সারা দেশের মানুষ গরমে অতিষ্ঠ বলা যায়। অন্যান্য বছর এপ্রিলে গরম থাকলেও ছিল কালবৈশাখী এবং বৃষ্টিপাত। এ বছর বৈশাখ আসার কয়েকদিন আগে দেশের কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড় ও বৃষ্টিপাত হলেও ১৪ এপ্রিল থেকে তীব্র গরমে সারা দেশের মানুষের হাপিত্যেশ অবস্থা। ঘর থেকে বাইরে বের হলেই রোদের তীব্রতা ও বাতাসে আগুনের ফুলকির ছোঁয়া মানুষকে অস্থির করে তুলছে। দেশবাসী যেন অন্যরকম এক এপ্রিল মাস দেখছেন। এই তীব্র গরম থেকে সহজেই মুক্তি মিলছে না বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।
আজ ও আগামীকাল মঙ্গলবারও দেশে এক রকম তাপমাত্রা প্রবাহিত হবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকলেও এই না যে, দাবদাহ শেষ হয়ে যাবে। সেটা হয়তো মাঝারি থেকে মৃদুতে যেতে পারে দেশের কয়েক জায়গায়। তবে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় দাবদাহটা চলতি মাসজুড়েই বিরাজমান থাকবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
অন্যান্য সময় এপ্রিলের এ সময়ে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস; কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে তা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে গেছে। গড়ে সারা দেশের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। গতকাল রোববারও চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি থাকছে।
তীব্র এই দাবদাহে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এরই মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন করে গতকাল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি)- ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনলাইনে ক্লাস এবং সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভ্যাপসা এই গরমে সারা দেশের শ্রমজীবী মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছে। দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ যাদের কাজের জন্য বাইরে বের হতেই হয় তারা গরমে বেশ কষ্ট করছেন। বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা এই গরমে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। তীব্র গরমে ভোগান্তিতে রয়েছেন ভ্যানচালক থেকে শুরু করে হকার, বাইক রাইডারসহ পথচারীরাও।
এদিকে অব্যাহত থাকা তীব্র দাবদাহের কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। রোববার সচিবালয়ে সারা দেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে অনলাইনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র দাবদাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা এবং একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এ সময় তিনি বয়স্ক ও শিশুরা যেন প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
নরসিংদী ও সিলেটে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু ২
নরসিংদীর মাধবদী হিটস্ট্রোকে এক যুবক ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় এক রিকশাচালকের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করা যুবকের নাম সাফকাত জামিল ইবান (৩২)। তিনি পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, স্ত্রী এবং তিন বছর বয়সি কন্যা সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঈদ-পরবর্তী বেড়ানো শেষ করে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন ইবান। এ সময় তীব্র দাবদাহের ফলে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। পরে বাড়ি ফিরেও অজ্ঞান এবং অতিরিক্ত ঘামে স্বস্তিবোধ না করায় সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রচণ্ড রোদের মাঝে চলাফেরা এবং প্রচুর ঘামের ফলেই অজ্ঞান হয়ে যায় ইবান। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় গরমে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া রিকশাচালকের নাম আবু হানিফ মিয়া (৩৪)। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বেলা ১১টার দিকে আবু হানিফ নামের এক রিকশাচালক দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসকরা মৃত্যু ঘোষণা করেন।
পুলিশের ক্যাম্পের দায়িত্বরত কনস্টেবল তোফায়েল আহমদ জানান, স্থানীয়রা ওই রিকশাচালককে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার ‘হিটস্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে।
গতকালও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল
দৈনিক বাংলার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধির তথ্যমতে, জেলার ওপর দিয়ে কয়েক দিন ধরে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিল মাসজুড়ে দাবদাহ থাকতে পারে।
