শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

ফাইল ছবি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৩০

দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থান নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আজকের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা আছে, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সোমবার সকালে ছিল ৮৫%।


সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। আগামীকাল রোববার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রধান লক্ষ্য ছিলো এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সকল দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব।”

শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাসমূহ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনি। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরও টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।’

শেখ হাসিনা ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’র সার্বিক সাফল্য এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।


থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

শুক্রবার ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ডে সরকারি সফর চলাকালে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যাংককের একটি স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক ব্যবসায়িক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

এছাড়া আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি শুরু করতে অভিপ্রায় পত্রে (এলওআই) সই করার কথাও উল্লেখ করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো এবং বাণিজ্য ঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি প্রণীত অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট-২০২৪ এর উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিশিষ্ট থাই গ্লোবাল সুগার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সুটেক লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ফ্রেডেরিক বাংলাদেশ সরকারকে একটি বা দুটি বিদ্যমান চিনিকলকে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার পরামর্শ দেন। বিডা প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কৃষি ব্যবসা, ডিজিটাল অর্থনীতি, লজিস্টিকস এবং লাইট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রণোদনার ওপর আলোকপাত করেন।

বিশিষ্ট থাই ব্যবসায়ী এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলার গরিব-দুখী মানুষের জন্য শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ, ভালোবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সব সময় অনুপ্রাণিত করবে।

আজ শনিবার শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কে ফজলুল হক এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, কৃষকদের অধিকার আদায়ে এ কে ফজলুল হক সব সময় সোচ্চার ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থরক্ষায় কৃষি ঋণ আইন এবং প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন। জমিদাররা রায়তদের ওপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তা বিলোপ সাধন করেন। তার সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং এ উপলক্ষে গৃহীত সব অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।


সবার স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। আজ শুক্রবার আনোয়ারা বৈরাগ ইউনিয়নে ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত সময়ের চেয়েও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টিতে এখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক উন্নত। মানুষ অনেক সহজে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। তার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ কোভিডের মতো মহামারিকালে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় উপজেলায় এবং গ্রাম অঞ্চলে করোনার টিকা বিনামূল্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে বিনামূল্যে করোনাকালে টিকা পায়নি এমন অনেক রাষ্ট্রের জনগণ আছে। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।

অধ্যাপক ড. এম এ ফয়েজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক ইমন, অধ্যাপক ড. জয়নব বেগম, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মুজিবুল হক খান, অধ্যাপক আমির হোসেন, কাজী মোজাম্মেল, রাজিন দাশ রাহুল, মোহাম্মদ আজিজুল হক আজিজ, প্রণব দাশগুপ্ত, সাগর মিত্র, ডাক্তার সন্তোষ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোজাম্মেল হক, শাহাদাত হোসেন, জিয়াউদ্দিন বাবলু, আবু তৈয়ব রাসেল প্রমুখ।


ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজার, তীব্র গরমকে দুষছেন বিক্রেতারা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৫:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক

তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে দেশে। গত মার্চ মাস থেকে আবহাওয়ার এমন বৈরী আচরণে বিপাকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে বাজারে সবজি সরবরাহ কম। ফলে দাম আরও বেড়েছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সবজি সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের খেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া বারবার সেচ দেওয়ার কারণে সবজি উৎপাদনের খরচও বাড়ছে। যে কারণে গ্রামের মোকামে সবজির দাম বেশি।

অন্যদিকে বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি। এ ছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও স্থিতিশীল হয়ে আছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, নতুন দামের সয়াবিন বাজারে আসা শুরু হয়েছে। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারপ্রতি নতুন দাম ধরা হয়েছে ১৬৭ টাকা, যা আগের চেয়ে ৪ টাকা বেশি।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব সময় নাগালের মধ্যে থাকা পেঁপেও এখন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা বছরের অধিকাংশ সময় ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়া ঈদের পরে কেজিপ্রতি আলুর দাম ১৫ টাকা বেড়ে মানভেদে ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে ছিল। অন্যান্য প্রয়োজনীয় সবজির মধ্যে বেগুন ৭০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সজনে, উস্তা, করলা ও ঝিঙের মতো সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা মুক্তার হোসেন বলেন, সবজির সরবরাহ কম। গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জের মোকামগুলোতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অধিকাংশ সবজির দাম ৮-১০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে। সেভাবে ঢাকার বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও ৬০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে লেবুর চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

ঈদের পর দাম বেড়েছে অন্যান্য উপকরণেরও। বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। গত বছরের এই সময়ে দেশি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দামে অবশ্য গত এক সপ্তাহে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিদেশি রসুনের দাম এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। তবে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে।

ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দাম কমেনি। কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে।

তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অবশ্য সামান্য কমেছে। আড়াইশ টাকার আশপাশ থেকে নেমে এসেছে কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। তবে উল্টো চিত্র ডিমের বাজারে। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া বাজারে ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৪০০-১৬০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৫৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৮০-৫৫০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০-৭০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১২০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকা, কৈ মাছ ৩০০-৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০-১১০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবকিছুর দাম বাড়তে থাকলেও মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। প্যাকেট পোলাউয়ের চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাউয়ের চাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মুসরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৯০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ডাবলি ৮০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৩৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


অক্টোবরে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর এই প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। তবে এর আগে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২৫ সালে প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সব কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে চলেছে। পরে দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে পরের বছর ২০২৬ সালে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, এ প্রকল্পটি চালু করার সময় যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, তা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে নেওয়া হবে। প্রকল্প এলাকায় এই বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে। এর প্রথম অংশের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। অক্টোবরের আগে বাকি কাজও শেষ হবে।
চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার আগে আগামী অক্টোবরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার দিকে যাচ্ছি। অক্টোবরে প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন (রোসাটম)। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত থ্রিজি(+) ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জ্বালানিও সরবরাহ করবে রাশিয়া। গত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে রাশিয়া। প্রকল্পটি চালুর পর ৫-৬ বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাই এটি পরিচালনা করবেন। পরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

ইতোমধ্যে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আরও প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য রাশিয়ায় প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর এর পরিচালনার কাজে যুক্ত হবেন।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমাদের টিম ওয়ার্ক ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে জ্বালানি আসা পর্যন্ত সব কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আরও বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর তারা কাজ করবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুইটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট অর্থাৎ দুইটি ইউনিট থেকে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

এদিকে, প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর এই একই স্থানেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়া। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোসটামের প্রধানের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আলোচনাও শুরু হয়েছে।


পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনা ও অস্ত্র-গোলাবারুদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত আইজিপি মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, সারা দেশের সব থানায় কমপক্ষে তিনটি সেইন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া থানা কিংবা পুলিশের যেকোনো স্থাপনায় হামলার শিকার হলে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে তার নির্দেশনা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা বান্দরবানে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন এড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত আইজিপি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বান্দরবানে অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সব ইউনিটে অ্যালার্ম প্যারেডের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া নির্দেশনার মতো ঢাকা মহানগর পুলিশও থানা ও পুলিশের স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে। গত ২৩ এপ্রিল সার্কুলারটি জারি করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির সার্কুলারে বলা হয়,প্রত্যেক থানায় কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। তবে বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। রাতে ডাবল সেন্ট্রি ডিউটি মোতায়েন করতে হবে।

অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশের ছুটি বা অন্যত্র দায়িত্বে না রাখার বিষয়ে খেয়াল রাখা। বাইরের কারও দেওয়া খাবার না খাওয়া। অস্ত্রাগার সুরক্ষিত রাখা। রাতে নির্দিষ্ট সময় পর থানায় বাইরের কেউ প্রবেশ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে চেকিং এবং সতর্কতার সঙ্গে প্রবেশ করতে দেওয়া।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির জন্য নয়, সবাই সতর্ক রাখার জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


যুবলীগের রাজনীতি নিপীড়িত মানুষের স্বার্থে: শেখ পরশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘যুবলীগ সর্বদা নিপীড়িত মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করে। তাই আজকে যখন তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের কষ্ট হচ্ছে, তখন আমাদের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে নেই। আমাদের নেত্রী সেই শিক্ষা দেয়।’

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের জন্য ঢাকা মহানগরীর ৩৫টি স্থানে একযোগে সুপেয় পানি সরবরাহ ও সচেতনতামূলক লিফলেট এবং কয়েকশ ছাতা বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

ফার্মগেট (আনন্দ সিনেমা হল সংলগ্ন) স্থানে কর্মসূচির উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজেল শামস্ পরশ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদেরকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন সুপেয় পানি দিয়ে, আপনাদের তৃষ্ণা মিটাবার জন্য, আপনাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য। তেমনি তিনি বিশ্ব দরবারে শান্তির দূত হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। তিনি গাজায় নিপীড়িত-শোষিত মানুষের অধিকারের কথা বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেছেন। তিনি যুদ্ধ বন্ধের জোর দাবি তুলেছেন এবং সকল যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তাই শেখ হাসিনা মানবতার নেত্রী। তিনি বলেছেন যুদ্ধে যা খরচ করা হয় তা যদি পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা হয় তাহলে মানুষের অনেক মঙ্গল হয়।’

