রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ধৈর্য ধরে সংঘাত নিরসনে কাজ করেছে পুলিশ: বিপ্লব

ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার। ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২৪ ১৭:২৯

ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে কোনো ধরনের সংঘাত যেন না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশে পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরে কাজ করছে।’

আজ রোববার গুলিস্তানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিপ্লব বলেন, ‘ডিএমপির সব ইউনিটের সব পুলিশ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা করা প্রয়োজন আমরা তাই করছি।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ কিংবা মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ চেষ্টা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যতটুকু ধৈর্য ধরা প্রয়োজন ততটুকু ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হয়েছে।’

ডিএমপির এ যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘শুরুতেই আমরা যদি কাউকে মারপিট করি সেটা সমাধান নয়। শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছি। পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরে, কোনো ধরনের সংঘাত যেন না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’

জনদুর্ভোগের বিষয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সব সদস্যের এজন্য অত্যন্ত কষ্ট হচ্ছে। যানজট কীভাবে নিরসন করা যায় এবং জনগণকে কীভাবে স্বস্তি দেওয়া যায় সে ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে।’

জনদুর্ভোগ যেন ন হয় সেজন্য শিক্ষার্থীসহ সবাইকে অনুরোধ জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।

বিষয়:

সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে

উপদেষ্টা হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি বলেন, পাশাপাশি আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে আলোচনা যাই– হোক, মতামত নেওয়া হবে সমন্বয়কদের। তাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সচিবালয়ে আজ রোববার ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে হাসান আরিফ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি হলো। এই এক মাসে কী কী বিষয় সংস্কার নিয়ে কাজ করেছেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে হাসান আরিফ বলেন, সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে মাথায় রাখতে হবে, সংবিধান তৈরি করতে এত সময় লেগেছে, ৫২ বছর ধরে যেটা বিদ্যমান আছে, সেটা তো মুখের কথায় সংশোধন হবে না। অনেক চিন্তা-ভাবনার বিষয়।

হাসান আরিফ বলেন, সংবিধানের ৫০টি জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক থেকে চতুর্থ সংশোধনী, এরপর পঞ্চদশ সংশোধনীর কথা বলতে চাই। চতুর্থ সংশোধনীতে এসে আটকে যাব। যার মাধ্যমে বাকশাল গঠিত হয়েছিল। একদলে রূপ নিয়েছিল। সেটা কি সংবিধানসম্মত ছিল? ধারাবাহিকভাবে মানুষকে জিম্মি করে রাখার প্রক্রিয়া ছিল। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে ছাত্র-জনতার মতামত নেওয়া হবে বলে জানান হাসান আরিফ।

তিনি বলেন, দাবিটি আসতে হবে ছাত্র-জনতার কাছ থেকে। তারা কী চায়? তারা কি নতুন কিছু চায়, নাকি পুরোনো সংবিধানকে সংস্কার চায়? এটা তাদের কাছ থেকে আসতে হবে। সমন্বয়কারীরা এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন।

এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘আপনি একজন উপদেষ্টা। আপনার মতামত কী?’ তখন হাসান আরিফ বলেন, ‘এটা জানতে চাইলে আমার চেম্বারে আসবেন।’ আগামী নির্বাচন কবে হবে, এ বিষয়ে আরেক সাংবাদিক জানতে চান। নির্বাচন ব্যবস্থার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। তখন হাসান আরিফ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কালকেই সব হয়ে যাবে, তা নয়। ছাত্র-জনতার বক্তব্য কী, তা দেখতে হবে। আপনারা সমন্বয়কদের কাছে যান। এসব প্রশ্নের উত্তর আসবে তাদের কাছ থেকে। তাঁদের প্রত্যাশা আমরা বাস্তবায়ন করব। আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কিছু যায় আসে না। আমিও চাই, আগামী নির্বাচন হোক সুষ্ঠু ও অবাধ।’

হাসান আরিফ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনা হলো। কিন্তু সেটা আবার বাতিল হয়ে গেল। ওটা তো ভালো পদ্ধতি ছিল। সেটাকে কীভাবে পুনরায় মানুষের সামনে আনা যায়, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সমন্বয়কদের মতামত কী, দেখতে হবে।’ সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার পর সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কি না- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান আরিফ বলেন, সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মত দেন তিনি।


শিশুরা বহু ভাষায় দক্ষ হলে সম্পদে পরিণত হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজকের শিশুদের বহু ভাষাভাষী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই তারা দেশের জন্য আগামীতে বড় সম্পদ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন পর্বে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি শিশুদের বহু ভাষাভাষী হিসেবে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘ভাষা ছাড়া অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। শিশুরা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারলে তাদের ডেভেলপ হতে সমস্যা হয়। তবে আমরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, আমরা এখন আন্তর্জাতিক নাগরিক। যোগাযোগ, যাতায়াত, অর্থনীতি, সবদিক বিবেচনায় পুরো বিশ্বটা এখন একীভূত বিষয় হয়ে গেছে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চা করা প্রয়োজন। ‘বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস২০২৪’-এর মূল কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অধিকার। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাক্ষরতা বিস্তারে এ সাফল্যের জন্য আমরা ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পেয়েছি। সাক্ষরতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অবৈতনিক শিক্ষা ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। শুধু অবৈতনিক শিক্ষা নয়, আমরা উপবৃত্তি দিচ্ছি, বইপত্র দিচ্ছি, স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা কোনো কোনো স্কুলে হচ্ছে; সেটিকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি।’ ‘আমরা শুধু মানুষকে সাক্ষরজ্ঞান করে তুলতে চাই না, তাদের দক্ষ হিসেবেও গড়ে তুলতে চাই। তারা যেন কর্মজীবনে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। সাক্ষরতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাক্ষরতার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন আসে’- বললেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটি ভালো প্রকল্প। পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া গেলে চেষ্টা থাকবে সেটিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া।’

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশের নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুজান ভাইজ প্রমুখ।

বিষয়:

আগস্টে ২৭২ কোটি ৬৮ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান জব্দ করেছে বিজিবি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অভিযানে গত আগস্ট মাসে ২৭২ কোটি ৬৮ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। আজ রোববার বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত আগস্ট-২০২৪ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ২৭২ কোটি ৬৮ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, ২৯ কেজি ১৩১ গ্রাম স্বর্ণ, ১৬ কেজি ৩০০ গ্রাম রূপা, ৩ কেজি ৬০১ গ্রাম সাপের বিষ, ১ লক্ষ ২১ হাজার ৫৫১টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ২৫ হাজার ৯২২টি ইমিটেশন গহনা, ১২ হাজার ১৮৩টি শাড়ী, ৪ হাজার ৫৭টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরী পোশাক, ২ হাজার ২৬১ মিটার থান কাপড়, ২ হাজার ২৭ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ৭৩১ কেজি ৫০০ গ্রাম চা পাতা, ৩ লক্ষ ৯১ হাজার ৪৩ কেজি চিনি, ১৭ হাজার ৩৮০ কেজি কয়লা, ১৯ হাজার ৪৩৯টি মোবাইল ডিসপ্লে, ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৩০৪টি চশমা, ১ হাজার ৩৬৬ কেজি ৫০০ গ্রাম জিরা, ৬টি ট্রাক, ১২টি পিকআপ, ৪টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৯টি ট্রলি, ১৯১টি নৌকা, ১৭টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৩৮টি মোটরসাইকেল এবং ৩২টি বাইসাইকেল।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩টি পিস্তল, ২টি গান জাতীয় অস্ত্র, ১টি মর্টার শেল, ১টি ম্যাগাজিন এবং ১৮ রাউন্ড গুলি। এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১২ কেজি ৯১৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৭ কেজি ৩৫ গ্রাম হেরোইন, ১৫ হাজার ৭২৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ৭৫৬ বোতল বিদেশি মদ, ৫৬৮ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ৮৫৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৩৭৭ কেজি ৫৮ গ্রাম গাঁজা, ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৮৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩৯ হাজার ৫৯৭টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩ হাজার ৯৮০ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১ কেজি ২৫০ গ্রাম কোকেন, ১ হাজার ৪৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২ লক্ষ ৮০ হাজার ১১৫টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ২০ বোতল এলএসডি এবং ৭ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৭০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৩ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১২৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ২২ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া৪ হাজার ৫০৬ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বিষয়:

