনে বিএনপি থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর, নওগাঁ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু, কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এছাহক আলীসহ আরও কয়েকজন মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এ ছাড়া রানীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, ন্যাশনাল পিপলস্ পাটির যুগ্ম মহাসচিব ইন্তেখাব আলম রুবেলের নাম শোনা যাচ্ছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বুলু বলেন, ‘এ আসনে বিএনপির জনপ্রিয়তা আগেও ছিল, এখনো আছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল যদি অংশ নেয় আর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, তাহলে আবার আমরাই বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।’
জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু হাসান বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই আমি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বর্তমানে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। রাজনৈতিক জীবন বিবেচনা করেই দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশা করছি।’
নির্বাচনী এলাকার জুলফিকার আলী, মোমেনা বেগম, পিয়াস হোসেনসহ কয়েকজন সাধারণ ভোটার বলেন, নিবার্চনের সময় ঘনিয়ে এলেই প্রার্থীরা নানান প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু ভোটের পর আর কোনো খবর নেন না। যারা এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন, তাদেরই আমরা নির্বাচিত করব।
তিন ক্যাটাগরির আহত আরও এক হাজার ৭৫৭ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।
সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়।
‘ক’ শ্রেণির (অতি গুরুতর আহত) ১০৯ জন, ‘খ’ শ্রেণির (গুরুতর আহত) ২১০ জন ও আট বিভাগে ‘গ’ শ্রেণির (আহত) এক হাজার ৪৩৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
‘গ’ শ্রেণির মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৬ জন, রংপুর বিভাগে ৯০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১১ জন, বরিশাল বিভাগে ১১৬ জন, সিলেট বিভাগে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে ১৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩৬ জন এবং ঢাকা বিভাগের ৪০৬ জন জুলাই যোদ্ধা রয়েছেন।
'জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর ৭ (খ) ধারা এবং রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬ এর সিডিউল-১ (অ্যালোকেশন অব বিজনেস) এর ক্রমিক নং ২৩-এ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেওয়া ক্ষমতাবলে এই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে পাওয়া তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে মোট জুলাই যোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ালো ‘ক’ শ্রেণিতে ৬০২ জন, ‘খ’ শ্রেণিতে এক হাজার ১১৮ জন ও ‘গ’ শ্রেণিতে ১২ হাজার ৩৮ জন।
এই সংক্রান্ত বিধিমালা অনুযায়ী, ‘ক’ শ্রেণির আহতরা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তাদের ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বাকি ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এরা প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।
‘খ’ শ্রেণির আহতরা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। গত অর্থবছরে তাদের এক লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ লাখ টাকা চলতি অর্থবছরে দেওয়া হবে। তারা মাসিক ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।
‘গ’ শ্রেণির আহতরা এককালীনে এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তারা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, নারী গৃহকর্মীর অধিকার সুরক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সোমবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন অডিটোরিয়ামে গণসাক্ষরতা অভিযান, বিএনএসকে, সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশন, আভাস, সহায় এবং আশার আলো সোসাইটির আয়োজনে অক্সফাম ইন বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘নারী গৃহকর্মী সম্মেলন-২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম সচিব এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে তিনটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করার বিষয়ে কাজ করছি, যা বাস্তবায়িত হলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হবে। ফলে শ্রমিক নির্যাতন বন্ধে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে।
তিনি গৃহকর্মী নির্যাতন রোধেও সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে গৃহকর্মীদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, কর্মঘণ্টা ও ছুটির আইনি স্বীকৃতি, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন বন্ধ, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি এবং বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।
শ্রম সচিব উত্থাপিত দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানোর আশ্বাস দেন। কোনো গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, ১৬৩৫৭ ও ১০৯২১ নম্বরে যোগাযোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
এম সফিকুজ্জামান জানান, গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ বাস্তবায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
সম্মেলনে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা এবং জুলাই শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী। আলোচনায় অংশ নেন বিলস-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ, নারী সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক, অক্সফামের প্রতিনিধি তারেক আজিজ, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক এবিএম খোরশেদ আলম প্রমুখ।
এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, গৃহকর্মী ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু পরিবারের সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিস্তারিত জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল গতকাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, ২২টি পরিবারের মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে তাদের বাড়িতেই আছে। কটুক্তির অভিযোগে আটককৃত রঞ্জন কুমার রায় এবং তার চাচার পরিবারসহ মোট ০৩টি পরিবার পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন।
