মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

এমভি আবদুল্লাহতে চড়েই দেশে ফিরবেন ২১ নাবিক

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:৩৭

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২১ জন নাবিক ওই জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। এছাড়া বাকি ২ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। নাবিকদের নিজ নিজ ইচ্ছায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ।

বুধবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ আগামী ২২ এপ্রিল সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন।

এর আগে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন।

দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়। প্রস্তুত করে রাখা হয় জাহাজে নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত এলাকা সিটাডেল, ইমার্জেন্সি ফায়ার পাম্প এবং সাউন্ড সিগন্যাল।

গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


দ্বিতীয় ধাপের ভোট আজ

ভোটার উপস্থিতিই বড় চ্যালেঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২১ মে, ২০২৪ ০৩:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট আজ মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট হবে ১৫৬টি উপজেলায়। আর ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি বাছাইয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন তিন কোটি ৫২ লাখের বেশি ভোটার। আজ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গত ১ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত হয় এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫২৮ জন। ১ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা।

এই ধাপের ভোটে প্রচার-প্রচারণার সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রায় ৬০০টি ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া প্রচারণায় নেমে সংঘাত, হুমকি এবং প্রার্থীর পক্ষে জনপ্রতিনিধিদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও রয়েছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, এই ধাপেও ছয় শর কাছাকাছি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এসব ঘটনায় জরিমানা ও কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।

বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর উপজেলা নির্বাচন বর্জনের পর ভোটের লড়াই চলছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যেই। এর মধ্যে ২৪টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকিগুলোতে ভোট হবে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে। দুর্গম ও উপকূলীয় অঞ্চল বিবেচনায় ৩০টি উপজেলার ৬৯৭ কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয়েছে গতকাল। অবশিষ্ট ১২ হাজার ৩২৩ কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছাবে ভোটের আগে আজ সকালে। অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ১৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। কতো শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে এমন কোনো বিধিনিষেধ বা নিয়ম নেই। এগুলো নিয়ে ইসি ভাবে না। যেকোনো শতাংশ ভোট পড়লেই খুশি। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয় ইসি আলমগীর বলেন, ধান কাটার মৌসুম, বৈরী আবহাওয়া, বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসছে না, এসব কারণে ভোটার উপস্থিতি কম।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা-অনাস্থার বিষয় নয়, ধান কাটার মৌসুম, বৈরী আবহাওয়া, বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসছে না, পছন্দের প্রার্থী না পাওয়ায় ভোটের উপস্থিতি কম। কত শতাংশ ভোটার উপস্থিত হলে সন্তোষজনক হবে, এ বিষয়ে দায়বদ্ধতা নেই।

ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ তাদের রাজনৈতিক অধিকার জানিয়ে ইসি তিনি বলেন, তবে কোনো সহিংসতা করলে সেক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ভোট যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে এজন্য ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনেও তাই করেছি। আগামীকালের নির্বাচনও তেমন হবে। কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখা। নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই।

সারা বিশ্বে ভোটারদের ভোটের প্রতি আগ্রহ কমছে জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, বিভিন্ন কারণে ভোটাররা অংশ নিতে চান না। ভালো প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ না নিলেও অনেক সময় ভোটাররা ভোট দিতে যান না।


আজও হতে পারে বৃষ্টি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২১ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরো এপ্রিল মাসের পর চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে নতুন করে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছিল। তবে গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝড় হওয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। রোববার ও গতকাল সোমবার দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় চলমান দাবদাহ অনেকটা কমে যায়। ফলে তীব্র গরম থেকে জনমনে স্বস্তিদায়ক অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়। রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল সারা দিন আকাশ মেঘলা ছিল। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও হয়েছে।

মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই বলা হয়েছিল, এ মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে। তবে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

এদিকে সাগরে আজ মঙ্গলবারের পর একটি লঘুচাপ তৈরির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বাংলাদেশে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে না। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার বিকাল নাগাদ লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পর বোঝা যাবে এর গতিপথ কোনদিকে যাবে।’

একই সঙ্গে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপটি ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলেও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

গতকাল সকালের আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গার তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এর মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা ৬ মে পর্যন্ত টানা ৩৭ দিন ধরে চলে। পুরো এপ্রিল মাস তাপপ্রবাহের টানা অব্যাহত থাকার রেকর্ডও ভেঙেছিল। এরপর চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতায় তাপমাত্রা কমে আসায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল।


