সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

মেজর জেনারেল হোসাইন আল মোরশেদ এনএসআইয়ের নতুন ডিজি

এনএসআইয়ের নতুন ডিজি মেজর জেনারেল হোসাইন আল মোরশেদ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ২৩:৩৭

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) নতুন মহাপরিচালক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন আল মোরশেদকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন আল মোরশেদকে এ পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন আল মোরশেদকে এনএসআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) পদে প্রেষণে পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অপরদিকে গত ৩১ মার্চ এক প্রজ্ঞাপনে মেজর জেনারেল টি এম জোবায়েরকে এনএসআই থেকে সেনাবাহিনীতে প্রত্যাবর্তন করা হয়।

তিনি ছয় বছর এনএসআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) পদে দায়িত্ব পালন করেন।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন আল মোরশেদ ইতিপূর্বে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের (এনডিসি) সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ২৬তম বিএমএ লং কোর্সে ১৯৯২ সালের ৯ জুন পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি একজন স্বনামধন্য অফিসার, যার ৩১ বছরের কর্মজীবনে কমান্ড, স্টাফ এবং নির্দেশমূলক কার্যভারের চমৎকার মিশ্রণ রয়েছে। তিনি একটি পদাতিক রেজিমেন্ট, একটি বিশেষ বাহিনী ইউনিট এবং দুটি পদাতিক ব্রিগেডের নেতৃত্ব দেন। তিনি একটি পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর (বিএম), পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের (এএফডি) কর্নেল স্টাফ এবং এনএসআইয়ের পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে মধ্যরাতে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

দীর্ঘ দেড় বছরের বেশী সময় পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে মধ্যরাতে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ ভেসে এসেছে। আর সীমান্ত আকস্মিক গোলাগুলির শব্দে আতংক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।

তবে বিজিবির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির সাথে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্টি আরসা বা আরএসও এর মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সীমান্তে বিজিবি কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

রোববার মধ্যরাত ১০টার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।

ঘটনায় এপারে ( বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ) কোন গুলি না আসলেও তাৎক্ষণিক বিজিবির টহলদলের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

লে. কর্নেল খায়রুল বলেন, মধ্যরাতে ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৪ ও ৩৫ এর মাঝামাঝি এলাকায় শূণ্যরেখা থেকে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার দূরে মিয়ানমার অভ্যন্তরে আকস্মিক ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। টানা ৭ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত গোলাগুলি ঘটে। এতে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে সীমান্তের এপারে কোন গুলি আসার ঘটনা ঘটেনি।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির সাথে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসা ও আরএসও এর গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আরসা নাকি আরএসও এর সাথে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে- তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, তবে বাংলাদেশের এপারে কোন গুলি আসেনি। এটি মিয়ানমার অভ্যন্তরে ঘটেছে।

ঘটনার পরপর রাতেই বিজিবি টহলদলের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর অবস্থান নেয় বলে জানান, লে. কর্নেল খায়রুল আলম।

ওপারের তুমব্রুর নারিকেল বাগিচা এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির দুটি ক্যাম্প থাকায় স্থানীয়দের ধারণা সেখানে হঠাৎ করে বড় কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ ভূট্টো বলেন, দীর্ঘ দেড় বছরের বেশী সময় পর সীমান্তে গুলির শব্দ শোনা গেছে। অনেকক্ষণ যাবত অনবরত গুলির শব্দ পেয়েছি, সেখানে কী হচ্ছে তা বুঝা মুশকিল। ঘটনায় সীমান্তের বাসিন্দারা আতংকে রয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবি কঠোর সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন, লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।

গত ২০২৩ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে প্রতিরোধ শুরুর এক বছরেরও বেশি পরে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি।


কুয়াকাটায় জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ‘অ্যাঞ্জেলফিশ’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জেলার কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জালে ধরা পড়েছে সম্রাট অ্যাঞ্জেলফিশ নামের এক বিরল প্রজাতির মাছ। গতকাল রোববার সকালে মহিপুরে বন্দরে নিয়ে আসলে মাছটি দেখে বন্দরে হইচই শুরু হয়ে যায়। এটি অনেকের কাছে এ্যাকুরিয়াম ফিশ নামেও পরিচিত। আনোয়ার মাঝির জালে মাছটি ধরা পরে।

