রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৩ আশ্বিন ১৪৩২

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য জরুরি ছিল: এডিবি

ছিবি; বাসস
আপডেটেড
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:২৪
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:০৭

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টরের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তাঁর (শেখ হাসিনা) প্রত্যাবর্তন খুবই প্রয়োজন ছিল।’

আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠককালে তিনি একথা বলেন।

শাখাওয়াত মুন বলেন, ‘এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘এডিবি খুবই খুশি।’

গিনটিং উল্লেখ করেন, এডিবি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। আগামী দিনগুলোতেও আমরা একই সংগে কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে সবসময় প্রস্তুত।’

এ সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি খাত ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, ‘তারা কক্সবাজারে জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চান।’

প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য জেলাগুলোতেও তাদের একই কাজ করার অনুরোধ জানান।

তিনি বাংলাদেশের জন্য এডিবির সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে বলেন, ‘আশা করি আপনারা সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।’

শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক খাতে মূল্য সংযোজন প্রকল্প গ্রহণের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় ক্রমাগত সহায়তা করার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি এডিবিকে গত বছরে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতিতে পৌঁছানোর জন্যও ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা এডিবিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির গ্রাজুয়েশন চ্যালেঞ্জের চাহিদা পূরণে প্রকল্প হাতে নেয়ার অনুরোধ করেন, যেখানে লজিস্টিক অবকাঠামোর উন্নতি এবং পরিষেবা সরবরাহকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকি এবং জলবায়ু জরুরী অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এডিবি’র জলবায়ু অর্থায়নের একটি বড় অংশ পাবে বলে আশা করে।

তিনি ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১’ তে উদ্ভাসিত জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা’ এবং ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ এর সঙ্গে একইসাথে জলবায়ু ফলাফলকে সমর্থন করার জন্য উচ্চমানের জলবায়ু প্রকল্প এবং কর্মসূচিগুলোর একটি পাইপলাইন বিকাশে বাংলাদেশের জন্য তার অনুদান এবং রেয়াতমূলক জলবায়ু অর্থায়ন বাড়াতে এডিবিকে অনুরোধ করেন।’

তিনি এডিবি’র সাম্প্রতিক ৪০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি এডিবিকে অবহিত করেন যে, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য পাইপলাইনে বেশ কয়েকটি বাজেট সহায়তা রয়েছে যার উপর এডিবি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তাদের অনুমোদন নিশ্চিত করতে আগেই আলোচনা শুরু করতে পারে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এডিবি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার খাতগুলিতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে যাতে দেশের প্রবৃদ্ধির গতি বজায় থাকে এবং একটি 'স্মার্ট বাংলাদেশের' ভবিষ্যত রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করা যায়।

তিনি বলেন, “এডিবি তাঁদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে প্রকল্পে অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি যেহেতু উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছে, তাই এটা আকাঙ্খিত যে এডিবি এমন প্রকল্প হাতে নেয়ার জন্য বড় ধরনের সহযোগিতা দেবে যা ডিজিটাল গ্যাপ কমিয়ে দেবে, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা ত্বরান্বিত করবে, উন্নত ও কম কার্বন প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে, সবুজ শক্তি উৎপাদন করবে, জলবায়ু-সহনশীল কৃষির সম্প্রসারণ ঘটাবে, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, স্মার্ট সিটি গড়ে তোলা এবং দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।’

তিনি বলেন, ‘চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাবগুলির সার্বিক এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।’

এই প্রসঙ্গে তিনি আশা করেন যে, এডিবি তার পাইপলাইনে অতিরিক্ত কাউন্টারসাইক্লিক্যাল এবং পলিসি ভিত্তিক ঋণদান (পিবিএল) সহায়তা ব্যবস্থা রাখবে যাতে বাংলাদেশ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অবিলম্বে সেগুলি ব্যবহার করতে পারে।

বর্তমানে এডিবি বাংলাদেশের অর্থনীতির ৭টি প্রধান খাতে ৬১টি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এরমধ্যে পরিবহন, পানি ও শহুরে অবকাঠামো এবং সেবা, জ্বালানি, মানব ও সামাজিক উন্নয়ন, কৃষি, খাদ্য, প্রাকৃতিক ও গ্রামীণ উন্নয়ন, অর্থ, সরকারি খাত ব্যবস্থাপনা এবং শাসন খাত রয়েছে।

অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭৩ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতি এডিবি’র প্রতিশ্রুতি ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে; যার মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৩১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ের মধ্যে, এডিবি এর মোট প্রদেয় ছিল ২৩.২ বিলিয়ন ডলার।


নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক কাজ সম্পন্ন করেছি। এরমধ্যে বিশাল একটা কাজ ভোটার তালিকা, তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শেষ করেছি। নারী ভোটার ব্যবধান কমিয়েছি।

নয়টি আইন আমরা সংশোধন করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়ার, অনেক কিছু এগিয়ে নিয়েছি।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সিইসি আরো বলেন, সংস্কার কমিশনের আলোচনায় অনেক কিছু হয়েছে।

আর যেটুকু গ্যাপ আছে তা আপনারা (সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা) আজ পূরণ করে দেবেন। আইটি সাপোর্ট পোস্টাল ব্যালট অনেক পরীক্ষা করার পরে আমরা তা হাতে নিয়েছি। ভোটে ১০ লাখ মানুষ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। তারা ভোট দিতে পারেন না।

আমরা এবার সবার ভোটের ব্যবস্থা করব। যারা হাজতে আছে, তাদের ভোটের ব্যবস্থা করব। আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিবসহ সংস্থাটির অন্য কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবী প্রতিনিধির ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন।

তারা হলেন— সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান।

অক্টোবরে রাজনৈতিক দল, সাবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সবার সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি।


সিলেটে সাংবাদিককে ‘ডেভিল’ আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সিলেটের গোপালগঞ্জে মব সৃষ্টি করে আব্দুল আহাদ নামে এক সাংবাদিককে ‘ডেভিল’ আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে কাওসার নামে একজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর।

রবিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে সাংবাদিক আহাদের লাঞ্ছিতের ঘটনাটি তুলে ধরেছেন।

‘মব সন্ত্রাসের শিকার সাংবাদিক আহাদ’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে আবু জাফর লিখেন, ‘এবার মব সন্ত্রাসীর কবলে সিলেটের গোলাপগঞ্জের সাংবাদিক আব্দুল আহাদ।

তিনি দীর্ঘদিনের সাংবাদিক। মব সৃষ্টি করে তাকে ডেভিল বলে দীর্ঘ রাস্তা দৌড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। পরে উপায়ান্তর না পেয়ে খাল সাতরিয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন। এই যদি হয় সমাজের মানুষের দ্বারা গণমাধ্যম ও সাংবাদিক নিপীড়নের চিত্র, তাহলে সাংবাদিকরা কোথায় যাবেন? বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনৈতিক দল এবং গণমানুষের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।

দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করা একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকা অপরাধের কিছু নয়। আহাদও তাই করেছেন। এ জন্য কিভাবে তিনি ডেভিল হলেন?’

তিনি পোস্টে আরো উল্লেখ করেন, ‘সন্ত্রাসী যে ছেলেটা মব সৃষ্টি করেছে, তার নাম কাওসার। সে আব্দুল আহাদকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে অনেক জায়গা দৌড়ে নিয়ে গেছে।

তাকে নিয়ে নানা কটূক্তি করেছে পাশাপাশি ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে মব সৃষ্টিকারী তার প্রমাণ নিজেই দিয়েছে! মব সন্ত্রাসীর পশুতুল্য আক্রমণে আহাদের এমন অবস্থা হয়েছিল সে দৌড়ে গিয়ে ধানক্ষেত কিংবা পানিতে আশ্রয় নিতে চাইলেও পুলিশ তার চারিদিক ঘিরে ফেলেছে এই ভয় দেখিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আহত এবং লাঞ্ছিত করে।

ছবিটি মব সন্ত্রাসের শিকার সংবাদকর্মী আহাদের। তার অসহায়ত্বের ভিডিওগুলো প্রতিটি বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেবে। আহাদের অসহায়ত্ব যারা দেখেছেন তারা কি কেউ মব সৃষ্টিকারির পক্ষে যাবেন? আইন কারো হাতে তুলে নেওয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্র কাউকে দেয় নাই।’

