বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেটেড
২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০২:০৬
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০২:০৬

ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। তারা চায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে কোনো ভাটা না পড়ে।’

গতকাল সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব বলেন। জাপানিরা বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ খাত, বন্দর ও পর্যটন নিয়ে আগ্রহ জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা-নয়াদিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক, ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) যোগ দিতে আগামী ২৩ নভেম্বর ভারত যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এই বৈঠকে নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি রুটিন ওয়ার্ক (নিয়মিত বৈঠক)। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে।’ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন নিয়ে আলাপ হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তো ভারতের সঙ্গে আলাপ হয়েই গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তো আগেই আলোচনা করেছেন। ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়।’

কমনওয়েলথের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমরা জানিয়েছি ‘ভেরি স্ট্রং প্রসেসেস’ (মজবুত উদ্যোগ)। এর মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’

মোমেন জানান, জাপানের কয়েকটি কোম্পানি মিয়ানমারে রয়েছে। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ চায়। এ দেশে কয়েকটি জায়গা নির্বাচন করেছে তারা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র অর্থনীতিতে অন্তত পাঁচ বিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগ করতে চায় জাপানের ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য শক্তিসহ বেশকিছু সেক্টরের প্রায় ৩১টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এটা সুখবর। আমরা তাদের নির্বাচনের পরে আসতে বলেছি।


শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনা ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে কোথায় আছেন তা সরকার নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবরের প্রেক্ষাপটে আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ওনার (শেখ হাসিনা) অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতেও খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি। কনফারমেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেননি। তবে আপনারা যেমনটি দেখেছেন আমরাও দেখেছি তিনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু সেটা রি-কনফার্মের চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই (সোশ্যাল মিডিয়াতে) যেমন- দেখেছেন, আমরাও দেখেছি যে তিনি সম্ভবত আজমানে আছেন; কিন্তু আমরা তা ভালো মতো নিশ্চিত করতে পারিনি।’ শেখ হাসিনাকে অন্য দেশে পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চাপ দিয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা হোসেন বলেন, এই প্রশ্নটি যুক্তরাষ্ট্রকে করাই ভালো।

আওয়ামী লীগের সদস্যদের ভ্রমণ পাস নিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার উদ্দেশে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন যে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশে ফেরার জন্য বিশেষভাবে ভ্রমণ পাস ইস্যু করা হয়। তিনি বলেন, ভ্রমণ পাস শুধু বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য, অন্য দেশে ভ্রমণের জন্য নয়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত পাঠানোর প্রয়োজন হলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হতে পারে। এদিকে শেখ হাসিনা এখন কোথায় আছে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার রাতে বেসরকারি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ২৪-কে জয় জানান, শেখ হাসিনার ভারত ছেড়ে যাওয়ার খবরটি সঠিক নয়। তার মা এখনো ভারতেই আছেন।

এ ছাড়া আজ বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাস দুয়েক আগে নাটকীয় পরিস্থিতিতে দিল্লিতে যাওয়া বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তিনি দিল্লি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে গেছেন, এ জাতীয় সব খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা।

দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন যে ‘শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!’

বিবিসি জানায়, শেখ হাসিনা দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো জানায়নি। দিল্লির সাউথ ব্লকের একটি উচ্চপদস্থ সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, ‘শেখ হাসিনা যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, তিনি এই মুহূর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোছাপা করার তো কোনো কারণ নেই!’

বিষয়:

ঢাক-ঢোল আর কাঁসার বাদ্যে দুর্গাপূজা শুরু আজ

বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা
ফাইল ছবি
আপডেটেড ৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আজ বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে। আগামী রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী এ উৎসবের।

শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। টানা চার দিনের সরকারি ছুটি উৎসবের আমেজ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। সরকার নির্বাহী আদেশে আগামী বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করেছে।

ছুটি ঘোষণা করে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ এবার দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি হতে যাচ্ছে। পরদিন রোববার শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী উপলক্ষে সরকারি ছুটি। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত ছুটি থাকছে।

