সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নির্ধারিত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রিতে এখনো অনীহা

ছবি: ফোকাস বাংলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০২৪ ২৩:০৪

রাজধানীর খিলগাঁও বাজারে নিয়মিত বাজার করেন বেসরকারি চাকরিজীবী এনামুল খান। রোজার দিনে ইফতারের কিছু সময় আগে বাজারে এসে পরিবারের প্রয়োজন মতো পণ্য নেওয়া আর পকেটের হিসাবে তিনি কোনোভাবেই মেলাতে পারছেন না। ইফতারের জিনিস কিনতে গেলে পরিবারের অন্য জিনিস কিনতে পারছেন না, আবার পরিবারের অন্যান্য জিনিস কিনতে গেলে ইফতারের পণ্য কেনা বাদ দিতে হচ্ছে। সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলার সময় তিনি বেশ কষ্ট নিয়েই নিজের অভিমানের ক্ষোভটা ঝাড়লেন। বললেন, ‘টাকার পরিমাণ বড় হচ্ছে, দিনকে দিন পণ্যের সাইজ ছোট হচ্ছে। বাজারে এসে দু-তিনটা জিনিস কিনে ১ হাজার টাকার একটা নোট ভাঙালেই সেটা কয়েক মিনিটে হাওয়া হয়ে যায়। দোষটা মনে হয় আমাদেরই। আমরা কেন খাই? না খেলেই সব ঝামেলা চুকে যেত!’

শহরের অন্য আরেক এলাকা হাতিরপুল বাজার। সেখানে মাছের বাজারে কথা হয় স্বল্প বেতনে চাকরি করা মধ্যবয়সি খালেক আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারে কোনো জিনিসের ওপর একটা দাম স্থির থাকে না। আজ দেখে যাই এক দাম, কাল আসলে হয়ে যায় আরেক দাম। আমার কথা হচ্ছে- কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সেটা তো পাইকারি মার্কেট থেকে খুচরা বাজারে আসতে দু-এক দিন সময় লাগে। তাহলে কোন দৈত্য রাতের মধ্যেই দোকানে স্টক থাকা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় জানতে চাই। রমজানে পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম দেশে পণ্যের দাম কমে, আর আমাদের দেশে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতা করে সব পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। সরকারের আসলেই কোনো নিয়ন্ত্রণই নাই বাজারে। সংবাদমাধ্যমে দেশের নীতিনির্ধারকদের কথা, আর বাজারে পণ্যের দাম সবাই আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

নগরীর এই দুই বাজারের মতোই আজ সারা দেশের বাজারে ক্রেতাদের এমন দৃশ্য বলা যায়। বাজার করতে গিয়ে মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস অবস্থা বলা যায়। আজ শুক্রবার পবিত্র রমজান মাসের ১১তম দিনে শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছ, মাংসের দাম বাড়ছেই। রোজার সময় ফলের বাজারের দামেও প্রতিদিন ভীষণ ওঠানামা। কয়েকদিন আগে সরকার ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে। তবে সেই দামে মিলছে না বেশিরভাগ খাদ্যপণ্য। সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রিতে ভীষণ অনীহা খুচরা বিক্রেতাদের। তাদের আছে কেবল অজুহাত আর অজুহাত।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে সবচেয়ে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শজিনা ও বরবটি। এগুলো ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজি ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে গরু-খাসি-মুরগিসহ সব ধরনের মাংস বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, দুয়েকটি সবজির দাম কমলেও বেশির ভাগ সবজিরই মৌসুম অনুযায়ী দাম বাড়তি রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে গরু-খাসি-মুরগিসহ সব ধরনের মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে আমরা যেমন দামে কিনতে পারি, সেই হিসাবেই খুচরা বাজারে বিক্রি করি।

বাজারে করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল কেজি ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মুলার কেজি ৪০ টাকা, শসা ৩০-৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া কেজি ৩০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আজ মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৮০ টাকা, লাল ও সাদা আলু ৪০ টাকা, নতুন দেশি রসুন ১২০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ২২০, চায়না আদা ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম আবারও কমেছে ১০-২০ টাকা। আর দেশি রসুনের দাম কমেছে ৩০ টাকা এবং চায়না রসুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ২০০০-২৮০০ টাকা, রুই মাছ ৪৫০-৫৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৫৫০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৯০০-১৫০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকা, কৈ মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, বেলে মাছ ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১৩০০ টাকা, কাজলী ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আজ মুদি দোকানের পণ্যের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত। তবে এক লাফে ৪০ টাকা বেড়ে গেছে খেসারির ডালের দাম। ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে খেসারির ডাল ছিল ১৬০ টাকা কেজি, গতকাল তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি।

অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাংসের দামই বাড়তি যাচ্ছে। কিছুদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খাসি প্রতি কেজি ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও, এটির এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা দরে। যা রোজার আগেও ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়ে প্রতি কেজি এখন ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কক মুরগি প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ২৯ পণ্য

রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরে শুল্ক-কর কমায় সরকার। এরপরও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি। রমজান মাসকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে সম্প্রতি গরুর মাংস, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেয় সরকার। তাতেও সুফল মেলেনি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে কোনো পণ্যই মিলছে না।

এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই এমন অভিযোগ তাদের। ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলছেন, শুধু দাম নির্ধারণ করে দিয়েই দায় সারছে সরকার। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে সরকার শুধু কঠোর হুঁশিয়ারির কথা বলে কিন্তু তার প্রয়োগ নেই বাজারে। নিয়মিত তদারকি বাড়ানো, প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও সক্রিয়ভাবে বাজার মনিটরিংয়ে নামানোর দাবি জানান তারা।

স্বস্তি নেই ফলের বাজারেও

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ছোঁয়া লেগেছে ফলের বাজারে। রমজান মাসে ফলের চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম নিয়ে একরকম অস্থিরতায় আছেন ক্রেতারা। কেউ দিচ্ছেন সিন্ডিকেটের দোষ, আবার কেউবা দোষ দিচ্ছেন শুল্ক বা ডলার ক্রাইসিসের দিকে।

রাজধানীর খিলগাঁও, বাসাবো, মাদারটেক, সিপাহীবাগসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সব ধরনের ফলের দামই অনেক বেশি। বিশেষ করে রমজান মাস আসার পরই এসব ফলের দাম বেশি হয়েছে। যেই আপেল রমজানের আগে বিক্রি হতো ২৪০-২৬০ টাকায় সেই আপেল রমজানের শুরু থেকেই বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকায়। এভাবে বাজারে থাকা সব ধরনের ফলের দামই এখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। তাই তো বেশির ভাগ ক্রেতারা কেজি হিসেবে ফল না কিনে পিস হিসাবে কিনতে দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস মাঝারি সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আপেল মানভেদে ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। নাশপাতি ৩২০ টাকা, ছোট কমলা ২৬০ টাকা। ডালিম ৪২০-৪৫০ টাকা, আঙুর ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা, মাল্টা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। এক হালি কলা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।

চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার

চট্টগ্রাম নগরের কাঁচাবাজারে ৪০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না অধিকাংশ সবজি। দাম বেড়েছে মাছ-মাংসেরও। রোজার মধ্যে বাড়তি দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার বেশ কিছু নিত্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও তা মানার ব্যাপারে অনীহা খুচরা বিক্রেতাদের। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আলু ২৮ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ২৮ টাকা, ফুলকপি ২৯ টাকা, বেগুন ৪৯.৭৫ টাকা, শিম ৪৮ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২৩ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা।

নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কর্ণফুলী কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজারে গতকাল শুক্রবার আলু ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শিম ৫০-৫৫ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এ ছাড়া গাজর ও শসা ৪০ টাকা, পেঁপে ও ধনেপাতা ৫০ টাকা, ধুন্দল, ক্ষিরা ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স, বরবটি ও তিতকরলা ৮০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, সবুজ কেপসিকাম ১০০ টাকা, শিমের বিচি ৭০ টাকা, লেটুস পাতা ১০০ টাকা, এক ডজন লেবু ১২০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শাক নেই ২০ টাকার নিচে।

অধিদপ্তরের তালিকায় খুচরা মূল্য না গরুর মাংস ৭০০-৯০০ টাকা, ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা কেজি দরে। কাতাল ৩৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা, রুই ২৫০-৩৩০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, সুরমা ৩২০-৬৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, রূপচাঁদা আকারভেদে ৬০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজনের দাম পড়ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

তবে ভারত থেকে আমদানির খবরে কমেছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকা। আদা ও রসুনের কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। ছোলা ৯৫-১০৫ টাকা, খেসারি ডাল ১২০-১২৫ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা, লবণ ৪০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৫-১৭০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬০ থেকে ৬৭ টাকা, সাধারণ মানের খেজুর ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা। নাজিরশাইল ও সরু চাল ৬২ থেকে ৭৫ টাকা, পাইজাম ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, স্বর্ণা ও ইরি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা দরে।

রমজানে চট্টগ্রামে সব পণ্যের অবাধ সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ৪০টি বাজার, মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট ও কালোবাজারি রোধে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক।


দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৫ ১৪:২৯
ইউএনবি

থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১টা ২৫ মিনিটে থাই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। রাত তিনটার দিকে তিনি বিমানবন্দর ছাড়েন বলে বিমানবন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ৮ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ।

আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে (প্রশাসন) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এছাড়া এই ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম ও এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।


নরসিংদীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদীর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গত ৯ জুন সোমবার রাত ৩ ঘটিকার সময় নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র‌্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী এর অভিযানে শিবপুর থানাধীন কারারচর এলাকার এপেইস ফিলিং স্টেশনের সন্নিকটে একটি প্রাইভেটকার আটক করে এবং এর ভিতর থেকে ৯ হাজার ৭শত ৫০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, দুটি মোবাইল সেট ও মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মো: মানিক মিয়া (৪৮) পিতা: মো: আব্দুল বারিক সাং-চাউরা, থানা-বিজয়নগর-জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার জুয়েল রানা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ধৃত: আসামী মানিক মিয়া জানায়, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট সরবরাহ করে আসছিলো। এব্যাপারে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


দেশের ৬ অঞ্চলে তাপপ্রবাহ, আরও গরম বাড়ার সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের ৬ অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বিভাগসহ ফেনী ও ময়মনসিংহ জেলায় প্রচন্ড গরম। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টা এমন অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে। ফলে দেশজুড়ে গরমের অনুভূতি আরও কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এমন অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে ওইদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। ওইদিনও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।

অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।


ইউনূস-মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই উৎসব ত্যাগ, উদারতা ও ঐক্যের চেতনায় মানুষকে একত্রিত করে—এমন অভিন্ন বার্তা উঠে এসেছে দুই নেতার শুভেচ্ছাবার্তায়।

গতকাল রোবরার অন্তর্বর্তী সরকারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উভয় নেতার শুভেচ্ছাবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার ( ৬ জুন) মোদিকে পাঠানো চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার এই চেতনা আমাদের দুই জাতিকে জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদুল আজহা হচ্ছে এমন একটি সময়, যা মানুষকে আত্মবিশ্লেষণের সুযোগ দেয় এবং বৃহত্তর মানবিকতার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।’

প্রধানমন্ত্রী মোদির চিন্তাশীল বার্তা, আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদের অভিনন্দন তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আপনাকে ও আপনার মাধ্যমে ভারতের জনগণকে এই পবিত্র উপলক্ষে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’

এ ছাড়াও, মোদির সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং ভারতের জনগণের জন্য শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন অধ্যাপক ইউনূস।
এর আগে, ৪ জুন বাংলাদেশের জনগণ ও অধ্যাপক ইউনুসকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি।

তিনি বলেন, ‘এই পবিত্র উৎসব ভারতের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশব্যাপী ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোটি কোটি মানুষের মধ্যে বিপুল আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত হয়।’

শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেটি একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’

এ ছাড়া, বার্তায় তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনাও করেন।


আজ যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চার দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।

এছাড়া বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিগবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানিয়েছে, তাঁর এ সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।

আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


কাল থেকে সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

গত বুধবার (৪ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আজ রোববার নির্দেশনার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৯ জুন ৯ ২০২৫ খ্রি. সোমবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’


মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে ফুলবাড়িয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও এক সময়ের জনপ্রিয় খেলা হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার (৮ জুন) বিকেলে উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের খালইপুড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে সূর্য তরুণ যুব সংঘের বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিলুপ্তপ্রায় এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

খোরশেদ আলম আকন্দ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোমেনশাহী ল কলেজের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এড. রেজাউল করিম চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জের একসময়কার জনপ্রিয় পুরনো এ খেলাটি গ্রামের কাঁচা রাস্তায়, মাঠ, বাগানে বা খোলা স্থানে জমজমাট ও উৎসবমুখর পরিবেশে হতো। কালের বিবর্তনে এই খেলা এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। তাই জনপ্রিয় এ খেলাটি টিকিয়ে রাখা এবং নতুন প্রজন্মকে খেলাধূলায় উজ্জীবিত করায় তিনি সূর্য তরুণ যুব সংঘকে অভিনন্দন জানান।

এ খেলায় ঢাকা একাদশকে হারিয়ে গ্রাম একাদশ বিজয় লাভ করেন। পরে বিজয়ীদলকে পুরস্কার হিসেবে একটি খাসি উপহার দেওয়া হয়। এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতি ফুলবাড়িয়া শাখার সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান বিএসসি, এডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন, ডা. রফিকুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম প্রমুখ।

নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি উপভোগ করতে খালইপুড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে বিপুলসংখ্যক দর্শক ও ক্রীড়া প্রেমী জড়ো হয়।


সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক।

এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।’

তিনি বলেন, ‘অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।’


গরীবের দরজায় ইউএনও রাসেল, হাতে নিয়ে কুরবানির মাংস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শান্ত শিফাত, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি

ঝিনাইগাতীতে ঈদ-উল-আজহার পরদিন, ৮ জুন রবিবার, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো: মোখতার আহমদে এর মহতী উদ্যোগে এবং ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব আশরাফুল আলম রাসেলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় ও দরিদ্র ১৫০টি পরিবারের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়।

এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদীগ্রাম, নয়া রাংটিয়া, ভারুয়া, পূর্ব গজারীকুড়া আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের ১২০টি পরিবার এবং উপজেলার অন্যান্য এলাকার আরও ৩০টি পরিবার এই সহায়তা পান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল—প্রত্যেকটি পরিবারের দরজায় গিয়ে ইউএনও নিজ হাতে কুরবানির মাংস তুলে দেন এবং প্রত্যেকের সাথে আন্তরিকভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছগ্রামের এক মহিলা বলেন, “আমি তো ভাবছিলাম, আমাগো কথা কে ভাবে? কিন্তু স্যার যেইভাবে সামনে আইস্যা ডাক দিল আর মাংসের প্যাকেট হাতে দিয়ে ঈদ মোবারক কইলো, মনডারে বইলা বোঝানো যাইবো না। দোয়া করি, আল্লাহ যেন ইউএনও স্যারকে সব সময় গরিব-দুখির লগে থাকার তৌফিক দান করেন।”

ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “ঈদের আনন্দ যেন প্রান্তিক ও অসহায় মানুষদের মাঝেও পৌঁছে যায়, সেটাই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাইনি কেউ এই উৎসব থেকে বাদ পড়ে থাকুক।”

এই ব্যতিক্রমধর্মী ও মানবিক উদ্যোগে কেবল খাবার নয়, পৌঁছে গেছে ভালোবাসা, সম্মান ও রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী একজন কর্মকর্তার সরাসরি উপস্থিতি—যা ওইসব মানুষের জন্য ছিল এক অনন্য অনুভূতি।

স্থানীয় বাসিন্দারা ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল মহোদয়ের এ আন্তরিক প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, এমন মানবিক প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড মানুষকে রাষ্ট্রের প্রতি আস্থাশীল করে তোলে।


মানিকগঞ্জে যমুনার গর্ভে বিলীন তিনতলা স্কুলভবন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা,বাঘুটিয়া,চরকাটারী ইউনিয়নে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ফলে প্রবল ¯্রােত ভাঙ্গনে করাল গ্রাসে শনিবার ঈদের দিন দুপুরে বাচামারা ইউনিয়নের নিজ ভারাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলা পাকা ভবন নদী গর্ভে তলিয়ে যায় । সেই সাখে গত এক সপ্তাহে কয়েক শত ঘরবাড়ি বসতভিটা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । স্কুল ভবন নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় ঐ বিদ্যালয়ের কমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের লেখা পড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।

নদীপাড়ের মানুষ স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করলেও বর্ষার শুরুতেই তাদের ভাঙন আতঙ্ককে প্রহর ঘুনতে হচ্ছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীপাড়ে ভাঙন শুরু হলে ঘরবাড়ি বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।স্থানীয় পানি উন্নয়ন অফিস ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ হাজার জিও ব্যাগ ফালানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে,মানিকগঞ্জের বুক চিরে বয়ে গেছে পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতী, গাজীখালিসহ ১৪টি নদী।ভাঙন আতঙ্ক নদী পাড়ের মানুষেরে এযেন নিত্য দিনের সঙ্গি। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীপাড়ে ভাঙন শুরু হলে ঘরবাড়ি বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

জানা গেছে,দৌলতপুর উপজেলার চর কালিয়াপুর,বাঘুটিয়া, ভারাঙ্গা,রংদারপাড়া,বিষ্ণপুর,রামচন্দ্রপুর,আবুডাঙ্গা পূর্বপাড়া,চরকাটারি বোর্ডঘর বাজার,চরকাটারি সবুজসেনা হাইস্কুল,বাচামারা ইউনিয়নের চরভারাঙ্গা সরকার পাড়া,মজম শেকের পাড়া,বাচামারা পশ্চিম পাড়া,উত্তরখন্ড,সুবুদ্ধি,বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাচুরিয়া , বাঘুটিয়া বাজার,পারুরিয়া বাজার,রাহাতপুর, জিয়নপুর ইউনিয়নের বৈন্যাঘাট,লাউতাড়া,লাউতাড়া আশ্রয়ন কেন্দ্র ,চকবাড়াদিয়া, চকমিরপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গা রামচন্দ্রপুর,রামচন্দ্রপুর নতুন পাড়া, হাতকোড়া খলসী ইউনিয়নের চরমাস্তল,বিষ্ণপুর খাঁপাড়া,পার মাস্তলসহ ২৮ টি এলাকা নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ।

দৌলতলপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো : গোলাম ইয়াছিন জানান,রাহুতপুর এলাকায় বালুমহল ইজারার নাম করে বাঘুটিয়া এলাকায় নদী থেকে বালু উত্তলোন করায় প্রতি বছর ভাঙন দেখা দেয়।এতে আমাদের গ্রামের কয়েকশ পরিবারকে অপূরনীয় ক্ষতির মূখে পড়তে হয়।বালু না কাটলে আমাদের এলাকায় নদী কিছুটা কম ভাঙবে।

বাচামারা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো: ওয়াজেদ আলী সরকার বলেন, নদীতে প্রবল ¯্রােত ২/৩ দিনে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে । চোখের পলকে নিজ ভারাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলা পাকা ভবন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে তলিয়ে গেলো । ভাঙনরোধে সরকারের কাছে ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, নদীপাড়ের ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলোর ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ হাজার জিও ব্যাগ ফালানোর কার্যক্রম শুরু করা হবে।এছাড়া নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে ও কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিয়ান নুরেন জানান, শুক্রবারে নিজভারাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নদী ভাঙ্গনের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা প্রকৌশলীকে জরুরী ভিত্তিতে স্কুল ভবন নিলাম দেয়া যায় কিনা ব্যবস্থা প্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল । উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন কিন্তু ভাঙ্গনের ফলে ভবনটি অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় কোন কুলকিনারা করতে পারেনি । খ্বর পেয়েছি ঈদের দিন ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ।


ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের একাংশের স্ক্রিনশট
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ‘ভুল–বোঝাবুঝির’ অবসান করতে চান যুক্তরাজ্যের সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিক। তাই অধ্যাপক ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরের সময় তাঁর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

টিউলিপের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনেছে কর্তৃপক্ষ। গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে শোরগোল হয়েছে। এর মধ্যে টিউলিপ কিংবা তাঁর মায়ের (শেখ রেহানা) বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের প্লট নেওয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ রয়েছে।

টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, এসব অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। এর কোনো ভিত্তি নেই। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে না বলেও অভিযোগ টিউলিপের।


ঈদের ফিরতি যাত্রায় রেলযাত্রীদের মাস্ক পরার অনুরোধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পবিত্র ঈদুল আজহার পর ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ–পরবর্তী ট্রেনযাত্রায় সব যাত্রীকে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।


১৩ জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা, হতে পারে বৃষ্টিও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গতকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিন রাজধানীসহ দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আবার গতকালই দেশের অন্তত ১৩ জেলায় বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ রোববার এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরই সঙ্গে কিছু স্থানে বৃষ্টিও হতে পারে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসবে আজ। এটি বাড়তে পারে আগামী বুধবার থেকে।

গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ রোদে ঝলমলে ছিল। কিন্তু দুপুর ১২টার দিক থেকেই আকাশে মেঘ জমে। দুপুর ১২টার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বেলা তিনটা পর্যন্ত রাজধানীতে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এটি গতকালের দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি। গতকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে—৩৪ মিলিমিটার। গতকাল বগুড়া, ময়মনসিংহ ও বরিশালের কিছু স্থানেও বৃষ্টি হয়। তবে এই বৃষ্টির মধ্যেও গতকাল খুলনা বিভাগের সর্বত্র এবং রাজশাহী, রংপুর ও পঞ্চগড় জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় খুলনায়—৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর এখন কম সক্রিয়। তাতে এখন বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে।

গত মে মাসের শেষ এবং চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। মে মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। এরই মধ্যে ২৪ মে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত এক সপ্তাহ আগে দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। এ দুয়ের প্রভাবে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। বৃষ্টি বাড়লেও গরম কিন্তু কমছে না। এর কারণ প্রসঙ্গে বাতাসের প্রচুর আর্দ্রতার কথা জানায় আবহাওয়া অফিস।


banner close