তিনি বলেন, ‘কে এই কাওসার? তাকে এই সাহস কে যুগিয়েছে? তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর।

আমরা আশা করছি, পুলিশ কাওসারের পরিচয় নিশ্চিত করে একজন সিনিয়র সাংবাদিককে কার স্বার্থে এ ধরনের হেনস্তার ভিডিও প্রচার করে সম্মানহানি ঘটালো, তা বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’


আজ মহাষষ্ঠী, চলছে দেবী দুর্গাকে বরণের প্রস্তুতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে এ দুর্গাপূজা। সকাল থেকেই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে চলছে নানা প্রস্তুতি। ধূপধুনো, পঞ্চপ্রদীপ আর ঢাকের বাদ্যের সুরে আসনে অধিষ্ঠিত হবেন দেবী দুর্গা। বোধনের ঘট স্থাপনের মাধ্যমেই শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।

পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ রোববার সকাল ১১টা ১১ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শনিবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সন্ধ্যায় দেবীর বোধন সম্পন্ন হয়।

এদিকে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি আর ঢাকের বাদ্যের সুরে দেবীকে বরণ করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ভক্তরা।

পুরাণ অনুসারে, দক্ষিণায়নে নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য এ বোধনের মাধ্যমে বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুসারে মণ্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকাল তথা সন্ধ্যায় বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণত দেবী দুর্গার বোধন হয় ষষ্ঠীর সন্ধ্যায়। কিন্তু কিছু বছর যেমন এবার পঞ্জিকার নিয়মে দেখা যাচ্ছে ষষ্ঠী তিথি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রাত থেকে শুরু হচ্ছে বা পরের দিন বেশিক্ষণ নেই। তাই শাস্ত্রমতে যদি ষষ্ঠীর উপযুক্ত সন্ধিকাল না পাওয়া যায়, তবে পঞ্চমীর দিন সন্ধ্যায়ই বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস করতে হয়। অর্থাৎ এবার ষষ্ঠী তিথি পুরোপুরি সন্ধ্যায় মিলছে না। তাই নিয়ম মেনে পঞ্চমীর সন্ধ্যায় (শনিবার) দেবী দুর্গার বোধন করা হয়। তিথির কারণে এমনটা হচ্ছে।

শনিবার বোধন শেষে আজ দুর্গা দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা। জানা গেছে, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ‘মহাসপ্তমী’, ‘মহাঅষ্টমী’ ও ‘মহানবমী’ পূজা শেষে ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ‘মহাদশমী’ পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে আনুষ্ঠানিকতা। এরপর সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে। এবার দেবী দুর্গার আগমন হবে গজে অর্থাৎ হাতির পিঠে চড়ে। আর দশমীতে দেবী মর্ত্যলোক ছাড়বেন দোলা বা পালকিতে চড়ে।

ঢাকায় এবার গতবারের তুলনায় সাতটি বেড়ে মোট ২৫৯টি মন্দির-মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর সারা দেশে মোট মন্দির-মণ্ডপের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৫৫টি, যা গতবারের তুলনায় হাজারখানেকের বেশি।


নির্বাচনী সংলাপে আজ অংশ নেবেন যারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ রবিবার সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। অক্টোবরজুড়ে চলবে এই সংলাপ। এই সংলাপে পর্যায়ক্রমে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল, নারী প্রতিনিধি ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।

ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩০ জন সুশীল সমাজের সদস্য ও বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। এরপর দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৩৩ জন শিক্ষাবিদের সঙ্গে সংলাপ করবে।’

জানা যায়, ইসি অক্টোবরের মাঝামাঝিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, নারী প্রতিনিধি, জুলাই যোদ্ধা ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপে বসবে।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়।

এ পর্যন্ত ৫৬টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তী সময় শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।

