মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৩ আষাঢ় ১৪৩২

উপজেলা নির্বাচনে মানুষ যাকে চাইবে সেই জয়ী হয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২ মে, ২০২৪ ১৯:৫৯

চলমান উপজেলা নির্বাচনকে অর্থবহ করাই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন চান যেখানে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান এবং একে প্রভাবমুক্ত রাখাই আমার লক্ষ্য। সেখান থেকে যারাই জিতে আসে আসবে। সেটা হলো বাস্তবতা। মানুষ যাকে চাইবে সেই জয়ী হয়ে আসবে। যেমন আওয়ামী লীগকে চেয়েছে (ক্ষমতায়) আওয়ামী লীগ চলে এসেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবণে সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।

তিনি গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ড সফর করেন। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক এই সফরে তিনি ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০ তম অধিবেশনেও যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা হচ্ছে এই প্রক্রিয়াটাকে আরো গণমুখি এবং স্বচ্ছ করা।’ তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। আগে কখনও এটা করা হয়নি।

অতীতে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ আর্থিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওপর নির্ভরশীল ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার এটাকে সেখান থেকে মুক্ত করে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত করে দিয়েছে। আলাদা বাজেট দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত করেছি যে, দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’

সরকার প্রধান বলেন, এখন কোন কোন দল থেকে মানুষকে ভোটে না যেতে বলা হচ্ছে। প্রশ্নটা হচ্ছে মানুষ কেন ভোটে যাবেনা? এটাতো তার অধিকার। তার এলাকায় সে যাকে চায় তাকে সে ভোট দেবে। তাদের এই ভোটের অধিকারে হস্তক্ষেপ কেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পুরো নির্বাচনী ইতিহাস যদি আপনারা দেখেন সেই ’৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন, ‘৭৭ সালের ‘হ্যাঁ-না’ ভোট থেকে নিয়ে যতগুলো নির্বাচন প্রত্যেকটা নির্বাচনকে নিয়ে যদি তুলনা করা হয় তাহলে দেখবেন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রত্যেকটি নির্বাচনের তুলনায় সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচনই হয়েছে। যেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল । কারণ, এদেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা দীর্ঘ সংগ্রাম করেছি।

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করে কেন? কারণ তাদের নির্বাচন করার মত সক্ষমতাই নাই।

তিনি উদাহারণ দেন-: যেমন ধরুন সংসদ নির্বাচন। সে নির্বাচন করতে হলে জনগণকে তো দেখাতে হবে আপনাদের পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন বা নেতা কে হবেন? একজন নেতাকে তো দেখাতে হবে। আপনাদের কাছে যদি এখন উপযুক্ত নেতা না থাকে তখন তো আপনাকে একটা ছুতা খুঁজতে হয়। হ্যাঁ নির্বাচন করলাম না, বাস্তবতা সেটাই। আমাদের দেশে ওটাই এখন হচ্ছে। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী বা পলাতক আসামীকে যদি জনগণের সামনে দেখান তাহলে পাবলিকতো সেটা মেনে নেবেনা।

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি করতে গেলে তো ঝুঁকি নিতে হয়। এ সময় ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর তাঁকে দেশে আসতে না দেওয়ার এবং শেখ রেহানার পাসপোর্টটি পর্যন্ত নবায়ন না করে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যেখানে তাঁর বাবার খুনিরা পুরস্কার প্রাপ্ত, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন এবং সাজাপ্রাপ্তও ছিলো তাদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ প্রদান করা হয়, তারাই ক্ষমতায়। তারাই মন্ত্রী-উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘ওই অবস্থাতেই তো আমি দেশে ফিরে এসেছি, জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বারবার আঘাত এসেছে কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। বেঁচেও গেছি এবং বারবার নির্বাচনেও জিতে ক্ষমতায় এসেছি এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই আজকে দেশের উন্নতি হয়েছে। বিশে^র বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার বা কথা বলার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ।

থাইল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়, ফিলিস্তিন ইস্যু, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, হিট ওয়েভ, আমেরিকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে এবং প্রধানমন্ত্রী তার জবাব দেন।

