শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এবার বইমেলায় যেসব বই ভালো বিক্রি হচ্ছে

ছবি:দৈনিক বাংলা
মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত
মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২২:৫৮

নতুন করে দুদিন সময় না বাড়ানো হলে আজই হতো অমর একুশে বইমেলার শেষদিন। তবে নতুন করে সময় বাড়ানোয় বইমেলা চলবে আগামীকাল এবং পরশুদিন। এর মধ্যে সব বই মেলায় চলে এসেছে। নতুন করে আর তেমন কোনো বই আসবে না। ফলে এ সময়ে এসে পাঠকরা সহজেই খুঁজে নিতে পারছেন তাদের পছন্দের বই। লেখকের বই প্রকাশের জন্য কোনো ধরনের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। যেসব বই ভালো লাগছে সেসব বই কিনে নিতে পারছেন।

বইমেলায় নবীন ও তরুণ জনপ্রিয় লেখকদের বই বিক্রির শীর্ষে থাকলেও হারিয়ে যায়নি কিংবদন্তি লেখকরাও। তরুণ জনপ্রিয় লেখকের ভিড়ে ভালো বিক্রি হচ্ছে তাদের বইও।

এবারের বইমেলায় কোন বইগুলো সবচেয়ে ভালো বিক্রি হয়েছে জানতে চাইলে প্রথমা প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান বলেন, ‘সর্বোচ্চ বিক্রীত তিনটি বইয়ের নাম বলতে বললে যে তিনটি বইয়ের নাম আসবে সেগুলো হলো- আনিসুল হক স্যারের ‘কখনো আমার মাকে’, আসিফ নজরুল স্যারের ‘আমি আবু বকর বলছি’, আনু মোহাম্মদ স্যারের ‘অর্থশাস্ত্র’। এ ছাড়া আরও দুটি বইয়ের নাম বলতে বলা হলে আসবে মহিউদ্দিন আহমেদ স্যারের ‘প্লাবনভূমির মহাকাব্য পলাশী থেকে পাকিস্তান’, জিয়াউদ্দিন এম চৌধুরী স্যারের ‘দুই জেনারেলের হত্যাকাণ্ড’। এ বইটি সাত থেকে আটদিন আগে বইমেলায় এসেছে। এর মধ্যে তিনবার স্টক আউটও হয়ে গেছে।’

অন্বেষা প্রকাশনীর কর্মী আবদুল্লাহ বলেন, ‘ড. আমিনুল ইসলাম স্যারের ১০১ ইনট্রুডাকশন টু বাংলাদেশ, ইসমত আর প্রিয়ার ‘আমার শুধু মানুষ হারায়’, সুজন দেবনাথের ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’, আরিফুর রহমানের ‘সাউদার্ন ভ্যালি ওয়ে’, আর জুনায়েদ ইসলামের ক্রিমসন এবং দ্য রেড ডোর সবচেয়ে ভালো বিক্রি হচ্ছে।’

মিজান পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মী ইমন বলেন, ‘নিমাই ভট্টাচার্য-এর মেমসাহেব, ফারজানা ছবি আপুর ‘জলছবি’, আর অভিনেত্রী রওনক বিশাখা শ্যামলী আপুর ‘তুমি নয়নতারা’ বইগুলো সবচেয়ে ভালো বিক্রি হয়েছে।

অন্যপ্রকাশ প্রকাশনীর পরিচালক সিরাজুল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘সবচেয়ে বিক্রীত বইগুলোর নির্দিষ্ট নাম না বলি। তবে উপন্যাসের কাটতি বেশি। আর কিংবদন্তি লেখক হ‍ুমায়ূন আহমেদের বই তো আছেই। এছাড়া সাদাত হোসাইন, মৌরি মরিয়মসহ আরও যেসব লেখক ফেসবুকে পজিটিভ লেখালেখি করেন তাদের বই ভালো বিক্রি হচ্ছে।’

