জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নবনিযুক্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তিনি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় তিনি জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সদস্যগণসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী সবার রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, সামরিক সচিব, জিওসি, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়াসহ সেনাসদরের ঊর্দ্ধতন সামরিক কর্মকর্তাগণ ও যশোর এরিয়ায় কর্মরত কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীর বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ বা ইসলামপন্থি গোষ্ঠীর সদস্য নন বলে জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে চালু হওয়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেকিং পেইজ।
সোমবার পেইজটিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয় ।
মাহফুজ আলম নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পোস্টে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীর সদস্য হিসেবে দাবি করে দেওয়া ফেসবুক পোস্টগুলো গুজব। ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশিত একটি নিবন্ধের একটি স্ক্রিনশট ব্যবহার করে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যেখানে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে হিযবুত তাহরীর কথিত সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেস উইং আরও জানায়, অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম দুজন ভিন্ন ব্যক্তি। দৈনিক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট গত ৩ নভেম্বর রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মাহফুজ আলম। অভিযোগের বিষয়ে সম্প্রতি তিনিও একটি পোস্টে বলেছেন, কখনোই তিনি হিযবুত তাহরীর বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ বা ইসলামপন্থি গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন না।
পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনর্তদন্ত দ্রুতই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তর পরিদর্শনের পর এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনর্তদন্ত অবশ্যই হতে হবে। আর সেটা দ্রুতই হবে। দ্রুতই তদন্ত টিম করা হবে।
তিনি বলেন, অপরাধী যত প্রতাপশালী হোক না কেন তাকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া যাবে না জানিয়ে তিনি বলেছেন, আগে অনেক সময় অনেক প্রতাপশালী অপরাধী আগে ছাড় পেয়ে যেত। এমনটা আর হতে দেওয়া যাবে না।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিজিবিকে তাদের আইন ও ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তাদের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। এখন সাধারণ জনগণ বিজিবির কর্মকাণ্ডে খুশি।
বিজিবিকে এক গুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়ার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, জনগণের সঙ্গে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক যেন বজায় রাখে। বিজিবির যেহেতু বর্ডারভিত্তিক কাজ করতে হয়, জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হয়। জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলেই কাজ করতে সুবিধা হয়। তারাই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে।
সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য প্রবেশ ঠেকাতে জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত দিয়ে অনেক সময় ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক চলে আসে। কোনো অবস্থায় যেন আর না আসে। এগুলো আমাদের জাতির অনেক অনেক ক্ষতি করছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিষেধ। কিন্তু মানবিক একটা দিক রয়েছে। ওই বেল্টে আপনারা জানেন সারাদিনই গোলাগুলি হচ্ছে। এদের কিন্তু আবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়। খুব একটা বেশি রোহিঙ্গা কিন্তু ঢুকতে পারে না। আমাদের এখানে ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে, এখন ১৩ লাখের মতো হয়ে গেছে। তাদের আবার পাঠায় দেব।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, একটি সুশৃঙ্খল ও প্রশিক্ষিত বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিজিবি সদস্যদের চেইন অব কমান্ড মেনে কাজ করতে হবে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বেআইনি আদেশ মানা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আদেশের ক্ষেত্রে তা বৈধ ও আইনসঙ্গত কি না, তা বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে একটু উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিনি বলেন, খুব একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে যে চলে গেছে তা না। এখন যদি বলেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন? জাস্ট সন্তোষজনক কিন্তু এটা আরও ভালো হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে আমরা চেঞ্জ করছি। তাদের কিন্তু অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে। তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক করতে সময় লাগবে। বিজিবিতেও অনেক চেঞ্জ করা হয়েছে। এ জন্য একটু সময় লাগছে। তবে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। সামনের দিকে আরও উন্নতি হবে।
রমনা থানার ৫০ গজের মধ্যে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ মুহূর্তে এটা আমি জানি না। এ জন্য উত্তরটা আমি দিতে পারব না। আমি গিয়ে দেখব।
