বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মন্তব্য প্রতিবেদন

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সুযোগে বুয়েটে মৌলবাদের উত্থান!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৮
ফারাজী আজমল হোসেন
প্রকাশিত
ফারাজী আজমল হোসেন
প্রকাশিত : ৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৮

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ওই বছরের ১১ অক্টোবর সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোপনে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দেশবিরোধী কিছু মৌলবাদী সংগঠন।

আর তাদের মতের সঙ্গে না মিললেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুলিং-র‍্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি গত ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন হলে ইফতার বিতরণ করার কারণে কিছু শিক্ষার্থীর এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এমন উদ্বেগজনক অভিযোগের কথা জানালেন।

তারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেই বা পরিচয় থাকলে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়; পরিবার নিয়েও অশালীন মন্তব্য করা হয় অনলাইন ও অফলাইনে। বিষয়গুলো নিয়ে কেউ সামান্যতম প্রতিবাদ করতে চাইলে ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে তাকে বুয়েট থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।

এমন পরিস্থিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের লাভের গুড় যাচ্ছে কার ঘরে? দেশের অন্যতম মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের এই বিদ্যাপীঠে রাজনীতি বন্ধের সুযোগে তবে কি মৌলবাদের আখড়ায় পরিণত হবে!

আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করে। তবে ক্যাম্পাসে গোপনে কার্যক্রম চালায় ইসলামী ছাত্রশিবির ও হিজবুত তাহরিরসহ মৌলবাদী ছাত্রসংগঠনগুলো। মসজিদ কিংবা বিভিন্ন আড্ডায় সাংগঠনিক সভায়ও মিলিত হন এসব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সুনামগঞ্জের হাওরে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে বুয়েটের প্রাক্তন এবং বর্তমান ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তাররা সবাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। শিবিরের বুয়েট শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক আফিফ আনোয়ারও ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। বর্তমানে তারা সবাই জামিনে রয়েছেন। কিন্তু থেমে নেই তাদের তৎপরতা। হাতেনাতে ধরা পড়ায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও ভেতরে ভেতরে রাষ্ট্রবিরোধী মৌলবাদী, জঙ্গিবাদভাবাপন্ন সংগঠন বুয়েটে বহু কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

তাদের মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনগুলোর অনুসারী ও নেতা-কর্মীরা মুখে মুখে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কথা বললেও আদতে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছেন সন্তর্পণে। তারা তাদের স্বার্থে আবরার হত্যার আবেগকে কাজে লাগাচ্ছে।

গত ২৭ মার্চ বুয়েট ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্বরে আসেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও দপ্তর সম্পাদকসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। এর দুই দিন পর শুক্রবার বিকেলে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা লঙ্ঘন করে পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম ছাত্রলীগ নেতাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। ওই দিন রাতেই হলের সিট বাতিল করা হয় ইমতিয়াজের। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এর সঙ্গে নতুন করে তারা আরও চারটি দাবি যুক্ত করেন। মোট পাঁচ দফা দাবিতে তারা এখন আন্দোলন করছেন।

ক্রিয়াশীল ছাত্ররাজনীতির স্বর্ণালী ইতিহাস সবার জানা। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, রক্ষা ও বাস্তবায়নে ছাত্ররাজনীতির ভূমিকা অপরিসীম। শুধু তাই নয়, দেশের সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িকতা, সমতার সমাজ গঠনে দেশকে বারবার পথ দেখিয়েছে এই ছাত্ররাজনীতি। বুয়েটের ভূমিকাও সেখানে উল্লেখযোগ্য। তবে বারবার বুয়েটে সেই পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের অন্যতম মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিরাজনীতিকীকরণের নামে মৌলবাদ নিজেদের ঘাঁটি গড়েছে সেখানে। যার মধ্য দিয়ে ছাত্রশিবিরের মতো সহিংস সংগঠনের শীর্ষপর্যায়ে উঠে এসেছেন বুয়েটের ছাত্ররা। প্রশ্ন হলো- কীভাবে এটি সম্ভব হয়েছে? দেখা গেছে, বুয়েটে রাজনীতি বন্ধের পক্ষে যারা বারবার বক্তব্য রাখছেন তারাও কোনো না কোনোভাবে মৌলবাদী রাজনীতিরই ধারক-বাহক।

