সোমবার, ৫ মে ২০২৫
২২ বৈশাখ ১৪৩২

বিভাগ অনুযায়ী ২৯৮ আসনে বিজয়ীদের তালিকা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১১:২৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৪:৪৬

জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে ভোট স্থগিত ছিল। অন্যদিকে নানা অনিয়ম ও সংঘর্ষের ঘটনায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল নির্বাচন কমিশন থেকে বন্ধ রাখা হয়। তাহলে সংসদীয় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া গেছে। যারমধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ৬২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি এবং অন্যান্য দল ২টি আসনে জয়লাভ করে।

নিম্নে সারা দেশের বিভাগ অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে ২৯৮টি আসনের বেসরকারীভাবে বিজয়ীদের তালিকা দেয়া হলো-

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা-১: সালমান এফ রহমান (আওয়ামী লীগ

ঢাকা-২: কামরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-৩: নসরুল হামিদ বিপু (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-৪: আওলাদ হোসেন (স্বতন্ত্র)

ঢাকা-৫: মশিউর রহমান মোল্লা সজল (স্বতন্ত্র)

ঢাকা-৬: মোহাম্মদ সাঈদ খোকন (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-৭: মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-৮: আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-৯: সাবের হোসেন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১০: ফেরদৌস আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১১: ওয়াকিল উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১২: আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৩: জাহাঙ্গীর কবির নানক (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৪: মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৫: কামাল আহমেদ মজুমদার (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৬: ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৭: মোহাম্মদ এ আরাফাত (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৮: মো. খসরু চৌধুরী (স্বতন্ত্র)

ঢাকা-১৯: সাইফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)

ঢাকা-২০: বেনজীর আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

গাজীপুর-১: আ ক ম মোজাম্মেল হক (আওয়ামী লীগ)

গাজীপুর-২: জাহিদ আহসান রাসেল (আওয়ামী লীগ)

গাজীপুর-৩: রুমানা আলী (আওয়ামী লীগ)

গাজীপুর-৪: সিমিন হোসেন রিমি (আওয়ামী লীগ)

গাজীপুর-৫: আখতারউজ্জামান (স্বতন্ত্র)

নারায়ণগঞ্জ: গোলাম দস্তগীর গাজী (আওয়ামী লীগ)

নারায়ণগঞ্জ-২: নজরুল ইসলাম বাবু (আওয়ামী লীগ)

নারায়ণগঞ্জ-৩: আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত (আওয়ামী লীগ)

নারায়ণগঞ্জ-৪: এ কে এম শামীম ওসমান (আওয়ামী লীগ)

নারায়ণগঞ্জ-৫: এ কে এম সেলিম ওসমান (জাতীয় পার্টি)

টাঙ্গাইল-১: ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (আওয়ামী লীগ)

টাঙ্গাইল-২: তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির (আওয়ামী লীগ)

টাঙ্গাইল-৩: আমানুর রহমান খান রানা (স্বতন্ত্র)

টাঙ্গাইল-৪: আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (স্বতন্ত্র)

টাঙ্গাইল-৫: ছানোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র)

টাঙ্গাইল-৬: আহসানুল ইসলাম টিটু (আওয়ামী লীগ)

টাঙ্গাইল-৭: খান আহমেদ শুভ (আওয়ামী লীগ)

টাঙ্গাইল-৮: অনুপম শাহজাহান (আওয়ামী লীগ)

মুন্সিগঞ্জ-১: মহিউদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

মুন্সিগঞ্জ-২: সাগুফতা ইয়াসমিন (আওয়ামী লীগ)

মুন্সিগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ ফয়সাল (স্বতন্ত্র)

নরসিংদী-১: নজরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

নরসিংদী-২: আনোয়ারুল আশরাফ খান (আওয়ামী লীগ)

নরসিংদী-৩: সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (স্বতন্ত্র)

নরসিংদী-৪: নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (আওয়ামী লীগ)

নরসিংদী-৫: রাজিউদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

রাজবাড়ী-১: কাজী কেরামত আলী (আওয়ামী লীগ)

রাজবাড়ী-২: জিল্লুল হাকিম (আওয়ামী লীগ)

গোপালগঞ্জ-১: মুহাম্মদ ফারুক খান (আওয়ামী লীগ)

গোপালগঞ্জ-২: শেখ ফজলুল করিম সেলিম (আওয়ামী লীগ)

গোপালগঞ্জ-৩: শেখ হাসিনা (আওয়ামী লীগ)

মাদারীপুর-১: নুর-ই-আলম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

মাদারীপুর-২: শাজাহান খান (আওয়ামী লীগ)

মাদারীপুর-৩: মোসা. তাহমিনা বেগম (স্বতন্ত্র)

ফরিদপুর-১: আবদুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

ফরিদপুর-২: শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

ফরিদপুর-৩: এ কে আজাদ (স্বতন্ত্র)

ফরিদপুর-৪: মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (স্বতন্ত্র)

শরীয়তপুর-১: মো. ইকবাল হোসেন (আওয়ামী লীগ)

শরীয়তপুর-২: এ কে এম এনামুল হক শামীম (আওয়ামী লীগ

শরীয়তপুর-৩: নাহিম রাজ্জাক (আওয়ামী লীগ)

কিশোরগঞ্জ-১: সৈয়দ জাকিয়া নূর (আওয়ামী লীগ)

কিশোরগঞ্জ-২: সোহরাব উদ্দিন (স্বতন্ত্র)

কিশোরগঞ্জ-৩: মুজিবুল হক চুন্নু (জাতীয় পার্টি)

কিশোরগঞ্জ-৪: রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (আওয়ামী লীগ)

কিশোরগঞ্জ-৫: আফজাল হোসেন (আওয়ামী লীগ)

কিশোরগঞ্জ-৬: নাজমুল হাসান পাপন (আওয়ামী লীগ)

মানিকগঞ্জ-১: সালাহউদ্দিন মাহমুদ (স্বতন্ত্র)

মানিকগঞ্জ-২: দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু (স্বতন্ত্র)

মানিকগঞ্জ-৩: জাহিদ মালেক (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রাম-১: মাহবুব উর রহমান রুহেল (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-২: খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-৩: মাহফুজুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-৪: এসএম আল মামুন (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-৫: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি)

চট্টগ্রাম-৬: এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-৭: ড. হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-৮: আবদুচ ছালাম (স্বতন্ত্র)

চট্টগ্রাম-৯: ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-১০: মহিউদ্দিন বাচ্চু (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-১১: এম আব্দুল লতিফ (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-১২: মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-১৩: সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-১৪: মো. নজরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

চট্টগ্রাম-১৫: আব্দুল মোতালেব (স্বতন্ত্র)

চট্টগ্রাম-১৬: মজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র)

কুমিল্লা-১: ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর (আওয়ামী লীগ)

কুমিল্লা-২: আবদুল মজিদ (স্বতন্ত্র)

কুমিল্লা-৩: জাহাঙ্গীর আলম সরকার (স্বতন্ত্র)

