বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:৩৬

বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে রপ্তানি খাতে অবদান রাখার জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হবে। আগামীকাল রোববার এ উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার টিসিবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আরও জানা যায়, রপ্তানি ট্রফি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পাবে ৭৭টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পাবে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদান করবেন এই ট্রফি।

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত বাছাই কমিটির মাধ্যমে মোট ৩২টি খাতের রপ্তানিকারকদের মধ্য থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য রপ্তানি আয়, আয়গত প্রবৃদ্ধি, নতুন পণ্যের সংযোজন, নতুন বাজারে প্রবেশ, কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন ইত্যাদি মূল্যায়নপূর্বক ট্রফি বিজয়ী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছে। প্রতিটি খাতের জন্য কৃতি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, রোপ্য ও ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদান করা হবে। এছাড়া সব খাতের মধ্যে হতে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি শিরোনামে ১টি বিশেষ ট্রফিসহ (স্বর্ণ) মোট ২৯টি স্বর্ণ, ২৭টি রৌপ্য এবং ২১টি ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

যারা ট্রফি পাবে

গত ফেব্রুয়ারিতে এ ট্রফির জন্য গেজেট প্রকাশ করা হয়। যেখানে মনোনীত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই গেজেটে বলা হয়, দেশের সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ) পাচ্ছে রিফাত গার্মেন্টস।

এছাড়া স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ এ তিন ক্যাটাগরিতে জাতীয় রপ্তানি ট্রফির জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো তৈরি পোশাক খাতে (ওভেন) উইন্ডি অ্যাপারেলস স্বর্ণ, অ্যাপারেল গ্যালারি রৌপ্য এবং চিটাগাং এশিয়ান অ্যাপারেলস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে (নিটওয়্যার) লিবার্টি নিটওয়্যার স্বর্ণ, ডিভাইন ইন্টিমেটস রৌপ্য, ফ্লামিংগো ফ্যাশনস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

সব ধরনের সুতা খাতে বাদশা টেক্সটাইলস স্বর্ণ, স্কয়ার টেক্সটাইলস রৌপ্য এবং কামাল ইয়ার্ন ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাতে নাইস ডেনিম মিলস স্বর্ণ, হা-মীম ডেনিম রৌপ্য এবং ফোর এইচ ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাতে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস স্বর্ণ, মমটেক্স এক্সপো রৌপ্য এবং এসিএস টেক্সটাইলস (বাংলাদেশ) ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। টেরিটাওয়েল খাতে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস স্বর্ণ এবং এসিএস টাওয়েল রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে। হিমায়িত খাদ্য খাতে ছবি ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ স্বর্ণ, প্রিয়াম ফিশ এক্সপোর্ট রৌপ্য এবং এমইউসি ফুডস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। কাঁচা পাট খাতে পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ স্বর্ণ, তাসফিয়া জুট ট্রেডিং রৌপ্য এবং ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

পাটজাত দ্রব্য খাতে জনতা জুট মিলস স্বর্ণ এবং আকিজ জুট মিলস রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে। চামড়াজাত পণ্য খাতে পিকার্ড বাংলাদেশ স্বর্ণ এবং এবিসি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে।

ফুটওয়্যার খাতে বে-ফুটওয়্যার স্বর্ণ, এডিসন ফুটওয়্যার রৌপ্য এবং এফবি ফুটওয়্যার ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। কৃষিজ পণ্য খাতে (তামাক ব্যতীত) ইনডিগো করপোরেশন স্বর্ণ, মনসুর জেনারেল ট্রেডিং কোং রৌপ্য এবং সিএসএস ইন্টারন্যাশনাল ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

অ্যাগ্রো প্রসেসিং পণ্য খাতে (তামাকজাত পণ্য ব্যতীত) হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো স্বর্ণ, প্রাণ অ্যাগ্রো রৌপ্য এবং প্রাণ ফুডস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। হস্তশিল্পজাত পণ্য খাতে কারুপণ্য রংপুর স্বর্ণ, বিডি ক্রিয়েশন রৌপ্য এবং ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বিডি ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। মেলামাইন খাতে ডিউরেবল প্লাস্টিক স্বর্ণ ট্রফি পেয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য খাতে অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ স্বর্ণ, আকিজ বায়াক্স ফিল্মস রৌপ্য এবং বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। সিরামিক সামগ্রী খাতে শাইনপুকুর সিরামিকস স্বর্ণ, আর্টিসান সিরামিকস রৌপ্য এবং প্রতীক সিরামিকস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে এমঅ্যান্ডইউ সাইকেলস স্বর্ণ, মেঘনা বাংলাদেশ রৌপ্য এবং রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য খাতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি স্বর্ণ এবং বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে।

অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাতে মেরিন সেফটি সিস্টেম স্বর্ণ, এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস রৌপ্য এবং তাসনিম কেমিক্যাল কমপ্লেক্স ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস স্বর্ণ, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস রৌপ্য এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

কম্পিউটার সফটওয়্যার খাতে সার্ভিস ইঞ্জিন স্বর্ণ এবং গোল্ডেন হারভেস্ট ইনফোটেক রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে। ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন (সি ক্যাটেগরি) তৈরি পোশাক শিল্প খাতে (নিট ও ওভেন) ইউনিভারসেল জিন্স স্বর্ণ, প্যাসিফিক জিন্স রৌপ্য এবং শাশা ডেনিমস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

প্যাকেজিং ও অ্যাকসেরিজ পণ্য খাতে স্বর্ণ, মনট্রিমস রৌপ্য এবং ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

অন্যান্য প্রাথমিক পণ্য খাতে হেয়ার স্টাইল ফ্যাক্টরি স্বর্ণ ট্রফি, রায় ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল রৌপ্য ও ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। অন্যান্য সেবা খাতে এক্সপো ফ্রেইট স্বর্ণ ট্রফি এবং মীর টেলিকম রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে।

এছাড়া নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাতে পাইওনিয়ার নিটওয়্যার্স (বিডি) স্বর্ণ ট্রফি, বিকন নিটওয়্যার রৌপ্য ট্রফি এবং ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।


জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় ২৫ কোটি টাকা খরচ করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

*আনসাররা পাবে ১৭ হাজার শটগান *বডি ক্যামেরা কেনার বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে *বাজার স্থিতিশীল রাখতে রোজার আগে চাল-গম আমদানি করা হবে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে ‘উৎসবমুখর’ করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন উপলক্ষে জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারের অংশ হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৩০০টি উপজেলায় টিভিসি, ভিডিও ডকুমেন্টারি ইত্যাদি তৈরি ও প্রচারের জন্য ‘এলইডি অ্যাক্টিভেশন ক্যারাভান’-এর মাধ্যমে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। এতে ব্যয় হবে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকা। দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধিতিতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড সলিউশন লিমিটেডকে এই কাজ দেওয়া হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপদেষ্টা।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এ সংক্রান্ত কাজ নভেম্বর মাসের ৪র্থ সপ্তাহে শুরু করার নির্দেশনা থাকায় সময় স্বল্পতার জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিপিআর ২০২৫ এর বিধি-৯৯(১) (ঠ) এবং পিপিএ ২০০৬ এর ৬৮ ধারা অনুসারে ২০২৫-২৬ সালের উৎসবমুখর নির্বাচনী প্রচারণা বাস্তবায়নে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড সলিউশন লিমিটেডকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব নিয়ে আসে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এ বাবদ দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।

এছাড়া নির্বাচনের আগে আনসার-ভিডিপির জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আনসার-ভিডিপির জন্য প্রায় ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে। এটা অনেক পুরোনো হয়ে গিয়েছিল এবং যে দামে আমরা পেয়েছি, এটা বেশ সাশ্রয়ী দামে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার ব্যাপারে পর্যালোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে তো ছিল অনেকগুলো করবে, সে জন্য আমরা বলেছি যে, আপনারা পর্যালোচনাটা করে আসেন। মূল্যটা আনবেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রকিউরমেন্টটা কীভাবে করবেন—একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যেন প্রকিউরমেন্টটা হয়। বডি ক্যামেরা আসবে, হয়তো এখন ওরা একটু র‌্যাশনাল হিসেবে আসবে। উচ্চাকাঙ্ক্ষীভাবে বডি ক্যামেরা...শুধু সেনসিটিভ যেসব জায়গা আছে, ওইখানে আমরা সাজেস্ট করেছি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাজেস্ট করেছেন, আমরা সব জায়গায় বডি ক্যামেরা ইস্যু করতে পারবো না। এগুলো মনিটরের ব্যাপার আছে, ছবি আসবে, সেটার অ্যাকশন নিতে হবে তো!’