এদিকে প্রচণ্ড রোদে কৃষকের ফল-ফসল ও সবজি বাগান ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ছাড়া জেলায় বিভিন্ন সড়কের রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। জেলার সকল স্কুল-কলেজ, কিন্ডারগার্টেনসহ কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।
গরমজনিত কারণে জেলা সদর হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। গত কয়েকদিনে শিশুসহ ১৩৭ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান বলেন, তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে গরমজনিত রোগীর চাপ খুব একটা নেই। হয়ত কয়েক দিন পর থেকে বাড়তে পারে।
ঝিনাইদহে গরমে নলকূপে উঠছে না পানি
দৈনিক বাংলার ঝিনাইদহের প্রতিনিধি জানান, তীব্র গরম আর তাপদাহে জেলার ছয় উপজেলার মানুষ ও পশুপাখি হাঁসফাঁস করছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে পানির চমর সংকট। হস্তচালিত নলকূপ এবং শ্যালো বোরিংয়ে উঠছে না পানি। ফলে গৃহস্থালি ও মাঠে কৃষকরা উভয়ই সংকটে পড়েছে।
জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগেও তার সেচ পাম্পে পর্যাপ্ত পানি উঠত। এখন মাটির গভীরে মেশিন বসিয়েও পানি উঠছে না। ভারী বৃষ্টি না হলে ঝিনাইদহের হাজারও কৃষক জমিতে সেচ নিয়ে বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন। ভুক্তভোগীরা বলছে, ইরি ধানের সেচ কাজে এবং পুকুর খনন করে মাছের চাষের জন্যে মাত্রাতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করায় পানির স্তর নেমে গেছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার বেশিরভাগ বিল বাঁওড়, জলাশয় ও পুকুর-নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। বিশেষ করে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ পানি শুকিয়ে গেছে। এসব নদীর তলদেশে কৃষকেরা এখন ধানচাষ করছেন।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, শুধু ঝিনাইদহ জেলাতে না। জেলাজুড়ে কত হাজার বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে নলকূপ রয়েছে, তা আমাদের পরিসংখ্যানে নেই। তবে সরকারিভাবে ঝিনাইদহ জেলায় ১৭ হাজার গভীর ও ১৮ হাজার অগভীর নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপে পানির স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে। প্রকৌশলীদের পরামর্শ নিয়ে নলকূপ স্থাপন করলে শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট কমবে।
বেনাপোলে প্রচণ্ড গরমে বিপাকে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা
প্রচণ্ড গরমে একটানা বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন দৈনিক বাংলার বেনাপোল প্রতিনিধি। ট্রাকে পণ্য ওঠানামা যেমন ধীরগতি দেখা দিয়েছে, তেমনি কমেছে তাদের দৈনিক আয়।
একটানা কাজ করতে না পারায় আয় কমেছে শ্রমিকদের। স্থলবন্দরের শ্রমিক সেলিম আহম্মেদ বলেন, ‘অন্যান্য সময় সারা দিন কাজ করে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করতাম। এখন ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব হচ্ছে না।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক আবু নিদাল ফয়সল বলেন, ‘গরমের কারণে শ্রমিকরা লাগাতার কাজ করতে না পারায় ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করতে অধিক সময় চলে যাচ্ছে। ট্রাকে পণ্য লোড করতেও তুলনামূলক বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে।এতে সময় মতো পণ্য সরবরাহ করা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।’
গত বছরের তুলনায় এবার বেশি গরম পড়েছে। যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া অফিস বলেছে, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা পর্যন্ত যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। কিন্তু শনিবার (২০ এপ্রিল) গত কয়েকদিনের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা দাঁড়ায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রোববার বেলা ১টায় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে এসেছে।
ঢাবি, জবি ও ববিতে ক্লাস-পরীক্ষার নতুন সূচি
দৈনিক বাংলার ঢাবি, জবি ও ববির প্রতিনিধিদের তথ্যমতে, তীব্র দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সশরীরে সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করাসহ অনলাইনে ক্লাস ও অন্যান্য কার্যক্রম চলমান রাখা এবং ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অনলাইনে ক্লাসসহ পরীক্ষা সশরীরে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী ছাত্রবাস অথবা বাসার বাইরে যেতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এবার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বন্ধ
