বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাকসবজি উপহার শেখ হাসিনার

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৪৯

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে খালি হাতে ফেরেননি নেতারা। তাদের সবার হাতে গণভবনে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ প্রধান। অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার সময় সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে তাদের প্রত্যেকের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তদারকিতে গণভবনে উৎপাদিত ব্যাগ ভর্তি সবজি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদেরও এসব উপহার দেওয়া হয়।

সবজির ব্যাগে ছিল গণভবনে উৎপাদিত পালং শাক, পাট শাক, ডাটা শাক, পুঁইশাক, লাউ, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শাকসবজি পেয়ে কৃষক লীগ নেতাদের বেশ উৎফুল্ল হতে দেখা যায়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ প্রসঙ্গে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ বলেন, গণভবনে উৎপাদিত লাউ, চিচিঙ্গা, করলা, বরবটি, ঢেঁড়স, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তার বাসভবনে উৎপাদিত শাকসবজি কৃষক লীগ নেতা-কর্মীদের উপহার দেওয়ায় যেমন উৎফুল্ল হয়েছি, তেমনি নিজেরাও প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন ভালো খামারি হওয়ার জন্য প্রেরণা পেয়েছি।

সমীর চন্দ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা না রেখে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। তাইলে খাদ্যের জন্য আমাদের কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমাদের নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।

এর আগে গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


কক্সবাজারে স্বস্তির বৃষ্টি, ঢাকাসহ ৫ বিভাগেও সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সবার কাছেই এখন অতি কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়, তা হলো বৃষ্টি। গত কয়েক দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে কক্সবাজারে আজ বৃহস্পতিবার স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এদিকে ঢাকাসহ ৫ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারে আজ ভোর থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলেও সকাল ৯টা থেকে তা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে রূপ নেয়। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উপসহকারী আবহাওয়াবিদ তোফায়েল হোসেন বলেন, ভোরের বৃষ্টিটা গুঁড়িগুঁড়ি ছিল। মূলত বৃষ্টি হয়েছে সকাল ৯টার পর থেকে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আরও ২ থেকে ৩ দিন কক্সবাজারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলাবাসী কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে চলমান তীব্র দাবদাহের পর বৃষ্টিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অনেকেই। অনেকেই জানিয়েছেন, এই বৃষ্টিতে সামান্য হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন তারা। আবার অনেককে বৃষ্টিতে ভিজতেও দেখা গেছে।

এদিকে আজ নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আরও বলা হয়- যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এদিকে টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ জেলা এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের পশ্চিমাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

কেমন হবে মে মাসের আবহাওয়া

এপ্রিলের দাবদাহ শেষে শুরু হয় মে মাস। সবার মনেই প্রশ্ন- কেমন থাকবে এ মাসের আবহাওয়া। এর উত্তর দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। এক পূর্বাভাসে তিনি বলেছেন, মে মাসে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখী সবকিছুরই সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। এ মাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ থাকবে না। তাপমাত্রা এপ্রিলের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও অবশ্য কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে। দুই থেকে তিন দিন বজ্র-শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি থেকে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।


মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ঠেকাতে সংসদকে ইসির চিঠি

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবৈধ প্রভাব বিস্তার না করতে সংসদ সচিবালয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের এমপি-মন্ত্রী যে-ই হোন না কেন, অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

সব প্রার্থী সমান জানিয়ে তিনি বলেন, কে কার আত্মীয়; মন্ত্রী, এমপিদের কোনো প্রার্থী থাকলে তা আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। কোনো প্রার্থী যে-ই হোন না কেন, সব প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানেন বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘কমিশন এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইসি সচিব সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে একটি পত্র দেবেন। বিষয়টি স্পিকারের দৃষ্টিতে আনবেন, আমরা কী ধরনের নির্বাচন চাই, সেটা ওখানে থাকবে। চিঠি সম্ভবত চলে গেছে। বার্তাটা হলো, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন প্রার্থী থাকতে পারেন, কিন্তু কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তাব করতে পারবেন না।’