এর আগে গতকাল দুপুরে দুর্গাপূজার ছুটি এক দিন বাড়ছে বলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। দুর্গাপূজার সময় শুধু বিজয়া দশমীর দিন সরকারি ছুটি থাকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলোতে প্রতিমা, মণ্ডপ তৈরি ও আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে নানা আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

দুর্গা বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ, শোক, জ্বালা, যন্ত্রণা এসব থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন। শাস্ত্রকাররা দুর্গার নামের অন্য একটি অর্থ করেছেন। দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্য ক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন।

‘মহা চণ্ডীতে’ উল্লেখ আছে, ত্রেতা যুগে ভগবান রাজা রামচন্দ্র দশানন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে রত হন। পাপের বিনাশের লক্ষ্যে দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়ার কাছে শক্তি বৃদ্ধির আশায় শরৎকালে তার পূজা করেছিলেন এবং যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবী সীতাকে উদ্ধার করেন ও রাবণকে হত্যা করতে সক্ষম হন রামচন্দ্র। সেই থেকে পৃথিবীতে প্রতি বছর শরৎকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গোৎসব পালন করে আসছেন।

লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ মহাষষ্ঠী, আগামীকাল মহাসপ্তমী, শুক্রবার মহাষ্টমী, শনিবার মহানবমী এবং রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের।

এ বছর সারা দেশে এ বছর ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপিত হবে। ঢাকা মহানগরে এবছর ২৫২টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।

রাজধানীতে কেন্দ্রীয় পূজা উৎসব হিসেবে পরিচিত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মণ্ডপে পূজার পাশাপাশি ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, বস্ত্র বিতরণ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছা রক্তদান ও বিজয়া শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, তাঁতীবাজার, শাঁখারি বাজারসহ বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্যাপক আয়োজন চলছে। ঢাকেশ্বরী আর রামকৃষ্ণ মিশনের পূজা আয়োজন ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুর্গোৎসবের ব্যাপক আয়োজন চলছে।

দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন কমিটির নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়সহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিককে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা ঘিরে রাজধানী ঢাকায় কোনো থ্রট (হুমকি) নেই। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকায় পূজাকে ঘিরে কোনো থ্রেট আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জানামতে এমন কোনো থ্রেট নেই, কোনো ঝুঁকিও দেখছি না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় মণ্ডপ এলাকা, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় সব ধরনের মাদকদ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সব ধরনের পটকা ও আতশবাজির ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

মো. মাইনুল হাসান বলেন, বিসর্জনের সময় উচ্চৈঃস্বরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না। যারা সাঁতার জানেন না তাদের বিসর্জনের সময় পানিতে না নামার অনুরোধ করছি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীতে এ বছর ২৫৩টি স্থানে মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩১টি ও উত্তর সিটিতে ১২২টি স্থানে পূজা উদ্‌যাপন হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে এ পূজা যেন শান্তিপূর্ণ ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উদ্‌যাপন করতে পারে, সে জন্য আমরা বিভিন্ন সমন্বয় সভা করেছি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরের প্রতিটি পূজামণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি পূজামণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ মোতায়েন থাকবে, থানা পুলিশের মাধ্যমে নিজস্ব টহল ও চেকপোস্টের ব্যবস্থাসহ সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকছে।

থাকবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং ব্যবস্থা ও পূজা কমিটির মাধ্যমে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক। সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজামণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। একইসঙ্গে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসহ র‍্যাবের সদস্যরা টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।


বরখাস্ত হওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসীর বিরুদ্ধে মামলা

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী বলা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে আলোচনায় আসেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। সদ্য বরখাস্ত হওয়া এই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এবার মামলার আবেদন হয়েছে আদালতে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ এই মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রাখেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে বরখাস্তকৃত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে আগামী ২৮ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসেনের আদালত এই নির্দেশ দেন। আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম জানান, শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

এর আগে গত রোববার (৬ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় পড়া তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় পড়েন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে তাপসী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন- ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে ঊর্মি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে।’ পরে তিনি বলেন, এ বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