বুয়েটে বর্তমানে মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনগুলো বাধার শিকার না হলেও বাধা পাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিগুলো।

সাম্প্রতিক আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী নামধারীরা ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে উচ্চকিত হলেও বুয়েটে শিবিরের তৎপরতার বিষয়ে তারা নিশ্চুপ। এমনকি এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও, তারা এটি দেখার দায় চাপিয়ে দিয়েছেন প্রশাসনের ওপর; কিন্তু সমালোচনার মুখে শেষপর্যন্ত তারা শিবির ও হিজবুতের নাম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানালেও এই দুই সংগঠনের নেতা-কর্মী কারা সেটি তারা জানে না বলে জানায়।

বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করেন, এই আন্দোলনের পুরো ইন্ধন জোগাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও হিজবুত তাহ্‌রীরসহ মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনগুলো এবং এক শ্রেণির শিক্ষক।

কিন্তু ছাত্রলীগ বা ছাত্র ইউনিয়নসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত রাজনৈতিক দলগুলো যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলেই তার বিরোধিতা করেছে এই গোষ্ঠী।

সাম্প্রতিক তথ্য না পাওয়া গেলেও ২০১৩ সালের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছিল, বুয়েট নিয়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতার তথ্য। ওই বছরের নভেম্বরে বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলের ২২৩, ৩০২, ৩২৪, ৩৩০ ও ৪১০ নম্বর রুম এবং আহসানউল্লাহ হলসহ বিভিন্ন হল থেকে বিপুল পরিমাণ জেহাদি বই ও শিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিবরণ-সংবলিত বেশ কিছু গোপন নথি পাওয়া যায়। গোপন কাগজপত্র থেকে জানা যায়, বুয়েটে সেবা নামের একটি সংগঠনের আড়ালে শিবির তাদের কর্মকাণ্ড সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে প্রচার ও প্রসার করত। এ রকম ‘মেধাবীদের খোঁজে’ নামক কর্মসূচিসহ বিভিন্ন নামে বেনামে সংগঠন দাঁড় করিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের তাদের দলে ভেড়ায় তারা। ওই সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের অংশ হিসেবে রাজপথে পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আলোচিত ছিল ছাত্রশিবির।

বুয়েট ছাত্রশিবিরের গোপন নথি থেকে জানা গিয়েছিল, বুয়েটে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে শিবির বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পেছনে। ২০১০ সালে বুয়েটে শিবির অর্থ ব্যয় করেছে ৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১৪ টাকা এবং ২০১১ সালে খরচ করে ১৩ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকা। এই তৎপরতা চলমান। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, ছাত্ররাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের দমিয়ে রেখে অন্ধকার রাজনীতি শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বুয়েটে শিবিরের কার্যক্রম চলছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম। এটি জানার পরও সব শেষ সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। উল্টো কোনো প্রমাণ ছাড়াই শিবিরের সাবেক সভাপতির বক্তব্য দেওয়ায় এর প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে এক শিক্ষার্থীকে। অর্থাৎ শিবিরের সাবেক সভাপতির বক্তব্যও তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না বা আমলে নিতে চাইছেন না।

সম্প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক আউটলুক ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে হিজবুত তাহরিরের ই-মেইল। প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার বার্তা পাঠানো হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সব শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ধরে একাধারে প্রেরণ করা হয় এসব ই-মেইল। কিন্তু বর্তমান আন্দোলনকারীরা এর কোনো প্রতিবাদ করেননি।

এদিকে এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘বুয়েটে এখন থেকে ছাত্ররাজনীতি করায় আর কোনো বাধা থাকল না।’

এদিকে বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ‘আদালত যা বলবেন, তা আমাদের মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য।’ তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনকে পারস্পরিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে এবং এ জন্য আলোচনা জরুরি। জাতি এখন ইতিবাচক ফলাফল দেখার অপেক্ষায়।


বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ মাসে  সাড়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি 

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে গত ৪ মাসে বেনাপোল বন্দরে এসেছে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল। গত ২১ আগস্ট ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চালের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ২১ আগষ্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ মাসে প্রায় ১৪৫টি চালানের বিপরীতে ৩৯৫টি ট্রাকে করে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন মোটা চাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে।

