মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
১৩ কার্তিক ১৪৩২
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীসহ সকলের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার

ছবি: সংগৃহীত
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০২৪ ২০:৩৮

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি, সকল ধর্মের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

আজ সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ‘হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের মিশনের সভাপতি শ্রী পদ্মনাভ ঠাকুরের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে সব ধর্মের মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করছে এবং নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সব ধর্মের মানুষের অবদানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সাক্ষাৎকালে তারা শ্রী শ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।


নির্বাচন নিরাপদ করতে দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক সভায় কথা বলেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
আপডেটেড ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:১৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বডি-ওর্ন ক্যামেরা দ্রুত ক্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। ভোটারদের মধ্যে এমন আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তারা অনুভব করেন যে নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল ও নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান।”

তিনি আরও নির্দেশ দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি-ওর্ন ক্যামেরা ক্রয় প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, যাতে নির্বাচনকালীন সহিংসতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, “নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এমন একটি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে পরিস্থিতি অবনতির কোনো সুযোগ কেউ না পায়।”

বৈঠকে বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বডি-ওর্ন ক্যামেরা মজুত রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নতুন ক্যামেরাগুলো এসে পৌঁছালে প্রতিটি জেলায় পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

তিনি আরও জানান, বডি-ওর্ন ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি প্রতিটি থানা ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকেও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। সূত্র: বাসস


সব ধরনের দুর্নীতির উৎসের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে: দুদক চেয়ারম্যান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সব ধরনের দুর্নীতির উৎসের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, দুর্নীতিবাজদের অনেকেই রাজনীতিবিদদের হাতে লালিত হন। বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি। সচেতন থাকতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে আগামী নির্বাচনে যাতে সঠিক ও সৎ লোকটিকে নির্বাচিত করা যায়।
গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন। সকাল ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে গণশুনানি হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুদক এই গণশুনানির আয়োজন করে।
এই গণশুনানিকে সফল করতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলাজুড়ে মাইকিং ও পোস্টারিং করা হয়। এ ছাড়া শহরের তিনটি স্থানে অস্থায়ী বুথ স্থাপন করে অভিযোগ সংগ্রহ করা হয়। জমাকৃত অভিযোগ যাচাই–বাছাই করে দুদকের আমলযোগ্য ৭৫টি গ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ২৬টি সরকারি দপ্তরের কমর্কর্তারা সশরীর উপস্থিত থেকে এসব অভিযোগের জবাব দেন।
গণশুনানিতে আমলযোগ্য ৭৫টি অভিযোগের মধ্যে ৩৩টি তাৎক্ষণিক সমাধান, ৭টি খারিজ এবং বাকিগুলো সমাধানে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। গণশুনানির আয়োজন প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা।’
সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি উদ্বৃত করে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা দেখেছি নির্বাচনসংক্রান্ত কিছু অপরাধ, যা সম্পর্কে আপনারা জানেন। নোমিনেশন বাণিজ্য থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক ধরনের বাণিজ্য হয়। নির্বাচনকালীন সময় অবৈধ টাকার লেনদেন অনেকভাবে বেড়ে যায়। সেদিকে যদি সতর্ক থাকেন, আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে আমরা ভালো জনপ্রতিনিধি পাব এবং তারা কল্যাণকর সরকার গঠন করতে পারবেন। এটা আমাদের প্রত্যাশা। শেষ পর্যন্ত যদি সৎ শাসক প্রতিষ্ঠিত হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো এমন অফিসের দরকারই হবে না।
সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় মাদকের বিস্তার ও ব্যবসার প্রকোপ আছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘যদি দুর্নীতির উৎস অনুসন্ধান করতে থাকি, তাহলে দেখব মাদক অন্যতম একটি বিষয়। আপনারা যদি একটু সচেতন থাকেন, তাহলে মাদক ব্যবসায়ীদেরও আমরা প্রতিহত করতে পারব।’
স্বর্ণ চোরাচালান প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন দাবি করেন, ‘স্বর্ণ চোরাচালানের বড় বড় ব্যবসায়ীদের কয়েকজন আপনার জেলারই। অনেকেই আবার বিখ্যাত। তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে পারেন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলোর কিছু অনুসন্ধান পর্যায়ে, কিছু তদন্ত পর্যায়ে এবং কিছু বিষয়ে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি, যাতে একটা সফল পরিণতির দিকে যেতে পারি। অনেক আসামি দেশের বাইরে চলে গেছেন। কেমন করে চলে গেছেন, সেটা আমার চেয়ে আপনারা ভালোভাবে জানেন। এমনও হতে পারে চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়েও পার হতে পারেন।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মোহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহাপরিচালক আকতার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জামালউদ্দিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) জামাল আল নাসের।


নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ: ইসি সচিব

চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১, ভোটকক্ষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতি এখন ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন প্রস্তুতি কতটা এগিয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘যদি শতকরা হিসেবে বলেন, তাহলে বলতে পারি আমরা এখন ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রস্তুত। রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন এই সপ্তাহে সম্পন্ন হলে, প্রস্তুতি শতভাগে পৌঁছাবে।’
ইসি সচিব আরও জানান, কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী দুটি বিষয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে কমিশন। দুটি জায়গায় অগ্রগতি কিছুটা ধীর। একটি হলো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, অন্যটি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন। ২২টি রাজনৈতিক দলকে আমরা প্রাথমিকভাবে বিবেচনাযোগ্য মনে করেছি। এদের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে অতিরিক্ত কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা তা সম্পন্ন করতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা সামান্য পিছিয়ে আছি, তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
ইনশাআল্লাহ যতটুকু সময় আছে, আমরা সেটুকুতে কভার করে নিতে পারব।’
পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যালোচনা চলছে। কিছু জায়গায় সাংবাদিকদের তথ্য-সীমাবদ্ধতা পূরণ করেছেন। আশা করছি, এই সপ্তাহের মধ্যেই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনও শেষ হবে।’
আরপিও সংশোধনে বিএনপির অপত্তির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘বর্তমানে বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে, কমিশন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরপিও সংশোধনের পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয় নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘আরপিও সংশোধনের আগে ঐকমত্য কমিশন দীর্ঘসময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো সাংঘর্ষিক বিষয় দেখা যায়নি।’
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন আরপিও প্রস্তাবনাগুলো পাঁচটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করেছে- যেগুলো স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, যেগুলো ভাষাগত বা সংখ্যাগতভাবে সামান্য সংশোধনযোগ্য, যেগুলো রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া সম্ভব নয়, যেগুলো বিদ্যমান আইনে পর্যাপ্তভাবে নির্ধারিত এবং যেগুলো কমিশনের নিজস্ব বিবেচনায় সংশোধনযোগ্য মনে হয়েছে। এই পাঁচটি দিক বিবেচনা করেই সংশোধন প্রস্তাবনাটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হয়েছে এবং তারা নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন।’
এনসিপির প্রতীকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবারে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন ইতোমধ্যেই তাদের অবস্থান জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বিকল্প প্রস্তাব কমিশনের কাছে আসেনি। এখনো কমিশনের আগের অবস্থানেই আছে। কমিশন যেটা বলেছে, যে তারা সহবিবেচনায় একটা প্রতীক বরাদ্দ করে দেবে। সেটাই হচ্ছে এখন পর্যন্ত অবস্থান।

চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১, ভোটকক্ষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯
এদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংকালে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা আজ (সোমবার) চূড়ান্তভাবে ভোটকেন্দ্রের তালিকা ঠিক করেছি।’
আখতার আহমেদ আরও জানান, পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭ এবং মহিলাদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট কক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এটাই চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যা।
ইসি সচিব বলেন, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি, যেখানে ভোটকক্ষ থাকবে প্রায় ১২ হাজারের মতো। অর্থাৎ একটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ৩ হাজার ভোটার থাকবে। এটি ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে ধরা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে এই সংখ্যা সামঞ্জস্য করা হবে।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্র স্থাপনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন ইসি সচিব। সেখানে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা ভোটকক্ষের পৃথক হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি এবং ৫০০ মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়।
খসড়া তালিকায় মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়। সেখানে বলা হয়, পুরুষ ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি এবং মহিলা ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি। সব মিলিয়ে মোট ভোটকক্ষ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টিতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২টি। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, তবে ভোটকক্ষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমেছে।


জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে এই সুপারিশ তুলে দেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

সুপারিশ হস্তান্তরের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানাতে আজ বিকেল ২টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রিয়াজ।


এবার তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়: শিশির মনির

আপডেটেড ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিশির মনির বলেন, সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কথা বলা আছে। এখন তো কোনো সংসদ নেই। সংসদ ভেঙে গেছে এক বছরের বেশি সময় আগে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাচ্ছে। এ ছাড়া আরো কিছু বিষয় রয়েছে। এ কারণে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও আসন্ন নির্বাচনে এটি সম্ভব নয়।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী শিশির মনির।

সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

গত ২৩ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী।

গত ২২ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। ওই দিন রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।

তার আগের দিন ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।

এরও আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেয়া হয়।

এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।


জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে আনসার সদস্যরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এ ১৩ জনের মধ্যে তিন জন থাকবে অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন থাকবে অস্ত্র ছাড়া। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন থাকবে পুরুষ আর ৪ জন থাকবে নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে মোট ৯দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সাথে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকেন। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসন বিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসন বিশিষ্ট ২টি মিনি বাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।

তিনি বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ এ বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন, ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য এ ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

উপদেষ্টা এসময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সাথে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও ৮টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, এরকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার আরো বাড়তে থাকবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ ও বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


দৌলতপুরে খড়ের মাঠ দখল নিয়ে দুই চরমপন্থী  বাহিনীর গোলাগুলিতে নিহত ২, আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে খড়ের মাঠ দখল নিয়ে কাকন বাহিনী ও মন্ডল বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ১৪ হাজার মৌজা এলাকায় এ গুলাগুলির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কাকন বাহিনী ও বাঘার মন্ডল বাহিনীর মধ্যে পদ্মা চড়ে জেগে উঠা খড়ের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গোলাগুলিতে মন্ডল বাহিনীর প্রধান মুনতাজ মন্ডলসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এসময় মিনহাজ মন্ডলের ছেলে আমান মন্ডল (৩৬) ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শুকুর আলী মন্ডলের ছেলে নাজমুল মন্ডল (২৬) মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত ও আহত সবাই রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে রয়েছেন চাঁন মন্ডলের ছেলে মুনতাজ মন্ডল (৩২) ও আরশাদ মন্ডলের ছেলে রাকিব মন্ডল (১৮)। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ জানান, ঘটনাস্থলটি দৌলতপুর ও বাঘা থানার সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় তদন্তে বাঘা থানা নেতৃত্ব দিচ্ছে।

বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মন্ডল বলেন, দৌলতপুরে খড়ের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে কাকন বাহিনী ও মন্ডল বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা, রাতেই যেসব স্থানে আঘাত হানতে পারে

আপডেটেড ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:৩৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা উপকূলের খুব কাছে চলে এসেছে। এর প্রভাবে আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

মঙ্গলবার বিডব্লিউওটির ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ দুপুর থেকেই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হতে পারে এবং কাল বুধবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরো উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সোমবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার উপকূল থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার মধ্যরাতে থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এটি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এতে আরো বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এ সময় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