এদিকে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশকিছু পোস্টও করেছেন। একটি স্ট্যাটাসে তিনি ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন।


সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম: ক্ষমা চাইল স্টার কাবাব, খাওয়াবে ১০০০ এতিমকে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে পচা ও গন্ধযুক্ত টিকা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক গ্রাহককে মারধরের ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বনানী স্টার কাবাব শাখার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর বনানী শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও কৃষিবিদ সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলকের ডান চোখ, হাত ও পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কপাল ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন তিনি। গুরুতর আহত অলককে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি বানানী থানায় মামলা করেন।

বনানী থানায় দেওয়ায় লিখিত প্রতিশ্রুতিনামায় এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৬ অক্টোবর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ও স্টার কাবাব পরিবার নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সার্ভিস ও খাবারের মান আরও উন্নত করব।

প্রতিশ্রুতিনামায় স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, গ্রাহক সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলককে আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যয় ও ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও তিনি তা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং ক্ষমার শর্তস্বরূপ ১ হাজার এতিমকে একবেলা বিনামূল্যে খাবার দিতে বলেন। আমরা তার শর্ত মেনে ১ হাজার এতিম শিশুকে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এতিমখানায় একবেলা উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

গ্রাহক, সাংবাদিক সমাজ ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক জানান, স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় এবং আমি কোনো চিকিৎসা খরচ বা ক্ষতিপূরণ না নিয়ে আমার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১ হাজার এতিম শিশুকে একবেলা খাবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তাদের ক্ষমা করলাম।

জানা গেছে, রোববার দুপুরে অলোক তার এক বন্ধুর সামনে পরিবেশন করা খাবারে গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ম্যানেজার প্রত্যুত্তরে বলেন, জীবনে টিক্কা খাননি আপনি। এটা এমনই হয়। এ কথা শুনে গ্রাহক প্রতিবাদ করলে আরও তিনজন গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন।

এতে ম্যানেজার কলিংবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন। স্টাফরা অলককে ধাক্কা দিতে দিতে দোতলা থেকে নিচতলায় নামান এবং নিচতলায় সিঁড়ির নিচে ফেলে মারধর করেন। এতে স্টার কাবাবের ১৪ থেকে ১৫ জন কর্মী হামলায় অংশ নেন। পরে আহত সাংবাদিক অলককে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তিনি বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।


স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান ড. ইউনূসের

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।’

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সকলের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশ সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।’

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

বাণীতে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন ড. ইউনূস।


ধর্মীয় অনুশাসন মানার পাশাপাশি মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৩৮
বাসস

ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি সবাইকে মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে বলে উদ্বুদ্ধ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শান্তি ও মানবতা সকল ধর্মের শাশ্বত বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায় ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে, অন্যায় ও অসত্য থেকে দূরে রাখে, দেখায় মুক্তির পথ।’

রাষ্ট্রপতি শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, ‘সারা দেশে যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনন্য উদাহরণ।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সাথে মিশে আছে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় আবহমানকাল ধরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানান আয়োজনের মাধ্যমে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন করে আসছে।’

দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে সমাজের সকল স্তরের মানুষ একত্র হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ এ উৎসবকে সার্বজনীন রূপ দিয়েছে। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে-যোগ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসব সত্য-সুন্দরের আলোকে ভাস্বর হয়ে উঠুক; ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুসংহত হোক এ কামনা করি।’

‘সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় জানমাল, অবকাঠামো, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ সার্বিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বানভাসি মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মানবকল্যাণের জয়গানকে তুলে ধরেছে।’

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে আমাদের আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি একটি সুন্দর আগামী ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’


নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মঙ্গলবার পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারিদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:১২
বাসস

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে প্রাণীর ওপর অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মঙ্গলবার পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারিদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের খাদ্য প্রাণীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা যা খাই সবজি, ফল বা মাছ-মাংস; এর মধ্যে থেকে যাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। যার ফলে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও তা আর কাজ করছে না।