এদিকে আদালতের আদেশে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।


দেশ পুনর্গঠনে অংশ নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে সহযোগিতা এবং সক্রিয় অবদান রাখার জন্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ফলে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন আমরা দেখছি তা এগিয়ে নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশ গঠনে সবার ভূমিকা থাকবে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘দূরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখব এমন হবে না। গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ। আমরা এখন নিজে খেলব।’

নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শনিবার ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফররত বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের এই সফরে রাজনৈতিক নেতারা যোগ দেওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘উনারা এ সফরে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে বলে আমাদের আস্থা অনেক বেড়ে গেল।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন একটি প্রেজেন্টেশন দেন। এতে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন।

তিনি রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।

আশিক চৌধুরী প্রবাসীদের অব্যাহত সহায়তা কামনা এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে ভোটদানের পদ্ধতি বর্ণনা করেন।

এ আয়োজনে ‘ব্রিজিং বর্ডারস: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডায়াস্পোরা এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এটি সঞ্চালনা করেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলসহ তিনজন এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য-সচিব আখতার হোসেন অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে আবেগঘন বক্তব্য দেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ‘শেপিং টুমোরো: দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে এনসিপি নেতা তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির এবং জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান অংশ নেন।

এ আয়োজনে ‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা, যা প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা, নির্দেশনা এবং বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে।


বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে কাজ করা খুবই ডিফিকাল্ট: সিইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে কাজ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

সিইসি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কাজ করা খুবই ডিফিকাল্ট। পার্টিকুলারলি যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশটা যাচ্ছে, আপনি কাজ আদায় করে নেওয়া কিছু কিছু পক্ষের লোকের জন্য খুবই সুবিধা, আর বেশির ভাগ পক্ষের লোকের জন্য ডিফিকাল্ট। এই সিচুয়েশনে এখন দেশ দাঁড়ায় আছে।’

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি নাসির উদ্দিন। ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

কাজ করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি ও বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু এসব সামাল দিতে হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণ আস্থা আছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কোনো বেআইনি নির্দেশনা দেওয়া হবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, কোনো বেআইনি নির্দেশনা তাঁরা দেবেন না। কারও পক্ষে কাজ করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে না।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের পরিস্থিতিকে ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, এই বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে কাজ করতে হবে। বর্তমান কমিশন ঐতিহাসিকভাবে অনেকগুলো নতুন কাজ হাতে নিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থার একটা নতুন ভিত্তি দেওয়ার জন্য কাজ করছে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, একবাক্যে সবাইকে শিকার করতে হবে, নির্বাচনের ব্যাপারে মানুষের অনেক অনীহা। নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে অনেক অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন বিষয়ে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই এখন আর ভালো নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান খেলোয়াড় উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, এতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিগত দিনে নির্বাচন কর্মকর্তারা যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। তিনি বলেন, বিগত দিনে অনেকেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। আবার অনেক নির্বাচন কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়েও কাজ করেছেন।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড শক্ত হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ১০ মাস ১০ দিনে কমিশন প্রমাণ করেছে, নির্বাচন কমিশন শক্ত মেরুদণ্ড নিয়েই কাজ করছে। কমিশন কারও প্রতি অনুরাগ, বিরাগের বশবর্তী হয়ে কাজ করেনি, করবে না।

ভোটার তালিকায় অনেক মৃত ভোটার আছেন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এখনো তালিকায় অনেক মৃত ভোটার থেকে গেছেন। প্রতিদিনের জন্ম ও মৃত্যুর হার দেখলে এটা বোঝা যায়। তিনি নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য হালনাগাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে অন্যতম কারণ ছিল নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়া। নির্বাচন কমিশনের ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বাধার কথা উল্লেখ করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, একটি হলো এআই প্রতিবন্ধকতা এবং অন্যটি প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ। কমিশন এই বাধাকে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করবেন। এ ছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বদলি নিয়ে তদবির না করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসি সচিব।

সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন। তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছেন বলে নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন।


শিগগিরই হচ্ছে নতুন দুই বিভাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফরিদপুর ও কুমিল্লা নামে নতুন দুটি প্রশাসনিক বিভাগ প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে নতুন দুটি উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রি নিকার সচিব কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং সেখানেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

সূত্র মতে, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নিকার বৈঠক হতে পারে।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রি-নিকার বৈঠকে ফরিদপুর ও কুমিল্লা শহরের নামেই নতুন দুটি প্রশাসনিক বিভাগ এবং নতুন দুটি উপজেলা গঠনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা নিয়ে ফরিদপুর বিভাগ গঠন এবং কুমিল্লা বিভাগের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর নাম প্রস্তাব করেছে।

বর্তমানে দেশে মোট ৮টি প্রশাসনিক বিভাগ আছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০১৫ সালে ময়মনসিংহকে বিভাগ হিসেবে উন্নীত করেছে সরকার।

এর পাশাপাশি কুমিল্লার মুরাদনগর ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ভেঙে নতুন দুটি উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে ‘বাঙ্গরা উপজেলা’ এবং ফটিকছড়ি ভেঙে ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ নামে উপজেলা সৃষ্টির খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলার অধীনে মোট ২২টি ইউনিয়ন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নিকার বৈঠকে বৃহত্তর ফরিদপুরের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা বিভাগ’ এবং কুমিল্লা ও আশপাশের জেলাগুলো নিয়ে ‘মেঘনা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উঠলেও চূড়ান্ত অনুমোদন মেলেনি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক সংকটের শঙ্কায় বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব স্থগিত রাখা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতেও নতুন বিভাগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।


প্রফেসর ইউনূসের প্রতি বিশ্বনেতাদের পূর্ণ সমর্থন

শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবারগার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক
আপডেটেড ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৪২
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানাতে শুক্রবার নিউইয়র্কে তাঁর হোটেল স্যুইটে একত্রিত হন বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা।

তাঁরা বাংলাদেশকে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সহযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিজামি গঞ্জাভি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের (এনজিআইসি) সহ-সভাপতি ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবারগার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এনজিআইসি’র নামকরণ করা হয়েছে খ্যাতনামা একাদশ শতকের পারস্য কবি নিজামি গঞ্জাভির নামে।

উচ্চপর্যায়ের এই দলে ছিলেন স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোর, সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরিস তাদিচ, লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বেলজিয়ামের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল, গ্রিসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রেউ, বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোসেন প্লেভনেলিভ ও পেতার স্তোইয়ানোভ, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো যোসিপোভিচ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সাবেক রপ্রেসিডেন্ট ম্লাদেন ইভানিচ এবং মরিশাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমিনা গুরিব-ফাকিম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথের সাবেক মহাসচিব, জর্জিয়ার সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চারজন সাবেক সভাপতি, একাধিক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের সাবেক সহ-সভাপতি ও এনজিআইসি’র সহ-সভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিন, মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস-এর প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি-এর ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা।

নেতৃবৃন্দ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব ও আজীবন দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন জানাতে এসেছি। আমরা আপনার পাশে আছি।’

তাঁরা উল্লেখ করেন, প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে দীর্ঘ ১৬ বছরের দুর্নীতি, শোষণ ও কু-শাসনের কারণে দেশটি এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

বিভিন্ন নেতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেশ পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাঁদের একজন বলেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। যে কোনো পরামর্শ বা সহায়তা প্রয়োজন হলে জানাবেন।’

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সফরকারী কেরি কেনেডি দেশের মানবাধিকার অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, ‘মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আপনাদের অর্জন অসাধারণ।’

জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির নির্বাহী পরিচালক মেলান ভারভিয়ার জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠান শিগগিরই বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করবে। এনজিআইসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল সেরাগেলদিন বলেন, ‘আপনাদের প্রয়োজন হলে আমরা আছি।’

সম্মেলনে প্রফেসর ইউনূস এভাবে অপ্রত্যাশিত সমর্থন পেয়ে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটি একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আপনাদের একসঙ্গে আমাদের সমর্থনে দাঁড়ানো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি একেবারেই মুগ্ধ।’

তিনি বাংলাদেশের অবস্থা তুলনা করেন একটি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেঁচে ফেরার সঙ্গে। তাঁর ভাষায়, ‘দেশটি গত ১৬ বছর ধরে একটি ভূমিকম্পের মধ্যে ছিল। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।’

