ভোরের আকাশে স্নিগ্ধ সূর্য দেখে যেমন একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়, তেমনি মহামানবদের বেলায়ও তার শৈশব-কৈশোরের কিছু কিছু ব্যতিক্রমী সুকর্ম দেখেও তিনি যে একদিন খ্যাতিমান কেউ হবেন তা সহজেই অনুমান করা যায়।
সাত-আট বছর বয়সে ঘরের জানালা দিয়ে বৃষ্টি পড়ার দৃশ্য দেখে শৈশবকালেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনে কাব্যিক ভাবের উদয় হয়। লিখলেন জীবনের প্রথম কবিতা, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’। কিশোর বয়সে রুটির দোকানে রুটি বানানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বরচিত পুঁথি পাঠের মাধ্যমে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিভার প্রকাশ ঘটে। মায়ের চিঠি পেয়ে ঝড়ের রাতে সাঁতার কেটে নদী পার হয়ে কিশোর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বাড়ি যাওয়ার গল্প সকলেরই জানা।
এই তিন খ্যাতিমান মানুষের মতো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনের মতো দুরন্ত শৈশব-কৈশোরেও রয়েছে জানা-অজানা বহু নজিরবিহীন দুর্দান্ত ঘটনার নজির।
ছেলেবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতিমনা ছিলেন এবং খেলাধুলার প্রতি তার বিশেষ ঝোক ছিল। ফুটবল ছিল তার সবচেয়ে পছন্দের খেলা। এ ছাড়া ভলিবল এবং হকিও খেলতেন তিনি। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আমি খুব দুষ্টু প্রকৃতির ছিলাম। খেলাধুলা করতাম, গান গাইতাম।’
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুন দম্পতির ঘরে দুই কন্যার পর জন্ম নিল একটি পুত্রসন্তান। মহামানবের মহাআগমনে সুবিশাল শেখ পরিবারজুড়ে মহানন্দের বন্যা বইতে শুরু করল। তার দাদার নাম শেখ আবদুল হামিদ আর নানা শেখ আবদুল মজিদ। তারা পরস্পর আপন ভাই। দাদা তখন বেঁচে ছিলেন না, নানা তার নাতির নাম রাখলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মা-বাবা তাদের আদরের দুলালকে ডাকতেন ‘খোকা’ বলে।
এই খোকাই যে একদিন জাতির মুক্তির দূত হিসেবে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দেবেন, এই খোকাই যে একদিন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে চির স্মরণীয় হয়ে রবেন, এই খোকাই যে একদিন জাতির পিতা হিসেবে সবার মাথার মুকুট হয়ে সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থানে অধিষ্ঠিত হবেন তার কিছু চিহ্ন তিনি তার শৈশব-কৈশোরেই রেখে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুর শৈশব কেটেছে গ্রামের বাড়িতে, প্রকৃতির সঙ্গে। খালের পাড়, বিলের ধার ও নদীর কূলঘেঁষা গ্রামের ধুলোমাখা মেঠোপথে পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া-আসা করা শেখ মুজিব ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মাটি ও মানুষের কাছাকাছি। তখন থেকেই তার মনে দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি গভীর মমত্ব ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।
বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে জমি চাষ করে কৃষকের ফসল ফলানো; নদীতে উজান ঠেলে দাঁড় টেনে, বৈঠা বেয়ে মাঝির নৌকা চালানো; নদ-নদী, খাল-বিলে জেলেদের মাছ ধরার চিত্র বঙ্গবন্ধু প্রত্যক্ষভাবে অবলোকন করেছেন। তিনি দেখেছেন এত পরিশ্রম করার পরও তাদের পেটে ভাত নেই, পরনে কাপড় নেই, অসুখ হলে চিকিৎসার উপায় নেই, ছেলেমেয়েদের শিক্ষার সুযোগ নেই। এসব মানুষের এত দুঃখ-কষ্ট তার শৈশব-কৈশোরের কোমল হৃদয়কে ব্যথিত করত।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন বাড়ির বেশ খানিকটা দূরে একটি প্রাইমারি স্কুলে। বর্ষাকালে নৌকায় করে আর শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করা ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। তাই পিতার কর্মস্থল গোপালগঞ্জ শহরে অবস্থিত গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন।
উল্লেখ্য, শেখ লুৎফর রহমান তার বার-তের বছরের পুত্র শেখ মুজিবের সঙ্গে তার মরহুম চাচাতো ভাই শেখ জহুরুল হকের তিন-চার বছরের কন্যা রেণুর (শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) বিয়ে দেন।