প্রসঙ্গত, পিলখানায় বিডিআর হত্যার নেপথ্যের কারণ উদ্ঘাটনে পুনর্তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে কি না, তা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। গত রোববার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে বিষয়টি জানতে চান। আগামী মঙ্গলবার এ নিয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবীরা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ও সাজাভোগ শেষে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে।
দেশের সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ রোগী আসছে। এর মধ্যে কেউ ভর্তি হচ্ছে, কেউ জরুরি চিকিৎসা নিয়ে ফিরছে, আবার কাউকে বাইরে পাঠানো হচ্ছে। যদি গ্রাম-ইউনিয়ন-উপজেলা পর্যায়ে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যায়, তাহলে তারা জেলা হাসপাতালে আর আসত না। রেফারেল পদ্ধতি না থাকায় সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সময় তিনি দেশের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে সদর হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমে বলেও উল্লেখ করেন।
সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. অং সুই প্রু মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাসলিম উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এ সময় উপদেষ্টা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে চমেক হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, উপজেলা বা গ্রাম পর্যায়ের ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাব আছে। উপজেলা হাসপাতাল বা জেলা হাসপাতালে সমস্যা রয়ে গেছে। এটা আছে তো ওটা নেই, ওটা আছে তো এটা নেই। ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে। কিন্তু সেখানেও প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসক নেই। ফলে ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিপূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু চিকিৎসাসেবাটা সবকিছুর সমন্বয়ে হয়ে থাকে। এখানে চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট বা চিকিৎসা উপকরণের মধ্যে কোনো একটি না থাকলে পুরো চিকিৎসা সেবাটাই অসম্ভব হয়ে ওঠে।
উপদেষ্টা বলেন, চমেক হাসপাতাল ২২০০ শয্যার। কিন্তু রোগী থাকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। ধারণক্ষমতার বাইরে রোগী ধারণ করায় একটু সমস্যা হয়। এখানে বাড়তি পয়সা নেওয়াসহ নানা অভিযোগ আছে। তবে পরিদর্শন করতে করতে চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হল এখানে সরকারেরও যথেষ্ট দায়বদ্ধতা আছে। এখানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর আউটসোর্সিং কর্মীর গত তিন তিন-চার মাস বেতন নেই। বেশ কিছু সমস্যার কারণে এখনো তাদের বেতনভাতার বিষয়টি পাস হয়নি। সেটি পাশ হলেই সরকারিভাবে তাদের জন্য পুনরায় বেতন-ভাতা বরাদ্দ হবে।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী মো. শাজাহান খান। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোজাহিদ জানান, যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে ছিলেন তিনি। ডিবি কার্যালয়ে শাজাহান খানের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। সেখানে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। পরে চিকিৎসা দিয়ে ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষা করার জন্য নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তাকে সিইউতে ভর্তি করানো হতে পারে।
পরে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক, ‘সোমবার বিকালে শাহজাহান খানকে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) নেওয়া হয়। পরে অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।’
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তৌকির আহমেদ বলেন, ‘শাহজাহান খানের ইসিজি করা হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ পাওয়া গেছে। এমনিতেই তার ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে। পরে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) পাঠানো হয়। সেখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভর্তির রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ৭০ প্রবাসী বাংলাদেশির একটি দল আমিরাত এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে (ইকে-৫৮৪) গতকাল রোববার রাতে নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছেছে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত লেবানন থেকে সাত ফ্লাইটে মোট ৩৩৮ বাংলাদেশিকে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
প্রত্যাবাসন উদ্যোগটি পররাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় পরিচালিত একটি যৌথ প্রচেষ্টা। আইওএমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বাগত জানান।
আইওএমের সৌজন্যে প্রত্যেক প্রত্যাবর্তনকারীকে হাতখরচ, মৌলিক খাদ্য সরবরাহ ও চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
চলমান সংঘাতের মধ্যে লেবানন থেকে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের যাবতীয় খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।
ইতোমধ্যে বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের নিরাপদে ফিরে আসার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। পাশাপাশি যারা সেখানে থাকতে চান তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে দূতাবাস।
এর আগে রোববার লেবাননে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এক বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত হয়েছেন।
জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে প্রকৃতি, প্রাণীজগত এবং পরিবেশের সুরক্ষার দিকে নজর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব 'ওয়ান হেলথ ডে ২০২৪' উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত জরুরি। বন্যপ্রাণী নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে বা লড়াই করতে পারে না। তাই তাদের অধিকার ও প্রকৃতির অধিকার রক্ষা আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই আমাদের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ হতে মুক্ত রাখতে পারে।’
‘এক স্বাস্থ্য ধারণা একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, যা মানব স্বাস্থ্য, প্রাণী স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত সুস্থতার অভিন্ন সংযোগকে চিহ্নিত করে। তাই এদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে জনগণকে যুক্ত করতে হবে। এক স্বাস্থ্য ধারণার ওপর বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে’- বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
এসময় তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এক স্বাস্থ্য মডেল কার্যকর করার গুরুত্ব তুলে ধরে এই লক্ষ্য অর্জনে সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘ওয়ান হেলথের মধ্যে শুধু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থাকলেই হবে না, কৃষি, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য বিভাগকে আওতাভূক্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষিতে পেস্টিসাইড, হার্বিসাইড ব্যবহারে দেশের উৎপাদিত কৃষিপণ্য মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা খাদ্য দ্রব্যের উৎপাদন বাড়িয়েছি কিন্তু নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণ গুরুত্বারোপ করি নাই। ওয়ান হেলথ এপ্রোচের মাধ্যমে মানুষ, প্রাণী ও কৃষি উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা হলে মানব স্বাস্থ্য রক্ষা হবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবু জাফর, বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ডা. রাজেশ নারওয়াল, বাংলাদেশে এফএও’র প্রতিনিধি ঝিয়াওকুন শি, বাংলাদেশে ইউএসএইডের মিশন পরিচালক রিড জে. আইশলিম্যান, ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ এবং ওয়ান হেলথ সেক্রেটারিয়েট সমন্বয় কমিটির চেয়ার প্রফেসর ডা. তাহমিনা শিরিন প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সারদা পুলিশ একাডেমির আরও ৫৮ জন ক্যাডেট উপপরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার এ তথ্য জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২ অক্টোবর প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে একই ব্যাচের ২৫২ জন শিক্ষানবিশ এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তখন প্রশিক্ষণার্থীদের স্থায়ী ঠিকানায় দেওয়া চিঠিতে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ হিসেবে জানানো হয়, তারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
সেই সময় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ছাড়াও এর পেছনে আরও কারণ রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে পুলিশ সদর দপ্তর এই ব্যাচের ৮০১ জন শিক্ষানবিশ এসআইয়ের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একটি গোয়েন্দা সংস্থা এই তদন্ত করে।
জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। আজ ৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গত ২৫ অক্টোবর রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রশিক্ষণরত ৫৯ জন উপ-পরিদর্শককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শো-কজ) দেয় কর্তৃপক্ষ।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের ক্রমবর্ধমান দাবির মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত সারদা পুলিশ একাডেমি বাংলাদেশ পুলিশে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।
এই একাডেমি আইন সমুন্নত রাখা এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তা তৈরির জন্য দায়বদ্ধ।
রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার ঢাকায় তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে কমিশন প্রধানরা সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। তারা জানান সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।
বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান চিারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দূর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ অংশগ্রহণ করেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে বলেন, তারা সংস্কার চান। সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চান। আর সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে কমিশনের প্রধান করে ছয় কমিশন গঠন করা হয়। গত মাস থেকে কমিশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমা ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