কুমিল্লা-৪: আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র)

কুমিল্লা-৫: আবু জাহের (স্বতন্ত্র)

কুমিল্লা-৬: আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (আওয়ামী লীগ)

কুমিল্লা-৭: ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত (আওয়ামী লীগ)

কুমিল্লা-৮: আবু জাফর মোহাম্মদ শামীম (আওয়ামী লীগ)

কুমিল্লা-৯: তাজুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

কুমিল্লা-১০: আ হ ম মুস্তফা কামাল (আওয়ামী লীগ)

কুমিল্লা-১১: মুজিবুল হক (আওয়ামী লীগ)

চাঁদপুর-১: ড. সেলিম মাহমুদ (আওয়ামী লীগ)

চাঁদপুর-২: মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (আওয়ামী লীগ)

চাঁদপুর-৩: ডা. দীপু মনি (আওয়ামী লীগ)

চাঁদপুর-৪: মুহাম্মদ শফিকুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

চাঁদপুর-৫: মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১: সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান (স্বতন্ত্র)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: মঈন উদ্দিন মঈন (স্বতন্ত্র)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪: আনিসুল হক (আওয়ামী লীগ)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: ফয়জুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

নোয়াখালী-১: এইচ এম ইব্রাহিম (আওয়ামী লীগ)

নোয়াখালী-২: মোরশেদ আলম (আওয়ামী লীগ)

নোয়াখালী-৩: মো. মামুনুর রশীদ কিরন (আওয়ামী লীগ)

নোয়াখালী-৪: মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

নোয়াখালী-৫: ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগ)

নোয়াখালী-৬: মোহাম্মদ আলী (আওয়ামী লীগ)

ফেনী-১: আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

ফেনী-২: নিজাম উদ্দিন হাজারী (আওয়ামী লীগ)

ফেনী-৩: লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)

লক্ষ্মীপুর-১: আনোয়ার হোসেন খান (আওয়ামী লীগ)

লক্ষ্মীপুর-২: নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন (আওয়ামী লীগ)

লক্ষ্মীপুর-৩: মোহাম্মদ গোলাম ফারুক (আওয়ামী লীগ)

লক্ষ্মীপুর-৪: মো. আবদুল্লাহ (স্বতন্ত্র)

কক্সবাজার-১: সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি)

কক্সবাজার-২: আশেক উল্লাহ রফিক (আওয়ামী লীগ)

কক্সবাজার-৩: সাইমুম সরওয়ার কমল (আওয়ামী লীগ)

কক্সবাজার-৪: শাহীন আক্তার (আওয়ামী লীগ)

রাঙামাটি: দীপংকর তালুকদার (আওয়ামী লীগ)

খাগড়াছড়ি: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (আওয়ামী লীগ)

বান্দরবান: বীর বাহাদুর উশৈ শিং (আওয়ামী লীগ)

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী-১: ওমর ফারুক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

রাজশাহী-২: শফিকুর রহমান বাদশা (স্বতন্ত্র)

রাজশাহী-৩: মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ (আওয়ামী লীগ)

রাজশাহী-৪: মো. আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ)

রাজশাহী-৫: মো. আব্দুল ওয়াদুদ (আওয়ামী লীগ)

রাজশাহী-৬: মো. শাহরিয়ার আলম (আওয়ামী লীগ)

নাটোর-১: অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র)

নাটোর-২: শফিকুল ইসলাম শিমুল (আওয়ামী লীগ)

নাটোর-৩: জুনাইদ আহমেদ পলক (আওয়ামী লীগ)

নাটোর-৪: ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (আওয়ামী লীগ)

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (আওয়ামী লীগ)

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: জিয়াউর রহমান (আওয়ামী লীগ)

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: আব্দুল ওদুদ (আওয়ামী লীগ)

বগুড়া-১: সাহাদারা মান্নান (আওয়ামী লীগ)

বগুড়া-২: শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (জাতীয় পার্টি)

বগুড়া-৩: খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী (স্বতন্ত্র)

বগুড়া-৪: এ, কে, এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ)

বগুড়া-৫: মজিবুর রহমান মজনু (আওয়ামী লীগ)

বগুড়া-৬: রাগেবুল আহসান রিপু (আওয়ামী লীগ)

বগুড়া-৭: ডা. মোস্তফা আলম নান্নু (আওয়ামী লীগ)

সিরাজগঞ্জ-১: তানভীর শাকিল জয় (আওয়ামী লীগ)

সিরাজগঞ্জ-২: জান্নাত আরা হেনরী (আওয়ামী লীগ)

সিরাজগঞ্জ-৩: ডা. আব্দুল আজিজ (আওয়ামী লীগ

সিরাজগঞ্জ-৪: শফিকুল ইসলাম শফি (আওয়ামী লীগ)

সিরাজগঞ্জ-৫: আবদুল মমিন মন্ডল (আওয়ামী লীগ)

সিরাজগঞ্জ-৬: চয়ন ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

পাবনা-১: মো. শামসুল হক টুকু (আওয়ামী লীগ)

পাবনা-২: আহমেদ ফিরোজ কবির (আওয়ামী লীগ)

পাবনা-৩: মো. মকবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ)

পাবনা-৪: গালিবুর রহমান শরীফ (আওয়ামী লীগ)

পাবনা-৫: গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (আওয়ামী লীগ)

নওগাঁ-১: সাধন চন্দ্র মজুমদার (আওয়ামী লীগ)

নওগাঁ-৩: সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী (আওয়ামী লীগ)

নওগাঁ-৪: এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ (স্বতন্ত্র)

নওগাঁ-৫: নিজাম উদ্দিন জলিল জন (আওয়ামী লীগ)

নওগাঁ-৬: মো. ওমর ফারুক সুমন (স্বতন্ত্র)

খুলনা বিভাগ

খুলনা-১: ননী গোপাল মণ্ডল (আওয়ামী লীগ)

খুলনা-২: সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল (আওয়ামী লীগ)

খুলনা-৩: এসএম কামাল হোসেন (আওয়ামী লীগ)

খুলনা-৪: আব্দুস সালাম মুর্শেদী (আওয়ামী লীগ)

খুলনা-৫: নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (আওয়ামী লীগ)

খুলনা-৬: মো. রশীদুজ্জামান (আওয়ামী লীগ)

বাগেরহাট-১: শেখ হেলাল উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)

বাগেরহাট-২: শেখ সারহান নাসের তন্ময় (আওয়ামী লীগ)

বাগেরহাট-৩: হাবিবুন নাহার (আওয়ামী লীগ)

বাগেরহাট-৪: বদিউজ্জামান সোহাগ (আওয়ামী লীগ)

সাতক্ষীরা-১: ফিরোজ আহমেদ স্বপন (আওয়ামী লীগ)

সাতক্ষীরা-২: আশরাফুজ্জামান আশু (জাতীয় পার্টি)

সাতক্ষীরা-৩: আ ফ ম রুহুল হক (আওয়ামী লীগ)

সাতক্ষীরা-৪: এসএম আতাউল হক দোলন (আওয়ামী লীগ)

