শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

সাবমেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন: স্বাভাবিক হতে লাগবে ১ মাস

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:১২

সারা দেশে গত পাঁচ দিন ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগে এ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসিও (বিএসসিপিএলসি)। তবে সহসাই ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরছে না। ধীরগতির এ পরিস্থিতি চলতে পারে আরও এক মাস।

বিএসসিপিএলসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে। সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত শেষ হতে অন্তত ৫ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মে মাসের শেষ নাগাদ সংযোগ স্বাভাবিক হতে পারে।

জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে সারা দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা দেয়। বিএসসিপিএলসি জানতে পারে সিঙ্গাপুরে জলসীমায় কোথাও ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে।

পরে আরও অনুসন্ধানে জানা যায় সিঙ্গাপুর নয়, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল ‘ব্রেক’ করেছে। এতে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, সিমিউই-৫ (দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। সেটা এখন পুরোপুরি বন্ধ।

বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান জানান, মূলত ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি ব্রেক করেছে। তারা এটা মেরামতে কাজ করছেন। আগামী মাস অর্থাৎ, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ অথবা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঁইয়া দ্রুত ব্যান্ডউইথ সরবরাহে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নাজমুল করিম ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা যতদূর জেনেছি, এখনো কাজই শুরু হয়নি। কনসোর্টিয়ামের কোনো জাহাজ না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। জাহাজ পাওয়ার পর হয়তো কাজ শুরু হবে। তার মানে আমরা একটা বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে গ্রাহকরা আমাদের অনবরত ফোন করছেন, খোঁজ নিচ্ছেন। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে সফটওয়্যার নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা বিপাকে পড়েছেন। ফ্রিল্যান্সাররাও এ নিয়ে আতঙ্কিত। সরকার এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা আমাদের।’

১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ এখন পুরোপুরি বন্ধ। শুধুমাত্র প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহে রয়েছে। এত বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা কীভাবে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের।

বিএসসিপিএলসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ৫ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়।

বাকি ২ হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছিল। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে।

অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ ঢুকেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস সরবরাহ করা হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে শিফটিং করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিকল্প অনেকগুলো উপায় রয়েছে। সেগুলো কার্যকর করা হচ্ছে। যদিও সব বিকল্প উপায়গুলো পুরোপুরি এখনো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এমনকি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল যেটি সিমিউই-৪ নামে পরিচিত, সেটির পুরো ব্যান্ডউইথ বহনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বাড়তি খরচ দিতে হবে। এটা ছাড়াও আরও কিছু বিকল্প রয়েছে। সেগুলো নিয়েও কাজ চলছে।’


সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐক্য ও শক্তির প্রতীক: ধর্মমন্ত্রী

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এটি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।

আজ শনিবার বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিভাগীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম-গ্রোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে। উৎসব-পার্বনে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনার অন্যতম হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই অম্লান চেতনাকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা হাটি-হাটি, পা-পা করে আজ সম্মানজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না- স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে।’

পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধি ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল প্রভৃতি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ছাড়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য যেন কোনভাবেই বিনষ্ট না হয়- সেদিকে খেয়াল রাখবেন।’

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে- রুপকল্প-২০৪১। এ ছাড়া, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আগামীদিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

স্থানীয় সরকারের পরিচালক খোন্দকার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব মু.আ. হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার দাস ও দোলা গুহসহ অন্যান্য ট্রাস্টি বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পের অধীনে পুরোহিত ও সেবাইতদের নেতৃত্বদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংহত করতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পুরোহিত ও সেবাইতকে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।


‘নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম’

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুক্রবার ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অফ উইমেন স্পীকার্স অফ পার্লামেন্ট’ সম্মেলনে বক্তব্য দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পার্লামেন্টে নারী স্পিকারদের সম্মেলন লিঙ্গ সমতা আনয়ন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করার সুযোগ করে দেয়। এই সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অফ উইমেন স্পীকার্স অফ পার্লামেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

স্পিকার বলেন, ‘এই সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম। স্পিকাররা একটি অভিন্ন প্লাটফর্মের ধারণা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন। বিগত সম্মেলন গুলোতে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপর প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে।’

১৫তম নারী স্পিকারদের সম্মেলনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারীদের সার্বিক উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকশন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকারসহ এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব মো.এনামুল হক।

বিষয়:

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন সে দিকে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘নাগরিকদের প্রতি যে কোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থী। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন।’