মাছটি দেখতে রঙিন ও দৃষ্টিনন্দন। জানা গেছে, মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম পোমাক্যান্থাস ইম্পেরেটর। মাছটির আকার ১৬ ইঞ্চির মতো। গায়ের গাঢ় নীল পটভূমিতে হলুদ অনুভূমিক দাগ, মুখে নীল-কালো মাস্ক প্যাটার্ন।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সোবহান শিকদার বলেন, এমন মাছ জীবনে দেখিনি। মাছটি দেখতে অবিকল একুরিয়ামে থাকা মাছের মতো। বাসার সবাইকে দেখানোর জন্য মাছটির কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী ছগির আকন বলেন, প্রথম দেখে মাছটিকে আমি বাসায় নিয়ে এসেছি। তবে এ জাতীয় মাছ এই প্রথম দেখলাম। মাছটি খাওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে জানা নেই।

ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর গবেষণা সহকারী মো. বখতিয়ার রহমান জানান, মাছটির বাংলা নাম অ্যাঙ্গেলফিশ।

রঙিন একটি সামুদ্রিক মাছ। এর প্রাকৃতিক আবাসস্থল ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবাল প্রধান অঞ্চলে।

তিনি আরো বলেন, মাছটি সাধারণত প্রবাল প্রধান, লবণাক্ত, উষ্ণ সমুদ্র অঞ্চলে থাকে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এমন মাছ সচরাচর ধরা পড়ে না। কারণ আমাদের উপকূলীয় অংশ মূলত কাদামাটি ও বালুময়। প্রবাল প্রাচীর তেমন নেই।

তবে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে আন্দামান সাগরসংলগ্ন, মিয়ানমার উপকূলের কাছাকাছি কিছু প্রবাল প্রধান এলাকা আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বখতিয়ার রহমান আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্রোতের ধরন বদলের কারণে কিছু সামুদ্রিক প্রজাতি তাদের আবাসক্ষেত্র প্রসারিত করছে। এর কারণে হয়তো এই প্রজাতিটি বাংলাদেশের জেলেদের জালে ধরা পরেছে।

মাছটি প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মাছটির নাম অ্যাঞ্জেলফিশ। এটি বিরল প্রজাতির মাছ। মাছটি উপকূলে সচরাচর দেখা যায় না।

তিনি বলেন, মাছটি গভীর সমুদ্রের। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে এটি জালে উঠে এসেছে। এসব মাছ যত বেশি ধরা পড়বে জেলেরা অর্থনৈতিকভাবে তত লাভবান হবেন।

সূত্র: বাসস


বন্দরে স্ক্র্যাপের কনটেইনারে আবারও তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয়বারের মতো ধাতব স্ক্র্যাপের একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত হয়েছে। ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ওই কনটেইনারের ছাড়পত্র স্থগিত করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বুধবার (৬ আগস্ট) বন্দরের ৪ নম্বর গেট দিয়ে ছাড় করানোর সময় মেগাপোর্টস ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকশন সিস্টেম কনটেইনারটিতে রেডিয়েশন শনাক্ত করে।

কাস্টমস নথি অনুযায়ী, ঢাকাভিত্তিক আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড এই চালানটি আমদানি করেছে। এটি গত ৩ আগস্ট এমভি মাউন্ট ক্যামেরন জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। চালানে মোট ১৩৫ টন স্ক্র্যাপের পাঁচটি কনটেইনার ছিল, যা কোম্পানিটির ডেমরা কারখানার জন্য আনা হয়।

প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের স্ক্রিনিংয়ে (পরীক্ষায়) কনটেইনারের ভেতরে থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ এবং ইরিডিয়াম-১৯২ আইসোটোপ শনাক্ত হয়। প্রাথমিকভাবে এক মাইক্রোসিভার্ট মাত্রা রেকর্ড হলেও কাস্টমস কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, স্ক্র্যাপ ও কনটেইনারের দেয়ালের কারণে প্রকৃত মাত্রা আরও বেশি হতে পারে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, ব্রাজিলের উত্তরের শহর মানাউস থেকে কনটেইনারটিতে স্ক্র্যাপ বা পুরোনো লোহার টুকরা বোঝাই করা হয়। গত ৩০ মার্চ দেশটির মানাউস বন্দরে এমএসসির একটি জাহাজে তুলে দেওয়া হয় কনটেইনারটি। এরপর ১৮ এপ্রিল পানামার ক্রিস্টোবাল বন্দরে নামিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে ৩ মে আরেকটি জাহাজে তুলে নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম বন্দরে নেওয়া হয়। রটারড্যাম থেকে ২ জুন আরেকটি জাহাজে তুলে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে নেওয়া হয়। কলম্বো বন্দরে জাহাজ থেকে কনটেইনারটি নামানো হয় ১৫ জুলাই। সর্বশেষ ২৮ জুলাই কলম্বোর সাউথ এশিয়া গেটওয়ে টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামমুখী জাহাজ মাউন্ট ক্যামরনে তুলে দেওয়া হয়। এটি ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, সতর্কসংকেত পাওয়ার পর কনটেইনারটি খালাস করে পরমাণু শক্তি কমিশনকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখান থেকে বিজ্ঞানীরা এসে সরেজমিন তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা করবেন।’