মাঠ ঘুরে আসায় ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ভালো, উৎসবমুখর। আইনশৃঙ্খলায় কোনো থ্রেড নেই, সমস্যা নেই। গোয়েন্দা প্রতিবেদনও কোনো থ্রেড নেই বলেছে। যেহেতু কয়েক ধাপে ভোট হচ্ছে, তাই ফোর্স বেশি দেওয়া সম্ভব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেওয়াই থাকে, প্রয়োজন হলে তিনি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে, এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যেকোনো প্রার্থী যদি বলে উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা হবে। শুধু কারও প্রতি অভিযোগ এলে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেবো। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশের জেলা বা উপজেলা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অভাব নেই। তবে কোনও প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেওয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে, রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং অফিসার আমাদের অত নেই।’

এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, মাঠের প্রস্তুতি সবাই ভালো বলেছে। সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদেরই ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কোনো চাপ পাচ্ছেন না। তাদের বলা হয়েছে, প্রেসার দিলে সে যে-ই হোক না কেন, তা আমলে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনে থাকবেন কিনা তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিষয়। নির্বাচন কমিশন দেখবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কিনা। অনেক প্রার্থী, এমনকি অনেক দল অংশ না নিলে স্থানীয়ভাবে অনেক দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

ইসির বার্তা মন্ত্রী-এমপিরা না মানলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘মন্ত্রী-এমপিরা বিধি না মানলে দেখতে হবে কোন বিধি ভঙ্গ করলেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছি না। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে ফোনে বলেছি। তারাও অনেক সময় অনেক কিছু বুঝতে পারছে না। কেননা, কিছু বিধি খুব সূক্ষ্ম। যেমন একজন মন্ত্রী মসজিদে নামাজ পড়তে গেছেন, সেখানে প্রার্থীও গেছেন। আর এটাই অনেকে বলছেন প্রচার চালিয়েছেন, এমন আরকি।’

তিনি বলেন, কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনও এমন কোনো অভিযোগ আসেনি যে মন্ত্রী মঞ্চে গেছেন, পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।

এই কমিশনার আরও বলেন, ‘সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির কথা কোনোটাই বলছি না। যিনি আসতে চান, তার জন্য দুয়ার খোলা। এজন্য আমরা অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ দিয়েছি। এটা এ জন্যই করা হয়েছে যেন কেউ কাউকে বাধা দিতে না পারে। আর নিজেরা যদি মারামারি করেন, তাহলে তো প্রশাসন বদলি নেওয়ার কিছু নেই। প্রশাসনের কেউ যদি সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না বলে মনে হয়, আমরা পরিবর্তন করে দিচ্ছি। আরও করে দেওয়া হবে। এখন যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে, তাহলে বদলি করে দেওয়া হবে।’

যেহেতু দলীয় ও স্বতন্ত্র দুভাবে নির্বাচন করার আছে। এ ক্ষেত্রে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, দল সবার জন্য ওপেন করে দিতে পারে, আবার কোনো প্রার্থীকে কোনো দল অফিসিয়ালি পারে না। তবে দলীয়ভাবে পারে না। জোর করতে পারবে না। শক্তি প্রয়োগ করে হুমকি দিয়ে পারবে না। প্রকাশ্যে হুমকি দিলে সেটা হুমকি। কিন্তু তারা যদি দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেয়, সেই অধিকার তো তাদের আছে।

ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন ৫ হাজার পর্যবেক্ষক: আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করবে। ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো.শরিফুল আলম সই করা চিঠি এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধিত ২৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে চর হাজার ৬৯২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে প্রদান করা হবে। আর স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে দেওয় হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের যে নির্দেশনা মানতে হবে

রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দেবে।

এসব তথ্য যাচাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং তাদের নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

পর্যবেক্ষক যদি কোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনী এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন, তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোনো কার্ড ইস্যু করা যাবে না। পর্যবেক্ষকরা অনধিক পাঁচজনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

তাদের নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহের সময় কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং-১০৫ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে ৮মে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোট হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।


তৃতীয় ধাপে ১৫৮৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১১২টি উপজেলায় এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সমন্বিত তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ধাপে ৫টি পদে একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে কোনও একক প্রার্থী নেই।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ও যশোরের অভয়নগর এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সুনামগঞ্জের ছাতক ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১০ জন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে নওগাঁর রাণীগঞ্জ, রংপুরের গংগচড়া ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বগুড়া সদরে সর্বোচ্চ ১৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পটুয়াখালী সদরে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে আগামী ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোট হবে ২৯ মে।


উপজেলা নির্বাচনে মানুষ যাকে চাইবে সেই জয়ী হয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান উপজেলা নির্বাচনকে অর্থবহ করাই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন চান যেখানে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান এবং একে প্রভাবমুক্ত রাখাই আমার লক্ষ্য। সেখান থেকে যারাই জিতে আসে আসবে। সেটা হলো বাস্তবতা। মানুষ যাকে চাইবে সেই জয়ী হয়ে আসবে। যেমন আওয়ামী লীগকে চেয়েছে (ক্ষমতায়) আওয়ামী লীগ চলে এসেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবণে সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।

তিনি গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ড সফর করেন। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক এই সফরে তিনি ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০ তম অধিবেশনেও যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা হচ্ছে এই প্রক্রিয়াটাকে আরো গণমুখি এবং স্বচ্ছ করা।’ তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। আগে কখনও এটা করা হয়নি।

অতীতে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ আর্থিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওপর নির্ভরশীল ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার এটাকে সেখান থেকে মুক্ত করে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত করে দিয়েছে। আলাদা বাজেট দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত করেছি যে, দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’

সরকার প্রধান বলেন, এখন কোন কোন দল থেকে মানুষকে ভোটে না যেতে বলা হচ্ছে। প্রশ্নটা হচ্ছে মানুষ কেন ভোটে যাবেনা? এটাতো তার অধিকার। তার এলাকায় সে যাকে চায় তাকে সে ভোট দেবে। তাদের এই ভোটের অধিকারে হস্তক্ষেপ কেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পুরো নির্বাচনী ইতিহাস যদি আপনারা দেখেন সেই ’৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন, ‘৭৭ সালের ‘হ্যাঁ-না’ ভোট থেকে নিয়ে যতগুলো নির্বাচন প্রত্যেকটা নির্বাচনকে নিয়ে যদি তুলনা করা হয় তাহলে দেখবেন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রত্যেকটি নির্বাচনের তুলনায় সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচনই হয়েছে। যেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল । কারণ, এদেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা দীর্ঘ সংগ্রাম করেছি।

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করে কেন? কারণ তাদের নির্বাচন করার মত সক্ষমতাই নাই।

তিনি উদাহারণ দেন-: যেমন ধরুন সংসদ নির্বাচন। সে নির্বাচন করতে হলে জনগণকে তো দেখাতে হবে আপনাদের পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন বা নেতা কে হবেন? একজন নেতাকে তো দেখাতে হবে। আপনাদের কাছে যদি এখন উপযুক্ত নেতা না থাকে তখন তো আপনাকে একটা ছুতা খুঁজতে হয়। হ্যাঁ নির্বাচন করলাম না, বাস্তবতা সেটাই। আমাদের দেশে ওটাই এখন হচ্ছে। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী বা পলাতক আসামীকে যদি জনগণের সামনে দেখান তাহলে পাবলিকতো সেটা মেনে নেবেনা।

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি করতে গেলে তো ঝুঁকি নিতে হয়। এ সময় ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর তাঁকে দেশে আসতে না দেওয়ার এবং শেখ রেহানার পাসপোর্টটি পর্যন্ত নবায়ন না করে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যেখানে তাঁর বাবার খুনিরা পুরস্কার প্রাপ্ত, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন এবং সাজাপ্রাপ্তও ছিলো তাদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ প্রদান করা হয়, তারাই ক্ষমতায়। তারাই মন্ত্রী-উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘ওই অবস্থাতেই তো আমি দেশে ফিরে এসেছি, জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বারবার আঘাত এসেছে কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। বেঁচেও গেছি এবং বারবার নির্বাচনেও জিতে ক্ষমতায় এসেছি এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই আজকে দেশের উন্নতি হয়েছে। বিশে^র বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার বা কথা বলার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ।

থাইল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়, ফিলিস্তিন ইস্যু, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, হিট ওয়েভ, আমেরিকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে এবং প্রধানমন্ত্রী তার জবাব দেন।

অতিবাম রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা পুরো ৯০ ডিগ্রী ঘুরে গেছে।
তিনি বলেন, ধরে নিলাম তারা আমাকে উৎখাত করবে। কিন্তু এরপর কে আসবে ক্ষমতায়- তারা কি সেটা ঠিক করতে পেরেছে? সেটাই আমার প্রশ্ন- কে আসবে ক্ষমতায়? কে দেশের জন্য কাজ করবে? কাকে তারা আনতে চায় (ক্ষমতায়) সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয় আর সেটা স্পষ্ট নয় বলেই তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমি বলবো অনেক কিছুই হয়েছে, চেষ্টা করা হয়েছে যাতে নির্বাচনটা না হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট এখনো টিকে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে বসবেন বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি জাঁকজমক পূর্ণভাবে করার প্রস্তুতি চলছে যেখানে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান।

