বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০২৪ ১১:৫৮

শেষ হয়েছে ঈদের ছুটি। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদুল আজহার ছুটি উদযাপন শেষে আজ বুধবার সকাল থেকেই ব্যস্ত হতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষজনকে ফিরতে দেখা গেছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আজ থেকে নতুন সময়ে চলবে অফিস-আদালত। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেলে ৫টা অবধি আগের নিয়মেই চলবে কাজ। সাপ্তাহিক শুক্র-শনি থাকবে বন্ধের দিন।

মূলত, ঈদ উপলক্ষ্যে ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রোব, সোম ও মঙ্গলবার) তিনদিন ছিল সরকারি ছুটি। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। এ কার‌ণে এবারের ঈদের ছুটি পড়েছে পাঁচদিন। ফ‌লে টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটি শেষে আজ বুধবার অফিসপাড়ায় যোগ দিচ্ছেন কর্মজীবীরা।

ঢাকায় ফিরে আসা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, ‘চাকরিতে আজ যোগ দেওয়ার জন্য ফিরে আসতে হলো। তবে বাচ্চাদের স্কুল-কলেজ আরও পরে খুলবে। সেজন্য তাদেরকে গ্রামের বাড়িতে রেখে এসেছি। আমি একাই ফিরে এসেছি। আজ সবে মাত্র ঈদের তৃতীয় দিন। আরও কয়েকটা দিন তারা ঈদের আনন্দ উপভোগ করুক।’

অপরদিকে, ঈদের তৃতীয় দিনেও ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে ট্রেনযাত্রার জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অভিমুখী তিতাস কমিউটার, জামালপুর অভিমুখী জামালপুর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় অভিমুখী একতা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ অভিমুখী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, সিলেটের জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, তারাকান্দি অভিমুখে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং খুলনা অভিমুখী নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদেরকে ঢাকা ছাড়ার জন্য সময়সূচি অনুযায়ী প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

ঢাকা রেলস্টেশন স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখনো ঈদযাত্রার চাপ আছে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মানুষজন ছেড়ে যাচ্ছেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সময়মতো ট্রেনগুলো ছাড়ার জন্য। এখন পর্যন্ত সব শিডিউল ঠিক আছে বলেও জানান তিনি।

বিষয়:

শান্তিপূর্ণ-উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় পরিবেশে আয়োজন করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। গতকাল বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কোর্স–২০২৫-এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের তরুণ সামরিক কর্মকর্তাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ বছর চীন, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের ৩১১ জন অফিসার প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি।’

তিনি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানেও সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। তার ভাষায়, ‘সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কারণে আমি তাদের ভূমিকায় ভূয়সী প্রশংসা করি।’

কোর্সে অংশগ্রহণকারী অফিসাররা অনুষ্ঠানে অর্জিত জ্ঞান ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত ও পেশাগত ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তাদের মতে, জাতীয় যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে এই প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।

এক বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘ডিএসসিএসসিতে এই কোর্সে আমরা যে নেতৃত্ব, কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি, তা আমাদের দেশের এবং এর বাইরে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যেকোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।’

চীন থেকে অংশ নেওয়া এক অফিসার বলেন, ‘বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলেছে। ২৩টি দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আশা করি, এই জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজ নিজ দেশকে নিরাপত্তা দিতে কাজে লাগবে।’

বাংলাদেশি আরেক অফিসার প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, আমরা যারা এই কোর্স সম্পন্ন করলাম, তারা দেশ রক্ষায় এবং প্রয়োজনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে, যেমন: একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব।’

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী কর্মকর্তাদের হাতে সনদ তুলে দেন।

ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৫-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭০ জন, নৌবাহিনীর ৪৫ জন এবং বিমান বাহিনীর ৩৬ জন কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের ৩ জন কর্মকর্তা এবং চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জর্ডান, কেনিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, সিয়েরা লিওন, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, তুরস্ক ও উগান্ডা থেকে আগত ৫৮ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। সব মিলিয়ে এ বছর মোট ৩১১ জন প্রশিক্ষণার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। এতে বাংলাদেশ পুলিশের একজনসহ মোট ১৪ জন নারী কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েশন অর্জন করেন, যা নারীর অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়নে প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা (চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত), বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপকরা এবং বিভিন্ন দেশের মিলিটারি বা ডিফেন্স অ্যাটাচি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


