রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
১১ কার্তিক ১৪৩২

কোটা নিয়ে আপিল শুনানি রোববার

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৪ ২০:০২

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আগামী রোববার (২১ জুলাই) দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ওইদিন এ বিষয়ে শুনানি হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ চেম্বার জজ আদালত শুনানির জন্য এদিন ঠিক করেন। যদিও এর আগে গত ১০ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ঠিক করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এর আগে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপি পেয়ে ১৬ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলের অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্র লিভ টু আপিল করেছেন বলে সাংবদিকদের জানান অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন।

গত রোববার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। সে রায়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি, নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি–ক্ষুদ্র নৃ জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটাসহ (যদি অন্যান্য থাকে) সব কোটা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, ‘প্রয়োজনে উল্লেখিত শ্রেণির ক্ষেত্রে কোটা পরিবর্তন ও হার কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে এ রায় বিবাদীদের জন্য কোনো বাধা তৈরি করবে না। যেকোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটাপূরণ না হলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করায় বিবাদীদের স্বাধীনতা রয়েছে।’

এদিকে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া এই রায় স্থগিত চেয়ে ঢাবির দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ কোটা নিয়ে আইনি বিরোধের বিষয়বস্তুর ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) দেন। সেই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (সিপি) করেতে বলা হয় এবং পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। যেখানে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫ ও প্রতিবন্ধীর ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়।

এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এই রায়ের পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে সরকার। অন্যদিকে চলমান আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।


মেট্রো লাইনের বেয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর নিহত, চলাচল বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রো লাইনের বেয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী যুবকের নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিহত যুবকের নামপরিচয় জানাতে পারেনি।

রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ওই পথচারীর মারা যায় বলে জানান তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন।

তিনি বলেন, ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনের নিচে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে এক পথচারী হেঁটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় উপর থেকে বেয়ারিং প্যাড তার মাথার উপরে পড়লে তিনি স্পট ডেড হন।

এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বেয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্টেশন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। বর্তমানে মেট্রো চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মরদেহ উদ্ধার করে এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও ‍জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেয়ারিং পড়ে একজন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ফুটপাতে একটি চায়ের দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ফার্মগেট ও বিজয় সরণির একটি অংশে মেট্রো লাইনের ভায়াডাক্টের চারটি স্প্রিং থেকে একটি স্প্রিং সরে যায়।

উল্লেখ্য, বেয়ারিং প্যাড বিশেষ ধরনের রাবার দিয়ে তৈরি উপাদান, যা পিয়ার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো হয়।


নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চলের একটি গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার সকালের এ ঘটনায় দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- কারখানাটির শ্রমিক আলআমিন (৩০), আজিজুল্লা (৩২), সেলিম (৩৫), জালাল মোল্লা (৪০), নাজমুল হুদা (৩৫) এবং সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ (৩৫)।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কারখানাটির নিচ তলায় কাজ করছিলেন ওই শ্রমিকেরা। এক পর্যায়ে গ্যাস লাইন থেকে বিকট একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সবার অবস্থাই গুরুতর। দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা উপদেষ্টা পরিষদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।

রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।

বৈঠকে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা হলেন ফারুক-ই-আজমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে–

১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা নেওয়া।

২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

৩. নারী ও শিশুনির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া।

৬. গারমেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।

৭. গারমেন্টস কারখানা, ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।

৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানোর বিষয়ে আলোচনা।

৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।

১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।

১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা।


বোয়ালখালীতে বিরল দৃশ্য; মগভর্তি পানি খেল বিষধর গোখরো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে মগ ভর্তি পানি পান করছে এক বিষধর খৈয়া গোখরো সাপ— এমন বিরল দৃশ্য দেখা গেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার কালায়ারহাট বাদামতল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

‘স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ’-এর সদস্য অয়ন মল্লিক জানান, স্থানীয় এক ওঝা সাপটি দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করছিল। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করেন।

অয়ন বলেন, “সাপটি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। পরে আমি মগ ভর্তি পানি দিলে সেটি ধীরে ধীরে পান করতে থাকে।”

তিনি আরও জানান, ওঝা সাপটির বিষদাঁত ভেঙে ফেলে এবং ভেনম গ্ল্যান্ড (বিষ থলি) কেটে দিয়েছে। বর্তমানে সাপটি পর্যবেক্ষণে আছে। সুস্থ হলে সেটি বনে অবমুক্ত করা হবে।

উল্লেখ্য ,খৈয়া গোখরো সাপ সাধারণত চট্টগ্রাম অঞ্চলে খুব একটা দেখা যায় না।


মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে টেকনাফে নারী আহত, সীমান্তে আতঙ্ক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে কক্সবাজারের টেকনাফে ছেনুয়ারা বেগম (৩৫) নামে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন লম্বাবিল গ্রামের বাঘঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছেনুয়ারা বেগম স্থানীয় বাসিন্দা আক্তার হোসেনের স্ত্রী। পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছেনুয়ারার স্বামী আক্তার হোসেন বলেন, “বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ আমার স্ত্রীর পায়ে গুলি লাগে। এখন সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন। তিনি বলেন, “মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে নারী আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

এ ঘটনার সময় স্থানীয় একটি দোকানের ছাউনিতেও গুলি বিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের ওপারে মংডু জেলার ঢেকুবনিয়া এলাকায় নিয়মিত গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

স্থানীয় শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, “সম্প্রতি ওপারে সংঘর্ষ বেড়েছে। আমরা সীমান্তের লোকজন আতঙ্কে আছি। প্রশাসন ও বিজিবির আরও কঠোর নজরদারি দরকার।”

বিজিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটছে এবং এ ঘটনায় বাংলাদেশের এক নারী আহত হয়েছেন। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সার্বক্ষণিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।


নতুন বাংলাদেশের জন্য শারীরিক-মানসিক সুস্থতার কথা ভাবতে হবে: শারমীন এস মুরশিদ

ন্যাশনাল নিউট্রিশন ও ওয়েলনেস সামিটবিষয়ক কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গতকাল বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুস্থ ভ্রুণের জন্ম দিতে নিউট্রিশন এবং মেন্টাল হেলথকে এগিয়ে নিতে তরুণ সমাজকে দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দিয়ে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নতুন বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা ভাবতে হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ন্যাশনাল নিউট্রিশন ও ওয়েলনেস সামিট বিষয়ক দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, আগামীর বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশের কথা ভাবতে হলে অবশ্যই ভাবতে হবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা। একটি সুস্থ ভ্রুণের জন্ম দিতে নিউট্রিশন এবং মেন্টাল হেলথকে এগিয়ে নিতে তরুণ সমাজকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ইসলাম আমাদের যে প্রথম শিক্ষা দেয় সেটা হলো- সবাইকে নিয়ে চলা, সবাইকে সম্মান করা এবং সবাইকে গ্রহণ করা। সব ধর্মের মানুষকে নিয়েই আমার বাংলাদেশ। তোমরা যারা আজ তরুণ প্রজন্ম, তোমাদের মধ্যে বোধোদয়ের উন্নতি ঘটাতে হবে, তোমাদের সামাজিক কাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তাহলে তোমরা সমাজে সবাইকে নিয়ে চলতে পারবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। বাংলাদেশে শতকরা ৫০ ভাগের ঊর্ধ্বে তরুণ সমাজ। তোমাদের হাতেই এ দেশের ভবিষ্যৎ।’

‘তোমরা যারা সামাজিক সংগঠন করো তোমাদেরকে নতুন করে ভাবতে হবে, ভেঙে যাওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ, সেই সমাজে একটা নতুন করে বাঁচার আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা, একটা সুস্থ, সুন্দর দেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা। সেই যে স্বপ্ন আমাদের ৫৪ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছি। হারিয়ে যাওয়া সেই স্বপ্ন বার বার আশাহত হওয়া জনগণ, আশাহত তরুণ এবং চব্বিশে ফেটে পড়া সেই রাগ ছিল তরুণদের ন্যায্য অধিকার, যা তারা বড়দেরকে আঙ্গুল দিয়ে শিখিয়ে দিয়ে গেছে’, যোগ করেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান এবং সেরাক বাংলাদেশ সংগঠনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম সৈকত বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে যুব সংগঠনের নিরাপদ এলায়েন্সের ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিন সাদাব লিয়ান, সাধারণ সম্পাদক মাসুম মুহাম্মদসহ, আনকোরা, মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, হার্টওয়াইজ, নিউট্রিশন, নিউট্রিফিকেশন ও নিরাপদ অ্যালায়েন্সের সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ড, তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম

আপডেটেড ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে কারণ ও দায় নির্ধারণে সহায়তা করবেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। ফায়ার সার্ভিস ফেল করেনি। তারা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ করেছে। এয়ারপোর্ট অথরিটির চারটি ইউনিট চার মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফায়ার ব্রিগেডের ইউনিটগুলোও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আসে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারণ ওই জায়গায় খাদ্যপণ্য বেশি ছিল, কেমিক্যাল নয়।

তিনি আরো বলেন, বিমানবন্দরে ইলেকট্রনিক গেট স্থাপন দ্রুত চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত ভোগান্তি কমাতে সরকার পদক্ষেপ নেবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিটের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যে ফায়ার ইউনিট বিমান পরিচালনার জন্য থাকে, সেটি কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে—এতে কোনো সমস্যা নেই। যেমন আমরা বাসায় যে পোশাক পরি, তা প্রয়োজনে পরে আত্মীয়ের বাড়িতেও যাওয়া যায়।

এ সময় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


আমেরিকা থেকে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে গম আমদানি শুরু 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আলোকে বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে, যার প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গমবাহী জাহাজ আজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙরে পৌঁছেছে।

জাহাজে রাখা গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন চট্টগ্রামে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৮৯ মেট্রিক টন গম মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।


জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : ড. ইউনূস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শান্তি ও বহুপাক্ষিকতার যৌথ আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জাতিসংঘকে ক্রমাগত বিকশিত হতে হবে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘যদি জাতিসংঘ আমাদের সবার শান্তি ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে অভিযোজিত হতে হবে। আমরা জাতিসংঘ সংস্কারের পক্ষে— যাতে এটি আরও গতিশীল, সমন্বিত এবং পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবার প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়।’

প্রধান উপদেষ্টা ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। এ বছর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনে আমরা অঙ্গীকার করছি যে, জাতিসংঘ সনদে কল্পিত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ে তুলতে বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।’

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ, জাতিসংঘ সব অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ‘জাতিসংঘ দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, ‘এ দিনটি হলো ভয় ও অভাবমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার নতুন করে স্মরণ করার একটি সুযোগ। একই সঙ্গে জাতিসংঘ যে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও ঐকমত্যের চেতনা বহন করে, তা পুনরুজ্জীবিত করারও সময়।’

গত আট দশকে জাতিসংঘ তার কার্যক্রমের পরিধি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্বজুড়ে সম্পৃক্ততা আরও গভীর করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে এক অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একটি সক্রিয়, দায়িত্বশীল ও অবদানশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘শান্তির সংস্কৃতির পতাকা হাতে নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে অংশ নিয়েছে এবং নীল হেলমেটধারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে অবস্থান করছে।’

‘আমাদের অনেক সাহসী শান্তিরক্ষী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন,’ যোগ করেন অধ্যাপক ইউনুস।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রেই হোক—বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় বিকশিত হয়।

‘তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, একতরফা সিদ্ধান্ত ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে বিশ্বে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে,’ তিনি মন্তব্য করেন।

সাম্প্রতিক সংঘাতসমূহ বিশ্বকে গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বহুপক্ষীয় কূটনীতি এখন কঠিন পরীক্ষার মুখে। চরম জাতীয়তাবাদ ও মানবিক কষ্টের প্রতি উদাসীনতা মানবজাতির দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত অগ্রগতিকে ধ্বংস করছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্বের মানুষ গাজার এক ভয়াবহ গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার প্রত্যক্ষ করছে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব অঞ্চলেও আমরা রোহিঙ্গাদের অধিকারবঞ্চনা ও নির্যাতনের সাক্ষী। এটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির ফল। এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নতুন মনোযোগ কামনা করেছি।’


ইউক্রেনের আরও ১০টি এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিলো রাশিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, গত এক সপ্তাহে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক, খারকিভ এবং জাপোরিজঝিয়া অঞ্চলের মোট ১০টি নতুন বসতির দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে এই এলাকাগুলো রুশ নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, একই সময়সীমায় ইউক্রেনীয় সেনাদের ২২টি অস্ত্রাগার ও সামরিক সরঞ্জামাগার ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনীয় বাহিনী একাধিকবার বিমান হামলার চেষ্টা করলেও প্রতিবারই তা ব্যর্থ হয়েছে।

রুশ পক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ১৭ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইউক্রেন হারিয়েছে একটি এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান, চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ১৮টি গাইডেড বোমা, ১৫টি হিমার্স রকেট এবং ১,৪৪১টি ড্রোন।

রাশিয়ার এই দাবির বিষয়ে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

উল্লেখ্য, ন্যাটো জোটে যোগদানের ইচ্ছা এবং ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া ইস্যু ঘিরে কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।

গত তিন বছরে রুশ সেনারা ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজঝিয়া ও খেরসন প্রদেশের অংশবিশেষ দখল করেছে, যা ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক-দশমাংশ। দখলকৃত এলাকা পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না।


ঢাকায় আজও অব্যাহত থাকবে গরমের দাপট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায় গরমের দাপট কমছে না। সকালে কিছুটা শীতল বাতাসে স্বস্তি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে অস্বস্তি ফের বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজও তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দিনের বেলায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ২৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১ মিনিটে।

