শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

লোকসান থেকে মুনাফায় অধিকাংশ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানি

মেহেদী হাসান সজল
প্রকাশিত
মেহেদী হাসান সজল
প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২২:৫২

একদিকে বিদ্যুতের চাহিদা প্রতি বছর বাড়ছে, অন্যদিকে চাহিদার সঙ্গে ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে এ খাতের কোম্পানিগুলোর ব্যবসার পালে হাওয়া বদল হতে শুরু করছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন ২০২৫ সালে বিদ্যুতের চাহিদা বর্তমান সময়ের তুলনায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ফলে সামনের বছরগুলোতে বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে এ খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি হওয়ার অপার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ খাতের বেসরকারি অধিকাংশ কোম্পানি ভালো পারফর্মেন্স দেখিয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানির সংখ্যা ৯টি। সেগুলো হলো- সামিট পাওয়ার লিমিটেড, বারাকা পাওয়ার লিমিটেড, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড (বিপিপিএল), ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল), শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (এসপিসিএল), ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ইউপিজিডিসিএল), এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজিএল) ও জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সামিট পাওয়ার তাদের আর্থিক প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি। বাকিগুলোর মধ্যে বারাকা পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, কেপিসিএল ও শাহজিবাজার পাওয়ার আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লোকসান গুণলেও এবার ভালো মুনাফা লুফে নিয়েছে। বিপরীতে নিজেদের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় মুনাফা থেকে সামান্য লোকসানে পতিত হয়েছে জিবিবি পাওয়ার। আর এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ও ইউনাইটেড পাওয়ারের মুনাফা চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সামান্য কমলেও বড় প্রবৃদ্ধি এসেছে ডরিন পাওয়ারের মুনাফায়। কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি কমে আসায় এ সময়ে অধিকাংশ কোম্পানি ভালো করেছে।

অন্যদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে, সে তুলনায় চাহিদা কম। চাহিদা কম হওয়ায় এ খাতের বেসরকারি অনেক কোম্পানিকে মাঝেমধ্যে উৎপাদন স্থগিত রাখতে হয়। যদি সামনের বছরগুলোতে চাহিদা বৃদ্ধি পায় তাহলে এ খাতের কোম্পানিগুলোরও ভালো করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

পুঁজিবাজারে বারাকা গ্রুপের তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানি বারাকা পাওয়ার লিমিটেড ও বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বারাকা পাওয়ার ও তার সাবসিডিয়ারির সমন্বিত বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ১৪২ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে এ আয় হয়েছিল ৮৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির সমন্বিত বিক্রি বাবদ আয় বেড়েছে ৬১ দশমিক ১২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির সমন্বিত কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে যেখানে সমন্বিত নিট লোকসান হয়েছিল ৮ কোটি ৮ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বারাকা পাওয়ারের কোম্পানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক বাংলাকে বলেন, বিদ্যুতের উচ্চ চাহিদার কারণে এ সময়ে আমাদের আয় বেড়েছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি কমে আসায় ব্যয় কমেছে। এতে ভালো মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

গ্রুপের অন্য কোম্পানি বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার ও তার সাবসিডিয়ারির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে সমন্বিত বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ৭২৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে এ আয় হয়েছিল ১ হাজার ৩৫৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানির আয় কমেছে ৪৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে সমন্বিত নিট লোকসান হয়েছিল ৪৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পক্ষ থেকে এ সময়ে আমাদের কাছে চাহিদা কিছুটা কম ছিল। এতে পরিবর্তনশীল উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়ার আয় এবং জ্বালানি আয় যথাক্রমে ৪৮ শতাংশ ও ৫৮ শতাংশ কমেছে। যার ফলে সার্বিকভাবে আমাদের আয় কিছুটা কমেছে। তবে মূল কোম্পানি ও সাবসিডিয়ারির জন্য ভারী জ্বালানি তেল (এইচএফও) ও খুচরা যন্ত্রাংশসহ সব ধরনের কাঁচামাল আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি কমে আসায় আমাদের ব্যয়ও তুলনামূলক কমেছে। যার ফলে এ সময়ে ভালো মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

ডরিন পাওয়ার ও তার সাবসিডিয়ারি চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে সমন্বিতভাবে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ আয় করেছে ৭০৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এ আয় হয়েছিল ৯৯৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির সমন্বিত আয় কমেছে ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তবে আয় কমলেও এ সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফায় বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে কোম্পানির সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৫১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে যেখানে মুনাফা হয়েছিল ১৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানির সমন্বিত নিট মুনাফা বেড়েছে ২৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