তবে, অবস্থা বুঝেই সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণেরও ইঙ্গি দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার শক্তি হচ্ছে দেশের জনগণ। কাজেই জনগণের শক্তির উপর আমি সবসময় বিশ্বাস করি এবং আমি এটাও বিশ্বাস করি যে- জনগণ যতক্ষণ চাইবে, ততক্ষণই ক্ষমতায় থাকব। কারণ আমরা জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে এসেছি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমাদের দল তো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হয়নি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের আর্থসামাজিক যে উন্নয়ন, এটাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মানুষ যে শোষণ বঞ্চনার শিকার হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্যই এই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। কাজেই আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায় এবং এটা প্রমাণিত সত্য আর সেই কারণেই যত বাধাই আসুক, আমরা সেই বাধাটা পেরিয়ে যেতে পারি বা যত চক্রান্ত হোক, সেই চক্রান্তগুলোকে পাশ কাটিয়ে দেশের মানুষকে সাথে নিয়েই আমরা বিজয় নিয়ে আসি।

তিনি বলেন, “এটা স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় থেকে শুরু করে এবং এই নির্বাচন জায়গায় এটা প্রমাণিত। কাজেই এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনতাই ঘটেছে। এখন যারা- ‘গণতন্ত্র নাই, দেশে ভোটের অধিকার নাই’ বলে তারাই তো মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, এটাই তারা ভুলে যায়। আর অনেকে নানা ধরনের কথা বলেন। অনেকে উন্নয়নটা চোখে দেখলেও কেউ কেউ দেখেন না।”

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, উন্নয়নটা তারা নাও দেখতে পারেন, কারণ তাদের হয়তো উন্নয়নের ফর্মুলাটা ভিন্ন আর আমার উন্নয়নটা হচ্ছে আমার গ্রামের মানুষ দু’বেলা পেট ভরে খাবে, তাদের একটু বাসস্থান হবে, চিকিৎসা পাবে, শিক্ষা পাবে ও জীবন মান উন্নত হবে।

তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, আপনারা তো সাংবাদিক, আপনারাই বলেন বেশিদিন নয় মাত্র ১৫ বছর আগেই দেশের অবস্থা কেমন ছিল? এখন কি কোন পরিবর্তন হয়নি? এখন কেউ যদি উন্নয়নটা না দেখে- তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের তো কিছু লোক রয়েছে, যারা সবসময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কানভারী করছে। তারা অনেক জ্ঞানী গুণী বুদ্ধিজীবী এবং তারা যখন সারাক্ষণ উল্টাপাল্টা বলতেই থাকবে, কিছুটা (বিদেশিরা) তাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমার দেশের মানুষইতো অনেকে প্রভাবিত হয়ে যায় আর বিদেশীরা তো হবেই। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ কিন্তু এসব কথায় প্রভাবিত হয় না। তারা কিন্তু ঠিক আছে। তাদের একটা আত্মবিশ্বাস আছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত আমরা করেছি।

বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের পক্ষে রয়েছে উল্লেখ করে- প্রধানমন্ত্রী সেখানে গণহত্যা বন্ধের ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা হ্রাস করে তার অর্থ দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় এবং জলবায়ু তহবিলে প্রদানের আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবেও তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। যেখানেই নির্যাতিত মানুষ, সেখানেই বাংলাদেশ আছে- এটাই আমি প্রমাণ করতে চাই। আমি যেখানেই যাই, সেখানে আমার কথা আমি বলবই। কারণ যেভাবে গণহত্যা চলছে, সেটা অমানবিক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন যে- আমেরিকায় আন্দোলন করার জন্য ৯শ’ ছাত্র ছাত্রী ও অধ্যাপক গ্রেফতার হয়েছেন আর এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ।