পাঞ্জেরি প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি শারাফাত লস্কর বলেন, ‘অরুণ কুমার বিশ্বাসের ‘ব্রাউন পেপার’, দন্ত্যস রওশনের ‘নির্বাচিত কিশোর উপন্যাস’, মশিউর রহমান শান্তের ‘ঘোর’, ড. মোহাম্মদ আমীন স্যারের ‘যতিচিহ্নের গতি-প্রকৃতি’, সাগরিকা নাসরিনের ‘আধখানা বসতি তাহার’ এবং আবদুল গাফফার রনির ‘প্যারাডক্স’ বইগুলো আমাদের প্রকাশনী থেকে ভালো বিক্রি হচ্ছে।’

মাওলা ব্রাদার্সের মারিহা বিনতে আলী বলেন, ‘আমাদের প্রকাশনীর সব বই ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে আহমদ ছফা স্যারের ‘যদ্যপি আমার গুরু’, ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’সহ স্যারের উপন্যাসসমগ্র, শাহাদুজ্জামানের ‘ক্রাচের কর্নেল’, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’ বেশি বিক্রি হচ্ছে।’

ঐতিহ্য প্রকাশনীর এক বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘আফতাব হোসেনের ‘বখতিয়ার’, ইফতেখার আমিনের অনুবাদ বই ‘ট্রাভেলস অব ইবনে বতুতা’, সাব্বির জাদিদের ‘আজাদির সন্তান’, মহিউদ্দিন আহমদের ‘চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ’ আর ‘তেহাত্তরের নির্বাচন’বইগুলো ভালো বিক্রি হচ্ছে।
অয়ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মাহবুব হাসান জ্যোতির লেখা ‘ভুল সেই রাত’ বইটি ভালো বিক্রি হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এই লেখকের এর আগেও বইমেলায় বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি টিভি নাটকও লিখে থাকেন। এ ছাড়া মেলায় কালজয়ী গল্প-উপন্যাসের বই ভালোই বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে মেলা অন্যত্র না সরানোর দাবি

আগামী বছর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে বইমেলা হবে না মর্মে একটি গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তৈরির অংশ হিসেবে কিছু প্রকল্পের কাজ মার্চ মাস থেকে শুরু করতে চাইছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তাই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে পূর্বাচলে নিয়ে যাওয়া হবে বইমেলা। যদিও মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি।

তবে প্রকাশকদের দাবি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ থেকে বইমেলা যেন না সরানো হয়। সরানো হলে বইমেলা না হওয়ার মতোই শামিল হবে বলে অনেক প্রকাশক জানান। এই বিষয়ে অন্বেষা প্রকাশনীর সিইও ফাতিমা বুলবুল বলেন, ‘এটি অমর একুশে বইমেলা। এটি আমাদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির অংশ। আর এটির সঙ্গে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ পুরো এলাকা মিশে আছে। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে সবাই এই বইমেলায় আসে। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে শহীদ মিনারসহ এই জায়গার আলাদা একটা ইতিহাস রয়েছে। তাই এখানে বইমেলা থাকলে সেটির আলাদা একটি আবহ অনুভূত হয়। তাই বইমেলার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প কোনো জায়গা থাকতে পারে না।

বইমেলা স্থানান্তর না করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) আজ বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে বাপুসের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাপুসের সহ-সভাপতি ও বইমেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক শ্যামল পাল বলেন, বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হলো বাংলাদেশের সেই হৃদয় প্রাঙ্গণ, যেখানে রয়েছে আমাদের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা।

তিনি বলেন, তাছাড়া বাঙালির নানা ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম, প্রতিবাদ ও অর্জনের সূতিকাগারও এই অসাধারণ এলাকাটিই। এমনকি এ-ই সেই পবিত্র ভূমি, যেখানে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু জাতিকে শুনিয়েছিলেন তার অমর বাণী। সব মিলিয়ে এই বাংলা একাডেমি, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ, বুয়েট বাঙালি জাতির উজ্জ্বলতম সাংস্কৃতিক তীর্থবলয়।

