২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে বরণ ও সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশবাসী। রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় প্রস্তুত হচ্ছে বিশাল মঞ্চ।
গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফিট সড়কের একটি অংশজুড়ে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। বিএনপির নেতারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে কমিটির সদস্যরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিএনপি নেতারা বলেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছে বনানী-কাকলী হয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় আসবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেখানে আয়োজিত মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেবেন।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, মঞ্চের দুই পাশে তাবু স্থাপন করা হয়েছে— যেখানে আপাতত ডেকোরেটরের সরঞ্জাম রাখা হয়েছে। রাস্তার ল্যাম্প পোস্টে লাগানো হচ্ছে মাইক।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে মঞ্চের আশেপাশে উৎসুক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। কেউ কাজের তদারকি করছেন, আর কারোবা সাংগঠনিক কাজে মনোযোগ। দলটির সিনিয়র নেতারাও আসছেন, কাজের অগ্রগতি দেখছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন মঞ্চের কাছে।
প্রস্তুতি সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের এখানে যারা ডেকোরেটরের কাজ করছেন… মাইক লাগানো হচ্ছে। নিরাপত্তার বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছু তো আমাদের হাতে নাই। আমাদের ছেলেরা রাউন্ড দ্য ক্লক এখানে আছে, কাজ করছে। যাদের দায়িত্ব স্টেজ বানানো, মাইকের কাজ এগুলো চলছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পুরো জাতি একটা শঙ্কা মধ্যে আছে, প্রতিটা মুহূর্তেই। নিরাপত্তা যতটুকু এনসিওর করা দরকার, আমরা চেষ্টা করছি। বাকিটা আল্লাহর হাতে। সরকারের পক্ষ থেকে অসহযোগিতা নাই।’
আব্বাস বলেন, ‘লাখো মানুষের সমাগমের পরিকল্পনা আমরা করি নাই। যদি লাখো মানুষ সমাবেত হয়ে যায়, সেটা তো আমাদের কিছু করার নাই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসবেন। দেশে মানুষের মধ্যে একটা জাগরণ তো আছে। সে জাগরণের প্রতিফলন এখানে ঘটবে। এটা আমরা আশা করি।’
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সোমবার বেশ কয়েকজন পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনের পুলিশ ইন্সপেক্টর টি এম আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। তবে এটা রেগুলার চেকপোস্ট— যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও ঘটনা না ঘটে। এখানের অবস্থা ভালো। গাড়ি আসতেছে তাদের চেক করা হচ্ছে।’
আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘‘তিনশ ফিটে সংবর্ধনা হবে। সেখানে নানা আয়োজন থাকবে বলে আশা করছি। পুরো শিডিউল নির্ধারণ হলে জানাতে পারবো।’
তিনি আরও জানান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকেই মঞ্চে নানামুখী আয়োজন থাকবে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি যুক্ত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
সূত্র জানিয়েছে, সরকারি ও দলীয় মিলিয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। মূল মঞ্চ, গণমাধ্যমের কর্মীরা নিরাপত্তা বলয়ে থাকবেন।