শেখ হাসিনা রাষ্ট্র দায়িত্বে আছে বলেই হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলার ইতিহাসে আওয়ামী লীগই একমাত্র স্থিতিশীল, সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম রেখেছে। গত ১৫-১৬ বছরে ধারাবাহিকভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সব অপচেষ্টা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিহত করেছি। বর্তমান সরকার স্থিতিশীল বলেই দেশে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন হয়েছে, বিস্ময়কর উন্নয়নমূলক অর্জন সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার মতো একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন বলেই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে সমীহ অর্জন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বে শেখ হাসিনার সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য প্রশংসা পাচ্ছে। গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল পরিবেশ বিদ্যমান আছে বলেই আমরা পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলের মতো মেগা প্রজেক্ট সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে।’

সুপেয় পানি ও লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।


মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশ শিক্ষা ছাড়া উন্নতি করতে পারেনি। উচ্চশিক্ষা, জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতাই একটি জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়। যেকোনো দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আজ শুক্রবার শেরাটন হোটেল, বনানী ঢাকায় ‘স্টাডি ইন মালয়েশিয়া-এডুকেশন ফেয়ার, বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক সময়ের দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, লোডশেডিংয়ের বাংলাদেশ আজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করায় দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন অর্জনে দক্ষ ও স্মার্ট মানব সম্পদ অপরিহার্য। সে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষাই আমাদের অগ্রসর করবে।’

উল্লেখ্য, এই শিক্ষা মেলায় মালয়েশিয়ার খ্যাতিমান ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি হসপিটাল গ্রুপের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছে। এই শিক্ষা মেলার ফলে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার শিক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বিনিময় ও সহযোগিতার সেতুবন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।


মাদক রোধে মরিশাসে সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলাবিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গত বৃহস্পতিবার মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্টে এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

মরিশাস আয়োজিত সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ওপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো- তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ ও আন্তসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার ও সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ওষুধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো, সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি ও আন্তসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত ও ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্র করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশি ও কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো, ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা ও নবায়ন, আইনি কাঠামো ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি ও জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ওপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহীত হয়।


‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে’

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন আজ শুক্রবার তার দপ্তর গভর্নমেন্ট হাউসে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের বাণিজ্য ও বিনিযোাগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগ এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।’

এর আগে দুই নেতা একান্তে বৈঠক করেন এবং তারপর তারা সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।

দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেখানে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়। এসবের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্বারক এবং একটি আগ্রহপত্র রয়েছে।

মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগসহ বহুমুখী সহযোগিতার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন এবং তিনি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে এবং দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে মিথস্ক্রিয়াকে আরো উৎসাহিত করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছি। একইভাবে, আমাদের অবশ্যই দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের প্রচার ও সুবিধার্থে আমরা অবশ্যই সকল প্রচেষ্টা চালাবো।’

তিনি বলেন, ঢাকা ও ব্যাংকক আজ যে সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে তা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো দাঁড় করানোর সুযোগ করে দেবে।

তাঁর সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ সফর ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ যা দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরো নবায়ন করার একটি চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গতি প্রদান করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতিকে ধরে রাখতে হবে।’

মধ্যাহ্নভোজ সভায় যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে একটি থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।


২ মে থেকে সারা দেশে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২ মে থেকে পরবর্তী কয়েকদিন সারাদেশেই বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলমান তাপদাহ এপ্রিলের বাকিটা জুড়ে চলবে। ঢাকাসহ তাপদাহ চলমান এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তবে, মে মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশের আকাশে মেঘের উপস্থিত বাড়বে এবং ২ মে থেকে সারা দেশে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তখন গরমের তীব্রতা অনেকটাই কমে আসবে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চলমান হিট অ্যালার্ট ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং তা বাড়তে পারে মে মাস পর্যন্ত।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা ওঠে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি।

এদিকে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙলো চুয়াডাঙ্গা। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে জেলা ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।


দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা বিনিয়োগে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:১৪
ইউএনবি

বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণের প্রস্তাবও দিয়েছি।’

আজ শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেতা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথি- ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও ১টি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), সই করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দু'দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার গতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখি।’

বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান আয়তন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং সুস্থ দ্বিমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) আশ্বস্ত করেছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করার ও শুধুমাত্র থাইল্যান্ডের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।’

উভয় পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু'দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করেছেন।

কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য এরই মধ্যে দুই দেশের একটি চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, থাই ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে মসৃণ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা ও ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনাময় অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে সই করা জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হচ্ছে দ্বিতীয় নথি।’

শুল্ক বিষয়ক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘থাইল্যান্ডের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সেরা পর্যটন পদ্ধতি থেকে উপকৃত হতে আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।’

তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করেছে।

সমুদ্রপথে যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই পক্ষ রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ 'ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প' বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।’

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেন।

চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- বিমস্টেক ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।’

তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে থাভিসিন তাকে স্বাগত জানান এবং তারপর থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান।


banner close