অতিবাম রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা পুরো ৯০ ডিগ্রী ঘুরে গেছে।
তিনি বলেন, ধরে নিলাম তারা আমাকে উৎখাত করবে। কিন্তু এরপর কে আসবে ক্ষমতায়- তারা কি সেটা ঠিক করতে পেরেছে? সেটাই আমার প্রশ্ন- কে আসবে ক্ষমতায়? কে দেশের জন্য কাজ করবে? কাকে তারা আনতে চায় (ক্ষমতায়) সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয় আর সেটা স্পষ্ট নয় বলেই তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমি বলবো অনেক কিছুই হয়েছে, চেষ্টা করা হয়েছে যাতে নির্বাচনটা না হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট এখনো টিকে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে বসবেন বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি জাঁকজমক পূর্ণভাবে করার প্রস্তুতি চলছে যেখানে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান।

তবে, অবস্থা বুঝেই সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণেরও ইঙ্গি দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার শক্তি হচ্ছে দেশের জনগণ। কাজেই জনগণের শক্তির উপর আমি সবসময় বিশ্বাস করি এবং আমি এটাও বিশ্বাস করি যে- জনগণ যতক্ষণ চাইবে, ততক্ষণই ক্ষমতায় থাকব। কারণ আমরা জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে এসেছি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমাদের দল তো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হয়নি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের আর্থসামাজিক যে উন্নয়ন, এটাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মানুষ যে শোষণ বঞ্চনার শিকার হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্যই এই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। কাজেই আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায় এবং এটা প্রমাণিত সত্য আর সেই কারণেই যত বাধাই আসুক, আমরা সেই বাধাটা পেরিয়ে যেতে পারি বা যত চক্রান্ত হোক, সেই চক্রান্তগুলোকে পাশ কাটিয়ে দেশের মানুষকে সাথে নিয়েই আমরা বিজয় নিয়ে আসি।

তিনি বলেন, “এটা স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় থেকে শুরু করে এবং এই নির্বাচন জায়গায় এটা প্রমাণিত। কাজেই এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনতাই ঘটেছে। এখন যারা- ‘গণতন্ত্র নাই, দেশে ভোটের অধিকার নাই’ বলে তারাই তো মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, এটাই তারা ভুলে যায়। আর অনেকে নানা ধরনের কথা বলেন। অনেকে উন্নয়নটা চোখে দেখলেও কেউ কেউ দেখেন না।”

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, উন্নয়নটা তারা নাও দেখতে পারেন, কারণ তাদের হয়তো উন্নয়নের ফর্মুলাটা ভিন্ন আর আমার উন্নয়নটা হচ্ছে আমার গ্রামের মানুষ দু’বেলা পেট ভরে খাবে, তাদের একটু বাসস্থান হবে, চিকিৎসা পাবে, শিক্ষা পাবে ও জীবন মান উন্নত হবে।

তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, আপনারা তো সাংবাদিক, আপনারাই বলেন বেশিদিন নয় মাত্র ১৫ বছর আগেই দেশের অবস্থা কেমন ছিল? এখন কি কোন পরিবর্তন হয়নি? এখন কেউ যদি উন্নয়নটা না দেখে- তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের তো কিছু লোক রয়েছে, যারা সবসময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কানভারী করছে। তারা অনেক জ্ঞানী গুণী বুদ্ধিজীবী এবং তারা যখন সারাক্ষণ উল্টাপাল্টা বলতেই থাকবে, কিছুটা (বিদেশিরা) তাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমার দেশের মানুষইতো অনেকে প্রভাবিত হয়ে যায় আর বিদেশীরা তো হবেই। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ কিন্তু এসব কথায় প্রভাবিত হয় না। তারা কিন্তু ঠিক আছে। তাদের একটা আত্মবিশ্বাস আছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত আমরা করেছি।

বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের পক্ষে রয়েছে উল্লেখ করে- প্রধানমন্ত্রী সেখানে গণহত্যা বন্ধের ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা হ্রাস করে তার অর্থ দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় এবং জলবায়ু তহবিলে প্রদানের আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবেও তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। যেখানেই নির্যাতিত মানুষ, সেখানেই বাংলাদেশ আছে- এটাই আমি প্রমাণ করতে চাই। আমি যেখানেই যাই, সেখানে আমার কথা আমি বলবই। কারণ যেভাবে গণহত্যা চলছে, সেটা অমানবিক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন যে- আমেরিকায় আন্দোলন করার জন্য ৯শ’ ছাত্র ছাত্রী ও অধ্যাপক গ্রেফতার হয়েছেন আর এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ।