প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, সীমিত সম্পদের কারণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ‘মানুষ তাৎক্ষণিক পরিবর্তন দেখতে চায়। কিন্তু আমাদের অবশ্যই তরুণদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে—তারা একটি নতুন বাংলাদেশ খুঁজছে।’

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সমর্থন করার আহ্বান জানান। প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘আমাদের দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। আপনাদের পরামর্শ, সহযোগিতা ও নৈতিক শক্তি আমাদের জন্য অমূল্য।’

সভায় এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।


মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর কন্যার যোগদান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর কন্যা দিনা ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প । ছবি : প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর কন্যা দিনা ইউনূস গত ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস ও তাঁর কন্যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ছবি তোলেন।

ছবিটি পরে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।


শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সীমান্তবর্তী এলাকাসহ সারাদেশে ২,৮৫৭টি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উপলক্ষে সীমান্তবর্তী এলাকা এবং রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ২,৮৫৭টি পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ৪৩০ প্লাটুন সদস্য। সীমান্তবর্তী এলাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির ২৪টি বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। উৎসব চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করছে তারা।

বিজিবির নিরাপত্তাধীন মোট ২,৮৫৭টি পূজামণ্ডপের মধ্যে সীমান্তবর্তী (সীমান্তের ০৮ কিলোমিটারের মধ্যে এবং পার্বত্য এলাকার ১৫টি পূজামণ্ডপসহ) এলাকায় ১,৪১১টি এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাইরে রয়েছে ১,৪৪৬টি পূজামণ্ডপ। বাইরের পূজামণ্ডপসমূহের মধ্যে রাজধানী ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ৪৪১টি; চট্টগ্রাম মহানগরী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় মোট ৬৯৪টি এবং অন্যান্য স্থানে ৩১১টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। পূজা উপলক্ষে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারি শক্তিশালী করার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিজিবি সর্বদা জাতীয় শান্তি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারে সেলক্ষ্যে বিজিবি সারাদেশে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।


শিবচরে ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেনু বেগম হত্যার আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাচিকাটা গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেনু বেগমের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ গত ২১ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করে শিবচর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যার মোটিভ সনাক্তে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করে এবং গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে RAB-8 (সিপিসি), মাদারীপুরের একটি টিম ও পুলিশর একটি সমেত শিবচর থানাধীন পাচ্চর এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাজী মাহমুদ রাসেল সবুজ নামে একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের পর সবুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায়, সে একাই এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করেছে। মূলতঃ তাকে ও তার স্ত্রীকে দেয়া চোরের অপবাদের প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে সে জানায়। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সবুজের পাচ্চরের বাসায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি (হাসুয়া/কাঁচি) উদ্ধার করে শিবচর থানা পুলিশ। আসামি সবুজের খাটের নীচে লুকিয়ে রাখা ছুরির সাথে রেনু বেগমের বাসা থেকে চুরি হওয়া একটি রাইস কুকারও উদ্ধার করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের পর লুট হওয়া দু'টি মোবাইলের একটি (স্যামসাং বাটন ফোন) আসামি সবুজের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়। অপর একটি স্মার্ট ফোন (রিয়েলমি) হত্যাকারী সবুজ খুলনায় এক মোবাইলের দোকানে ৪০০০/- টাকায় বিক্রি করে দিলে, সেটিও খুলনা থেকে উদ্ধার করে শিবচর থানা পুলিশের আরেকটি টিম। ভিকটিম রেনু বেগমকে হত্যার পর তার কানের স্বর্ণের দুল নিয়ে যায় আসামি সবুজ এবং তা ১৪ হাজার টাকায় শিবচরের একটি জুয়েলারি দোকানে বিক্রি করে। সবুজের স্বীকারোক্তি মতে স্বর্ণের কানের দুলগুলোও উদ্ধার করা হয় স্বর্ণের দোকান থেকে। এছাড়াও রেনু বেগমের আলমারী থেকে লুট করে নেয়া ১৫৩০/- টাকাও উদ্ধার করা হয় আসামি সবুজের নিকট থেকে।

