সোমবার, ২০ মে ২০২৪
উপজেলা নির্বাচন

প্রভাব খাটালেই এমপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ইসি রাশেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো দলীয় প্রভাব খাটানোর তথ্য প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংসদ সদস্যরা এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন, ভোট দিতে পারবেন কিন্তু কোনো প্রচার করতে পারবেন না। এমপি-মন্ত্রীদের জনসভার একই মঞ্চে প্রার্থী উপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শনিবার দুপুরে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফরের সভাপতিত্বে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখবেন এবং আইনি ব্যবস্থা নেবেন। তবে তথ্য গোপনের কোনো অভিযোগ নির্বাচন কমিশন পাননি। ভোটারদের উপস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সচেতনতামূলক প্রচারসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামসহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং নারী ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে একটা জাল ভোট পড়লেই সেই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ নির্দেশনা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আগামী ৮ মে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। অবাধ নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেন তিনি। এর আগে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বৈঠক করেন। গতকাল শনিবার সকালে বৈঠকটি হয়।

ইসি হাবিব বলেন, যদি ভোটকেন্দ্রে কেউ অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বা স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটায় তাহলে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ভোট কার্যক্রম শুরু করা হবে। আর যদি এর থেকেও শক্তিশালী ঘটনা ঘটে- যেমন ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। তাহলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে চলে যান, ভেগে যান কিন্তু কোনো প্রকার সহিংসতাকে গ্রহণ করা হবে না। পরিষ্কারভাবে এ নির্দেশনা সবাইকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, এটা আপনারা এর আগেও দেখে এসেছেন, যা সবার সহযোগিতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করেছি। প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বিবেক এবং ইমানের ওপর নির্ভর করে সঠিকভাবে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বলা হয়েছে। তাদের সাংবাদিকদের বিষয়ে বলা হয়েছে। সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের থার্ড আই এবং ইয়ার হিসেবে কাজ করছে। তারা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও সংবাদ প্রকাশ করে, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় তারাই পাবে যারা দুই নম্বর, ধোঁকাবাজ এবং অন্যায়ের সাপোর্টকারী।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা যখন ঢুকবে, তখন অনুমতির দরকার নেই। কেন্দ্রে ঢুকে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করবে। তারপর তিনি নিয়মানুযায়ী যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবেন এবং ছবি ও ভিডিও নিতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও ক্যামেরা ধরে রাখা যাবে, শুধু লাইভটা ভোট কক্ষের বাইরে দেবে।

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কৃত

ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় আর তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুরের শ্রীবরদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই কারণে গত শুক্রবার সারা দেশে ৭৩ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। সব মিলিয়ে দুই দিনে ৭৬ জন নেতাকে বিএনপিচ্যুত করা হলো।


অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনের দাবি বিএফইউজের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) অবিলম্বে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের জন্য ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি জানিয়েছে।

আজ সোমবার বিএফইউজের ঢাকায় অবস্থানরত নেতাদের এক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর সংগঠনের প্রতিনিধি সম্মেলনে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনের নির্দেশ দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহসভাপতি মধুসূদন মণ্ডল, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সেবিকা রানী ও নুরে জান্নাত আখতার সীমা।

সভায় খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সদস্য কেইউজের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান ও এস এম জাহিদ হোসেন।

নেতারা সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের রুটি-রুজি, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিতে সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যপরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারা খুব শিগগিরই রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি শুরু করবেন বলে সভায় জানানো হয়।

বিষয়:

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ সোমবার ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারের কাছে পাঠানো এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি- হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য সফরসঙ্গীদের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিভিন্ন সংকটে প্রেসিডেন্ট রাইসির দূরদর্শী পদক্ষেপ ও তার সাহস আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার মডেল হয়ে থাকবে।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে ইরান একজন জ্ঞানী ও বিজ্ঞ নেতাকে হারালো।’

এর পর তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ইরানের ভাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।


