বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মাতারবাড়ি বন্দরসহ চার প্রকল্পে ১,০৩৯ কোটি টাকা দেবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২০ মার্চ, ২০২৪ ২১:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৪ ২১:৫৩

মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের একটি এবং ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিংয়ের তিনটি প্রস্তাবসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৩৯ কোটি তিন লাখ আট হাজার ৯৯৪ টাকা।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।

তিনি জানান, ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের ডিজাইন, মানুফ্যাকচারিং, সাপ্লাই অ্যান্ড ইন্সটলাশন অব কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, টার্মিনাল অপারেশন সিস্টেম অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেম (প্যাকেজ-২এ) কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জাপানের মিৎসুই ইক্যুইপমেন্টস অ্যান্ড মেশিনারি এবং টেক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৭৯৯ কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪০৪ টাকা। জাইকার অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ড্রেজিংয়ের (প্যাকেজ-৩, লট-৪) পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্য উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ প্রকল্পের ড্রেজিং করা হবে।

মীর আখতার হোসেন লিমিটেড এবং কনফিডেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৮২ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার ৯০০ টাকা।

একই প্রকল্পের প্যাকেজ-৩, লট-৫ এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং ওরিয়েন্ড টেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

এ ছাড়া পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ড্রেজিং প্রকল্পের প্যাকেজ-৪, লট-৫ এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নবারুন ট্রেডার্স লিমিটেড এবং অ্যাকুয়া মেরিন ড্রেজিং লিমিটেড যৌথভাবে এটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯০ টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগের তিন প্রকল্প অনুমোদন

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। একই সঙ্গে ‘গোপালগঞ্জ জেলায় ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র’ এবং ‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ নির্মাণের পূর্ত কাজসহ তিনটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৭৩৫ কোটি ৮৮ লাখ এক হাজার ৪৭৬ টাকা।

ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি জানান, সভায় ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’ প্রকল্পের (প্যাকেজ-১) পূর্ত কাজের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৩ হাজার ৬ কোটি ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫২ টাকা। এখন নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৯৫১ কোটি ৮৮ লাখ ১ হাজার ৪৭৭ টাকা। ফলে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ১২৯ টাকা।

সভায় ‘গোপালগঞ্জ জেলায় ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র’ নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৪৫৫ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।

এছাড়া ‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং- সিডব্লিউ-৬-এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এবং শামীম এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩২৮ কোটি টাকা।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্তিসভা কমিটির বৈঠকের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ‘ডেভলপমেন্ট অব কন্ট্রিনার টার্মিনাল-১ অব পেয়ার পার্ট আন্ডার পিপিপি মডেল’ শীর্ষক প্রকল্পটি পিপিপির আওতায় বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইভ স্কিল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ শীর্ষক প্রকল্পটি পিপিপির আওতায় বাস্তবায়নে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।


আদায় হওয়া ভ্যাট অনেক সময় সরকারের কোষাগারে পৌঁছায় না : অর্থ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজেস্ব প্রতিবেদক

দেশের ভ্যাট ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার ওপর জোর দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আদায় হওয়া ভ্যাটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অনেক সময় সরকারের কোষাগারে পৌঁছায় না।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ‘ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ভ্যাট ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যা সবার কাছে সহজবোধ্য। প্রক্রিয়া জটিল হলে কারচুপির সুযোগ বেড়ে যায়। ব্যবসায়ী বা ক্রেতা ভ্যাট পরিশোধ করলে সেটি যেন নির্ভুলভাবে কোষাগারে জমা হয়— এটাই সবার প্রত্যাশা। কিন্তু বাস্তবে অনেক সময় তা হয় না।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। ঋণ বা অনুদান নির্ভরতায় উন্নয়ন কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হয় না। ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত না বাড়ালে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক খাতে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহে চাপ সৃষ্টি হবে।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) মো. আজিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সদস্য (মূসক নিরীক্ষা) সৈয়দ মুসফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফআইসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আজমান, অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সংশ্লিষ্ট সচিবরা।

সভাপতির বক্তৃতায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যবসাবান্ধব ভ্যাট ব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ভ্যাট হবে সহজ। ব্যবসায়ীরা শুধু বিক্রয়মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেবেন। আর কোনও জটিল আইন বা বিশাল বইয়ের প্রয়োজন হবে না। আমরা এমন সফটওয়্যার তৈরি করছি, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিসাব করে ভ্যাট আদায় সম্পন্ন করবে। কনসালটেন্ট রাখারও দরকার হবে না।

সেমিনারে ভ্যাট ব্যবস্থার সংস্কার, স্বচ্ছতা বাড়ানো এবং ব্যবসায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়ে নানা প্রস্তাব উঠে আসে।


কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, জানালেন নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বুধবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট এবং সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার বলা মানা। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হবে।’

আসন্ন নির্বাচনে তিনি কোন দলের হয়ে বা কোন আসন থেকে লড়বেন, সে বিষয়টি এখনও খোলাসা করেননি। তবে তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, এটা নিশ্চিত। আসিফ মাহমুদ জানান, কোন আসন ও দল থেকে ভোট করবেন, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে। এরপরই সব ধোঁয়াশা কেটে যাবে।

বিএনপি নাকি এনসিপি থেকে ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই আসনে বিএনপি ইতিমধ্যে প্রার্থী দিয়েছে বলে তিনি জানেন। বাজারে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন গুঞ্জনের বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আসলে অনেক ধরনের কথাই ছড়ানো হচ্ছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানানো হবে।


নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপতি, নির্বাচনে সহায়তার আশ্বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়। কমিশনের প্রস্তুতি জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

সিইসির নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ইসি সচিব ব্রিফিংয়ে জানান, আলোচনায় ভোটার তালিকার ক্রম সংযোজন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন এবং প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়।

বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন কমিশন প্রতিনিধি দলটি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ফিরে গেছে। সেখানে সিইসির সভাপতিত্বে কমিশনারদের নিয়ে বর্তমানে একটি বৈঠক চলছে। এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার জন্য আজ বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার কর্তৃপক্ষকে ইসিতে ডাকা হয়েছে। দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুযায়ী, যেদিন রাষ্ট্রপতি সঙ্গে কমিশন সাক্ষাৎ করে এবং সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হয়, সেদিনই সাধারণত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ফলে আজই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে বলে জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে


নির্বাচন পাঁচ বছরের হলেও গণভোট শত বছরের জন্য: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য হলেও গণভোট শত বছরের জন্য। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এই নির্বাচনকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার এক অনন্য সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইতিহাস আমাদের নতুন করে যে সুযোগ দিয়েছে, তা অন্য প্রজন্ম পাবে না। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব, অন্যথায় জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। বিগত আমলের নির্বাচনগুলোকে ‘প্রতারণা’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন অন্যান্য সাধারণ দায়িত্বের মতো নয়, বরং এটি একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখার আহ্বান জানান তিনি।

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ‘ধাত্রী’র সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়। সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা। তিনি কর্মকর্তাদের সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে নিজ নিজ এলাকার পোলিং স্টেশন পরিদর্শন এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেন।

গণভোটের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভিত্তি স্থায়ীভাবে পাল্টে দেওয়া সম্ভব। ভোটাররা যেন কেন্দ্রে এসে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোটের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরির তাগিদ দেন তিনি। এছাড়া নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নারীরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি কর্মকর্তাদের এখন থেকেই পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। ভিডিও কনফারেন্সে সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


ভারত ছেড়ে শেখ হাসিনার অন্য দেশে যাওয়ার তথ্য নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে তৃতীয় কোনো দেশে যাচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

শেখ হাসিনার অবস্থান ও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সংবাদমাধ্যমে তার তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও কূটনৈতিকভাবে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সরাসরি কিছু করার নেই। তবে সরকার চায় তিনি দেশে ফিরে আসুন। তাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এ ক্ষেত্রে ভারতকেও রাজি হতে হবে অথবা তাদেরই চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠাতে। আমরা কেবল তাকে ফেরত আনার জন্য ভারতকে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি, এর বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।

দেশের মানবাধিকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন জানান, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানবাধিকার ইস্যুতে বিদেশি কোনো নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, র‍্যাব গত কয়েক মাসে তাদের কার্যক্রমে যথেষ্ট উন্নতি করেছে এবং মানবাধিকার রক্ষায় সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া ডিজিএফআই বন্ধ করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশেই এ ধরনের গোয়েন্দা সংস্থা থাকে, তাই এটি হুট করে বন্ধ করা সহজ বা বাস্তবসম্মত নয়।

ভিসা জটিলতা ও বিদেশে মিশন খোলা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া নথিপত্র বা ফেক ডকুমেন্ট তৈরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান হবে না। শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদানের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর এখতিয়ারভুক্ত। এছাড়া বিদেশে নতুন মিশন খোলার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ এবং এর সঙ্গে আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টিও জড়িত। অন্যদিকে, ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান ও চীনকে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন কোনো জোট গঠনের সম্ভাবনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এর অগ্রগতি হতে পারে, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে মন্তব্য করার মতো অবস্থা নেই।


বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখলেন আপিল বিভাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটি করার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে জেলাটিতে পূর্বের মতোই চারটি সংসদীয় আসন থাকছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেছিলেন। সেই রায়ে বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহাল করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এবং গাজীপুর-৬ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আজ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখলেন।

আদালতে আজ আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল, মুস্তাফিজুর রহমান খান ও বেলায়েত হোসেন। অন্যদিকে বাগেরহাটের রিটকারীদের পক্ষে আইনি লড়াই চালান সিনিয়র অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। সীমানা বিন্যাস অনুযায়ী, চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-১; সদর ও কচুয়া উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-২; রামপাল ও মোংলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ এবং মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৪ আসন গঠিত ছিল।

তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করে। ওই গেজেটে বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে তিনটিতে নামিয়ে আনা হয় এবং বাগেরহাট-৪ আসনটি কেটে নিয়ে গাজীপুর-৬ আসন সৃষ্টি করা হয়।

কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা আইনজীবী সমিতি, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শেখ মাসুদ রানা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং ১০ নভেম্বর রুল যথাযথ ঘোষণা করে বাগেরহাটের চারটি আসন ফিরিয়ে দেওয়ার রায় দেন। আপিল বিভাগের আজকের আদেশের ফলে সেই রায়ই চূড়ান্ত হলো।


মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: ঝালকাঠি থেকে সেই গৃহকর্মী আয়েশা গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঞ্চল্যকর মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল ঝালকাঠি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় নির্মমভাবে খুন হন লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়া (১৫)। পুলিশ জানায়, হত্যাকারী হাতে গ্লাভস পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা ও মেয়েকে আঘাত করে। নাফিসার গলায় একাধিক গভীর ক্ষত এবং লায়লার শরীরেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার নিহতদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের পর ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ ঘাতক গৃহকর্মীর পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য শনাক্ত করে। ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে নাফিসার বাবা আজিজুল ইসলাম স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এরপর সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরিহিত অবস্থায় লিফটে করে ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন গৃহকর্মী আয়েশা। হত্যাকাণ্ড শেষে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে তিনি নিহত নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে, মুখে মাস্ক এবং কাঁধে স্কুলব্যাগ ঝুলিয়ে স্বাভাবিকভঙ্গিতে ভবন ত্যাগ করেন।

নিহত নাফিসার বাবা আজিজুল ইসলাম জানান, মাত্র চার দিন আগে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে আয়েশাকে কাজে নেওয়া হয়েছিল। নিয়োগের সময় পরিচয়পত্র বা ফোন নম্বর চাইলে আয়েশা জানিয়েছিল, আগুনে পুড়ে তার বাবা-মা মারা গেছেন এবং সে নিজেও দগ্ধ হয়েছিল—এমন আবেগী গল্প শুনিয়ে সে তথ্য দেওয়া এড়িয়ে যায়। এছাড়া ঘটনার আগের দিন রোববার বাসার মূল দরজার চাবি হারিয়ে যাওয়া নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আজিজুল ইসলাম বাসায় ফিরে স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ দেখতে পান। গ্রেফতারকৃত আয়েশার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


রাজধানীতে গৃহকর্মী নিয়োগে সর্বোচ্চ সতর্কতার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে গৃহকর্মী বা কাজের লোক সেজে অপরাধ সংঘটনের প্রবণতা রোধে নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গৃহকর্মীর হাতে নৃশংস জোড়াখুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, সামান্য অসতর্কতা অনেক সময় বড় ধরনের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতীতেও গৃহকর্মী পরিচয়ে বাসায় ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা প্রতিরোধেই ডিএমপি কমিশনার নগরবাসীকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছেন।

গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নাগরিকদের করণীয় সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। কমিশনার জানান, কাউকে কাজে নিয়োগ দেওয়ার আগে অবশ্যই তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং অন্তত দুজন শনাক্তকারীর নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা সংগ্রহে রাখতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সচেতনতা ও সঠিক তথ্য সংরক্ষণই অপরাধ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করাসহ নাগরিকদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন ডিএমপি কমিশনার।


খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি, চিকিৎসকদের স্বস্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, প্রায় ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত সেরে না ওঠার ক্ষেত্রে বয়স একটি বড় বাধা। এছাড়া অতীতে কারাগারে থাকাকালীন দীর্ঘসময় সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া এবং নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর স্বাস্থ্যের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হচ্ছে না। তবে চিকিৎসকদের জন্য স্বস্তির বিষয় হলো, তাঁর শারীরিক অবস্থার নতুন করে কোনো অবনতি ঘটছে না।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড এখনই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পক্ষে নয়। গত বৃহস্পতিবার বোর্ডের এক বৈঠকে তাঁকে লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও, শুক্রবার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ ভ্রমণের উপযুক্ত না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এভারকেয়ার হাসপাতালেই তাঁকে বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড সার্বক্ষণিক তাঁর স্বাস্থ্যের তদারকি করছে। চিকিৎসকদের মতে, বিদেশে অনেক সময় জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হয়, যা দেশে দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে এখনই তাঁকে স্থানান্তর না করে দেশেই স্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে।

এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সার্বিক তদারকিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন তাঁর পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। তিনি নিয়মিত মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকে সশরীরে উপস্থিত থাকছেন এবং শাশুড়ির চিকিৎসার যাবতীয় বিষয় সমন্বয় করছেন। অন্যদিকে, কাতারের আমিরের সৌজন্যে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেডিক্যাল বোর্ড যখনই অনুমতি দেবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকায় পৌঁছাবে।

উল্লেখ্য, ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। এরই মধ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) মর্যাদা দিয়েছে এবং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।


সমসাময়িক ইস্যুতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মসূচির মাধ্যমে এই জরুরি বৈঠকের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। যদিও সংবাদ সম্মেলনের কর্মসূচিতে নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডার কথা উল্লেখ করা হয়নি, তবে জানানো হয়েছে যে উপদেষ্টা সমসাময়িক পরিস্থিতি ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন।

সম্প্রতি রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে আসিফ মাহমুদকে নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা চলছে। বিশেষ করে আগামী নির্বাচনে তিনি কোন দল থেকে অংশ নেবেন এবং প্রার্থিতা ঘোষণার আগে বর্তমান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন কি না—এসব বিষয় নিয়ে জোর গুঞ্জন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব ধোঁয়াশা কাটাতে পারেন এবং নিজের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরবেন।


দায়িত্ব পেলে আবার দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবে বিএনপি : তারেক রহমান

দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাত পরিকল্পনা ঘোষণা 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
আপডেটেড ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দুর্নীতি লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দম বন্ধ করে ফেলেছে। বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসঙ্গে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়, বিএনপি আবার সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন। তিনি তার পোস্টে দুর্নীতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিএনপি কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সে বিষয় নিয়েও লেখেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার পোস্টে লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে, তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন।’

দুর্নীতি লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দম বন্ধ করে ফেলেছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি আরও বলেন, ‘খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই-সবকিছুর পেছনে সেই একই কারণ, দুর্নীতি।’

বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন নয় বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা বহু যুগের আলোচনার বিষয়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আমাদের সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, আর মনে করিয়ে দেয় সেই সময়টাও, যখন বাংলাদেশ সত্যিকারের অগ্রগতি করেছিল। আর সেই সময়টা এসেছে মূলত বিএনপির আমলে।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিচ্ছন্ন সরকারি সেবা আর অর্থনীতিকে মুক্ত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন, যা অনিয়ম-ক্ষমতার অপব্যবহার কমিয়ে দিয়েছিল। তারপর প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিকায়ন শুরু হয়। নতুন ক্রয় নীতিমালা, কঠোর আর্থিক আইন, শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা, আর স্বচ্ছ নজরদারি কার্যকর করা হয়।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ২০০৪ সালে দুদক গঠন। এটি এমন এক স্বাধীন কমিশন, যেখানে সরকার চাইলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক, এডিবি- সবাই বলেছিল, এটি বাংলাদেশের জবাবদিহির বড় অগ্রগতি।’

তারেক রহমান বলেন, ‘টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে, ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মানুষ নিজেরাই বলেছে, দুর্নীতি কমেছে। এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।’

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাজেট নিয়ন্ত্রণ, অডিট, ব্যাংকিং ও মানিলন্ডারিংবিরোধী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলে। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ও নিয়মের মধ্যে সরকারি স্বচ্ছ ক্রয়নীতি চালু করে, যা পরবর্তী সময়ে দেশের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতার আইনের ভিত্তি তৈরি করে। টেলিকম, মিডিয়া, বিমান পরিবহন খাতে উন্মুক্ত বাজার গড়ে তোলে প্রতিযোগিতা বাড়ানো হয়। ফলে দুর্নীতি কমে, সাধারণ মানুষের সুযোগ বাড়ে। এছাড়া প্রশাসনের জটিলতা কমিয়ে এবং জবাবদিহি বাড়ানোর মাধ্যমে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশে এমন কিছু বড় পরিবর্তন ঘটেছে, যার জন্য তার দল গর্ব করতে পারে। দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে।’

আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও শক্তভাবে চালাতে বিএনপির কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরেন তারেক রহমান। সেগুলো হলো—

১. প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা: আদালত, দুদক, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সেবা; কেউই যেন রাজনৈতিক চাপের মধ্যে না থাকে।

২. পুরোপুরি স্বচ্ছতা: উন্মুক্ত দরপত্র, সম্পদ বিবরণী, রিয়েল–টাইম অডিট ও শক্তিশালী তথ্য অধিকার আইন।

৩. বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংস্কার: পেশাদার পুলিশিং, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ।

৪. ই-গভর্ন্যান্স: লাইসেন্স, জমি, পেমেন্ট- সব অনলাইনে এনে ঘুষের সুযোগ কমানো (বিশ্বমান অনুযায়ী ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ দুর্নীতি কমতে পারে)।

৫. হুইসেল ব্লোয়ার সুরক্ষা: অনিয়ম ফাঁস করতে যারা সাহস দেখায়, তাদের নিরাপত্তা প্রদান।

৬. নৈতিক শিক্ষা: স্কুল-কলেজ থেকেই সততার চর্চা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা।

৭. শক্তিশালী আর্থিক নজরদারি: ডিজিটাল ব্যয় ট্র্যাকিং ও স্বাধীন অডিট এবং সংসদের কঠোর তদারকি।


তফসিল ঘোষণার পর আন্দোলন না করার আহ্বান, কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ এবং আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্পষ্ট করেছেন যে, দেশ এখন নির্বাচনমুখী হওয়ায় সব দাবি-দাওয়া আপাতত স্থগিত রেখে তা পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে উপস্থাপন করা উচিত।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনী জোরালোভাবে কাজ শুরু করবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে রেকর্ডসংখ্যক দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন কোনো বেআইনি সমাবেশ বা আন্দোলন কঠোরহস্তে দমন করা হবে এবং যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়াবেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গত দেড় বছরে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন বা বিক্ষোভ হয়েছে এবং সরকার যৌক্তিক দাবিগুলোর ক্ষেত্রে সবসময় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে। তবে বর্তমান সময়ে কেউ যেন দাবি-দাওয়ার নামে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত না করেন, সে বিষয়ে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।


আইজিপির অপসারণ ও পিন্টু হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ‘শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ’। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করলে গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পিন্টু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করছেন এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।

অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনেও প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে চিকিৎসার বদলে পিন্টুকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে তার চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এমনকি আদালতের নির্দেশ থাকার পরও তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা থেরাপি দেওয়া হয়নি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে, শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিক আহমেদ ডলার দাবি করেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলায় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম আসার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আইজিপিকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। পিন্টু হত্যার দ্রুত বিচার এবং আইজিপির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার আইজিপির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তাদের এই দাবি অব্যাহত থাকবে।


banner close