ডরিন পাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে আমাদের মূল কোম্পানির আয় বেড়েছে। তবে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির আয় উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। যার ফলে সার্বিকভাবে আমাদের আয়ে নেতিবাচক প্রভাব প্রতীয়মান হয়েছে। তা সত্ত্বেও আর্থিক ব্যয় কমায় বড় মুনাফা এসেছে আলোচ্য সময়ে। মূলত এ সময়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি কমে আসায় এ মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

খুলনা পাওয়ার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ২১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা বিক্রি বাবদ আয় করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৭৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানির আয় বেড়েছে ২৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে নিট লোকসান হয়েছিল ৭৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

কেপিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলোচ্য সময়ে তারা লোকসান কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। যদিও এ সময়ের মধ্যে তারা তাদের ১১০ মেগাওয়াট বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিক্রয় মূল্য ও বুক ভ্যালুর মধ্যে পার্থক্য সমন্বয় করেছে। এ সমন্বয় না হলে আলোচ্য সময়ে তাদের মুনাফা আরও বাড়ত।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে শাহজিবাজার পাওয়ার ও তার সাবসিডিয়ারির সমন্বিত বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ৬৮৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৩৩৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির আয় বেড়েছে ১০৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ৬৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যেখানে নিট লোকসান হয়েছিল ২২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে শাহজিবাজার পাওয়ারের কোম্পানি সচিব ইয়াসিন আহমেদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, আলোচ্য সময়ে আমাদের কাছে বিদ্যুতের ভালো চাহিদা থাকায় বিক্রি বাবদ আয় বেড়েছে। যার সুবাদে আমরা পুনরায় লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরতে পেরেছি। যদিও আগের অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে বিশেষ কিছু কারণে আমাদের লোকসান হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে আমরা যে মুনাফা করেছি তা বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির অংশ।

ইউনাইটেড পাওয়ারের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে সমন্বিতভাবে ১ হাজার ৮৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে এ আয় হয়েছিল ১ হাজার ৬৩৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির সমন্বিত আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তা সত্ত্বেও প্রধানত দুটি কারণে এ সময়ে কোম্পানির মুনাফায় ভাটা পড়েছে। আলোচ্য সময়ে সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৪৬২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে এ মুনাফা হয়েছিল ৫৩৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানির সমন্বিত নিট মুনাফা কমেছে ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।

এ মুনাফা কমার কারণ হিসাবে ইউনাইটেড পাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলোচ্য সময়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি কিছুটা বেড়েছে। এর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির কারণে ঋণের বিপরীতে বেশি সুদ দিতে হয়েছে। এসব কারণে আমাদের মুনাফায় ভাটা পড়েছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে আয় ও মুনাফা দুটোই কমেছে এমন একমাত্র কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ১৪০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৩২৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির আয় কমেছে ৫৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত জুলাই-ডিসেম্বরে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানির মুনাফা কমেছে ৬৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।

আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদক বেসরকারি খাতের একমাত্র কোম্পানি হিসাবে জিবিবি পাওয়ারের বিক্রি ছিল শূন্য। যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৩৫ কোটি ০৮ লাখ টাকা। বিক্রিশূন্য হওয়ায় আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিকে ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। যেখানে আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা নিট মুনাফা হয়েছিল। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিপিডিবির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ সময়ে তাদের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ ছিল। এ জন্য লোকসান হয়েছে।


সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

সজীব ওয়াজেদ জয়। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ২৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ শনিবার।

সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এই দুজনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। এরই মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের আইসিটি খাত-সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এই দুইয়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন ত্বরিত উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এরই মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবকালে হামলার শিকার আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি ইউনিটে যান তিনি এবং বিএনপি-জামায়াতের হামলা ও নৃশংসতার সময় আহত হয়ে সেখানে চিকিৎসাধীনদের অবস্থার খোঁজখবর নেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে যান।

গত ১৮ জুলাই দুপুর ২টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রামপুরার বিটিভির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে টিভি সেন্টারের ভেতরের রিসিপশন, ক্যান্টিন ও একটি বাস পুড়ে যায়।

তারও আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নাশকতাকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।


অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিং কিন্তু জমা দেইনি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছি। যুদ্ধ শেষে বঙ্গবন্ধুর ডাকে অস্ত্র জমা দিয়েছি, ট্রেনিং কিন্তু জমা দেইনি। আমাদের চেতনা জমা দেইনি। কারও কাছে আমাদের চেতনা বন্ধক দেইনি।’

নরসিংদীর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে আজ শুক্রবার দুপুরে নরসিংদীর পাঁচদোনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে যাদের পরাজিত করেছিলাম, ওইসময় তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে পারিনি। এবার তাদের পরাজিত করলেই হবে না; তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনদশায় এ দেশ অকার্যকর করে দেবে তা হতে পারে না। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দেশব্যাপী হামলার প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছে। তারা যেন তাদের প্রভুদের দেখাতে পারে। তারা চেষ্টা করছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে। তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর হামলা করেছে। এ আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে ছিল না, ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।’

আদালত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচ শতাংশ কোটা দিয়েছেন। আদালতের এ রায়কে স্বাগতম জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব স্থাপনা তৈরি করেছেন, দুষ্কৃতকারীরা সেসব স্থাপনায় হামলা করেছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম, মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন, নরসিংদী পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোতালিব পাঠান প্রমুখ।


শান্তি ফেরাতে নিরাপত্তাবাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য নিরাপত্তাবাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।

মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, ‘চরমপন্থি ও সন্ত্রাসীসহ তৃতীয়পক্ষ বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে। আমরা ছাত্রদের সন্ত্রাসী বা অরাজকতা সৃষ্টিকারী বলছি না। তৃতীয় পক্ষ যারা এই আন্দোলনে ঢুকে এসব কিছু শুরু করেছে।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উত্তেজনা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু লোক আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে যাতে তারা ফায়দা লুটতে পারে এবং সরকার পতন ঘটাতে পারে।’

আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরাফাত বিক্ষোভকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার-কেন্দ্র বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সদর দপ্তরে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিটিভি ভবন পাহারারত পুলিশ সদস্যরা সংখ্যায় কম ছিল। তাদের গুলি চালানোর অনুমতি না থাকায় দুর্বৃত্তরা বিটিভিতে ঢুকে পড়ে, আক্ষরিক অর্থে আক্রমণ করে, আগুন লাগায় এবং সম্পত্তি ধ্বংস করা শুরু করে।

আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা সরকার এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি বলে সাক্ষাৎকারে বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নিহত, হতাহত ও আহতের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ জনগণ, পুলিশ, বিক্ষোভকারী বা সরকারের সমর্থকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করতে চাই না।’

তথ্যমন্ত্রী জানান, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি পুরো ঘটনা তদন্ত করবে। যাতে এ ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনা যায়।


৬ অতিরিক্ত সচিবকে বদলি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনমনের পর ৬ অতিরিক্ত সচিবকে বদলি করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) ড. রেজাউল বাসার সিদ্দিকীকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরীকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এবং কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ হাসান আরিফকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি করা হয়েছে।

এ ছাড়া রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জিয়াউল হককে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব সাঈদ কুতুবকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) শাহ আব্দুল আলীম খানকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

তবে এসব বদলির সিদ্ধান্তকে রুটিন পদায়ন ও বদলি বলে জানিয়েছেন জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।


বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কানাডা: হাইকমিশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকার হয়েছে, তাতে কানাডা হতবাক হয়েছে। ঢাকায় কানাডার হাইকমিশন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।

সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের সবার জন্য বিচার ব্যবস্থায় যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে দেশটি বলেছে, মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

কানাডা সব সময়ই একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে কাজ করে- এমন দাবি করে হাইকমিশন বলেছে, বাকস্বাধীনতা ও সমাবেশ করার অধিকার বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কানাডা বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

জনসাধারণ যাতে তথ্যপ্রবাহে প্রবেশাধিকার পেতে পারে এবং কানাডা ও বিশ্বব্যাপী তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, সে জন্য ইন্টারনেট পরিষেবাগুলো অবিলম্বে সম্পূর্ণরূপে পুনরায় চালু করারও আহ্বান জানায় কানাডা।


রিমান্ড শেষে কারাগারে নুর

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেতু ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২১ জুলাই নুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া।

আবেদনে বলা হয়, ভিপি নুর কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাদের আট দফা কর্মসূচি লিখে দেন। এ আন্দোলনকে ঘিরে পরবর্তী ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাই তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।

শুনানিকালে নুরকে এজলাসে তোলা হয়। তখন নুর দাঁড়াতে পারছিলেন না। এ সময় আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে রিমান্ডে নিয়ে নুরকে ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ করেন তারা। শারীরিক অবস্থা ও সার্বিক বিবেচনায় তারা নুরের জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে নুরের স্ত্রী মারিয়া আক্তার লুনা ও বাবা ইদ্রিস হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

