শনিবার, ৪ মে ২০২৪

সাবমেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন: স্বাভাবিক হতে লাগবে ১ মাস

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:১২

সারা দেশে গত পাঁচ দিন ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগে এ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসিও (বিএসসিপিএলসি)। তবে সহসাই ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরছে না। ধীরগতির এ পরিস্থিতি চলতে পারে আরও এক মাস।

বিএসসিপিএলসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে। সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত শেষ হতে অন্তত ৫ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মে মাসের শেষ নাগাদ সংযোগ স্বাভাবিক হতে পারে।

জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে সারা দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা দেয়। বিএসসিপিএলসি জানতে পারে সিঙ্গাপুরে জলসীমায় কোথাও ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে।

পরে আরও অনুসন্ধানে জানা যায় সিঙ্গাপুর নয়, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল ‘ব্রেক’ করেছে। এতে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, সিমিউই-৫ (দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। সেটা এখন পুরোপুরি বন্ধ।

বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান জানান, মূলত ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি ব্রেক করেছে। তারা এটা মেরামতে কাজ করছেন। আগামী মাস অর্থাৎ, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ অথবা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঁইয়া দ্রুত ব্যান্ডউইথ সরবরাহে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নাজমুল করিম ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা যতদূর জেনেছি, এখনো কাজই শুরু হয়নি। কনসোর্টিয়ামের কোনো জাহাজ না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। জাহাজ পাওয়ার পর হয়তো কাজ শুরু হবে। তার মানে আমরা একটা বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে গ্রাহকরা আমাদের অনবরত ফোন করছেন, খোঁজ নিচ্ছেন। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে সফটওয়্যার নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা বিপাকে পড়েছেন। ফ্রিল্যান্সাররাও এ নিয়ে আতঙ্কিত। সরকার এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা আমাদের।’

১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ এখন পুরোপুরি বন্ধ। শুধুমাত্র প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহে রয়েছে। এত বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা কীভাবে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের।

বিএসসিপিএলসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ৫ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়।

বাকি ২ হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছিল। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে।

অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ ঢুকেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস সরবরাহ করা হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে শিফটিং করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিকল্প অনেকগুলো উপায় রয়েছে। সেগুলো কার্যকর করা হচ্ছে। যদিও সব বিকল্প উপায়গুলো পুরোপুরি এখনো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এমনকি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল যেটি সিমিউই-৪ নামে পরিচিত, সেটির পুরো ব্যান্ডউইথ বহনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বাড়তি খরচ দিতে হবে। এটা ছাড়াও আরও কিছু বিকল্প রয়েছে। সেগুলো নিয়েও কাজ চলছে।’


‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সফলতায় কিছুটা দায়মুক্ত হয়েছি’

শনিবার জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি। আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের কথা একেবারেই বলি না।’

আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কাছে ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল; সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা মাঠে থেকে দেখেছি। সেদিন বৃহত্তর কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদেরই একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।’

এই জাদুঘরে সরকারি উদ্যোগ ব্যাপকভাবে লোকসমাগম হবে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে আনার ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামস ঘাতক-দালালরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেটা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের আলোচনা কিছুটা হলেও হয় কিন্তু রাজাকারদের আলোচনা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটি যেন পড়ানো হয়।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সাইফ ইমাম জামি প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ভারতের

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত। আজ শনিবার এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশটি।

গত মার্চের শেষের দিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নেওয়া এমন পদক্ষেপ বিদেশি বাজারে পেঁয়াজের উচ্চমূল্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করছিল বিশ্লেষকরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, শনিবার (৪ মে) থেকে দেশটির সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছে। যা ভারতের মহারাষ্ট্রের চাষীদের জন্য একটি স্বস্তির খবর। মূলত, এই অঞ্চলটিতে ব্যাপক পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পেঁয়াজের বিরাট দরপতনে ক্ষুব্ধ ছিলেন চাষিরা। সরকারের বিরোধীপক্ষও তাদের সমর্থন করে আসছিল। নতুন করে রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় কৃষকরা মূল্য পাবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালকের দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস-এমইপি) হবে প্রতি টন ৫৫০ ডলার।

