মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৪ আশ্বিন ১৪৩২

দেশবাসীকে উন্নত পরিবেশ দিতে কাজ করবো: সাবের হোসেন চৌধুরী

সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ ২৩:১৬

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নানাবিধ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সমস্যা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণকে বাসযোগ্য পরিবেশ ও উন্নত জীবন দিতে কাজ করবো।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়তে কাজ করবো।’

নবনিযুক্ত পরিবেশমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

তিনি ২০২৩ সালের জুন মাসে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত হন এবং বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশ ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন।

তিনি প্রথম ১৯৯৯ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে (বন্দরের দায়িত্বে) এবং পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে (এলজিইডির দায়িত্বে) উপমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন।

একজন আইন প্রণেতা হিসেবে, তিনি রাষ্ট্রীয় নীতির অন্যতম মৌলিক নীতি হিসেবে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের (অনুচ্ছেদ ১৮ক) সুরক্ষা ও উন্নতি সম্পর্কিত বাংলাদেশের সংবিধানে একটি নতুন বিধানের প্রস্তাবের সূচনা করেন।

প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে, তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জেনেভা ভিত্তিক ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ২৮তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইপিইউ-এর বর্তমান সদস্যপদ ১৭৯টি জাতীয় সংসদ নিয়ে গঠিত, যেখানে ৪৫ হাজারেরও বেশি সংসদ সদস্য রয়েছেন যারা সারা বিশ্বে ৬.৫ বিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত, আইপিইউ হল বিশ্বব্যাপী জাতীয় সংসদের সংগঠন এবং বিশ্বব্যাপী সংসদীয় সংলাপ এবং শক্তিশালী সংসদ ও গণতন্ত্র গড়ে তোলার কেন্দ্রবিন্দু।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে, তিনি সংসদ, সরকার, রাজনৈতিক দল এবং ক্রীড়া প্রশাসনে বিভিন্ন ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, ঢাকা বিভাগের দায়িত্বশীল এবং এই সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে, তিনি সফলভাবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণ সদস্য/টেস্ট মর্যাদায় উন্নীত করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত হয় এবং বিশ্ব ক্রিকেটে তার সেবার জন্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে এমসিসির সম্মানসূচক আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়।

তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের একজন স্নাতক এবং বারে প্রবেশের জন্য একাডেমিক পর্যায় শেষ করে ইউনাইটেড কিংডমের ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও রাজনীতিতে যৌথ সম্মান ডিগ্রির পাশাপাশি আইনে ডিপ্লোমা করেছেন।


আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতার ওপর ৩ লাখ গুলি ছোড়ে পুলিশ

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দেওয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন তদন্ত কর্মকর্তা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জুলাই আন্দোলনের সময় সারা দেশে পুলিশ মোট তিন লাখ ৫ হাজার ৩১১ রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল। মধ্যে ৯৫ হাজার ৩১৩ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় ঢাকা মহানগরে।
গতকাল সোমবার জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫৪তম সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এ তথ্য উপস্থাপন করেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দেওয়া ২১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য তুলে ধরেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সময় আদালতে উপস্থিতি ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম, তানভীর হাসান জোহা ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, আন্দোলন দমনের জন্য সারাদেশে ওই সরকার যে হিসাব করেছিলেন তিন লাখ ৫ হাজারের বেশি রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৯৫ হাজারের বেশি রাউন্ড গুলি ঢাকা মহানগরে।
এর আগে শনিবার প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, শেখ হাসিনার মামলার সর্বশেষ ও ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন। তার জবানবন্দির অংশবিশেষ ও জব্দকৃত ভিডিও প্রদর্শনী সরাসরি সম্পচার করা হবে।
গত বুধবার ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এ মামলার বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা।
তিনি জানান, শেখ হাসিনার ফোনালাপের ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং ৩টি মোবাইল নম্বরের সিডিআর জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ফোনালাপ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ ৫৩তম সাক্ষী উপস্থাপনের সময় বাজিয়ে শোনানো হয়েছে। যেটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার এই চারটির ফোনালাপের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও তার আত্মীয় শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে একটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দুটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামালের একটি ফোনালাপ রয়েছে।
এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপপরিচালক মো. আলমগীর। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।
গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।