দেশে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ সরকার দেশের সব বন্দর দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। অর্থ্যাৎ আগষ্ট মাসে ১২৬০ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ৫ হাজার ১৮৮ মেট্রিক টন এবং নভেম্বরে ১ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। আমদানি করা চাল ছাড় করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চার থেকে পাঁচটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাজ করছে। বন্দরের ৩১ নম্বর শেডে আমদানি করা চালের খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি বাবলুর রহমান বলেন, ‘চাল আমদানির শুরু থেকে আমরা কাস্টমস হাউজে চাল ছাড়করণের জন্য কাজ করে আসছি। চার মাস পর গত ২১ আগস্ট থেকে পুনরায় ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।

বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জানান, গত ২১ আগস্ট থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। কিছুদিন বাদে বাদে এ সমস্ত চালের চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।প্রতিদিন চালের চালান আসেনা। গত আগষ্ট মাসে চাল আমদানি শুরুর দিকে চাল আমদানির পরিমান বেশি থাকলেও বর্তমানে অনেকাংশে কমে গেছে। তবে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হওয়ায় চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে চালের দামে তেমন একটা প্রভাব পড়বেনা বলে তিনি মনে করেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলে গত ২১ আগস্ট থেকে আবার চাল আমদানি শুরু করে। অর্থ্যাৎ ২১ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। বর্তমানে চাল আমদানি কমে গেলে ও তেমন সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছে। এ ধান বাজারে আসলে চালের দাম কমে আসবে এবং দেশে চালের ঘাটতি পূরন হবে।

বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ৪ মাসে ভারত থেকে ১৪৫টি চালানে ৩৯৫টি ট্রাকে করে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। আমদানি করা চাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


পাবনায় ক্যান্সারে আক্রান্ত মেয়েকে বাঁচাতে বাবার আকুতি 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

ঘাতক ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু নুসরাত জাহান। তার বয়স ৭ বছর। সে উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের দরিদ্র আশরাফ আলীর মেয়ে ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। অসুস্থ নুসরাত বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জীবন বাঁচাতে এখন প্রতিদিন তাকে কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে।

এদিকে মেয়ের এমন অসুখে পরিবারের সবার কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ! সংসার চালাতে যেখানে হিমশিম খেয়ে হয়, সেখানে অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার যোগান দেওয়া দরিদ্র পরিবারের পক্ষে কীভাবে সম্ভব তাই নিরূপায় হয়ে বাবা আশরাফ আলী মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জানা যায়, বেশ কিছু দিন আগে নুসরাত হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিএমটি, হেমাটোলজী ইউনিটের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা মোঃ কামরুজ্জামানকে দেখানো হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানা যায় নুসরাত ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত।

মেয়েটির বাবা আশরাফ আলী জানান

মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা যোগাড় করা তার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই তিনি মেয়ের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চান।

চাচা রেজাউল করিম জানান ঠিক মতো চিকিৎসা পেলে নুসরাত সুস্থ হয়ে উঠবে বলে

চিকিৎসক তাদের জানিয়েছেন।

তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে নুসরাতের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ও ওষুধ পত্রসহ প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। কিন্তু এতো টাকা যোগান দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

আদাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আল আমিন হোসাইন বলেন-নুসরাতের বাবা খুব দরিদ্র মানুষ। তার পক্ষে এতো টাকা খরচ করে মেয়ের চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে মেয়েটিকে বাঁচানো যেতে পারে।


বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিজয় দিবসে এবার প্যারেড হবে না। উদযাপন নিয়ে কোন ধরনের নাশকতা বা অস্থিরতাও নেই। আগের চেয়ে অনেক বেশি হবে কর্মসূচি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তবে গত বছরও বিজয় দিবসের প্যারেড হয়নি।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া ডিবি পরিচয়ে সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বিষয়টি তার জানা ছিলো না, তদন্তের পর জানাতে পারবেন।


জামায়াত-এনসিপিসহ ৬ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ ৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় এই সংলাপ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে সংলাপটি। পরে ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদসহ ছয় দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), ইনসানিয়াত বিপ্লব, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।

এ ছাড়া দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি-(বিআরপি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-এর সঙ্গে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।


ঘরে বসে মেট্রো রেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে ২৫ নভেম্বর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার মেট্রো রেলের স্থায়ী কার্ড এখন থেকে যাত্রীরা ঘরে বসেই রিচার্জ করতে পারবেন। ২৫ নভেম্বর থেকে চালু হতে যাওয়া এই সেবা ব্যবহার করে ব্যাংকের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই টাকা ভরা যাবে।

প্রধান উপদেষ্টা (সড়ক, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয়)-এর বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই সেবা উদ্বোধন করবেন। শুরুতে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ওয়েবসাইটের লিঙ্কের মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে, পরবর্তী সময় একটি অ্যাপের মাধ্যমে একই সেবা পাওয়া যাবে।

ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রীদের স্টেশনে লাইন ধরে কার্ড রিচার্জ করতে হবে না। সময় বাঁচবে এবং ভোগান্তি কমবে।

অনলাইনে রিচার্জের পর কার্ডটি স্টেশনে থাকা ‘অ্যাড ভ্যালু মেশিন’ (এভিএম) এ স্পর্শ করিয়ে হালনাগাদ করতে হবে। একবার স্পর্শ করানোর পর, কার্ডের টাকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর স্পর্শের প্রয়োজন নেই।

বর্তমানে মেট্রো রেলে দুই ধরনের স্থায়ী কার্ড ব্যবহার হচ্ছে—ডিএমটিসিএলের এমআরটি পাস এবং ডিটিসিএর র‍্যাপিড পাস। নতুন ব্যবস্থায় উভয় কার্ডের জন্যই অনলাইন রিচার্জ করা সম্ভব।

ডিটিসিএর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি স্টেশনের দুটি স্থানে এভিএম যন্ত্র বসানো হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে মোট ৩২টি যন্ত্র বসানো হবে।

মেট্রো রেলের যাত্রী সুবিধা সম্প্রসারণে এই উদ্যোগ বড় ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ শতাংশ যাত্রী র‍্যাপিড বা এমআরটি কার্ড ব্যবহার করেন। অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হলে দৈনিক যাত্রী চলাচলের গতি আরও বাড়বে।


দেশের বাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম, ভরি ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে টানা অস্থিরতার পর অবশেষে মূল্যবান ধাতুটির দামে দেখা গেল স্বস্তির ছোঁয়া। দেশের বাজারে আরেক দফা কমেছে স্বর্ণের দাম। দেশের বাজারে সবশেষ ৫ দফা দাম সমন্বয়ে ৩ বারই বেড়েছে স্বর্ণের দাম। তবে সবশেষ টানা ২ দফায় কমানো হয়েছে মোট ৬ হাজার ৮১১ টাকা। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

সবশেষ গত ১৫ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ৫ হাজার ৪৪৭ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৭১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা ১৬ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৮ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৩ বার, আর কমেছে মাত্র ২৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।


শেখ হাসিনাকে ফেরাচ্ছে না ভারত: বিবিসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ভারতের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বিবিসিকে আভাস দিয়েছেন, এই রায়ের ফলে শেখ হাসিনাকে নিয়ে দিল্লির অবস্থান আদৌ বদলাচ্ছে না এবং তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ারও প্রশ্ন উঠছে না।
বস্তুত শেখ হাসিনা এই পর্বে যখন থেকে ভারতে পা রেখেছেন, মানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত তাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ভারতের অবস্থান একই রয়েছে। সেটি হলো – একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে ভারতে ‘সাময়িক’ (ফর দ্য টাইম বিয়িং) আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, এর বেশি কিছু নয়।
গতকাল বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার পরেও ভারতের সেই অবস্থান অপরিবর্তিতই থাকছে। এর অর্থ, তাকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে, এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে এবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ঘোষিত রায়টি ভারতের নজরে এসেছে (নোটেড)। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং দেশটির জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি ও স্থিতিশীলতাকে ভারত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখে।
এ অঞ্চলে দীর্ঘদিনের অভিন্ন ইতিহাস ও সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ভারত জানিয়েছে, বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করতে তারা সবসময় গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক।
ভারতের বিবৃতিতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক, ভারতের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশের সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে ইতিবাচক ও কার্যকর যোগাযোগ বজায় রাখা—যাতে দেশটির স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়।