তিনি বলেন, ‘পূর্বের ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ইজতেমার জন্য দুইটি স্লট নির্ধারণ করা হয়েছে। গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে আগামী ৩১ জানুয়ারি-২ ফেব্রুয়ারি এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, তাবলীগ জামায়াতের আলেমদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে আবার আলোচনা হবে। আমরা আলেমদের মধ্যে কোনো বিভেদ চাই না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সভায় বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ, মাঠ হস্তান্তর, মাঠ প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক কার্যক্রম তদারকি সংক্রান্ত কমিটি গঠন, বিদেশি মেহমানদের ভিসা প্রদান, ভিভিআইপিদের সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সার্বিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, কন্ট্রোল রুম স্থাপন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, মুসলি¬দের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেন-বাস সার্ভিস, পল্টুন ও ভাসমান ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও জরুরি দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মুসল্লিদের প্রাথমিক ও জরুরি চিকিৎসা প্রদান, অস্থায়ী দোকানপাট ব্যবস্থাপনা, বস্তি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ইজতেমাস্থলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রয় মনিটরিং, মাইক সম্প্রসারণ, ইজতেমাস্থলে যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণকে অবহিতকরণ, সিনেমার অশ্লীল পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ, আখেরী মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ, টঙ্গীতে অনুষ্ঠেয় ফলোআপ সভার তারিখ নির্ধারণ, বিশ্ব ইজতেমায় নামাজ পড়ানোসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ, মাঠ প্রস্তুতিকরণ ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ (অব.), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন সহ সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সদ্যসমাপ্ত অক্টোবর মাসে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রায় ২.৪০ বিলিয়ন বা ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত বছরের একই মাসে এসেছিল ১.৯৭ বিলিয়ন বা ১৯৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে একক মাস হিসেবে অক্টোবরে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে ৪৩ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, অক্টোবরের শেষ দিন অথাৎ ৩১ তারিখ এক দিনেই ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। আর পুরো মাসজুড়ে পাঠিয়েছেন ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। সে হিসাবে অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত দুটি কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। প্রথমত, আমদানি বিলের আন্ডার-ইনভয়েসিং উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। আগে এ প্রক্রিয়ায় বড় অঙ্কের অর্থ সরিয়ে নেওয়া হলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে অর্থপাচার অনেকটা কমেছে। ফলে হুন্ডিতে ডলারের চাহিদা কমে সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে বেশি ডলার আসতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, অক্টোবর মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭২ কোটি ৬১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৪ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
তবে এই সময়ে ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশি খাতের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮.৯৪ বিলিয়ন বা ৮৯৪ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে (চার মাসে) দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬.৮৮ বিলিয়ন বা ৬৮৮ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮২ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। সে হিসেবে বছরের ব্যবধানে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে দেশে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ২৪ হাজার ৭২০ কোটি টাকা বা ২৯.৯৫ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং সদ্য সমাপ্ত অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহের ঊর্ধ্বগতির ধারা বজায় রয়েছে সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসেও। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ছাড়া প্রত্যেক মাসেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। দেশ যখন বেসরকারি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি, সার এবং পণ্য ইত্যাদি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে রয়েছে, ঠিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো দিক বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা। গত ৩০ অক্টোবর শেষে বিপিএম৬ পদ্ধতিতেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ১৯.৮৭ বিলিয়ন ডলারে রয়েছে, এটি বৈদেশিক ঋণের নিশ্চয়তা বাড়াবে বলে মনে করেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এসেছে। এটি এক অর্থবছরে এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) পাঁচ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। এসব কর্মীদের মধ্যে ঢাকা জেলার এক লাখ ২১ হাজার ৫২০ জন অভিবাসী রয়েছেন। গতকাল রোববার ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, অ্যাপের অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অভিবাসনে গতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে ৫ লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার অভিবাসী কর্মী সৌদি আরবকে তাদের পছন্দের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সৌদি আরব বর্তমানে বেশিরভাগ অভিবাসী জনসংখ্যার প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে।
সৌদি নীতিনির্ধারকদের স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার কারণে সেখানে দক্ষ এবং অদক্ষ উভয় ধরনের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে সৌদি আরবকে একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্যে পরিণত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়া প্রায় ৯৩ হাজার কর্মরত অভিবাসী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কাতার তৃতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে এই সময়ে ৩৯ হাজার ৫১৭ জন অভিবাসী কর্মী কাজের জন্য গেছেন।