যশোর-১: শেখ আফিল উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)

যশোর-২: ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন (আওয়ামী লীগ)

যশোর-৩: কাজী নাবিল আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

যশোর-৪: এনামুল হক বাবুল (আওয়ামী লীগ)

যশোর-৫: ইয়াকুব আলী (স্বতন্ত্র)

যশোর-৬: আজিজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)

নড়াইল-১: বিএম কবিরুল হক (আওয়ামী লীগ)

নড়াইল-২: মাশরাফি বিন মর্তুজা (আওয়ামী লীগ)

মাগুরা-১: সাকিব আল হাসান (আওয়ামী লীগ)

মাগুরা-২: বীরেন শিকদার (আওয়ামী লীগ)

কুষ্টিয়া-১: রেজাউল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র)

কুষ্টিয়া-২: কামারুল আরেফিন (স্বতন্ত্র)

কুষ্টিয়া-৩: মাহবুবউল আলম হানিফ (আওয়ামী লীগ)

কুষ্টিয়া-৪: আবদুর রউফ (স্বতন্ত্র)

মেহেরপুর-১: ফরহাদ হোসেন (আওয়ামী লীগ)

মেহেরপুর-২: নাজমুল হক সাগর (আওয়ামী লীগ)

চুয়াডাঙ্গা-১: সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (আওয়ামী লীগ)

চুয়াডাঙ্গা-২: মো. আলী আজগার (আওয়ামী লীগ)

ঝিনাইদহ-১: মো. আব্দুল হাই (আওয়ামী লীগ)

ঝিনাইদহ-২: মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (স্বতন্ত্র)

ঝিনাইদহ-৩: মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী (আওয়ামী লীগ

ঝিনাইদহ-৪: মো. আনোয়ারু আজীম আনার (আওয়ামী লীগ)

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল-১: আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (আওয়ামী লীগ)

বরিশাল-২: রাশেদ খান মেনন (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি)

বরিশাল-৩: গোলাম কিবরিয়া টিপু (জাতীয় পার্টি)

বরিশাল-৪: পঙ্কজ নাথ (স্বতন্ত্র)

বরিশাল-৫: জাহিদ ফারুক (আওয়ামী লীগ)

বরিশাল-৬: আব্দুল হাফিজ মল্লিক (আওয়ামী লীগ)

ভোলা-১: তোফায়েল আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

ভোলা-২: আলী আজম মুকুল (আওয়ামী লীগ)

ভোলা-৩: নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (আওয়ামী লীগ)

ভোলা-৪: আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (আওয়ামী লীগ)

বরগুনা-১: গোলাম সরোয়ার টুকু (স্বতন্ত্র)

বরগুনা-২: সুলতানা নাদিরা (আওয়ামী লীগ)

পটুয়াখালী-১: এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার (জাতীয় পার্টি)

পটুয়াখালী-২: আ স ম ফিরোজ (আওয়ামী লীগ)

পটুয়াখালী-৩: এস এম শাহজাদা (আওয়ামী লীগ)

পটুয়াখালী-৪: মহিব্বুর রহমান মহিব (আওয়ামী লীগ)

ঝালকাঠি-১: ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (আওয়ামী লীগ)

ঝালকাঠি-২: আমির হোসেন আমু (আওয়ামী লীগ)

পিরোজপুর-১: শ ম রেজাউল করিম (আওয়ামী লীগ)

পিরোজপুর-২: মো. মহিউদ্দিন মহারাজ (স্বতন্ত্র)

পিরোজপুর-৩: মো. শামীম শাহনেওয়াজ (স্বতন্ত্র)

সিলেট বিভাগ

সিলেট-১: ড. এ কে আব্দুল মোমেন (আওয়ামী লীগ)

সিলেট-২: শফিকুর রহমান চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

সিলেট-৩: হাবিবুর রহমান হাবিব (আওয়ামী লীগ)

সিলেট-৪: ইমরান আহমদ (আওয়ামী লীগ)

সিলেট-৫: মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী (স্বতন্ত্র)

সিলেট-৬: নুরুল ইসলাম নাহিদ (আওয়ামী লীগ)

সুনামগঞ্জ-১: রনজিত চন্দ্র সরকার (আওয়ামী লীগ)

সুনামগঞ্জ-২: ড. জয়া সেন গুপ্তা (স্বতন্ত্র)

সুনামগঞ্জ-৩: এম এ মান্নান (আওয়ামী লীগ)

সুনামগঞ্জ-৪: মোহাম্মদ সাদিক (আওয়ামী লীগ)

সুনামগঞ্জ-৫: মহিবুর রহমান মানিক (আওয়ামী লীগ)

হবিগঞ্জ-১: আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (স্বতন্ত্র)

হবিগঞ্জ-২: ময়েজ উদ্দিন শরীফ (আওয়ামী লীগ)

হবিগঞ্জ-৩: আবু জাহির (আওয়ামী লীগ)

হবিগঞ্জ-৪: ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (স্বতন্ত্র)

মৌলভীবাজার-১: মো. শাহাব উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)

মৌলভীবাজার-২: শফিউল আলম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

মৌলভীবাজার-৩: মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

মৌলভীবাজার-৪: উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ (আওয়ামী লীগ)

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ-১: মাহমুদুল হক সায়েম (স্বতন্ত্র)

ময়মনসিংহ-২: শরীফ আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

ময়মনসিংহ-৪: মো. মোহিত উর রহমান (আওয়ামী লীগ)

ময়মনসিংহ-৫: মো. নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)

ময়মনসিংহ-৬: মো. আবদুল মালেক সরকার (স্বতন্ত্র)

ময়মনসিংহ-৭: এ বি এম আনিছুজ্জামান (স্বতন্ত্র)

ময়মনসিংহ-৮: মাহমুদ হাসান সুমন (স্বতন্ত্র)

ময়মনসিংহ-৯: আবদুস সালাম (আওয়ামী লীগ)

ময়মনসিংহ-১০: ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল (আওয়ামী লীগ)

ময়মনসিংহ-১১: মো. আব্দুল ওয়াহেদ (স্বতন্ত্র)

নেত্রকোণা-১: মোশতাক আহমেদ রুহী (আওয়ামী লীগ)

নেত্রকোণা-২: মো. আশরাফ আলী খান খসরু (আওয়ামী লীগ)

নেত্রকোণা-৩: ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু (স্বতন্ত্র)

নেত্রকোণা-৪: সাজ্জাদুল হাসান (আওয়ামী লীগ)

নেত্রকোণা-৫: আহমদ হোসেন (আওয়ামী লীগ)

জামালপুর-১: নূর মোহাম্মদ (আওয়ামী লীগ)

জামালপুর-২: ফরিদুল হক খান (আওয়ামী লীগ)

জামালপুর-৩: মির্জা আজম (আওয়ামী লীগ)

জামালপুর-৪: আবদুর রশীদ (স্বতন্ত্র)

জামালপুর-৫: আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ)

