শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ঢাকাবাসীকে সুন্দর জীবন উপহার দিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বাসস
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৪ ১৭:১৯

ঢাকাবাসী যাতে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে সেজন্য তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনী বিতান’, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি সরণি,’ ধানমন্ডি লেকে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান’ আধুনিকীকরণ শীর্ষক ৪টি উন্নয়ন প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চারটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই এলাকার বিশেষ করে পুরান ঢাকার মানুষ উপকৃত হবে এবং তারা সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবে। এই প্রকল্পগুলো নতুনভাবে বাঁচার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্ধিত ঢাকার জনগণ যেন যথাযথ সেবা পেতে পারে সেজন্য নগরীকে তিনি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এই দুটি অংশে ভাগ করেন। যেগুলো ইউনিয়ন ছিল সেগুলোকেও সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে এসে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঠিকানাবিহীন পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আবাসন সমস্যা দূরীকরণে তাঁর সরকার আবাসিক ফ্ল্যাট ও সম্মানজনক পদবীর ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা শহরের পূর্ব-পশ্চিমে রাস্তাই ছিল না। তাঁর সরকার সে সব রাস্তা, ওভারপাস, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বাঁধের ওপর রাস্তা, বুড়িগঙ্গা বেড়িবাঁধ করে দিয়েছে এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যেগুলো বাস্তবায়ন হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তঃজেলা যোগাযোগ সহজ করতে আমরা ঢাকায় একটি রিং রোড নির্মাণ করতে চাই।’

‘ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার এখান থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জ নেওয়া হয়েছে। পুরাতন কেন্দ্রিয় কারগারে যেখানে জাতির পিতা দীর্ঘদিন বিভিন্ন সময় বন্দি ছিছেন, যেখানে জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ফাঁসির মঞ্চ যেখানে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসার সৈনিক, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফাঁসি দিয়েছিল। আর ব্রিটিশ আমল থেকেই অনেক দেশপ্রেমিককে সেখানে ফাাঁসি দেওয়া হয়- সেই জায়াগাটিসহ সকল স্থানের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে স্কুল এবং পার্ক করে সৌন্দর্যবর্ধন এবং বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’- যোগ করে বললেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবেই এই এলাকার মানুষ যাতে ভালভাবে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থাও করেছি।’

শেখ হাসিনা বঙ্গবাজার পুনর্নিমাণের পর ব্যবসা চালু রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘এরআগে তিনি মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবাজার বাজারের ব্যবসায়ীদের অনুদান দিয়েছিলেন।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের পর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকার সঙ্গে তাঁর একটা আলাদা নাড়ির টান রয়েছে। কাজেই এই অঞ্চলের মানুষরা ভাল থাকুক সেটাই তাঁর লক্ষ্য।

অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হন। তাঁর পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ঢাকায় এসে প্রথমেই তাঁরা ৮/৩ রজনীবোস লেনের একটি বাড়িতে ওঠেন। এরপর বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী হলে মিন্টু রোডে চলে আসেন। ৯২ এর ক ধারায় জরুরী আইন জারি করা হলে ১৪ দিনের নোটিশে তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হন। ৭৯ নম্বর নাজিরা বাজারে অবিভক্ত ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ফুপুর বাড়িতে তারা দীর্ঘদিন ছিলেন। মাঝে বন্যা হলে আরমানিটোলার বাঘওয়ালা বাড়িতেও (স্থানীয়রা বলতো) ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার জন্ম ঢাকার মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর ছোট ভাই শেখ রাসেলের জন্ম ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে।

সরকার প্রধান বলেন, ‘মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের শুরুটা যেন চানখারপুল থেকে হতে পারে সরকারে আসার পর তিনিই তার ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়া আজ যে প্রকল্পগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো সেগুলো বাস্তবায়ন হলেও এলাকার মানুষই লাভবান হবে। তারা সুন্দর ভাবে বাঁচতে পারবে, চলতে পারবে।’

তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলেন, ‘এটি একটি প্রাইমারী স্কুল ছিল। পরে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল এবং সেখান থেকে কলেজ হয়। আর এখন বিশ্ববিদ্যালয়। এতটুকু জায়গা, বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো ছিটানো হোস্টেল। এগুলো সব একত্রিত করে একটি ভালো ক্যাম্পাস এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত করে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আবাসস্থল নির্মাণ করে শিক্ষার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তাঁর সরকার। ইতোমধ্যে জায়গা ও নকশা করা হয়ে গেছে। সে কাজও শিগগির শুরু হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেভাবে নতুন ক্যাম্পাস আমরা করে দেব যাতে একটা সুস্থ পরিবেশে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘ইতোমধ্যে তাঁর সরকার ঢাকার মানুষের যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছে। এক সময় বিদ্যুত থাকতো না, পানিও থাকতো না। আপনাদের মনে আছে সেই বিদ্যুত ও পানির দাবিতে মানুষের আন্দোলনে বিএনপি’র এক নেতা (স্থানীয় এমপি) জনগণের ধাওয়াও খেয়েছিল। কিন্তু তাঁর সরকার ঢাকাবাসীর জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছে। সারাদেশে বিদ্যুত সরবরাহের উন্নয়ন ঘটিয়েছে এবং মানুষের বিদুতের ব্যবহারও বেড়েছে। তিনি এই সময় নিজ নিজ পানির ট্যাংক নিয়মিত পরিস্কার রাখাসহ বাড়ির চারপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে মশার উপদ্রব থেকে বাাঁচার জন্য পানি জমে থাকা জায়গা পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পানির ও বিদ্যুত ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি এই সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতেও সকলের সহযোগিতা চান। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলে নিদিষ্টি জায়গায় ফেলার এবং সিটি কর্পোরেশনকেও তিনি দ্রুত এইগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন। এই সময় তিনি আসন্ন কোরবানীর ঈদে যেখানে সেখানে পশু কোরবানী না দেওয়ার জন্যও নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘ভবিষ্যতে শুধু সিটি কর্পোরেশনে নয়, সমগ্র বাংলাদেশেই তাঁর নির্দেশ রয়েছে প্রত্যেক জায়গায় আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ব্যবস্থা গড়ে তোলার।’

তাঁর সরকার ঢাকা শহরের জলাধারগুলো উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে যত্র তত্র পুকুর-খাল, জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা তৈরি না করার জন্য নগর পরিকল্পনাবিদদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন। অতীতের সরকারগুলো পুকুর, খাল-বিল ভরাট করে স্থাপনা বা বক্স কালভার্ট নির্মাণ করায় খাল-বিল-পুকুরে ভরা ঢাকা শহরের বাতাসও এখন ভারী হয়ে উঠেছে, পানি সরার কোন জায়গা থাকছে না।

তিনি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এবং মাদক থেকে সকলকে দূরে থাকার এবং সিটি কর্পোরেশনের পার্কগুলো যেন মাদক সেবনে ব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ক্ষমতায় এসেছিল লুটপাট, দুর্নীতি ও অস্ত্র চোরাকারবারি করতে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সে কাজেই ব্যস্ত ছিল তারা, আর মানুষ খুন করতে।

তিনি বলেন, এই দেশকে তারা কোথায় নিয়ে গিয়েছিল। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। অস্ত্র চোরাকারবারি; ওই তারেক রহমানতো অস্ত্র চোরাকারবাররি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ওখানে বসে (লন্ডন) এখন নানাভাবে ওই অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ মারা, মানুষ খুন করা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা-এসব কাজ করে বেড়ায়।

টানা গত তিন মেয়াদে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে হবে, সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাব।


বিদেশে সাজাপ্রাপ্তদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কোটা আন্দোলনে সংহতি দেখাতে গিয়ে সেই দেশগুলোতে অনেকে আইনের আওতায় এসেছেন ও সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার তাদের ব্যাপারে খুব উদ্বিগ্ন।