তবে কত সংখ্যক ক্যামেরা কেনা হবে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি অর্থ উপদেষ্টা।

বাজার স্থিতিশীল রাখতে রোজার আগেই চাল-গম আমদানি করা হবে বলে জানান সালেহউদ্দিন। তিনি আরও বলেন, ‘বাকিগুলো ক্রমান্বয়ে আনা হবে। ইতোমধ্যে এলসি (ঋণপত্র) খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকে লিবারেল হয়েছে। গতবার যেটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এবার এটা কন্টিনিউ করবে, যাতে করে দামটা সহনীয় হয় রোজার সময়।


এবার রেকর্ড সংখ্যক তরুণ ভোট দেবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক তরুণ তাদের প্রথম ভোট দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন,এটি আমাদের সবার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। উত্থানের সময় যারা ঢাকা এবং অন্য শহরের দেয়াল গ্রাফিতি ও চিত্রকর্মে ভরে তুলেছিল, সেই তরুণরা এবার ভোট দিতে আসবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ভাইস-মিনিস্টার প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিগত স্বৈরশাসনের অধীন তিনটি কারচুপির নির্বাচনে ভোট দিতে না পারা রেকর্ডসংখ্যক তরুণ এবার তাদের প্রথম ভোটটি দেবে।

ড. ইউনূস জানান, তার সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। এই কারণে আওয়ামী লীগ আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকালে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা কৃষি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন। বিশেষ করে, যুব ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড তৈরির সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হয়।

ডাচ ভাইস-মিনিস্টার প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস বাংলাদেশের নির্বাচন প্রস্তুতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এত অল্প সময়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়।

তিনি বাংলাদেশের নতুন শ্রম আইনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এই আইন ডাচ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সহায়ক হবে। ডাচ মন্ত্রী জানান, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করার পরিকল্পনা করছে এবং শিগগিরই এটি সই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস মন্তব্য করেন, ‘৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস উন্নয়ন অংশীদার ছিল। এখন আমরা এই সম্পর্ককে রাজনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগে একটি সম-অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করতে চাই।’

যেসব ডাচ কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে পণ্য কিনছে, তারা এখন বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ এবং কাজ করার জন্য আগ্রহী, যোগ করেন তিনি।


বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ মাসে  সাড়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি 

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে গত ৪ মাসে বেনাপোল বন্দরে এসেছে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল। গত ২১ আগস্ট ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চালের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ২১ আগষ্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ মাসে প্রায় ১৪৫টি চালানের বিপরীতে ৩৯৫টি ট্রাকে করে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন মোটা চাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে।

দেশে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ সরকার দেশের সব বন্দর দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। অর্থ্যাৎ আগষ্ট মাসে ১২৬০ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ৫ হাজার ১৮৮ মেট্রিক টন এবং নভেম্বরে ১ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। আমদানি করা চাল ছাড় করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চার থেকে পাঁচটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাজ করছে। বন্দরের ৩১ নম্বর শেডে আমদানি করা চালের খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি বাবলুর রহমান বলেন, ‘চাল আমদানির শুরু থেকে আমরা কাস্টমস হাউজে চাল ছাড়করণের জন্য কাজ করে আসছি। চার মাস পর গত ২১ আগস্ট থেকে পুনরায় ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।

বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জানান, গত ২১ আগস্ট থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। কিছুদিন বাদে বাদে এ সমস্ত চালের চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।প্রতিদিন চালের চালান আসেনা। গত আগষ্ট মাসে চাল আমদানি শুরুর দিকে চাল আমদানির পরিমান বেশি থাকলেও বর্তমানে অনেকাংশে কমে গেছে। তবে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হওয়ায় চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে চালের দামে তেমন একটা প্রভাব পড়বেনা বলে তিনি মনে করেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলে গত ২১ আগস্ট থেকে আবার চাল আমদানি শুরু করে। অর্থ্যাৎ ২১ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। বর্তমানে চাল আমদানি কমে গেলে ও তেমন সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছে। এ ধান বাজারে আসলে চালের দাম কমে আসবে এবং দেশে চালের ঘাটতি পূরন হবে।

বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ৪ মাসে ভারত থেকে ১৪৫টি চালানে ৩৯৫টি ট্রাকে করে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। আমদানি করা চাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


পাবনায় ক্যান্সারে আক্রান্ত মেয়েকে বাঁচাতে বাবার আকুতি 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

ঘাতক ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু নুসরাত জাহান। তার বয়স ৭ বছর। সে উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের দরিদ্র আশরাফ আলীর মেয়ে ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। অসুস্থ নুসরাত বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জীবন বাঁচাতে এখন প্রতিদিন তাকে কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে।