চলমান দাবদাহের কারণে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার আওতাধীন বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ (ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল) বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা এর আওতাধীন বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সারা দেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ও ২৭ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু তথা স্কুল খোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
দাবদাহ থেকে মুক্তি মিলবে কবে
দেশের মানুষ কবে দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে পারে, তা নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার প্রায় একই রকম তাপদাহ অব্যাহত থাকবে।
এপ্রিলের ২৪-২৫ তারিখে একটু কমার সম্ভাবনা আছে, তবে তার মানে এই না যে, তাপপ্রবাহ শেষ হয়ে যাবে। সেটা হয়তো মাঝারি থেকে মৃদুতে আসতে পারে বা দুই-এক জায়গা থেকে কমতে পারে তাপপ্রবাহের হারটা; কিন্তু দেশের বেশির ভাগ জায়গায় দাবদাহে চলতি মাসজুড়েই বিরাজমান থাকবে বলে আবহাওয়াবিদরা উল্লেখ করেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টারআবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানায়, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ বয়ে যাবে। মে মাসের আবহাওয়ার পরিস্থিতি নিয়ে জানা গেছে, এপ্রিল এবং মে মাস সবচেয়ে উষ্ণতম দুটি মাস।
অতীতের যে ক্লাইমেটোলজি বা রিপোর্টগুলো আছে, তাতে দেখা গেছে যে, কখনো কখনো এপ্রিল থেকে মে মাসেই তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ছিল। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, এপ্রিলের পাশাপাশি মে মাসেও হিটওয়েভটা থাকবে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের ‘জন্মস্থান’ খ্যাত পুরান ঢাকার হৃষিকেশ দাস রোডের রোজ গার্ডেন কেনার নামে রাষ্ট্রের ৩৩২ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধানে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’
দুদক জানায়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ‘রোজ গার্ডেন’ বাড়িটি কেনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ৩৩২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে অভিযান চালায়। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য ও নথির ভিত্তিতে কমিশন প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে।
২০১৮ সালে ব্যক্তি মালিকানাধীন পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষিত ‘রোজ গার্ডেন’ ভবনটি কিনে নেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এজন্য ব্যয় হয় ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ ২ হাজার ৯০০ টাকা।
ওই বছরের ৮ আগাস্ট সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আওয়ামী লীগের জন্মস্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইতিহাসের স্বাক্ষী রোজ গার্ডেন ভবনটি অধিগ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সরকার ওই ব্যক্তিমালিকানাধীন পুরাকীর্তিটি কিনে নেয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, হৃষিকেশ দাস নামে এক ব্যবসায়ী ১৯৩১ সালে প্রায় ২২ বিঘা জমির ওপর ওই বাগানবাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ির চারপাশ তিনি সাজিয়ে তোলেন বিভিন্ন দেশ থেকে আনা দুর্লভ প্রজাতির গোলাপের বাগানে। তখন থেকে এর নাম হয় ‘রোজ গার্ডেন’। ১৯৩৬ সালে ঢাকার বই ব্যবসায়ী খান বাহাদুর মৌলভী কাজী আবদুর রশীদের কাছে ওই সম্পত্তি বিক্রি করে দেন হৃষিকেশ দাস। কাজী আবদুর রশীদ সেখানে প্রভিন্সিয়াল লাইব্রেরি গড়ে তোলেন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই রোজ গার্ডেনেই গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। ১৯৫৫ সালে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে এ দলের নতুন নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
২০১৮ ব্যক্তি মালিকাধীন পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষিত ওই বাড়ি কিনে নেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এতে সরকারের ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ দুই হাজার ৯০০ টাকা ব্যয় হওয়ার কথা জানায় সরকার।
গত বছরের ৫ আগস্ট ওসি সায়েদের নির্দেশেই আশুলিয়া থানার সামনে সরাসরি গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে পুলিশ সদস্যরা। পরে ওসির নির্দেশেই পেট্রোল ঢেলে ৬ মরদেহ পুড়িয়ে দেয় তারা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ গতকাল বুধবার ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় এ লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন রাজসাক্ষী এসআই আফজালুল হক।
সাক্ষ্যে শহীদদের জন্য কিছু করতে না পারার কথা জানিয়ে, শহীদ পরিবার ও ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
এসআই আফজালুল বলেন, আশুলিয়া থানার সামনে এএসআই বিশ্বজিৎসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছাত্র-জনতার মিছিল লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি করে।
এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। তখন ওসি সায়েদ তার ঊর্ধ্বতন কারও সাথে ফোনে কথা বলছিলেন বলে দেখেন রাজসাক্ষী আফজালুল।
পরে ওসি সায়েদের নির্দেশ মরদেহগুলো প্রথমে একটি ভ্যানে এবং পরে পিকআপে উঠায়। এরপর এ বিষয়ে ওসি সায়েদ এসআই মালেক ও এএসআই বিশ্বজিতের সাথে পরামর্শ করেন। তখন তা দেখে আফজালুল নিজে তার পিস্তল সাথে নিয়ে থানা ত্যাগ করেন। এর ১০ দিন পর ১৫ আগস্ট থানায় এসে তিনি অস্ত্র জমা দেওয়ার সময় জানতে পারেন, মরদেহগুলো ওসি সায়েদ ও বিশ্বজিৎসহ অন্যরা পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে যথাযথভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সেমিনার কক্ষে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তখন সভাপতির বক্তব্যে এই তিনি আহবান জানান।
সিইসি বলেন, ‘ভোট গ্রহণের প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাদের সকলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অতীতে কেয়ারটেকার আমলে দুই-তিনটা নির্বাচন দেখেছি, নির্বাচনী আচরণবিধি পালনের ব্যাপারে দলগুলো ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাইতেও প্রতিটা রাজনৈতিক দল এবং তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে আমরা আশা করব আপনারা আমাদের ও দেশের জনগণের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করবেন।’
তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন কমিশন একা নয়, একটা সুন্দর আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য আপনারাও জাতির কাছে অঙ্গিকারবদ্ধ। এতদিনের সংলাপে ‘আমরা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই না’ এমন বক্তব্য কোনো রাজনৈতিক দল দেয়নি। সবাই একটা সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জাতির কাছে ওয়াদা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটাই স্বাভাবিক, কারণ আপনারা তো দেশের জন্য রাজনীতি করেন, দেশের কথা ভাবেন, মঙ্গল কামনা করেন- এই বিশ্বাস আমাদের আছে, তাই আমরাও জাতির কাছে কথা দিয়েছি এবং প্রধান উপদেষ্টাও অঙ্গিকার করেছেন এই নির্বাচনকে ঘিরে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা হবে।’
সিইসি জানান, আচরণবিধির খসড়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেকগুলো সুপারিশ এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এরপর এটি ওয়েবসাইটে দিয়ে জনগণের মতামত চেয়েছিলাম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল লিখিতভাবে তাদের মতামত দিয়েছে, বিভিন্ন অন্যান্য সংস্থাও লিখিতভাবে মতামত দিয়েছে। সবার মতামত পর্যালোচনা করে এটা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তবে, আচরণবিধি প্রস্তুত করাটা বড় কাজ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা সুন্দর নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি পরিপালনটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা যে রাজনৈতিক দলগুলো এই আচরণবিধি পরিপালনে প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে দেশের ভোটাররা একটু ভোট বিমুখ হয়ে গিয়েছিল গত ১০-১৫ বছরে, তারা ভোটবিমুখ, কেন্দ্রবিমুখ হয়ে ভোট দিতে আসতে চায়নি। জাতীয় নেতারা, যাদের সাথে সরাসরি তৃণমূলের সম্পর্ক রাখেন, তৃণমূলের মানুষ আপনাদের বক্তব্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ভোট দেওয়ার জন্য আপনারা জনগণকে একটু উদ্বুদ্ধ করবেন। আমরা চাই সবাইকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসতে, এবং আপনারা সেটি করতে সক্ষম।’
চলমান এ সংলাপে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো সানাউল্লাহ, আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমেদ, মো আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বুধবার সংলাপে সকালের বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো ছিল- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি-বিএমজেপি, ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
এছাড়া এদিন দুপুর ২টা থেকে বিএনপি, বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-মার্কসবাদী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় পরিবেশে আয়োজন করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। গতকাল বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কোর্স–২০২৫-এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের তরুণ সামরিক কর্মকর্তাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ বছর চীন, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের ৩১১ জন অফিসার প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি।’