এখন থেকে দিনের ভোট আর রাতে হবে না : অ্যাটর্নি জেনারেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংবিধানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসায় এখন আর দিনের ভোট রাতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের রায়ের পর নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে ফুল জাজমেন্টে আসবে। আজ থেকে বাংলাদেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে। দিনের ভোট রাতে হবে না, মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবে না।

তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছিল। হাইকোর্ট এটাকে অসাংবিধানিক বলেছেন এবং এই সংশোধনী অসৎ উদ্দেশ্য আনা হয়েছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফরমেশন হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না। এটা রিস্টোরড হয়েছে, অর্থাৎ পূর্বাবস্থায় ফিরে গেল।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো কোরান বা বাইবেল নয়। এই রায়ের মাধ্যমে এমন কিছু আসবে না, যা কোরান বা বাইবেলিক হয়ে যাবে। ২০ বছর পর যদি মানুষ মনে করে এই ব্যবস্থা পঁচে গলে গেছে, গণতন্ত্র রক্ষায় এর থেকে ভালো কোনো ব্যবস্থা রয়েছে, তখন পার্লামেন্ট সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

আপিল বিভাগ তার পূর্বের রায়কে কলঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কলঙ্কিত বলেই সে রায়টা বাতিল করা হয়েছে। অনেকগুলো কারণ আমরা দেখিয়েছি। তার একটা কারণ হিসেবে আমরা বলেছিলাম, এই রায় লেখার ক্ষেত্রে খায়রুল হক ও তার সহযোগীরা দণ্ডবিধি ২১৯ ধারায় অপরাধ করেছেন। মুখ দিয়ে রায় বলে ফেললে সেটা রায়, ওটা পরিবর্তনের আইনি পদ্ধতি রয়েছে। হয় নিজেরা রিভিউ নাম্বার ফেলে পরিবর্তন করতে পারতেন। অথবা অন্য কেউ রিভিউ করে তা পরিবর্তন করতে পারতেন। অথচ মুখের রায়কেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, ফিফটিনথ অ্যামেডমেন্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের যে সংশোধনী, যে অংশটুকু বাতিল হয়েছে, আপিল বিভাগে তো সেটাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি।

রাজনৈতিক অবস্থার ওপর রায় নির্ভর করে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তা মনে করি না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করে যে নির্বাচন হয়েছিল…এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হওয়ার পর দেশ গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে, কোনটা সবচাইতে বেশি গ্রহণযোগ্য, সেটা আপনারাই বিবেচনা করবেন। গণতান্ত্রিক নয়, এটা হলো এক আইনি রায়।


আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।

তিনি বলেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি অনুরোধ করব- আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, পুলিশ যখন একটি অরাজকতা ঠেকানোর প্রতিহতের চেষ্টা করছিল তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে কি ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে? অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে আপনারা খারাপ ব্যবহার করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যে কাজটি করতে চাচ্ছিলেন সেটি করলে সমাজে, ঢাকা শহরে, দেশে একটা অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থান হয়ে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। এজন্যই আমাদের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাদের প্রতি এমন আচরণ আমরা কোনো শিক্ষিত, সচেতন মানুষের কাছ থেকে আশা করি না।

পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় কমিশনার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে আমার সদস্যদের মনোবল ভেঙে যায় এবং এই পরিস্থিতির ক্ষতি সবাইকেই ভোগ করতে হয়। যদি আমার অফিসারদের মনোবল ঠিক না থাকে ৫ আগস্ট এর পরে যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধ লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছে ঠিক সেভাবে আবার পাহারা দিতে হবে।

তিনি বলেন, যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছেন, তাদের কাছে অনুরোধ- এই কাজটি করবেন না।

গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এটা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়; এটা দেশের আইন। আইন আমি বানাই না- পার্লামেন্ট বানায়। আপনারা আইনটা দেখেন। পুলিশের কাজে আইনেই যা বলা আছে, আমি শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। নতুন সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে থাকবে আধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ইমেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য- প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করা।

শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বেলিং- এসব অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে গভীরভাবে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে

নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ থাকবে। হয়রানির শিকার হলে যাতে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যায়- এটাই আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।

সাইবার নিরাপত্তাকে শুধু পুলিশের দায়িত্ব না উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়তে সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।


বিএসটিআইয়ের সেবা পাওয়া যাবে অনলাইনে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) গ্রাহকের সেবা অনলাইনে দেওয়ার লক্ষ্যে ই-সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে। এখন থেকে বিএসটিআইয়ের সব সেবা পাওয়া যাবে অনলাইনে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই প্রধান কার্যালয়ে সেবাগ্রহীতাদের সেবা দেওয়ার সহজীকরণের জন্য এ সফটওয়্যারের উদ্বোধন করা হয়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম সফটওয়্যারের কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব (অ. দা.) নুরুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (বিটিএফ) প্রকল্পের আর্থিক ও অরেঞ্জ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।

এখন থেকে সিএম ম্যান্ডেটরি প্রোডাক্ট লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহক eservice.bsti.gov.bd লিংক এ গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। বিএসটিআই কর্তৃক আবেদন গ্রহণের পর যাচাই-বাছাই, পরিদর্শন, সিম্পেল কালেকশন, টেস্ট ফি প্রদান এবং সবশেষ লাইসেন্স প্রদান সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।

এ ছাড়া বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহক ec.eservice.bsti.gov.bd লিংকে গিয়ে BDS ক্রয় করতে পারবেন।

পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠানটির মেট্রোলজি লাইসেন্স, এমএসসি লাইসেন্স, কেমিক্যাল ল্যাব টেস্ট, ফিজিক্যাল ল্যাব টেস্ট এবং এডমিন উইংয়ের সেবাসমূহ সফটওয়্যারে যুক্ত করা হবে।


২০ নভেম্বর: ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) থেকে সমন্বয় করা এই দাম কার্যকর হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।


নিলামে উঠছে ডিএমপির তিন প্রশিক্ষিত কুকুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ আট বছর জঙ্গি দমন, বোমা শনাক্তকরণ ও বিভিন্ন উচ্চঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হিসাবে কাজ করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের তিন প্রশিক্ষিত কুকুর ফিন, কোরি ও স্যাম। বয়সজনিত কারণে কর্মক্ষমতা কমে আসায় এবার তাদের অবসরে পাঠাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি।

ডিএমপির লজিস্টিকস শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২৫ নভেম্বর মিরপুর-১৪ পুলিশ লাইন্সের ক্যানাইন ইউনিট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে এই নিলাম। এতে ব্যবসায়ী, চুক্তিকারী এবং বিশেষ করে কুকুরপ্রেমীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।


নারীর হাতে মার খেয়ে অস্ত্র ফেলে পালালো ছিনতাইকারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাস্তায় আটকে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে এক নারীর হাতে মার খেয়ে অস্ত্র ফেলে পালিয়েছে তিন ছিনতাইকারী। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের কোদলা ও আমলসারের মাঝামাঝি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এক এনজিওকর্মী নারীর কাছ থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তিন ছিনতাইকারী। এ সময় ওই নারী ছিনতাইকারীদের প্রতিহত করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে ওই নারীকে নির্জন রাস্তায় আটকে টাকা-পয়সা ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় ওই নারী আত্মরক্ষায় এক ছিনতাইকারীকে ঘুসি মারে। এরপর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় তারা একটি আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে যায়।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, মরেই যাবো ভেবে শেষ চেষ্টা করেছি। লড়াই করার পর তারা পালিয়ে গেছে। পরে দেখি একটি অস্ত্র মাটিতে পড়ে আছে।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইদ্রিস আলী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে। অস্ত্রটি আসল নাকি নকল, পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।


সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ফিরলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরলো। ১০ কার্যদিবস ধরে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের অন্য ছয় সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ।

তবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলেও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের মতে, পরবর্তী অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনই হতে পারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।