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং সর্বস্তরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘এই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মননে, বোধে, জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন। মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এই আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতৃবৃন্দ প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এই সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনও শেষ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।’

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক ও তথ্য-প্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এই অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গীবাদের প্রতি তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গীবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।’

তিনি ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার আহ্বান জানান।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন-২০২৪ এর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আনোয়ারা ইসলাম রাণী এবং অষ্টম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুকুল বক্তব্য রাখেন।


পুরান ঢাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ১২:১০
জবি প্রতিনিধি

রাজধানীর পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের কাছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সকাল ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে আজ শনিবার সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে ব্যাংকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, সাত তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।


দুই বিভাগে ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টির আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শনিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, টাঙ্গাইল, ঢাকা, বরিশাল এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস দেশের চার বিভাগে নতুন করে আরও দুই দিন (৪৮ ঘণ্টা) হিট অ্যালার্ট জারি করে। তবে কিছু কিছু জায়গায় শনিবার সকাল থেকে তাপ কিছুটা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি। ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় পরিবেশে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এ সময়ে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


কাঁচা মরিচের কেজি দেড় শ টাকা, গরম ডিম-সবজির বাজার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। মাসিক আয় ৩৫ হাজার টাকা। জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামের চাপে মাসজুড়েই চিন্তিত থাকতে হয় তাকে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কৃষি মার্কেটে বাজার করতে এসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখে চোখ কপালে উঠেছে।

কেননা সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজি ৮০-১০০ থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে। আলু, পেঁয়াজ, সবজির দামও চড়া।

তাপপ্রবাহের অজুহাতে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দামও। মাংসের দামও বাড়তি। বাজারের উত্তাপে জাহাঙ্গীরের মতো অনেকেই পুড়ছেন।

গতকাল ছুটির দিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে ক্রেতার আনাগোনা বেশি হলেও দামে স্বস্তি নেই। প্রায় সব নিত্যপণ্য কিনতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম।

দাম বৃদ্ধির তালিকায় বড় লাফ কাঁচামরিচের। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় কেনা গেলেও এখন তা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। বিক্রেতাদের অজুহাত, বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দাম বেড়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ ক্রেতারা।

৬০ টাকায় আলু আর ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অন্যান্য সবজি গড়ে ৫০ টাকায় মিলছে। স্থান ও মানভেদে চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা। পেঁপে ৮০-৯০ টাকা, বেগুনও ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। করলা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং মান ও জাতভেদে পটোল ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, চাকরি বা কাজ করে যে বেতন পাওয়া যায় তা দিয়ে বাজার করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দুই বছরের বেশি সময় ধরে একই স্কেলে বেতন পাচ্ছি। কিন্তু খরচের খাতা দিনকে দিন লম্বা হচ্ছে। ওষুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। কোনো কোনো পণ্য তো তিনগুণ দামেও কিনতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা কম দামের সবজি সব সময় কিনে থাকি। কিন্তু এখন কম দামের সবজিও কিনতে পারছি না। কয়েক বছর আগেও বাজারে প্রতি কেজি আলু কেনা যেত ২০ থেকে ২৫ টাকায়। তা এখন তিন ডাবল দামে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। প্রতি কেজি পটোল কিনেছি মাত্র ৩০ টাকায়। তা এখন ৬০ টাকার নিচে কেনাই যাচ্ছে না। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে বাড়তে এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে, কম দামের সবজিও এখন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, গত এক মাসে অধিকাংশ সবজির দাম ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিছু কিছু সবজির দাম ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

ডিম কিনতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাজারে। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। দামের পরিবর্তন না হলেও প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা।

সরকারি বিপণন কর্তৃপক্ষ টিসিবির তথ্য অনুযায়ী গত এক মাসে গড়ে ডিম ও মুরগির দাম বেড়েছে ২১ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত। ডিমের ২৯ শতাংশ ও ব্রয়লারের কেজিতে ২১ শতাংশ দাম বেড়েছে।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী গত মাসের শুরুর দিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হলেও কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। সোনালি মুরগি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৪০০ থেকে ৪১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল ডিম ২৯ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে প্রতি ডজন (লাল) মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

মুরগি ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, মাংসের দাম তেমন একটা কমেনি, আগের মতোই আছে। সেজন্য আগের তুলনায় এখন বিক্রি কম হচ্ছে।

শুধু ডিম, মুরগির দামই বেশি না। বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মাছের বাজারেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। গত এক মাসের ব্যবধানে অধিকাংশ মাছের কেজিতে দাম অন্তত ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। রুই মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৮৫০, কই মাছ ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬৫০, টেংরা ৮০০, পাবদা ৫০০ ও প্রতি কেজি বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

মূল্যবৃদ্ধিতে রয়েছে ব্যবসায়ীদের নানান অজুহাত। অন্যদিকে, লাগামহীন বাজারে নেই সরকারি কোনো সংস্থার তদারকি।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী সোলাইমান মিয়া বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ার জিনিসপত্রের দাম একটু বাড়তি। গরম কমলে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে।

সবজির এমন দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বেসরকারি চাকরিজীবী সাকিব মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায়, তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে।’

এজাজ মাহমুদ নামের আরেকজন বলেন, ‘মাছ-মাংসের দাম না হয় বাড়তি মানা যায়, কিন্তু শাকসবজি যদি আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে, তাহলে আমরা খাব কী?’


পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের ‘শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি।

এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য।

তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির ওই গল্পের বেশ কিছু শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তি করেছেন। পরে গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির আহ্বায়ক ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ বলেন, ‘৮-১০ দিন আগে এ সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে আলোচনায় আসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এরপর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

এরপর গত ২৪ জানুয়ারি ‘শরীফার গল্প’ নামে গল্পটি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে। আর কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।


যেসব এলাকায় আগামীকাল ১৫ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের সেকশন-১-এর অ্যালাইনমেন্টে গ্যাস পাইপলাইন জরুরি স্থানান্তরের জন্য উত্তরা ও আশপাশের এলাকায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং সংলগ্ন এলাকার গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে। গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


আগামীকাল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্মেলন উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। দিনব্যাপী তিনটি অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলম কুদ্দুস প্রমুখ।

সম্মেলনে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নেবেন। সম্মেলন শেষে পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের পাশাপাশি সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।


ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস, নীতিমালা আসছে: জুনাইদ আহমেদ পলক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, ‘আইসিটি উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেখানে অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসকে আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করব। যাতে এর নিচে কেউ ব্রডব্যান্ড সংযোগ দিতে না পারে। আমরা যাতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সুলভ মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট দিতে পারি, এটা আমাদের লক্ষ্য।’

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন’।

অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক ও ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তিগুলো যেভাবে আমাদের জীবনকে সহজ করছে, একইভাবে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এআই প্রযুক্তি একদিকে যেমন সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে, অন্যদিকে আসল-নকল চেনাটা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আইনমন্ত্রীর নেতৃত্ব এআই আইন তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে এআইয়ের সম্ভাবনা আমাদের তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তারা ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে পারে। তবে এটার যে ঝুঁকি সেটি মাথায় রেখে আমরা কিছু দিকনির্দেশনা দিতে পারি।’

ওই সময় তিনি আরও দুটি আইন করার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নতুন টেলিকম আইন প্রণয়ন করব। এ ছাড়া আমরা আমাদের নাগরিকদের জন্য ব্যক্তিগত ডেটা নিরাপত্তা আইন করতে যাচ্ছি। যাতে নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়।’

বাংলাদেশে মেধার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দরকার একটু সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার। সেই সুযোগ তৈরি করে দিতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্মের নেতৃত্বে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। ওনার দূরদর্শিতা দিয়ে উনি বুঝতে পেরেছিলেন, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, সোনার বাংলা গড়তে হলে। প্রতিটি মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে, সোনার মানুষে পরিণত করতে পারলেই আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই, আমরা আজকে একটি গণতান্ত্রিক, মধ্যম আয়ের প্রযুক্তিনির্ভর মর্যাদাশীল ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি ফিরে না আসতেন, তাহলে আজকে আমরা হয়তো একটি দরিদ্র, সন্ত্রাসকবলিত ব্যর্থ রাষ্ট্রের অসম্মানজনক নাগরিক হিসেবেই হয়তো আমাদের পরিচয় দিতে হতো।’

বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় সরকারপ্রধান খালেদা জিয়ার একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ ২০ বছর পিছিয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘১৯৯২ সালে আমরা বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম; কিন্তু খালেদা জিয়ার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা যুক্ত হতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা এখন দুটি সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত এবং আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সর্বত্র বিরাজ করছে। আমরা আমাদের দ্বিতীয় নিজস্ব স্যাটেলাইট চলতি মেয়াদে উৎক্ষেপণ করতে পারব বলে আশা করছি।’

চলতি অর্থ বছরে নগদের কাছ থেকে ডাক বিভাগ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা পেয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রকার বিনিয়োগ না করে আমরা শুধু ইনফাস্ট্রাকচার ও পলিসি সাপোর্ট দিয়ে আমরা আয়ের পথ তৈরি করতে পেরেছি। নগদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সর্বমোট আমরা ১৪ কোটি টাকার বেশি পেয়েছি।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম ম আমিরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইডিজিই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার অ্যান্ড কম্পোনেন্ট লিডার মো. আব্দুল বারী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষে নতুন স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।


আবারও দুই দিন হিট অ্যালার্ট জারি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন করে আরও দুই দিন হিট অ্যালার্ট জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে কিছু কিছু জায়গায় আগামীকাল শনিবার সকাল থেকে তাপ কিছুটা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ওই আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় পরিবেশে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এ সময়ে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ঋদ্ধ হবে : নসরুল হামিদ

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছে, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি আরো ঋদ্ধ হবে।

তিনি বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সাথে জাপানিজ কৃষ্টি, শিক্ষাদীক্ষা চর্চা ও অনুশীলন করতে পারলে আমাদের সংস্কৃতি আরো মার্জিত হবে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সংস্কৃতির নানা-উপাদানের প্রদর্শনী বাড়ানো গেলে সাংস্কৃতিক সম্পর্কও জোরদার হয়।’

প্রতিমন্ত্রী আজ কেরাণীগঞ্জে হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও জাপান দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, এই ক্যালিগ্রাফি কর্মসূচির মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীরতর হবে। সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অভিব্যক্তি বিনিময় বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাপানি ক্যালিগ্রাফির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারবেন। ক্যালিগ্রাফি করতে একাগ্রতা ও স্থির হতে হয়, যার মাধ্যমে নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার মাধ্যমে এই গুণটাও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।

রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি বলেন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হবে।

উল্লেখ্য, কর্মশালাটির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জাপানি ক্যালিগ্রাফির রাজ্যে প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন। কর্মশালাটি পাঁচটি দলে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ২০ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে এবং প্রতিটি সেশন ৩০ মিনিট স্থায়ী হবে।

বিখ্যাত জাপানি ক্যালিগ্রাফি শিল্পী সাতোকো আজুমা এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যের মধ্যে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল ফাহমিদা নবী এবং ইয়থ গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও হামিদ স্পোর্টস একাডেমির পরিচালক ড. সীমা হামিদ অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন।


‘প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সুযোগ-সুবিধা অনেক বাড়িয়েছেন’

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন শুক্রবার সুনামগঞ্জে পুলিশের কয়েকটি স্থাপনা উদ্বোধন শেষে পুলিশ ফাঁড়িতে প্রেস ব্রিফিং করেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের সুযোগ-সুবিধা অনেক বৃদ্ধি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ শুক্রবার পুলিশপ্রধান সুনামগঞ্জে পুলিশের বেশ কয়েকটি স্থাপনা উদ্বোধন শেষে শহর পুলিশ ফাঁড়িতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পুলিশের জন্য যে খরচ করা হয় তা ব্যয় নয়, বিনিয়োগ। সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হলে পুলিশ আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে চায়। জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে চায়।

আইজিপি বলেন, সারা দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। তাই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে পুলিশ সেভাবেই কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘পুলিশের সব মেধা-শ্রম মানুষের কল্যাণে ব্যয় হবে। আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে গর্বিত।’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘সুনামগঞ্জ আমার জন্মভূমি। মায়ের কাছে এলে যেমন প্রশান্তি পাওয়া যায়, তেমনি নিজ এলাকায় এসে আমার প্রশান্তি লাগছে। আমি স্বস্তি বোধ করছি, আনন্দ বোধ করছি। সুনামগঞ্জ এখন পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। তাই আমরা ট্যুরিস্ট পুলিশের ১০ সদস্যর একটি ইউনিট দিয়েছি। ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি করা হবে।’

আইজিপি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সাফল্য অর্জন করেছে। পুলিশ জঙ্গি দমনে জিরো টলারেন্স ভূমিকায় আছে। জঙ্গিবাদ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

এর আগে তিনি শহরের ওয়েজখালী এলাকায় পুলিশ অফিস অফিসার্স মেস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, সুনামগঞ্জ শহর পুলিশ ফাঁড়ির অভ্যন্তরে নবনির্মিত চারতলা বিশিষ্ট স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন। ওই সময় সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

banner close