তিনি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানেও সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। তার ভাষায়, ‘সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কারণে আমি তাদের ভূমিকায় ভূয়সী প্রশংসা করি।’
কোর্সে অংশগ্রহণকারী অফিসাররা অনুষ্ঠানে অর্জিত জ্ঞান ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত ও পেশাগত ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তাদের মতে, জাতীয় যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে এই প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।
এক বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘ডিএসসিএসসিতে এই কোর্সে আমরা যে নেতৃত্ব, কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি, তা আমাদের দেশের এবং এর বাইরে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যেকোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।’
চীন থেকে অংশ নেওয়া এক অফিসার বলেন, ‘বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলেছে। ২৩টি দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আশা করি, এই জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজ নিজ দেশকে নিরাপত্তা দিতে কাজে লাগবে।’
বাংলাদেশি আরেক অফিসার প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, আমরা যারা এই কোর্স সম্পন্ন করলাম, তারা দেশ রক্ষায় এবং প্রয়োজনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে, যেমন: একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী কর্মকর্তাদের হাতে সনদ তুলে দেন।
ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৫-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭০ জন, নৌবাহিনীর ৪৫ জন এবং বিমান বাহিনীর ৩৬ জন কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের ৩ জন কর্মকর্তা এবং চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জর্ডান, কেনিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, সিয়েরা লিওন, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, তুরস্ক ও উগান্ডা থেকে আগত ৫৮ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। সব মিলিয়ে এ বছর মোট ৩১১ জন প্রশিক্ষণার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। এতে বাংলাদেশ পুলিশের একজনসহ মোট ১৪ জন নারী কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েশন অর্জন করেন, যা নারীর অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়নে প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা (চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত), বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপকরা এবং বিভিন্ন দেশের মিলিটারি বা ডিফেন্স অ্যাটাচি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবিধানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসায় এখন আর দিনের ভোট রাতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের রায়ের পর নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে ফুল জাজমেন্টে আসবে। আজ থেকে বাংলাদেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে। দিনের ভোট রাতে হবে না, মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবে না।
তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছিল। হাইকোর্ট এটাকে অসাংবিধানিক বলেছেন এবং এই সংশোধনী অসৎ উদ্দেশ্য আনা হয়েছিল।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফরমেশন হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না। এটা রিস্টোরড হয়েছে, অর্থাৎ পূর্বাবস্থায় ফিরে গেল।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো কোরান বা বাইবেল নয়। এই রায়ের মাধ্যমে এমন কিছু আসবে না, যা কোরান বা বাইবেলিক হয়ে যাবে। ২০ বছর পর যদি মানুষ মনে করে এই ব্যবস্থা পঁচে গলে গেছে, গণতন্ত্র রক্ষায় এর থেকে ভালো কোনো ব্যবস্থা রয়েছে, তখন পার্লামেন্ট সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আপিল বিভাগ তার পূর্বের রায়কে কলঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কলঙ্কিত বলেই সে রায়টা বাতিল করা হয়েছে। অনেকগুলো কারণ আমরা দেখিয়েছি। তার একটা কারণ হিসেবে আমরা বলেছিলাম, এই রায় লেখার ক্ষেত্রে খায়রুল হক ও তার সহযোগীরা দণ্ডবিধি ২১৯ ধারায় অপরাধ করেছেন। মুখ দিয়ে রায় বলে ফেললে সেটা রায়, ওটা পরিবর্তনের আইনি পদ্ধতি রয়েছে। হয় নিজেরা রিভিউ নাম্বার ফেলে পরিবর্তন করতে পারতেন। অথবা অন্য কেউ রিভিউ করে তা পরিবর্তন করতে পারতেন। অথচ মুখের রায়কেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ফিফটিনথ অ্যামেডমেন্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের যে সংশোধনী, যে অংশটুকু বাতিল হয়েছে, আপিল বিভাগে তো সেটাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি।