এদিকে মেয়ের এমন অসুখে পরিবারের সবার কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ! সংসার চালাতে যেখানে হিমশিম খেয়ে হয়, সেখানে অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার যোগান দেওয়া দরিদ্র পরিবারের পক্ষে কীভাবে সম্ভব তাই নিরূপায় হয়ে বাবা আশরাফ আলী মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জানা যায়, বেশ কিছু দিন আগে নুসরাত হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিএমটি, হেমাটোলজী ইউনিটের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা মোঃ কামরুজ্জামানকে দেখানো হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানা যায় নুসরাত ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত।

মেয়েটির বাবা আশরাফ আলী জানান

মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা যোগাড় করা তার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই তিনি মেয়ের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চান।

চাচা রেজাউল করিম জানান ঠিক মতো চিকিৎসা পেলে নুসরাত সুস্থ হয়ে উঠবে বলে

চিকিৎসক তাদের জানিয়েছেন।

তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে নুসরাতের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ও ওষুধ পত্রসহ প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। কিন্তু এতো টাকা যোগান দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

আদাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আল আমিন হোসাইন বলেন-নুসরাতের বাবা খুব দরিদ্র মানুষ। তার পক্ষে এতো টাকা খরচ করে মেয়ের চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে মেয়েটিকে বাঁচানো যেতে পারে।


বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিজয় দিবসে এবার প্যারেড হবে না। উদযাপন নিয়ে কোন ধরনের নাশকতা বা অস্থিরতাও নেই। আগের চেয়ে অনেক বেশি হবে কর্মসূচি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তবে গত বছরও বিজয় দিবসের প্যারেড হয়নি।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া ডিবি পরিচয়ে সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বিষয়টি তার জানা ছিলো না, তদন্তের পর জানাতে পারবেন।


জামায়াত-এনসিপিসহ ৬ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ ৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় এই সংলাপ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে সংলাপটি। পরে ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদসহ ছয় দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), ইনসানিয়াত বিপ্লব, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।

এ ছাড়া দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি-(বিআরপি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-এর সঙ্গে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।


ঘরে বসে মেট্রো রেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে ২৫ নভেম্বর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার মেট্রো রেলের স্থায়ী কার্ড এখন থেকে যাত্রীরা ঘরে বসেই রিচার্জ করতে পারবেন। ২৫ নভেম্বর থেকে চালু হতে যাওয়া এই সেবা ব্যবহার করে ব্যাংকের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই টাকা ভরা যাবে।

প্রধান উপদেষ্টা (সড়ক, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয়)-এর বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই সেবা উদ্বোধন করবেন। শুরুতে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ওয়েবসাইটের লিঙ্কের মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে, পরবর্তী সময় একটি অ্যাপের মাধ্যমে একই সেবা পাওয়া যাবে।

ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রীদের স্টেশনে লাইন ধরে কার্ড রিচার্জ করতে হবে না। সময় বাঁচবে এবং ভোগান্তি কমবে।

অনলাইনে রিচার্জের পর কার্ডটি স্টেশনে থাকা ‘অ্যাড ভ্যালু মেশিন’ (এভিএম) এ স্পর্শ করিয়ে হালনাগাদ করতে হবে। একবার স্পর্শ করানোর পর, কার্ডের টাকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর স্পর্শের প্রয়োজন নেই।

বর্তমানে মেট্রো রেলে দুই ধরনের স্থায়ী কার্ড ব্যবহার হচ্ছে—ডিএমটিসিএলের এমআরটি পাস এবং ডিটিসিএর র‍্যাপিড পাস। নতুন ব্যবস্থায় উভয় কার্ডের জন্যই অনলাইন রিচার্জ করা সম্ভব।

ডিটিসিএর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি স্টেশনের দুটি স্থানে এভিএম যন্ত্র বসানো হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে মোট ৩২টি যন্ত্র বসানো হবে।

মেট্রো রেলের যাত্রী সুবিধা সম্প্রসারণে এই উদ্যোগ বড় ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ শতাংশ যাত্রী র‍্যাপিড বা এমআরটি কার্ড ব্যবহার করেন। অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হলে দৈনিক যাত্রী চলাচলের গতি আরও বাড়বে।


দেশের বাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম, ভরি ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে টানা অস্থিরতার পর অবশেষে মূল্যবান ধাতুটির দামে দেখা গেল স্বস্তির ছোঁয়া। দেশের বাজারে আরেক দফা কমেছে স্বর্ণের দাম। দেশের বাজারে সবশেষ ৫ দফা দাম সমন্বয়ে ৩ বারই বেড়েছে স্বর্ণের দাম। তবে সবশেষ টানা ২ দফায় কমানো হয়েছে মোট ৬ হাজার ৮১১ টাকা। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