শেরপুর-১: মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু (স্বতন্ত্র)

শেরপুর-২: মতিয়া চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

শেরপুর-৩: এডিএম শহিদুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

রংপুর বিভাগ

রংপুর-১: মো. আসাদুজ্জামান (স্বতন্ত্র)

রংপুর-২: আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

রংপুর-৩: গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জাতীয় পার্টি)

রংপুর-৪: টিপু মুনশি (আওয়ামী লীগ)

রংপুর-৫: মো. জাকির হোসেন সরকার (স্বতন্ত্র)

রংপুর-৬: ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

দিনাজপুর-১: মো. জাকারিয়া (স্বতন্ত্র)

দিনাজপুর-২: খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ

দিনাজপুর-৩: ইকবালুর রহিম (আওয়ামী লীগ)

দিনাজপুর-৪: আবুল হাসান মাহমুদ আলী (আওয়ামী লীগ)

দিনাজপুর-৫: মোস্তাফিজুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

দিনাজপুর-৬: মো. শিবলী সাদিক (আওয়ামী লীগ)

নীলফামারী-১: মো. আফতাব উদ্দিন সরকার (আওয়ামী লীগ)

নীলফামারী-২: আসাদুজ্জামান নূর (আওয়ামী লীগ)

নীলফামারী-৩: মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল (স্বতন্ত্র

নীলফামারী-৪: সিদ্দিকুল আলম (স্বতন্ত্র)

কুড়িগ্রাম-১: এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (জাতীয় পার্টি)

কুড়িগ্রাম-২: মো. হামিদুল হক খন্দকার (স্বতন্ত্র)

কুড়িগ্রাম-৩: সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (আওয়ামী লীগ)

কুড়িগ্রাম-৪: মো. বিপ্লব হাসান (আওয়ামী লীগ)

পঞ্চগড়-১: মো. নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা (আওয়ামী লীগ)

পঞ্চগড়-২: মো. নুরুল ইসলাম সুজন (আওয়ামী লীগ)

লালমনিরহাট-১: মোতাহার হোসেন (আওয়ামী লীগ)

লালমনিরহাট-২: নুরুজ্জামান আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

লালমনিরহাট-৩: অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান (আওয়ামী লীগ)

ঠাকুরগাঁও-১: রমেশ চন্দ্র সেন (আওয়ামী লীগ (আওয়ামী লীগ)

ঠাকুরগাঁও-২: মো. মাজহারুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

ঠাকুরগাঁও-৩: হাফিজ উদ্দিন (জাতীয় পার্টি)

গাইবান্ধা-১: আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (স্বতন্ত্র)

গাইবান্ধা-২: শাহ সারোয়ার কবীর (স্বতন্ত্র)

গাইবান্ধা-৩: উম্মে কুলসুম স্মৃতি (আওয়ামী লীগ)

গাইবান্ধা-৪: মো. আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ)

গাইবান্ধা-৫: মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ)

জয়পুরহাট-১: সামছুল আলম দুদু (আওয়ামী লীগ)

জয়পুরহাট-২: আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (আওয়ামী লীগ)

বিষয়:

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া

বরণে প্রস্তুত বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় লন্ডন থেকে ঢাকা পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে দেশে ফিরবেন তিনি।

আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে দলের আয়োজনের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়ার গুলশান অ্যাভিনিউ বাসভবন পর্যন্ত বিএনপির অভ্যর্থনা কর্মসূচি এবং এর সহযোগী সংগঠন ও নেতাদের অবস্থান নির্ধারণ নিয়েও কথা বলেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (লন্ডন সময়) হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওনা হবে। বিমানে সঙ্গে থাকবেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং তার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং তার মেডিকেল টিমের সদস্যরা।

এটি স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১টা ৩০ মিনিটে দোহায় পৌঁছাবে এবং সেখানে যাত্রাবিরতির পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

বিএনপির পরিকল্পনা অনুসারে, উত্তর বিএনপি থাকবে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত, ছাত্রদল লা মেরিডিয়ান থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত, যুবদল খিলক্ষেত হোটেল রেডিসন পর্যন্ত, দক্ষিণ বিএনপি রেডিসন হোটেল থেকে আর্মি স্টেডিয়াম, স্বেচ্ছাসেবক দল আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত, কৃষক দল বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত, শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন হোটেল পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

এছাড়া, ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, সব পেশাজীবী সংগঠন, মহিলা দল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতা এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা নির্ধারিত রুটে অবস্থান নেবেন।

নেতাকর্মীদের দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার একপাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান রিজভী। তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের মোটরশোভাযাত্রার সাথে হেঁটে বা মোটরবাইকে করে মিছিল করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।

এরআগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে বিমানে তিনি (খালেদা জিয়া) গেছেন, কাতারের রয়েল অ্যাম্বুলেন্স, সেই অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটেই তিনি ফিরে আসবেন। সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। সময়টা নির্ভর করবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। যখনই নিশ্চিত হব, আবার গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেব।’

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডনে যান।

সেখানকার লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি ২৫ জানুয়ারি থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় রয়েছেন।


২০ লাখ কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে, সরবরাহে থাকছে বিশেষ ট্রেন

আপডেটেড ৪ মে, ২০২৫ ১৮:৪০
বাসস

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, এবার ২০ লাখ কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে, কোরবানির পশু আমদানি করা লাগবে না।

তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো এবার কোরবানির পশু সরবরাহের জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে ট্রেন ও নৌপথে পশু সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রাণী কল্যাণ আইন, ২০১৯ মেনে চলতে হবে।

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকল্পে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ রোববার তিনি একথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহার রোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খামারিদের প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যৌথ সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে ৫৩ হাজার ২৬৩টি খামার পরিদর্শন করে খামারিদের স্টেরয়েড/হরমোনের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি জানান, কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ছিনতাইরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পশু পরিবহন নির্বিঘ্ন করতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশ), জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হট লাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। যেকোনো সমস্যা সমাধানে ফোন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছরে কোরবানিযোগ্য হৃষ্ট-পুষ্টকৃত গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া ও ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতিসহ সর্বমোট ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে।

এ বছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশুর উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৩ জন হাসপাতালে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার (৩ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন।

রবিবার (৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ৫৩ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩৯ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬০ দশমিক ০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ০ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ৭০৭ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ নারী।


সোমবার দুপুরের মধ্যে ভিসা আবেদন না করলে হজে যাওয়া অনিশ্চিত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

হজে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সোমবার (৫ মে) দুপুর ১২টার মধ্যে ভিসার আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় হজে যেতে পারবেন না হজযাত্রীরা।

