এ যেন মানুষের স্রোত। যেদিকে চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। এতো মানুষ একদিনে বইমেলায় এবার আর কোনো দিনই দেখা যায়নি। অবশ্য এই দিনটির জন্যই তো প্রাণের মেলা। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বলেই এদিন মেলা প্রাঙ্গণে সবচেয়ে বেশি পাঠক-দর্শনার্থী তথা বইপ্রেমীদের উপস্থিতি হয়ে থাকে। আজ বুধবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল ৮টায় মেলার দ্বার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই পাঠকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হাজার মানুষ আসেন। যারাই শহীদ মিনারে গিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় সবাই প্রাণের মেলায় ঢুঁ মেরেছেন। স্টল-প্যাভিলিয়নে ঘুরেছেন, বই দেখেছেন এবং কিনেছেনও। এদিন মেলার বেশি পাঠক ঢাকার বাইরের বলে প্রকাশক ও বিক্রয়প্রতিনিধিরা জানান। কেননা, শহীদ মিনারে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নানান অঙ্গ-সংগঠনের মানুষজন ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যায়। ফলে এ দিন মেলায় এসে তারা পছন্দের লেখকের বই দেখেন এবং কিনেনও।
একুশ মানে বাঙালির ইতিহাসে একই সঙ্গে শোক আবার গৌরবের দিনও। তাই তো এদিনে বইয়ের মেলায় চেতনাসমৃদ্ধ এক অধ্যায়ও বলা যায়। এদিন মেলায় যে সংখ্যক মানুষ দেখা গেছে, সেই তুলনায় বই কেনার মানুষ না বলেও কেউ কেউ উল্লেখ করেন। চারুলিপি প্রকাশনীর ম্যানেজার মাসুম পারভেজ বলেন, ‘মেলায় দর্শনার্থী অনেক কিন্তু ক্রেতা কম। অনেকেই আসছেন বই দেখছেন, পড়ছেন, ছবি তুলছেন কিন্তু আলটিমেটলি কিনছেন না। এটা আমাদের জন্য তো দুঃখজনক বটেই, পাশাপাশি লেখক এবং সংশ্লিষ্টদের জন্যও নেতিবাচক একটা বার্তা।’
তবে ভিন্ন কথাও বলেছেন কেউ কেউ। অন্বেষা প্রকাশনীর শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘বইমেলায় যারাই আসবেন, তারাই যে বই কিনবেন এমনটা না। তবে এই যে বইমেলাকে মাথায় রেখে সবাই আসছেন এটা কিন্তু মেলার জন্য একটা ইতিবাচক দিক।’
মেলায় প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশু প্রহর হওয়ায় ওই সময়ে সিসিমপুরের পরিবেশনা থাকে। তবে শুক্র-শনিবারের বাইরে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে মেলাপ্রাঙ্গণে সিসিমপুর লাইভ শো অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্র টুকটুকি, হালুম, শিকু, ইকরি উপস্থিত ছিল।
মেলায় ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বেড়েছে আজ। অন্যদিনের তুলনায় এদিন বিক্রি বেশি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এদিন অনেকেই বাংলা ভাষা, ভাষা সাহিত্য ও গবেষণামূলক বই কেনার জন্য বিভিন্ন স্টলে গিয়েছেন বলেও কোনো কোনো প্রকাশনার বিক্রয়প্রতিনিধিরা জানান। তবে অনেক পাঠক এই বিষয়ের ওপর বই পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে গাজীপুর থেকে আসা একজন শিক্ষক বলেন, ‘মেলায় বাংলা ভাষা তথা ভাষা সাহিত্যের ওপর লেখা বই খুব কম। তরুণ প্রজন্মকে আমাদের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানানোর জন্য গবেষণামূলক অনেক বই দরকার। এই বিষয়ে প্রকাশকরাই ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন।’
আজ মেলা একুশের চেতনায় বেশ উজ্জীবিত দেখা গেছে। ছেলে-মেয়েদের পোশাকেও ছিল একুশের ছোঁয়া। কালো আর সাদা রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি কিংবা সালোয়ার-কামিজে তরুণ-তরুণীদের মেলামাঠে দেখতে বেশ প্রাণবন্ত আর উচ্ছ্বসিত দেখা গিয়েছিল। মেলাজুড়ে লেখক-পাঠক-দর্শনার্থী সবার সাজগোজেও প্রবলভাবে ফুটে উঠছে একুশের চেতনা। যেন এদিনে মেলায় আসতে পেরে নিজেদের ভিন্নভাবে জানান দিচ্ছিল পাঠকরা। বাংলা ভাষার গৌরবময় চেতনায় শামিল করেছেন নিজেদের। সব মিলিয়ে আজ একুশের দিন প্রাণের এই সাহিত্য মেলার ২৯ দিনের সেরা দিন একটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে জানায়, আজ মেলার ২১তম দিনে নতুন বই এসেছে ২৩৪টি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করতে দিনভর নানান কর্মসূচি পালন করে বাংলা একাডেমি। একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার নেতৃত্বে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৮টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। স্বরচিত কবিতাপাঠে প্রায় ১৩৫ জন কবি কবিতা পাঠ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কবি শামীম আজাদ। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় অমর একুশে বক্তৃতা। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। আরও বক্তৃতা দেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর।
‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, শিশুসাহিত্যিক ওয়াসিফ এ খোদা, কথাসাহিত্যিক মাসউদ আহমাদ এবং শিশুসাহিত্যিক ইমরান পরশ।
আগামীকালকের বইমেলা