ভারত থেকে ট্রেনের ২০০ বগি কিনছে বাংলাদেশ

রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে সোমবার রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের উপস্থিতিতে আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে ২০০ বগি কেনার চুক্তি সই করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১৮:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী বগি কেনার চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সবধরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাস পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে এবং ৩৬ মাসে মধ্যে সব বগি হস্তান্তর করা হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি সই করা হয়।

রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে তারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। আগামী দুইমাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া হয় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে। রেলের কর্মকর্তারা স্লো। এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে।’

রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এর ফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।’

মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।’

রেলওয়ে বলছে, ‘বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি থাকবে এবং পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।’

রেলওয়ে নিজস্ব নথি থেকে জানা যায়, সারা দেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। রেলওয়ে আশা করছে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে যাত্রী বহনের সুবিধা বাড়বে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের হেড অফ করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।


বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায় কানাডা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রস‌চি‌বের দপ্তরে রোববার পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মে‌নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল জে. থো‌পিল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মে‌নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল জে. থো‌পিল। গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্রস‌চি‌বের দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। এ সময় দুই দেশের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।

কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি দুই দেশের জনগণের স্বার্থে বর্ধিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য কানাডার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান বাজারের প্রশংসা করে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কানাডার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রসচিব কানাডা সরকারের প্রথম ইনফো-প্যাসিফিক প্রতিনিধি হিসেবে থো‌পিলকে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। মাসুদ বিন মো‌মেন আশা প্রকাশ করেন যে, তার নিয়োগ কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর উন্নয়নে অবদান রাখবে।

পররাষ্ট্রসচিব কানাডাকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ, ভূ-কৌশলগত অবস্থান এবং উদার বিনিয়োগ নীতির সুবিধা নেওয়ার পরামর্শ দেন।


বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই পদকের অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এ ছাড়া ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদকও দেওয়া হবে।

এ লক্ষ্যে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বিষয়:

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সারওয়ার-ই-আলম সরকারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং তাদের সঙ্গীরা নিহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মর্মান্তিক এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও আমার পক্ষ থেকে ইরান সরকার ও সেদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জ্ঞানী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। তিনি তার দেশের জনগণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও ছিলেন অনন্য উচ্চতায় এবং তার অনুকরণীয় নেতৃত্ব আমাদের জন্য আদর্শ।’

এ সময়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পাশাপাশি ইরানের জনগণ এই শোক কাটিয়ে উঠবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আগামী ৫ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু

জাতীয় সংসদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও বাজেট অধিবেশন আগামী ৫ জুন শুরু হবে। বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে এ অধিবেশন বসবে বলে জানায় সংসদ সচিবালয়।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালের ২৯ জানুয়ারি।

সংসদ সচিবালয় জানায়, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অধিবেশনে ভাষণ দেবেনে। পরে ওই ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন সংসদ সদস্যরা।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত হবে।

বিষয়:

আ.লীগ, শেখ হাসিনা ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: সালমান এফ রহমান

তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আ.লীগ ভবনে বক্তব্যকালে সালমান এফ রহমান। ছবি-সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ২২:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তিনি বলেছেন, গত নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, বলা হয়েছিল- নির্বাচন হবে না, করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই নির্বাচনও আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই করতে পেরেছি। আগামীতেও সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

