‘মানুষকে ভালোবাসা ও প্রীতি দিয়ে জয় করা যায়; অত্যাচার-জুলুম ও ঘৃণা দিয়ে জয় করা যায় না’- এ কথাগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ে এ কথাগুলো তিনি বলে গেছেন। বাংলাদেশের মহান এই স্থপতির ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় বাবা-মা আদর করে তাকে ডাকতেন খোকা বলে। শেখ মুজিবুর রহমান নামটি রেখেছিলেন তার মাতামহ। খোকা থেকে জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু হওয়ার পথে তিনি অর্জন করেছেন কোটি কোটি বাঙ্গালির ভালোবাসা। আর এ কারণেই তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি, সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশি ভালোবাসি।’
১৯৩৮ সালে কিশোর খোকা গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন তৎকালীন সময় অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। সঙ্গে ছিলেন শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। স্কুল পরিদর্শন শেষে তারা ফিরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের পথ আটকে দাঁড়ালেন এই কিশোর শেখ মুজিবুর রহমান। কোনো দ্বিধা ছাড়াই তিনি দাবি করলেন যে, স্কুল ছাত্রাবাসের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে; তা মেরামতের ব্যবস্থা না করে মন্ত্রীরা যেতে পারবেন না। কিশোরের সাহস আর দৃঢ়তা দেখে মুগ্ধ শেরে বাংলা জানতে চাইলেন, ছাত্রাবাস মেরামত করতে কত টাকা লাগবে? হিসাবটা আগেই করে রেখেছিলেন শেখ মুজিব। বলেছিলেন, ‘১২শ টাকা।’ তাৎক্ষণিকভাবে এই টাকা বরাদ্দ হয় এবং পরবর্তীতে ছাত্রাবাসটিও মেরামত হয়। এটাই ছিল কিশোর বয়স থেকে নেতৃত্বের গুণ।
শিক্ষাজীবনে মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল ও পরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯৪২ সালে তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার্থে কলকাতায় গিয়ে বিখ্যাত ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমানে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ কলেজ) ভর্তি হন এবং সুখ্যাত বেকার হোস্টেলে আবাসন গ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি বিএ পাস করেন। শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ সময় তিনি বাংলার শীর্ষ রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সংস্পর্শে আসেন।
আজীবন সংগ্রামী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার যখন জন্ম হয় ব্রিটিশ রাজত্বের শেষ অধ্যায়ে। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান পেরিয়ে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন।
ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার দৃঢ়তায় কারণেই সব ষড়যন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে বাংলা রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছিল। ঢাকায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ধর্মঘট পালন নিয়ে ১০ মার্চ রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের আহ্বায়কসহ অনেকেই তখন দোদুল্যমান অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর গর্জে উঠলেন। তিনি বললেন, আগামীকাল ধর্মঘট হবে, সেক্রেটারিয়েটের সামনে পিকেটিং হবে। অলি আহাদ, তোয়াহাসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবকে সমর্থন করলেন। এ সম্পর্কে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে অলি আহাদ বলেছিলেন- ‘সেদিন সন্ধ্যায় যদি মুজিব ভাই ঢাকায় না পৌঁছতেন তাহলে ১১ মার্চের হরতাল, পিকেটিং কিছুই হতো না’।
১১ মার্চ ধর্মঘটে পিকেটিং চলাকালে সেক্রেটারিয়েটের সামনে থেকে ছাত্রনেতা শেখ মুজিবকে গ্রপ্তার করা হয়। এরপর রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন শুরু হলে সেই আন্দোলনের অংশ হয়ে ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবারও গ্রেপ্তার হন তিনি।
এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানী ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। যুক্তফ্রন্ট ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা। ১৯৫৪ সালের ৭-১২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মোট আসন ছিল ৩০৯টি। সেখানে ৯টি বাদে সব আসনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে। শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ আসন থেকে প্রাদেশিক আইনসভার এমএলএ নির্বাচিত হন। নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘জনসাধারণ আমাকে শুধু ভোটই দেয়নি, প্রায় ৫ হাজার টাকা নজরানা হিসেবে দিয়েছিল নির্বাচন খরচ চালানোর জন্য। আমার ধারণা হয়েছিল, মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে।’
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু করাচির ষড়যন্ত্রে এই মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয় এবং শেখ মুজিব গ্রেপ্তার হন। যুক্তফ্রন্টের সাথে রাজনীতি করার ফলে তার চিন্তা চেতনায় আমূল পরিবর্তন আসে। আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনো দিন একসাথে হয়ে দেশের কাজ করতে নামতে নেই, তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশ বেশি হয়।’