আগামীকাল বৃহস্পতিবার মেলার ২২তম দিনে দ্বার খুলবে বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আসাদ চৌধুরী এবং স্মরণ: জাহিদুল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মাহমুদা আকতার এবং কামরুল হাসান। আলোচনায় অংশ নেবেন দিলারা হাফিজ, বায়তুল্লাহ কাদেরী, খালেদ হোসাইন এবং মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ড. মুহম্মদ সামাদ।
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ অংশে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-তে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি নম্বর-৫ এ বিষয়টি জানানো হয়।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ৩টার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১৩০০ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ১২৮০ কিলোমিটার এবং পায়রা বন্দর থেকে প্রায় ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-পশ্চিমমুখী হয়ে ক্রমশ শক্তিশালী হতে পারে এবং ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র থেকে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার বেগে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর বর্তমানে অত্যন্ত উত্তাল রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে আগে জারি করা ১ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যেতে এবং উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সাগরে ঢেউয়ের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দেশের উপকূলীয় এলাকায় থাকা জেলেদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
গত ২০ অক্টোবরের মধ্যে ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। ছয়দিন পেরোলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এসেছিল সেটাও করা হয়েছে। সোমবার সকালে ব্রিফ করে দেব।’
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কবে শেষ হবে, এ নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘দল নিবন্ধনের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে মাঠপর্যায় থেকে কিছু বাড়তি তথ্য আসেছে। এটা পর্যালোচনা চলছে। এ সপ্তাহের ভেতরে করে দেব। কারণ, আমাদেরও একটা দায় আছে। আমাদের দিক থেকে তাগিদ আছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী শতভাগ সম্পন্ন করতে হবে বিষয়টি এমন নয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু জায়গায় সমন্বয় করতে হয়। কিছু কিছু বিষয় আগে করা হয়েছে আর কিছু কিছু বিষয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং কিছু কিছু বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। সময় অনুযায়ী দিনক্ষণ মেপে কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
ইসি সচিব বলেন, ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধনসহ চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠ থেকে দল নিবন্ধনের তথ্য আসছে, তা পর্যালোচনা চলছে। আমরা ইনশাআল্লাহ এই সপ্তাহের ভেতরে করে দেব।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে এগোচ্ছি পরিকল্পনা অনুযায়ী, তো সবকিছু যে শতভাগ করা সম্ভব নয়। এটা আপনারাও জানেন আমরাও জানি। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু জায়গায় এডজাস্টমেন্ট করতে হয়। কিছু কিছু বিষয় আমরা আগেই কমপ্লিট করেছি। কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর কিছু কিছু বিষয়ে আরেকটু হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। এখন সবকিছুই মেপে মেপে সময় অনুযায়ী দিনক্ষণ তারিখ অনুযায়ী করা সম্ভব নয়। এই এডজাস্টমেন্ট আমাদের রাখতে হবে। এই ফ্লেক্সিবিলিটি তো আছে এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো কারণ আমি দেখছি না। আমার মনে হয় না আপনারা হয়তো আরও ভালো জানেন আমাদের থেকে যে, আসলে কি আতঙ্কিত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার মতন পরিস্থিতি হয়েছে। আমার বিশ্বাস হয়নি।’
আরপিও সংশোধন বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএনপির চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আরপিও নিয়ে বিএনপি থেকে চিঠি দিয়েছে। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
ব্রিফিংকালে ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, গত ২০ অক্টোবরে মধ্যে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও এখনো কেন প্রকাশ করা হয়নি জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ওটা চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এসেছিল, সেটাও করা হয়েছে। কাল (সোমবার) সকালে ব্রিফ করে দেব।’