রোববার রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এক আলোচনা সভায় সালমান ফজুলর রহমান এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজকের অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। যখনই বিদেশে যাই, সব জায়গা থেকেই জানতে চাওয়া হয়- বাংলাদেশ এত উন্নয়ন কীভাবে করতে পেরেছে? তাদের বলি- শেখ হাসিনার ম্যাজিকের কারণেই আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে আমাদের কী অবস্থা হতো, সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমাদের ভাগ্য ভালো- তার মতো একজন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী আমরা পেয়েছি।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্নস্থানে যুদ্ধের জন্য আমরা দায়ী না হলেও এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। এটাকে মোকাবিলা করতে হবে। আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তি। আগামীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসছে। যার মাধ্যমে এমনসব বক্তব্য প্রচার করা হবে, যেটা সম্পূর্ণ ভুয়া। এটাও বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই প্রযুক্তি মোকাবিলায়, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সেটাও শিখতে হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, পাঁচ বছর অনেক সময় মনে হলেও দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন থেকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এদেশের সবাই আওয়ামী লীগ করে না। কেউ কেউ বিএনপি করে। আবার অনেকে নিরপেক্ষ আছে। আমাদের কাজ নিরপেক্ষদের মন জয় করা। এটা তখনই সম্ভব, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, দেশের মানুষ যখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, তখনও বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরা গণতন্ত্র, দেশ ও জনগণের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদের বহিষ্কার করছে দলটি। এমনকি যারা জিতেছেন, তাদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তবে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না। ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচন করেই আসতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১৫ বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম, আর আজ কোথায় আছি। এই সবকিছুর কারিগর শেখ হাসিনা। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নেই, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আর কোনো হতদরিদ্র মানুষ থাকবে না। বছর পাঁচেকের মধ্যেই হতদরিদ্র মানুষ দেখতে হলে এদেশের তরুণসমাজকে জাদুঘরে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাবো।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এমপি, মির্জা আজম এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯ আসনের এমপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. এনামুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ঝিলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম সমর, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাকুর রহমান সাকো, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।


উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট কাল

৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ০৩:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল মধ্যরাতে। আগামীকাল মঙ্গলবার হবে ১৫৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচন সফল করতে আগামীকাল নির্বাচনভুক্ত উপজেলাগুলোতে ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি। আর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৫৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (মিডিয়া) মো. শরীফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে জানানো হয়েছে, ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

এদিকে গতকাল শেষ দিনের প্রচারে সর্বোচ্চ প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এর মধ্য দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীরা নির্বাচনি এলাকায় ভোটের আবহ তৈরিতে মরিয়া প্রয়াস চালান। তবে বিএনপিসহ শীর্ষদলগুলো নির্বাচনে না আসায় এবং দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে এখনো তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ এবং মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইস্যুগুলোই যা আছে আলোচনায়। ফলে ভোটের দিন কেন্দ্রগুলোতে ভোটার আনাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ এটা এখন প্রার্থী থেকে নির্বাচন কমিশন সবার মুখে মুখে। গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৬ শতাংশ।

ইসি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। আজ থেকে ১৫৭ উপজেলায় মাঠে নামছেন একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোট গ্রহণের পরের দুই দিন অর্থাৎ ২৩ মে পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে ১৫৭ উপজেলায় একই দিন মাঠে নামছে বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান শনিবার জানান, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পাঁচ দিনের জন্য মাঠে নিয়োজিত থাকবেন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে পরিপত্র জারি করেছে।

এদিকে গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে ভোট কম পড়ার পেছনে বড় একটি ফ্যাক্টর হলো বিএনপি। তবে এটিই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকে আসতে চান না। এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চান না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সে জন্য আমরা প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।’ আলমগীর বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, তবে কত ভোট পড়বে তা বলা কঠিন। সেটা বলা যাবে না। যেহেতু সব দল অংশ নিচ্ছে না, তাই ভোটের হার নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।’

নির্বাচনী সহিংসতার জেরে গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কি শিক্ষা নিচ্ছে কমিশন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের কয়দিন পর এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এ ছাড়া নির্বাচন না থাকলে এ দেশে সহিংসতা হয় না, বিষয়টি তো এমন নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে, বিষয়টা এমন নয়। আপনারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন। তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটাও একটা ছিল। তার বাইরে বড় একটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি, এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তারা নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটারদের নিষেধ করেছে এটা তারা বলতে পারেন। তবে জোর করে কাউকে ভোট দিতে যেতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট বর্জনের কথা তারা বলতেই পারবেন।