অন্যদিকে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে আজ চট্টগ্রাম বিভাগের দু–একটি স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নে অর্থের দুই উৎস দেখাল অর্থ বিভাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিজীবীদের ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করে নতুন বেতন নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন। নতুন বেতন স্কেল আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কার্যকর হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই কার্যকর হতে পারে নতুন বেতন স্কেল। সে হিসাবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই নতুন বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা পেতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

গত ২৭ জুলাই গঠন করা হয় জাতীয় বেতন কমিশন। যারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে চায় আগামী ডিসেম্বরে।

তবে এ খসড়া প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকারের ওপর অর্থনৈতিক বাড়তি চাপ আসবে। নতুন কাঠামোতে শুধু যে সরকারের ব্যয় বাড়াবে তা নয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ব্যয় করার মতো আয়ও আগের তুলনায় বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। সম্প্রতি জাতীয় পে-কমিশনকে এমন মত দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

এর আগে, নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক চাপ সামাল দেওয়ার বিষয়ে মত চেয়েছিল পে-কমিশন। ওই মতামতে অর্থ বিভাগ আরও বলেছে, ২০১৫ সালের পর বিগত এক দশকে বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি চাকরিজীবীদের। ফলে বর্তমান বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে পড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি অর্থের সংস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছে অর্থ বিভাগ। পে-কমিশন সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে সংকটকালীন চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর জন্য পে-কমিশন গঠন করে সরকার। যে কারণে অর্থের সংস্থান নিয়ে পে-কমিশনও কিছুটা উদ্বেগে আছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার মানসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় বেতন বাড়ানোর হার শতভাগ হতে পারে। কারণ ২০১৫ সালের পর থেকে আর কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। যদিও প্রতিবছর চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। কিন্তু জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাওয়ায় সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে সর্বনিম্ন বেতনধারীরা খুবই কষ্টে আছেন। তবে বেতন দ্বিগুণ হারে বাড়লে সরকারের ব্যয়ও বর্তমানের তুলনায় এ খাতে দ্বিগুণ হবে। এর চাপ এসে পড়বে সার্বিক অর্থনীতিতে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই গ্যাজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে, পরের রাজনৈতিক সরকার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না। আর সেটি বাস্তবায়নের জন্য অর্থের বরাদ্দ দেওয়া হবে চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে নতুন পে-স্কেল যদি কার্যকর করতে হয়, তাহলে চলতি অর্থবছরের বাজেটেই সেজন্য অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। বাজেট সংশোধন শুরু হবে ডিসেম্বরে, সেখানে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করার বিধান যুক্ত করা হবে।

অর্থ বিভাগ মনে করছে, সর্বনিম্ন বেতন সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের আয়কর পাবে সরকার। যা নতুন বেতন কাঠামোর বাড়তি অর্থ সংস্থানে জোগান দেবে।

দ্বিতীয় হচ্ছে চাকরিজীবীদের বাড়িভাড়া। চাকরিজীবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সরকারি আবাসনে বসবাস করেন। বেতন কাঠামো সমন্বয়ের ফলে সরকারি বাসাবাড়ির ভাড়ার হার বাড়বে। ফলে ওই উৎস থেকেও সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে।


ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়বে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সব জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়কে নিয়ে একটি ‘রেইনবো নেশন’ (রংধনু জাতি) গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় গারো সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২২ সালে যে ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— বিএনপি একটি রেইনবো নেশন গঠন করবে। এমন একটি জাতি, যেখানে সব সম্প্রদায় অংশগ্রহণ ও অবদান রাখার সুযোগ পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সরকারে এলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমস্যাগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।’
গারো সম্প্রদায়ের দাবির প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ কর্মসূচিতে সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠনের ঘোষণা ছিল। আগামীতে সরকারে এলে ঢাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি গঠন করা হবে। পাশাপাশি গারোদের ‘ওয়ানগালা’ উৎসব সরকারিভাবে পালনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দর্শনের মূল লক্ষ্যই হলো সব সম্প্রদায়কে একই জাতীয় পরিচয়ের ছায়াতলে আনা। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেন— যেখানে শুধু বাঙালিই নয়, দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কৃষ্টি-সংস্কৃতির সংরক্ষণে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘আপনারা (গারো সম্প্রদায়) নিজেদের দুর্বল ভাববেন না। আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা আপনাদের ভাই। আপনাদের দাবি ও অধিকার আদায়ে আমরা পাশে আছি এবং সংসদে আপনারা প্রতিনিধি পাঠালে আমরা তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে কথা বলব।’
সঞ্চয় নাফাকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্রিস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটির পরিচালক বাপন মানকিন, বিরিশিরি কালচারাল অ্যাকাডেমির পরিচালক পরাগ রিটসিল ও আয়োজক কমিটির শুভজিট স্যানগমা নাকমাসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।


banner close