লিড বা সমন্বয়কারী এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসা হয়নি বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) দুপুর বারোটায় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তার বরাত দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব হজযাত্রীর পাসপোর্ট, বায়োমেট্রিক, হোটেল বা বাড়ি ও ফ্লাইটের তথ্য দিয়ে এখনও ভিসার আবেদন দাখিল করা হয়নি, তাদেরকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে ভিসার আবেদন নুসুক মাসার প্লাটফর্মে এ দাখিল করতে হবে।
এরপরে প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্ধ করে দেওয়ার পর আর কোনোভাবেই ভিসার আবেদন দাখিল করা যাবে না। ফলে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যেসব হজযাত্রীর ভিসার আবেদন দাখিল করা হবে না, তারা চলতি বছরে হজে যেতে পারবেন না।

এ কারণে সোমবার দুপুর ১২ টার মধ্যে পাসপোর্ট, বায়োমেট্রিক, হোটেল বা বাড়ি ও ফ্লাইটের তথ্যসহ ভিসার আবেদন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব লিড এজেন্সিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

এতে আরও বলা হয়, হজ এজেন্সির অবহেলার কারণে কোনো হজযাত্রীর ভিসার আবেদন ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে দাখিল করা না হলে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লিড এজেন্সিকেই বহন করতে হবে।

এছাড়া, তাদের অবহেলার কারণে কোন হজযাত্রীর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হলে ওই সমন্বয়কারী এজেন্সি বা লিড এজেন্সির বিরুদ্ধে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১’ ও ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২২’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় ২৯ এপ্রিল এবং শেষ হবে ৩১ মে।

এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজ পালন করবেন।

ইতোমধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২২,২০৩ হজযাত্রী। চলতি বছর হজ পালনের জন্য এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২২ হাজার ২০৩ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। অন্যদিকে দু'জন হজযাত্রী মারা গেছেন।

রোববার (৪ মে) সকালে হজ পোর্টালে প্রকাশিত পবিত্র হজ-২০২৫ প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, সৌদি আরবে যাওয়া সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৪ হাজার ৫৬৪ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১৭ হাজার ৬৩৯ জন। মোট হজ ফ্লাইট সংখ্যা ৫৪টি।

সর্বশেষ ২ মে হজযাত্রী ফরিদুজ্জামান (৫৭)। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো দুজন।


পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার করমর্দনের ছবি, ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৫ ১৮:৪১
বাসস

বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করমর্দনের ছবিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে ড. ইউনূসের করমর্দনের ছবি বলে ভারতীয় মিডিয়ার দাবী বিভ্রান্তিকর।

বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্বে নিয়োজিত রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রিউমার স্ক্যানার কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘গতকাল ৩ মে ভারতীয় গণমাধ্যম আজতক বাংলা এক ভিডিও প্রতিবেদনে একটি ছবি দেখিয়ে দাবি করেছে, ছবিতে ড. ইউনূসের সাথে করমর্দন করা ব্যক্তিরা সেনা আধিকারিক (সেনা কর্মকর্তা)। উপস্থাপক সে সময় দাবি করেন, ‘তবে পোশাক দেখে মনে হচ্ছে না তারা কেউ বাংলাদেশের সেনা। কেননা বাংলাদেশের সেনার পোশাক এইরকম নয়।.. এরা কি তাহলে অন্য কোনো দেশের সেনা আধিকারিক? তাহলে বাংলাদেশে কী করছেন? এরা কি পাকিস্তানি সেনা আধিকারিক?’

ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচার হওয়া বিষয়টি রিউমার স্ক্যানারের নজরে আসলে তার ফ্যাক্টচেক করা হয়।

রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিতে ড. ইউনূসের সাথে করমর্দন করা ব্যক্তিদের কেউই পাকিস্তান বা বাংলাদেশের সেনা কর্মকর্তা নয় বরং এরা সকলেই বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা। প্রকৃতপক্ষে, গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধনের সময়ের ছবি এটি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে গত ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত একই ছবি পাওয়া যায়। জানা যায়, এটি ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫’ এর উদ্বোধন ও পদক অনুষ্ঠানের ছবি। সে সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা) গ্রহণ করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এর অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব মো. ছিবগাত উল্লাহ, পিপিএম।

রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে একইদিনের একাধিক ছবিতেও একই পোশাকে পুলিশ কর্মকর্তাদের দেখা যায়। এমনকি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমকেও একই পোশাকে ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

বিষয়টি নিয়ে আরো জানতে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর রিউমার স্ক্যানারকে জানান, এখানে সকলেই বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য। এটা আমাদের আনুষ্ঠানিক পোশাক যা ‘সামার টিউনিক’ নামে পরিচিত। পুলিশ সপ্তাহে আমরা আনুষ্ঠানিক পোশাক পরে থাকি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যাদের সাথে এখানে করমর্দন করছেন, তারা সকলেই বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা।

ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান টিম জানায়, বাংলাদেশ পুলিশের সাথে ড. ইউনূসের করমর্দনের ছবিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর
সদস্যদের সাথে করমর্দন বলে ভারতীয় মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা রিউমার স্ক্যানারের ফ্যাক্ট চেকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

শুধুমাত্র বিগত এপ্রিল মাসেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানার জানায়, ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে ভূলতথ্য, অপতথ্য, বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার সম্প্রতি বেড়েছে। ফ্যাক্ট চেক করে এসব বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার শনাক্ত করছে রিউমার স্ক্যানার।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড হয়েছে। এখন এটির রক্ষণাবেক্ষণ চলছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আজ সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয় লক্ষ্য করেছে কিছু সময়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে অনুমোদনহীন অপ্রাসঙ্গিক কিছু কনটেন্ট শেয়ার করা হয়েছে। যা মন্ত্রণালয়ের নীতির পরিপন্থী। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে এই ফেসবুক পেজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফেসবুক পেজের কোনো পোস্ট, বার্তা বা কনটেন্টে কেউ যেন বিশ্বাস বা শেয়ার না করে সে বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়।

এদিকে, মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল সরকারি হালনাগাদ তথ্য ও বার্তা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।


প্লট জালিয়াতি: শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে তামিল প্রতিবেদন ১৮ মে

শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাজধানীর পূর্বাচলে দশ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক আজ নতুন এদিন ধার্য করে আদেশ দেন।

এর আগে ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

শেখ হাসিনা ও পুতুল ছাড়াও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া অপর ১৬ আসামি হলেন-জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

রাজধানীর পূর্বাচলে দশ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্ত প্রাপ্তে আরো দুই আসামিসহ শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ১৬ জনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের মালিকানায় ঢাকা শহরে রাজউকের এখতিয়ারাধীন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও সেটি গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা ও আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করে মা শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থাকা অবস্থায় তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করেছেন।

আইনমতে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নং সেক্টরের ২০৩নং রাস্তার ১৭ নম্বর প্লট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্লটের বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রি মূলে প্লট গ্রহণ করেন। প্রতারণামূলক অবৈধ পারিতোষিক দেওয়া ও নেওয়া এবং অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও বেআইনি অনুগ্রহ প্রদর্শনের মাধ্যমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন।


রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রিগোরিভিচ খোজিন।

আজ রোববার সকাল ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এই সাক্ষাতের সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

