আগামীকাল শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রথমে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে তিনি সেখানে আরেকবার শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
সকাল ১১টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধািনমন্ত্রী ও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১১জানুয়ারী) রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়৷
ধর্ম উপদেষ্টা আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন থানা-পুলিশ ছিল না। ঢাকায় শিক্ষার্থীদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একদিনে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তবে বহুগুণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হয়েছে, অর্থনীতিও ভালো হয়েছে। আমরা আশা করি একটি সুন্দর নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে করতে পারব। এভাবে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি আছে, আমাদেরও আন্তরিকতার অভাব নেই। তিনি
আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকার জামিয়া দারুল আরকাম মাদরাসায় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে আলেম-ওলামাদের অবদান সোনার অক্ষরে লেখার মতো। বাংলাদেশে যখনই বিপদ-দুর্যোগ এসেছে, আলেম-ওলামারা জনগণের সঙ্গে মিলে ময়দানে থেকেছেন এবং তারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময়েও শত শত মাদরাসাছাত্র আহত হয়েছে, শাহাদাৎ বরণ করেছে। আগামী দিনেও আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আলেম-ওলামা, মাদরাসাছাত্র-শিক্ষক প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছেন।
এ সময় ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, জেলা হেফাজতে ইসলামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের নারীদের ক্ষমতায়ন ও সুযোগ সম্প্রসারণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, রাজনীতির ময়দান থেকে নির্বাচনী মাঠে নারীর জন্য প্রতিবন্ধকতাগুলো কমাতে হবে। তিনি ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত নারী প্রার্থীদের জন্য সরকারি তহবিল বিষয়ক ঐতিহাসিক পলিসি ডায়ালগের খসড়া অর্ডিন্যান্সটি স্বাগত জানান এবং সংলাপে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের মতামতের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সংলাপ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও জাতীয় নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার সংস্কারে সব রাজনৈতিক দলের একসাথে এগিয়ে আসার অঙ্গীকার বহিঃপ্রকাশ।
উপদেষ্টা রোববার (১০ আগষ্ট) ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই), ইউকেএইড এর অর্থায়নে B-SPACE প্রকল্পের আওতায় Election Campaign Funding (Woman Candidates) Ordinance' বিষয়ে পলিসি ডায়লগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, নির্বাচন কমিশন, নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য, কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামীর সদস্য, জুলাই কন্যা , মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সংলাপে প্রস্তাবিত Election Campaign Funding
(Women Candidates) Ordinance বিষয়ে আলোচনা করা হয় একই সঙ্গে নারী প্রার্থীদের জন্য লিঙ্গ সংবেদনশীল সরকারি তহবিল কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সহজ আবেদন প্রক্রিয়া এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থারও প্রস্তাব করা হয়। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর মূখ্য পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল আলীম খসড়া অর্ডিন্যান্স উপস্থাপনা এবং এর প্রত্যাশিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন।
বক্তারা সবাই একমত পোষণ করেন যে, এই উদ্যোগ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থাপনাটি সমর্থন জানিয়ে এর বিষয়বস্তু পরিমার্জন ও পাশের পর দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। নির্বাচন কমিশনও নিশ্চিত করেন যে এটি গৃহীত হলে তা বাস্তবায়নের জন্য তারা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অফ পার্টি (COP) ক্যাথরিন সিসিল বলেন, আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, সরকারি তহবিল নারীদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে। বর্তমানে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপট পুনর্গঠনের একটি যুগান্তকারী সুযোগ রয়েছে। সুতরাং সরকারি তহবিল নারীদের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিগগীরই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারবে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। দ্রুত এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হবে যা পরবর্তীসময়ে মিডিয়ায় জানিয়ে দেয়া হবে।
তিনি এ সময় জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আনুমানিক ৭শ’ অস্ত্র উদ্ধার এখনো বাকি রয়েছে।