বাগেরহাটের দুই ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধি

উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় বাগেরহাটের ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আশরাফুল আলম ও বাগেরহাট জেলার ডিবির ওসি স্বপন রায়কে খুলনা পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সেই সঙ্গে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত সংযুক্ত করে উক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের পরবর্তী কোনো কর্মকর্তাকে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি এবং ডিবির ওসির দায়িত্ব প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।


কাল ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই দিনের সফরের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। এই সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

আজ সোমবার পেনি ওং এক মিডিয়া নোটে বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে আমি এই সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করতে যাচ্ছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রচেষ্টায়, এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যেতে পেরে আমি আনন্দিত।’

তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন, অঞ্চল-ভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানব পাচারের মতো পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তবমুখী সমাধান করার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকায় আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করব বলে আশা রাখছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বংশদ্ভূত জনগণ বসবাস করেন। এর পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের কল্যাণ ও বাস্তবমুখী সুবিধাদি প্রদানের লক্ষ্যে প্রদেয় অস্ট্রেলিয়ান সরকারের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আমি কক্সবাজার যাচ্ছি। একটি বৃহত্তর বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা বাস্তুচ্যুতিকে মোকাবিলা ও এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আশা রাখি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একদিন তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিঙ্গাপুরে এটি হবে আমার দ্বিতীয় সফর। এই সফরে বাণিজ্য-বিণিয়োগ, সবুজ অর্থনীতির সম্ভাবনা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার লক্ষ্যে আমাদের দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করছি। আমি সিঙ্গাপুরের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী লি সিয়েন লুং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি। পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা ও কৌশলগত লক্ষ্যের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু রাষ্ট্র।’


দাবি না মানলে কর্মবিরতিতে যাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এই সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন এবং কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া। সম্মেলনে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা বা তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহকে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা চলতি বছরের ১ জুলাই এবং তার পরবর্তী সময়ে যারা চাকরিতে নতুন যোগ দেবেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এরপর থেকেই এই স্কিম থেকে পাবলিক শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সবশেষ গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম কর্মসূচি হলো, আগামী ২৫ মে তারিখের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো ধরনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে ২৬ মে, সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকরা একযোগে সকাল ১১টা থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। দ্বিতীয় কর্মসূচি, আগামী ২৮ মে সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহের শিক্ষকরা সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন।’

নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যেও দাবি না মানা হলে আমাদের তৃতীয় কর্মসূচি, আগামী ৪ জুন সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহের শিক্ষকরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসমূহ এসব কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। আর এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে ওই দিনই আন্দোলনের বৃহত্তম কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ধারণা প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণমুখী চিন্তার ফসল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রবর্তনের মাধ্যমে সরকারি চাকরির বাইরে থাকা নাগরিকদের পেনশন স্কিমের আওতায় আনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি; কিন্তু সরকারের এমন মহৎ উদ্যোগ যখন প্রশংসিত হচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা না করে গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া স্বায়ত্তশাসনকে অবজ্ঞার শামিল।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী যেদিন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন সেদিন এই ‘প্রত্যয়’ স্কিমটি ছিল না। হঠাৎ করেই একটি মহল নিজেদের সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর এ ধরনের একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছেন। আমরা আশা করব, অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান সেশনজটমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবেন।’


কাতারের মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদে‌শি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

কাতারের বিচার ও মন্ত্রিপরিষদবিষয়ক মন্ত্রী ইব্রাহীম বিন আলী আল মহাননাদীর স‌ঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কাতারের বিচার ও মন্ত্রিপরিষদবিষয়ক মন্ত্রী ইব্রাহীম বিন আলী আল মহাননাদীর স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রে‌ছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম।

দোহার স্থানীয় সময় গতকাল রোববার কাতারের বিচার ও মন্ত্রিপরিষদবিষয়ক মন্ত্রীর দপ্তরে হওয়া বৈঠকে দুই দে‌শের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত কাতারের মন্ত্রীকে বাংলাদেশ ও কাতারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে সংক্ষেপে অবহিত করেন। তিনি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কাতারের আমিরের বাংলাদেশে অত্যন্ত সফল সফরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এ ছাড়া বৈঠকে গত বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাতারে পরপর দুটি সফরের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আমিরের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। তিনি কাতারের আইন ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ন্যায্যবিচার নিশ্চিতে কাতারের বিচার মন্ত্রীর সহযোগিতা চান।

রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, দূতাবাস নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাতারের আইনের পরিবর্তনগুলো জানিয়ে থাকে।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার আইনবিষয়ক সহযোগিতা সম্পর্কিত স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে চুক্তিটির অনুসমর্থন ত্বরান্বিত করা এবং এর আলোকে একটি যৌথ কমিটি গঠনের বিষয়ে কাতারের মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

কাতারের মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কাতারের আমিরের সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে আইন বিষয়ে সহযোগিতা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং চুক্তি কার্যকরে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এ ছাড়া তিনি এ বিষয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কাতারে বিচার মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগের মাধ্যমে বিষয়টি সমন্বয় ও কার্যকরের পরামর্শ দেন।

দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. ওয়ালিউর রহমান ও প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ্ আল রাজীসহ কাতারের বিচার ও মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ সোমবার বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রপতি ও আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর তাগিদ দেন আচার্য।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা কার্যক্রম আরও বাড়ানোরও আহ্বান জানান। এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।


অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনের দাবি বিএফইউজের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) অবিলম্বে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের জন্য ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি জানিয়েছে।

আজ সোমবার বিএফইউজের ঢাকায় অবস্থানরত নেতাদের এক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর সংগঠনের প্রতিনিধি সম্মেলনে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনের নির্দেশ দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহসভাপতি মধুসূদন মণ্ডল, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সেবিকা রানী ও নুরে জান্নাত আখতার সীমা।

সভায় খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সদস্য কেইউজের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান ও এস এম জাহিদ হোসেন।

নেতারা সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের রুটি-রুজি, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিতে সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যপরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারা খুব শিগগিরই রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি শুরু করবেন বলে সভায় জানানো হয়।

বিষয়:

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ সোমবার ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারের কাছে পাঠানো এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি- হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য সফরসঙ্গীদের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিভিন্ন সংকটে প্রেসিডেন্ট রাইসির দূরদর্শী পদক্ষেপ ও তার সাহস আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার মডেল হয়ে থাকবে।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে ইরান একজন জ্ঞানী ও বিজ্ঞ নেতাকে হারালো।’

এর পর তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ইরানের ভাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।


ভারত থেকে ট্রেনের ২০০ বগি কিনছে বাংলাদেশ

রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে সোমবার রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের উপস্থিতিতে আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে ২০০ বগি কেনার চুক্তি সই করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১৮:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী বগি কেনার চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সবধরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাস পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে এবং ৩৬ মাসে মধ্যে সব বগি হস্তান্তর করা হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি সই করা হয়।

রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে তারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। আগামী দুইমাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া হয় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে। রেলের কর্মকর্তারা স্লো। এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে।’

রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এর ফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।’

মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।’

রেলওয়ে বলছে, ‘বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি থাকবে এবং পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।’

রেলওয়ে নিজস্ব নথি থেকে জানা যায়, সারা দেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। রেলওয়ে আশা করছে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে যাত্রী বহনের সুবিধা বাড়বে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের হেড অফ করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।


বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায় কানাডা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রস‌চি‌বের দপ্তরে রোববার পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মে‌নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল জে. থো‌পিল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মে‌নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল জে. থো‌পিল। গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্রস‌চি‌বের দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। এ সময় দুই দেশের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।

কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি দুই দেশের জনগণের স্বার্থে বর্ধিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য কানাডার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান বাজারের প্রশংসা করে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কানাডার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রসচিব কানাডা সরকারের প্রথম ইনফো-প্যাসিফিক প্রতিনিধি হিসেবে থো‌পিলকে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। মাসুদ বিন মো‌মেন আশা প্রকাশ করেন যে, তার নিয়োগ কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর উন্নয়নে অবদান রাখবে।

পররাষ্ট্রসচিব কানাডাকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ, ভূ-কৌশলগত অবস্থান এবং উদার বিনিয়োগ নীতির সুবিধা নেওয়ার পরামর্শ দেন।


বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই পদকের অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এ ছাড়া ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদকও দেওয়া হবে।

এ লক্ষ্যে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বিষয়:

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সারওয়ার-ই-আলম সরকারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং তাদের সঙ্গীরা নিহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মর্মান্তিক এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও আমার পক্ষ থেকে ইরান সরকার ও সেদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জ্ঞানী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। তিনি তার দেশের জনগণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও ছিলেন অনন্য উচ্চতায় এবং তার অনুকরণীয় নেতৃত্ব আমাদের জন্য আদর্শ।’

এ সময়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পাশাপাশি ইরানের জনগণ এই শোক কাটিয়ে উঠবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


banner close