সাগরে লঘুচাপের আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি মে মাসে গত কয়েক দিন ধরে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় দেশের বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা কমে এসেছে। গতকাল রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ মেঘলা ছিল।

ভারতের কেরালার উপকূলে বিস্তৃত মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই আকাশ মেঘলা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। অনেক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও ঝরেছে। এই বৃষ্টি সারা দেশে আরও দু-তিন দিন চলবে বলে জানায় অধিদপ্তর। এই বৃষ্টির পরই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা।

আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে- রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এরপর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত। আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি. মি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই। রাতে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সোমবার থেকে দেশে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। এ সময় সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তবে লঘুচাপটি কোন দিকে যাবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেবে কি না বলা যাচ্ছে না। যেহেতু এখনো সাগর শান্ত আর নিম্নচাপ হবে কি না তা নিশ্চিত নয়, তাই বড় সাইক্লোন হবে কি না বলা যাচ্ছে না।’

এপ্রিল ও মে মাসে সাধারণত দেশে সাইক্লোন হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন সৃষ্টি হলে এর প্রভাব বাংলাদেশ, ভারতসহ আশপাশের দেশগুলোর ওপর পড়ে। যদি ভারতের দিকে যায়, তাহলে বাংলাদেশে প্রভাব কম থাকে বলে উল্লেখ করেন এই আবহাওয়াবিদ।

তিনি আরও জানান, ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টিপাত হলে হিট এলার্ট কিছুটা শিথিল হবে। তবে কিছু কিছু জেলায় হিট এলার্ট জারি থাকবে।


কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ: টিআইবি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৯ সালের তুলনায় এবার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আয় বেড়েছে ১৪০ শতাংশ, সম্পদ বেড়েছে ২৩১ শতাংশ। এ ছাড়া আগের তুলনায় তিনগুণ হয়েছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (২য় ধাপ)-এর প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোথাও কোথাও সংসদ সদস্যদেরও সম্পদ বৃদ্ধিতে পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরাও। এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭১ শতাংশ প্রার্থীই ব্যবসায়ী বলে জানায় সংস্থাটি।

উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীরা ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা পদে ছিলেন এমন প্রার্থীদের গত ১০ বছরের হিসাবে তুলনা করলে দেখা যায়, প্রার্থীদের আয় ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে যথাক্রমে ৫৪০ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও ২১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে অর্থ-সম্পদ বিকাশের সুবিধাজনক সুযোগের কারণে জনপ্রতিনিধি হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে।

প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে টিআইবি দেখিয়েছে, গত পাঁচ বছরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচিত হননি এমন প্রার্থীদের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

যারা পদে ছিলেন এমন প্রার্থীদের গত ১০ বছরের হিসাবে তুলনা করলে দেখা যায়, পদে থাকা প্রার্থীদের আয় ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে যথাক্রমে ৫৪০.৬৮ শতাংশ ও ২১১.৯৮ শতাংশ। পদে না থাকাদের এ ক্ষেত্রে আয় ৫৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়লেও, সম্পদ কমেছে ৪৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে ১৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, অন্যদিকে যারা পদে ছিলেন না তাদের আয় বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

একইভাবে এ সময়কালে পদে থাকা প্রার্থীদের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং যারা পদে ছিলেন না তাদের বেড়েছে ১০০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে শুধু নির্বাচিতদের নিজেদেরই নয়, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে প্রথম ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংরক্ষিত পদ ছাড়া প্রার্থীদের মধ্যে নারীর হার দুই শতাংশেরও কম। অন্যদিকে জাতীয়পর্যায়ের মতোই ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য প্রায় একচ্ছত্র। একইভাবে, একদলীয় আধিপত্যের বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে, যেমন- বাড়ছে স্থানীয়পর্যায়ে পরিবারতন্ত্র।’

সব জনপ্রতিনিধি দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন, তাদের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতাও স্পষ্ট উল্লেখ করে ড. জামান আরও বলেন, ‘যারা আগে থেকেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন তাদের আয়-সম্পদ বৃদ্ধি যারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন না তাদের থেকে বহুগুণ বেশি।’

এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, কেন জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় নির্বাচিত হওয়ার মূল আগ্রহের জায়গা অনেক ক্ষেত্রেই জনগণের কল্যাণ থেকে সরে গিয়ে নিজের সম্পদ বৃদ্ধিতে স্থির হয়েছে। তা ছাড়া, অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির যে চিত্র হলফনামার তথ্য থেকে দেখা গেছে, সেগুলো তাদের বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না এবং সম্পদ অর্জন বা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে কি-না, তা যাচাই করার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সে দায়িত্ব পালনে কোনো আগ্রহ দেখায় না। অন্যদিকে, হলফনামায় যে তথ্য দেওয়া হয়, তা কতটুকু পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য তা-ও খতিয়ে দেখা হয় না।’

নির্বাচনে জনস্বার্থের পাশাপাশি দলীয় আদর্শ কিংবা দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়গুলো উপেক্ষিত উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দুই ধাপেই আমরা দেখলাম, বড় দুই রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই দলীয় নির্দেশনা প্রতিপালনের বিষয়টি অনুপস্থিত। তদুপরি, বৃহৎ দল দুটি দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না।

কারণ, স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে সম্পদ অর্জনের লাইসেন্স পাওয়াই এখানে মূল উদ্দেশ্য। সার্বিকভাবে, এই নির্বাচনের লড়াই একদিকে যেমন অসুস্থ, অগণতান্ত্রিক, আত্মকেন্দ্রিক অন্যদিকে জনগণ বা জনকল্যাণের সঙ্গে এর সম্পর্ক ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’


বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ রোববার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই একঙ্গে ব্যর্থ হয়ে যাব। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প আমরা তুলে ধরব। আবার পুনরায় জাগরণের গল্প আমরা তুলে ধরব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে, অন্যায়ের কাছে পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে জয়ের গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুর কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশজুড়ে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।’

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ।


ভারতে গিয়ে এমপি আনোয়ারুল আজীম ‘নিখোঁজ’

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনার।

আজ রবিবার ঘটনাটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এমপি আনারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ ও এমপি কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বাবার খোঁজ পেতে আজ বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অফিসেও যান ডরিন। তবে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কোলকাতায় গেছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এসে পড়বেন।

শনিবার রাত থেকেই পরিবার সদস্যদের সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্ট থেকে চাউর হয় এমপি আনোয়ারুল আজীমের ভারতে গিয়ে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি। তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ আজ সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। এরপর দুদিন পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। ১৪ মে থেকে তার সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আমাদের। তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে। কোথায় আছেন, কীভাবে আছেন—সেটা জানতে না পেরে আমরা উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এজন্য আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা সব উপায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাইনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তার নিখোঁজের বিষয়ে কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমার জানা মতে, নিখোঁজের বিষয়ে সংসদের কাছে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।’

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনও কিছু শুনিনি। ঘটনা যদি সত্য হয়, তা খুবই উদ্বেগের। দল ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘বিষয়টি এমপির পরিবার আজকেই আমাকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

এদিকে, ভারতে গিয়ে এমপি আনারের গত ছয় দিন ধরে কোনও যোগাযোগ না থাকায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যে নানারকম গুঞ্জন চলছে। ফেসবুকে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার সুস্থতা কামনা করে পোস্ট দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ বলেন, ‘বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত এমপির স্বজনরা থানায় অভিযোগ দেননি।’

এদিকে, বাবার খোঁজ পেতে মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

মুমতারিন ফেরদৌস বলেন, আমার বাবা ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম নিখোঁজের ঘটনায় ডিবিকে অবহিত করতে এসেছি।

আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর আজ রাতে এ বিষয়ে মুখ খালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি কলকাতায় গিয়েছেন, এসে পড়বেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তিনি পুরনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝে শুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মিয়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন।

বিষয়:

banner close