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পাওয়া গেছে এক মাইক্রোসিয়েভার্টস (তেজস্ক্রিয়তা থেকে যে বিকিরণ হয় তার একক)। এটি উচ্চ মাত্রার নয়, তারপরও কন্টেইনারটি আলাদা করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা, শিল্পকারখানা, গবেষণাসহ নানা কাজে তেজস্ক্রিয় উৎস ব্যবহার হয়। তবে এসব তেজস্ক্রিয় উৎস ব্যবহারের সময় বায়ুরোধী বিশেষ পাত্রে এমনভাবে আবদ্ধ রাখা হয়, যাতে তেজস্ক্রিয় দূষণ না হয়। ব্যবহার শেষে এসব তেজস্ক্রিয় উৎস সংগ্রহ করে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য হিসেবে ব্যবস্থাপনা করতে হয়। তবে নানা কারণে এই উৎস মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথমবার তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। তখন ভারতের উদ্দেশ্যে পাঠানো স্টেইনলেস স্টিলের স্ক্র্যাপ শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে আটকানো হয়েছিল। পরে কনটেইনারটি চট্টগ্রামে ফিরিয়ে এনে চার দেশের বিশেষজ্ঞ দল এর ভেতর থেকে রেডিয়াম-বেরিলিয়াম উৎস অপসারণ করেন।


বগুড়ায় গণশুনানি চলাকালে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি: দুদক

আপডেটেড ১০ আগস্ট, ২০২৫ ২৩:২৬
বাসস

বগুড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৭৯তম গণশুনানি চলাকালে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আজ রাতে কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৭৯তম গণশুনানি আজ বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানি সংক্রান্ত একটি সংবাদ কমিশনের নজরে এসেছে, সংবাদে পরিবেশিত তথ্য বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। গণশুনানি চলাকালে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।’

সংবাদে বলা হয়েছে, কমিশন জনৈক সাকোয়াত হোসেনের ব্যক্তিগত মৎস্য খামারের মাছ লুট হওয়ার অভিযোগ আমলে নেয়নি। এ প্রসঙ্গে দুদক স্পষ্ট করেছে, উক্ত অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর তফসিলভুক্ত অপরাধের অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে তফশিল বহির্ভূত অপরাধ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ গণশুনানিতে উপস্থাপনের সুযোগ নেই।

কমিশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সকলকে বস্তুনিষ্ঠ ও যাচাই-বাছাই করা সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানানো হয়েছে।


সিপিডি সংলাপে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের চ্যালেঞ্জ ও অর্জন তুলে ধরলেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

আপডেটেড ১০ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের চ্যালেঞ্জ ও অর্জন তুলে ধরে বলেন, জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এ বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা অকল্পনীয়। এক মাসে ছাত্র-জনতা যেভাবে জীবন দিয়েছে, তা অবর্ণনীয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরে আমরা একটি কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি, যাতে নির্বাচিত সরকার এসে কাজ করতে পারে। উন্নয়ন শুধু মেট্রোরেল বা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ নয়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ না করলে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।"

