বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

‘কারিগরি-অকারিগরি কারণে ঘটতে পারে ভুতুড়ে বিলের ঘটনা’

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০২৪ ২২:০৬

কারিগরি ও অকারিগরি কারণে অনেক সময় ভুতুড়ে বিলের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা বা কোম্পানির মোট গ্রাহক ৪ কোটি ৭১ লাখ। বিদ্যুৎ বিল যাতে যথাযথ হয়, সে বিষয়ে বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

কারিগরি ও অকারিগরি কারণে অনেক সময় ভুতুড়ে বিলের ঘটনা ঘটতে পারে। ভুতুড়ে বা অস্বাভাবিক বিল রোধকল্পে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রিপেইড বা স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে নোয়াখালী-৩ আসনের সরকারদলীয় এমপি মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

চাহিদার তুলনায় প্রাপ্তি কম হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে সীমিত লোডশেডিং

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলে কিছু কিছু এলাকায় চাহিদার তুলনায় প্রাপ্তি কম হওয়ায় সীমিত আকারে লোডশেডিং হয়েছে।

তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় প্রাপ্তি কম হলে সাধারণত লোডশেডিং হয়। দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলে কিছু কিছু এলাকায় চাহিদার তুলনায় প্রাপ্তি কম হওয়ায় সীমিত আকারে লোডশেডিং হয়েছে। এ ছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ কাজে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য লোডশেডিং করা হয়। সরকার শহর ও গ্রাম নির্বিশেষে সমতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহে সচেষ্ট রয়েছে। সেচ মৌসুমে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।

তিনি জানান, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বকেয়া পাওনা থাকলে নিয়মানুযায়ী বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ভুতুড়ে বিলের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে যাচাইপূর্বক প্রতিকার প্রদান করা হয় এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা

বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাড়ে তিন হাজার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪০০ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ছয় হাজার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ৩১৫ কোটি ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির দরকার হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৯৯৯-২০০০ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ক্রমাগত লোকসানের সম্মুখীন হয়। ওই সময় সরকারকে উল্লেখযোগ্য অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হয়। তবে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ার ফলে নভেম্বর ২০১৪ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সরকারকে জ্বালানি তেলে কোনো ভর্তুকি দিতে হয়নি। তবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপিসি ২ হাজার ৭০৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লোকসান দেয়।

সরকার বর্তমানে ডাইনামিক প্রাইসিং ফর্মুলায় জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করায় এ খাতে কোনো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকা উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ভর্তুকির অর্থের মধ্যে ৩১ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৭শ কোটি নগদ ও ২০ হাজার ১৩৩ কোটি বন্ডের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অনুমোদনপ্রাপ্ত এলপিজি প্ল্যানের সংখ্যা ৭৮টি। এর মধ্যে প্রাথমিক অনুমোদনপ্রাপ্ত ৫২টি, চূড়ান্ত অনুমোদনপ্রাপ্ত ২৪টি ও বিপিসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ২টি।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালের জানুয়ারি হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৫ হাজার ৭৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশে চাহিদার চেয়েও স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বেশি। তবে কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীকালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

বর্তমানে নবায়নযোগ্য উৎস হতে ১৩১২ দশমিক ৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে উল্লেখ করে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, নবায়নযোগ্য উৎস হতে চলমান ও প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পগুলোতে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫৪৭ দশমিক ২২ মেগাওয়াট। ২০৩০ সালের মধ্যে এগুলো জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি বিভিন্ন ধরনের কূপ খননের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর সফল বাস্তবায়নে গড়ে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে ১১ টির খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। যার মাধ্যমে দৈনিক ১২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন নিশ্চিত করা হয়েছে। দৈনিক ৩৩ মিলিয়ন ঘটফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে আবিষ্কৃত ২৯টি গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে ২০টি উৎপাদনরত ৫টি পরিত্যক্ত এবং ৪টির উৎপাদন কার্যক্রম চলমান।

আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা প্রায় দৈনিক ৩৮০০-৪০০০ মিলিয়ন ঘনফুট, যার বিপরীতে দেশীয় উৎপাদন ও এলএনজি আমদানি করে ৩০০০-৩১০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি থাকায় পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলে এবং বিদ্যুৎ ও সার খাতে অগ্রাধিকার বিবেচনায় গ্যাস সংযোগ চালু রয়েছে।

ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ/রুগ্ণ শিল্পের সংখ্যা ৩৯৭টি। এর মধ্যে বিসিকের নিয়ন্ত্রণাধীন রুগ্ণ/বন্ধ শিল্প ৩৮২টি, বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ কারখানা ৫টি, বিএসএসআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন স্থগিত চিনিকল ৬টি, বিএসইসির নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ কারখানা ৪টি।

এমপি আব্দুল কাদের আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানান, বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করাসহ বিনিয়োগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সময়কাল পর্যন্ত সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সাফল্যও এসেছে।

তিনি জানান, বিসিকের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাঁচটি শিল্পনগরী, তিনটি শিল্পপার্ক ও দুটি অন্যসহ মোট ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ৩ হাজার ৮১১টি শিল্প প্লটে সম্ভাব্য ৩ হাজার ৫৬৫টি শিল্প ইউনিট স্থাপিত হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরএডিপিতে সবুজ পাতাভুক্ত ১১টি প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদিত ও বাস্তবায়িত হলে দেশে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে এবং বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

মন্ত্রী জানান, বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে বিসিক কর্তৃক ১২২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৬৭টি শিল্প প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বিসিক উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে হোসিয়ারি শিল্পনগরী, পঞ্চবটী, নারায়ণগঞ্জ; জামদানি শিল্পনগরী, তারাবো, নারায়ণগঞ্জ; চামড়া শিল্পনগরী, সাভার, ঢাকা; এপিআই শিল্পপার্ক, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ এবং বিসিক বৈদ্যুতিক পণ্য উৎপাদন ও হালকা প্রকৌশল শিল্পনগরী, মুন্সিগঞ্জ শীর্ষক বিশেষায়িত শিল্পনগরী বা শিল্পপার্ক বাস্তবায়িত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পটি ১৯৯ দশমিক ৪০ একর জমিতে ঢাকার সাভারে বাস্তবায়িত হয়েছে। কমন ইনফ্লুয়েন্স প্ল্যান্ট (সিইটিপি) সুবিধাসহ পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরীতে হাজারীবাগ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ট্যানারি কারখানাসমূহকে স্থানান্তর করা হয়েছে। শিল্পনগরীর ২০৫টি শিল্পপ্লটে ১৬২টি ট্যানারি কারখানা স্থাপিত হয়েছে।

স্বতন্ত্র এমপি আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিসিকের দেশব্যাপী বাস্তবায়িত ৮২টি শিল্পনগরীর মোট ১২ হাজার ৩৬০টি শিল্প প্লটের মধ্যে ১১ হাজার ২৬২টি শিল্প প্লটে বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক ৬ হাজার ১৯৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। এসব শিল্পনগরীর কারখানাসমূহে গত জুন, ২০২৩ পর্যন্ত বিনিয়োগের হয়েছে ৪৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা প্রায়।


শেখ হাসিনা পরিবারের ৮৩২.৫ ভরি স্বর্ণ জব্দ: দুদক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের দুইটি লকার থেকে মোট ৮৩২.৫ ভরি বা ৯ কেজি ৭১৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

গত মঙ্গলবার একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকের বুলিয়ন শাখার স্বর্ণ বিশেষজ্ঞ, এনবিআরের কর গোয়েন্দা ও সিআইসির দুই কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লকার খোলা হয়।

২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে শেখ হাসিনা পূবালী ব্যাংকের ১টি এবং অগ্রণী ব্যাংকের ২টি লকারের ঘোষণা দেন। সেই বিবরণী পুনঃযাচাইয়ের অংশ হিসেবে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান লকার খোলার জন্য আদালতে আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে লকার খোলা হয়েছে।

বুধবার পূবালী ব্যাংক মতিঝিল কর্পোরেট শাখা এবং অগ্রণী ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখায় লকার তিনটি খোলা হয় বলে দুদক থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়।

লকারগুলোর মধ্যে- পূবালী ব্যাংক লকার নং-১২৮ এর গ্রাহক শেখ হাসিনা। যেখানে একটি খালি ছোট পাটের ব্যাগ পাওয়া গেছে। অগ্রণী ব্যাংক লকার-নং ৭৫১/বড়/১৯৬ শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে। যেখানে পাওয়া যায় ৪ হাজার ৯২৩.৬০ গ্রাম স্বর্ণালংকার।

অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংক লকার নং ৭৫৩/বড়/২০০ এর গ্রাহক শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সিদ্দিক। যেখানে পাওয়া যায় ৪ হাজার ৭৮৩.৫৬ গ্রাম স্বর্ণালংকার। সব লকারের মালামাল ইনভেন্টরি তৈরি করে শাখার ব্যবস্থাপকের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

লকারে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা সিদ্দিক, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সজীব ওয়াজেদ জয় ও ববি ওয়াজেদের হতে পারে বলে ধারণা দুদকের।

আর গত ১০ সেপ্টেম্বর ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের পূবালী ব্যাংক সেনা কল্যাণ ভবন শাখায় শেখ হাসিনার একটি লকার (নম্বর ১২৮) জব্দ করে সিআইসি।

গত ১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনা ও তার দোসর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। সেদিনের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও আদালত নির্দেশনা দেয়।

ফেরারি দুই আসামির সমস্ত সম্পত্তি ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করার জন্য জব্দ হওয়া লকার খোলা হচ্ছে বলে এনবিআর জানায়।

গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনা ও তার পরিবার সদস্যদের কর ফাঁকি ও দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেয়। এরই অংশ হিসেবে শেখ হাসিনার নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের লকার জব্দ করে সিআইসি।


হারুন ও বেনজীর পরিবারের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এবং পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের স্ত্রী জীশান মির্জা এবং কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুদকের পৃথক তিন আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার কর অঞ্চল-২০ কে এ নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রিয়াজ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তিনজনের আয়কর নথি সরবরাহ চেয়ে আবেদন করেন।

ডিবি হারুনের আবেদনে বলা হয়, হারুন অর রশীদ সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৭ কোটি ৫১ হাজার ১৭ হাজার ৮০৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখে দুদক আইনে অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার আয়কর নথি জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

বেনজীরের স্ত্রী জীশানের আবেদনে বলা হয়, জীশান মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ১৬ কোটি ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে এবং ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৯ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারার এবং তার স্বামী বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাকে (জীশান) এ অপরাধে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে দণ্ডবিধি’র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সব আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

তাহসীন রাইসার আবেদনে বলা হয়, তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারার এবং বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জীশানকে এ অপরাধে প্রত্যক্ষ সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন।


তিন পদে ৮২৬ বিচারকের পদোন্নতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের বড় সংখ্যায় পদোন্নতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সারাদেশে একসঙ্গে ৮২৬ বিচারককে পদায়ন ও বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বুধবার উপসচিব এ এফ এম গোলজার রহমান স্বাক্ষরিত বদলি ও পদোন্নতির পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পদোন্নতির পর তাদের নতুন কর্মস্থলে পদায়নও করা হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৬’-এর বেতন স্কেলের প্রথম গ্রেডে ৭০,৯২৫-৭৬,৩৫০ বেতনক্রমে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিয়ে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিয়োগ/বদলি করা হলো।

প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী, তিনটি পদে মোট পদোন্নতি ও পদায়ন হয়েছেন ৮২৬ জন। এর মধ্যে অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ ২৫০ জন, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ ২৯৪ জন ও সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ ২৮২ জন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বদলি হওয়া বিচারকদের দপ্তরপ্রধান কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ২৭ (বৃহস্পতিবার) নভেম্বর বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রশিক্ষণ, মাতৃত্বকালীন ছুটি, বহিঃবাংলাদেশ ছুটিতে থাকা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদান করে কার্যভার হস্তান্তর করে অবিলম্বে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।


একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: ইসি সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিনি বলেন, নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে- এই ধারণা আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল, তাই কমিশন মানসিক প্রস্তুতি এবং প্রাথমিক কাজগুলো আগেই সম্পন্ন করেছে।

বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সচিব এসব কথা বলেন।

গণভোটের অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর কমিশনের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘দায়িত্বের আভাস পেলেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা হয়। আপনি যদি ভাবেন যে একটা দায়িত্ব আপনার ওপর আসতে যাচ্ছে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক প্রস্তুতি থাকে। আমাদেরও সেই প্রস্তুতি ছিল। পাশাপাশি আমরা আগাম কাজও শুরু করে দিয়েছিলাম।’

তিনি জানান, আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মক ভোটিং আয়োজন করা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট-উভয় প্রক্রিয়া একই কেন্দ্রে একসঙ্গে পরিচালনার অনুশীলন হিসেবে এই মক ভোটিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘একই দিনে দুই ধরনের ভোট পরিচালনা করতে গেলে কিছু সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে। সেই বাস্তবতা যাচাই করতেই আমরা এই রিহার্সালের আয়োজন করেছি।’