আজ থেকেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বাড়িঘর মেরামত করার কাজ শুরু করা হবে।
তিনি পরিবারগুলোর সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত রয়েছে।
এদিকে রংপুরের পুলিশ সুপার মো: আবু সাইম জানান, হিন্দু পরিবারগুলোর ওপর হামলার ঘটনায় মোট ১২ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বাড়িগুলোতে ২২ টি পরিবার বসবাস করতো।
তিনি জানান, রঞ্জন আটক হওয়ার পর থেকেই তার বাবা, দাদা এবং চাচার পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আছেন। অন্যান্য ১৯ টি পরিবারের সকল পুরুষ সদস্য তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ই আছেন। ঘরবাড়ি ভাংগা থাকায় কিছু নারী সদস্য মালামাল নিয়ে রিক্সাভ্যান যোগে অন্যত্র চলে গেছে।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকায় সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন ও পুলিশ এর সাথে কাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত হলে নারী সদস্যগণসহ সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরবেন বলে জানান তিনি।
এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের সনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষর করেছেন।
যেসব কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম, রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব আলম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের সংযুক্ত ডিআইজি মো. মনির হোসেন এবং পুলিশ টেলিকম ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হলো। বিধি অনুযায়ী তারা অবসরসুবিধা প্রাপ্ত হবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
গত ৬ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন দেশের ১৯ হাজারে বেশি প্রবাসীর ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত। ফেরত পাঠানো প্রবাসীদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়েই রয়েছেন, যাদের কেউ পুনরায় ভিসা নিয়ে কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
স্থানীয় গণমাধ্যম আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবাসন আইন ও শ্রম আইন লঙ্ঘন, পলাতক আসামি, মাদক বেচাকেনা, ভিসা বাণিজ্য, অবৈধ ব্যবসাবাণিজ্য, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার প্রবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, মিসরসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।
এর আগে গত রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ৬০ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ১ বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঋণ শোধ করা হয়। আসল ও সুদ মিলিয়ে মোট পরিশোধ করা হয়েছে ৪০৮ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে আসল ও সুদ বাবদ প্রায় ৪.০৮৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ ঋণ পরিশোধের রেকর্ড।
এটি আগের অর্থবছরে (অর্থবছর-২৪) প্রদত্ত পরিশোধের পরিমাণ ৩.৩৭২ বিলিয়ন ডলার থেকে ২১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ আসল পরিশোধ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৫৯৫ বিলিয়ন ডলার। এটি আগের অর্থবছরের (অর্থবছর-২৪) ২.০২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৮.৮ শতাংশ বেশি।
সুদ পরিশোধের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১.৪৯১ বিলিয়ন ডলার, যা অর্থবছর ২০২৩-২৪ এর ১.৩৪৯ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১০.৫ শতাংশ বেশি।
ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, গত এক দশকে বিভিন্ন বড় প্রকল্প ও বাজেট সহায়তার জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে।
ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধি পেলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন বৈদেশিক ঋণ চুক্তি ও ঋণ বিতরণ উভয়ই কমেছে।
ইআরডির তথ্যানুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ৮.৩২৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করেছে, যা আগের অর্থবছরে (অর্থবছর-২৪) এ ছিল ১০.৭৩৯ বিলিয়ন ডলার।
একই সময়ে ঋণ বিতরণও কমে দাঁড়ায় ৮.৫৬৮ বিলিয়ন ডলারে, আগের অর্থবছরে যা ছিল ১০.২৮৩ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ প্রতিশ্রুতির তালিকায় শীর্ষে ছিল বিশ্বব্যাংক, যারা ২.৮৪ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এর মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা। এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দেয়, যার মধ্যে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা। জাপান ১.৮৯ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অন্যদিকে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ৫৬১ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ঋণ বিতরণে শীর্ষে ছিল এডিবি, যারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২.৫২ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছে। এরপর বিশ্বব্যাংক ২.০১২ বিলিয়ন ডলার, জাপান ১.৫৮ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার, এআইআইবি ৫২৭ মিলিয়ন ডলার, চীন ৪১৫ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ১৮৫ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করে।
রাজধানীর আকাশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকায় জঙ্গি বিমানঘাঁটি রাখা অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর শহিদুল ইসলাম। গতকাল সোমবার তেজগাঁওয়ের এভিয়েশন ইউনিভার্সিটির পুরাতন পিএসসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকা থেকে জঙ্গি বিমান প্রশিক্ষণ ঘাঁটি সরানো হবে না উল্লেখ করে শহিদুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধবিমান পরিচালনায় বিশাল জায়গার প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি রাজধানীর আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতেও এই ঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বহু দেশের রাজধানীতেও এমন ঘাঁটি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিমানবাহিনীর জরুরি সমন্বয়ক কেন্দ্রের এয়ার কমডোর মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে থাকবে বিমান বাহিনী। প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।