আদালত থেকে বের হয়ে তারা নুরকে নির্দোষ দাবি করে তার ওপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে সেতু ভবনের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

তারা সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে তাদের খোঁজাখুঁজি করে এবং হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে ভবনটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের ভেতরে নিচতলার ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, মিনিবাসসহ আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে।


১৯-২৪ জুলাই কাটা ট্রেনের টিকিটের অর্থ ফেরত দিচ্ছে রেলওয়ে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠলে নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১৮ জুলাই দুপুর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সারা দেশে ট্রেন চলাচল। তবে এসব ট্রেনে অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন হাজার হাজার যাত্রী। এ কারণে গত ১৯ তারিখ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত যারা অগ্রিম টিকিট কেটেও যেতে পারেননি তাদের টাকা ফেরত দেবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, রাজপথের একটি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কায় গত ১৯ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। তবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত অনেক যাত্রী ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছিলেন। যেহেতু এ সময়ে ট্রেন চলেনি তাই ট্রেনগুলোর বিক্রীত আসনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের রিফান্ড করা হবে। সূত্রটি আরও জানায়, যাত্রীদের ফেরত দেওয়া টিকিটের অর্থের পরিমাণ ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের রিফান্ড করা হবে। যাদের টিকিট অনলাইন থেকে কেনা হয়েছে, তাদের অনলাইনে এবং যারা কাউন্টার থেকে কিনেছেন, তাদের কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিটের বিপরীতে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

তবে এ প্রক্রিয়া শুরু হতে অন্তত তিন দিন সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে যেসব আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে, সেসব ট্রেনের টিকিটের টাকাও রেলওয়ের আন্তদেশীয় কাউন্টার থেকে ফেরত দেওয়া হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ট্রেন না চলার কারণে টিকিট রিফান্ড করতে হচ্ছে। এটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এখন পর্যন্ত যাত্রীদের ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি টিকিট রিফান্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে রেলওয়ের মোট ক্ষতি হয়েছে ২২ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, সহিংসতায় হামলাকারীরা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি কোচে আগুন দিয়েছে। এ ছাড়া সোনার বাংলা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পারাবত এক্সপ্রেসের বিভিন্ন কোচে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, সিগন্যাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ট্রেন চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে কয়েকটি জায়গায় ট্রেনে ও স্টেশনে রাখা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে হামলা করা হয়েছে। এ কারণে এখনো ট্রেন চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, রেলের ইঞ্জিন ও কোচের সংখ্যা কম। তারপরও রেলসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই ট্রেন চলাচল করবে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ চাইছে না যে এমন কিছু হোক, যাতে আবার আগুনের মধ্যে ঠেলে দিতে হয়। প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করবে রেল চলাচল।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই রাজধানীর নাখালপাড়া রেলগেট এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলে জননিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ রেলওয়ে।


বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় আজ শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


আগামী সপ্তাহের শুরুতে চালু হবে মোবাইল ইন্টারনেট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। আজ শুক্রবার সংস্থাটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এখনো মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

তিনি বলেন, যেসব সঞ্চালন লাইন এবং ডেটা সেন্টার রিপেয়ার করা হয়েছে, ইমপ্যাক্টটা কেমন পড়ছে এবং মোবাইল ইন্টারনেটে প্রেশার যেহেতু আরেকটু বেশি পড়বে, সে জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রবি-সোমবারে চালু করার পরিকল্পনা আছে।

এদিকে ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিন বিকেল ৩টার দিকে বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন ডিরেক্টরেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল করা হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে একমত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ও বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সে নির্দেশনা আইআইজি অপারেটরদের জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর নির্দেশনাও দিয়েছে বিটিআরসি। ফলে এখন থেকে ইউটিউব ও গুগলে সার্ভিস পেতে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না ব্যবহারকারীদের।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুলাই রাত থেকে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করে সরকার। গত বুধবার রাত থেকে সব জায়গায় ব্রডব্যান্ড চালু করা হয়। তবে ব্রডব্যান্ড চালু হলেও ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি পাচ্ছিলেন না। এরপর গুগলের ক্যাশ চালু ও ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আপাতত বন্ধই থাকছে। তবে ভিপিএন ব্যবহার করে বহু ব্যবহারকারী এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন।


যাত্রাবাড়িতে পুলিশ হত্যায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৬ জুলাই, ২০২৪ ১৮:১৫
বাসস