রাজনৈতিক অবস্থার ওপর রায় নির্ভর করে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তা মনে করি না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করে যে নির্বাচন হয়েছিল…এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হওয়ার পর দেশ গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে, কোনটা সবচাইতে বেশি গ্রহণযোগ্য, সেটা আপনারাই বিবেচনা করবেন। গণতান্ত্রিক নয়, এটা হলো এক আইনি রায়।
পুলিশ অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি অনুরোধ করব- আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, পুলিশ যখন একটি অরাজকতা ঠেকানোর প্রতিহতের চেষ্টা করছিল তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে কি ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে? অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে আপনারা খারাপ ব্যবহার করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যে কাজটি করতে চাচ্ছিলেন সেটি করলে সমাজে, ঢাকা শহরে, দেশে একটা অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থান হয়ে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। এজন্যই আমাদের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাদের প্রতি এমন আচরণ আমরা কোনো শিক্ষিত, সচেতন মানুষের কাছ থেকে আশা করি না।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় কমিশনার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে আমার সদস্যদের মনোবল ভেঙে যায় এবং এই পরিস্থিতির ক্ষতি সবাইকেই ভোগ করতে হয়। যদি আমার অফিসারদের মনোবল ঠিক না থাকে ৫ আগস্ট এর পরে যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধ লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছে ঠিক সেভাবে আবার পাহারা দিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছেন, তাদের কাছে অনুরোধ- এই কাজটি করবেন না।
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এটা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়; এটা দেশের আইন। আইন আমি বানাই না- পার্লামেন্ট বানায়। আপনারা আইনটা দেখেন। পুলিশের কাজে আইনেই যা বলা আছে, আমি শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। নতুন সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে থাকবে আধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ইমেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য- প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করা।
শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বেলিং- এসব অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে গভীরভাবে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ থাকবে। হয়রানির শিকার হলে যাতে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যায়- এটাই আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তাকে শুধু পুলিশের দায়িত্ব না উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়তে সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) গ্রাহকের সেবা অনলাইনে দেওয়ার লক্ষ্যে ই-সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে। এখন থেকে বিএসটিআইয়ের সব সেবা পাওয়া যাবে অনলাইনে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই প্রধান কার্যালয়ে সেবাগ্রহীতাদের সেবা দেওয়ার সহজীকরণের জন্য এ সফটওয়্যারের উদ্বোধন করা হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম সফটওয়্যারের কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব (অ. দা.) নুরুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (বিটিএফ) প্রকল্পের আর্থিক ও অরেঞ্জ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
এখন থেকে সিএম ম্যান্ডেটরি প্রোডাক্ট লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহক eservice.bsti.gov.bd লিংক এ গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। বিএসটিআই কর্তৃক আবেদন গ্রহণের পর যাচাই-বাছাই, পরিদর্শন, সিম্পেল কালেকশন, টেস্ট ফি প্রদান এবং সবশেষ লাইসেন্স প্রদান সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
এ ছাড়া বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহক ec.eservice.bsti.gov.bd লিংকে গিয়ে BDS ক্রয় করতে পারবেন।
পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠানটির মেট্রোলজি লাইসেন্স, এমএসসি লাইসেন্স, কেমিক্যাল ল্যাব টেস্ট, ফিজিক্যাল ল্যাব টেস্ট এবং এডমিন উইংয়ের সেবাসমূহ সফটওয়্যারে যুক্ত করা হবে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) থেকে সমন্বয় করা এই দাম কার্যকর হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