সৈয়দপুর বিমানবন্দর, নীলফামারীতে গণশুনানি আয়োজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ০২ জুলাই ২০২৫ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থায় মাসিক ভিত্তিতে গণশুনানি আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃক সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার দুপুর ০২:১৫ ঘটিকায় গণশুনানির আয়োজন করা হয়।

এই গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব এস এম লাবলুর রহমান (S M Lablur Rahman)। গণশুনানিতে সম্মানিত যাত্রীসাধারণ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, এয়ারলাইন্স প্রতিনিধিসহ সকল স্টেকহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন।

যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে আগ্রহী যাত্রীসাধারণসহ উপস্থিত সকলের কাছ থেকে পরামর্শ/মতামত ও ভবিষ্যৎ সেবার মান উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। মতামত প্রাপ্তির ভিত্তিতে যেসকল সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানযোগ্য তা সমাধানের জন্য প্রধনি অতিথি বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকে অনুরোধ করেন এবং যে সকল সমস্যাগুলো দীর্ঘমেয়াদি ও নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সেগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সৈয়দপুর হতে ঢাকাগামী বিমানের ভাড়ার অস্বাভাবিক ওঠানামা এবং টিকেট সিন্ডিকেট সমস্যার বিষয়েও আলোচনা হয়।


খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক : জাহাঙ্গীর চৌধুরী

ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীল পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার রাজধানীর রমনায় ডিএমপি’র পাঁচটি থানার ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, খাগড়াছড়িতে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সেখানে আছেন। তিনি বিষয়টি দেখাশোনা করছেন এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে প্রতিবেশী একটি দেশের অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করতে চাই না, তবে পতিত ফ্যাসিস্টদের দল খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে।’

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট দলটি সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যাতে চলমান দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও বাধাহীনভাবে উদযাপন করা না যায়।

দুর্গাপূজা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শুরু হয়েছে। কেউ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে ও পূজা নির্বিঘ্নে আয়োজিত হয়, সেজন্য সবাইকে সহায়তা করতে হবে।

পাহাড়ে আটকে পড়া পর্যটকদের বিষয়ে তিনি বলেন, আটকে পড়া পর্যটকদের অধিকাংশকেই নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিএমপিতে ৫০টি থানা রয়েছে, যার অর্ধেক ভাড়া করা ভবনে আছে। আমরা সমস্ত থানাকে তাদের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করার জন্য কাজ করছি।

খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক অস্থিরতায় তিনজন নিহত এবং পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।


খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি রোধ করতে হবে। তিনি বলেন, একদিকে অনেক মানুষ খাদ্যের অভাবে অনাহারে থাকছে, অন্যদিকে উৎপাদিত বিপুল খাদ্যের একটি বড় অংশ অপচয় হচ্ছে- যা দুঃখজনক।

উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত “Towards Zero Food Waste and Loss: Building a Sustainable Food Value Chain in Bangladesh” -শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ১৯৯৬ সাল থেকে খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছে। তখন খাদ্য প্রাপ্ততা বড় বিষয় ছিল। এখন খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে পুষ্টিও যুক্ত হয়েছে। দেশে বর্তমানে মাছের উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে যেখানে প্রাকৃতিক উৎস থেকে ৬০ শতাংশ ও চাষ থেকে ৪০ শতাংশ আসতো বর্তমানে চাষ থেকে আসছে ৬০ শতাংশ ও প্রাকৃতিক উৎস থেকে ৪০ শতাংশ। আর তাই প্রাকৃতিক মাছ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতের পণ্য পচনশীল হওয়ায় সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ফলে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসসহ নানা খাদ্যপণ্য অপচয়ের শিকার হচ্ছে।

মৎস্য উপদেষ্টা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য খাতে অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ জাল ব্যবহার, লক্ষ্যভিত্তিক মাছ ধরা এবং অপ্রচলিত প্রজাতি বাজারজাতের অভাবে বিপুল পরিমাণ মাছ ফেলে দিতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মাছের বৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে; একসময় ২৬৭ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যেত, এখন তা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি সুরক্ষা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন করেন বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. অ্যান্ডায়ার্স কার্লসেন ( Mr. Anders Karlsen), খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর ডেপুটি প্রতিনিধি মি. দিয়া সানু ( Mr. Dia Sanou), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)-এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. জেসে উড ( Mr. Jsse Wood) । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইয়াসিন।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক সিএসও ইমরান খানের সাক্ষাৎ