১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সাক্ষীকে হাজির করার নির্দেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া নাইকো দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের সব সাক্ষীকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাজির করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া মামলার সাক্ষীদের জবানবন্দি বন্ধের আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

আইনজীবী জাকির আদালতকে বলেন, গত তিনটি শুনানিতে প্রসিকিউশন কোনো সাক্ষীকে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

আজ শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

গত বছর ১৯ মার্চ আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। এরপর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। গত বছর অক্টোবর মাসে কানাডা অ্যান্ড রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের দুই সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ সাক্ষ্য দিয়েছেন।


অসুস্থ হওয়ায় রিমান্ড শেষের আগেই কারাগারে শাজাহান খান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অসুস্থ হয়ে পড়ায় রিমান্ডের মেয়াদ শেষের আগেই সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আলী হায়দার কামাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রিমান্ডে থাকা অবস্থায় শাজাহান খান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার এসআই মো. খোকন মিয়া। শুনানি শেষে আদালত শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে কিশোর আব্দুল মোতালিব হত্যার মামলায় গত শুক্রবার শাজাহান খানকে আদালতের মাধ্যমে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে জিগাতলায় মোতালিব হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। তিনি ১৯৮৬ সালে প্রথম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।


ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে: ড. ইউনূস

রোববার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছাত্র সংগঠক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দরকার কিন্তু সেই সম্পর্ক হবে ন্যায্যাতা এবং সমতার ভিত্তিতে।

আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁও অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছাত্র সংগঠক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি প্রতিবেশীর সঙ্গে পারস্পারিক সমান সম্মান এবং ন্যায্যাতার ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি মাহফুজ আলম সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষাথীদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভারত-বাংলদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা দক্ষিণ এশীয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কাজ করতে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার


বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে উঠলে জনগণ সুফল পাবে: ধর্ম উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, এদেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষের অধিকার সমান। এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এটিকে সমুন্নত রাখা হবে। একটি বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে উঠলে জনগণ সুফল পাবে। আজ রোববার রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গৌরাঙ্গবাড়ী মন্দিরে দরিদ্র সাঁওতাল পরিবারের সদস্যদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা আসন্ন। রাজশাহী বিভাগের সনাতন ধর্মের লোকেরা যাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দূর্গোৎসব উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি উপাসনালয়ে বা পূজামণ্ডপে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা বাধাদান করে তবে আমরা তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করব। হামলাকারী যেই হোক, তাকে আমরা ছাড় দেব না। আইনের আওতায় এনে এদেরকে প্রচলিত আইনে শাস্তির প্রদান করা হবে।

পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় কমিউনিটির মানুষকে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণকে মন্দিরের নিরাপত্তায় পালাক্রমে পাহারার দায়িত্ব দিতে হবে। এতে দুষ্কৃতকারীরা পূজামণ্ডপে হামলা করার সাহস পাবে না। তিনি শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মন্দিরে বিধবা মহিলা ও অনাথ লালন-পালনের কার্যক্রম হাতে নেওয়ার অনুরোধ জানান।

স্থানীয় জনসাধারণের উদ্দেশে ড. খালিদ বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ান। আসুন, আমরা একে অপরের হাত ধরে প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি বৈষম্যহীন ও সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলি।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- নদওয়াতুল ইসলাম ক্বওমী মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মো. মোখতার আলী, গৌরাঙ্গ দেব মন্দিরের সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার ও ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সরকার অসীম কুমার উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে উপদেষ্টা রাজশাহী দারূস সালাম কামিল মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যুগ যুগ ধরে একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ এবং মূল্যবোধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্য লালনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। তিনি দেশের পরিবর্তনে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

পরে উপদেষ্টা ইসকন থেতুরিধাম পরিদর্শন করেন এবং গোগ্রাম পূজাতলা মন্দিরে স্থানীয় সাঁওতাল নৃগোষ্ঠীসহ দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। উল্লেখ্য, আল মারকাযুল ইসলামের সহযোগিতায় পাঁচশত পরিবারের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।