সাক্ষাতের পরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক, সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা কি কি করতে পারি- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কয়েকটি এরিয়াতে... তাদের তো যথেষ্ট ইন্টারেস্ট রয়েছে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য... বিশেষ করে ট্রেডের বিষয়ে যথেষ্ট ইন্টারেস্ট আছে।’

বিএনপি’র এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের বিস্তর আগ্রহ রয়েছে। কত তাড়াতাড়ি জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন।’

রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, রাশিয়া একটি এনার্জি রিচ কান্ট্রি। এই ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে কি ধরনের সহযোগিতা হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘কালচারালি রাশিয়া অনেক সমৃদ্ধ ঐতিহাসিকভাবে। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে কিভাবে সহযোগিতা হতে পারে- তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’


আত্মহত্যা নয়, খুন হয়েছেন সাগর-রুনি

হত্যায় অংশ নেন ২ জন
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
    # টাস্কফোর্সের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে চ্যানেল২৪ এর তথ্য

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেনি, বরং তারা খুন হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন ২ জন। তবে ডিএনএ অস্পষ্টতায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। টাস্কফোর্সের তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম চ্যানেল২৪।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪ জানায়, টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তদন্তে দাম্পত্য কলহ, চুরি বা পেশাগত কারণে খুনের তথ্য পায়নি টাস্কফোর্স। ভিসেরা রিপোর্টেও চেতনানাশক বা বিষজাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি। রান্নাঘরে থাকা ছুরি ও বঁটি দিয়ে হত্যা করা হয় তাদের। ক্ষত নিয়েও অনেকক্ষণ জীবিত ছিলেন তারা। আগে থেকে বাসায় কেউ ছিল না, আর জোর করে কেউ প্রবেশ করেনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনাস্থলে চারজনের ডিএনএ পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। যাদের মধ্যে দুইজন সাগর-রুনি, তবে অন্য দুজনের ডিএনএ কোনোভাবেই শনাক্ত করতে পারেনি টাস্কফোর্স। তাই হত্যার মোটিভ ও খুনে কারা জড়িত সে বিষয়টি এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করা যায়নি।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতের চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তভার পড়ে টাস্কফোর্সের ওপর। পরে নতুন করে ৭ সাংবাদিকসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে টাস্কফোর্স।

সম্প্রতি জমা দেওয়া সংস্থাটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে খুন হন সাগর-রুনি। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি জানায়, প্রথমে সাগর ও পরে ছুরিকাঘাত করা হয় রুনিকে। হত্যার আগে সন্তান মেঘকে নিয়ে একই খাটে শুয়ে ছিলেন তারা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হত্যায় সাগর বাধা দিতে পারে- এমন ধারণায় তার হাত-পা বাঁধা হয়। রুনি নারী হিসেবে দুর্বল চিন্তা করে তার হাত-পা বাঁধার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি। ‘ব্ল্যাড পেটার্ন’ পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হয়, আগে মারা গেছেন রুনি। আর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে সমীকরণ মিলিয়ে টাস্কফোর্স বলছে, সাগরের মৃত্যু হয়েছে পরে।

গত ২২ এপ্রিল হাইকোর্টে দাখিল করা টাস্কফোর্সের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন (হত্যার রাতের পরদিন সকাল) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। এর আগে গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয়দের পায়ের ছাপে ধ্বংস হয়ে যায় আলামত। তবে রান্নাঘরের বারান্দা সাড়ে ১৪ ইঞ্চি ও সাড়ে ৮ ইঞ্চির ভাঙা অংশটি সম্পূর্ণ নতুন ছিল। তা দিয়ে সহজে মানুষ ঢুকতে ও বের হতে পারে। যদিও সেখানকার পূর্ণাঙ্গ ফুটপ্রিন্ট পাওয়া যায়নি।

এদিকে সিআইডির সঙ্গে ডিএনএ বিশ্লেষণ করে টাস্কফোর্স জানায়, একসঙ্গে দুই বা তিনজনের ডিএনএ থাকলে শনাক্ত করা সম্ভব। সংখ্যায় এর বেশি হলে শনাক্ত করা কঠিন। নমুনায় ৫ থেকে ৬ জনের ডিএনএ থাকায় তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে রুনির অফিসিয়াল নথি ঘেঁটেও তার সঙ্গে কারও শত্রুতার প্রমাণ পায়নি টাস্কফোর্স। আলোচিত বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড নিয়ে রিপোর্টের জেরে এ হত্যারও কোনো তথ্য মেলেনি। সাগরের মালিকানাধীন এনার্জি বাংলা ডটকমে কোনো সংবাদের জেরে, পেশাগত কারণেও এই হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র মেলেনি।

এ ছাড়া পারিবারিক কলহের কারণে একজনকে হত্যার পর অন্যজনের আত্মহত্যার তথ্য-প্রমাণও পায়নি টাস্কফোর্স। ক্রাইমসিন পর্যালোচনা, আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে টাস্কফোর্স জানিয়েছে, দুজনকেই হত্যা করা হয়েছে, আত্মহত্যার প্রমাণ মেলেনি।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ওই সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে কর্মরত ছিলেন সাগর। আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।


পানি দূষণে শীর্ষে পোশাক কারখানা, দ্বিতীয় চামড়া শিল্প

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পানি দূষণের কারণ খুঁজতে গিয়ে শিল্প খাতগুলোর মধ্যে পোশাক খাতের দায় সবচেয়ে বেশি বলে একটি অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে। এরপরে পানি দূষণে দ্বিতীয় দায় দেখা হচ্ছে চামড়া শিল্পের। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে পিফাস (পিএফএএস) দূষণ ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় উত্থাপিত এক গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ৬৭ ভাগ পানি দূষণের ঘটনা ঘটে পোশাক কারখানাগুলো শিল্পবর্জ্যে। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের সাধাণ মানুষেরা এই দূষিত পানি পান করেন। এই দূষিত পানি চাষের কাজেও ব্যবহৃত হয়। ফলে তা উৎপাদিত সবজি, ফল ও ফসলের মাধ্যমে প্রবেশ করছে মানবদেহে যা জনস্বাস্থ্যকে মারাত্মক হুমকিতে ফেলেছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওই সেমিনারে এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সম্ভাব্য করণীয়গুলোও জানান বক্তারা। তারা জানান, এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্তর্জাতিক পিফাস নিষিদ্ধকরণ নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ। সভায় বাংলাদেশে পিফাস দূষণের ওপর অবস্থানপত্র উত্থাপন করেন সিনিয়র ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্টিভিস্ট শাহিদ হাসান।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিউবার্ট বোম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)র সহ-আহ্বায়ক এমএস সিদ্দিকী, ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের অ্যাডভোকেসি পরিচালক জ্যাকি এসপোসিটো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সাইপ্রেস সিসটেম আইএনসির চিফ টেকনোলজি অফিসার ড. জাকি ইউসুফ, ইএসডিওর প্রোগ্রাম উপদেষ্টা অটল কুমার মজুমদার, থ্রি ফিফটি ডট অর্গর দক্ষিণ এশিয়া মোবিলাইজেশন সমন্বয়ক আমানুল্লাহ পরাগ, রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক ডিজি মো. সাজিদুর রহমান সরদার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মো. মাতলুবুর রহমান, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মো. এ. হান্নান, সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মানবাধিকার কর্মী জাকিয়া শিশির, নোঙর-এর চেয়ারম্যান সুমন শামস প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ বলেন, পিফাস দূষণে আমরা জর্জরিত। একসময় আর্সেনিক নিয়ে গবেষণা হয়েছে, আমরা আন্দোলন করেছি। এখনো আমাদের দেশের মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে। ভূ-পৃষ্ঠের পানি রক্ষা সরকারের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু আমাদের নীতিগুলোর অকার্যকারিতা, দূরদৃষ্টির অভাব রয়েছে। আজ যে পানি আমরা পান করছি সেটা দূষিত। আমরা যে কত সংকটের মধ্যে রয়েছি তা বুঝতেই পারছি না। তিনি বলেন, বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের মাধ্যমেই এই সভ্যতা গড়ে উঠেছে। পরিবেশ ধ্বংস হলে মানুষ সুরক্ষিত থাকে না। পরিবেশ দূষণকে গুরুত্বের জায়গাতে নিয়ে আসতে হবে।