‘আমি প্রবাসীর’ প্রতিবেদনে এসব অভিবাসী কর্মীদের কাজের ধরন সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ অভিবাসী কর্মী ‘সাধারণ’ শ্রেণিতে পড়ে, সংখ্যায় যা এক লাখ ৫০ হাজারের মতো। সাধারণ শ্রেণিতে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কাজ অন্তর্ভুক্ত।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নির্মাণ কাজ; যেখানে ৬৩ হাজার ৪৬৯ জন অভিবাসী কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ৩৩ হাজার ৭৪৮ জন কর্মী নিয়ে কারখানার কাজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
প্রতিবেদনের প্রথমার্ধে আরও বলা হয়েছে, মোট অভিবাসী শ্রমিকের ১০.৪ শতাংশ দক্ষ, যার মধ্যে ৩.২ শতাংশ দক্ষ পেশাজীবী, যেমন- সফটওয়্যার ডেভেলপার। বাকি ৭ শতাংশ অদক্ষ অভিবাসী। অদক্ষ থেকে দক্ষ অভিবাসনের এই পরিবর্তন বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে, তবে এই শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ কম রয়েছে। এই ৬ মাসের সময়কালে মোট শ্রমশক্তির মাত্র ৬ শতাংশ নারী। এর মধ্যে বেশিরভাগই গৃহকর্মী, যার সংখ্যা ১৩ হাজার ১৯০।
জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের অভিবাসন প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা এক লাখ ২১ হাজার ৫২০ অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৯১ হাজার ৫৩০ জন অভিবাসী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। খুলনা ও রাজশাহী থেকে যথাক্রমে ৩৭ হাজার ২৯০ ও ৩৫ হাজার ৬৬০ অভিবাসী কর্মী এবং ময়মনসিংহ থেকে ২৬ হাজার ১০ জন কর্মী বিদেশ গিয়েছে। সিলেট থেকে অভিবাসী হয়েছে ১৭ হাজার ৩৮০ জন।
রংপুর বিভাগ থেকে সবচেয়ে কম অভিবাসী
এই সময়কালে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৭৪টি ব্যক্তিগত ভিসা ইস্যু করা হয়। গ্রুপ ভিসার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ২২৩ এবং ২৪ হাজার ৬৩৮টি, ভিসা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। পূর্ববর্তী মাসগুলোর তুলনায় স্বয়ংক্রিয় বা ওয়ান স্টপ ভিসার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। সে সময় এ সংখ্যা মোট ভিসার ১ শতাংশেরও কম ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধের অভিবাসন পরিস্থিতি ইতিবাচক ছিল। ইতালিতে ২০ হাজার নতুন ভিসা অনুমোদনের খবর এসেছে, যা ইউরোপীয় বাজার খোলার পথে একটি সম্ভাবনাময় অগ্রগতি।
ভ্রমণ বা অন্য কাজে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিক সংখ্যক ট্রেনের টিকিট প্রয়োজন হলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টিকিট সংরক্ষণ করা যেত। সে ক্ষেত্রে ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হতো এবং সংরক্ষণ করা এসব টিকিটের ওপর ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হতো। তবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে এখন থেকে আর টিকিট সংরক্ষণ করা যাবে না।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) মো. আনসার আলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিটি সহজ লিমিটেড (লিড পার্টনার) সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৯ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত টিকিট বিক্রয় ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত নির্দেশনা দেওয়া হলো:
১. কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো টিকিট সংরক্ষণ না রাখা।
২. রেলওয়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ব্যতীত কোনো টিকিট সংরক্ষণ না করা।
৩. রেলওয়ের সংরক্ষিত আসন-সংশ্লিষ্ট ডিসিওরা তত্ত্বাবধান করবেন।
৪. টিকিট সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলে বা অন্য কোনো প্রয়োজনে টিকিট সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা অবশ্যই লিখিত নির্দেশনার ভিত্তিতে কার্যকরী করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ব্যতীত কোনো টিকিট সংরক্ষণ না রাখা এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিসিওদের দালিলিক বা লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত সংরক্ষিত আসনের টিকিট রিলিজ ও তা রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
চলতি নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি গতকাল রোববার এই পূর্বাভাস দেয়।
অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত এ বৈঠক হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল আলম। পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে এ মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে।
মাসব্যাপী এই পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে সারা দেশে ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা এবং নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অন্যদিকে নভেম্বর মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টির শঙ্কা নেই। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানায় রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আগামীকাল সোমবার হালকা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া পরদিন মঙ্গলবার ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময় তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। এদিকে গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে আজ রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বাগেরহাটের মোংলায় ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।