তিনি বলেন, খামারিরা কোম্পানি থেকে মাছ-মুরগির খাবার না কিনে নিজেরা খাবার উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করলে এবিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর যেকোনো প্রয়োজনে খামারিদের পাশে থাকবে।

খামারিরা মুরগির খাবারের মূল্য ও মুরগির বাচ্চার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে অবহিত করলে তিনি বলেন, আপনারা স্বাধীন খামারি হবেন, কন্ট্রাক্ট খামারি হবেন না। কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মত ব্যবসা করে যাচ্ছে, তারা লাভবান হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত খামারিরা লাভবান হচ্ছে না।

উপদেষ্টা আরও বলেন, অবৈধভাবে নদী-নালা, খাল-বিল দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নদী-নালা-খাল-বিল বাঁচাতে প্রয়োজনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে এবং এর ফলে নারীরা অনেকক্ষেত্রেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা আবদুল্লাহ আল-নূরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. তারিকুল ইসলাম।


আট মামলায় ৪৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মঙ্গলবার হাজির করা হয় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৪৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক আটটি হত্যা মামলায় তিনি আসামি।

সাবেক এই পুলিশ প্রধানকে মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা।

অপরদিকে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে বিভিন্ন মেয়াদে আসামির ৪৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে সাকিব হাসান নিহত হওয়ার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলায় মামুনের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর ইমন হোসেন গাজী নিহত হওয়ার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলায় পুলিশের সাবেক এই প্রধানকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

এছাড়া ইরফান ভুইয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলায় পাঁচ দিন, মুনতাসির রহমান হত্যা মামলায় পাঁচ দিন ও ভ্যানচালক সুজন হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এর বাইরে রফিকুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলায় চারদিন, একই থানায় করা মাহমুদুল হাসান জয় হত্যা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচদিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। আর নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় পৃথকভাবে তাকে আরও পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদা আবু সায়েদ হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর তাকে আটদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় মোহাম্মদ ইসমামুল হক নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

বিষয়:

একদিনে ৮৫৭টি মামলা ও ৩৫ লাখ টাকার বেশি জরিমানা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

যার ধারাবাহিকতায় গত সোমবার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৮৫৭টি মামলা ও ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ৬২৫ টাকা বেশি জরিমানা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ।

পাশাপাশি এ সময় ২১৪টি গাড়িকে ডাম্পিং ও ৮৬টি গাড়িকে রেকারে দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাত-দিন কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার সারাদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৮৫৭টি মামলা ও ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ৬২৫টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান চলার সময় ২১৪ টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৬ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

এর আগের দিন রোববার রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ১৭টি মামলা ও ৪০ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ২২৪ টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭০টি গাড়ি রেকার করেছে পুলিশ।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপি এ কর্মকর্তা।

বিষয়:

চট্টগ্রাম থেকে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়া হবে: সুপ্রদীপ চাকমা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মঙ্গলবার আয়োজিত এক সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য দেন অন্তবর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:৩৭
বাসস

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

দীঘিনালায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

এ সময় দীঘিনালার লারমা স্কয়ারের সহিংসতার সময় আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা, ভাঙচুরের শিকার হওয়াদের ২০ হাজার টাকা করে এবং নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ১ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরিফিন জুয়েল ও দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পাহাড়ি বাঙালি নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


দুর্গাপূজা উদযাপনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

‘শারদীয় দুর্গাপূজা ১৪৩১’ উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

‘শারদীয় দুর্গাপূজা ১৪৩১’ উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটা অনুষ্ঠান হলেও সারা দেশের মানুষ এর আনন্দ উপভোগ করে। এ বছর দক্ষিণ সিটিতে ১৩১ টি ও উত্তর সিটিতে ১২২টিসহ ঢাকা মহানগরে ২৫৩ টি পূজা মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’

‘ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে যাতে করে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি ভাবগম্ভীর পরিবেশে এবং যথাযথ মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হতে পারে এজন্য বিভিন্ন ধাপে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্থায়ী পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি থানা পুলিশের নিজস্ব অধিক্ষেত্রে টহল ও চেকপোস্ট ব্যবস্থা এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা ও মেটাল ডিটেকটরের মাধ্যমে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