সেখানে একজন অধ্যাপককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রাস্তায় ফেলে নির্যাতন করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনার সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরপরই ঠিক যেভাবে তাদের সন্ত্রাসী ও পুলিশবাহিনী অত্যাচার করেছিল, এটা সেই অত্যাচারের কথাটাই মনে করিয়ে দেয়। অথচ তাদের কাছ থেকেই আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়, এটাই হচ্ছে সব থেকে দুর্ভাগ্যের।
আমেরিকায় বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের দেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তাদের আগে নিজের ঘর সামলানো উচিত।

তিনি বলেন, আমেরিকায় বিভিন্ন স্কুল, শপিং মল, রেস্টুরেন্টে অনবরত বন্দুক হামলা হচ্ছে আর মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন কোনো দিন নাই বোধ হয় যে, আমেরিকায় মানুষ না মরছে। তাদের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।

আমেরিকায় বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগেও আমাদের বাংলাদেশি কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি এবং বিচার করে তারা আমাকে জানিয়েছে। আমাদের যেটুকু করার সেটা আমরা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রতিবাদ শুধু এখানেই না, আমেরিকায় বসেও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।

গরমে তিনি সকলকে সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন এবং তাঁর দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উল্লেখ করে বলেন, যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। অবস্থা বুঝে যখন যেটা করার দরকার সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিচ্ছি।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গরম নতুন নয়। তবে যেভাবে গরম বাড়ছে, তাপমাত্রা বাড়ছে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদে থাকতে হবে, প্রচুর পানি খেতে হবে।”

রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। থাইল্যান্ডও আশ্বাস দিয়েছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রত্যাবাসন নিয়ে সহযোগিতা করবে। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারাও উদ্ধিগ্ন। থাইল্যান্ডও মিয়ানমারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী তাঁর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, থাইল্যান্ডের সফরে কী পেলাম আর কী পেলাম না- সেটা বড় বিষয় নয়। নতুন করে কিন্তু অর্থনীতির একটি দুয়ার খুলেছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে খাদ্য ও ফল উৎপাদনের বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগ করার আহ্বান করা হয়েছে। পাসপোর্ট ছাড়া যেন বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে যাওয়া যায়, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।


কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগির নির্মাণ শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগির শুরু হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে অংশ নিয়ে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন হয়।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান। পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২/৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাসগান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবারাহ করা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি এরই মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়েছে।’

তিনি জানান, অত্যাধুনিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে অ্যালকোটেন ৪০টি, এটিজিডব্লিউ ১২টি, স্নাইপার রাইফেল ১৩২টি, এএএমজি তিনটি, এপিসি আমর্স ২৮টি। যানবাহনের মধ্যে রয়েছে এটিভি ২৫৯টি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল (আরসিভি) ১০টি, আমর্ড পার্সোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ৪০টি, মোটরসাইকেল এক হাজার ৯৬৫টি, পিকআপ ৫৪৭টি, অ্যাম্বুলেন্স ৬৯টি, ট্রাক ২১৮টি, জিপ ৩২৮টি, বাস ২৫টি, মাইক্রোবাস ১২টি ও ওয়াটার ট্রেইলার ৭৩টি।

এছাড়াও বিজিবির জন্য কেনা আকাশযানের মধ্যে হেলিকপ্টার রয়েছে তিনটি। জলযানের মধ্যে স্পিডবোট ৮৭টি, হাইস্পিড ইঞ্জিন বোট ১২টি, এয়ারবোট চারটি, লজিস্টিক শিপ একটি, পন্টুন ৫টি, মোটর লঞ্চ ২৫টি, পেট্রল বোট ৪টি, রেসকিউ বোট ১৫টি এবং ওয়াটার ক্যারিয়ার ভ্যাসেল দুটি। এছাড়া জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এবং সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) জন্য প্রাইভেট তহবিলের ব্যবস্থাপনায় দুটি স্পিডবোটের বডি কেনা হয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সাত গ্রাম ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে।’

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা করে এক লাখ ২০ হাজার ২৮৭ আসামি গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এসময় ৩১ হাজার ৬২২ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ কেজি ৮২৮ গ্রাম হেরোইন, ১৮৬ কেজি ৬৩২ গ্রাম আইস এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭১ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবেলট জব্দ করা হয়েছে।’


‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে’

বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ মে, ২০২৪ ১৩:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে থাইল্যান্ড সরকারপ্রধান সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গা আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। মিয়ানমারের ওপরে থ্যাইল্যান্ডের একটা প্রভাব আছে। সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিষয়টি তিনি আরও গভীরভাবে দেখবেন এবং প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের এই বিষয়টি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে বর্তমানে যে অবস্থা চলছে, সেটা নিয়ে। তারপরও প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চলবে বলে তারা আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আলোচনা হয়েছে।’