সেখানে একজন অধ্যাপককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রাস্তায় ফেলে নির্যাতন করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনার সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরপরই ঠিক যেভাবে তাদের সন্ত্রাসী ও পুলিশবাহিনী অত্যাচার করেছিল, এটা সেই অত্যাচারের কথাটাই মনে করিয়ে দেয়। অথচ তাদের কাছ থেকেই আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়, এটাই হচ্ছে সব থেকে দুর্ভাগ্যের।
আমেরিকায় বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের দেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তাদের আগে নিজের ঘর সামলানো উচিত।

তিনি বলেন, আমেরিকায় বিভিন্ন স্কুল, শপিং মল, রেস্টুরেন্টে অনবরত বন্দুক হামলা হচ্ছে আর মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন কোনো দিন নাই বোধ হয় যে, আমেরিকায় মানুষ না মরছে। তাদের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।

আমেরিকায় বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগেও আমাদের বাংলাদেশি কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি এবং বিচার করে তারা আমাকে জানিয়েছে। আমাদের যেটুকু করার সেটা আমরা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রতিবাদ শুধু এখানেই না, আমেরিকায় বসেও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।

গরমে তিনি সকলকে সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন এবং তাঁর দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উল্লেখ করে বলেন, যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। অবস্থা বুঝে যখন যেটা করার দরকার সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিচ্ছি।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গরম নতুন নয়। তবে যেভাবে গরম বাড়ছে, তাপমাত্রা বাড়ছে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদে থাকতে হবে, প্রচুর পানি খেতে হবে।”

রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। থাইল্যান্ডও আশ্বাস দিয়েছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রত্যাবাসন নিয়ে সহযোগিতা করবে। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারাও উদ্ধিগ্ন। থাইল্যান্ডও মিয়ানমারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী তাঁর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, থাইল্যান্ডের সফরে কী পেলাম আর কী পেলাম না- সেটা বড় বিষয় নয়। নতুন করে কিন্তু অর্থনীতির একটি দুয়ার খুলেছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে খাদ্য ও ফল উৎপাদনের বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগ করার আহ্বান করা হয়েছে। পাসপোর্ট ছাড়া যেন বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে যাওয়া যায়, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।


বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

আপডেটেড ১৬ জুন, ২০২৫ ২১:৪৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে।’

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।’


বিমান বাহিনী প্রধান কর্তৃক মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে (Central African Republic) নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (MINUSCA), Bangladesh Armed Military Utility Helicopter Unit-5 (BANAMUHU-5) কন্টিনজেন্ট এর মোট ১২৫ জন সদস্য প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি সোমবার (১৬-৬-২০২৫) বিমান বাহিনী সদর দপ্তর-এ মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট (BANAMUHU-6) এর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের সুনাম বয়ে আনার জন্য কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। পরিশেষে তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ, ঢাকাস্থ বিমান ঘাঁটি দ্বয়ের এয়ার অধিনায়ক এবং বিমান সদর ও ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সমরাস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এবং নাইটভিশন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ০৩ টি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার ও বিভিন্ন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে MINUSCA জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত রয়েছে। BANAMUHU-6 কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন এয়ার কমডোর ইমরানুর রহমান, বিইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি(পি)। আগামী ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে কন্টিনজেন্ট এর সদস্যগণ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, ঢাকা হতে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।


দীর্ঘ একযুগেও সন্ধান মেলেনি নাটোরের বড়াইগ্রামের পাঁচ যুবকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চারটি গ্রামের পাঁচ যুবকের অপহরণের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো তাদের সন্ধান মেলেনি। অপহৃতদের কেউ বেঁচে আছেন কিনা, নাকি তাঁরা চিরতরে হারিয়ে গেছেন—সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি পরিবার, প্রশাসন কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও।

২০১৩ সালের ১৯ মে রাতে বড়াইগ্রামের গুরুমশৈল গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অস্ত্রধারী ১০-১২ জনের একটি দল মাইক্রোবাসে এসে কৃষক কামাল হোসেনকে বাড়ির পাশ থেকে তুলে নেয়। একই রাতে একই কায়দায় অপহরণ করা হয় ওই গ্রামের দিনমজুর ইব্রাহিম তালুকদার এবং পার্শ্ববর্তী মহিষভাঙ্গা গ্রামের ভুটভুটি চালক তৈয়ব আলীকে।