এর উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, আগে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ রায় দেওয়ার পর ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ যেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়েছিল, তেমনি ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের আনা সংশোধনীতে বিভাগীয় শহরে স্থাপিত হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ হাইকোর্ট বাতিল করলে সেই রায়ের পর সার্কিট বেঞ্চ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় ।

আপিল পক্ষের আইনজীবী ড. শরীফ ভুইয়া বলেন, ‘ওই সংশোধনীগুলো বাতিলের প্রেক্ষাপট ভিন্ন, বর্তমান প্রেক্ষাপটও তা-ই ভিন্ন।’ তার মতে, ত্রয়োদশ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় করতে গেলে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।

গত ১১ নভেম্বর শেষ হওয়া এ আপিল শুনানিতে বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ড. শরীফ ভুইয়া, বিএনপির পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মির্জা ফখরুলের পক্ষে ব্যারিস্টার জয়নুল আবেদীন এবং জামায়াতে ইসলামীর গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলেন, আমরা এখন যে অবস্থায় আছি তাতে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে কার্যকর করা সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলেও এবার অর্থাৎ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এ ব্যবস্থায় করার সুযোগ নেই।

শুনানিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে নির্বাচন, তা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে না। আদালতে আমরা বলেছি, পরবর্তী নির্বাচন থেকে এ বিধান কার্যকর হতে পারে।’

জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরও মনে করেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই হবে। সংসদ ভাঙার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান ছিল। সংসদ না থাকলে ভাঙার প্রশ্নই আসে না। এখন তো সে রকম পরিস্থিতি নেই। আর সংসদ ভেঙেছে এক বছরেরও বেশি সময় আগে। ফলে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োগের সাংবিধানিক সুযোগ নেই। তার মতে, বর্তমানে দেশ একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের তিনটি ম্যান্ডেট- বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। সেই ধারাবাহিকতায়ই আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সংসদ গঠনের পর চাইলে আগের তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি পুনর্বহাল করা যেতে পারে অথবা জুলাই সনদের মেকানিজম অনুযায়ী নতুন কাঠামো গড়া যেতে পারে।

মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এ আপিলে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ ও ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। গত ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।

উল্লেখ্য, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি বের হবার আগেই ২০১১ সালের ৩০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলুপ্তিসহ ৫৫টি সংশোধনীসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদে পাস করে এবং ৩ জুলাই তা অনুমোদন করিয়ে নেয়।

গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনীর ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানবিরোধী ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ফলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরার পথ তৈরি হয়।


নারীদের পেছনে রেখে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে হিফযুল কোরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, নারীদের পেছনে রেখে আমরা এগিয়ে যেতে পারব না। এগিয়ে যেতে হলে মা-বোনদের সঙ্গে নিয়েই যেতে হবে।

বুধবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে নিবরাস মাদ্রাসার আয়োজনে হিফযুল কোরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হযরত খাদিজা (রা.), হযরত আয়েশা (রা.) ও অন্যান্য নারী সাহাবিদের নিয়েই রাসুলুল্লাহ (স.) সমাজ পরিবর্তন করেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও মা-বোনদের দেখা গেছে। আমরা যদি আমাদের মা, বোন ও কন্যাদের অধিক হারে তাদের হাফেজা, আলিমা, মুহাদ্দিসা, চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানী বানাতে পারি তাহলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারবে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা একটি নতুন দিনের স্বপ্ন দেখি। ভেদাভেদ আর নয়। আমাদের একে-অন্যের হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ আগামীতে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে আমরা যে কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখি তা পূরণেও নিবরাস মাদ্রাসা মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মানুষকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে ড. খালিদ বলেন, ‘আমি যদি অন্য একজনকে সম্মান না করি তাহলে তার কাছ থেকে সম্মান আশা করা যায় না। আমি যদি ঢিল ছুঁড়ি তাহলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি গীবত, পরনিন্দা ও পরচর্চা ত্যাগ করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। এছাড়া উপদেষ্টা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভেদাভেদ ভুলে সকলকে কালেমা তাইয়্যেবার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

নিবরাস মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের আহমাদ যাবেরী আল-মাদানী।

এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মো. নূরুল হক, হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল কুররা হাফেয কারি আব্দুল হক ও নিবরাস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

পরে উপদেষ্টা নিবরাস মাদ্রাসার হাফেযুল কোরআন শিক্ষার্থীদের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন।


মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ১০ শর্ত, কয়েকটিতে সরকারের শক্ত আপত্তি: আসিফ নজরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কয়েকটি বড় রিক্রটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া। দেশটির এই শর্ত শিথিল করে যতটা সম্ভব রিক্রটিং এজেন্সির জন্য অবারিত সুযোগ রাখার কথা মালয়েশিয়াকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া থেকে যে ১০টি শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি শর্তের বিষয়ে আমরা শক্ত আপত্তি জানিয়েছি এবং বলেছি যে সময়সীমা বাড়াতে হবে। আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছি যে বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা সম্ভব না। এগুলো পূরণ করতে গেলে সিন্ডিকেট হবে আবার।

উপদেষ্টা বলেন, অল্প কয়েকটা বড় রিক্রটিং এজেন্সি সুযোগ পাবে। আমরা সেটা চাই না, আমরা চাই সুযোগ যত বেশি সম্ভব যেন অবারিত করা হয়। এজন্য আমরা এই শর্ত শিথিল করতে বলেছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে তারা এগুলো বিবেচনা করবে।

তিনি বলেন, শর্ত শিথিল ও শ্রমবাজার যথাসম্ভব সব এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ও কূটনৈতিক আদান-প্রদান অব্যাহত রাখব।

ঢাকায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র সহযোগিতায় তৈরি ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।


জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় ২৫ কোটি টাকা খরচ করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

*আনসাররা পাবে ১৭ হাজার শটগান *বডি ক্যামেরা কেনার বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে *বাজার স্থিতিশীল রাখতে রোজার আগে চাল-গম আমদানি করা হবে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে ‘উৎসবমুখর’ করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন উপলক্ষে জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারের অংশ হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৩০০টি উপজেলায় টিভিসি, ভিডিও ডকুমেন্টারি ইত্যাদি তৈরি ও প্রচারের জন্য ‘এলইডি অ্যাক্টিভেশন ক্যারাভান’-এর মাধ্যমে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। এতে ব্যয় হবে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকা। দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধিতিতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড সলিউশন লিমিটেডকে এই কাজ দেওয়া হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপদেষ্টা।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এ সংক্রান্ত কাজ নভেম্বর মাসের ৪র্থ সপ্তাহে শুরু করার নির্দেশনা থাকায় সময় স্বল্পতার জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিপিআর ২০২৫ এর বিধি-৯৯(১) (ঠ) এবং পিপিএ ২০০৬ এর ৬৮ ধারা অনুসারে ২০২৫-২৬ সালের উৎসবমুখর নির্বাচনী প্রচারণা বাস্তবায়নে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড সলিউশন লিমিটেডকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব নিয়ে আসে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এ বাবদ দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।

এছাড়া নির্বাচনের আগে আনসার-ভিডিপির জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আনসার-ভিডিপির জন্য প্রায় ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে। এটা অনেক পুরোনো হয়ে গিয়েছিল এবং যে দামে আমরা পেয়েছি, এটা বেশ সাশ্রয়ী দামে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার ব্যাপারে পর্যালোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে তো ছিল অনেকগুলো করবে, সে জন্য আমরা বলেছি যে, আপনারা পর্যালোচনাটা করে আসেন। মূল্যটা আনবেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রকিউরমেন্টটা কীভাবে করবেন—একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যেন প্রকিউরমেন্টটা হয়। বডি ক্যামেরা আসবে, হয়তো এখন ওরা একটু র‌্যাশনাল হিসেবে আসবে। উচ্চাকাঙ্ক্ষীভাবে বডি ক্যামেরা...শুধু সেনসিটিভ যেসব জায়গা আছে, ওইখানে আমরা সাজেস্ট করেছি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাজেস্ট করেছেন, আমরা সব জায়গায় বডি ক্যামেরা ইস্যু করতে পারবো না। এগুলো মনিটরের ব্যাপার আছে, ছবি আসবে, সেটার অ্যাকশন নিতে হবে তো!’