তিনি জানান, মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হবে- কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন হবে কি না, ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়বে বা কমবে কি না, ভোটার ব্যবস্থাপনা কীভাবে সমন্বয় করা যাবে, দুই ধরনের ব্যালট ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে করতে কতটুকু সময় লাগবে এবং সামগ্রিকভাবে কেন্দ্র পরিচালনায় কী ধরনের সমন্বয় প্রয়োজন হবে।

আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমরা চাই পুরো প্রক্রিয়াটা নিখুঁতভাবে পরিচালনা করতে। একটি সফল রিহার্সাল থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা পরবর্তী সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ তিনি সাংবাদিকদেরও ওই রিহার্সাল কভার করার আমন্ত্রণ জানান।

ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য) মো. রুহুল আমিন মল্লিক গণমাধ্যমকে জানান, ২৯ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সকল শ্রেণির ভোটারের অংশগ্রহণে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে তিনি জানান।


হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার চিঠি পরীক্ষা করে দেখছে দিল্লি: রণধীর জয়সওয়াল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে বাংলাদেশের চিঠি ভারত পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বিষয়টি ভারতের চলমান অভ্যন্তরীণ বিচারিক ও আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যাচাই করা হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জয়সোওয়াল বলেন, ‘চলমান বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চিঠিটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আমরা শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতাসহ বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা অব্যাহতভাবে সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব।’

এদিকে নয়াদিল্লিকে দেওয়া চিঠির বিষয়ে বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির জবাব এখনো আসেনি।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ খবর জানান।

কোন প্রক্রিয়ায় ভারতে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘নোট ভারবাল (কূটনৈতিক পত্র) আমাদের মিশনের মাধ্যমে ওদের (ভারতের) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কোন উত্তর আসেনি। এত তাড়াতাড়ি উত্তর আশাও করি না আমরা।’

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনার বিষয়ে নতুন করে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) পাঠানো ওই চিঠির বিষয়টি গত রোববার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

এদিকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ যে চিঠি পাঠিয়েছে তা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে দিল্লি। রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা চিঠিটি পেয়েছি এবং তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’

ভারত এর জবাব দেবে কি না স্পষ্ট না করে তিনি বলেন, ‘চলমান বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশসহ দেশটির মানুষের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার সর্বোত্তম স্বার্থে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিষয়ে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আমরা গঠনমূলক যোগাযোগ চালিয়ে যাব।’

গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত সোমবার রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের দিনই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনকে প্রত্যর্পণের দাবি তোলে। পরে সচিবালয়ে প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ভারতকে আবারও চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানান। এরপর সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই নতুন চিঠি পাঠানো হয়।

অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে নোটিশ জারি প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানায়, গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে নির্বিচারে হত্যা ও দমনে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশের পর ইন্টারপোলে নোটিশ জারির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।


বিশ্বে জনবহুল নগরের তালিকায় ২ নম্বরে ঢাকা

জনসংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ২০৫০ সালে সবচেয়ে জনবহুল নগরে পরিণত হবে ঢাকা, পূর্বাভাস জাতিসংঘের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারা বিশ্বেই মানুষ শহরমুখী, এতে শহরে বাড়ছে মানুষের ভিড়, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেগা সিটির সংখ্যা। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা।

এর আগে সবচেয়ে জনবহুল নগর ছিল জাপানের রাজধানী টোকিও। সেই নগর সরিয়ে জাকার্তা ১ নম্বরে উঠে এসেছে। তালিকায় সবচেয়ে বেশি উল্লম্ফন হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার। জাতিসংঘ প্রকাশিত তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২ নম্বরে।

সবশেষ তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে ৪ কোটি ১৯ লাখ মানুষ জাকার্তায় বসবাস করেন। ইন্দোনেশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ জাভার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত জাকার্তা একটি উপকূলীয় শহর। গত ১৮ নভেম্বর জাতিসংঘ ‘ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রসপেক্টস ২০২৫’ শিরোনামে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

জাকার্তার পরেই আছে ঢাকা, এই নগরে এখন ৩ কোটি ৬৬ লাখ মানুষ বাস করেন। তবে ঢাকার জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে ২০৫০ সাল নাগাদ জাকার্তাকে সরিয়ে ঢাকাই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নগরে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘ।