এরপর ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক আইন জারির পর বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হয়ে ১৪ মাস বিনা বিচারে আটক থেকে ১৯৫৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ছাড়া পান। কিন্তু জেলগেটেই তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। হাইকোর্টে রিট করে এক বছর পর তিনি মুক্তি পান। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা নয়টি মামলার আটটিই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। অপর একটি মামলায় জামিনে বাহিরে থাকলেও হাইকোর্টে সেই মামলাটিও খারিজ হয়ে যায় ১৯৬১ সালে।
তারপর আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনে মিশন শুরু করেন শেখ মুজিব। ১৯৬৪ সালের ৫ জুন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় তিনি এগারো দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। অনেক আলোচনার পর প্রস্তাবগুলো গৃহীত হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল: পাকিস্তানের উভয় অংশে বৃহৎ শিল্পকারখানা জাতীয়করণ, পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আলাদা মুদ্রাসহ পৃথক অর্থনীতি প্রণয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব-নিকাশ ও আয়-ব্যয়ের পূর্ণ অধিকার প্রদেশের হাতে রাখা, পূর্ব পাকিস্তানে নৌবাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপনসহ দেশ রক্ষার উদ্দেশ্যে মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি করা।
এসব প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ একটি খসড়া ইশতেহার প্রকাশ করে। এই ইশতেহারই পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচি ও আন্দোলনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে বর্তমান বাংলাদেশ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছিলো একেবারেই অরক্ষিত। এর প্রেক্ষিতে ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোরে পাকিস্তানের বিরোধী দল সমূহের সম্মলনে বাঙালির বাঁচার দাবি ৬-দফা কর্মসূচি পেশ করেন। অনেক ইতিহাসবিদের মতে, এখানেই স্বাধীন বাঙালি ভূখণ্ডের স্বপ্নের বীজ এখানেই বপন করা হয়েছিল।
মধ্যবিত্তের বিশেষ করে শিক্ষিত যুব সমাজের মধ্যে দারুণ আবেদন তৈরি করে এই ছয় দফা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জন সমর্থনের কারণে ভীত হয়ে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জন বাঙালি সেনা সদস্য ও সিএসপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়। যা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ নাম খ্যাত। এক নম্বর আসামি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।
এই মামলার বিরুদ্ধে এবং শেখ মুজিবসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে ছাত্র-যুব-শ্রমিক–পেশাজীবীদের দুর্বার আন্দোলন শুরু হয়। বাংলার মানুষ তাদের প্রিয় নেতাকে শত্রুর থাবা থেকে ছিনিয়ে আনে গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে। ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি মুক্তি পান। একই দিনে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ তাকে রেসকোর্স ময়দানে গণসংবর্ধনা প্রদান করে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রদান করে।
এরপর ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে টালবাহানা শুরু করে। একাত্তরের মার্চে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে শুরু করে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পূর্বেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন স্বাধীনতার।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে নেয়। জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করতে থাকেন জাতির পিতা। কিন্তু কিছু নরপিচাশের ষড়যন্ত্রে থেমে যায় বাংলাদেশের সেই স্বপ্নযাত্রা। বাংলাদেশ নামক অসাম্প্রদায়িক এক রাষ্ট্রকে মৌলবাদের কালগ্রাসে ঢেকে দেওয়া হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার মাধ্যমে। অঙ্কুরে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় বাংলাদেশের চেতনাকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। কিন্তু আজ সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আলোর পথে যাত্রা করছে বর্তমান প্রজন্ম। ‘সোনার বাংলা’ এখন স্বপ্ন থেকে বাস্তবতার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।
শিশু-কিশোরদের ভালোবাসতেন বঙ্গবন্ধু। তিনি চাইতেন বাংলাদেশের শিশু-কিশোররা যেন হেসেখেলে মুক্তচিন্তায়, মুক্ত মনে বেড়ে ওঠার সুযোগ ও পরিবেশ পায়। ১৭ মার্চে তিনি আনুষ্ঠানিক জন্মদিন পালন না করে শিশুদের নিয়ে আনন্দঘন সময় কাটাতেন। তাই দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। দিবসটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সেখানে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শুরু হবে এদিন সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। এরপর ৭টায় ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মসজিদ, মাদ্রাসায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনগুলোও পৃথক পৃথক কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে।