সোমবার, ২০ মে ২০২৪

তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে

চার দফায় আবারও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
আপডেটেড
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০

তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। টানা এত গরম দেশবাসী শেষ কোন বছর দেখেছেন মনে নেই। টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহের রেকর্ড পরিমাপ করেছে আবহাওয়া অফিস। চলতি এপ্রিল মাস গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল বাংলাদেশে। আজ রোববার এবং আগামীকাল সোমবার এই দুই দিনের জন্য আবহাওয়া অফিস দুঃসংবাদ দিয়েছে। এই দুই দিন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ গতকাল শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার (৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা খুবই বেশি আগামী ২৮ ও ২৯ এপ্রিলের যেকোনো দিন। সম্ভাব্য জেলা: চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, পাবনা, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।’

এর আগে গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলতি এপ্রিল মাসে টানা যতদিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। হিটস্ট্রোক ও গরমজনিত রোগে এবার অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর যে রেকর্ড হয়েছে, তাও অতীতে কোনো সময় হয়নি।

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল তৃতীয় দফায় তিন দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (হিট অ্যালার্ট) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই হিট অ্যালার্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। সিলেট অঞ্চল বাদে সারা দেশে আজ রোববার থেকে চতুর্থ দফায় ফের তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতীতে ব্যাপ্তিকাল কম থাকায় তাপপ্রবাহ বড় সমস্যার কারণ হয়ে ওঠেনি। আগামী বছরগুলোতে ক্রমান্বয়ে তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল ও প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ৪৩ বছরের মধ্যে যশোরে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি দিন ঘটেছে। এর পরই আছে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গা।

এদিকে ৪৩ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে কালবৈশাখী। এই দাবদাহে ৪৩ বছরের মধ্যে চলতি মাসে দেশে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী হয়েছে।

এই গরমে চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে- জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ঘরের বাইরে বের না হওয়া, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই সময়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে খোলা আকাশের নিয়ে অবস্থান করতে না করেছেন। যেকোনো সময় হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।

দৈনিক বাংলার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধির দেওয়া তথ্যমতে, গতকালও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত অতিতীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

জেলায় তীব্র থেকে অতিতীব্র আকার ধারণ করছে তাপপ্রবাহ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

মৌসুমের প্রায় সময়জুড়েই উত্তপ্ত থাকে চুয়াডাঙ্গা। তীব্র থেকে অতিতীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাহ। এবারও চৈত্রের মধ্যভাগ থেকে শুরু হওয়া তাপমাত্রার এমন দাপট বৈশাখের আবহাওয়াকে জটিল করে তুলছে। এ যেন মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে জেলার মানুষ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান ওমর ফারুক।

তিনি আরও বলেন, আপাতত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি থাকবে। পাশাপাশি আজ রোববার চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চলও বৃষ্টির আওতায় আসতে পারে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।

চিফ হিট অফিসারের পরামর্শেই কাজ করছে ডিএনসিসি

চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিন আমাদের যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী দাবদাহ মোকাবিলায় কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু কাজগুলো আসলে আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।

বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আগারগাঁওয়ের সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে এসে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন করেন এবং নিজে ট্যাব ছেড়ে পানি পান করান। পরে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো শুরু হলে তিনি নিজে উচ্ছ্বসিত শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভেজেন এবং তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, দুটি স্প্রে ক্যানন যেগুলো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করে এগুলো প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না। গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য দশটি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে। এ ছাড়া ডিএনসিসির পার্কগুলোয় স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোয় কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে বর্তমানে চলমান তীব্র দাবদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনা মূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সংবলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী এবং শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি পান করতে পারেন।


ভারত থেকে ট্রেনের ২০০ বগি কিনছে বাংলাদেশ

রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে সোমবার রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের উপস্থিতিতে আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে ২০০ বগি কেনার চুক্তি সই করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১৮:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী বগি কেনার চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সবধরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাস পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে এবং ৩৬ মাসে মধ্যে সব বগি হস্তান্তর করা হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি সই করা হয়।

রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে তারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। আগামী দুইমাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া হয় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে। রেলের কর্মকর্তারা স্লো। এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে।’

রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এর ফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।’

মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।’

রেলওয়ে বলছে, ‘বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি থাকবে এবং পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।’

রেলওয়ে নিজস্ব নথি থেকে জানা যায়, সারা দেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। রেলওয়ে আশা করছে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে যাত্রী বহনের সুবিধা বাড়বে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের হেড অফ করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।


বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায় কানাডা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রস‌চি‌বের দপ্তরে রোববার পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মে‌নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল জে. থো‌পিল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মে‌নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল জে. থো‌পিল। গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্রস‌চি‌বের দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। এ সময় দুই দেশের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।

কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি দুই দেশের জনগণের স্বার্থে বর্ধিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য কানাডার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান বাজারের প্রশংসা করে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কানাডার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রসচিব কানাডা সরকারের প্রথম ইনফো-প্যাসিফিক প্রতিনিধি হিসেবে থো‌পিলকে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। মাসুদ বিন মো‌মেন আশা প্রকাশ করেন যে, তার নিয়োগ কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর উন্নয়নে অবদান রাখবে।

পররাষ্ট্রসচিব কানাডাকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ, ভূ-কৌশলগত অবস্থান এবং উদার বিনিয়োগ নীতির সুবিধা নেওয়ার পরামর্শ দেন।


বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই পদকের অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এ ছাড়া ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদকও দেওয়া হবে।

এ লক্ষ্যে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বিষয়:

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সারওয়ার-ই-আলম সরকারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং তাদের সঙ্গীরা নিহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মর্মান্তিক এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও আমার পক্ষ থেকে ইরান সরকার ও সেদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জ্ঞানী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। তিনি তার দেশের জনগণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও ছিলেন অনন্য উচ্চতায় এবং তার অনুকরণীয় নেতৃত্ব আমাদের জন্য আদর্শ।’

এ সময়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পাশাপাশি ইরানের জনগণ এই শোক কাটিয়ে উঠবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আগামী ৫ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু

জাতীয় সংসদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও বাজেট অধিবেশন আগামী ৫ জুন শুরু হবে। বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে এ অধিবেশন বসবে বলে জানায় সংসদ সচিবালয়।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালের ২৯ জানুয়ারি।

সংসদ সচিবালয় জানায়, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অধিবেশনে ভাষণ দেবেনে। পরে ওই ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন সংসদ সদস্যরা।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত হবে।

বিষয়:

আ.লীগ, শেখ হাসিনা ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: সালমান এফ রহমান

তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আ.লীগ ভবনে বক্তব্যকালে সালমান এফ রহমান। ছবি-সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ২২:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তিনি বলেছেন, গত নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, বলা হয়েছিল- নির্বাচন হবে না, করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই নির্বাচনও আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই করতে পেরেছি। আগামীতেও সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

রোববার রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এক আলোচনা সভায় সালমান ফজুলর রহমান এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজকের অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। যখনই বিদেশে যাই, সব জায়গা থেকেই জানতে চাওয়া হয়- বাংলাদেশ এত উন্নয়ন কীভাবে করতে পেরেছে? তাদের বলি- শেখ হাসিনার ম্যাজিকের কারণেই আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে আমাদের কী অবস্থা হতো, সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমাদের ভাগ্য ভালো- তার মতো একজন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী আমরা পেয়েছি।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্নস্থানে যুদ্ধের জন্য আমরা দায়ী না হলেও এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। এটাকে মোকাবিলা করতে হবে। আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তি। আগামীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসছে। যার মাধ্যমে এমনসব বক্তব্য প্রচার করা হবে, যেটা সম্পূর্ণ ভুয়া। এটাও বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই প্রযুক্তি মোকাবিলায়, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সেটাও শিখতে হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, পাঁচ বছর অনেক সময় মনে হলেও দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন থেকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এদেশের সবাই আওয়ামী লীগ করে না। কেউ কেউ বিএনপি করে। আবার অনেকে নিরপেক্ষ আছে। আমাদের কাজ নিরপেক্ষদের মন জয় করা। এটা তখনই সম্ভব, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, দেশের মানুষ যখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, তখনও বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরা গণতন্ত্র, দেশ ও জনগণের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদের বহিষ্কার করছে দলটি। এমনকি যারা জিতেছেন, তাদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তবে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না। ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচন করেই আসতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১৫ বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম, আর আজ কোথায় আছি। এই সবকিছুর কারিগর শেখ হাসিনা। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নেই, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আর কোনো হতদরিদ্র মানুষ থাকবে না। বছর পাঁচেকের মধ্যেই হতদরিদ্র মানুষ দেখতে হলে এদেশের তরুণসমাজকে জাদুঘরে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাবো।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এমপি, মির্জা আজম এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯ আসনের এমপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. এনামুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ঝিলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম সমর, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাকুর রহমান সাকো, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।


উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট কাল

৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ০৩:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল মধ্যরাতে। আগামীকাল মঙ্গলবার হবে ১৫৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচন সফল করতে আগামীকাল নির্বাচনভুক্ত উপজেলাগুলোতে ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি। আর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৫৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (মিডিয়া) মো. শরীফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে জানানো হয়েছে, ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

এদিকে গতকাল শেষ দিনের প্রচারে সর্বোচ্চ প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এর মধ্য দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীরা নির্বাচনি এলাকায় ভোটের আবহ তৈরিতে মরিয়া প্রয়াস চালান। তবে বিএনপিসহ শীর্ষদলগুলো নির্বাচনে না আসায় এবং দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে এখনো তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ এবং মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইস্যুগুলোই যা আছে আলোচনায়। ফলে ভোটের দিন কেন্দ্রগুলোতে ভোটার আনাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ এটা এখন প্রার্থী থেকে নির্বাচন কমিশন সবার মুখে মুখে। গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৬ শতাংশ।

ইসি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। আজ থেকে ১৫৭ উপজেলায় মাঠে নামছেন একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোট গ্রহণের পরের দুই দিন অর্থাৎ ২৩ মে পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে ১৫৭ উপজেলায় একই দিন মাঠে নামছে বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান শনিবার জানান, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পাঁচ দিনের জন্য মাঠে নিয়োজিত থাকবেন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে পরিপত্র জারি করেছে।

এদিকে গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে ভোট কম পড়ার পেছনে বড় একটি ফ্যাক্টর হলো বিএনপি। তবে এটিই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকে আসতে চান না। এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চান না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সে জন্য আমরা প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।’ আলমগীর বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, তবে কত ভোট পড়বে তা বলা কঠিন। সেটা বলা যাবে না। যেহেতু সব দল অংশ নিচ্ছে না, তাই ভোটের হার নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।’

নির্বাচনী সহিংসতার জেরে গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কি শিক্ষা নিচ্ছে কমিশন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের কয়দিন পর এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এ ছাড়া নির্বাচন না থাকলে এ দেশে সহিংসতা হয় না, বিষয়টি তো এমন নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে, বিষয়টা এমন নয়। আপনারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন। তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটাও একটা ছিল। তার বাইরে বড় একটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি, এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তারা নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটারদের নিষেধ করেছে এটা তারা বলতে পারেন। তবে জোর করে কাউকে ভোট দিতে যেতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট বর্জনের কথা তারা বলতেই পারবেন।


সাগরে লঘুচাপের আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি মে মাসে গত কয়েক দিন ধরে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় দেশের বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা কমে এসেছে। গতকাল রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ মেঘলা ছিল।

ভারতের কেরালার উপকূলে বিস্তৃত মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই আকাশ মেঘলা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। অনেক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও ঝরেছে। এই বৃষ্টি সারা দেশে আরও দু-তিন দিন চলবে বলে জানায় অধিদপ্তর। এই বৃষ্টির পরই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা।

আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে- রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এরপর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত। আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি. মি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই। রাতে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সোমবার থেকে দেশে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। এ সময় সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তবে লঘুচাপটি কোন দিকে যাবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেবে কি না বলা যাচ্ছে না। যেহেতু এখনো সাগর শান্ত আর নিম্নচাপ হবে কি না তা নিশ্চিত নয়, তাই বড় সাইক্লোন হবে কি না বলা যাচ্ছে না।’

এপ্রিল ও মে মাসে সাধারণত দেশে সাইক্লোন হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন সৃষ্টি হলে এর প্রভাব বাংলাদেশ, ভারতসহ আশপাশের দেশগুলোর ওপর পড়ে। যদি ভারতের দিকে যায়, তাহলে বাংলাদেশে প্রভাব কম থাকে বলে উল্লেখ করেন এই আবহাওয়াবিদ।

তিনি আরও জানান, ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টিপাত হলে হিট এলার্ট কিছুটা শিথিল হবে। তবে কিছু কিছু জেলায় হিট এলার্ট জারি থাকবে।


কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ: টিআইবি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৯ সালের তুলনায় এবার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আয় বেড়েছে ১৪০ শতাংশ, সম্পদ বেড়েছে ২৩১ শতাংশ। এ ছাড়া আগের তুলনায় তিনগুণ হয়েছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (২য় ধাপ)-এর প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোথাও কোথাও সংসদ সদস্যদেরও সম্পদ বৃদ্ধিতে পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরাও। এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭১ শতাংশ প্রার্থীই ব্যবসায়ী বলে জানায় সংস্থাটি।

উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীরা ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা পদে ছিলেন এমন প্রার্থীদের গত ১০ বছরের হিসাবে তুলনা করলে দেখা যায়, প্রার্থীদের আয় ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে যথাক্রমে ৫৪০ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও ২১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে অর্থ-সম্পদ বিকাশের সুবিধাজনক সুযোগের কারণে জনপ্রতিনিধি হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে।

প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে টিআইবি দেখিয়েছে, গত পাঁচ বছরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচিত হননি এমন প্রার্থীদের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

যারা পদে ছিলেন এমন প্রার্থীদের গত ১০ বছরের হিসাবে তুলনা করলে দেখা যায়, পদে থাকা প্রার্থীদের আয় ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে যথাক্রমে ৫৪০.৬৮ শতাংশ ও ২১১.৯৮ শতাংশ। পদে না থাকাদের এ ক্ষেত্রে আয় ৫৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়লেও, সম্পদ কমেছে ৪৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে ১৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, অন্যদিকে যারা পদে ছিলেন না তাদের আয় বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

একইভাবে এ সময়কালে পদে থাকা প্রার্থীদের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং যারা পদে ছিলেন না তাদের বেড়েছে ১০০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে শুধু নির্বাচিতদের নিজেদেরই নয়, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে প্রথম ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংরক্ষিত পদ ছাড়া প্রার্থীদের মধ্যে নারীর হার দুই শতাংশেরও কম। অন্যদিকে জাতীয়পর্যায়ের মতোই ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য প্রায় একচ্ছত্র। একইভাবে, একদলীয় আধিপত্যের বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে, যেমন- বাড়ছে স্থানীয়পর্যায়ে পরিবারতন্ত্র।’

সব জনপ্রতিনিধি দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন, তাদের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতাও স্পষ্ট উল্লেখ করে ড. জামান আরও বলেন, ‘যারা আগে থেকেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন তাদের আয়-সম্পদ বৃদ্ধি যারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন না তাদের থেকে বহুগুণ বেশি।’

এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, কেন জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় নির্বাচিত হওয়ার মূল আগ্রহের জায়গা অনেক ক্ষেত্রেই জনগণের কল্যাণ থেকে সরে গিয়ে নিজের সম্পদ বৃদ্ধিতে স্থির হয়েছে। তা ছাড়া, অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির যে চিত্র হলফনামার তথ্য থেকে দেখা গেছে, সেগুলো তাদের বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না এবং সম্পদ অর্জন বা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে কি-না, তা যাচাই করার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সে দায়িত্ব পালনে কোনো আগ্রহ দেখায় না। অন্যদিকে, হলফনামায় যে তথ্য দেওয়া হয়, তা কতটুকু পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য তা-ও খতিয়ে দেখা হয় না।’

নির্বাচনে জনস্বার্থের পাশাপাশি দলীয় আদর্শ কিংবা দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়গুলো উপেক্ষিত উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দুই ধাপেই আমরা দেখলাম, বড় দুই রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই দলীয় নির্দেশনা প্রতিপালনের বিষয়টি অনুপস্থিত। তদুপরি, বৃহৎ দল দুটি দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না।

কারণ, স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে সম্পদ অর্জনের লাইসেন্স পাওয়াই এখানে মূল উদ্দেশ্য। সার্বিকভাবে, এই নির্বাচনের লড়াই একদিকে যেমন অসুস্থ, অগণতান্ত্রিক, আত্মকেন্দ্রিক অন্যদিকে জনগণ বা জনকল্যাণের সঙ্গে এর সম্পর্ক ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’


বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ রোববার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই একঙ্গে ব্যর্থ হয়ে যাব। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প আমরা তুলে ধরব। আবার পুনরায় জাগরণের গল্প আমরা তুলে ধরব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে, অন্যায়ের কাছে পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে জয়ের গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুর কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশজুড়ে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।’

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ।


ভারতে গিয়ে এমপি আনোয়ারুল আজীম ‘নিখোঁজ’

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনার।

আজ রবিবার ঘটনাটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এমপি আনারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ ও এমপি কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বাবার খোঁজ পেতে আজ বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অফিসেও যান ডরিন। তবে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কোলকাতায় গেছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এসে পড়বেন।

শনিবার রাত থেকেই পরিবার সদস্যদের সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্ট থেকে চাউর হয় এমপি আনোয়ারুল আজীমের ভারতে গিয়ে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি। তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ আজ সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। এরপর দুদিন পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। ১৪ মে থেকে তার সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আমাদের। তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে। কোথায় আছেন, কীভাবে আছেন—সেটা জানতে না পেরে আমরা উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এজন্য আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা সব উপায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাইনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তার নিখোঁজের বিষয়ে কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমার জানা মতে, নিখোঁজের বিষয়ে সংসদের কাছে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।’

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনও কিছু শুনিনি। ঘটনা যদি সত্য হয়, তা খুবই উদ্বেগের। দল ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘বিষয়টি এমপির পরিবার আজকেই আমাকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

এদিকে, ভারতে গিয়ে এমপি আনারের গত ছয় দিন ধরে কোনও যোগাযোগ না থাকায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যে নানারকম গুঞ্জন চলছে। ফেসবুকে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার সুস্থতা কামনা করে পোস্ট দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ বলেন, ‘বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত এমপির স্বজনরা থানায় অভিযোগ দেননি।’

এদিকে, বাবার খোঁজ পেতে মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

মুমতারিন ফেরদৌস বলেন, আমার বাবা ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম নিখোঁজের ঘটনায় ডিবিকে অবহিত করতে এসেছি।

আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর আজ রাতে এ বিষয়ে মুখ খালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি কলকাতায় গিয়েছেন, এসে পড়বেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তিনি পুরনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝে শুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মিয়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন।

বিষয়:

দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই: মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ০০:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, একটি দেশ গঠনের জন্য দক্ষ জনশক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ জনশক্তির ওপর ভিত্তি করে স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।

আজ রোববার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ইউসেপ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরুর দিন থেকেই দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে তাদের দরিদ্রতা বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রতিমন্ত্রী তরুণদের উদ্দেশে বলেন, দেশপ্রেম শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে এবং দেশের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য এবং ইউসেপ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ইউসেপের সদস্য ড. ওবায়দুর রব, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নেসার ইজাজ বিজয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বিকেলে প্রতিমন্ত্রী সু-ব্র্যান্ড লোটের বৃক্ষরোপণ অভিযানের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এছাড়াও রাউৎকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিওিপ্রস্তর স্থাপন ও পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩ শীর্ষক প্রকল্পের নারী কর্মীদের জমাকৃত সঞ্চয়ী টাকার চেক ও সনদ হস্তান্তর করেন। সেই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নেন সিমিন হোসেন।


বাড্ডায় রাজউকের অভিযান

ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড্ডা সাঈদ নগর, সুতিভোলা এলাকায় রাজউক অনুমোদিত নকশার আংশিক ব্যত্যয় করে নির্মীয়মাণ করায় এক ভবন মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘নির্মীয়মাণ ভবনে নকশার ব্যত্যয় করায় একটি ভবনের আংশিক অপসারণ এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অবশিষ্ট ব্যত্যয় অংশ অপসারণের জন্য মালিকপক্ষ নিজ উদ্যোগে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিবেন বলে ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন।’

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জোন-৪/১-এর অথরাইজড অফিসার মো. ইমরুল হাসান, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. শাহজাহান খান, এজাজ আহমেদ, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শক।

অথরাইজড অফিসার মো. ইমরুল হাসান বলেন, ‌‘নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা বাড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। রাজউক অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করলে ভবনের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হয়- আবার ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার মাধ্যমে এসব ভবন মালিককে শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’


banner close