‘আয়োজকদের মধ্যে হতে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে। সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আনসার বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ র‌্যাব ফোর্সেস বাহিনী তাদের টহল কার্যক্রম ও অন্যান্য নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’

পূজার দিনগুলোতে আগত ভক্তদের চেকপোস্টে কর্মরত পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

পূজায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পূজার দিনগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। তবে পুরান ঢাকার দিকে রাস্তা সরু হওয়ার কারণে সেখানে যান চলাচলে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। এ জন্য আমরা পূজা উদযাপন কমিটিকে অনুরোধ করেছি, পূজা মণ্ডপের কাছাকাছি যেন কোন মেলা বা জনসমাবেশ যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করার জন্য।’

কমিশনার বলেন, ‘বিসর্জন শোভাযাত্রাতেও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য নৌ পুলিশ ফায়ার ব্রিগেডসহ অন্যান্যরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ এর মাধ্যমেও সেবা গ্রহণ করা যাবে।’

বিসর্জনের সকল কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ কারার করে কমিশনার বলেন, ‘পূজা মণ্ডপ, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় সকল প্রকার মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ।’

বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ‘আমরা আশা করছি এ বছর পূজা উৎসব অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বাধাবিঘ্ন ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে।’ এজন্য তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়বে: মাহফুজ আলম

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১৫:২৮
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব যেন তারা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারে সেজন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজই এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

ব্রিফিংয়ে মাহফুজ আলম বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কুচক্রী মহল আক্রমণ করেছিল, তবে অন্তর্বর্তী সরকার ও ছাত্র-জনতা একসঙ্গে সেই আক্রমণ প্রতিহত করেছে।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদান করা হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে তারা যেন পূজা উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে দুয়েক দিনের মধ্যে তাদের এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে পেরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় আনন্দিত।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর এই ঘোষণা প্রদানকালে সেখানে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতারা সরকারের ছুটি প্রদানের সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে।

দেশবাসী নিজেদের মধ্যে ঐক্য, সম্মান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে সমগ্র জাতি যেন একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে এ জন্য সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিককে উৎসাহিত করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১২৫, বেড়েছে ১১টি

সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ছবি: মন্ত্রণালয়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুন্দরবনে ২০২৩-২৪ সালের জরিপে ১২৫টি বাঘ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা জানান, ২০২৩-২৪ সালে সুন্দরবনের জাতীয় পশু বাঘ জরিপে ১২৫টি বাঘ পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ২.৬৪।

তিনি জানান, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে ১১টি। বৃদ্ধির এ হার ৯.৬৫ শতাংশ। ২০১৫ সালের তুলনায় বৃদ্ধির হার ১৭.৯২ শতাংশ।

রিজওয়ানা জানান, ২০১৫ সালে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ ছিল। আর ঘনত্ব ছিল ২.১৭। ২০১৮ সালে ১১৪টি বাঘ পাওয়া যায়। আর ঘনত্ব ছিল ২.৫৫। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা আটটি বেড়েছিল এবং বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৮ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, ২০২৩-২৪ সালের জরিপে ২১টি বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া গেছে, তবে শাবকদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ ছোট বয়সে শাবকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে মাত্র পাঁচটি শাবকের ছবি পাওয়া গিয়েছিল।

পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, জরিপের ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এ কাজে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেয়া হয়।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জরিপটি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হয়। সুন্দরবনের ৬০৫টি গ্রিডে ১ হাজার ২১০টি ক্যামেরা ৩১৮ দিন রেখে দেয়া হয়, যার মধ্যে ৩৬৮টি গ্রিডে বাঘের ছবি পাওয়া যায়।

ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, ১০ লক্ষাধিক ছবি ও ভিডিও থেকে সাত হাজার ২৯৭টি বাঘের ছবি পাওয়া যায়। এত বেশিসংখ্যক বাঘের ছবি এর আগে পাওয়া যায়নি।


banner close