আজ রবিবার বনানীর লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন" শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিক অসন্তোষের উদাহরণ টেনে উপদেষ্টা বলেন, "৩৮ হাজার শ্রমিকের আন্দোলন অন্য ফ্যাক্টরির কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। অন্তরবর্তী সরকার কর্তৃক উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করা হয়েছে। গার্মেন্টস খাতে দুর্বৃত্তায়ন রোধে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, কিছু প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় ঋণের সুবিধা নিয়ে ব্যাংকিং খাতকে দুর্বল করেছে, যা অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক 'কর্মসংস্থান অধিদপ্তর' প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে এবং পলাতক মালিকদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্মাণ শ্রমিকদের শ্রম আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে, আমরা উদ্দ্যোগ নিয়েছি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিগুলোকে লভ্যাংশের একটি অংশ শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে জমা দিতে হবে, নতুবা সরকারি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এছাড়াও শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও কমিশনের সুপারিশ শ্রম আইনে ২০০৬ এ অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে কী-নোট স্পিকার ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, বিটিএমইএ ও বিজিএমইয়ের নেতৃবৃন্দ, শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।


আইনশৃঙ্খলা-অর্থনীতি ভালো হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে সুন্দর নির্বাচন করতে পারব: ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেটেড ১০ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৫০
মনিরুজ্জামান পলাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ধর্ম উপদেষ্টা আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন থানা-পুলিশ ছিল না। ঢাকায় শিক্ষার্থীদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একদিনে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তবে বহুগুণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হয়েছে, অর্থনীতিও ভালো হয়েছে। আমরা আশা করি একটি সুন্দর নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে করতে পারব। এভাবে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি আছে, আমাদেরও আন্তরিকতার অভাব নেই। তিনি

আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকার জামিয়া দারুল আরকাম মাদরাসায় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে আলেম-ওলামাদের অবদান সোনার অক্ষরে লেখার মতো। বাংলাদেশে যখনই বিপদ-দুর্যোগ এসেছে, আলেম-ওলামারা জনগণের সঙ্গে মিলে ময়দানে থেকেছেন এবং তারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময়েও শত শত মাদরাসাছাত্র আহত হয়েছে, শাহাদাৎ বরণ করেছে। আগামী দিনেও আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আলেম-ওলামা, মাদরাসাছাত্র-শিক্ষক প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছেন।

এ সময় ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, জেলা হেফাজতে ইসলামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


রাজনীতির ময়দান থেকে নির্বাচনী মাঠে নারীর জন্য প্রতিবন্ধকতাগুলো কমতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সচিবালয় প্রতিবেদক

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের নারীদের ক্ষমতায়ন ও সুযোগ সম্প্রসারণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, রাজনীতির ময়দান থেকে নির্বাচনী মাঠে নারীর জন্য প্রতিবন্ধকতাগুলো কমাতে হবে। তিনি ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত নারী প্রার্থীদের জন্য সরকারি তহবিল বিষয়ক ঐতিহাসিক পলিসি ডায়ালগের খসড়া অর্ডিন্যান্সটি স্বাগত জানান এবং সংলাপে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের মতামতের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সংলাপ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও জাতীয় নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার সংস্কারে সব রাজনৈতিক দলের একসাথে এগিয়ে আসার অঙ্গীকার বহিঃপ্রকাশ।

উপদেষ্টা রোববার (১০ আগষ্ট) ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই), ইউকেএইড এর অর্থায়নে B-SPACE প্রকল্পের আওতায় Election Campaign Funding (Woman Candidates) Ordinance' বিষয়ে পলিসি ডায়লগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, নির্বাচন কমিশন, নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য, কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামীর সদস্য, জুলাই কন্যা , মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সংলাপে প্রস্তাবিত Election Campaign Funding

(Women Candidates) Ordinance বিষয়ে আলোচনা করা হয় একই সঙ্গে নারী প্রার্থীদের জন্য লিঙ্গ সংবেদনশীল সরকারি তহবিল কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সহজ আবেদন প্রক্রিয়া এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থারও প্রস্তাব করা হয়। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর মূখ্য পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল আলীম খসড়া অর্ডিন্যান্স উপস্থাপনা এবং এর প্রত্যাশিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন।

বক্তারা সবাই একমত পোষণ করেন যে, এই উদ্যোগ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থাপনাটি সমর্থন জানিয়ে এর বিষয়বস্তু পরিমার্জন ও পাশের পর দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। নির্বাচন কমিশনও নিশ্চিত করেন যে এটি গৃহীত হলে তা বাস্তবায়নের জন্য তারা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অফ পার্টি (COP) ক্যাথরিন সিসিল বলেন, আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, সরকারি তহবিল নারীদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে। বর্তমানে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপট পুনর্গঠনের একটি যুগান্তকারী সুযোগ রয়েছে। সুতরাং সরকারি তহবিল নারীদের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।


আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিগগীরই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিগগীরই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারবে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। দ্রুত এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হবে যা পরবর্তীসময়ে মিডিয়ায় জানিয়ে দেয়া হবে।

তিনি এ সময় জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আনুমানিক ৭শ’ অস্ত্র উদ্ধার এখনো বাকি রয়েছে।

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জাতি হিসেবে আমরা খুব অসহিষ্ণু হয়ে গেছি।৷ আগে সমাজে কোন খারাপ কাজ ঘটলে লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়তো সেটা প্রতিহত করার জন্য৷ কিন্তু আজকাল সেটা খুব কমে গেছে।৷ অপরাধ প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, সবসময় সবজায়গায় তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকেন না৷ সে সময় উপস্থিত জনতারই প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা উচিত। উপদেষ্টা এসময় গাজীপুরের ঘটনায় জড়িতদের বেশিরভাগকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান।

নিউমার্কেট থেকে ১১শ’ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এসব অস্ত্র যারা তৈরি করেন, তাদেরকে আরো সর্তক হতে হবে। তারা জানে- কারা এসব ব্যবহার করছে। যারা এগুলো করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সর্বোপরি জনগণ। আশা করি, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

উপদেষ্টা এসময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ একজন বাড়তি আনসার সদস্য (গানম্যান) নিয়োজিত থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


মাজারে হামলা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেটেড ১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৫৬
রাকিবুল হাসান রোকেল, স্টাফ রিপোর্টার-কিশোরগঞ্জ

দেশের যেকোনো মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় হামলা চালালে বা ধ্বংসের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

আজ (রোববার, ১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘মাজারে কিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার রিপোর্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে। আমি আন্তঃমন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য। এসব বিষয় প্রতিমাসে আলোচনায় আসে। প্রতিটি মাজার ও মসজিদ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, সিসি ক্যামেরা বসান।

এতে হামলাকারী চিহ্নিত করা সহজ হবে। সামাজিক সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি মাজারে পুলিশ মোতায়েন সম্ভব নয়, তাই সর্বস্তরের মানুষকে এসব ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তায় অংশ নিতে হবে।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং কিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তারও হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে।’

পাগলা মসজিদের ফাণ্ডে ৯০ কোটি টাকারও বেশি রয়েছে জানিয়ে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, খুব শিগগিরই দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদের ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে। আধুনিক তুরস্কে বসফরাস প্রণালীর পাশে যে মসজিদগুলো আছে, দৃষ্টিনন্দন, মাল্টিপারপাস সেটির আদলে পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। ১০ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে বহুমুখী কাজ সম্পন্ন করা হবে। অনাথ-এতিমদের জন্য লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা হবে। ধর্মীয় শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, আইটি সেকশন থাকবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের মধ্যেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পাগলা মসজিদের ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এফডিআর হিসেবে রাখা আছে, যা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ গরিব, অসহায়, অনাথ ও অসুস্থদের জন্য ব্যয় করা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আজ আমি প্রস্তাব করেছি—স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরও এই তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হোক। এতে শিক্ষার সুযোগ বাড়বে।’

পাগলা মসজিদ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদসহ মসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ধর্ম উপদেষ্টা। পরে পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স ঘুরে দেখে মোতাওয়াল্লীদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

দুপুরে তিনি আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া কর্তৃক আয়োজিত “ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে।


খসড়া তালিকা প্রকাশ : দেশের মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২০২৫ সালের হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪০ লাখ ৬ হাজার ৯১৬ জন এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৬২ হাজার ৭৬০ জন।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০২৫ সালে ভোটার অন্তর্ভুক্তির হার ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

আখতার আহমেদ জানান, গত ২ মার্চ ভোটারের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। পরবর্তীতে বাদ পড়া ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন। একই সময়ে মৃত ও অযোগ্য ভোটার হিসেবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জনকে। ফলে সম্পূরক তালিকা অনুযায়ী দেশের মোট ভোটার দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে।