আমরা নানা সূত্রে জেনেছি, এই অঞ্চল থেকে একুশে বইমেলাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত রয়েছে। যাতে বাঙালির সংস্কৃতি চর্চার এই শক্তিশালী কর্মকাণ্ডটিকে শেষ করে দেওয়া যায়। আমরা এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ জানাতেই আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমরা মনে করি এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে বাস্তবায়ন করা হলে তা হবে এই মহান বইমেলাকে হত্যা করার সামিল।

এ সময় অন্যপ্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই বইমেলা শুরু হয়েছিল। এখানে শুধু বইবেচাকেনা নয় এটা বাঙালি সংস্কৃতি ও নবজাগরণের মেলা। আপনারা দেখবেন এখানে শুধু বই কিনতে আসে না, এখানের মানুষের সাংস্কৃতিক উৎসবের মিলনমেলা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলন রায়, আহমেদ পাবলিশিং হাউজের স্বত্বাধিকারী মিজবাহ উদ্দীন আহমেদ, পার্ল পাবলিকেশন্সের হাসান জায়েদি, তাম্রলিপির স্বত্ত্বাধিকারী তারেক হাসান রনিসহ বাপুসের অন্যান্য নেতা ও প্রকাশকরা।

মেলায় ঢাবির উপ-উপাচার্যের বই

মেলায় প্রকাশিত হয়েছে দে‌শের বরেণ্য কবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের নতুন বই ‌‘সিলেক্টেড পো‌য়েমস’-এর তৃতীয় সংস্করণ। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অনন্য গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। উপমহাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী যো‌গেন চৌধুরীর চিত্রকর্ম অবলম্ব‌নে বইয়ের প্রচ্ছদ অংকন করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ।

দ্বিভাষিক এই কাব্য সংকলন‌টি ইং‌রে‌জি ভার্সন নতুন ক‌রে সম্পাদনা ক‌রে‌ছেন মা‌র্কিন যুক্তরা‌ষ্ট্রের বিখ্যাত দুই ক‌বি জে‌মি প্রক্টর শু এবং সাইমন জে. অর্টিজ। আগের সংস্করণের স‌ঙ্গে তি‌রিশ‌টি নতুন অনুবাদ যুক্ত করা হ‌য়ে‌ছে বর্তমান সংস্কর‌ণে।

কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক সামাদ ২০২৪ সালে একুশে পদক, ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ আরও নানা পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। জাতীয় কবিতা পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ সামাদ ২০১৭ সাল থেকে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন।

আজ বইমেলার ২৯তম দিনে নতুন বই এসেছে ১২৭টি। লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন লেখক ও আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুন, পুথিগবেষক জালাল খান ইউসুফী, কথাসাহিত্যিক মাহমুদুন নবী রনি এবং কবি রনি রেজা।

আগামীকাল শুক্রবার অমর একুশে বইমেলার ৩০তম দিন। মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশু প্রহর থাকছে।


আজ পবিত্র ঈদুল আজহা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আজ ৭ জুন শনিবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। আমাদের দেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আসছে। আজ সকালে মুসল্লিরা কাছাকাছি ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।

ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেখানে ঈদের জামাতে নামাজ পড়বেন। সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে।

এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। ঈদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।

ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আজহার সঙ্গে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে। মক্কার অদূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় হজ পালন করেছেন।

স্থানীয় হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। সকালে মুজদালিফা থেকে ফিরে হাজিরা মিনায় অবস্থান করে পশু কোরবানিসহ হজের অন্য কার্যাদি সম্পাদন করেছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে পৃথিবীর বহু দেশ গতকাল ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে।

ঈদুল আজহা হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হযরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হযরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবাই সম্পন্ন করেন তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।

সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতিধারণ করেই হযরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে ঈদুল আজহার ছুটি গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হয়েছে। ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছুটি কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

এর আগে গত ৬ মে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাহী আদেশে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ঈদের আগে দুই শনিবার অফিস চালু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে অনুযায়ী দুই শনিবার (১৭ ও ২৪ মে) অফিস খোলা ছিল। নির্বাহী আদেশে দু’দিন ছুটির ফলে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সবমিলিয়ে টানা ১০ দিনের ছুটিতে আছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সংবাদ মাধ্যমেও ঈদ উপলক্ষে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ঈদুল আজহার যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। ঈদের ছুটিতে দেশের সব সিএনজি এবং ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাত্রী হয়রানিসহ যে কোন ভোগান্তির খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


ঈদের দিন আবহাওয়া যেমন থাকবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৫ ২৩:৪২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামীকাল শনিবার ঈদুল আজহার দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ঈদের দিন সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ফলে আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে গরম থাকতে পারে, তবে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তিও মিলতে পারে।

অন্যদিকে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এমন অবস্থায় আজ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এছাড়া ঈদের পরদিন রোববার (৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।


অবশ্যই ২০২৫–এর মধ্যে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন: সিপিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে নির্বাচনের যে সময় বলা হয়েছে, তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘উনি (প্রধান উপদেষ্টা) কী কারণে এপ্রিল মাসে নিয়ে যেতে চাইলেন, আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর একটি গণমাধ্যমকে এমন প্রতিক্রিয়া জানান রুহিন হোসেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান।

এ বিষয়ে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘জনগণ এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যা চায়, তার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। কারণ, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, অবশ্যই ২০২৫-এর মধ্যে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।’

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, তাতে যত দেরি হবে, ততই সাধারণ মানুষের জীবনের সংকট ঘনীভূত হবে। চট্টগ্রাম বন্দরসহ নানা ধরনের যে ঘটনাগুলো হচ্ছে, সেটা দেশের স্বার্থে রক্ষিত হবে না, বিদেশের স্বার্থই রক্ষিত হবে। সুতরাং নির্বাচন এ বছরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত করাটাই জরুরি বলে মনে করি। আমি আশা করব প্রথম উপদেষ্টা এই বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে বলবেন।’


এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো একদিন নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ভাষণের শুরুতে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, ছাত্র-ছাত্রী, বয়স্ক, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাইকে সালাম জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি সবাইকে হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান জানান।

পরে নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে। আমি বারবার বলেছি, এই নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করছে।

তিনি বলেন, এখানে মনে রাখা জরুরি, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে যতবার গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে তার সবগুলোরই প্রধান কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বর্বর ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিল। এই ধরনের নির্বাচন যারা আয়োজন করে তারা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। এমন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে দল ক্ষমতায় আসে তারাও জনগণের কাছে ঘৃণিত হয়ে থাকে।

‘এ সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ, বিপুলভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা যাতে করে দেশ ভবিষ্যতে নতুন সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেগুলোতে যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে ছাত্র-জনতার সকল আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।’

‘সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সে বিবেচনায় আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার—যা কিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়—সে বিষয়ে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পারব। এতে আমাদের ওপর আপনাদের অর্পিত ম্যান্ডেট ন্যূনতম হলেও বাস্তবায়ন করে যেতে পারব। সে বিবেচনায় ও ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।’

তিনি বলেন, আমরা এমন নির্বাচন চাই যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ও দল অংশ নিক। এটা সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকুক।


দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। আমি তাদের সুখ-সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করি। ঈদ মোবারক।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঈদুল আজহা সবার জীবনে শান্তি, আনন্দ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। তিনি লেখেন, ‘এই উৎসব যেন সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতি জাগিয়ে তোলে। আমি এই বিষয়ে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করি।’

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকের পক্ষেই এবারের ঈদ পুরোপুরি উপভোগ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘লাগামহীন মূল্যস্ফীতি, খাদ্যদ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকট সাধারণ মানুষের জীবনকে গভীর দুর্ভোগে ফেলেছে। “সীমিত আয়ের মানুষ টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে।’

তিনি ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ঈদের দিনে নিশ্চিত করতে হবে যেন কেউ না খেয়ে না থাকে। ঈদের আনন্দ হোক সমষ্টিগত, যেন সবাই একই কাতারে আসতে পারে।’

ঈদুল আজহার ত্যাগের আদর্শ তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঈদুল আজহা ত্যাগের উৎসব। এর মূল শিক্ষা হলো আত্মোৎসর্গ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—আল্লাহর কাছে পশুর মাংস বা রক্ত পৌঁছায় না, পৌঁছে কেবল তোমাদের অন্তরের তাকওয়া।’

তিনি বলেন, মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় পশু কোরবানি করে। ‘পবিত্র ঈদুল আজহা প্রতি বছর ফিরে আসে আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি ও আত্মত্যাগের মহাসন্দেশ নিয়ে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেও দেশের মুসলিম জনগণের হৃদয়ে ঈদের অফুরন্ত আনন্দ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দেড় দশক ধরে এক কঠিন ফ্যাসিবাদী সময় পার করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট চক্রের পতনের পর এবার ঈদুল আজহা কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে।’

তারেক রহমান জনগণকে সমাজ গঠনে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শান্তি, ঐক্য, সম্প্রীতি ও উচ্চ নৈতিকতার ভিত্তিতে নতুন করে সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। যাতে করে চরম বৈষম্য দূর হয় এবং দুনীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের মতো অপরাধ আর কোনোদিন না ঘটে।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে তারেক রহমান তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন।


বড় গরুর দাম অর্ধেক কমিয়েও মিলছে না ক্রেতা

গরুর কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়েছেন ব্যবসায়ী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর পশুর হাটে এবার বড় গরুর চাহিদা একেবারেই তলানিতে। দাম অর্ধেক কমিয়েও ক্রেতা না মেলায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আজ শুক্রবার সরেজমিনের নতুন বাজার ১০০ ফিট গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে আসা ৫ লাখ টাকার ওপরে অধিকাংশ গরুই রয়ে গেছে অবিক্রিত।

এই হাটে শোভা পাচ্ছে ১৫০০ কেজি ওজনের ‘সুলতান’। কেরাণীগঞ্জ থেকে ফ্লেকভিহ জাতের এই গরুটি এনেছেন মুহম্মদ রাজিব।

তিনি বলেন, ‘শুরুতে ১২ লাখ টাকা চেয়েছিলাম, দাম সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এখন দাম কমিয়ে ৮ লাখ বলার পরেও ক্রেতা পাচ্ছি না। শেষদিন সর্বোচ্চ দাম উঠেছে মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। এখন কেউ ৬ লাখ টাকা বললেও এই গরু ছেড়ে দিবো।’

‘৬ লাখ টাকায় গরু বিক্রি করলে বড় লোকসান হবে। আমি এই গরু বাছুর অবস্থায় আড়াই লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। প্রায় তিন বছর ধরে গরু লালন পালন করে বড় করেছি। নিজে বাদেও দুইজন লোক রেখেছি গরুর দেখভালের জন্য। প্রতিদিন গরুর খাবারের পেছনেই ১২০০-১৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। এই গরু এখন কয়েক লাখ টাকা লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে চেয়েও ক্রেতা পাচ্ছি না,’ আক্ষেপ করে বলেন রাজিব।

একই হাটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ‘রাজা সুন্দরী’ নামে ১ হাজার কেজি ওজনের গরু এনেছে সোহাগ আলি। বলেন, ‘শুরুতে ১০ লাখ টাকা দাম বলেছিলাম। সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৫ লাখ টাকা। তখন বিক্রি করিনি। এখন কেউ ৪ লাখ টাকা বললেও বিক্রি করে দিবো।’

‘এই গরু নিয়ে আসতে যে খরচ, অবিক্রীত অবস্থায় আবার ফেরত নিয়ে গেলে বড় লোকসান হয়ে যাবে। এখন লাভের চিন্তা বাদ দিয়ে চিন্তা করছি কত কম লোকসানে গরু বিক্রি করা যায়,’ বলেন এ ব্যবসায়ী।

এই গরু বাদেও সোহাগ হাটে দুটি এলবিনো জাতের মহিষ এনেছেন। শুরুতে জোড়া ৮ লাখ বললেও এখন ৪ লাখ বলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না।

হাটে নেপালি জাতের তিনটি গরু এনেছেন আরেক ব্যবসায়ী মঈনুল। তিনটি গরুর দাম ১৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন শুরুতে। এখন তিন লাখ টাকায় প্রতিটি গরু ছাড়ার চিন্তা করলেও পাচ্ছেন না আগ্রহী ক্রেতা।

বড় গরু নিয়ে আফসোস করে গরু ব্যবসায়ী ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর যারা বড় গরু হাটে এনেছেন তাদের থেকে অভাগা কেউ নেই। শখের গরু রীতিমতো অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

নওগাঁ থেকে হাটে এ ব্যবসায়ী এনেছেন ১২০০ কেজি ওজনের ‘কালাচাঁদ’। পাঁচ বছর ধরে এই গরু কোরবানির হাঁটে বিক্রির জন্য উপযুক্ত করেছেন, বুকে আশা নিয়ে এসেছেন ঢাকায়। কিন্তু সব গুঁড়েবালি। শঙ্কা করছেন, অবিক্রিত অবস্থায় গরু নিয়ে ফিরতে হবে তাকে।

বাজারে গরুর পাশাপাশি লাখ টাকা দামের শৌখিন ছাগলের চাহিদাও তলানিতে। নওগাঁ থেকে আরেক ব্যবসায়ী এনেছেন ২ লাখ টাকা মূল্যের ছাগল। শুরুর দিকে ক্রেতারা ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাম বললেও ঈদের আগের দিন দাম নেমেছে ৫০-৬০ হাজার টাকায়।

সব মিলিয়ে যারা বড় গরু এনেছেন তাদের শঙ্কা এবার কোরবানির ঈদে তাদের অনেকের গরু বিক্রি পর্যন্ত হবে না। আর গরু বিক্রি হলেও লোকসান হবে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।


ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আগামীকাল শনিবার ‘পবিত্র ঈদুল আজহা’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও চরম ত্যাগের অনুপম নিদর্শন। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাইল (আঃ)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হন। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানগণ ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ ও আত্মদানের এই সুমহান দৃষ্টান্ত কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহা মানুষকে শান্তি, ত্যাগ ও সাম্য শেখায়। মুসলমানগণ কোরবানিকৃত পশুর গোস্ত গরিব আত্মীয়স্বজন ও দুঃস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সবাইকে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক-এই হোক ঈদের চাওয়া।’

পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের শিক্ষা নিজেদের ভেতর ধারণ করার আহবান জানিয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আসুন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি।’

ঈদুল আজহার এ দিনে প্রধান উপদেষ্টা মহান আল্লাহর কাছে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নতি প্রার্থনা করেন।


চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চোখের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে আজ শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মির্জা ফখরুলের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শুক্রবার দুপুরে বাসস’কে জানান, দলের মহাসচিব রাতে দেশে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রাত ১১টায় ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মির্জা ফখরুল। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এর আগে, চোখের জটিলতাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে গত ১৩ মে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।


সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ দুপুরে বাসস’কে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস উইং জানিয়েছে, পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে এই ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।


এবার ঈদে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শতভাগ কনফিডেন্ট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আসন্ন ঈদুল আজহায় ঢাকায় নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীজুড়ে ৫০০টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ঈদের নামাজ স্বাভাবিক নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে এবং সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে যারা নামাজ আদায় করবেন, তাদের নিজস্ব জায়নামাজ আনতে হবে না, কারণ সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছুটির মধ্যেও সারাদেশে দায়িত্বে রয়েছে।’