দীর্ঘ আট বছর জঙ্গি দমন, বোমা শনাক্তকরণ ও বিভিন্ন উচ্চঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হিসাবে কাজ করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের তিন প্রশিক্ষিত কুকুর ফিন, কোরি ও স্যাম। বয়সজনিত কারণে কর্মক্ষমতা কমে আসায় এবার তাদের অবসরে পাঠাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির লজিস্টিকস শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২৫ নভেম্বর মিরপুর-১৪ পুলিশ লাইন্সের ক্যানাইন ইউনিট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে এই নিলাম। এতে ব্যবসায়ী, চুক্তিকারী এবং বিশেষ করে কুকুরপ্রেমীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাস্তায় আটকে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে এক নারীর হাতে মার খেয়ে অস্ত্র ফেলে পালিয়েছে তিন ছিনতাইকারী। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের কোদলা ও আমলসারের মাঝামাঝি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এক এনজিওকর্মী নারীর কাছ থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তিন ছিনতাইকারী। এ সময় ওই নারী ছিনতাইকারীদের প্রতিহত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে ওই নারীকে নির্জন রাস্তায় আটকে টাকা-পয়সা ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় ওই নারী আত্মরক্ষায় এক ছিনতাইকারীকে ঘুসি মারে। এরপর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় তারা একটি আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে যায়।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, মরেই যাবো ভেবে শেষ চেষ্টা করেছি। লড়াই করার পর তারা পালিয়ে গেছে। পরে দেখি একটি অস্ত্র মাটিতে পড়ে আছে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইদ্রিস আলী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে। অস্ত্রটি আসল নাকি নকল, পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরলো। ১০ কার্যদিবস ধরে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের অন্য ছয় সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ।
তবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলেও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের মতে, পরবর্তী অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনই হতে পারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
এর উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, আগে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ রায় দেওয়ার পর ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ যেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়েছিল, তেমনি ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের আনা সংশোধনীতে বিভাগীয় শহরে স্থাপিত হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ হাইকোর্ট বাতিল করলে সেই রায়ের পর সার্কিট বেঞ্চ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় ।
আপিল পক্ষের আইনজীবী ড. শরীফ ভুইয়া বলেন, ‘ওই সংশোধনীগুলো বাতিলের প্রেক্ষাপট ভিন্ন, বর্তমান প্রেক্ষাপটও তা-ই ভিন্ন।’ তার মতে, ত্রয়োদশ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় করতে গেলে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।
গত ১১ নভেম্বর শেষ হওয়া এ আপিল শুনানিতে বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ড. শরীফ ভুইয়া, বিএনপির পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মির্জা ফখরুলের পক্ষে ব্যারিস্টার জয়নুল আবেদীন এবং জামায়াতে ইসলামীর গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলেন, আমরা এখন যে অবস্থায় আছি তাতে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে কার্যকর করা সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলেও এবার অর্থাৎ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এ ব্যবস্থায় করার সুযোগ নেই।
শুনানিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে নির্বাচন, তা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে না। আদালতে আমরা বলেছি, পরবর্তী নির্বাচন থেকে এ বিধান কার্যকর হতে পারে।’
জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরও মনে করেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই হবে। সংসদ ভাঙার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান ছিল। সংসদ না থাকলে ভাঙার প্রশ্নই আসে না। এখন তো সে রকম পরিস্থিতি নেই। আর সংসদ ভেঙেছে এক বছরেরও বেশি সময় আগে। ফলে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োগের সাংবিধানিক সুযোগ নেই। তার মতে, বর্তমানে দেশ একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের তিনটি ম্যান্ডেট- বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। সেই ধারাবাহিকতায়ই আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সংসদ গঠনের পর চাইলে আগের তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি পুনর্বহাল করা যেতে পারে অথবা জুলাই সনদের মেকানিজম অনুযায়ী নতুন কাঠামো গড়া যেতে পারে।