বিয়ে প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার বয়স বারো-তেরো বছর হতে পারে। রেণুর বাবা মারা যাওয়ার পরে ওর দাদা আমার আব্বাকে ডেকে বললেন, তোমার বড় ছেলের সাথে আমার এক নাতনির বিবাহ দিতে হবে। কারণ, আমি সমস্ত সম্পত্তি ওদের দুই বোনকে লিখে দিয়ে যাবো।’
‘রেণুর দাদা আমার আব্বার চাচা। মুরুব্বির হুকুম মানার জন্যই রেণুর সাথে আমার বিবাহ রেজিস্ট্রি করে ফেলা হলো। আমি শুনলাম আমার বিবাহ হয়েছে। তখন কিছুই বুঝতাম না, রেণুর বয়স তখন বোধহয় তিন বছর হবে। রেণুর যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তার মা মারা যান। একমাত্র রইলো তার দাদা। দাদাও রেণুর সাত বছর বয়সে মারা যান। তারপর সে আমার মা’র কাছে চলে আসে। আমার ভাই-বোনদের সাথেই রেণু বড় হয়।’
তারপর থেকে সারাটি জীবন শেখ মুজিবের রাজনীতি, আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষাসহ সব কাজের অনুপ্রেরণা হয়ে তাকে আগলে রেখেছিলেন সেই বাল্য পরিণীতা বধূ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ৫৫ বছরের জীবনে ১৩ বছর জেলে কাটিয়েছেন মুজিব, পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন তিনি। বলা বাহুল্য, শেখ মুজিবের বাংলার গণমানুষের নেতা থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে যে মানুষটির সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রয়েছে তিনি হচ্ছেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। পাশাপাশি তিনি নিজেও হয়ে উঠলেন বঙ্গজননী। পঁচাত্তরের কালরাতে এই মানুষটি একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর চিরবিদায়েরও সঙ্গী হলেন।
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় শেখ মুজিব ১৯৩৪ সালে হঠাৎ বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হলে কোলকাতায় নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এতে দুই বছর তার পড়াশোনা ব্যাহত হয়। ১৯৩৬ সালে পিতার নতুন কর্মস্থল মাদারীপুরে গিয়ে ইসলামিয়া হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু কিছুদিন পরই তার চোখে গ্লুকোমা রোগ হয়। চিকিৎসার জন্য আবার কোলকাতা যেতে হয়।
চোখের চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে ফিরে গেলেন। আবারও পড়াশোনায় বিরতি। লেখাপড়া, খেলাধুলা বন্ধ। এমন অবসর সময় কাটানোর পাত্র শেখ মুজিব নন। তিনি তখন মাদারীপুরেই প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়লেন রাজনীতিতে। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘Every cloud has a silver lining.’ বঙ্গবন্ধুর অসুস্থতাজনিত কারণে পড়ালেখায় বিরতির ফলে তার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা এই কথাটির সত্যতা প্রমাণ করে।
বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘চোখের চিকিৎসা শেষে মাদারীপুরে ফিরে এলাম, কোন কাজ নেই। লেখাপড়া নেই, খেলাধুলা নেই, শুধু একটা কাজ, বিকেলে সভায় যাওয়া। তখন স্বদেশী আন্দোনের যুগ। মাদারীপুরের পূর্ণ দাস তখন ইংরেজদের আতঙ্ক। স্বদেশী আন্দোলন তখন মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের ঘরে ঘরে। আমার মনে হতো, মাদারীপুরে সুভাষ বোসের দলই শক্তিশালী ছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাকে রোজ সভায় বসা থাকতে দেখে আমার উপর কিছু যুবকের নজর পড়লো। ইংরেজদের বিরুদ্ধে আমার মনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হলো। ইংরেজদের এদেশে থাকার অধিকার নাই। স্বাধীনতা আনতে হবে। আমিও সুভাষ বসুর ভক্ত হতে শুরু করলাম। আর স্বদেশী আনদোলনের লোকদের সাথেই মেলামেশা করতাম।’
পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ১৯৩৭ সালে বঙ্গবন্ধু আবার লেখাপড়া শুরু করলেন। পুরোনো সহপাঠীরা এগিয়ে যাওয়ায় এবার স্কুল পরিবর্তন করে ভর্তি হলেন গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে।
বঙ্গবন্ধুর লেখায় পিতৃভক্তির এক দারুণ চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি লিখেছেন, ‘আব্বার কাছে থেকেই আমি লেখাপড়া করি। আব্বার কাছেই আমি ঘুমাতাম। তাঁর গলা ধরে রাতে না ঘুমালে আমার ঘুম আসতো না। আমি বংশের বড় ছেলে, তাই সমস্ত আদর আমারই ছিল।’ আবার পিতাকে যেমন ভালোবাসতেন, তেমনি ভয় পেতেন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