দুর্ঘটনার সময় পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ ছিল কি না জানতে চাইলে মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবে। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাইলট তৌকিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ঘটনার দিন স্কুলে ৭৩৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৫৩৮ জন। নিচ তলার গ্রিল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পুরো জায়গাটি একসময় নিচু ছিল। পরে বালু ফেলে মাটি উঁচু করা হয়। এর আগেই ভবনের নিচ তলায় গ্রিল বসানো হয়েছিল শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই।‘
প্রিন্সিপাল আরও জানান, স্কুল আবার কবে খুলবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের মাটি থেকে সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদ করব।’
আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
৪০ মিনিটব্যাপী ওই বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান শুল্ক আলোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জ্যাকবসন বাংলাদেশের সংস্কার প্রচেষ্টা ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি তার সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন, যা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া কমিশনের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন, যা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মূল সংস্কারগুলোর বিষয়ে ঐক্য গঠনে সচেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, কমিশন খুবই ভালো কাজ করছে। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করছেন।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়ে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’
তিনি জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদারের ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচনের সময় ৬০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রণ এবং ন্যায়পাল নিয়োগ প্রক্রিয়ার আলোচনায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০তম দিনের আলোচনার শুরুতে ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত জানায় দলটি।
বেলা সাড়ে ১১টার পরে বিষয়টি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, তাদের দল এ আলোচনায় অংশ নেবে না।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা উপস্থিত থাকবেন কিন্তু আলোচনায় অংশ নেবেন না। একটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ না নিলে পুরো সংলাপ বন্ধ করা সম্ভব নয়।
অবশ্য কিছু সময় পর বিএনপি আবার আলোচনায় যোগ দেয়।
তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, একটি বড় দল আলোচনায় অংশ না নিলে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আলোচনায় অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়।
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সৈয়দ নূর (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
অভিযানে ১টি ওয়ান শুটার গান, ১টি এলজি, ১ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে আরো বলা হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) জানতে পারে, একটি অপরাধীচক্র সমুদ্রপথে মাদক এনে টেকনাফ ও আশপাশের এলাকায় বেচাকেনা করছে। এরপর লে. কর্নেল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবির একাধিক দল টেকনাফ শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালায়।
একপর্যায়ে টেকনাফ পৌরসভার খানকারপাড়া এলাকা ঘিরে ফেলে বিজিবি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রোববার দুপুরে সৈয়দ নূরকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাদক সরবরাহকারী মো. হারুন অর রশিদ বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকের একটি প্যাকেট নূরের কাছে রেখে আরেকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে নূরের বাড়ি তল্লাশি করে বিপুল পরিমান মাদক, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
আটক নূর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাশেই সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠা আধুনিক শোধনাগার। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হওয়া এ শোধনাগারই এরই মধ্যে চালুও হয়েছে। তবে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নাচোল পৌরসভার ট্রাকে করে নিয়ে আসা শহরের সব ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে আগের মতই রাস্তার পাশে। এতে করে এত টাকা খরচে নির্মিত হওয়া আধুনিক শোধনাগারটি খুব একটা কাজে আসছে না, উল্টো বর্জ্য শোধনাগারের সামনে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তুপে ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধ, পথচারী, ওই এলাকার বাসিন্দা সবাই পড়েছেন ভোগান্তিতে।
নাচোল উপজেলার দরবেশপুর এলাকায় সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে নির্মিত এ শোধনাগারের কার্যক্রম গত ৭ জুলাই উদ্বোধন করেন সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার। এরপর থেকেই কয়েকজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছেন। তবে তাদের কেউই কোন ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার করছেন না, নেই কোন নির্ধারিত মাস্ক ও পোষাক। যা তাদের বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুকিতে ফেলে দিচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, রাস্তার পাশেই ময়লা এনে জমা করে রাখার কারনে এলাকায় টেকায় যাচ্ছে না, দূগন্ধে বসবাস করায় কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আতাউর রহমান বর্জ্য শোধনাগারের জন্য আনা ময়না আবর্জনা রাস্তায় পাশেই স্তুপ করে রাখা হচ্ছে এতে ছড়াচ্ছে দূগন্ধ, এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
এ প্রকল্পের সংস্লিষ্ট কর্মকর্তা তাহসিনা সিরাজ জানান, ময়লা আবর্জনা পৌরসভার, তারা আমাদের এখানে পৌচ্ছে দিবে। আমাদের শোধনাগারের মধ্যেই তাদের ট্রাক নিয়ে আসবে। তাহলে শোধনাগারের সামনে সড়কের পাশেই কেন ময়লার স্তুপ। এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমি বিষয়টি দেখছি।
শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার বিষষে উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম জানান, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে, আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলব।
নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, আমি নতুন এসেছি, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিব।