রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৪ জুলাই, ২০২৪ ১৭:৫৮
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২৪ ১৭:৫৭

জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের জন্য দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে ফিরে এসে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এই ২৪ ঘণ্টা সময় পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ বলেন, আমাদের স্মারকলিপিতে আমাদের দাবি তুলে ধরে এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমরা ২৪ ঘণ্টার একটি সুপারিশ করেছি। আমরা চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদের অধিবেশন ডেকে আইন পাশের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক অথবা শুধু অধিবেশন ডাকা হোক। অর্থাৎ আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখতে চাই। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বা দায়িত্বশীল পক্ষ থেকে কী বক্তব্য বা পদক্ষেপ আসছে সেটা পর্যবেক্ষণ করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

নাহিদ বলেন, শাহবাগ থানায় আমাদের নামে যে অজ্ঞাতনামা মামলা করা হয়েছে, আমরা গতকাল বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা সেটি আরও ২৪ ঘণ্টা বাড়িয়ে দিচ্ছি আজকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি মামলা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে কিন্তু আমাদের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোর হবে। গত ১ জুলাই থেকে অবরোধ আর অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি নিয়েছি। কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস পাচ্ছি না। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আমরা নাকি বারবার দাবি পরিবর্তন করছি। কিন্তু আমাদের দাবি শুরু থেকেই স্পষ্ট। আমরা প্রথম দিন থেকে বলেছি, কোটা সংস্কারের এখতিয়ার সরকার এবং নির্বাহী বিভাগের। বরং সরকার দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। তাই আমরা চেয়েছি আইন বিভাগ বা জাতীয় সংসদের মাধ্যমে আইন পাশ করা হোক যাতে জনপ্রতিনিধিরা যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি বা বক্তব্য কখনো স্ববিরোধী নয়। দাবি উপস্থাপনের যত দরজা আছে সব দরজায় যাচ্ছি। কিন্তু আমাদেরকে ফেরানো হচ্ছে। আর বলা হচ্ছে আমাদের দাবি স্ববিরোধী। সরকার যদি প্রথম দিনেই আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করত তাহলে কিন্তু আমাদের এত জায়গায় যাওয়ার দরকার হতো না।

আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ওনার সামরিক সচিব আমাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, অতি দ্রুত তিনি এই স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দিবেন। সেখানে আমরা স্পষ্ট করে আমাদের এক দফা দাবি উল্লেখ করেছি। আমাদের প্রত্যাশা, অতিসত্বর আমাদের দাবি বাস্তবায়ন জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এর আগে আজ দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এক দফা দাবির স্মারকলিপি জমা দিতে বঙ্গভবনে যান। তবে তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। পরে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে তাদের স্মারকলিপি জমা দেন।

তার আগে তিন দফায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পৌঁছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে বঙ্গভবন অভিমুখে তাদের পদযাত্রা শুরু হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা টিএসসি, শাহবাগ, মৎস্য ভবন মোড় হয়ে শিক্ষা ভবন মোড়ে এলে প্রথম দফায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তবে সেখানে কোনো ব্যারিকেড দেওয়া ছিল না। পুলিশ মানব ব্যারিকেড তৈরি করলে সেটি ভেঙে জিপিও মোড়ের দিকে এগিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এখানেও ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীদের এখানে আটকে দেওয়া হয় এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধ করা হয় আর সামনে না যাওয়ার জন্য। পুলিশ তাদের ১২ জন প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব করে। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ১২ জন প্রতিনিধি বঙ্গভবনে যান ও বাকিরা জিপিও মোড়ে বসে পড়েন।


আস্তে আস্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই, আস্তে আস্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে। নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ভূমিকম্পের আর্লি ওয়ার্নিংয়ের ব্যবস্থা নেই। কোনো কোনো দেশে একটি অ্যাপ আছে, যেটি ভূমিকম্প হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগে ইন্ডিকেশন দিতে পারে। সে রকম অ্যাপ খোলা যায় কিনা এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে বিল্ডিং কোড মানতে হবে, নাহলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা আছে। জলাশয় ভরাট করে ফেলা হয়েছে, দাঁড়ানোর জন্য সেভাবে মাঠও নেই। রাজউককে এসব বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’


শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভূমিকম্পের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা আগামী ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে, সেজন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস সার্ভিস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) ডাকসুর ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দেন।

পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস সার্ভিস দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। প্রসেস চলমান রয়েছে।’ একই সঙ্গে কোন অঞ্চলের বাস সার্ভিসের চাহিদা বেশি, তা জানাতেও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ বিষয়ে আসিফ আব্দুল্লাহ বলেন, আগামীকাল (২৪ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস সার্ভিস দেওয়া শুরু হবে।

শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ও চাহিদার ভিত্তিতেই বাস বরাদ্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।


বিদেশে থাকা সম্পদের হিসাবও নির্বাচনী হলফনামায় দিতে হবে : দুদক চেয়ারম্যান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশি সম্পদের পাশাপাশি বিদেশে থাকা সম্পদের হিসাব বিবরণীও নির্বাচনী হলফনামায় দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।

রবিবার সকালে দুদক সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দুদক সম্পদের বিবরণী চাচ্ছে, সেখান বিদেশি সম্পদের হিসাব না দিলে তা অন্যায় হবে। পাশাপাশি অনুপার্জিত সম্পদ যাদের থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

দুদকের নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘২০০৮ সালে শেখ হাসিনার কৃষি সম্পত্তি ছিল ৫ দশমিক ২১ একর, তবে আমরা অনুসন্ধান করে পাই ২৯ একর। সে সময় দুদক সেটি তদন্ত করে বের করলেও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।’


সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, আরও ঘনীভূত হওয়ার আভাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামীকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে এবং সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনের মধ্যে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


গুমের দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তা ফের ট্রাইব্যুনালে

আপডেটেড ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের দুই মামলার মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গুমের মামলা দুটি হলো- টিএফআই এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতন। এসব মামলার পলাতক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

পরবর্তীতে ১১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় সেনাবাহিনী। আর ২২ অক্টোবর বুধবার সকালে বাংলাদেশ জেলের একটি বিশেষ প্রিজন ভ্যানে করে সাধারণ পোশাকে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয় । শুনানির পর তাদের ঢাকা সেনানিবাসের নির্ধারিত সাব জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এসব আসামিকে গ্রেপ্তার ও ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া গেছে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ‘অভিযুক্ত সেনা অফিসারদের গ্রেপ্তার ও বিচারে সোপর্দ করার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন কাজ করেছে, তেমনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদেরকে মনে করি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, তারা এই আদালতের (ট্রাইব্যুনালের) বিচারিক প্রক্রিয়াকে সাহায্য করেছে।’

তবে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা এখনো চাকরিতে বহাল রয়েছেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, রোববার যেসব সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে তারা হলেন, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।


গণভোটের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে চিঠি দিয়েছে সরকারদ: সিইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণভোটের প্রস্তুতি নিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস’ (এএনএফআরইএল) কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করা ইসির জন্য চ্যালেঞ্জিং জানিয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গণভোটের প্রস্তুতি নিতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করার জন্য এমন মুখোমুখি পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশন কখনও হয়নি।’

সিইসি বলেন, ‘আগের নির্বাচন কমিশনকে এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কারণ আইন মেনেই সব প্রক্রিয়া হচ্ছে। আমাদের দ্বিতীয় কোনও অপশন নেই।’

গণভোট প্রসঙ্গে সিইসি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আইন না হওয়া পর্যন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করতে পারবে না। আগামী সপ্তাহেই গণভোট আইনটি পাস করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইন পাস হলে, সেই আইন অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করবে। গণভোট হলে চারটি পয়েন্টেই হ্যাঁ/না ভোট হবে।’

পোস্টাল ভোটিং সুবিধা নিয়ে তিনি জানান, যাচাই-বাছাই ছাড়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে এই সুবিধা দেওয়া যাবে না। কারণ, অন্য দেশের লোকেরাও বিদেশে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করার নজির রয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে কমিশনের প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমিশন প্রস্তুত বলে তিনি দৃঢ়ভাবে জানান।

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচার রোধ করা কঠিন হবে।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি যদি সমঝোতা ও সহযোগিতামূলক হতো, তবে কমিশনের কাজ আরও সহজ হতো বলেও জানান তিনি।

এদিকে একই দিন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘সরকার চিঠি দিয়ে জানিয়েছে গণভোট করা ইসির দায়িত্ব। এক্ষেত্রে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার জন্য বলা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি ও গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধের মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী একই দিনে দুই ভোটের প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিলো অন্তর্বর্তী সরকার।

আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তপশিল দিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি আগে থেকেই নিচ্ছিল ইসি। এই অবস্থায় একই দিনে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা আসায় সেজন্য বাড়তি প্রস্তুতিও নিতে হবে সাংবিধানিক সংস্থাটিকে। এখন গণভোট অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে অধ্যাদেশ এলে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি পর্বকে ঢেলে সাজাবে তারা। এ জন্য আরেক দফা নির্বাচনী রোডম্যাপও ঘোষণা করার প্রস্তুতিও রয়েছে।


সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর: প্রধান বিচারপতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলেনি। বরং জনজীবনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সাড়া দেওয়ার মানসিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।’

শনিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন, বাংলাদেশ’-শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশকে তার সাংবিধানিক জীবনের ব্যাকরণ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, আইনের শাসন কোনো আমলাতান্ত্রিক রীতিনীতি বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অলংকার নয়। বরং আইনের শাসন হলো-সাংবিধানিক ব্যবস্থার একটি নৈতিক পাঠ, যা ন্যায্যতা, যুক্তি এবং জনগণের সম্মতির ওপর ভিত্তি করে। এটি অধিকারের মাধ্যমে, সীমাবদ্ধতার মাধ্যমে, শাসিতদের যে মর্যাদা প্রদান করে তার মাধ্যমে এর দিকে ইঙ্গিত করে।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলে নাই, বরং এটি সংবিধানের প্রতি আমাদের আনুগত্য ও দায়িত্ববোধকে শুদ্ধ করার আহ্বান জানিছে। ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং অতীতের কাটা-ছেঁড়ার পরও বর্তমান সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর।

প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের জন্য তার ঘোষিত রোডম্যাপের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সংস্কার রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়। এটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকে কাঠামো দেওয়ার প্রচেষ্টা। রোডম্যাপে তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রীকরণ ও বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক পৃথককরণের বিষয়ে বিশদভাবে তুলে ধরেছিলেন। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েক মাস ধরে অভূতপূর্ব বিচারিক রোডশোর একটি ধারাবাহিকতায় রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত করছি। বিচারক নিয়োগে বিধান প্রণয়নসহ ইতোমধ্যে নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগ পৃথককরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারিসহ অন্যান্য পদক্ষেপের কথা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।


ভারত আইনগতভাবে হাসিনাকে প্রত্যর্পণে বাধ্য

এ এন এম মুনিরুজ্জামান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস)-এর সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মুনিরুজ্জামান বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ভারত প্রায় আইনগতভাবেই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য।

ঢাকায় বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের এক অধিবেশনে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় ভারত প্রায় আইনগতভাবেই তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য।

তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে ভারতকে বাংলাদেশের আইনগত প্রক্রিয়াকে সম্মান জানিয়ে বিলম্ব ছাড়াই হাসিনাকে ফেরত পাঠানো উচিত।

তিনি আরও বলেন, যদি ভারত আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন, নীতি ও শৃঙ্খলাকে সম্মান করে, তবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে তাদের বাংলাদেশের আইনগত ব্যবস্থাকেও সম্মান জানানো উচিত।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামান বলেন, হাসিনার বিচার আন্তর্জাতিক আইনগত মানদণ্ড পূরণ করেছে। আর এটাই এমন একটি আইনগত ব্যবস্থা যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্মান করা উচিত।

তিনি বলেন, যদি সেই সম্মান থাকে, তবে সব দিক থেকেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি বাংলাদেশ দণ্ডিত ভারতীয় নাগরিকদের আশ্রয় দিত এবং আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও ফেরত না পাঠাত, তবে ভারত কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাত।

তিনি বলেন, যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের আইনে দণ্ডিত যে কোনো ব্যক্তিকে ভারত আইনগতভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য। আর সব দিক থেকেই আমরা দাবি করি, নয়াদিল্লি যেন তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।

‘ফ্র্যাকচার্ড অর্ডার্স, ফ্লুইড লয়্যালটিজ: পাওয়ার পলিটিক্স ইন দ্য পোস্ট-অ্যালাইনমেন্ট এজ’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার টেইলরস বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলিয়া রোকনিফার্ড, আগোরা স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের জোভান রাটকোভিচ, ব্রাজিলের গেটুলিও ভারগাস ফাউন্ডেশনের (এফজিভি) লিওনার্দো পাজ নেভেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মারিয়ান ভিডাউরি। আলোচনাটি পরিচালনা করেন জার্মানির আরটিএল নর্ড-এর ডেভিড প্যাট্রিশিয়ান।