গত ১৮ নভেম্বর জাতিসংঘ ‘ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রসপেক্টস ২০২৫’ শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে।

স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনটি অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জাতিসংঘ তাদের ২০১৮ সালের জনসংখ্যাবিষয়ক তথ্য হালনাগাদ করেছে।

এই প্রতিবেদনে শহরে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যার নাটকীয় বৃদ্ধি তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে একে মানুষ্য বসতির নতুন প্রবণতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকার পরে আছে জাপানের রাজধানী টোকিও। তবে জাকার্তা ও ঢাকার তুলনায় গত ২৫ বছরে টোকিওতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনেকটাই স্থিতিশীল থেকেছে। টোকিওর বর্তমান জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩৪ লাখ।

এর আগে ২০০০ সালে জাতিসংঘ প্রকাশিত মূল্যায়নে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নগর ছিল টোকিও।

২০০০ সালের পর টোকিওর তুলনায় জাকার্তার জনসংখ্যা ৫ গুণ হারে এবং ঢাকা জনসংখ্যা ৭ গুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে এক কোটির বেশি জনসংখ্যা রয়েছে, বিশ্বে এমন মেগা সিটির সংখ্যা বেড়ে ৩৩ হয়েছে। ১৯৭৫ সালে বিশ্বে মাত্র ৮টি মেগা সিটি ছিল। অর্থাৎ মেগা সিটি বেড়ে চার গুণ হয়েছে।

জাকার্তা, ঢাকা ও টোকিওর পর ৪ নম্বরে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি (বাসিন্দা ৩ কোটি ২ লাখ), চীনের সাংহাই (২ কোটি ৯৬ লাখ), চীনের গুয়াংজু (২ কোটি ৭৬ লাখ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা (২ কোটি ৪৭ লাখ), ভারতের কলকাতা (২ কোটি ২৫ লাখ) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল (২ কোটি ২৫ লাখ)।


নতুন ইউএনও পেল ১৬৬ উপজেলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে রদবদল এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বুধবার প্রথম ধাপে ১৬৬ উপজেলায় সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নতুন ইউএনও নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আটটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব ইউএনওকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে ন্যস্ত করা কর্মকর্তাদের নিজ অধিক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ‌‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর সেকশন-১৪৪-এর ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করবেন, অন্যথায় আগামী ৩০ নভেম্বর বিকালে বর্তমান কর্মস্থল (প্রশিক্ষণ/কর্মস্থল) থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।

বদলি করাকর্মকর্তার দপ্তর/কর্মস্থল ইতোমধ্যে পরিবর্তন হলে কর্মরত দপ্তরের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে তিনি যোগদানপত্র দাখিল করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।


হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

*পাঁচটি অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন *রায়ে দুটি অভিযোগে ছয়টি ঘটনা আনেন ট্রাইব্যুনাল *শেখ হাসিনার তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত *আপিল করতে হবে এক মাসের মধ্যে নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটেড ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম অভিযোগে অমৃত্যু কারাদণ্ড ও দ্বিতীয়টিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ে আদালত আরও বলেছে, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। একইসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচন করেছেন, মামুনের অপরাধের সাজা সর্বোচ্চ হলেও সত্য উন্মোচন করায় তার সাজা কম হবে।

বুধবার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে।

এরই মধ্যে এ মামলায় দণ্ডিত সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদও পূর্ণ কপি পেয়েছেন। বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি।

গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও কামালকে অমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া একই মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পান চৌধুরী মামুন। এর ঠিক ৯ দিন পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল। ফলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনা ও কামালকে আপিল করতে হবে।

এ মামলার পাঁচটি অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। কিন্তু রায়ে দুটি অভিযোগে ছয়টি ঘটনা আনেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে অভিযোগ-১ এ তিনটি ঘটনা আনা হয়। এর প্রথমটি ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া।

দ্বিতীয়ত ওই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে ফাঁসি দেবেন বলে উসকানি ও আদেশ। এছাড়া অপরাধ সংঘটনে আসামিরা নিজেদের অধীনস্থদের কোনো বাধা দেননি। তৃতীয়ত এরই ফলশ্রুতিতে রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি ছুড়ে হত্যা করে পুলিশ। এসব অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের অমৃত্যু কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।

দুই নম্বর অভিযোগেও তিনটি ঘটনা আনেন ট্রাইব্যুনাল। এক নম্বর ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ফোনালাপ পাওয়া যায়। এসব কথপোকথনে ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের কোনো বাধা দেননি আসামিরা।

যার ফলে একই বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুলে ছয়জন আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। যা এ অভিযোগে ঘটনা নম্বর দুই। তিন নম্বর ঘটনা ওই দিন তথা ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব অপরাধে হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যা জুলাইয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করবে সরকার। এছাড়া উভয় অভিযোগে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছে।

গণহত্যার দায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম বিচারের রায়। হাসিনার মামলার রায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এছাড়া রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বড় পর্দায় বিচার কার্যক্রম দেখানো হয়।

হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পালিয়ে বর্তমানে ভারতের আশ্রয় রয়েছেন। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন। তিনি অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন।


নির্বাচনের ব্যালট হবে সাদাকালো, গণভোটে রঙিন

গণভোটে থাকবে একটি প্রশ্ন, দুটি বিকল্প
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণভোট অধ্যাদেশ–২০২৫ এর খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, গণভোট পরিচালনার প্রক্রিয়া বিস্তারিত উল্লেখ করে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
গণভোটে থাকবে একটি প্রশ্ন, দুটি বিকল্প: গণভোটে থাকবে মাত্র একটি প্রশ্ন— জুলাই জাতীয় সনদ আদেশ ও সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবে ভোটারের সম্মতি আছে কি না। ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বক্সে চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাবেন।
ব্যালটে সাদাকালো ও রঙিন পার্থক্য: আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট হবে সাদা কাগজে কালো প্রতীক, আর গণভোটের ব্যালট হবে রঙিন, যাতে ভোটার বিভ্রান্ত না হন।’
একই স্থানে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, গণভোট ও নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটেও একই ধরনের স্টাইল ব্যবহার করা হবে। আগামী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সরকারি প্রেসে ব্যালট ছাপার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এবং পর্যাপ্ত কাগজও রয়েছে। গণভোটের ক্ষেত্রে রঙিন কাগজে দৃশ্যমান যেকোনো কালি ব্যবহার করা হবে।
বিদেশে রেজিস্ট্রেশন ও প্রযুক্তিনির্ভর ভোট: ইসির সচিব জানান, পোস্টাল ব্যালটের জন্য উত্তর আমেরিকায় রেজিস্ট্রেশন চলছে। শনিবার অনুষ্ঠিতব্য মক ভোটের ফল অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইসি সচিব আখতার আরও জানান, প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী, আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিতরা অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ১০৮ জন প্রবাসী ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন। একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ হলেও সবার মধ্যে উৎসাহ রয়েছে।
মনিটরিং ও দায়িত্ব বণ্টন: গণভোটের জনসচেতনতা বাড়াতে দ্রুত প্রচারণা শুরু হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘অন্ধভাবে নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রশাসনের পদায়নের জন্য লটারি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।’
সংসদ নির্বাচনের জন্য নিয়োগকৃত রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারাই গণভোটেও একই দায়িত্ব পালন করবেন। গণভোটেও পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা থাকবে।


কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিতের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুলসংখ্যক ঘর-বাড়ি পুড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনায় অসংখ্য পরিবারের নিঃস্ব হয়ে যাওয়াকে ‘সকলের জন্য বেদনাদায়ক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি বলেন, ‘কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে যেসব পরিবার গৃহহীন হয়েছেন, তাদের দুঃখ-কষ্ট আমাদের সকলের জন্য বেদনার। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।’

তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


মাইলস্টোন ট্রাজেডি: বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র পেল আরও এক শিক্ষার্থী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রায় পাঁচ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দগ্ধ শেখ সাইয়েবা মেহজাবিন (১১)। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালের দিকে তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, ২১ জুলাই একটি মর্মান্তিক বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীও দগ্ধ হয়। প্রায় ৫ মাস সে আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন ছিল। তাদের মধ্যে সাইয়েবার শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে মোট শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৩৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমাদের ইনস্টিটিউটে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা আশা করছি সেও দ্রুত ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে।


৬৪ জেলার এসপি পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় লটারি করে এই এসপিদের নির্বাচন করা হয়। বুধবার এসপিদের পদায়ন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, যমুনায় লটারির সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, অতীতে এসপি হিসেবে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সেই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে।


এনা পরিবহনের এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ১০৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এনা ট্রান্সপোর্টের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ১০৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই অর্থ তিনি চাঁদাবাজি করে উপার্জন করেছিলেন বলে অভিযোগ।

সিআইডি জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রমনা থানায় মামলা দায়ের করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আশির দশকের পর পরিবহন সেক্টরে যাত্রা শুরু করেন। পার্টনারশিপে একটি পুরাতন বাস কেনার মাধ্যমে তার ব্যবসার সূচনা হলেও কয়েক বছরের মধ্যে তিনি প্রায় ২০টি বাসের মালিক হয়ে ওঠেন। অল্প সময়েই তিনি পরিবহন মালিকদের সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেন। এরপর তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব বাড়িয়ে নেন। প্রথমে বিএনপির রাজনীতি, পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদও লাভ করেন।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এই রাজনৈতিক পরিচয় খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতন পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি ধারাবাহিকভাবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি সংগঠনের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং পরিবহন সেক্টরে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধে পরিবহন সচল রাখার ঘোষণা দিয়ে তিনি সংবাদ শিরোনামে থাকলেও নিজের কোম্পানির বাসগুলো রাস্তায় নামাতেন না, যা তার কৌশলের অংশ ছিল।

জসীম উদ্দিন খান বলেন, চাঁদাবাজি কার্যক্রমগুলো ছিল অত্যন্ত সংগঠিত ও ভয়ভীতি-ভিত্তিক। এনায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট গড়ে বিভিন্ন অজুহাতে বাস মালিকদের কাছ থেকে প্রকাশ্য চাঁদা আদায় করতেন। দৈনিক চাঁদার পাশাপাশি মাসিক চাঁদাও নেওয়া হতো এবং নতুন বাস কোনো রুটে নামাতে হলে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা দিতে হতো। নতুন বাস কেনার সময় মালিকদের সেই বাসের একটি ভাগও এনায়েতকে দিতে বাধ্য করা হতো, না হলে বাসটি সড়কে চলতে পারত না। এর ফলে অনেক কোম্পানি বিক্রির সময় মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে চাঁদা পরিশোধ করত।

সিআইডির মুখপাত্র বলেন, ঢাকার প্রতিটি বাস টার্মিনাল তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশের বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতিগুলো থেকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হতো। সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে তিনি পরিবহন সেক্টরে ত্রাসের রাজত্ব চালাতেন। বিএফআইইউ, বিভিন্ন ব্যাংক, ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, বাংলাদেশ মালিক পরিবহন সমিতি এবং মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদসহ অন্যান্য বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্রের ওপর ভিত্তি করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। অনুসন্ধানকালে ধানমন্ডির ২টি ফ্ল্যাট এবং রূপগঞ্জের ২টি প্লট সিনিয়র স্পেশাল মহানগর জজ আদালত, ঢাকার আদেশে ক্রোক করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। একই আদালতের আদেশে তাদের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়। যার মোট স্থিতি প্রায় ১১০ কোটি টাকা। এই দুটি আদেশ গত ৩ জুলাই কার্যকর করা হয়।

সিআইডির বিশ্লেষণে দেখা যায়, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৯৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে উত্তোলন হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে এনা ট্রান্সপোর্ট প্রা. লি. এর ৪৩টি হিসাবে জমা ৯৩৪.০৪ কোটি টাকা, উত্তোলন ৯০৬.৯৬ কোটি টাকা, এনা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি. এর ৮টি হিসাবে জমা ৪১০.৩৮ কোটি টাকা, উত্তোলন ৪০৮.২৫ কোটি টাকা ও খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ব্যক্তিগত ৭৪টি হিসাবে জমা ৪৫৯.০৮ কোটি টাকা, উত্তোলন ৪০২.৭৩ কোটি টাকার তথ্য জানা যায়। সিআইডির বিস্তারিত অনুসন্ধান ফলাফলে দেখা যায়, ‘স্ট্রাকচারিং’ বা ‘স্মার্ট লেয়ারিং’ কৌশল ব্যবহার করে চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল অবৈধ অর্থ নানা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মোট ১০৭ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৭৪ টাকা মানিলন্ডারিং করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে পাওয়া প্রাথমিক সত্যতা বিবেচনায় আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।


banner close