ডেঙ্গু যাতে বৃদ্ধি না পায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ডেঙ্গু যাতে বৃদ্ধি না পায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ও সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এফ হাসান আরিফ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

ডেঙ্গুবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সংস্কৃতি কর্মিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সচেতনতা বাড়াতে প্রতি শুক্রবার মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচারণা চালানো হবে। উন্নত দেশের ন্যায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গবেষণামূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে।

সংবিধান ও নির্বাচন ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচনী ব্যবস্থায় আস্থা ফিরিয়ে আনতে আলোচনা হচ্ছে। তবে সেটি কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। এক্ষেত্রে, ছাত্র-জনতার কাছ থেকে মতামত নিতে হবে। সংবিধান পুনর্লিখন, সংশোধন নাকি বাতিল করা হবে তা ছাত্র-জনতার মতামতের ওপর নির্ভর করবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে জিম্মি করে আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে দমন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এফ হাসান আরিফ বলেন, সংস্কার ১৫ দিনে করা যাবে না। এক্ষেত্রে সময় লাগবে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য করার ব্যবস্থা করা হবে। আগামী নির্বাচন কবে হবে ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি ছাত্র-জনতা ঠিক করবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ নিয়ে কাজ করছে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকার হচ্ছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল। এ বিষয়ে ছাত্র - জনতারও ভূমিকা আছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, একমাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি এটা ঠিক। জুলাই এর ঘটনায় পুলিশ দলীয়ভাবে নির্দেশ পালন করতে গিয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছে সেখান থেকে তারা এখনও বের হতে পারেনি। সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।

এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

জনগণের ভাষা না বুঝলে রাজনীতিতে টিকে থাকা যাবে না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে তা ধরে রাখতে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১ মাস কেমন গেলো, ভবিষ্যতে কেমন যাবে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আমীর খসরু বলেন, যারা জনগণের মনের ভাষা বোঝে না তারা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবে না।

আলোচনায় অংশ নেওয়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগিদ দেন। বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শও দেন তারা। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, স্পষ্ট করে আমরা বলতে চাই ছাত্র জনতার আকাঙ্খা এই রাষ্ট্র হবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। অন্য কেউ অন্য কিছু যদি চিন্তা করেন বাংলাদেশে, সেটা বাংলাদেশের মানুষ হতে দেবে না।

অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমীর খসরু জানান, দেশ ও জনগণের অধিকার ফেরাতে গত ১৫ বছর বিএনপির আন্দোলনের ধারাবাহিকতাতেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ মুক্ত। তিনি বলেন, ৩৫ বছরের নিচে যারা ৬৫ শতাংশ আছে জনসংখ্যা, তারা কি ভাবছে? এটা যারা বুঝবে না, আমি দুঃখের সাথে বলছি, আগামী দিনের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তাদের জন্য খুব বেশি জায়গা থাকবে বলে আমি মনে করি না।

এদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ এক মানববন্ধনে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিস্টকে আশ্রয় দিয়েছেন, তাকে ফেরত পাঠান। তাকে রক্ষা করার মধ্য দিয়ে আপনি (ভারত) গণতন্ত্রের স্বপক্ষে কোনো কাজ করতে পারবেন না। শেখ হাসিনার মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত একজন খুনি, লুটেরা এবং ফ্যাসিস্ট। এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা দেশ ও মানুষের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে বলেও দাবি বিএনপি নেতাদের।


তীব্র যানজট ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসীর জীবন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাওয়ায় ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকাতেও। সেই সঙ্গে রয়েছে শহরটির তীব্র যানজট।

আজ রোববার সকালে আকাশে মেঘের দেখা মিললেও কমেনি ভ্যাপসা গরম অনুভূতি। অন্যদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে বাড়তে থাকে গাড়ির চাপ। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয় যানজট।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান, পল্টন, মগবাজার, বাড্ডা সড়কে যানজট দেখা যায়। থেমে থেমে চলতে দেখা যায় গাড়ি। তীব্র গরমের সঙ্গে যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।