কোটা আন্দোলন চলার সময়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগনর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানানা। তিনি বলেন, ছাত্রদল নেতা মাসুদের নেতৃত্বে গত ১৯ ও ২০ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শনিরআখড়া এলাকায় পুলিশের দুই সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যায় শিবিরের সক্রিয় কর্মীরাও অংশ নেয়।

ডিএমপি ডিবিপ্রধান বলেন, হামলার সময় বাড়িবাড়ি তল্লাশি করেছে তারা। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, পুলিশকে ডিমরালাইজড করা। পুলিশকে ডিমরালাইজড করতে পারলে তারা হয়ত মনে করেছিল আন্দোলন সফল হবে। পুলিশ দুর্বল হলে পিছিয়ে যাবে। তখন তারা এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং সরকারের পতন ঘটাতে পারবে বলে মনে করেছিল।

হারুন বলেন, যারা পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে, যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেখানেই থাকুক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়া ও রায়েরবাগ এলাকায় গিয়ে তারা পুলিশকে টার্গেট করেছে। পুলিশ মারতে ১০ হাজার টাকাও তারা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

হারুন জানান, ছয় জনের মধ্যে আবু বকর নামে এক শিবির কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা (৩২), মো. ইরফান (২৭), মো. আবু বক্কর (২৩), রবিউল ইসলাম (১৯), সৌরভ মিয়া (১৯), মো. তারেক (২০)।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশ ও মানুষের জন্য পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন সময় জীবন দিয়েছে। কোটা আন্দোলনের সময় আমরা তিন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি। কিন্তু পুলিশের মনোবল মোটেও ভাঙেনি।

বিষয়:

প্রকৃত কোনো ছাত্রই এই হামলায় জড়িত ছিল না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শুক্রবার প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সাপ্তাহিক গণ বাংলা আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রকৃত কোনো ছাত্র এই ধরনের হামলা অগ্নি সংযোগের সঙ্গে জড়িত ছিল না। বিএনপির ভরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাদের নেতাকর্মী ও জামায়াত ইসলাম রাষ্ট্রের ওপর এই হামলা চালিয়েছে।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ‘দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের শপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে সাপ্তাহিক গণ বাংলা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, মেট্রোরেল, বিটিভিতে আগুন দিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে। আমরা এটি করতে বদ্ধপরিকর। ২০১৩-১৪ সালে বিচার হয়েছিল, অনেকেই ফাঁক-ফোঁকর গলে বের হয়ে গেছেন। এবার যাতে কেউ আইন ফাঁকি দিয়ে বের হতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, আজকে রাষ্ট্র আক্রান্ত। তারেক রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্রের ওপর এই হামলা হয়েছে। গতকাল তিনি টেলিভিশনের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, ছাত্রলীগ মারলে পাঁচ হাজার টাকা, পুলিশ মারলে দশ হাজার টাকা। আমির খসরু মাহমুদ নির্দেশ দিয়েছেন তাদের তরুণ নেতাকর্মীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এইসব অডিও ক্লিপ সরকারের হাতে আছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দল না, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

আরও বলেন, আমরা শুরু থেকে বলে আসছিলাম, সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হবে। সেটিই হয়েছে। তাহলে এই আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি-জামায়াত, অগ্নি সন্ত্রাসী, দেশবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠীকে কারা সুযোগ করে দিয়েছে সেই প্রশ্ন আজকে দেখা দিয়েছে। যদি একটু ধৈর্য ধরা হতো তাহলে বিএনপি-জামায়াত, জঙ্গিগোষ্ঠী দেশবিরোধী অপশক্তি এই সুযোগ পেত না। এটি সবাইকে বুঝতে হবে এবং ছাত্র নেতাদেরও এটি অনুধাবন করতে হবে। ছাত্র নেতাদের খোঁজ নেওয়া দরকার যে, তাদের মধ্যে এই দেশবিরোধী অপশক্তি বা জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো এজেন্ট ঢুকেছে কিনা।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী এই নির্মমতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেক সাধারণ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থীও যে ঘটনার স্বীকার হননি তা নয়। সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিচার আওতায় আনা হবে- এই প্রতিশ্রুতি শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে দিয়েছেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ আরও অনেকে।


নৈরাজ্যকারীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: শিল্পমন্ত্রী

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, যারা নরসিংদী জেলখানাসহ সারা দেশে নজিরবিহীন তান্ডব ও নৈরাজ্য চালিয়েছে এবং বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। সরকার নজিরবিহীন এ পরিস্থিতির উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। নরসিংদী জেলখানায় যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে সেজন্য সরকার সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনীসহ সরকারের প্রতিটি সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।


banner close