সবশেষ গত ১৫ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ৫ হাজার ৪৪৭ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৭১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা ১৬ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৮ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৩ বার, আর কমেছে মাত্র ২৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।


শেখ হাসিনাকে ফেরাচ্ছে না ভারত: বিবিসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ভারতের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বিবিসিকে আভাস দিয়েছেন, এই রায়ের ফলে শেখ হাসিনাকে নিয়ে দিল্লির অবস্থান আদৌ বদলাচ্ছে না এবং তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ারও প্রশ্ন উঠছে না।
বস্তুত শেখ হাসিনা এই পর্বে যখন থেকে ভারতে পা রেখেছেন, মানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত তাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ভারতের অবস্থান একই রয়েছে। সেটি হলো – একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে ভারতে ‘সাময়িক’ (ফর দ্য টাইম বিয়িং) আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, এর বেশি কিছু নয়।
গতকাল বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার পরেও ভারতের সেই অবস্থান অপরিবর্তিতই থাকছে। এর অর্থ, তাকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে, এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে এবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ঘোষিত রায়টি ভারতের নজরে এসেছে (নোটেড)। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং দেশটির জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি ও স্থিতিশীলতাকে ভারত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখে।
এ অঞ্চলে দীর্ঘদিনের অভিন্ন ইতিহাস ও সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ভারত জানিয়েছে, বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করতে তারা সবসময় গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক।
ভারতের বিবৃতিতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক, ভারতের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশের সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে ইতিবাচক ও কার্যকর যোগাযোগ বজায় রাখা—যাতে দেশটির স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়।


যেসব প্রশ্ন থাকবে গণভোটের ব্যালটে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হবে একই দিনে। গত ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ভাষণের আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ আদেশ জারি করেন।

চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে হবে গণভোট। গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে জনগণ মতামত জানাবেন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে আগামী সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে (পিআর পদ্ধতি) ১০০ সদস্য নিয়ে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।

চারটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া গণভোটের ব্যালটে কী ধরনের প্রশ্ন থাকছে—এ নিয়ে প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি প্রশ্ন প্রকাশ করা হয়।

‘জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নে’ উল্লেখ করে বলা হয়, আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?

ক. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

খ. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

গ. সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

ঘ. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।


দণ্ডিত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ এনসিএসএ’র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো দণ্ডিত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার না করতে গণমাধ্যমগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ)।

সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন।

এতে বলা হয়, এনসিএসএ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, দেশে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে। প্রচারিত এসব বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) বিঘ্নিত করার পাশাপাশি সরাসরি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ সৃষ্টির আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর নিয়মাবলীর পরিপন্থী। বিশেষত অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্য, যেগুলো দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, জাতিগত/ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় কিংবা সহিংসতার আহ্বান জানায়, সেসব তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

আরও স্পষ্টভাবে, অধ্যাদেশের ধারা ২৬ (১) অনুযায়ী, ‘ছদ্ম পরিচয়’ বা অবৈধ প্রবেশের মাধ্যমে যদি কেউ ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা প্ররোচনাকারী বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তা অপরাধ এবং দণ্ডনীয়। ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী, অপরাধীদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এনসিএসএ সাংবাদিকতা ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকে সম্মান করে। তাই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা, অপরাধমূলক, উসকানিমূলক বা আহ্বানমূলক যেকোনো বিবৃতি প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে এবং আইনি দায়বদ্ধতা বিবেচনায় রাখতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হলো।


চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খসড়া তালিকা অনুযায়ী ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন নাগরিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। আজকের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটার সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকার ভোটাররা আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৩ নভেম্বর হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল ইসি। সেই খসড়া অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ জন, এবং ১ হাজার ২৩০ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

নতুন প্রকাশিতব্য চূড়ান্ত তালিকায় যারা ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন, তারা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এর ফলে, তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারবেন।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, যারা ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন, তারা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ফলে তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজনের পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু করবে বলেও জানান তিনি।


‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন সন্ধ্যায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ সুগম করতে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটির উদ্বোধন করা হবে।

ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

উদ্বোধনের পরপরই অ্যাপটি ব্যবহার করে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটাররা তাদের নাম, ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম ওঠাতে পারবেন।

এই অ্যাপটি শুধুমাত্র প্রবাসীরা নন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভোটাররাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটাররা। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা। নিজ ভোটার এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা।


banner close