হাসিনার প্রথম প্রত্যর্পণ অনুরোধ এখনও মীমাংসিত হয়নি, যদিও নয়াদিল্লি এ ব্যাপারে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছে।

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক রায়ের পর ভারতকে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে দন্ডিত শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘অবিলম্বে হস্তান্তর’ করার আহ্বান জানিয়েছে।

গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতার দায়ে উভয়কে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।

রায় ঘোষণার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্য কোনো দেশে আশ্রয় দেওয়া হবে গুরুতর ‘অমিত্রসুলভ’ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।’ সূত্র: বাসস


ভুটা‌নের প্রধানমন্ত্রীর স‌ঙ্গে পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টার সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের স‌ঙ্গে সাক্ষাৎ ক‌রে‌ছেন অন্তর্বর্তী সরকা‌রের পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা মো. তৌ‌হিদ হো‌সেন। হো‌টেল ইন্টার ক‌ন্টি‌নেন্টা‌লে ভুটা‌নের প্রধানমন্ত্রীর স‌ঙ্গে সাক্ষাৎ ক‌রে‌ন তিনি।

ভুটা‌নের প্রধানমন্ত্রীর স‌ঙ্গে পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টার সাক্ষাতের তথ‌্য জানিয়েছে প্রধান উপ‌দেষ্টার প্রেস উইং ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ত‌বে তা‌দের সাক্ষা‌তের আলোচনার বিষ‌য়ে কো‌নো তথ‌্য জানা‌নো হয়‌নি।

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তোবগে। বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।

আজ বেলা ৩টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তোবগের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সন্ধ্যায় তিনি তার সম্মানে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন।


জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে সমাবেশ, সড়ক অবরোধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্ত করার অপচেষ্টা বন্ধ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেছে বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করা হয়। এর ফলে পল্টন মোড় থেকে কদম ফোয়ারামুখী সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এরপর যানবাহনগুলোকে ডাইভারশন করে বিজয় নগর কাকরাইল সড়কের দিকে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় পরিদর্শক (পেট্রোল) বুলবুল আহমেদ বলেন, নার্সদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পল্টন মোড় থেকে যানবাহনগুলোকে ডাইভার্সন করে কাকরাইল রুটের দিকে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা শিগগিরই সড়ক ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে নার্সদের জন্য সৃজনকৃত সব পদে জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য নার্স কর্মকর্তা পদায়ন করা হোক। ১৯৭৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নার্স কর্মকর্তারাই নার্সিং শিক্ষা, প্রশাসন ও নার্সিং সেবা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে প্রশাসন ক্যাডার থেকে মহাপরিচালক ও পরিচালক নিয়োগ হওয়ার পর থেকে নার্সরা বদলি, পদোন্নতি, নার্স নিয়োগ ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবর্ণনীয় হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন।


সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে প্রস্তুত কমিশন : ইসি সানাউল্লাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতৎপরতা ও এআইয়ের অপব্যবহার ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে প্রস্তুত ইসি।

শনিবার সকালে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস এর কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঐতিহাসিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রেকর্ডসংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি।


জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের শ্রদ্ধা নিবেদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে শনিবার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বেদিতে ফুল অর্পণ করেন, দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং পরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রুকএয়ারের একটি ফ্লাইটে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে স্বাগত জানান। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতা সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী তোবগে শুক্রবারের ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

বৈঠকের পর তাকে তোপধ্বনি এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বিমানবন্দর আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন।

আজ দুপরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য উপদেষ্টাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশ নেবেন। সন্ধ্যায় তার সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজনও করা হবে।


নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন হতে চলেছে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

তিনি বলেন এবারের নির্বাচনে অংশীদার হতে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক অংশ নেবেন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পুণ:সূচনা হবে।

শনিবার সকালে রাজধানীর হোটেল লেকশোর হাইটসে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একটি কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ ধরে প্রায় ৬০ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ ব্যাপারে দিনক্ষণ সুনির্দিষ্ট না হলেও ইসির হিসাবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে তফসিল ঘোষণা।


banner close