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জাতি হিসেবে আমরা খুব অসহিষ্ণু হয়ে গেছি।৷ আগে সমাজে কোন খারাপ কাজ ঘটলে লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়তো সেটা প্রতিহত করার জন্য৷ কিন্তু আজকাল সেটা খুব কমে গেছে।৷ অপরাধ প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি আরো বলেন, সবসময় সবজায়গায় তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকেন না৷ সে সময় উপস্থিত জনতারই প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা উচিত। উপদেষ্টা এসময় গাজীপুরের ঘটনায় জড়িতদের বেশিরভাগকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান।
নিউমার্কেট থেকে ১১শ’ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এসব অস্ত্র যারা তৈরি করেন, তাদেরকে আরো সর্তক হতে হবে। তারা জানে- কারা এসব ব্যবহার করছে। যারা এগুলো করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সর্বোপরি জনগণ। আশা করি, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
উপদেষ্টা এসময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ একজন বাড়তি আনসার সদস্য (গানম্যান) নিয়োজিত থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের যেকোনো মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় হামলা চালালে বা ধ্বংসের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ (রোববার, ১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মাজারে কিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার রিপোর্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে। আমি আন্তঃমন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য। এসব বিষয় প্রতিমাসে আলোচনায় আসে। প্রতিটি মাজার ও মসজিদ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, সিসি ক্যামেরা বসান।
এতে হামলাকারী চিহ্নিত করা সহজ হবে। সামাজিক সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি মাজারে পুলিশ মোতায়েন সম্ভব নয়, তাই সর্বস্তরের মানুষকে এসব ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তায় অংশ নিতে হবে।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং কিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তারও হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে।’
পাগলা মসজিদের ফাণ্ডে ৯০ কোটি টাকারও বেশি রয়েছে জানিয়ে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, খুব শিগগিরই দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদের ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে। আধুনিক তুরস্কে বসফরাস প্রণালীর পাশে যে মসজিদগুলো আছে, দৃষ্টিনন্দন, মাল্টিপারপাস সেটির আদলে পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। ১০ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে বহুমুখী কাজ সম্পন্ন করা হবে। অনাথ-এতিমদের জন্য লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা হবে। ধর্মীয় শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, আইটি সেকশন থাকবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের মধ্যেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পাগলা মসজিদের ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এফডিআর হিসেবে রাখা আছে, যা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ গরিব, অসহায়, অনাথ ও অসুস্থদের জন্য ব্যয় করা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আজ আমি প্রস্তাব করেছি—স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরও এই তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হোক। এতে শিক্ষার সুযোগ বাড়বে।’
পাগলা মসজিদ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদসহ মসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ধর্ম উপদেষ্টা। পরে পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স ঘুরে দেখে মোতাওয়াল্লীদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
দুপুরে তিনি আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া কর্তৃক আয়োজিত “ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২০২৫ সালের হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪০ লাখ ৬ হাজার ৯১৬ জন এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৬২ হাজার ৭৬০ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালে ভোটার অন্তর্ভুক্তির হার ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
আখতার আহমেদ জানান, গত ২ মার্চ ভোটারের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। পরবর্তীতে বাদ পড়া ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন। একই সময়ে মৃত ও অযোগ্য ভোটার হিসেবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জনকে। ফলে সম্পূরক তালিকা অনুযায়ী দেশের মোট ভোটার দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে।