চট্টগ্রামে মালবাহী ট্রেনে ট্রাকের ধাক্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের সাগরিকা এলাকায় মালবাহী একটি ট্রেনে ধাক্কা দিয়েছে চালবোঝাই একটি ট্রাক। এতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে ট্রাক, লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেন। দুর্ঘটনার ফলে মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে নগরীর সাগরিকা স্টেডিয়াম রেলগেইট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভোরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালবাহী ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। সাগরিকা এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাক সিগন্যাল না মেনে ট্রেনের ইঞ্জিনে সজোরে আঘাত করে। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন উল্টে যায়।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ট্রাক ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। লাইনটি শুধু মালবাহী ট্রেন ও কনটেইনার পরিবহনের জন্য ব্যবহার হয়। এতে যাত্রীবাহী কোনো ট্রেন চট্টগ্রামে সমস্যা হচ্ছে না। ট্রেনটি উদ্ধারের কাজ চলছে।’


জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কমিশনের সুপারিশ জমা আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে সোমবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয় কমিশনের সমাপনী বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এতে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ সহ ৬ সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশন সদস্যরা।

এসময়, কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সমস্ত ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও, ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এতে বিএনপি-জামায়াতসহ প্রথম ধাপে ২৪টি রাজনৈতিকদল ও জোট এতে স্বাক্ষর করেন। এর ২ দিন পরে জাতীয় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে গণফোরাম।

তবে এখনও সই করেনি এনসিপিসহ কয়েকটি বাম দল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক বসে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে- উল্লেখ করে কমিশন সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’


জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিসিসি প্রতিনিধিদলের বৈঠক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ থেকে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি জানাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে জাপানের ব্যবসায়িক ফেডারেশন ‘ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস’ (এনবিসিসি)।

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় এনবিসিসির ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক ও নিয়োগ পরিকল্পনা

‘ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস’ হলো ৬৫টিরও বেশি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত একটি জাপানি ব্যবসায়িক ফেডারেশন। সম্প্রতি সংস্থাটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (MoI) স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য জাপানে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেশন ও কর্মসংস্থানের জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।

এই চুক্তির আওতায় আগামী পাঁচ বছরে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (TITP) এবং স্পেসিফাইড স্কিলড ওয়ার্কার্স (SSW) কর্মসূচির অধীনে এক লাখের বেশি কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রথম ধাপে আগামী বছর দুই হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। পরবর্তী ধাপে ২০২৭ সালে ছয় হাজার এবং ২০২৮ সালে ১৮ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

এর মধ্যে নির্মাণ, সেবা, এভিয়েশন, গার্মেন্টস ও কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে গাড়িচালক, অটোমোবাইল ও রিসাইক্লিং খাতেও দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়বে বলে প্রতিনিধি দল জানায়।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে খুলনা ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সম্ভাব্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এনবিসিসির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইতোমধ্যেই কেন্দ্র দুটি পরিদর্শন করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে কর্মীদের প্রশিক্ষণে কোনো ঘাটতি আছে কি না জানতে চান। জবাবে এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা বলেন, “আমি গত মার্চ মাসে ট্রেনিং সেন্টার দুটি পরিদর্শন করেছিলাম। এবার এসে অবাক হয়েছি—সাত মাসের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। আমরা আশাবাদী, আগামী বছরই দুই হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিতে পারব।” তবে তিনি প্রশিক্ষকদের ভাষাগত দক্ষতা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

ভাষা প্রশিক্ষণ ও নারীদের অংশগ্রহণ

ভাষাগত দক্ষতা অর্জনকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এর জন্য ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। জাপান থেকে শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নেবেন। পাশাপাশি, জাপান থেকে প্রশিক্ষকদের এনে এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে।”

তিনি বাংলাদেশের নারীদের পরিশ্রম ও পারদর্শিতার প্রশংসা করে বলেন, “কেয়ারগিভিং সেক্টরে বাংলাদেশের নারীরা অনন্য। ভাষাগত দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেলে তারা জাপানের কেয়ারগিভিং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “প্রথমে কিছুটা কঠিন মনে হলেও একবার প্রশিক্ষণ পেলে বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেরাই অন্যদের শেখাতে পারবে। একবার যাওয়া শুরু হলে অন্যরাও উৎসাহ পাবে।”

এনবিসিসি প্রতিনিধিরা জানান, আগামী কয়েক বছরে জাপানে ৪ লাখের বেশি দক্ষ নার্সের প্রয়োজন হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নার্স নিয়োগের বিষয়টি তারা বিবেচনা করছেন।

সরকারের উদ্যোগ

বৈঠকে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সরকার জাপানে কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করছে। এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। তিনি জানান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জাপানে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।


আগামী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে।

তিনি বলেন, “সংসদ নির্বাচন পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।”

আজ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র‌্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবি প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা, সকল পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরা। এছাড়া সকল জেলা পুলিশ সুপার সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অতীতে পুলিশের বিরুদ্ধে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটি বড় সুযোগ আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।”

সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে আইজিপি পুলিশের লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দেন। তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার সম্পর্কে প্রচারণা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন।

আইজিপি চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন। তিনি জেলা পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে বলেন, “কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি গুম কমিশনে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্বসহ তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন এবং মামলা তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অনলাইনে সংযুক্ত জেলা পুলিশ সুপারগণ প্রশাসনিক ও অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সূত্র: বাসস


অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সরকার প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কমনওয়েলথ ইলেকটোরাল সাপোর্ট সেকশনের প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে কমনওয়েলথ ইলেকটোরাল সাপোর্ট সেকশন এর প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা জানান।

দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কমনওয়েলথ (ইএসএস) এর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ন্যান্সি কানিয়াগো। আরও উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথ (ইএসএস) এর এক্সিকিউটিভ অফিসার ম্যাডোনা লিঞ্চ। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনমুখী এবং এজন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় আট লাখ সদস্য এতে দায়িত্ব পালন করবে। তাছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল সদস্যদের জন্য নির্বাচনী মহড়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের সঙ্গে সুষ্ঠু ও সময়োপযোগী যোগাযোগের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় ‘নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ স্থাপন করা হবে। প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা (সম্ভব হলে) এবং কর্তব্যরত পুলিশের জন্য বডি ওর্ণ ক্যামেরা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে গণমাধ্যম অবাধে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে অনুমতি দেওয়া হবে। তাছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মোবাইল টিম এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ করা হবে।

কমনওয়েলথ এর সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সুসম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি ন্যান্সি কানিয়াগো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই কমনওয়েলথ এর সদস্যপদ লাভ করে। তিনি বলেন, কমনওয়েলথ এর নির্বাচন পর্যবেক্ষক গ্রুপ রয়েছে। বাংলাদেশ আমন্ত্রণ জানালে কমনওয়েলথ নির্বাচন পর্যবেক্ষক গ্রুপ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচন পরিচালনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন দেশে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে এসেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ এর কাছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংক্রান্ত সহযোগিতার চেয়ে আর্থিক সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন। কমনওয়েলথ চাইলে আমাদেরকে সিসিটিভি, বডি ওর্ণ ক্যামেরা ও নির্বাচন সংক্রান্ত সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে। কমনওয়েলথ প্রতিনিধি এ সময় জানান, তারা পুলিশ সদস্যদের মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করতে পারে।

ন্যান্সি কানিয়াগো নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নতুন নিয়োগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনের জন্য নতুন করে ১০ হাজার ২৬৪ জন পুলিশ, ২ হাজার ১৪৫ জন আনসার ও ভিডিপি, ৫ হাজার ৫১৩ জন বিজিবি, ৬৩৪ জন কোস্টগার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কমনওয়েলথ প্রতিনিধি জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারে জুলাই শহীদ পরিবারগুলোর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, আইন মন্ত্রণালয় চাইলে এ বিষয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারে। তবে জুলাই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা এ সময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ অবাধে, নির্ভয়ে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সূত্র: বাসস


banner close