পেঁয়াজের ওপর দেশটির আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই তুলে নেওয়া হবে বলে আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।

দেশটির মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কেননা, রপ্তানিতে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকেই ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে।

ডিসেম্বরে রফতানি নিষেধাজ্ঞা দিলেও বিশেষ অনুরোধে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে কিছু কিছু পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল ভারত।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকগণ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি, এলসি খোলাসহ সকল প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।


বাণিজ্য ও কৃষি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদোউ তাংগারা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১৪:৪১
বাসস

গাম্বিয়ার বানজুলে অনুষ্ঠানরত ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদোউ তাংগারার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় হওয়া বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গাম্বিয়ার কৃষিখাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।

শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। খবর বাসসের।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষিখাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার হতে সেনাবাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একই সাথে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যও তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সুযোগ পাওয়ায় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. হাছান মাহমুদ অভিনন্দন জানান এবং গাম্বিয়া ওআইসির সভাপতি থাকাকালীন সংস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ শনিবার তাদের নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার বার্তায় জানিয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে এই আগাম বার্তায়। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ দিকে, চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৩৭ মিলিলিটার রেকর্ড করা হয় কুমিল্লায়।


অস্থির মুরগির বাজার, ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ০০:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র দাবদাহের কারণে ঢাকার বাজারগুলোতে মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২১০ ও ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজ ও সবজির দামও বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারও ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আজ শুক্রবার সোনালি মুরগি ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৭০ টাকা কেজি। সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তীব্র গরমের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরেই মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়ার অলি মিয়ার বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. রাকিব। তিনি বলেন, ‘দুদিন আগেও ব্রয়লার ১৮৫ টাকা এবং সোনালি ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ব্রয়লারের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।’

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ ঠিক আছে। এ সময় দাম বাড়ার কথা নয়। বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক খামারিরা বেশি দামে বাজারে মুরগি বিক্রি করছেন।

সুমন হাওলাদার জানান, বাড়তি গরমের কারণে গত দুই সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক খামারিদের কয়েক লাখ মুরগি মারা যায়। এতে অনেক খামারি বাজারে মুরগি বিক্রি করে দেন। তাতে সরবরাহ বাড়ায় মুরগির দাম কমে যায়। তবে দুই-তিন দিন ধরে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক খামারিরা বাড়তি দামে মুরগি বিক্রি শুরু করেছেন। মুরগির পাশাপাশি তারা ডিমের দামও বাড়িয়েছেন।

শুধু মুরগি নয়, বাজারে সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ১৪০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রকোলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতা ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এ ছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা দরে আর আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম বাড়তি নিয়ে মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, কয়েকদিনের অতিরিক্ত গরমের কারণে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। এর মূল কারণ অতিরিক্ত গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খেত থেকে ফসল তুলতে পারছে না কৃষক, আবার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া ঠেকাতে বারবার সেচ দেওয়া লাগছে জমিতে, যে কারণে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। এ ছাড়া গেল কয়েকদিনের তীব্র গরমে ঢাকায় সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছিল, যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পাইকারি বাজার থেকে যখন যেমন দামে মাল কিনে আনি, তখন সে রকম দামেই খুচরা বাজারে বিক্রি করি। এখন কিনতে দাম বেশি পড়ছে, তাই বিক্রিতেও একটু বেশি দাম রাখতে হচ্ছে।’

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৫০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


হজযাত্রীদের সেবায় কমিটি গঠন করল ডিএনসিসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজযাত্রীদের সেবায় ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই কমিটি আশকোনা হজ ক্যাম্প এলাকার চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন, ফুটপাত মেরামত, রাস্তার পাশে বাতি সচল রাখাসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

আজ শুক্রবার ডিএনসিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে ১২ সদস্যের এই কমিটির অনুমোদন দেন।

সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, গঠিত কমিটি প্রতিদিন সন্ধ্যায় সচিবের দপ্তরে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠাবে। কমিটির কোনো সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধিমোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, কমিটির ‍উপদেষ্টা হিসেবে আছেন ডিএনসিসির ৪৯ এবং ১৭ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এ ছাড়া কমিটির আহ্বায়ক অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা।