তিনি আরও বলেন, সম্পূরক খসড়া তালিকা আজ (রোববার) আমাদের সব অফিসে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা জানাতে হবে এবং প্রাপ্ত সংশোধনী যাচাই করে ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ইসি সচিব জানান, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে আরও একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। নবীন ভোটারদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা না করানোর জন্য নতুন আইনে এই সুযোগ রাখা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এ বছর মোট তিনবার ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে প্রথমটি করা হয়েছে গত ২ মার্চ। দ্বিতীয়টি আগামী ৩১ আগস্ট এবং তৃতীয়টি ৩১ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।
চীনের বিভিন্ন হাসপাতাল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
ইউনান প্রদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান কুনমিং টোংরেন হাসপাতাল ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগীর সফল চিকিৎসা সম্পন্ন করেছে।
গত শুক্রবার কুনমিং টোংরেন হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন লিং বাংলাদেশী সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপকালে জানান, সম্প্রতি একটি বাংলাদেশী পরিবার তাদের কিশোর পুত্রের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে এসেছে।
তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বিশেষ ভিডিও বার্তাও শেয়ার করেন। এতে রোগীর বাবা জানান, তিনি প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে, বিশেষ করে ভারতের মতো দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাননি, আবার কিছু দেশে চিকিৎসার খরচ অত্যন্ত বেশি হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি।
পরে তিনি চীনে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে সন্তুষ্ট হন।
রোগীর বাবা আরও জানান, চিকিৎসা শুরু করার আগে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং পুরো প্রক্রিয়াটি বোঝার পরই পরিবার চিকিৎসার জন্য সম্মত হন।
শেন লিং বলেন, কুনমিং টোংরেন হাসপাতালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক দক্ষ ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। এছাড়া, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হাসপাতাল দোভাষী সেবা প্রদান করে থাকে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দল ৬ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত কুনমিং সফর করে ইউনান প্রদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
শনিবার প্রতিনিধি দলটি দেশে ফিরে এসেছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার শরীরে ধারণ উপযোগী ক্যামেরা (বডি-ওয়্যার ক্যামেরা) সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (৯ আগস্ট) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী এবং ফয়েজ তৈয়ব আহমেদও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে যা সাধারণত ‘বডিক্যাম’ নামে পরিচিত। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই যাতে পুলিশ বাহিনী এসব ক্যামেরার এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারে।’
তিনি জানান, ক্যামেরা সরবরাহের জন্য জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা নির্বাচনের সময় ডিভাইসগুলো তাদের বুকে পরবেন।
এই ক্যামেরাগুলো দ্রুত কিনে হাজার হাজার পুলিশ কর্মীর জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে এ সময় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাতে খরচ যাই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য হলো ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করা।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী আসন্ন ভোটের জন্য একটি নির্বাচনী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনার কথাও জানান।
তার প্রস্তাব অনুসারে, অ্যাপটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ওপর বিশদ তথ্য প্রদান করবে। এর মধ্যে প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট ও অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রস্তাবিত অ্যাপটি দ্রুত চালু করতে এবং দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটি ব্যবহার উপযোগী কিনা, তা নিশ্চিত করতেও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া আজ রোববার প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে কারও তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ মিলবে ১২ দিন। ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এবারের হালনাগাদে ৪৪ লাখের মতো নতুন ভোটার যুক্ত হচ্ছেন।
এদেরই তথ্য খসড়া সম্পূরক তালিকায় প্রকাশ করা হবে রবিবার। উপজেলা কর্মকর্তারা এই তালিকা নির্দিষ্ট স্থানে সাঁটিয়ে দেবেন।
সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যোগ্য ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্তি, মৃত্যুজনিত বা অন্তর্ভুক্তি হওয়ার অযোগ্য ব্যক্তির নাম কর্তন, ভোটার স্থানান্তর এবং কোনো সংশোধন বা ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য দরখাস্ত (ফরম-২, ফরম-১২, ফরম-১৩ ও ফরম-১৪ এর মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হবে) দাখিল করা যাবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত।