আজ শনিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিমন্ত্রীর বরাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কোটা আন্দোলনে সংহতি দেখাতে গিয়ে সেই দেশগুলোতে অনেকে আইনের আওতায় এসেছেন এবং সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার তাদের ব্যাপারে খুব উদ্বিগ্ন।

এ বিষয় ঘিরে আমাদের অন্যান্য প্রবাসীরা যেন আর কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দূতাবাসগুলো কাজ করছে। সরকার প্রবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর।


আন্দোলন চলাকালে নুরকে চার লাখ টাকা দেওয়া হয়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলন চলাকালে গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে একজন নেতা চার লাখ টাকা দেন। সেই টাকা কীভাবে খরচ করা হয়েছে, সেসব বিষয় জানার চেষ্টা করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।

রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আজ শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

হারুন বলেন, ‘নুর একটা কথা স্বীকার করেছেন, আন্দোলন চলাকালে একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। আমরা সেই নেতাকেও নিয়ে এসেছি। সেই নেতাও চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। কীসের জন্য সেই নেতা নুরকে টাকা দিয়েছেন, সেসব বিষয়ে ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

ডিএমপির ডিবিপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন আমাদের কাছে। তার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করছি।’

এর আগে শুক্রবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ২১ জুলাই তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে বৃহস্পতিবার সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে পার্থকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


বাংলাদেশিসহ ৫৯ অভিবাসীকে আটক করল মালয়েশিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গরে পৃথক অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৫৯ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সেলাঙ্গরের ক্লাং উপত্যকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ জন ও শুক্রবার (২৬ জুলাই) কুয়ালালামপুরের কমপ্লেক্স দামাই এলাকা থেকে ৩৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।

অনুমতিপত্র, পরিচয়নথি ছাড়া কাজ করার অপরাধে সেলাঙ্গরের ক্লাং উপত্যকার আশপাশে অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে আটক করে ইমিগ্রেশন। জনসাধারণের অভিযোগের পর ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের অফিসারদের সমন্বয়ে অ্যাপেটাইট অপস এবং শপিং অপস- নামে পরিচালিত অভিযানে কমপ্লেক্স দামাই এলাকা থেকে মোট ৩৪ জনকে আটক করা হয়।

আটকদের মধ্যে ২২ জন বাংলাদেশি, ২ জন নেপালি, ৪ জন ভারতীয়, ৫ জন পাকিস্তানি ও একজন ইন্দোনেশিয়ান নারী রয়েছেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অবৈধ অভিবাসীদের দ্বারা খাবার পরিবেশনকারী বেশ কয়েকটি প্রাঙ্গণেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসুফ এক বিবৃতিতে বলেন, মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকা, অতিবাহিত হওয়া এবং পাসপোর্টের শর্তাবলি মেনে চলতে ব্যর্থ হন তারা। ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সি আটক ৩৪ অভিবাসী ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী আরও তদন্তে বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে তাদের রাখা হয়েছে।

সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন জানান, আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও চীনের ১৮ জন পুরুষ ও সাতজন নারী রয়েছেন, যাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আটক অবৈধ অভিবাসীরা হকার, মুদি দোকানের কর্মী, রেস্তোরাঁর কর্মী, নাপিত, বিনোদন কেন্দ্রে ওয়েটার এবং গাড়ির ওয়ার্কশপের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

আটকদের আরও তদন্তের জন্য সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।


সাগরে লঘুচাপ, চার বিভাগে বৃষ্টি বাড়ার আভাস

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় লঘুচাপ তৈরি হওয়ায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে শনি-রোববার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হতে পারে। আর ২৯-৩০ তারিখে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে পটুয়াখালীতে। এ ছাড়া কক্সবাজারে ৪৯, গোপালগঞ্জে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার আভাস মিলেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।


ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোস্টেশন পুনরায় চালু করতে জাপানের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে শনিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত আইডব্লিউএএমএ কিমিনোরি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই মেট্রোস্টেশন পুনরায় চালু করতে জাপানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইডব্লিউএএমএ কিমিনোরি। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্বৃত্তরা জনকল্যাণ, নিরাপত্তা ও সেবার জন্য নির্মিত সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তারা সেসব স্থাপনায় হামলা করেছে, যেগুলো জনগণের জন্য উপকারী ছিল এবং সেগুলোই হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল। এটা আমার জন্য খুবই হৃদয়বিদারক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, তারা প্রথমে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ করবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে তারা বাংলাদেশকে স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করতে সাহায্য করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডবের ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত বলেন যে, তার দেশের ব্যবসায়ীরা আগস্টের দ্বিতীয়ার্ধে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগের আসন্ন ইপিএ আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছেন। সংলাপের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সংলাপ সফলভাবে অনুষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে। মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, মেট্রোরেলে হামলার পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু লোক রয়েছে আর বিপুল সংখ্যক মানুষ এর সুবিধাভোগী। মেট্রোরেল নির্মাণে অনেকের ঘাম ও চোখের জল জড়িত ছিল। মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর অনেক ক্ষতি হয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।


নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ: রেলমন্ত্রী

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ও রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
কোটা আন্দোলনের সময় রেলের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আজ শনিবার মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় ১৯ জুলাই ঢাকায় আসার পথে নরসিংদিতে সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস। এ সময় ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা, এতে পুড়ে যায় তিনটি বগি। এছাড়াও ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি ট্রেনের জানালার কাচ, ইঞ্জিনসহ আগুন দেওয়া হয় রেললাইনে। এসব নাশকতায় রেলের ক্ষতি হয়েছে ২২ কোটি টাকা। আর রেল বন্ধ থাকলে শুধু যাত্রীবাহী ট্রেন থেকেই প্রতিদিন অন্তত ৪ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেলের বাণিজ্য বিভাগ।

এদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় আগাম টিকিটের টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ভারতগামী ট্রেনের টিকিট আগাম ক্রয় করেও ভ্রমণ করতে না পারা ব্যক্তিদের শনিবার টাকা ফেরত দেওয়া হয়। ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু না হওয়ায় এখনও রিফান্ড শুরু হয়নি আন্তঃনগর ট্রেনের রিফান্ড। প্রথম ধাপে ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬ দিনের আগাম টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেবে রেল।


সহজলভ্য ও স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের স্বচ্ছতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, এই তহবিলগুলোর বরাদ্দ ও বণ্টনে আরও স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেগুলো যাতে উদ্দিষ্ট জলবায়ু কার্যক্রমগুলোকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

আজ শনিবার আজারবাইজানের শামাখিতে দুই দিনের হেড অব ডেলিগেশন রিট্রিট প্রোগ্রামের প্রথম দিনে দেওয়া বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি নতুন সম্মিলিত পরিমাণগত লক্ষ্য জলবায়ু অর্থায়ন প্রণয়নে স্বল্পোন্নত দেশ এবং ছোট দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি বিবেচনা করার ওপর জোর দেন।

একটি স্পষ্ট জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন সাবের চৌধুরী যাতে এটি ব্যাপকভাবে অভিযোজন, প্রশমন এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে।

হেড অব ডেলিগেশন রিট্রিট প্রোগ্রামটি সম্মিলিত পরিমাণগত লক্ষ্য জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে গভীর আলোচনা শুরু হয়। যা ২০২৫ সালের পরে উন্নত দেশগুলোর দ্বারা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বর্তমান ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্যকে প্রতিস্থাপন করতে প্রস্তুত। এই রিট্রিটের আলোচনা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ভবিষ্যৎকে কাঠামোবদ্ধ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুর্বল দেশগুলোর জন্য আরও ন্যায়সঙ্গত এবং কার্যকর সমর্থন প্রদান করবে এটি।