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক প্রধান কৌশলগত কর্মকর্তা ইমরান খান সাক্ষাৎ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিনিয়োগকারী ও স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক প্রধান কৌশলগত কর্মকর্তা (সিএসও) ইমরান খান সাক্ষাৎ করেছেন।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার তিনি সাক্ষাৎ করেন। এ সময়ে ইমরান খান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ইমরান খানের বর্তমানের বয়স ৪৮ বছর। তিনি ১৮ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি আলেফ হোল্ডিং-এর বোর্ড চেয়ারম্যান।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল ফিনটেক, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক ব্যবসা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ইমরান খান বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে ইউনূসের আজীবন মিশন তাঁকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে এবং এখনই মাতৃভূমিতে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়।

তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি আপনার কাজের একজন বড় ভক্ত। আপনি আমাদের জাতীয় গর্ব।’

জেপি মরগান ও ক্রেডিট সুইসে বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা ইমরান আলিবাবার রেকর্ড ভাঙা আইপিও-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান। পরবর্তীকালে স্ন্যাপচ্যাটের সিএসও হিসেবে কয়েক মাসের মধ্যেই কোম্পানির মূল্য শূন্য থেকে ৭২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন।

আলোচনায় ইমরান খান জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তাঁর ভাষায়, ‘সময়টি অনুকূল। নিয়ন্ত্রক পরিবেশ এখন আরও সহায়ক হয়েছে।’

তিনি বিশেষভাবে ফিনটেক খাতের দ্রুত বিকাশ নিয়ে আশা প্রকাশ করেন এবং সঠিক সুযোগ তৈরি হলে বিনিয়োগের আশ্বাস দেন। ‘বাংলাদেশ একটি ফ্রন্টিয়ার মার্কেট। এখানে ফিনটেক খাতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিপুল। তরুণ জনগোষ্ঠী বিশাল এবং সুযোগ সীমাহীন।’

ইমরান খান ২০১৮ সালে প্রাইম অ্যাসেট নামে একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা মূলত প্রযুক্তি-নির্ভর রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়া খাতে বিশেষ বিনিয়োগ করে, বিশেষ করে ফিনটেক ক্ষেত্রে। তাঁর পোর্টফোলিওতে পেমেন্টস, ডিজিটাল অবকাঠামোসহ একাধিক খাত রয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস ইমরান খানকে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যেন তিনি নিজে এসে বিনিয়োগ সম্ভাবনা ঘনিষ্ঠভাবে দেখতে পারেন। জবাবে ইমরান খান আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনার কথা জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আপনার মতো রোল মডেল প্রয়োজন। দেশে এখন উদ্দীপনামূলক সময় চলছে—আপনি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন।’

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের প্রতি তাঁদের মোট বিনিয়োগের এক শতাংশ সামাজিক ব্যবসায় ব্যয় করার অথবা সমমনাদের অংশগ্রহণে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন। ইমরান খান এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এতে ভবিষ্যতে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।


৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরা ও বিক্রয় নিষিদ্ধ : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ইলিশের ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য এ বছর ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা আজ দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে "মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫" এবং সারাদেশে ইলিশের প্রাপ্যতা, আহরণ, মূল্য এবং রপ্তানি পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মা ইলিশ রক্ষা করতে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা, বিশেষ করে মৎস্যজীবীদের মতামত অনুযায়ী এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৯ আশ্বিন থেকে ৯ কার্তিক ১৪৩২ (৪ থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ )। আশ্বিনী পূর্ণিমার পূর্বের ৪ দিন এবং অমাবস্যার পরের ৩ দিনকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ২২ দিন এই অভিযান চলবে। প্রজনন মৌসুমের পূর্ণিমা ও অমাবস্যা উভয় সময়ই ডিম পাড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, দুটি পর্যায় অন্তর্ভুক্ত করে সর্বোচ্চ প্রজনন নিশ্চিত করা হয়েছে। এই কর্মসূচি “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫” নামে পরিচিত। অভিযান পরিচালনায় মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীসহ সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অংশগ্রহণ করবে।