ছেলেকে পড়ানোর জন্য তার পিতা কাজী আবদুল হামিদ (এমএসসি) নামে একজন শিক্ষককে বাসায় রাখলেন। এই শিক্ষক গরিব ছাত্রদের সাহায্য করার জন্য ‘মুসলিম সেবা সমিতি'’ গঠন করলেন। কিশোর শেখ মুজিব তার কিছু সংগীদের নিয়ে এই সমিতির পক্ষ থেকে থলি নিয়ে মুসলমানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুষ্টি চাল উঠাতেন। সেই চাল বিক্রি করে গরিব ছেলেদের বই কেনাসহ পড়াশোনার খরচ চালাতেন।
কিছুদিন পর ওই শিক্ষক মারা গেলে বঙ্গবন্ধু এই সমিতির দায়িত্ব নেন এবং অনেক দিন পরিচালনা করেন। আরেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হলেন এবং বঙ্গবন্ধু সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এখন থেকেই মূলত বঙ্গবন্ধুর সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বাল্যকাল থেকেই অত্যন্ত সংবেদনশীল ও হৃদয়বান ছিলেন বঙ্গবন্ধু। সে সময়ে অনেক গরিব পিতা-মাতার ছেলেরা বহুদূর থেকে এসে ওই স্কুলে পড়াশোনা করত। কখনো কখনো তাদের প্রখর রোদে কিংবা অঝোর বৃষ্টির মধ্যে কয়েক মাইল হেঁটে যাতায়াত করতে হতো। কিন্তু তাদের অনেকেরই একটা ছাতা কেনার সামর্থ্য ছিল না। এগুলো দেখে বঙ্গবন্ধুর মন খারাপ হতো। তাই তিনি মাঝেমধ্যেই তার নিজের ছাতা ওই ছাত্রদের দিয়ে দিতেন। এজন্য তার বাবাকে কিছুদিন পরপরই ছেলেকে ছাতা কিনে দিতে হতো। এ ছাড়া দরিদ্র ছাত্রদের নিজের পাজামা-পাঞ্জাবি দিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে বহুবার।
একবার মাঘ মাসের কনকনে শীতে একদিন স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলেন রাস্তার ধারে বসে এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক খালি গায়ে ঠাণ্ডায় থরথর করে কাঁপছে। তিনি সহ্য করতে পারলেন না, নিজের গায়ের চাদর খুলে বৃদ্ধের গায়ে জড়িয়ে দিলেন।
একবার তার গ্রামের কৃষকদের জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তাদের জীবনে নেমে আসে ভীষণ অভাব-অনটন। অনেক বাড়িতেই দুবেলা ভাত রান্না বন্ধ হয়ে যায়। প্রায়-দুর্ভিক্ষাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে কিশোর মুজিব তার পিতাকে তাদের গোলা থেকে বিপন্ন কৃষকদের মধ্যে ধান বিতরণের জন্য অনুরোধ জানালেন এবং তাই করলেন। নিজেদের ধানের গোলা কেটে ওই সমস্ত কৃষকদের মধ্যে বিলিয়ে দিলেন।
অসহায় মানুষের প্রতি এই ভালোবাসা ছিল তার সহজাত প্রবৃত্তি এবং জীবনের সবচেয়ে বড় গুণ। মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়েই তিনি জন্মেছিলেন, আজীবন মানুষকে ভালোবেসে গেছেন। বিনিময়ে মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছেন অকাতরে।
ছেলেবেলা থেকেই দুঃসাহসী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কীভাবে দাবি আদায় করতে হয় তা তিনি স্কুলের ছাত্র থাকাবস্থায়ই রপ্ত করেছিলেন। ১৯৩৮ সালের ঘটনা। বঙ্গবন্ধু তখন গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের ছাত্র।
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গোপালগঞ্জে গেলেন। অন্যান্য কাজের পর মিশন স্কুল পরিদর্শনে এলেন। স্কুল পরিদর্শন শেষে ফিরে যাওয়ার সময় দুই নেতার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন কিশোর শেখ মুজিব। শিক্ষকেরা ভয় পেয়ে গেলেন। শেরেবাংলা কাছে ডেকে তার দাবি কী তা জানতে চাইলেন।
স্কুলছাত্র শেখ মুজিব বললেন, ‘আমাদের হোস্টেলের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। ছাদ মেরামতের ব্যবস্থা করে দিন।’ দুই নেতা তাৎক্ষণিকভাবে দাবি মেনে নিলেন। অর্থ বরাদ্দ হয়ে গেল।
সেদিন থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নজরে পড়লেন তিনি। সোহরাওয়ার্দী তার সঙ্গে কথা বললেন, নাম-ঠিকানা লিখে নিলেন এবং কোলকাতায় গেলে তার সঙ্গে দেখা করতে বললেন। কোলকাতায় গিয়ে কিশোর শেখ মুজিবকে চিঠি লিখলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। শেখ মুজিব ও চিঠির জবাব দিলেন। এভাবেই গড়ে ওঠে বাঙালির রাজনৈতিক মঞ্চে গণতন্ত্রের সংগ্রামে গুরু-শিষ্যের এক অনবদ্য সম্পর্ক। সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎ বঙ্গবন্ধুর জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।