দাখিলকৃত দরখাস্তসমূহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসার কর্তৃক নিষ্পত্তির শেষ করা হবে ২৪ আগস্টের মধ্যে।
এরপর অন্যান্য কাজ শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ আগস্ট।
বর্তমানে দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এদিকে যাদের বয়স ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারাও এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।
যুক্তরাজ্যে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর তিনটি কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েছে আর্থিক সংস্থা গ্রান্ট থর্নটনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সংবাদমাধ্যম বিসনাউ গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই তিনটি কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ড। গত ২৯ জুলাই এগুলোর দায়িত্ব নেয় প্রশাসন সংস্থা।
সাধারণত কোনো কোম্পানি ঋণ পরিশোধ বা কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হলে সেগুলো দেউলিয়ার পথে চলে যায়। তখন প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে এগুলো বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের কোম্পানিগুলোতে দুরবস্থা তৈরি হওয়ায় এগুলো প্রশাসন সংস্থার অধীনে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের আবাসন ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির দায়ে তাকে ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযুক্ত করেছে।
বিসনাউ জানিয়েছে, সাইফুজ্জামানের মালিকানাধীন জেটিএস প্রপার্টিস লিমিটেড, রুখমিলা প্রপার্টিস লিমিটেড এবং নিউ ভেঞ্চার্স (লন্ডন) লিমিটেডে গত ২৯ জুলাই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সাইফুজ্জানের যেসব কোম্পানি ইতিমধ্যে প্রশাসকের অধীনে গেছে, সেগুলোর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো এ তিনটি। এগুলোর মধ্যে জেটিএসের সম্পদের পরিমাণ ৭৭ মিলিয়ন। যা অন্য দুটি কোম্পানির চেয়ে বেশি।
তথ্য অনুযায়ী, এ তিনটি ‘আবাসন কোম্পানির’ কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড পাবে। এরমধ্যে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিবিএস সাইফুজ্জামানের জেটিএসের বিভিন্ন প্রপার্টির বিপরীতে ঋণ দিয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে সাইফুজ্জামানের আরও তিনটি কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের তথ্য জানিয়েছিল বিসনাউ। যেগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৯ মিলিয়ন পাউন্ড। মূলত লন্ডনে থাকা ফ্ল্যাট দেখিয়ে এ ধরনের ঋণ নেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে বিসনাউ জানিয়েছিল, চলতি বছরের শুরুতে সাইফুজ্জামানের যেসব কোম্পানিতে প্রশাসক বসানো হয় সেগুলোর সম্পদ বিক্রি করা শুরু করেছে গ্র্যান্ড থর্নটন।
সাবেক আওয়ামী এমপি ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান যুক্তরাজ্যে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি সম্পদ কিনেছিলেন। অথচ মন্ত্রী হিসেবে তিনি নির্দিষ্ট বেতন পেতেন। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা সাইফুজ্জামানের ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করেছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফ বলেছেন, দেশের নদী ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় সরকার ইতোমধ্যে বহুমুখী ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সমুদ্র থেকে টেকসই মাছ আহরণ নিশ্চিত করাই অন্যতম লক্ষ্য।
আজ সকালে মহিপুরে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মৎস্য অধিদপ্তর পটুয়াখালী এবং ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প আয়োজিত 'অবৈধ ট্রলবোটের সরঞ্জামাদি স্বেচ্ছায় অপসারণ ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সুরক্ষা' বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, নদী ভরাট ও দূষণ প্রতিরোধে প্রস্তুতকৃত বিস্তারিত তালিকা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং নদীর খননকাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান থাকবে। এছাড়া, নদী ও সমুদ্রপথে সৃষ্ট ডুবোচর শনাক্তে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে নির্দেশনা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন, অবৈধ ট্রলার ব্যবহার, ছোট আকারের মাছ ধরা এবং নিষিদ্ধ মৌসুমে মাছ আহরণের বিরুদ্ধে সারাবছর অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ কার্যক্রমে প্রশাসন, কোস্টগার্ড, স্থানীয় সরকার ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ তৎপরতা চালু রয়েছে। তিনি আরো বলেন , অবৈধ ট্রলবোট মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা মাছের উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে এবং মাছের স্বল্পতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধ ট্রলবোট বন্ধ করলে সমুদ্রে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মহাপরিচালক বলেন, ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে গভীর সমুদ্র থেকে টুনা মাছ আহরণের জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে এবং বেসরকারি খাতকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, মৎস্যজীবীদের জন্য ভিজিএফ সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের মাছ ধরার সময়সূচি সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “সমন্বিত প্রচেষ্টা, কূটনৈতিক উদ্যোগ এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণে সফলতা অর্জিত হবে।' একসাথে কাজ করলে বাংলাদেশ সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভায় অন্যান্য বক্তারা ভিজিএফ সহায়তা বৃদ্ধি, নদী খনন, ডুবোচর চিহ্নিতকরণ এবং ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
এসময় জেলে প্রতিনিধি সিদ্দিক মাঝি সমুদ্রে অবরোধ চলাকালীন সরকার থেকে প্রাপ্ত সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া এবং বৈরী আবহাওয়াতে জেলেদের সমুদ্র থেকে নিরাপদভাবে সরিয়ে নিতে আধুনিক নৌযান চালু করার দাবি জানান। এসময় জেলেরা দাবি করেন এ মৌসুমে সাগরে পর্যাপ্ত ইলিশসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে অনেক সময় ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আহরণ কমে যাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের পরিচালক মোঃ আলফাজ উদ্দীন শেখের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো: আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন ইমাম হাসান আজাদ, পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জুয়েল রানা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলাম। এসময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মৎস্যজীবীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মতবিনিময় সভার আগে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল মহিপুর মৎস্য আড়ত পরিদর্শন করেন। আজকের এ মতবিনিময় সভার মাধ্যমে অবৈধ ২৮ টি ট্রলবোটের সরঞ্জামাদি স্বেচ্ছায় অপসারণ করা হয়।
"আমরা মেধাবী খুঁজি না, মেধাবী তৈরি করি" এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাগুরা আব্দুল কাদের গণি একাডেমী স্কুলের আয়োজনে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জেলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য কালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন, শুধু শিক্ষকদের নয় সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবককে। নিয়মিত লেখাপড়া করে কিনা, স্কুলে ঠিক মত যায় কিনা এসব খোঁজ অভিভাবক কে নিতে হবে।
সমাবেশে গভর্নিং বডির সভাপতি ফারুকুজ্জামানের সভাপতিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর, ঢাকা মিরপুর গ্রীনফিল্ড স্কুল কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সামছুল আলম, আব্দুল গনি একাডেমীর প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে সাত শতাধিক অভিভাবক, শিক্ষক এবং ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ৬৮টি কারাগারে প্রায় ৭০ হাজার কয়েদি ও হাজতিকে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়ার জন্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নামাজের ব্যবস্থা, নৈতিকতা ভিত্তিক বইপুস্তক ও জায়নামাজ বিতরণসহ নানা কর্মসূচি শুরু করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কারাগারে ভিন্ন ধর্মালম্বী কয়েদিরাও নিজ ধর্মচর্চা ও ধর্মীয় গ্রন্থ অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছেন। অল্প দিনের মধ্যেই প্রথম কিস্তিতে বিপুল সংখ্যক ধর্মীয় বই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হবে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করেছেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আগে কারাগারে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার তেমন কোন উদ্যোগ ছিল না। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই কারাবন্দীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জ কারাগারে ২৫শ’ বন্দি পবিত্র কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করেছেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, কারাগারে বন্দিদের মধ্যে নৈতিকতা ও আদর্শ মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে, যাতে তারা কারাগার থেকে বের হয়ে সুষ্ঠু ও ভালো জীবনযাপন করতে পারে। এ জন্য প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, কারাবন্দিদের মানবাধিকার রক্ষায় সরকার সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। ইসলামি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কারাগারে লাইব্রেরি পরিচালনা ও ধর্ম শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চলছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কারাবন্দিরা যার যার ধর্ম অনুযায়ী শিক্ষা নিলে মনীষীদের জীবন থেকে নৈতিকতা, আদর্শ ও মূল্যবোধ অর্জন করতে পারবে। এজন্য বই বিতরণ ও শিক্ষক নিয়োগ বাড়ানো হবে। বর্তমানে ইসলামি ফাউন্ডেশনের একজন শিক্ষক কারাগারে এ সংক্রান্ত কাজ করছেন। আগামীতে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কারাগারে থাকা সবাই অপরাধী নয়, অনেকেই মিথ্যা মামলায় বন্দি। তাই আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত কাউকে দোষী বলা যায় না। আমরা কারাগারকে প্রকৃত অর্থে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, এ বছর নির্বিঘ্ন হজ পালনের পাশপাশি সাশ্রয় হয়েছে খরচও। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন সরকারি হজযাত্রীরা। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহযোগিতায় এবারের হজ ব্যবস্থা বিশ্বের সেরা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ড. খালিদ বলেন, বাংলাদেশিদের সুষ্ঠুভাবে হজ পালনে মন্ত্রণালয় ছাড়াও ৮৭ হাজার ১শ’ জন হাজীরও অবদান রয়েছে। কারন তারা সৌদি আরবে নিয়ম মেনে হজ পালন করেছেন।
গত এক বছরে ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদ-মাদ্রাসায় অনুদান দিয়েছে। হাজারো মক্তবে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান ছাড়াও ব্যাপক ওয়াকফ সম্পত্তিও উদ্ধার করেছে।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, রাজনৈতিক চাপ না থাকার কারণে সরকারের নিয়ম মেনে সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে যাকাত ফান্ড থেকে অসহায়, দরিদ্র ও অসুস্থদের মধ্যে প্রায় ১১ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য ও অনুদান দেওয়া হয়েছে। ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ৪ হাজার ৬২০ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা অনুদান এবং ৬শ’ জনকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, হাওর এলাকায় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে ইমামদের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর যার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি, নারী ও শিশু নির্যাতন, মানবপাচার, যৌতুক ও বাল্যবিবাহরোধে কাজ চলছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বছর ধর্মীয় উপাসনালয়ের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য ২ হাজার ৯৬৪টি মসজিদে ১৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ১০৪৩টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং ৭৩৩টি ঈদগাহ ও কবরস্থানে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৩০৭টি মন্দিরে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, ৫৭টি শ্মশানে ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ১১২টি প্যাগোডায় ৫৬ লাখ টাকা ও ২৯টি বৌদ্ধ শ্মশানে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২৯টি গীর্জায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১টি সেমিট্রিতে ৫০ লাখ টাকা সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, ৩ হাজার ১৪০ জন দুস্থকে ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
‘নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পটি গত ২৪ মে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। এর আওতায় প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ শিক্ষার্থীকে কুরআন শিক্ষা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ৭৬ হাজার ৬৭০ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন ও শিক্ষিত নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী ও পরিচালনা কমিটির মেয়াদ সংক্রান্ত সেবা ম্যানুয়াল থেকে স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটেড) সিস্টেমে রূপান্তর করার কাজ চলছে। এই সিস্টেম চালু হলে অনলাইনে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে এবং ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য মনিটরিং সহজ হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ শনিবার (৯ আগস্ট) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ডিএসসিসি অঞ্চল-৮ এর ৬৬ নং ওয়ার্ডে পরিচালিত এ অভিযানে কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এঁর উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দা, রেড ক্রিসেন্ট এবং বিডি ক্লিন সদস্যদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মশক নিয়ন্ত্রণে এলাকার নির্মাণাধীন ভবনের জমা পানিতে এডিস মশার লার্ভা আছে কি না তা পরীক্ষা করে ভবন মালিকদের সতর্ক করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এলাকাবাসীকে যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলার জন্য আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা নির্ধারিত জায়গায় ময়লা জমিয়ে রাখবেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সে ময়লা সংগ্রহ করবে। এলাকাবাসী দায়িত্বশীল আচরণ করলে, তার সুফল তারা পাবেন। এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানে, দলমত নির্বিশেষে একটি নাগরিক কমিটি গঠনের কথা বলেন, যার মাধ্যমে এলাকার সমস্যাগুলো আমাদের জানাবেন, সকলে মিলে সেসব সমস্যার সমাধান করব।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম,প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।