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এ আপিলে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ ও ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। গত ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।
উল্লেখ্য, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি বের হবার আগেই ২০১১ সালের ৩০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলুপ্তিসহ ৫৫টি সংশোধনীসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদে পাস করে এবং ৩ জুলাই তা অনুমোদন করিয়ে নেয়।
গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনীর ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানবিরোধী ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ফলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরার পথ তৈরি হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, নারীদের পেছনে রেখে আমরা এগিয়ে যেতে পারব না। এগিয়ে যেতে হলে মা-বোনদের সঙ্গে নিয়েই যেতে হবে।
বুধবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে নিবরাস মাদ্রাসার আয়োজনে হিফযুল কোরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হযরত খাদিজা (রা.), হযরত আয়েশা (রা.) ও অন্যান্য নারী সাহাবিদের নিয়েই রাসুলুল্লাহ (স.) সমাজ পরিবর্তন করেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও মা-বোনদের দেখা গেছে। আমরা যদি আমাদের মা, বোন ও কন্যাদের অধিক হারে তাদের হাফেজা, আলিমা, মুহাদ্দিসা, চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানী বানাতে পারি তাহলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারবে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা একটি নতুন দিনের স্বপ্ন দেখি। ভেদাভেদ আর নয়। আমাদের একে-অন্যের হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ আগামীতে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে আমরা যে কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখি তা পূরণেও নিবরাস মাদ্রাসা মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানুষকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে ড. খালিদ বলেন, ‘আমি যদি অন্য একজনকে সম্মান না করি তাহলে তার কাছ থেকে সম্মান আশা করা যায় না। আমি যদি ঢিল ছুঁড়ি তাহলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি গীবত, পরনিন্দা ও পরচর্চা ত্যাগ করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। এছাড়া উপদেষ্টা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভেদাভেদ ভুলে সকলকে কালেমা তাইয়্যেবার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
নিবরাস মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের আহমাদ যাবেরী আল-মাদানী।
এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মো. নূরুল হক, হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল কুররা হাফেয কারি আব্দুল হক ও নিবরাস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
পরে উপদেষ্টা নিবরাস মাদ্রাসার হাফেযুল কোরআন শিক্ষার্থীদের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন।
কয়েকটি বড় রিক্রটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া। দেশটির এই শর্ত শিথিল করে যতটা সম্ভব রিক্রটিং এজেন্সির জন্য অবারিত সুযোগ রাখার কথা মালয়েশিয়াকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া থেকে যে ১০টি শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি শর্তের বিষয়ে আমরা শক্ত আপত্তি জানিয়েছি এবং বলেছি যে সময়সীমা বাড়াতে হবে। আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছি যে বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা সম্ভব না। এগুলো পূরণ করতে গেলে সিন্ডিকেট হবে আবার।
উপদেষ্টা বলেন, অল্প কয়েকটা বড় রিক্রটিং এজেন্সি সুযোগ পাবে। আমরা সেটা চাই না, আমরা চাই সুযোগ যত বেশি সম্ভব যেন অবারিত করা হয়। এজন্য আমরা এই শর্ত শিথিল করতে বলেছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে তারা এগুলো বিবেচনা করবে।
তিনি বলেন, শর্ত শিথিল ও শ্রমবাজার যথাসম্ভব সব এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ও কূটনৈতিক আদান-প্রদান অব্যাহত রাখব।
ঢাকায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র সহযোগিতায় তৈরি ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।