তবে কত সংখ্যক ক্যামেরা কেনা হবে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি অর্থ উপদেষ্টা।

বাজার স্থিতিশীল রাখতে রোজার আগেই চাল-গম আমদানি করা হবে বলে জানান সালেহউদ্দিন। তিনি আরও বলেন, ‘বাকিগুলো ক্রমান্বয়ে আনা হবে। ইতোমধ্যে এলসি (ঋণপত্র) খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকে লিবারেল হয়েছে। গতবার যেটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এবার এটা কন্টিনিউ করবে, যাতে করে দামটা সহনীয় হয় রোজার সময়।


এবার রেকর্ড সংখ্যক তরুণ ভোট দেবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক তরুণ তাদের প্রথম ভোট দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন,এটি আমাদের সবার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। উত্থানের সময় যারা ঢাকা এবং অন্য শহরের দেয়াল গ্রাফিতি ও চিত্রকর্মে ভরে তুলেছিল, সেই তরুণরা এবার ভোট দিতে আসবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ভাইস-মিনিস্টার প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিগত স্বৈরশাসনের অধীন তিনটি কারচুপির নির্বাচনে ভোট দিতে না পারা রেকর্ডসংখ্যক তরুণ এবার তাদের প্রথম ভোটটি দেবে।

ড. ইউনূস জানান, তার সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। এই কারণে আওয়ামী লীগ আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকালে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা কৃষি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন। বিশেষ করে, যুব ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড তৈরির সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হয়।

ডাচ ভাইস-মিনিস্টার প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস বাংলাদেশের নির্বাচন প্রস্তুতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এত অল্প সময়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়।

তিনি বাংলাদেশের নতুন শ্রম আইনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এই আইন ডাচ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সহায়ক হবে। ডাচ মন্ত্রী জানান, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করার পরিকল্পনা করছে এবং শিগগিরই এটি সই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস মন্তব্য করেন, ‘৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস উন্নয়ন অংশীদার ছিল। এখন আমরা এই সম্পর্ককে রাজনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগে একটি সম-অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করতে চাই।’

যেসব ডাচ কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে পণ্য কিনছে, তারা এখন বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ এবং কাজ করার জন্য আগ্রহী, যোগ করেন তিনি।


বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ মাসে  সাড়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি 

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে গত ৪ মাসে বেনাপোল বন্দরে এসেছে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল। গত ২১ আগস্ট ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চালের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ২১ আগষ্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ মাসে প্রায় ১৪৫টি চালানের বিপরীতে ৩৯৫টি ট্রাকে করে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন মোটা চাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে।

দেশে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ সরকার দেশের সব বন্দর দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। অর্থ্যাৎ আগষ্ট মাসে ১২৬০ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ৫ হাজার ১৮৮ মেট্রিক টন এবং নভেম্বরে ১ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। আমদানি করা চাল ছাড় করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চার থেকে পাঁচটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাজ করছে। বন্দরের ৩১ নম্বর শেডে আমদানি করা চালের খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি বাবলুর রহমান বলেন, ‘চাল আমদানির শুরু থেকে আমরা কাস্টমস হাউজে চাল ছাড়করণের জন্য কাজ করে আসছি। চার মাস পর গত ২১ আগস্ট থেকে পুনরায় ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।

বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জানান, গত ২১ আগস্ট থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। কিছুদিন বাদে বাদে এ সমস্ত চালের চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।প্রতিদিন চালের চালান আসেনা। গত আগষ্ট মাসে চাল আমদানি শুরুর দিকে চাল আমদানির পরিমান বেশি থাকলেও বর্তমানে অনেকাংশে কমে গেছে। তবে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হওয়ায় চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে চালের দামে তেমন একটা প্রভাব পড়বেনা বলে তিনি মনে করেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলে গত ২১ আগস্ট থেকে আবার চাল আমদানি শুরু করে। অর্থ্যাৎ ২১ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। বর্তমানে চাল আমদানি কমে গেলে ও তেমন সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছে। এ ধান বাজারে আসলে চালের দাম কমে আসবে এবং দেশে চালের ঘাটতি পূরন হবে।

বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ৪ মাসে ভারত থেকে ১৪৫টি চালানে ৩৯৫টি ট্রাকে করে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। আমদানি করা চাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


banner close