শারমিন মুরশিদ বলেন, বাংলাদেশ দরিদ্র নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত। রাষ্ট্রপর্যায়ের দুর্নীতি দেশদ্রোহিতার শামিল, কারণ এটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেয়। আজ যে দেশ আমরা হাতে পেয়েছি, সেটাকে কয়েক মাসের মধ্যে ফেরেশতা এলেও ঠিক করতে পারবে না। তারপরও এটিকে একটা জায়গায় এনে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কারমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে গেছে, ১৫শ ছেলেমেয়ে মারা গেছে। এটা কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। আমরা চাই না রাজনৈতিক দলগুলো আবার পুরোনো ধারায় ফিরে যাক। আমরা চাই তারা নিজেদের সংস্কার করুক এবং আমাদের পাশে দাঁড়াক। তারা আর আমরা আলাদা নই, আমাদের সবাইকে মিলে সংস্কার করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা খুবই দূষিত পরিবেশের মধ্যে বসবাস করছি। পরিবেশ ধ্বংস হয়ে গেলে মানুষের সুরক্ষা থাকে না। রাজনৈতিক দলগুলো যদি আমাদের পাশে না আসে, আমরা একা সামাল দিতে পারব না। আমরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছি। চলুন সবাই মিলে নদী রক্ষা করি, পিএফএস দূষণ থেকে আমাদের নদী ও মানুষকে বাঁচাই।

গার্মেন্টস খাত নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখনও এই খাতটিকে সুশাসনের আওতায় আনতে পারিনি। যারা শ্রমিককে অতিরিক্ত ৫ টাকা দিতে চায় না, তারা কীভাবে নদী রক্ষা করবে? আমাদের দেশে, বড় হোক বা ছোট, সব জায়গাতেই ধ্বংসাত্মক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চর্চা দেখতে পাই। এই নীতি আমরা ৫৪ বছর ধরে লালন করছি।

উপদেষ্টা বলেন, সঠিক নীতিমালা তৈরির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন এই সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সময় সীমিত। আপনারা যারা পরিবেশ আন্দোলনে আছেন, দ্রুত কাজ শুরু করুন। এই সরকারের দরজা আপনাদের জন্য সবসময় খোলা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের হিউবার্ট বোম বলেন, দ্রুত শিল্পায়ন উচ্চ পর্যায়ে পিফাস দূষণে ভূমিকা রাখছে। এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যাও। সরকারকে অবশ্যই এই দূষণ বন্ধে কাজ করতে হবে। কেমিক্যাল আমদানির রেজিস্ট্রেশন মনিটরিং করতে হবে। পিফাস দূষণকে আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যক্তিখাতের টেক্সটাইল এবং প্রসাধনী শিল্পকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছে। এর দূষণ মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা দেখতে হবে। যারা দূষণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। সবুজ শিল্পায়ন উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সুশাসনের প্রয়োজন রয়েছে। বিএনপির ৩১ দফায় পরিবেশ বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পরিবেশ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য বিষয়টাকে চিকিৎসায় নামিয়ে আনা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য যখন চিকিৎসায় নেমে আসে তখন সেটা বাণিজ্যে রূপান্তরিত হয়। এখন ব্যবসা করতে গেলে শ্রমিক এবং পরিবেশের মানদণ্ড মেনে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ এখন একটা পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যায়ে যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা না করা হয় তাহলে ধসে পড়বে। পরিবেশ এখন আর কল্পনার ব্যাপার না। তাই বিদেশিদের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। নিজেদের স্বক্ষমতা তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের সম্পদের সীমাবদ্ধতাকে বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে।

শরীফ জামিল বলেন, শিল্পবর্জ্য থেকে নিঃসৃত পিফাস আমাদের পানি ও ভূমিকে মারাত্মকভাবে দূষণ করছে। এটি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য একটি গুরুতর হুমকি, যা জনসাধারণের অজানা থেকে যায় এবং যথাযথ নিয়ন্ত্রণের আওতায় আসে না। আমাদের জলাশয়গুলোতে পিফাসের দূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়, যা এখনো সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে গুরুত্ব পায়নি। দূষণ মোকাবেলায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে সক্রিয় করতে হবে।


সংবিধানে পশ্চিমা নারীবাদী ও বহুত্ববাদের দর্শন মানুষ মানবে না

# মহাসমাবেশে নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি হেফাজতের
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
    # ১২ দফা দাবি # ৩ মাসের মধ্যে বিভিাগীয় সম্মেলনের ডাক

সংস্কারের নামে সংবিধানে পশ্চিমা ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী নারীবাদী ও বহুত্ববাদের দর্শনকে বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইসলামপন্থি অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

এর বদলে নারীদের অধিকার আদায় ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসলাম সমর্থিত নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।

গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত মহাসমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় বলা হয়, নারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে আগামী মাসগুলোতে হেফাজতে ইসলাম মাঠে থাকবে।

এর আগে সকাল ৯টায় হেফাজতের আমির মাওলানা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন শাপলা চত্বরের শহীদ ইউনূস মোল্লার বাবা মো. নাজিম উদ্দিন।

মহাসমাবেশে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ ১২ দফা ঘোষণাপত্র দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন সংগঠনটির নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক।

ঘোষণাপত্রের প্রথম দফাতে নারী সংস্কার কমিশন ও প্রতিবেদন বাতিলের পাশাপাশি আলেম ও নারী প্রতিনিধি নিয়ে নতুন কমিশন গঠনের দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন ও বহুত্ববাদ বাদ দিতে হবে। শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যনালের গতি আনতে হবে, নির্বাচনের আগে বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিচার ও তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। চট্টগ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদের হাতে নিহত সাইফুলের হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনার আমলে দায়ের করা সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও যারা গুম-খুন করেছে তাদের বিচার করতে হবে। গাজায় হামলা নিয়ে সরকারের অবস্থান ও ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাইমারি থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। মানবিক করিডোরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে ভিনদেশিদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানায় হেফাজত।

হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করি। আজও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মতো আবারও ইস্পাতকঠিন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি- এনজিও গোষ্ঠীর প্ররোচনায় ইসলামবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অবিলম্বে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে ধর্মীয় অবমাননা শাস্তির আইন বাতিলের সুপারিশ বাতিল করতে হবে। ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

মহাসমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হুঁশিয়ারি দেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। তারা বলেন, হাসিনার মতো ভুল না করবেন না। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো নীতি বাস্তবায়ন করার সাহস করবেন না। অবিলম্বে প্রতিবেদনসহ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ঘোষণা করুন। শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করুন।

বাক-স্বাধীনতার নামে ইসলামের বিরোধিতা করলে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে মাওলানা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করে এবং মানবিক করিডোরের নামে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, নারীবিষয়ক বিতর্কিত সংস্কার কমিশন গঠন করে আমাদের দৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করা হচ্ছে, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিক্রির সওদাবাজি হচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে।

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে এটা আমাদের প্রথম ঘোষণা। যদি দাবি মানা না হয় তাহলে আমরা পরবর্তীতে আরও কঠিন ঘোষণা করব। আপনাদের বিরুদ্ধে আমাদের নামার ব্যবস্থা করবেন না। যদি জাতি নেমে যায়, হেফাজত নেমে যায় তাহলে কোনো উপদেষ্টা এদেশে থাকতে পারবে না।

হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম থাকলে আমরা থাকব। আল্লাহু আকবর বলে গণ-অভ্যুত্থান হওয়া নতুন বাংলাদেশে ইসলামের জন্য মাঠে নামতে হবে, এটা ভাবিনি। দেশে ইসলামবিরোধী কিছু করতে হলে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব দেশের আপামর মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। সংস্কারের নামে সংবিধানে পশ্চিমা ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী নারীবাদী ও বহুত্ববাদের দর্শনকে বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না।

পরে নারীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ও হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর মুনাজাতের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করে হেফাজতে ইসলাম।

নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রত্যেক বিভাগে সম্মেলন ও ২৩ মে বাদ জুমা সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে সংগঠনটি। হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৩ মে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।


কাতার আমিরের এয়ার এম্বুলেন্সে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

বিএনপি’র চেয়ারপারর্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ বিমানে নয়, কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ফিরবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারর্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বেগম জিয়া আগামী ৫ মে লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। বেগম খলেদা জিয়া সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমানও আসবেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'ম্যাডাম খালেদা জিয়া লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা নিয়েছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে দেশনেত্রী এখন আগের চাইতে অনেক সুস্থ বোধ করছেন। সে কারণে তিনি এখন দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'

বিএনপির মহাসচিব বলেন, 'আমরা আশা করছি আগামী ৫ মে বেগম খালেদা জিয়া একটি বিশেষ বিমানে, আমরা যেটা আশা করছিলাম যে বিমানে তিনি গেছেন; অর্থাৎ কাতারের রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরে আসবেন। '

তিনি বলেন, 'সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ এই সময়টা নির্ভর করবে বিভিন্ন দেশের উপরে। এটা আমরা যখনই নিশ্চিত হব, আমরা আবার গণমাধ্যমের মাধ্যমে সে তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেব।'

নেতাকর্মী ও দেশের সাধারণ মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেত্রী দেশে ফিরে আসবেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মধ্যে আবেগ আছে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষ অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত-উজ্জীবিত যে তাদের প্রিয় নেত্রী দেশে ফিরে আসবেন। তাকে অভ্যর্থনা জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধু বিএনপি নয়, সারা দেশের মানুষ তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, তারা অত্যন্ত শৃঙ্খলা সহকারে রাস্তার দুই ধারে কোনো যানজট যেনো সৃষ্টি না করে এই মহান নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। আমরা পরামর্শ দিয়েছি এক হাতে জাতীয় পতাকা, আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাবো।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সবার কাছে আহ্বান থাকবে তিনি আসার পরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পথটিতে যেনো তারা যাওয়ার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে কাকলি পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েতে যেন তারা অবস্থান নেন। নিচের সড়ক বাদ দিয়ে। আমার বিশ্বাস জনগণ আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন এবং তাদের নেতৃকে অভ্যর্থনে জানাবেন।'

বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এশিয়া মহাদেশের নারী নেত্রীদের মধ্যে যে দুই একজন সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন গণতন্ত্রের জন্য এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন, কারা নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে বিশেষ করে ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত করেননি।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে তার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা করেন তখন তার দুই শিশু পুত্রের হাত ধরে ঢাকায় চলে এসেছিলেন। ঢাকায় এসেই তিনি পাক সেনাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস পাক সেনানিবাসে বন্দী ছিলেন। এই মহীয়সী অকুতোভয় নেত্রী যিনি স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কখনোই আপোষ করেননি, যিনি গণতন্ত্রের প্রশ্ন কখনোই আপোষ করেননি সেই নেত্রী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় বাংলাদেশের চিকিৎসা করেন।

পরবর্তীকালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তিনি যুক্তরাজ্য গিয়ে চিকিৎসা নেন। তার মত এমন ত্যাগ স্বীকার করা নারী নেত্রী চোখে পড়েনি। তিনি আমাদের কাছে শুধু প্রিয়ই নন, তিনি আমাদের বড় সম্পদ।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের কাছে তাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে, তিনি ছিলেন আমাদের আলোকবর্তিকা। যাকে সামনে রেখে আমরা সব সময় লড়াই সংগ্রাম করি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমিনুল হক ও বিএনপি চেয়ারপার্সন একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, নিরাপত্তা সমন্নয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সামছুল রহমানসহ অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ


যৌথবাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে আটক ২৫৯

বরিশাল অঞ্চলে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে 'ইন এইড টু দি সিভিল পাওয়ার' এর আওতায় ৭ পদাতিক ডিভিশনের মোতায়েনরত সেনাসদস্যগণ দায়িত্ব পালন করেন। ছবি: আইএসপিআর
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে যৌথবাহিনীর অভিযানে গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৭দিনে ২৫৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এত বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃখঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সব অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, ধর্ষক, প্রতারণাকারী, চোরাকারবারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত এবং দালালচক্রের সদস্যসহ মোট ২৫৯ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অপরাধীদের কাছ থেকে ১১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৪টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, হাত বোমা, ককটেল, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মোটরসাইকেল, চোরাই মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, অবৈধ অষুধ ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটকদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও, দেশব্যাপী জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। শিল্পাঞ্চলে বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে চলমান অস্থিরতা প্রশমনে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে গঠনমূলক মতবিনিময় ও সমঝোতার ব্যবস্থা করে সেনাবাহিনী।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।


banner close