রাজধানীর পল্টনে কথা হয় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সদরঘাট থেকে গাড়িতে উঠেছি, এক ঘণ্টায় মনে হয় তিন কিলোমিটার আসছি। প্রতিটি মোড়ে সিগন্যাল। এর মধ্যে গরমে ঘামতে ঘামতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। বনশ্রী যাবো, পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে জানি না।

এখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, প্রতিদিন এই মোড়ে ঝামেলা হয়। কেউ কথা শোনে না। গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে গাড়ি আগায় না। যে যেভাবে পারে সিগন্যাল ছাড়াই ফাঁকা দেখলে চলে যায়।

রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে এক বাস চালক বলেন, রামপুরা ব্রিজ থেকে বাড্ডা লিংক রোড যেতে আধাঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কারণে এখন যানযট আরও বেড়ে গেছে। এর মধ্যে অসহনীয় গরম।

রাইড শেয়ারিংয়ের মোটারসাইকেলের চালক-যাত্রীদেরও গরম যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একজন পথচারীর বলেন, লোকাল বাসে ওঠা যাচ্ছে না। বাইরেও অনেক রোদ। বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক নেই, যা তা অবস্থা। আজ বের হয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছে তাপপ্রবাহ। দেশের দুটি বিভাগ ও পাঁচটি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় গরম আরও বাড়তে পারে।


স্বপ্ন পূরণের আগে দমে যেও না: ছাত্রদের উদ্দেশে ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমরা এর থেকে বেরিয়ে যেও না।

তিনি এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্রদের সার্বক্ষণিক কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। আজ রোববার তেজগাঁও অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছাত্র সংগঠক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সভার শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এ সময় হতাহতদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ড. ইউনূস। কাঁদতেও দেখা যায় তাকে।

অধ্যাপক ইউনূস গত ১৫ বছরের অপশাসনের কথা স্মরণ করে শিক্ষার্থীদের বলেন, এতদিন তারা চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে ছিলো এবং আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিলো। এরা কি এখন চুপচুপ বসে থাকবে। না, তারা খুব চেষ্টা করবে আবার তোমাদেরকে দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার। চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখবে না । কাজেই যে কাজ শুরু করেছো, তা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে যেও না।


আগস্টে কমল সার্বিক মূল্যস্ফীতি

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

এবছরের জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইং এর মূল্য ও মজুরি পরিসংখ্যান শাখা থেকে আগস্টের মূল্যাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে সার্বিক মূল্যাস্ফীতি ১.১৭ শতাংশ কমেছে।

বিবিএস জানায়, গত জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। যা আগস্টে কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৪৯ শতাংশে। এছাড়া আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১১.৩৬ শতাংশে, যা জুলাই মাসে ছিল ১৪.১০ শতাংশ। অন্যদিকে, খাদ্য বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। এ খাতে জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৬৮ শতাংশ, যা আগস্টে কিছু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৭৪ শতাংশে।

এর আগে জুলাই মাসে গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাসটিতে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়ে যায়। ওই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ১১.৬৬ শতাংশ। গত জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭২ শতাংশ।

অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়ায়। যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের এপ্রিলে ১৪.৩৬ শতাংশ। এরপর আর কখনো খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে ওঠেনি।


দেশের ২৭তম পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন

মো. জসীম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশের ২৭তম পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে মো. জসীম উদ্দিনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন কূটনীতিক জসীম। দেশে-বিদেশে অনেক জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্ত জসীম উদ্দিন। এর আগে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চীনে ও একই সঙ্গে মঙ্গোলিয়ায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।

২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাতারে এবং ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রিসে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় গ্রিসের পাশাপাশি মাল্টা প্রজাতন্ত্র ও আর্মেনিয়ায়ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জসীম উদ্দিন। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে; ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সিলর হিসেবে এবং ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব ও কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এর মধ্যে তিনি দেশেও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উইংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ছিলেন।

পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মডার্ন ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বছরব্যাপী কোর্সে অংশ নেন।

সদ্যবিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে বিদায় জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন আনুষ্ঠানিক বিদায় নেওয়ার একদিন পরই মাসুদ মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

বিগত সরকার ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে বা তার যোগদানের তারিখ থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আওতায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছিল।


banner close