জেলেদের জন্য সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ৩৭টি জেলার ১৬৫টি উপজেলার ৬ লাখ ২০ হাজার ১৪০ জেলে পরিবারকে ভিজিএফ (চাল) দেওয়া হবে, পরিবার প্রতি বরাদ্দ থাকবে ২৫ কেজি করে চাল, যা পুরো কার্যক্রমে মোট ১৫ হাজার ৫০৩.৫০ মেট্রিক টন চাল প্রয়োজন হবে। তিনি আরো বলেন, এ অভিযানের সময় জলসীমার বাইরে মাছ ধরা ট্রলারের অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নদীতে এই সময় ড্রেজিং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হবে। একইসাথে সমুদ্র, উপকূল ও মোহনায়ও প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ধরে ইলিশ আহরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, বিএফআরআই'র গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নিষেধাজ্ঞার ফলে ৫২.৫% মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছেড়েছিল। এর ফলে ৪৪.২৫ হাজার কোটি জাটকা/রেণু ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে। এই ডিম থেকে উৎপন্ন রেণু বা পোনা (জাটকা) ভবিষ্যতে পরিপক্ক ইলিশে পরিণত হবে।

ইলিশ আহরণ সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, গত ৫ বছরে ইলিশ আহরণ কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত ইলিশ আহরণ ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি সময়ে সারা দেশের ইলিশের জাটকা ইলিশ আহরণের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর আশা করা হয়েছিল বাজারে ইলিশের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পাবে। তবে মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই ও আগস্ট মাসে ইলিশ আহরণ ২০২৪ সালের তুলনায় যথাক্রমে ৩৩.২০% এবং ৪৭.৩১% কম হয়েছে। এই দুই মাসে মোট আহরণ হয়েছে ৩৫,৯৯৩.৫০ মেট্রিক টন, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ২২,৯৪১.৭৮ মেট্রিক টন (৩৮.৯৩%) কম।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে সম্পন্ন হয়েছিল। ২০১০-১১ সালে ৮,৫৩৮.৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে ৩৫২.৪৯ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানির জন্য অনুমোদনের পরিমাণ ১,৮৭৫ মেট্রিক টন আর প্রকৃত রপ্তানি হয়েছিল ১,৮৭৫ মেট্রিক টন যার রপ্তানি মূল্য ছিল ১৫৪ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছর রপ্তানির জন্য অনুমোদনের পরিমাণ ৪,৬০০ মেট্রিক টন আর প্রকৃত রপ্তানি হয় ১,২১১ মেট্রিক টন যার রপ্তানি মূল্য ১১৩ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানির জন্য অনুমোদনের পরিমাণ ৩,০০০ মেট্রিক টন আর প্রকৃত রপ্তানি হয় ১,৩৭৬ মেট্রিক টন যার রপ্তানি মূল্য ১৪৮ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানির জন্য অনুমোদনের পরিমাণ ৩,৫৫০ মেট্রিক টন আর প্রকৃত রপ্তানি হয় ৬৬৫ মেট্রিক টন যার রপ্তানি মূল্য ৮৫ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানির জন্য অনুমোদনের পরিমাণ ২,৪২০ মেট্রিক টন আর প্রকৃত রপ্তানি হয় ৫৭৪ মেট্রিক টন যার রপ্তানি মূল্য ৬৮ কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রপ্তানির জন্য অনুমোদনের পরিমাণ ১,২০০ মেট্রিক টন -প্রকৃত রপ্তানি চলমান। সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, অনুমোদিত পরিমাণের তুলনায় প্রকৃত রপ্তানি ধীরে ধীরে কমে আসছে।

উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১২.৫০ ডলার (প্রতি ডলার = ১২১.৭২ টাকা)। এ হিসাবে বেনাপল স্হল বন্দর দিয়ে ৮১,৪৩৮ কেজি ইলিশের বাজার মূল্য দাঁড়ায় ১২ কোটি ৩৯ লাখ ৭ হাজার ৯১৭ টাকা। এ ছাড়া, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২২.২৬ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৩৮ লাখ ১৫৪ টাকা।


ভারত বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে খাগড়াছড়িতে অস্থিরতা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একটি মহল খাগড়াছড়ি পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, একটি মহল শান্তিপূর্ণভাবে যাতে দুর্গাপূজা না হয়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। এই মহলই খাগড়াছড়িতে এসব করছে। ভারত বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটছে।

এই ঘটনা যাতে না ঘটে, সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনায় ডিএমপির পাঁচটি থানার ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দাবি, দেশে দুর্গাপূজা যেন উৎসবমুখর না হয়, সে জন্যই খাগড়াছড়িতে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আটকা পড়া পর্যটকদের বেশির ভাগকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পরিস্থিতি এখন সন্তোষজনক।