ঈদের ছুটিতে প্রায় ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা শহরের অলিগলিতে ৫০০টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো ঘটনা ঘটে—আমরা এমন ঘটনাও রোধে কাজ করছি।’

থানায় মামলা করতে না পারার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,‘যদি কোনো কর্মকর্তা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রী হয়রানির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, আমরা এটির তদন্ত করছি।’

অপরাধী গ্রেপ্তার করার কয়েকদিন পরে বের হয়ে আরও বেশি অপরাধে জড়িয়ে যায়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনন, ‘এটা তো আর পুলিশের হাতে না। এটা আদালতের বিষয়। কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন, দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাড়া পাওয়ার পর আবারও অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ায় তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এমন যদি কেউ অবৈধকাজে জড়িয়ে যায় তাহলে তাকেও ছাড়া হবে না, পুঁটিমাছ কিংবা রুই কাতলা হোক কাউকে ছাড় নেই। আইন সবার জন্য সমান।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার নিরাপত্তা নিয়ে আমি ১০০ ভাগ কনফিডেন্ট আছি।


রেকর্ড ভেঙে পদ্মাসেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পদ্মা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ টোল আদায়ের রেকর্ড।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গত বছরের একদিনে সর্বোচ্চ প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ টাকার টোল আদায়ের রেকর্ড ভেঙে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়।

ঈদুল আজহার ১০ দিনের লম্বা ছুটির প্রথম দিনেই এই রেকর্ড হয়েছে। তবে ছুটি ছাড়াই আগের দিন বুধবার (৪ জুন) পদ্মা সেতুতে একদিনে ৪ কোটি ৯ লাখ টাকারও বেশি টোল আদায় করা হয়েছে। এদিন ৩৭ হাজার ৪৬৫ গাড়ি পারাপার হয়েছে সেতুটি দিয়ে।

বৃহস্পতিবার মাওয়া প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে ৩৫ হাজার ৯৮৫টি যান। এতে মাওয়ায় টোল প্লাজায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা।

আর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে ১৬ হাজার ৫০২টি যান। এসব যানবাহন থেকে ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানান আলতাফ।

এর আগে, ২০২২ সালের ২৬ জুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপারের রেকর্ড ছিল। আর ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড ছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা।

পদ্মা সেতুর দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন সেখ বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু তিন বছর পূর্তি। এ পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ৪৫২ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি । এই সময়ে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৪ হাজার ২১৮ যান পারাপার হয়েছে।


দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বুধবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তিন জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও তিনজন।

এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনে। আর শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৯ জনে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এ নিয়ে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ জনে।


পরিবেশসম্মতভাবে কুরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলের সহযোগিতা কামনা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কুরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ সময় যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ তৈরি হয়, যা প্রতিরোধে সকলের সচেতন অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কুরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছ পরিবেশ মন্ত্রণালয়। উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে । জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা (যেমন: গ্লাভস, মাস্ক, এপ্রোন) নিশ্চিত করতে হবে। পশুর রক্ত, গোবর ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটি চাপা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্ট যেমন রক্ত, চামড়া, নাড়িভুঁড়ি, হাড়, শিং, গোবর ইত্যাদি যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয়, বরং নির্ধারিত ডাস্টবিন বা স্থানেই ফেলা উচিত। কুরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে প্লাস্টিক নয়, বরং পরিবেশবান্ধব (বায়োডিগ্রেডেবল) ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

কুরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা আমাদের সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে আমরা যেমন নিজেরা সুস্থ থাকি, তেমনি আমাদের চারপাশকেও নিরাপদ রাখি।

পরিচ্ছন্নতা শুধু শারীরিক নয়, এটি আমাদের ঈমানেরও অঙ্গ। আসুন, পরিচ্ছন্ন কুরবানির মাধ্যমে আমরা আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করি এবং একটি স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসি।


banner close