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, অঞ্চল-৭ ও অঞ্চল-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর), অঞ্চল-১ ও অঞ্চল-৭-এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, অঞ্চল-১ ও ৭-এর সহকারী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এবং অঞ্চল-১ ও ৭-এর সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)।


দেশে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন এবং দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনভাবেই সংবাদ পৌঁছে দিচ্ছেন।

আজ শুক্রবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন।

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। তবে দু-একটি ব্যতিক্রম থাকতেই পারে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন, আমাদের দেশের সাংবাদিকরা সরকার কর্তৃক নিষ্পেষিত হয়। আমি এর সঙ্গে একমত নই। সাংবাদিকরা যদি কোনো ভুল করেন, সেখানে বিচার আছে, বিচার হতে পারে। বিচারে দোষী হলে শাস্তি হবে, সেটা ভিন্ন কথা।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের সত্য বলতে হবে, লিখতে হবে। তবে সেই সত্য যেন দেশপ্রেমের সত্য হয়। সেই সত্যের মাধ্যমে দেশের যেন কোনো ক্ষতি না হয় এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আপনি যা দেখবেন তা লিখতে পারেন না যদি দেখা যায়, তা লিখলে সমাজের ক্ষতি হবে, দেশের ক্ষতি হবে। কিন্তু স্বাধীনভাবে লেখার যে অধিকার সেই অধিকার সাংবাদিকদের থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, সাংবাদিক, সম্পাদক এবং মালিক এই তিনটা পক্ষ মিলেই এ দেশের সাংবাদিকতার উন্নয়নে কাজ করবে। প্রেস কাউন্সিলের আইনে যতটুকু ক্ষমতা আমাকে দেওয়া আছে, এই ক্ষমতা যদি সাংবাদিকদের উন্নয়নে প্রয়োগ করতে হয়, তাহলে এটি প্রয়োগ করতে আমরা পিছপা হব না।’

সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মাহবুব উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যপক সৈয়দা নিলুফার নাসরিন।


বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে, গরম আরও কমবে

৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র গরমের পর দেশের অনেক জায়গায় গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হয়েছে। এতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টির এই প্রবণতা আরও বাড়ার পাশাপাশি তাপমাত্রাও আরও কমবে। আজ শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঢাকায় গত বৃহস্পতিবার ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর আগে রাজধানীতে সর্বশেষ বৃষ্টি হয়েছিল ১৭ এপ্রিল, তা-ও মাত্র এক মিলিমিটার।

দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় রাঙামাটিতে, ৬৭ মিলিমিটার। এ ছাড়া ফেনীতে ৩১ মিলিমিটার, কুমিল্লায় ২৪ মিলিমিটার ও সন্দ্বীপে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের আরও কয়েকটি স্থানে এবং সিলেটেও বৃষ্টি হয় বৃহস্পতিবার।

এই বৃষ্টির ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমেছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো ছাড়া দেশের প্রায় সবখানে তাপমাত্রা কমেছে। বরিশাল বিভাগে তাপমাত্রা আগের দিনের মতোই আছে।

আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ কে এম নাজমুল হক বলেন, আগামীকাল দেশের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরদিন রোববার অবশ্য তাপমাত্রা অনেকটা বাড়তে পারে। তবে সোমবার তাপমাত্রা অনেকটা কমে যেতে পারে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এ সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। তবে, দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী রোববার সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ দেশের কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তার লাভ করতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।

অন্যদিকে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে ভেরোনিকা ও ক্রিস্টিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি মৌলভীবাজার জেলা সফরের অংশ হিসেবে মৌলিভীবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রে শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানে বিলুপ্তপ্রায় খাড়িয়া ভাষায় কথা বলতে সক্ষম শেষ দুই ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আজ শুক্রবার এ আহবান জানান।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা, কিন্তু অনেকের মাতৃভাষা ভিন্ন। ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে খাড়িয়া ভাষা রক্ষায় কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও এ লক্ষ্যে আরও পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন। ভারতের যে সকল অঞ্চলে এ ভাষার প্রচলন আছে, সেখানে যোগাযোগ স্থাপন করে খাড়িয়া বর্ণমালা প্রচলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এ ভাষার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান প্রধান বিচারপতি।