তিনি আরও বলেন, সম্পূরক খসড়া তালিকা আজ (রোববার) আমাদের সব অফিসে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা জানাতে হবে এবং প্রাপ্ত সংশোধনী যাচাই করে ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ইসি সচিব জানান, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে আরও একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। নবীন ভোটারদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা না করানোর জন্য নতুন আইনে এই সুযোগ রাখা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, এ বছর মোট তিনবার ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে প্রথমটি করা হয়েছে গত ২ মার্চ। দ্বিতীয়টি আগামী ৩১ আগস্ট এবং তৃতীয়টি ৩১ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।


চীনে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সুবিধা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চীনের বিভিন্ন হাসপাতাল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।

ইউনান প্রদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান কুনমিং টোংরেন হাসপাতাল ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগীর সফল চিকিৎসা সম্পন্ন করেছে।

গত শুক্রবার কুনমিং টোংরেন হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন লিং বাংলাদেশী সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপকালে জানান, সম্প্রতি একটি বাংলাদেশী পরিবার তাদের কিশোর পুত্রের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে এসেছে।

তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বিশেষ ভিডিও বার্তাও শেয়ার করেন। এতে রোগীর বাবা জানান, তিনি প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে, বিশেষ করে ভারতের মতো দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাননি, আবার কিছু দেশে চিকিৎসার খরচ অত্যন্ত বেশি হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি।

পরে তিনি চীনে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে সন্তুষ্ট হন।

রোগীর বাবা আরও জানান, চিকিৎসা শুরু করার আগে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং পুরো প্রক্রিয়াটি বোঝার পরই পরিবার চিকিৎসার জন্য সম্মত হন।

শেন লিং বলেন, কুনমিং টোংরেন হাসপাতালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক দক্ষ ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। এছাড়া, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হাসপাতাল দোভাষী সেবা প্রদান করে থাকে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দল ৬ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত কুনমিং সফর করে ইউনান প্রদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

শনিবার প্রতিনিধি দলটি দেশে ফিরে এসেছে।


আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার ‘বডিক্যাম’ সংগ্রহের পরিকল্পনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার শরীরে ধারণ উপযোগী ক্যামেরা (বডি-ওয়্যার ক্যামেরা) সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শনিবার (৯ আগস্ট) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী এবং ফয়েজ তৈয়ব আহমেদও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে যা সাধারণত ‘বডিক্যাম’ নামে পরিচিত। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই যাতে পুলিশ বাহিনী এসব ক্যামেরার এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারে।’

তিনি জানান, ক্যামেরা সরবরাহের জন্য জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা নির্বাচনের সময় ডিভাইসগুলো তাদের বুকে পরবেন।

এই ক্যামেরাগুলো দ্রুত কিনে হাজার হাজার পুলিশ কর্মীর জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে এ সময় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাতে খরচ যাই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য হলো ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করা।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী আসন্ন ভোটের জন্য একটি নির্বাচনী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনার কথাও জানান।

তার প্রস্তাব অনুসারে, অ্যাপটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ওপর বিশদ তথ্য প্রদান করবে। এর মধ্যে প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট ও অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

প্রস্তাবিত অ্যাপটি দ্রুত চালু করতে এবং দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটি ব্যবহার উপযোগী কিনা, তা নিশ্চিত করতেও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।


আজ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া আজ রোববার প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে কারও তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ মিলবে ১২ দিন। ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এবারের হালনাগাদে ৪৪ লাখের মতো নতুন ভোটার যুক্ত হচ্ছেন।

এদেরই তথ্য খসড়া সম্পূরক তালিকায় প্রকাশ করা হবে রবিবার। উপজেলা কর্মকর্তারা এই তালিকা নির্দিষ্ট স্থানে সাঁটিয়ে দেবেন।

সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যোগ্য ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্তি, মৃত্যুজনিত বা অন্তর্ভুক্তি হওয়ার অযোগ্য ব্যক্তির নাম কর্তন, ভোটার স্থানান্তর এবং কোনো সংশোধন বা ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য দরখাস্ত (ফরম-২, ফরম-১২, ফরম-১৩ ও ফরম-১৪ এর মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হবে) দাখিল করা যাবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত।

দাখিলকৃত দরখাস্তসমূহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসার কর্তৃক নিষ্পত্তির শেষ করা হবে ২৪ আগস্টের মধ্যে।

এরপর অন্যান্য কাজ শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ আগস্ট।

বর্তমানে দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এদিকে যাদের বয়স ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারাও এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।


banner close