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল এটি। সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এই সফরে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আগামী সপ্তাহে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২ মে, ২০২৪ ১২:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৬ ও ৭ মে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ ছাড়া সন্ধ্যার দিকে ঢাকার পূর্বাঞ্চল- বিশেষ করে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, সারা দেশের বৃষ্টিপাতের প্রভাব ঢাকাতেও পড়বে। তাই আগামী সপ্তাহে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, দেশের পশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন আজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২ মে, ২০২৪ ১০:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদন জানায়, আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী গত ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফেরেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।

এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি সকল দেশের উদ্দেশে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।


উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। আসন্ন এই হুমকির উল্লেখ করে বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে সতর্কতা জারিসহ বেশকিছু সুপারিশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালিত এফএফডব্লিউসি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে।

নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি উঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাক-বর্ষার পানিপ্রবাহ অতিক্রম করতে পারে। বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকতে বাসিন্দারা বিডব্লিউডিবি বন্যা অ্যাপ এবং এফএফডব্লিউসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে www.fwc.gov.bd ও www.ffwc.gov.bd/flashflood রিয়েল-টাইম আপডেট এবং বন্যার পূর্বাভাস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে সমন্বয়ের জন্য হটলাইন ১০৯০ (টোল-ফ্রি) ও ০১৮৪১-০০২২৯৯ নম্বরে কল করতে পারেন।

বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং তাদের সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশিকা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে: স্পিকার

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগ চিকিৎসায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

তিনি বলেন, জীবন ধারণ পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদরোগ সমস্যার সমাধান করা যায়, তাই প্রত্যেক কমিউনিটিকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

স্পিকার আজ রাজধানী ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্রান্ড বলরুমে 'বাংলাদেশ লাইভ ২০২৪: আইপিডিআই কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের পরিচিতি তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. মহসিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ড. মো. তৌহিদুজ্জামান এমপি এবং প্রফেসর ড. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি বক্তব্য রাখেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনসের দক্ষ চিকিৎসকরা কার্ডিওভাস্কুলার রোগের চিকিৎসায় নিরলস কাজ করে চলেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন এ দেশের মেডিকেল সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।

স্পিকার বলেন, দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের সংখ্যা রোগীদের তুলনায় অপ্রতুল হলেও দেশের মেধাবী ও দক্ষ চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রত্যন্ত এলাকাতেও ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হচ্ছে। ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের ৩২ ধরণের ঔষধ বিনামূল্যে রোগীদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কার্ডিওভাসকুলার রোগের চিকিৎসায় ডিজিটাল বিজ্ঞানকে কাজে লাগানো অত্যাবশ্যক। এই সেমিনার স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল বিজ্ঞানের সাথে ঐতিহ্যগত পদ্ধতির সেতুবন্ধন তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।

স্পিকার বলেন, কার্ডিওভাসকুলার রোগীর চিকিৎসায় এই সেমিনার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীগণ নেটওয়ার্কিং এবং আইডিয়া শেয়ারের মাধ্যমে কার্ডিওলজি চিকিৎসাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এসময় স্পিকার ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির বিকাশে অসাধারণ অবদানের জন্য প্রফেসর আবু জাফর, প্রফেসর মো. আমানুল্লাহ এবং সিঙ্গাপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর তান হুয়ে চীমকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ, দেশ ও বিদেশের কার্ডিওলজির ফ্যাকাল্টি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর ও শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ-সৌদির যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তারা এখন কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ করছেন এবং বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি’র সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম এ কথা জানান।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারিত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে সৌদি সহকারী জ্বালানী মন্ত্রী বাংলাদেশকে তাদের জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। বৈঠকে তারা জেভি পিএপি সার প্ল্যান্ট নিয়েও আলোচনা করেন।

একই দিনে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) এর চিফ অফ স্টাফ এবং বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের সেক্রেটারি জেনারেল সাদ আল কোরডের সাথেও তার অফিসে বৈঠক করেন।

এসময় পিআইএফ মহাসচিব উপদেষ্টাকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মহাসচিব পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কোম্পানির তালিকা শেয়ার করেন এবং পিআইএফ তাদের কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি এসব দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন কাল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ১৯:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান দ্বাদশ জতীয় সংসদের ২০২৪ সালের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বর্তমান সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত হবে। ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোকপ্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে।

জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এ দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না বলে জানা গেছে।

চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।

এদিকে, আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন উপলক্ষে সংসদে অধিবেশন চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবন ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়, আজ বুধবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরণের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও যে কোন প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছে।

যেসব এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে–

ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্বপ্রান্ত থেকে গ্রীন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নম্বর সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ এর পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এই সীমানার মধ্যে অবস্থিত সবগুলো রাস্তা ও গলিপথ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২য় অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

বিষয়:

শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ১৭:১৪
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল-কারখানা মালিকদের প্রতি বিলাসিতা কিছুটা কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ঐতিহাসিক মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে শ্রমিকরা তাদের কঠোর শ্রম দিয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে মালিকদের জীবন জীবিকা উন্নত করা অথবা বিলাসবহুল জীবন যাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে সেখানে তারা বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে বিশেষভাবে নজর দেবেন সেটাই আমি চাই।’

সরকার প্রধান বলেন, আমি জানি বাংলাদেশে কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের নিয়ে রাস্তায় নামার চেষ্টা করে। এখন যে কারখানা আপনাদের ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করছে কাজের ব্যবস্থা করছে জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করছে এই কারখানা নিজেরা যদি ধ্বংস করতে যান, ভাঙচুর করেন তাহলে ক্ষতিটা কার হচ্ছে? এতে নিজের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। মালিকদেরও ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু মালিকদের তো আর একটা ব্যবসা থাকে না আরও অনেক ব্যবসা থাকে। তারা হয়তো ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু আপনাদের নিজেদের ক্ষতি তো আপনারা নিজেরা করেন।

তিনি আরও বলেন,‘আপনাদের যদি কোন অসুবিধা হয়, আমার দুয়ার আপনাদের জন্য সবসময় খোলা। আপনার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সেগুলো আমরা দেখব এবং আমাদের শ্রমিক সংগঠন ও রয়েছে।’

শ্রমিকদের শুধু নয় কৃষক, এমনকি বর্গা চাষীদের বিনা জামানতে ঋণ প্রদানের সুযোগ তার সরকার করে দিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, শিশু শ্রম বন্ধের উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। আজকে শতকরা ৯৮ শতাংশ শিশু স্কুলে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বৃত্তি দিচ্ছি, খাবারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। বিনা মূল্যে বছরের প্রথম সপ্তাহে বই দিচ্ছি এবং কারিগরি ও ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ব্যাপকহারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এটা আগে ছিল না, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা করেছি। যাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ নেমে এসেছে। যা প্রায় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি ছিল। কর্মসংস্থান ব্যাংকের উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য যুবকদের বিনা জামানাতে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করেছি।

সরকার প্রধান বলেন, ‘কোন সমস্যা হলে সেটা বলবেন কিন্তু কারো প্ররোচনায় বা কারো উস্কানিতে যেটা থেকে নিজের রুটি-রুজি ও ভাত কাপড় আসবে সেটাকে যেন ধ্বংস করা না হয়। সেটার প্রতি আপনারা অবশ্যই যত্নবান বান হবেন। আর মালিকদেরকে বলবো আপনারা আপনাদের বিলাসিতার কিছু অংশ ছেড়ে দিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণ দেখবেন।’

তিনি এ সময় ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন তো সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। কাজেই আপনারা যদি পণ্য মূল্য কিছুটা বাড়িয়ে দেন, তাহলে আমি নিজেও মালিকদের আরও চাপ দিতে পারি আমাদের শ্রমিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য। আমি আশা করি আইএলও শুধু শ্রমিক নয়, মালিকদের এই বিষয়ও দেখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও নারীরা পুরুষের সমান মজুরি পায় না কিন্তু বাংলাদেশে পাচ্ছে। বর্তমানে আমাদের কর্মজীবী মহিলার সংখ্যা ৪৩.৪১ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ছিল মাত্র ২২.৮১ ভাগ। এখন মেয়েরা সর্বক্ষেত্রে কাজ করতে পারছে, সে সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে কয়েকটি শ্রমিক পরিবারের নিকট আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন। পরে তিনি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এইচ এম ইব্রাহিম, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পুতিয়ানেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।


banner close