যেসব প্রশ্ন থাকবে গণভোটের ব্যালটে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হবে একই দিনে। গত ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ভাষণের আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ আদেশ জারি করেন।

চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে হবে গণভোট। গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে জনগণ মতামত জানাবেন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে আগামী সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে (পিআর পদ্ধতি) ১০০ সদস্য নিয়ে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।

চারটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া গণভোটের ব্যালটে কী ধরনের প্রশ্ন থাকছে—এ নিয়ে প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি প্রশ্ন প্রকাশ করা হয়।

‘জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নে’ উল্লেখ করে বলা হয়, আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?

ক. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

খ. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

গ. সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

ঘ. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।


দণ্ডিত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ এনসিএসএ’র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো দণ্ডিত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার না করতে গণমাধ্যমগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ)।

সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন।

এতে বলা হয়, এনসিএসএ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, দেশে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে। প্রচারিত এসব বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) বিঘ্নিত করার পাশাপাশি সরাসরি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ সৃষ্টির আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর নিয়মাবলীর পরিপন্থী। বিশেষত অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্য, যেগুলো দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, জাতিগত/ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় কিংবা সহিংসতার আহ্বান জানায়, সেসব তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

আরও স্পষ্টভাবে, অধ্যাদেশের ধারা ২৬ (১) অনুযায়ী, ‘ছদ্ম পরিচয়’ বা অবৈধ প্রবেশের মাধ্যমে যদি কেউ ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা প্ররোচনাকারী বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তা অপরাধ এবং দণ্ডনীয়। ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী, অপরাধীদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এনসিএসএ সাংবাদিকতা ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকে সম্মান করে। তাই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা, অপরাধমূলক, উসকানিমূলক বা আহ্বানমূলক যেকোনো বিবৃতি প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে এবং আইনি দায়বদ্ধতা বিবেচনায় রাখতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হলো।


চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খসড়া তালিকা অনুযায়ী ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন নাগরিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। আজকের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটার সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকার ভোটাররা আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৩ নভেম্বর হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল ইসি। সেই খসড়া অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ জন, এবং ১ হাজার ২৩০ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

নতুন প্রকাশিতব্য চূড়ান্ত তালিকায় যারা ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন, তারা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এর ফলে, তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারবেন।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, যারা ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন, তারা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ফলে তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজনের পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু করবে বলেও জানান তিনি।


‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন সন্ধ্যায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ সুগম করতে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটির উদ্বোধন করা হবে।

ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

উদ্বোধনের পরপরই অ্যাপটি ব্যবহার করে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটাররা তাদের নাম, ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম ওঠাতে পারবেন।

এই অ্যাপটি শুধুমাত্র প্রবাসীরা নন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভোটাররাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটাররা। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা। নিজ ভোটার এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা।


লি‌বিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭০ বাংলাদে‌শি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় লি‌বিয়ার বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭০ জন বাংলাদেশি দে‌শে ফি‌রে‌ছেন।

মঙ্গলবার (১৮ ন‌ভেম্বর) সকা‌লে তারা বুরাক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ইউ‌জেড২২২-এর মাধ্যমে দে‌শে ফি‌রেছেন।

বিমানবন্দ‌রের এক‌টি সূত্র এ তথ্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছে। সূত্র জানায়, সব আনুষ্ঠা‌নিকতা শে‌ষে এরইম‌ধ্যে বিমানবন্দ‌র ত্যাগ ক‌রে‌ছেন প্রত্যাবা‌সিতরা।

আইওএম-এর সহায়তায় সোমবার (১৭ ন‌ভেম্বর) বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।

উ‌ল্লেখ্য, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আইওএম নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


দিলীপ কুমার আগারওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে ৬৭৮ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। মঙ্গলবার সকালে এ মামলা দায়ের করা হয়।

স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরোকে প্রকৃত ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি, দুবাই ও সিংগাপুরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য রয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্নভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তার এবং এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু করে।


banner close