অপহরণের সময় অস্ত্রধারীরা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং অপহৃতদের মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। এর ঠিক দুদিন আগে একই উপজেলার কালিকাপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন বিজিবি সদস্য রাসেল গাজী ও তার বন্ধু কাটাশকুল গ্রামের সেন্টু হোসেন। ছুটিতে বাড়ি এসে রাসেল তার বন্ধুর ফোন পেয়ে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হন দুজনই।

স্বজনরা জানান, অপহরণের পরপরই তারা থানায় জিডি ও মামলার পাশাপাশি প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি। গুরুমশৈল গ্রামের কামালের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এক যুগ হয়ে গেল, আমার ছেলের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদি। কে নিল, কেন নিল, কোনো উত্তর নেই।’

নিখোঁজ ইব্রাহিম তালুকদারের মা বলেন, ‘ছেলেকে হারিয়ে আমরা পথে বসেছি। কোনো দিন কেউ খোঁজও নেয়নি।’ রাসেল গাজীর বাবা বলেন, ‘বিজিবির মতো চাকরিতে থেকেও যদি অপহৃত হয়, তবে সাধারণ মানুষের কী হবে?’

নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘এই ঘটনার বিষয়ে আমরা নতুন করে তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও হাতে এসেছে। আশা করছি, দ্রুতই রহস্য উদঘাটন এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

অপহৃতদের স্বজনরা বলছেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে তারা আকুতি জানাচ্ছেন—তাদের প্রিয়জনেরা জীবিত না থাকলেও অন্তত কী ঘটেছে, কোথায় গেল তারা—সে রহস্য তো উন্মোচিত হোক।’


নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে নেপাল। গত বছরের ৩ অক্টোবর নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ আসছে। গতকাল রোববার থেকে ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপাল বাংলাদেশে এই বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে।

চুক্তি অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ভারতীয় ট্রান্সমিশন চার্জসহ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে প্রায় ৭ টাকা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ শীতকালে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে। কারণ, শীতের সময় নেপালের নদীতে ভারী তুষারপাতের কারণে নেপালের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়।

শীতকালে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবহার কমে যাওয়ায় নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ একই পরিমাণ বিদ্যুৎ নেপালে রপ্তানি করতে পারে। এতে দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ জ্বালানি বাণিজ্য গড়ে উঠবে।

ফাওজুল কবির খান বলেন, আমরা শীতকালে বাংলাদেশ থেকে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রস্তাব পাঠাব।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা নেপালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠাব, যাতে সম্ভাব্য বিদ্যুৎ রপ্তানি নিয়ে আলোচনা শুরু করা যায়।

এর আগে ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর নেপাল থেকে ভারত হয়ে বিদ্যুৎ আমদানি চূড়ান্ত করতে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি ও ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেড একটি ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করে।


তিন মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ল ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বাড়ল ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ সময় মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এ হিসাব চলতি বছরের ৩১ মার্চের।

তিন মাস আগে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর খেলাপি ঋণের হার ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। সে সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। আর মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

গতকাল রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের পতন পরবর্তী নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, বিগত সরকার খেলাপি ঋণ নানাভাবে লুকিয়ে রেখেছিল। এসব খেলাপি ঋণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এটা বেড়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে। সেই হিসেবে প্রতি তিন মাসে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির চিত্র তুলে আনার সময় এর পরিমাণ বাড়ছে।


করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ২৬

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আট দশমিক ৯৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তার বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তার বাড়ি ঢাকা বিভাগে। তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৩ জন।


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একত্রিশ দফা বাস্তবায়ন করতে চাই

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নেত্রকোণা প্রতিনিধি  

নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলা এই একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত মহান জাতীয় সংসদীয় আসন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভৌগলিক অবস্থান পূর্বধলা উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে নেত্রকোণা জেলা শহর এবং এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত। পূর্বধলা উপজেলা গঠিত হয়েছে ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে, যেগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