খাড়িয়া ভাষায় কথা বলতে সক্ষম মাত্র দুই জন ব্যক্তি অবশিষ্ট আছেন বাংলাদেশে, যারা সম্পর্কে দুই বোন। এদের নাম ক্রিস্টিনা কেরকেট্টা ও ভেরোনিকা কেরকেট্টা। ভারতের রাঁচি থেকে তাঁদের বাবা মা বাংলাদেশে এসেছিলেন। ভারতের ঝাড়খন্ড এবং উড়িষ্যায় খাড়িয়া ভাষার প্রচলন আছে।

উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় কুশিয়ারা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি খাড়িয়া ভাষা ও নাগরী লিপি সংরক্ষণের আহবান জানান।


ওরাল ক্যানসার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, বাংলাদেশে দিন দিন ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ওরাল ক্যানসার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। আজ শুক্রবার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় আয়োজিত ওরাল ক্যানসারবিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওরাল ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ক্যানসার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মূলত লিভার, স্তন, কোলন ও ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে অধিকাংশ ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা জানেন না কীভাবে এই ক্যানসার সংক্রমিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পান, জর্দা, গুল ইত্যাদির মাধ্যমে ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসব দ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিমন্ত্রী আহ্বান জানান। ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধে রাতে ঘুমানোর পূর্বে উত্তম রূপে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দেন তিনি।

সিমিন হোসেন বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসা একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। শুধু সরকারি অনুদানের মাধ্যমে দেশের সব ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তিনি এ লক্ষ্যে দেশের বৃত্তশালী মানুষদের মানবিক হয়ে ক্যানসার রোগীদের পাশ দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, মে মাস ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধের মাস। শান্তি ফাউন্ডেশনে ওরাল ক্যানসার পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর পারভীন শাহিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।


সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এর একটি প্রতিনিধিদল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনকালে এ প্রশংসা করেন বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ সময় প্রতিনিধি দলটি মিশনের কর্মকর্তাদের সাথে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন।

নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এর ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর ড. হাসান আব্বাস ৪৬ সদস্যের দলটির নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত একটি সেমিনারে ২৮টি দেশের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

ড. আব্বাস ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বক্তৃতাকালে সন্ত্রাস, সহিংস চরমপন্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

ড. আব্বাস বলেন, তার প্রতিষ্ঠান- নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কামনা করে এবং আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাসে নেসা সেন্টারের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত ইমরান তার মূল বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিইআরএফ)-এ দেশের অগ্রগতির ওপরও আলোকপাত করেন।

রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য সকল দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং কোন দেশের পক্ষে এককভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব নয়।

দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইমরান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সকল রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভুমিতে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, যদি সমস্যাটি আরও দীর্ঘায়িত হয় তবে এটি সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং উন্নয়ন উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নুর সন্ত্রাস ও চরমপন্থা মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সাফল্যের বিষয়টি প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরেন। ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং এর সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।


জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

১১২টি দেশ এই রেজুলেশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন। গতকাল শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

এ বছর আলোচ্য রেজুলেশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়।

এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য ৮টি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।

প্রস্তাবটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।

এবারের রেজুলেশনটিতে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদযাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া এ রেজুলেশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।’

রেজুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির উপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।

প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

১১২টি দেশ এবছর বাংলাদেশের এই রেজুলেশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহণ করে।


সাধারণ রোগী হিসেবে এনআইও-তে চোখের চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার টিকিট কেটে এনআইও হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইও) চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন।

তিনি আজ সকালে এনআইও হাসপাতালে যান এবং সাধারণ রোগীর মতো বহির্বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার টিকিট কিনেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা বলা হয়।

এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত এই হাসপাতাল থেকে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন।


banner close