দেশে ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। এই উৎসবের সময় কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে এবং পূজা যেন নির্বিঘ্নে আয়োজিত হয়, এ জন্য সবাইকে সহায়তা করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কে সেনাবাহিনীর বিবৃতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চালক মামুন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং এর অঙ্গসংগঠনসমূহ সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে তিনজন নিহত ও বহু সাধারণ মানুষ আহত হয়।

গত বছরের এই ঘটনায় এক বছর পূর্তির লগ্নে, ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করে এবং অনুরূপ সহিংসতা পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ইউপিডিএফ-এর সন্দেহভাজন সদস্য শয়ন শীলকে পরদিন সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

তবে শয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরও ইউপিডিএফ-এর অঙ্গসংগঠন পিসিপি’র নেতা উখ্যানু মারমা ‘জুম্ম ছাত্র জনতা’ ব্যানারে সেদিনই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন ডাকে। পরদিন খাগড়াছড়িতে আধাবেলা হরতাল পালন করা হয়। অনলাইনে কিছু ব্লগার ও স্থানীয় দায়িত্বশীলরা বাঙালিদের উদ্দেশ্যে অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়।

২৬ সেপ্টেম্বর ইউপিডিএফ’র প্ররোচনায় এবং সামাজিক মাধ্যমে উস্কানির ফলে খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধ চলাকালে এক পর্যায়ে ইউপিডিএফ কর্মীরা সেনাবাহিনীর উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, ফলে তিন সেনা সদস্য আহত হয়। সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য্য ও মানবিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে।

গতকাল ইউপিডিএফ ও তার অঙ্গসংগঠন আবারো বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে, বাঙালিসহ সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালায়, রাস্তা অবরোধ ও নাশকতা চালায়। খাগড়াছড়ি পৌরসভায় এই সংঘর্ষ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ধৈর্য্য ও কঠোর পরিশ্রম করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ রোববার সকালে ইউপিডিএফ ও অঙ্গসংগঠন গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে উসকে তোলে। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের সাথে বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল ও লাঠি নিয়ে সেনাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৩ অফিসারসহ ১০ সেনা সদস্য আহত হয়। বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং সদস্যরাও আহত হন।

রামসু বাজারের পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যরা অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে সেনা ও সাধারণ মানুষের ওপর প্রায় ১০০-১৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সেনাবাহিনী দ্রুত তাদের ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা এলাকা ত্যাগ করে।

পরবর্তীতে ইউপিডিএফ এর দুষ্কৃতিকারীরা রামসু বাজার ও আশপাশে অগ্নিসংযোগ করে এবং বাঙালিদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চালায়। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সেনাবাহিনী জানায়, ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা ভঙ্গ করার জন্য নারীদের ও স্কুলছাত্রীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করছে। বহিরাগত সশস্ত্র দুষ্কৃতিকারীদের পার্বত্য অঞ্চলে আনার চেষ্টা চলছে।

আজ বিকেলে বিজিবির কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে অস্ত্র জব্দ করে।

গত ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খাগড়াছড়ি ও গুইমারা এলাকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়েছে এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণকে শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানায়। সেনাবাহিনী এই অঞ্চলের অখন্ডতা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।


দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

আপডেটেড ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০১:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এক ভিডিও বার্তায় তারেক রহমান গতকাল রোববার এ শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রতিটি গোষ্ঠী-গোত্র-সম্প্রদায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে যার যার ধর্ম পালন করবে, ধর্মীয় উৎসব পালন করছে, করবে— এটিই বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য।
তিনি বলেন, একজন বাংলাদেশি হিসেবে এর ভেতর দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য এবং ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী, সংশয়বাদী প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পবিত্র হাদিসেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে— ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়; এ ধরনের জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী তার উম্মতদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে এবং নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে, এটিই স্বাভাবিক রীতি। তবে শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের মতো কেউ যাতে কোনোরকম সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো অপচেষ্টা করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক এবং সজাগ থাকার জন্য আমি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারাদেশে উৎসব আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ্য সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন। আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে— ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।
তারেক রহমান বলেন, সবশেষে আমি আবারো আমার এবং আমাদের দল অর্থাৎ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দল বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানাই।


গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ, আমরা এখন খেলব: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে রেমিট্যান্স * দেশ পুনর্গঠনে অংশ নিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে সহযোগিতা এবং সক্রিয় অবদান রাখার জন্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ফলে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন আমরা দেখছি তা এগিয়ে নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
দেশ গঠনে সবার ভূমিকা থাকবে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘দূরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখব এমন হবে না। গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ। আমরা এখন নিজে খেলব।’
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শনিবার ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফররত বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের এই সফরে রাজনৈতিক নেতারা যোগ দেওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘উনারা এ সফরে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে বলে আমাদের আস্থা অনেক বেড়ে গেল।’
প্রধান উপদেষ্টা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি একেবারে নিচে নেমে গিয়েছিল। আপনাদের রেমিট্যান্সই তা বাঁচিয়েছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পেছনে আপনাদের রেমিট্যান্সই মূল চালিকা শক্তি।’
প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশকে নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।
তরুণদের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত তরুণ জনশক্তি রয়েছে। বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তর করে এ মানবসম্পদ কাজে লাগাতে এবং বাংলাদেশকে উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন বাংলাদেশের অংশ। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিনিয়োগ ও ধারণা নিয়ে আসুন।’
তিনি আশ্বাস দেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে।
আঞ্চলিক অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নেপাল, ভুটান ও ভারতের সাত রাজ্য সমুদ্রবন্দরের অভাবে স্থলবেষ্টিত। যদি আমরা তাদের জন্য সমুদ্র উন্মুক্ত করি, সবাই উপকৃত হবে। সুযোগ নিশ্চিত হলে সবাই বাংলাদেশমুখী হবে।’
২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস জানান, ইতোমধ্যে সামুদ্রিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বহু অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার-মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য প্রস্তুত।’ পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের গ্যাস সম্পদ অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন একটি প্রেজেন্টেশন দেন। এতে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন।
তিনি রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।
আশিক চৌধুরী প্রবাসীদের অব্যাহত সহায়তা কামনা এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে ভোটদানের পদ্ধতি বর্ণনা করেন।
এ আয়োজনে ‘ব্রিজিং বর্ডারস: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডায়াস্পোরা এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এটি সঞ্চালনা করেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলসহ তিনজন এতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ‘শেপিং টুমোরো: দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে এনসিপি নেতা তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির এবং জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান অংশ নেন।
এ আয়োজনে ‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা, যা প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা, নির্দেশনা এবং বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
সূত্র: বাসস


খাগড়াছড়ি সহিংসতায় ৩ জনের মৃত্যু

* মেজরসহ ১৩ সেনা সদস্য তিন পুলিশ আহত * হতাহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে গত শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল রোববার সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা।
এদিকে এই ঘটনায় গুইমারায় গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ।
তিনি বলেন, গুইমারায় গুলিতে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের লাশ হাসপাতালে রয়েছে। তবে কার গুলিতে কীভাবে মারা গেছে, বিস্তারিত জানা যায়নি। তিনি আরও বলেন, গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও কয়েকজন আহত হওয়ারও ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মেজরসহ ১৩ সেনা সদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে।
খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাবের গণমাধ্যমকে বলেন, গুইমারা থেকে তিনজন পুরুষের লাশ এসেছে খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালে। তাদের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে গুইমারা থেকে আনা আহত কয়েকজন চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওইদিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এই ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে অবরোধ চলাকালে রোববার দুপুরে গুইমারার একটি বাজারে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়। এ সময় বাজারের পাশে থাকা বসতঘরও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার দুপুর একটায় খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বাজারটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে। বাজারে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে আগুনে বাজারের দোকানপাট জ্বলতে দেখা যায়। বাজারের দোকান মালিকদের অধিকাংশ পাহাড়ি বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল আছে। এর আগে দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অবরোধের সমর্থনকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মংসাজাই মারমা ও কংজরী মারমা জানান, অবরোধের সমর্থনে তারা খাদ্যগুদামের সামনের সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলে তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর গুলি করেন বলে অভিযোগ করেন এই দুজন। তারা বলেন, গুলির পরপরই লোকজন ভয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। এরপর ২০-২৫ জন লোক এসে রামেসু বাজার ও বসতবাড়ি লুটপাট করে এবং যাওয়ার সময় আগুন ধরিয়ে দেন। এসব লোকের সঙ্গে মুখোশ পরা লোকও ছিল। এ সময় দোকানপাট ও বসতবাড়ির সঙ্গে অনেকগুলো মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়ির গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী জানান, অবরোধ নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে ঝামেলা চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও ঝামেলা হয়। এখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন শ্রেণির লোকজনকে নিয়ে রোববার দুপুরে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করে একটা পক্ষ ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি সব জাতিগোষ্ঠীকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানান।
এদিকে খাগড়াছড়ি শহরে গতকাল সকাল থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়। শহরের মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান দেখা গেছে। বাজার ও বাজারের আশপাশে কোনো দোকানপাট খোলেনি। প্রয়োজনীয় কাজে যারা বের হচ্ছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

হতাহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ
খাগড়াছড়িতে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন পাহাড়ি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মেজরসহ ১৩ সেনা সদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে। এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিন জন পাহাড়ি নিহত এবং মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন জন পুলিশ সদস্য এবং আরো অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ মর্মে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
ততক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ করে শান্ত থাকার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।


বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও আইইউটি-ডেভকন জেভি এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে যমুনা সেতুর বর্তমান রেললেনের সঠিক ব্যবহারের জন্য ডেক সংস্কার ও সংশ্লিষ্ট কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশদ নকশা প্রণয়ন এবং ভবিষ্যতে একটি নতুন অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও আইইউটি-ডেভকন জেভি-এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় উভয় পক্ষের মধ্যে মোট ১৪,২৯,৮৫,৪০৫.৪১ (চৌদ্দ কোটি ঊনত্রিশ লক্ষ পঁচাশি হাজার চারশত পাঁচ টাকা একচল্লিশ পয়সা) টাকার আর্থিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সচিব, সেতু বিভাগ ও নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এর পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো: ফেরদাউস এবং আইইউটি-ডেভকন জেভি-এর পক্ষে অধ্যাপক ড. শাকিল মোহাম্মদ রিফাত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইইউটি-ডেভকন জেভি-এর প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তির আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি যমুনা সেতুর ডেকের ওপর অবস্থিত সকল কম্পোনেন্ট পুনর্বিন্যাস করে বর্তমান ৬.৩১৫মিটার প্রশস্তের দুই-লেন একমুখী ট্রাফিক-কে ৭.৩০মিটার প্রশস্তের দুই-লেন একমুখী ট্রাফিক-এ পরিণত করার কাজে কারিগরী পরামর্শ প্রদান করবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমীক্ষা প্রতিবেদন ও নকশা প্রণয়নসহ কাজটি বাস্তবায়নে ঠিকাদার নিয়োগের বিওকিউ, কারিগরী স্পেসিফিকেশনসহ দরপত্র দলিল প্রস্তুত ও নির্মাণ কাজ তদারকিতে সহায়তা গ্রহণ করা হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে জনদুর্ভোগ লাঘবের বিষয়ে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-এর সদয় নির্দেশনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সেতুর বর্তমান রেললেনের ডেক সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক কাজের যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাই করে সেতুর গুরুত্বপূর্ণ অংশটিকে কার্যকর ও নিরাপদ ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হবে। এর ফলে সেতুর ওপর এবং সংযুক্ত এপ্রোচ রোডে বিশেষ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সময় যে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে সচিব আরও বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান ট্র্যাফিকের চাপ এবং পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে উন্নত ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যমুনা নদীর উপর বিদ্যমান সেতুর পাশে একটি নতুন অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করা হবে। এই যাচাইয়ে নতুন সেতুর সম্ভাব্য স্থান, কারিগরি চ্যালেঞ্জ, অর্থনৈতিক প্রভাব এবং পরিবেশগত দিকগুলি নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।


আনোয়ারায় গুদাম নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আনোয়ারা প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আনোয়ারায় ১ হাজার মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি খাদ্যগুদাম আছে আরও ৫শ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আশাকরি আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এ সময় তিনি প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন এবং নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে জোর দেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় আনোয়ারার সদরে নির্মাধীণ ৫০০ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে আসেন তিনি কথা বলেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নতুন খাদ্য গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আনোয়ারা, সাতকানিয়া ও সন্দ্বীপে ৩টি প্রজেক্টে ১০কোটি ৭৪লাখ ৩৩হাজার ৩২টাকায় তিন উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুলাই মাসে।

পরিদর্শনে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম কায়সার আলী,

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ রিয়াদ কামাল রনি, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার, আনোয়ারা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান্নাতুল আকসা উপস্থিত ছিলেন।


banner close