আসামি সবুজকে ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকালে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সে রেনু বেগমকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রেস রিলিজ করেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।


বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী ভুটান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, এ উদ্যোগ বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে নতুন মাত্রা দেবে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে সংস্থাটির সদর দপ্তরে শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তোবগে এ প্রস্তাব দেন।

তিনি জানান, ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘গেলেপু মাইন্ডফুলনেস সিটি (জিএমসি)’কে কুড়িগ্রামে ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করা গেলে উভয় দেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভুটান উন্নত যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।’

তিনি দুই দেশকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সব সুযোগ অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় পর্যটন প্রসারে তাঁর সরকারের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশি বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ভুটানে যেতে পারেন, যা পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তোবগে জানান, ভুটান তাদের জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে বাংলাদেশের জন্য কাজে লাগাতে চায়। একই সঙ্গে তিনি জানান, ভুটানের ওষুধশিল্পে বাংলাদেশী বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে আগ্রহী তাঁর সরকার। এছাড়া তিনি ফাইবার অপটিক সংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ আয়োজিত পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তাঁর দেশ অংশ নেবে।

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে তোবগে বলেন, বাংলাদেশ এখন ‘সঠিক নেতৃত্বে রয়েছে। তিনি তাঁকে তাঁর ব্যক্তিক ‘আদর্শ’ উল্লেখ করে শ্রদ্ধাভরে সম্বোধন করেন—‘মাই প্রফেসর।’

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি থিম্পুতে উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের নতুন চ্যান্সারি ভবনের নকশারও প্রশংসা করেন, যা ‘হিমালয়ের পাদদেশে বঙ্গোপসাগর’ থিমে নির্মিত হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তোবগে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বলেন, তিনি সম্ভবত আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হওয়ার আগে এ সফর করবেন।


প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর সংখ্যা নিয়ে টিআইবির দাবি ‘ভিত্তিহীন’: প্রেস সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গীদের সংখ্যা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সাম্প্রতিক দাবি ‘ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং যাচাইবাছাইবিহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট থেকে নেওয়া।’

শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বর্তমান প্রতিনিধি দল অতীতের হাসিনা আমলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট এবং অনেক বেশি মনোযোগী, কর্মঠ ও ফলাফলমুখী।’

তিনি বলেন, টিআইবি দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছতার পক্ষে কাজ করছে এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক সমাজ সংগঠন। ‘তবে যাচাই করা তথ্যের পরিবর্তে গুজব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভুয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে জনসম্মুখে বিবৃতি দেওয়া হতাশাজনক।’

প্রেস সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা ৬২—যা টিআইবির দাবি করা ১০০-এর বেশি নয়। গত বছর প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিল ৫৭ জন, তবে এতে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে ভ্রমণ করা ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও তিনি পরিষ্কার করেন।

শফিকুল আলম জানান, এবারের সফরসঙ্গীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা, যারা প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছেন। ‘আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা প্রকাশ্য হুমকির কারণে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অনেক কর্মকর্তা প্রতিদিন টানা ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও জানান, গত পাঁচ দিনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল অন্তত এক ডজন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে, যার মধ্যে ছয়টির বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অন্তর্ভুক্ত।

প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্য হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মতো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আসরে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ তুলে ধরা, যেখানে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’

তিনি উল্লেখ করেন, এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, এমন সময়ে যখন ‘বিভিন্ন মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

প্রেস সচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে এবং বিদেশে লবিং করছে, যেখানে কিছু আন্তর্জাতিক মহলের নীরব সমর্থনও রয়েছে।

তিনি জানান, সফরসঙ্গী তালিকায় এমন ব্যক্তিরাও আছেন, যারা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এটি প্রমাণ করে যে জরুরি মানবিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ঢাকা নেতৃত্ব অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়া কয়েকজন উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধি দলের বাইরে থেকেও বৈশ্বিক সমকক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদেরও এ সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাদের সহায়তায় বেশ কিছু কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘এই অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

সূত্র : বাসস


banner close