আয়তন ৩০৮.০৩ বর্গ কিঃমিঃ। মোট জনসংখ্যা-৩,১০,৮৩৪। পুরুষ-৪৯.২৭%, মহিলা-৫০.৭৩%। মুসলমান-৯৪.৮০%, হিন্দু-৪.৮১%, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান- ০.১৯% এবং অন্যান্য-০.২০%। এখানে গারো ও হদি নামক দু’টি আদিবাসী সম্প্রদায় আছে। তাদের পরিবারের সংখ্যা- ৪৪৫টি। মোট ভোটার-২,৭০,৬৯৯ জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। পুরুষ ভোটার: ১,৩৭,৯১৬জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। মহিলা ভোটার:১,৩২,৭৮২ জন ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রাপ্ত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্র সংখ্যা: ২,৩৬,১০৩। বিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২,১০,৭৯১। অবিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২৫,৩১২।

এবার পূর্বধলা সংসদীয় আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান। তিনি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস (তথ্য ক্যাডার)। সাবেক বিসিএস জুডিশিয়ারী (সহকারী জজ) (কোয়ালিফায়েড ফর বিসিএস-২২)। সাবেক লেকচারার, আইন বিভাগ, কুইন'স ইউনিভার্সিটি।

সলিসিটর ফর ইংল্যান্ড, এন্ড ওয়েলস হাইকোর্ট। প্রিন্সিপাল সলিসিটার অফ মওদুদ ল'চেম্বার্স সলিসিটর্স, লন্ডন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা ও এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

এছাড়াও তিনি বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি চেয়ারম্যান। বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান বলেন, ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী নিয়ে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে প্রতিটি ঘরে বিএনপি'র একত্রিশ দফা বার্তা নিরচ্ছন্ন ভাবে পৌছানোর দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়ীতে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে একেকটি পরিবারের ও গ্রাম্য জীবন তথা উপজেলার সার্বিক জাতীয় সমস্যা, উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে বিএনপির পাশাপাশি সার্বিকভাবে ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কাজ করে যাবে। আমাদের স্লোগান ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে যেই আগামীর নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আসবে আমরা তার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবো। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, দুর্নীতিবাজ, চরিত্রিহীন, অসৎ লোক, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, ব্যাক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে এমন স্বার্থপর তথা জনগণের আস্থার পরীক্ষায় ফেল করা কোনো ব্যাক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে আমাদের প্রাণের সংগঠন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র হাই কম্যান্ডসহ বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চাইবেন না। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী চাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পূর্বধলাসহ সারা বাংলাদেশে বিএনপি'র দলের হয়ে জনগণের সেবায় বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখুক। আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কঠিন ও কঠিনতর হবে। পেশিশক্তির দিন শেষ এবং দিন শেষে জনগণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিশ্বাস করি পূর্বধলার জনগণ জননেতা নির্বাচনে কোনোক্রমেই ভুল করবেনা। প্রাণের পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের নিমিত্তে অবশ্যই একজন সৎ, যোগ্য, দুর্নীতি বিরোধী, দেশপ্রেমিক, নিঃস্বার্থ একজন যোগ্য ব্যক্তিকে খোঁজে নেবে পূর্বধলাবাসী। সে জন্য দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বধলার মনোনয়ন বিএনপির হাইকমান্ড ভেবেচিন্তে নির্ধারণ করবে। সকল জাতীয়দাবাদী নেতৃবৃন্দ, কর্মী সমর্থক, শুভানুদ্ধায়ীদেরকে ধানের শীষের সমর্থনে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পূর্বধলা ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী দলীয় সংহতির ভিত্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের দৃপ্ত আহবান জানাই। ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই, একতাই বল। পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়নে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেতা তারেক রহমানের একত্রিশ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র মেরামতে ঐতিহাসিক ভাবে জাতীয় মুক্তির ভূমিকা পালনে সবাই অংশগ্রহণ করি। পূর্বধলার সকল সম্মানিত নাগরিকের আস্থা, ভালোবাসা, কল্যাণ ও পছন্দের প্রতীক হউক ধানের শীষ।

তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একত্রিশ দফা বাস্তবায়ন করতে চাই। তাই শতভাগ আশাবাদী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড আমাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন।


জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেব: সিইসি

আপডেটেড ১৫ জুন, ২০২৫ ১৬:৫৯
বাসস

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া হবে।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সাথে কর্মকর্তাদের ঈদুল আজহা পরবর্তী মতবিনিময় সভায় সিইসি এ কথা বলেন।

সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময়ে সিইসি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আপনাদেরকে যতকাজ দিয়েছি, কোন কাজে আপনারা ব্যর্থ হননি। টাইম ফ্রেমের মধ্যেই আপনারা সব কাজ করেছেন। সুতরাং নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ যা বাকি আছে, অনেকগুলো আমরা এগিয়ে নিয়েছি। আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়ে আছে। এখন সবাই মিলে ফিনিশিং দিতে হবে। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিব, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, আমাদের শপথ হবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা, কোনো দলের জন্য লেজুড়বৃত্তি না করা, আইন অনুযায়ী কাজ করা, বিবেক সম্মতভাবে কাজ করা।

সিইসি আরো বলেন, ‘আমরা থাকব রেফারির ভূমিকায়। যারা খেলবে খেলুক। খেলে যারা জিতবে জিতুক।

আমাদের দায়িত্ব হবে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে দেয়া। সেটা করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সবসময় বলে যাচ্ছেন, আমি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। কিসের ওপর ভিত্তি করে উনি কথাটা বলছেন। এই যে উনি ওয়াদাটা দিচ্ছেন, বিশ্বব্যাপী দিচ্ছেন। আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই ওয়াদাটা দিচ্ছেন।’


পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদের চার কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল ও পদোন্নতি হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখার উপসচিব মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট আলি আকবর খানকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. শামসুল হককে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে।

এ ছাড়াও ঢাকা আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। আর সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি রোমানা আক্তারকে ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট করা হয়েছে।

জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


পরিবেশবান্ধব বাঁশের আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশ  উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশবান্ধব বাঁশের আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, দেশে কাঠের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে। এই চাপ কমাতে আসবাবপত্র তৈরিতে কাঠের বিকল্প হিসেবে বাঁশ ব্যবহারে উদ্যোগী হতে হবে। বাঁশ সহজলভ্য, দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং পরিবেশবান্ধব।

আজ পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা পরবর্তী ১ম কর্মদিবসে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এসময় তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পরিবেশ রক্ষায় নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্রের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে তিনি বাঁশগবেষণা কেন্দ্রে বাঁশ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিক পণ্য উদ্ভাবনের ওপর জোর দেন। উপদেষ্টা বলেন, আধুনিক, টেকসই ও রুচিশীল বাঁশের আসবাবপত্র তৈরি করে অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণ ও আন্তর্জাতিক বাজারেও সম্ভাবনা তৈরি করা সম্ভব।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সমূহের প্রধানগণ, এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।


কোভিডের খবরে বাড়ছে পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে না বাড়তে এরইমধ্যে পাইকারি পর্যায়ে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছেন এক দল ব্যবসায়ী। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অতিরিক্ত দামে মাস্ক কিনে পরতে হচ্ছে তাদের।

সরজমিনে রাজধানীর বাবুবাজার মাস্কের পাইকারি দোকানগুলো ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। করোনা সংক্রমণে মাস্কের চাহিদা বাড়ায় ভিড় বাড়ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের।

কম দামে মাস্ক পাওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও রীতিমতো উল্টোচিত্রের মুখোমুখি হোন তারা—প্রতি বক্স সার্জিক্যাল মাস্ক রীতিমতো দ্বিগুণ দাম বিক্রি হচ্ছে।

শাহজাহানপুর রেলওয়ের কাছে মাস্ক ব্যবসা করেন মিঠু। তিনি জানান, এতদিন ৬০-৬৫ টাকা দামে প্রতি বক্স মাস্ক কিনলেও আজকে বাজারে একই মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কোনো ধরনের দামাদামির ধার ধারছেন না পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

মালিবাগ মোড়ের আরেক মাস্ক ব্যবসায়ী শাহ আলি বলেন, ‘আগে হাজারে সার্জিক্যাল মাস্কের দাম ছিল ৯০০ টাকা। আজকে বাজারে হাজারে মাস্কের দাম বেড়ে হয়েছে ১৬০০ টাকা।’

‘পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে ১০ টাকায় পাঁচটি সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি করলেও এখন তিনটি করে বিক্রি করতে হচ্ছে,’ বলেন তিনি।

সার্জিক্যাল মাস্কের পাশাপাশি দাম বেড়েছে এন-৯৫ মাস্কেরও। এতদিন ১০ টাকা দরে এই মাস্ক বিক্রি হলেও হঠাৎ করে প্রতি পিস মাস্কের দাম হয়েছে ১৫-২০ টাকা।

হঠাৎ করে মাস্কের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে চাপা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, এখনই মাস্কের দাম নাগালে আনতে না পারলে সামনে দাম বেড়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ হবে।

এ প্রসঙ্গে মগবাজারের বাসিন্দা মোহতাসিম বলেন, ‘২০২০ সালে করোনাসময়ে প্রতিপিস সার্জিক্যাল মাস্ক ১০-১৫ টাকায় কিনতে হয়েছে। তখন ১০ টাকার এন-৯৫ মাস্কের দাম বেড়ে হয়েছিল ১৫০ টাকা। এবার মাস্কের সিন্ডিকেট ভাঙতে এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’

মতিঝিলে কাপড়ের মাস্ক কিনতে এসেছেন সুবাহ হোসেন। বলেন, ‘এতদিন কাপড়ের মাস্কের দাম ২০-৩০ টাকা হলেও এখন দাম বেড়ে ৫০-৮০ টাকা হয়েছে। হঠাৎ করে মাস্কের দাম বাড়ায় ভয় লাগছে, পরিস্থিতি আবার ২০২০ এর মতোন হবে কিনা।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংক্রমণ বাড়ায় ইতোমধ্যে মহাখালীর কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্তকরণ কিট সরবরাহ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সূত্র: ইউএনবি


দীর্ঘ ছুটির পর লেনদেনে ফিরেই পুঁজিবাজারে দরপতন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঈদের ১০ দিনের লম্বা ছুটি শেষে রবিবার লেনদেনে ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। তবে ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হয়েছে দরপতনের মধ্য দিয়ে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমেছে, পাশাপাশি বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমে গেছে।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেখা যায় নিম্নমুখী প্রবণতা। প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট। পাশাপাশি শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ বা বাছাইকৃত কোম্পানির সূচক ডিএস৩০ উভয়ই কমেছে ৮ পয়েন্ট করে।

লেনদেন শুরুর পরই ঢাকার বাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যায়। প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ২১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, মাত্র ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ৫০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৩০ কোটি টাকা।

ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ঈদের পর লেনদেন শুরু হয়েছে পতনের মধ্য দিয়ে। লেনদেনের শুরুতেই সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ৪৪ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বাজারে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, ৭টি বেড়েছে এবং ২টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে।

এই সময় সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।


বিশ্বব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশের সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালনা পর্ষদ ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন করেছে।

স্ট্রেংদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি (এসআইটিএ) শীর্ষক এই প্রকল্প বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি খাতগুলোর আধুনিকায়ন, তথ্যের স্বচ্ছতা, রাজস্ব আহরণ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয় ও আর্থিক তদারকির ক্ষেত্রে চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।

এই প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ সরকারী ক্রয় কর্তৃপক্ষ এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের শাসন কাঠামো ও সক্ষমতা শক্তিশালী করা হবে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোর ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে ও দুর্নীতি হ্রাসে সহায়তা করবে। এতে বাংলাদেশ এমন আধুনিক সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবে, যা একটি উদীয়মান অর্থনীতির চাহিদা পূরণে সক্ষম।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্প সরকারি সেবার গুণগত মান ও প্রবেশগম্যতা বাড়াবে এবং এর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, এ প্রকল্পের পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে আরও একটি উন্নয়ন নীতিগত ঋণ নিয়ে আলোচনা চলছে, যা এই মাসের শেষ দিকে বোর্ড আলোচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে। এতে রাজস্ব আহরণ, ব্যাংক খাত, তথ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সেবা প্রদান এবং নিরীক্ষা ও জবাবদিহিতার স্বচ্ছতা উন্নয়নের জন্য সহায়তা প্রদান করা হবে।

এসআইটিএ প্রকল্পটি এসব কার্যক্রমের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে এবং এসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তুলবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার সুলেমানে কুলিবালি বলেন, ‘পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাকে নিয়ে একটি সমন্বিত কৌশলে কাজ করার ফলে সরকারের কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যাবে, যা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্প ও প্রস্তাবিত উন্নয়ন ঋণ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে এবং সরকারকে আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর সেবাপ্রদান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।’

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে তারা ৪৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদমুক্ত ও স্বল্পসুদের ঋণ প্রদান করেছে।


banner close