বিমানবন্দরে জমে থাকা কার্গো দ্রুত খালি করার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ ও বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কার্গো দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। আজ শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

ফারুক খান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ঢাকা কাস্টমস হাউস, বিমান, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সিএন্ডএফ এজেন্টসকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে আমদানিকৃত পণ্যের দ্রুততার সাথে খালাস নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা সহ্য করা হবে না। কোন আমদানিকারক আমদানিকৃত পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালাস না করালে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, যে সমস্ত কার্গো আমদানির পর দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে পড়ে আছে তা আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিলামের মাধ্যমে দ্রুত ডিসপোজ অফ করতে হবে। এছাড়াও, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমদানিকৃত কার্গো খালাস নিশ্চিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে প্রতি মাসে বৈঠকের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়, বেবিচক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ঢাকা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পর্যটকদের জন্য বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ফোর্বসের পর্যটকদের জন্য অ্যাডভাইজার লিস্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ১১ জুলাই প্রকাশিত এ তালিকায় তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ শহরকে হাইলাইট করেছেন ফোর্বস উপদেষ্টারা।

তালিকা অনুযায়ী, পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহরে পরিণত হয়েছে ভেনেজুয়েলার কারাকাস, যার স্কোর রেটিং ১০০ তে ১০০। দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে করাচি, শহরটির স্কোর ১০০ তে ৯৩.১২। এছাড়া মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ১০০ তে ৯১.৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

এ তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে- নাইজেরিয়ার লাগোস ও ফিলিপাইনের ম্যানিলা। এরপরই ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকার স্কোর ৮৯.৫০। এছাড়া কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতা সপ্তম, মিশরের রাজধানী কায়রো অষ্টম, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি নবম এবং ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো দশম স্থানে রয়েছে।

মূলত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করে বিশ্বের ৬০টি শহর নিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছে ফোর্বস। এর মধ্যে রয়েছে- অপরাধ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর শূন্য স্কোর নিয়ে প্রথম, জাপানের টোকিও ১০.৭২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং কানাডার টরন্টো ১৩.৬ স্কোর নিয়ে পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

এছাড়া চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে- অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জুরিখ, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন।

বিষয়:

বিএনপি-জামায়াত-ইউনুস গঙকে রুখে দিতে হবে

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-বিএনপি এবং বিদেশি শক্তির দালাল ড. ইউনুস গঙকে রুখে দিতে হবে। আজ শনিবার সম্প্রতি দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা ভাঙচুরকৃত জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ অফিস পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াত ২০০৯, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫, ২০১৮, ২০২৩ সালে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সকল উন্নয়নকে টেনে ধরার জন্য একটি সেটেল ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে। তারা আমাদের চেতনা, অস্তিত্ব, রাষ্ট্রযন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনেছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করব।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক। দুষ্কৃতকারীরা শুধু দিনাজপুরে নয়, সমগ্র বাংলাদেশে আঘাত করেছে। এ আঘাত বাংলাদেশের ওপর আঘাত। ’৭৫ এর পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার শাসনামলে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ক্ষতবিক্ষত করেছে। দল ভাঙার জন্য বিভেদ সৃষ্টি, দলকে দুর্বল করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এরপরও ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তারা হামলা করেছে। একটি সেটেল ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।


অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনা হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস তাণ্ডব চালানো অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আজ শনিবার মাদারীপুরের খাগদী এলাকায় নাশকতাকারীদের দেওয়া আগুনে সংসদ সদস্য শাজাহান খানের পুড়ে যাওয়া বিলাসবহুল বাস ও তেলের পাম্প পরির্দশন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংযুক্ত আবর আমিরাতে সম্প্রতি কোটা পদ্ধতি সংস্কার দাবিতে আন্দোলনের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে যেভাবে তাৎক্ষণিক বিচার হয়েছে, ঠিক বাংলাদেশেও এমন অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনা হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে সহিংস তাণ্ডব চালানো সন্ত্রাসীদের চেহারা ধরা পড়েছে।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে জঙ্গি কোথায় লুকিয়ে আছে, সেটা বলা যায় না। দৃশ্যমান জঙ্গি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিদেশি মদদদাতা, বিদেশি প্রভুদের মদদে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়, সেগুলো একবারে নির্মূল করা সম্ভব হয় না। ভালো মানুষরা ভালো চিন্তা করে। আর খারাপ মানুষের চিন্তা মন্দ হয়।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত দিনে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন যেভাবে শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এমপি প্রতিহত করেছেন। সেই ক্ষোভেই তার মালিকানাধীন যানবাহন ও তেলের পাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। যে যানবাহনে সাধারণ জনগণ চলাচল করে, এগুলো স্বাভাবিক মানুষ কখনই ক্ষতি করতে পারে না। এটা প্রতিহিংসার জের, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে এদেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে, ঠিক তেমনি কোটা আন্দোলন ঘিরে যে ঘটনা, ১৯৭১ সালের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। এই হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে জেলার রাজৈরের টেকেরহাটে বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপির শিবির ছাত্রদল স্বাধীনতা বিরোধীরা এত শক্তি কোথা থেকে পেল। এটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। যেখান থেকেই হোক, যত বড় শক্তিশালী হোক, আইনের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। গত এক সপ্তাহ আগে আপনারা দেখেছেন, আন্দোলন চলাকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬০ জনের মতো বাঙালি মিছিল করেছিলেন, তাদের ২৪ ঘণ্টা মধ্যে ধরে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা যদি পারে, আমরা কেন পারব না। বাংলাদেশ কি এতই দুর্বল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কি এতই দুর্বল হয়ে গেছে যে এই সমস্ত দেশদ্রোহীদের শাস্তি দিতে পারবে না। আমরা দাবি করব, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান, মাদারীপুরের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান যাচ্চু খান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদারসহ অনেকেই।


কাল থেকে অফিসের নতুন সময়সূচি

পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কাল রোববার থেকে আগামী মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস চলবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে তিনি একথা জানানা।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে তিনদিন (রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয় সরকারি অফিস। বুধ ও বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মোট চার ঘণ্টা চলে অফিস। সময় কমিয়ে ওই দুইদিন চলে ব্যাংকিং কার্যক্রম ও পুঁজিবাজারে লেনদেন।

দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। চলমান কারফিউয়ের সময়সীমা শিথিল করছে সরকার। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়ও বাড়ানো হচ্ছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী তিনদিন অফিস চলবে ছয় ঘণ্টা করে।

গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে সরকার।


শিক্ষার্থীরা ধৈর্য্য না ধরায়, দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার আলেম-ওলামাদের মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আদালতের রায় হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা না করার সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দেশে নৈরাজ্য চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধৈর্য্য না ধরায়, দুর্বৃত্তরা এর সুযোগ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলব, তোমরা যাতে কারো প্ররোচনায় না পড়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্বৃত্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে, যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

সকল নৈরাজ্যকারী ও চক্রান্তকারীর বিচার হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নাশকতার ঘটনার তদন্ত হবে, আমাদের কাছে ফুটেজও আছে। যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।

আলেম-ওলামাদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য তারা দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা করেছে। যারা ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা করে, ইসলাম তাদের কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশজুড়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের এই নৃশংসতা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে পার্টির মহাসচিব মাওলানা শাহাদাত হোসাইন এবং মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মুফতি আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, লক্ষ্মীপুরের পীর খাজা হারুনুর রশিদ মিরন প্রমুখের বক্তব্য শেষে মাওলানা হারুন-রশিদ যুক্তিবাদী মোনাজাত পরিচালনা করেন।


banner close