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কবে শেষ হবে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘দল নিবন্ধনের ব্যাপারে অগ্রগতি মাঠ পর্যায় থেকে কিছু বাড়তি তথ্য আসছে। এটা পর্যালোচনা চলছে। এই সপ্তাহের ভেতরে করে দেব। কারণ আমাদেরও তো একটা দায় আছে, আমাদের দিক থেকে তাগিদ আছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ সরাসরি কোনো জবাব দেননি। তিনি বলেন, ‘প্রতীকের ব্যাপারটি আমরা পরে জানাব।’
গত শনিবার রাতে ইসি প্রাঙ্গণের ভেতরে নির্বাচন ভবনের দক্ষিণ পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসি মামলা করবে কি না, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ তাকে আটক করেছে। এটা বাইরে ফেটেছে। ইসিকে যদি মামলা করতে হয়, করব।’
কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘তারা নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এছাড়া প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন, প্রযুক্তির অপব্যবহার, নির্বাচনকালীন সময়ে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। গতকাল রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্কার বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরতে গিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের যে প্রস্তাব, তার মধ্যে মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের সময়সীমার মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, আমলারা পর্যালোচনা করে মোট ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। এটা খুব শিগগিরই দেখা যাবে। তিনি বলেন, ‘এগুলো যে খুব বড় কিছু, এ রকম নয়। কিন্তু আমাদের যে সময়সীমা আছে, তখন তো ছিল তিন মাস। এখন তো আর হয়তো এক মাস আছে। কারণ, এই যে জিনিসগুলো করা হবে, সেটা ক্যাবিনেটেই করতে হবে। অথবা নীতিমালা বা অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে করতে হবে। সেটা আমরা নভেম্বরের পরে আর করতে পারব না। কারণ, নভেম্বরেই ক্যাবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, ক্যাবিনেট মিটিংটা। এরপর নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আর সম্ভবত ক্যাবিনেট মিটিং বসে না।’
মিট দ্য রিপোর্টার্সে নামসর্বস্ব সংবাদ পত্রিকা, সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, নির্বাচনে এআই প্রপাগান্ডাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। নামসর্বস্ব পত্রিকার বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় এসব পত্রিকার তালিকা তৈরি করেছে। সাংবাদিকদের সমর্থন পেলে গত এক বছরে এক দিনও ছাপা হয়নি, এমন পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা কমানো এবং বিজ্ঞাপনের হার বাড়ানোর পক্ষে। বিজ্ঞাপনের হার যেটা আছে, সেটার দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে সত্যিকারের প্রচারসংখ্যা দেখাতে হবে। তিনি বলেন, এই সুবিধা পেতে সংবাদপত্রকে সাংবাদিকদের জন্য সরকারের নির্ধারিত বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। এই বেসিক স্যালারি (মূল বেতন) না দেওয়া হলে কোনো পত্রিকা সুবিধা (বিজ্ঞাপনের হার) পাবে না।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করে দেওয়া হবে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি যেন বেতন হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
ওটিটি-ইউটিউব নিয়ে তিনি বলেন, ‘কনটেন্ট নির্মাণ করলে সেটা তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায়। আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পাবলিশড করলে সেটা আইসিটি বিভাগের দেখভালে চলে যাবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যে কনটেন্ট আসে, সেগুলোকে রেগুলেট করার চেষ্টা করছি।’
এই সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল, গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের দৌরাত্ম্য কমানো উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, এ কাজে খুব সফল না হলেও যতটুকু করা যায়, সেই চেষ্টা করা হয়েছে। যেহেতু সরকার শেখ মুজিবের মতো মিডিয়া বন্ধ করতে চায় না, তাই কোনো মিডিয়া বন্ধ করা হয়নি।
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা রোধে আইন করা যায় কি না? জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকতার পরিমণ্ডল থেকে যদি ‘ব্যাড অ্যাপল’ (খারাপ মানুষ) না সরানো যায়, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন যদি থেকে যায়, তাহলে অবশ্যই সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ হবে।
এ প্রসঙ্গে আলোচনায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘যারা ভায়োলেন্স করবে, আজকে যদি সুযোগ পায়, আজকেই আমাদের মেরে ফেলবে, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে সাংবাদিক পরিচয়ে বা বিভিন্ন পরিচয়ে, বুদ্ধিজীবী পরিচয়ে। টেলিভিশন টকশোতে বসে বসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলতেছে। ওই সাহস কোথায় ছিল গত ১৫ বছরে?’
এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে ‘খুব বেশি’ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়নি উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এ জন্য যে আমরা চাই না যে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করি।’
সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ এসেছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, তারা প্রশ্ন তুলেছে যে এমন আইন ফ্যাসিস্টের দোসর ছিল, এখন বিভিন্ন হাউসে রয়েছে, তাদের সুরক্ষা দেবে। স্থানীয় পর্যায়ে যারা বিভিন্ন দলের দালালি করে, তারা সুরক্ষা পাবে।
গত ১৫ বছরে ‘অপসাংবাদিকতার’ জন্য কেউ অ্যাপোলজি (ক্ষমা প্রার্থনা) করেনি উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। তাহলে কাকে ভরসা করে আইনটা করা হবে?
নতুন দুটি গণমাধ্যমের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে লেখালেখি হওয়ার কথা তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় কী ভাবছে, তা জানতে চান একজন সাংবাদিক। জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশে বিকল্প গণমাধ্যম ছাড়া ‘বাকশালী ইকোসিস্টেম’ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই তিনি বিকল্প মিডিয়া দেবেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন আমরা মালিকানার ফাইলগুলো দেখি, অধিকাংশ মালিক এখনো আওয়ামী লীগের। এখনো আওয়ামী লীগের মালিকানা পরিবর্তন করা হয় নাই। ওনারা বিদেশ থেকে বসে বসে এখনো এখানে টেলিভিশন চ্যানেলে যে আয় হয়, সেটার থেকে ওনারা পাচ্ছেন। পত্রিকা অফিস থেকে ওনারা পাচ্ছেন।’
মাহফুজ আলম বলেন, পুরোনো বন্দোবস্তের লোকেরা, পুরোনো বড় বড় মিডিয়া হাউস যারা আছে, তারা চায় না যে দেশে কোনো অলটারনেটিভ মিডিয়া (বিকল্প গণমাধ্যম) হোক। সে জায়গা থেকে বিভিন্নভাবে এটাতে (দুই গণমাধ্যমের অনুমোদন) ‘ফ্রেমিংয়ের’ চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনের কারণে যদি তাকে পদ থেকে সরেও যেতে হয়, তাহলেও তিনি নতুন মিডিয়ার লাইসেন্স দেবেন বলে উল্লেখ করেন তথ্য উপদেষ্টা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মিডিয়ায় ‘ফ্রেশ ব্লাড’ দরকার। যেহেতু তারা কোনো মিডিয়া বন্ধ করছেন না, তাই নতুন মিডিয়া দেবেন।
ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গত শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুদেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুদেশ একে অপরকে সহায়তা করবে,’ বলেন জেনারেল মির্জা। তিনি আরও জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুমুখী নৌপথ ইতোমধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশপথও চালু হবে।
দুপক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।বাসস
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হলে নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সহজ হবে । আর নির্বাচনের সময় সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে ।
তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, এখনও আছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের পরিস্থিতি ও সার্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া অনেক ঘটনা সত্য নয়, তবে গণমাধ্যমের তথ্য সঠিক থাকে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে মোবাইল ফোনের সিমকার্ড নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অনেক অপরাধে সিমকার্ড ব্যবহার হয় অন্যের নামে। নির্বাচনের আগেই সিমকার্ডের সংখ্যা কমানো হবে। এক ব্যক্তির নামে ১০টা থেকে ৫টা/৭টা, পরে ২টায় নিয়ে যাওয়া হবে।
এছাড়া বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও নির্দেশনা দেয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দল কিছু সমস্যার সমাধান করলে এবং জনগণ সচেতন থাকলে নির্বাচন সুন্দর হবে। রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান এলাকায় গণ্ডগোল বা অপরাধ প্রবণতা আগের চেয়ে কমেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। নিয়োগের ক্ষেত্রেও সমস্যা নেই।’
নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: বাসস
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল (শনিবার) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করবে,’ বলেন জেনারেল মির্জা। তিনি আরও জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ ইতোমধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-ুকরাচি আকাশপথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ: জোরপূর্বক গুম মোকাবিলায় বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালাটি গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকাস্থ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
বিচারকদের উদ্দেশে আসিফ নজরুল বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিচার লিখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাদের শিল্পকর্মই তাদের বিচার। তাদের এই প্রস্তাবটি মনে রাখা উচিত।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। তিনি জানান, কমিশন ইতোমধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির জনসংযোগ কর্মকর্তা কে এম খালিদ বিন জামান জানান, কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রেখেছেন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান। ওয়ার্কিং সেশন পরিচালনা করেন কমিশনের সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন।
কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন কমিশনের সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস। এই পর্বে গুম-সংক্রান্ত মামলায় প্রমাণ সংগ্রহ, সাক্ষ্যগ্রহণ, মানবাধিকার মানদণ্ডের প্রয়োগ ও বিচার প্রক্রিয়ার জবাবদিহি নিশ্চিতের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আলোচনায় গুম প্রতিরোধে একটি স্থায়ী গুম প্রতিরোধ কমিশন গঠন, গুম প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন, বিচার বিভাগের আওতায় স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা প্রতিষ্ঠা, গুম সংক্রান্ত মামলার জটিলতা নিরসনে মনিটরিং সেল গঠন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিচারকদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ আয়োজন, ভিক্টিমদের সাইকোলজিক্যাল ও লিগ্যাল সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ, ভিকটিমদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, অনলাইন জিডি সহজীকরণ, চিহ্নিত মামলাগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিষ্পন্ন করা, বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে ভিক্টিমদের সহজে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ম্যাজিস্ট্রেটদের মিথ্যা মামলা নিরসন সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রদান এবং বিচার বিভাগ ও কমিশনের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের কাঠামো উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উঠে আসে।
দেশের বিভিন্ন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে কর্মরত বিচারকসহ প্রায় ৯০ জন প্রশিক্ষণার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েলকে কানাডার টরন্টোতে দেখা গেছে– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জেল কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি স্পষ্ট করেছে, তিনি বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আটক আছেন।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, কমান্ডার সোহায়েল সংক্রান্ত একটি প্রপাগন্ডা ছাড়ানো হচ্ছে। যা সত্য নয়। তিনি বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আটক আছেন।
জনগণকে বিভ্রান্তিকর তথ্য বা গুজবে বিশ্বাস না করতে আহ্বান জানিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো এসব পোস্টের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।
এর আগে শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয়—রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহাইলকে এক সামরিক কর্মকর্তা টরন্টোর স্কারবরো এলাকায় দেখেছেন।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েম এর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোররাতে বদলগাছী উপজেলার আক্কেলপুর মধ্যে পাড়া (মণ্ডল পাড়া) গ্রামে মুসা নামে এক ব্যক্তির পুকুরপাড়ে ডাব গাছে উঠেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ডাব চুরি করার সময় তিনি গাছ থেকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে সকালে স্থানীয়রা গাছের নিচে ডাব সহ লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বদলগাছী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাব গাছে ওঠার সময় পা ফসকে পড়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রো লাইনের বেয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী যুবকনিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিহত যুবকের নামপরিচয় জানাতে পারেনি।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ওই পথচারী মারা যায় বলে জানান তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন।
তিনি বলেন, ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনের নিচে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে এক পথচারী হেঁটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় উপর থেকে বেয়ারিং প্যাড তার মাথার উপরে পড়লে তিনি স্পট ডেড হন।
এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বেয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্টেশন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। বর্তমানে মেট্রো চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মরদেহ উদ্ধার করে এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেয়ারিং পড়ে একজন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ফুটপাতে একটি চায়ের দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ফার্মগেট ও বিজয় সরণির একটি অংশে মেট্রো লাইনের ভায়াডাক্টের চারটি স্প্রিং থেকে একটি স্প্রিং সরে যায়।
উল্লেখ্য, বেয়ারিং প্যাড বিশেষ ধরনের রাবার দিয়ে তৈরি উপাদান, যা পিয়ার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো হয়।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চলের একটি গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার সকালের এ ঘটনায় দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- কারখানাটির শ্রমিক আলআমিন (৩০), আজিজুল্লা (৩২), সেলিম (৩৫), জালাল মোল্লা (৪০), নাজমুল হুদা (৩৫) এবং সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ (৩৫)।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কারখানাটির নিচ তলায় কাজ করছিলেন ওই শ্রমিকেরা। এক পর্যায়ে গ্যাস লাইন থেকে বিকট একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সবার অবস্থাই গুরুতর। দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা হলেন ফারুক-ই-আজমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে–
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. নারী ও শিশুনির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া।
৬. গারমেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গারমেন্টস কারখানা, ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানোর বিষয়ে আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা।