সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের হুঁশিয়ারি: পোশাক ফেরত না পেলে কঠোর আন্দোলন

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১০ আগস্ট, ২০২৪ ২১:৫৪

পোশাক ফেরত না পেলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা। বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে যেসব পুলিশ সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে চাকরিতে পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে শনিবার দুপুরে বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুতদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।

এ সময় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক চাকরিচ্যুত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে নানাভাবে আমাদের হয়রানি করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কেউ ফেসবুকে কোনো পোস্ট দেওয়ার কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। কেউবা আবার কোনো পোস্টে কমেন্ট করে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। কারণ ছাড়াও বিভিন্নজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অনেক সদস্যের নামে মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। আমরা এই বৈষম্য চাই না। আমরা চাই জনগণের পুলিশ হয়ে কাজ করতে। আমরা জনগণের পুলিশ হয়ে কাজ করছিলাম বলেই আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বৈষম্য চাই না। আমরা চাই আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা আমাদের পোশাক ফেরত চাই। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব। হয় আমাদের পোশাক ফিরিয়ে দিতে হবে, না হলে বিষ কিনে দিতে হবে।’

এদিকে বেলা ১টার পর মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হলে তাদের সদর দপ্তরে ডাকা হয়। এরপর আন্দোলনরত ব্যক্তিদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশ হেডকোয়ার্টারে প্রবেশ করেন। এ সময় মানববন্ধন সাময়িক স্থগিত করা হয় এবং সুবার্তা পেলে মানববন্ধন স্থগিত করা হবে বলে জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিয়ে মানববন্ধন চলবে বলেও জানান তারা।

পুলিশ সদস্যদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারদের সঙ্গে আলোচনা শেষে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক তৌহিদ বলেন, ‘আমরা ভেতরে গিয়েছিলাম। আইজিপি স্যার না থাকায় আমাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের দেখা ও কথা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। বলেছেন, আমরা যারা লিগ্যাল ওয়েতে আছি ও বিগত সরকারের সময়ে চাকরিচ্যুত হয়েছি; আমাদের সব দাবি মেনে নেবেন। আমাদের দাবি উপস্থাপন করতে বলেছেন। আগামীকাল (আজ) আমাদের সব ধরনের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছেন। আমরা কালকে স্মারকলিপি দেব এবং চাকরি হারানো সদস্যদের তালিকা জমা দেব।’

দাবি না মেনে নিলে আপনারা কী করবেন; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্যাররা যদি আমাদের আশ্বাস দেন এবং যৌক্তিক দাবি মেনে নেন; তাহলে আমরা আর কোনো আন্দোলনে যাব না। দাবি না মানলে আমরা কঠিনতম কর্মসূচি ঘোষণা করব।’


নির্বাচনের বাজেট নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। নির্বাচন কমিশনের জরুরি প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরও জরুরি ব্যয়ের প্রয়োজন দেখা দিলে তা মেটানো যাবে। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন কমিশনের যদি জরুরি কোনো প্রয়োজন হয়, সেটি আমরা মেটাতে পারব।

আজ সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হলে নিরাপত্তা এবং জনবল মোতায়েনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় বাড়তে পারে। এ কারণে নির্বাচনি বাজেট পুনর্বিন্যাস করা লাগতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম প্রস্তাব পেয়েছিলাম, তখন গণভোট ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করলে অতিরিক্ত ব্যয় হবে। বেশি জনবল, বেশি নিরাপত্তা, বেশি লজিস্টিক লাগবে।’

অর্থ উপদেষ্টা জানান, নির্বাচন কমিশন তাদের প্রাথমিক ব্যয় প্রাক্কলনে গণভোটের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেনি।

তিনি আরো বলেন, বিদেশস্থ বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভোটার তালিকাভুক্তকরণ কার্যক্রমেও অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে। বিদেশ মিশনগুলো প্রস্তুতিমূলক কাজ করছে। কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন, এজন্য ওভারটাইমও লাগছে। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত বাজেট চাইতে পারে। আমরা সহায়তা করব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য, নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তার এখতিয়ারের বাইরে। তবে, তিনি মনে করেন— একই দিনে ভোট নেওয়াই বেশি যৌক্তিক।

তিনি বলেন, ‘এটি সরকারের সিদ্ধান্ত। দুই দিনে ভোট করলে দু’বার পুরো মেশিনারি—রিটার্নিং অফিসার, শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা সবাইকে নামাতে হবে। এটি সহজ নয়। অনেক দেশেই একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হয়। লজিস্টিক বিবেচনায় দু’টি একসঙ্গে করাই ভালো।’

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বডিক্যাম ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তাদের নিজস্ব বাজেট ব্যবহার করে সরঞ্জাম সংগ্রহ করবে।

তিনি বলেন, ক্রয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বরাদ্দকৃত বাজেট থেকেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো স্বচ্ছতার সঙ্গে এগুলো কিনবে।

কত সংখ্যক ক্যামেরা কেনা হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি তার দায়িত্ব নয়। সংখ্যা নির্ধারণের দায়িত্ব আমার নয়। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তাদের সংস্থার বিষয়। কোন স্থানে ক্যামেরা লাগবে, তা নির্বাচন কমিশন জানাবে। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য সংস্থা ক্যামেরা কিনবে ও ব্যবহার করবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি ৪০ হাজার ক্যামেরা কেনা হতে পারে, এমন অনুমান নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করব না। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ব্যয় যুক্তিসঙ্গত রাখার চেষ্টা করব।

এছাড়া তিনি জানান, সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বিদায়ী সদস্যদের জন্য ১০০টি নতুন গাড়ি কেনার প্রস্তাব অর্থ বিভাগ বাতিল করেছে।

তিনি বলেন, অনেক সময় ভুল বার্তা যায়। এগুলো অতিরিক্ত গাড়ি নয়, রিপ্লেসমেন্ট ইউনিট ছিল। তারপরও আমরা মনে করেছি— এখন এটি প্রয়োজন নয়, তাই বাতিল করেছি।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, অর্থ বিভাগ ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজেট পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে। আমরা সব মন্ত্রণালয়কে ডিসেম্বরের মধ্যে বাজেটের চূড়ান্ত প্রাক্কলন দিতে বলেছি।

ডিসেম্বরেই জাতীয় বাজেট সংশোধন হবে, আর জানুয়ারির মধ্যে আমরা পরবর্তী সরকারের জন্য নির্বাচন বাজেট প্রস্তুত রাখব। সব কিছুই ওপেন। সূত্র: বাসস


আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চাই: প্রধান উপদেষ্টা

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ে। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের জন্য কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ সমর্থন চান।

এ সময়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আপনারা সমর্থন দেবেন বলে আশা করি।’

তিনি কমনওয়েলথ মহাসচিবকে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রতি গভীর আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন, কমনওয়েলথ বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী রূপান্তরের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থন দেবে।

তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশ—যেখানে জি-৭ ও জি-২০-এর সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত—যাদের হাতে বিপুল সম্পদ রয়েছে। এই দেশগুলো একে অপরকে শক্তিশালী করতে সেই সম্পদ ব্যবহার করতে পারে।’

মহাসচিব আরও জানান, তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি যোগ করেন, ‘দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আমি খুব আশাবাদী।’

মহাসচিব নিশ্চিত করেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বৈঠকে দুই নেতা তরুণদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টি এবং বেকারত্ব, কার্বন নির্গমন ও বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে তিন-শূন্য ভিশন বাস্তবায়ন সম্পর্কেও আলোচনা করেন। সূত্র: বাসস


নির্বাচন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এনআইডি সংশোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ঠিকানা পরিবর্তনসহ অন্যান্য তথ্য সংশোধন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে পরবর্তী নির্দেশ অথবা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আজ বিকেল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তনসহ অন্যান্য তথ্য সংশোধন বন্ধ থাকবে। আজ বিকেল ৪টার পর থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অথবা নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

কর্মকর্তারা বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে এনআইডি সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের ভুল তথ্য বা পরিবর্তন ঠেকানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও ত্রুটিমুক্ত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ভোটার তালিকায় কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এড়াতে সংশোধন কার্যক্রম স্থগিত রাখা হচ্ছে।


আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে নতুন অধ্যাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকিং খাতে আমানতকারীদের সুরক্ষা ও আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। ফলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়ণ বা বন্ধ হয়ে গেলে আমানতকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ফেরত পাবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স বিভাগ (ডিআইডি) থেকে গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, আমানতকারীর অর্থ সুরক্ষা ও আস্থা বাড়াতে সরকার এ ‘অমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে। সংসদ ভেঙে যাওয়ায় জরুরি পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এর মাধ্যমে ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ বাতিল হয়ে নতুন আধুনিক আইন কার্যকর হলো।

দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা সাধারণ আমানত সুরক্ষিতভাবে ফেরত দেওয়াই এই আইনের মূল লক্ষ্য। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে আলাদা একটি ‘অমানত সুরক্ষা বিভাগ’ গঠিত হবে। বিভাগটি প্রিমিয়াম সংগ্রহ, তহবিল পরিচালনা, সদস্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, আমানত পরিশোধ ও সচেতনতা কার্যক্রম দেখভাল করবে।

নতুন আইনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি পৃথক আমানত সুরক্ষা তহবিল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তহবিল গঠিত হবে প্রিমিয়াম, জরিমানা, বিনিয়োগ আয় ও অন্যান্য উৎস থেকে। তহবিলের প্রশাসন বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড করবে, যা ট্রাস্টি বোর্ড হিসেবে কাজ করবে।

নতুন লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রারম্ভিক প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। বর্তমানে কার্যরত সব ব্যাংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সদস্য হবে, আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২৮ সালের ১ জুলাই থেকে সদস্যপদে যুক্ত হবে। এছাড়া ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ঝুঁকি-ভিত্তিক প্রিমিয়াম আদায়ের নিয়মও থাকছে।

সরকারি, বিদেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কিছু বিশেষ আমানত সুরক্ষার বাইরে থাকবে। তবে সাধারণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আমানত সুরক্ষা যোগ্য হিসেবে নির্ধারিত সীমার মধ্যে সুরক্ষা পাবে। আর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়ণ বা রেজল্যুশনে গেলে আমানতকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পাবেন। প্রয়োজনে ব্রিজ ব্যাংক বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আমানত ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলা, বিদেশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়ার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।


৪৯ বাংলাদেশিসহ ১১১ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৯ বাংলাদেশিসহ মোট ১১১ জন বিদেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সাজার মেয়াদ শেষে চলতি নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জোহর রাজ্যের পাইনঅ্যাপল টাউন ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠানো করা হয়।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত নোটিশে জানানো হয়, ফেরত পাঠানোদের মধ্যে বাংলাদেশের ৪৯ জন ছাড়াও রয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার ২৪, নেপালের ১২, পাকিস্তানের ৯, কম্বোডিয়ার ৪, ভারতের ৪, চীনের ৩ এবং লাওস, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুরের ২ জন করে অভিবাসী।

অভিবাসীদের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-১ ও ২ (কেএলআইএ-১ ও কেএলআইএ-২), সেনাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সুলতান ইস্কান্দার বিল্ডিং কমপ্লেক্স এবং স্টুলাং লাউট ফেরি টার্মিনালের মাধ্যমে নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত বিমান ও ফেরির টিকিটের ব্যয় এসেছে বন্দিদের ব্যক্তিগত সঞ্চয়, পরিবারের আর্থিক সহায়তা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে।

জোহর স্টেট ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট জানায়, সাজা শেষ হওয়া বিদেশি বন্দিদের মালয়েশিয়ায় অতিরিক্ত অবস্থান রোধে নিয়মিতভাবেই এমন প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।


বোরহানউদ্দিনে নার্সদের ৮ দফার দাবি বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোলার বোরহানউদ্দিনে জনবান্ধব নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সেবা ও শিক্ষা ব্যাবস্থাপনা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) মিডওয়াইফদের ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নার্সিং স্টাফরা।

সোমবার (২৪ নভেম্বর ) বেলা ১১টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালের নার্সদের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রনজিৎ চন্দ্র দাস এর কাছে ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নাজির মো: মনির হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার তৃপ্তি রায়, সিনিয়র স্টাফ নার্স, রুমা আক্তার, আবুল কালাম আজাদ, আশা মনি, শাবনূর ও রিনা রায়। জনবান্ধব নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সেবা ও শিক্ষা ব্যাবস্থাপনা গড়ে তুলতে আট দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকায় মহাসমাবেশের পর ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত নানা কর্মসূচি ঘোষনা করে। এ সময়ের মধ্যে ০৮ দফা দাবী বাস্তবায়ন না হলে ৩০ নভেম্বর কালো ব্যাজ ধারন পূর্বক প্রতিকী শাট-ডাউন এছাড়া আগামী ০২ ডিসেম্বর দেশের সমস্ত স্বাস্থ্য সেবা এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপ্লিট শাট-ডাউনের ঘোষনা দিয়েছে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ। ৪৮ বৎসরের ঐতিহ্য ও অগ্রগতির স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে নার্স ও মিডওয়াইফদেরকে ভিন্ন অধিদপ্তর ও ভিন্ন পেশাজীবীর মাধ্যমে পরিচালনা করার অপচেষ্টার কারনে এবং মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কর্তৃক আশ্বাস প্রদানের ১৪ মাসেও নার্স-মিডওয়াইফদের ন্যায্য দাবীগুলো বাস্তবায়নে বিলম্বের কারনে উদ্ভুত সকল পরিস্থিতির দায়ভার সংশ্লিষ্ট বিভাগ, প্রশাসন ও ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে বলে জানানো হয়।

স্মারকলিপি তে বলা হয়, স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে ভিন্ন অধিদপ্তরের সাথে একীভূত করার অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন করতে হবে। অবিলম্বে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপ এবং ক্যারিয়ার প্যাথ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। নার্সদের পরবর্তী উচ্চতর পদগুলোতে (৯ম হতে ৪র্থ গ্রেড) ভূতাপেক্ষভাবে পদ প্রমার্জণের মাধ্যমে পদোন্নতিসহ সুপারনিউমেরারী পদন্নোতি দিতে হবে। অবিলম্বে নার্সিং সুপারভাইজার এবং নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পদগুলো ৯ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।

ডিপ্লোমা নার্স-মিডওয়াইফদের সনদকে স্নাতক (পাশ) সমমান দিতে হবে এবং সকল গ্রাজুয়েট নার্স-মিডওয়াইফদের জন্য প্রফেশনাল বিসিএস চালু করতে হবে। বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়োগ-বিধি ও মানসম্মত বেতন কাঠামো তৈরী করতে হবে এবং অপ্রশিক্ষিত ও নিবন্ধনবিহীন ভুয়া নার্স-মিডওয়াইফদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নার্স-মিডওয়াইফদের ঝুঁকিভাতা প্রদানসহ নার্সদের উপর জোরপূর্বক স্বৈরাচারী সরকারের চাপিয়ে দেয়া নার্সিং ইউনিফরম পরিবর্তন করতে হবে। শয্যা, রোগী ও চিকিৎসক অনুপাতে নার্স-মিডওয়াইফদের পদ সৃজন ও নিয়োগ দিতে হবে।

তারা আরো জানান, ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন "সেবা পরিদপ্তর" যা উন্নীত হয়ে বর্তমানে "নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর" যা জনকল্যানমূখী নার্সিং ব্যবস্থাপনা, নার্সিং শিক্ষা ও প্রশাসন সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা প্রতিবন্ধকতা ও বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বিগত ৪৮ বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে এগিয়ে চলা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে ভিন্ন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনে নেয়ার অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন রক্ষা করতে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ০৯ বৎসর এবং বর্তমান সরকারের আশ্বাস প্রদানের পর ১৫ মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম ও ক্যারিয়ার প্যাথ সহ অন্যান্য দাবী-দাওয়া পূরণ না করে এ ধরনের জনস্বার্থ বিরোধী ও নার্সদের স্বকীয়তা, উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিরোধী কার্যক্রমকে দুঃখজনক, আপত্তিকর ও পুরো নার্সিং সেক্টরের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিনষ্টের উপকরন হিসেবেই নেতৃবৃন্দ মনে করছেন বলে উল্লেখ করেন। ইতোপূর্বেও যতবার এই স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসনকে ধ্বংস করে একটি মহল নিজেদের মত করে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করেছে ততবারই সর্বস্থরের নার্সগণ তা প্রতিহত করেছে এবারও যেকোন মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে কঠোর হুশিয়ারি প্রদান করেন। সেইসাথে নার্সদের মুক্তি ও অগ্রগতির সনদ উত্থাপিত ০৮ দফা বাস্তবায়নে সারাদেশব্যাপি কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে জাতীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি জোরালো দাবী জানান।


পে-স্কেল নিয়ে কমিশন-সচিব বৈঠক আজ, সুখবর আসছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে আজ সোমবার সচিবালয়ে বৈঠকে বসার কথা জাতীয় বেতন কমিশনের সদস্যদের।

জাতীয় বেতন কমিশনের সভাপতি জাকির আহমেদ খান এতে সভাপতিত্ব করবেন। সম্প্রতি পে কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বর্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিদ্যমান বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় বেতন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের সভা হবে।

এর আগে ১ থেকে ১৫ অক্টোবর সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার শ্রেণিতে প্রশ্নমালার মাধ্যমে কমিশন অনলাইনে সর্বসাধারণের মতামত সংগ্রহ করেছে।

গত ২৭ জুলাই গঠন করা হয় জাতীয় বেতন কমিশন। যারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে চায় আগামী ডিসেম্বরে।

এদিকে পে কমিশনের জন্য আলাদা কমিশন কাজ করছে জানিয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তারপরই কমিশন দিতে হবে। বর্তমান সরকার একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, আর পরবর্তী সরকার সেটি বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, ‘গত ৮ বছরে এ বিষয়ে কিছু হয়নি, তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এখানে বাজেটের বিষয়ও আছে এবং সরকারের অন্যান্য সামাজিক খাতকেও বিবেচনায় নিতে হবে। পরবর্তী সরকার পে কমিশন দেবে না কেন? এটা তো যৌক্তিক।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন পে-স্কেল প্রণয়নে গঠিত পে কমিশন চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিতে পারে। কমিশন ইতিমধ্যে সুপারিশ তৈরির ৫০ শতাংশের মতো কাজ শেষ করেছে।


তুলার গুদামে আগুন, মাথায় করে বস্তা সরালেন ওসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল কুদাব পশ্চিম পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পূবাইল থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন আগুনে ঝাঁপ দিয়ে মালামাল উদ্ধার শুরু করেন। তার তুলার বস্তা মাথায় নিয়ে উদ্ধারের একটি দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা যায়, গতকাল রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কুদাব আবদুর রহমানের মালিকানাধীন তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুন লাগার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলি আর আতঙ্কের মধ্যেই ওসি মো. খালিদ উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাকে বস্তা মাথায় নিয়ে উদ্ধার করতে দেখে আশপাশের মানুষও উদ্ধারকাজে যোগ দেন।

স্থানীয়রা জানান, আগুনের তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। কেউই সে সময় গোডাউনের ভেতরে ঢোকার সাহস পাচ্ছিলেন না।

সে সময় ওসি খালিদ হাসান নিজের নিরাপত্তার কথা না ভেবে গোডাউনের ভেতরে ঢুকে মাথায় তুলার বস্তা মাথায় নিয়ে বের হন। তাকে এভাবে উদ্ধারকাজে অংশ নিতে দেখে আশপাশের মানুষও উদ্ধারকাজে অংশ নেন। তারা দ্রুত উদ্ধারকাজে যোগ দেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় গোডাউনটি। তারা উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ায় প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিরাপদে সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।

রে খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পূবাইল থানার এসআই নাজমুল হক জানান, ওসি স্যার নিজ হাতে মালামাল বের করতে শুরু করেন। তাকে উদ্ধারকাজে অংশ নিতে দেখে সাধারণ মানুষও সাহস পায়। মানুষকে উদ্ধারে উদ্বুদ্ধ করতেই তিনি এই ঝুঁকি নেন বলেও জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, আমরা পৌঁছনোর আগেই স্থানীয়দের সঙ্গে ওসি ঘটনাস্থলে সক্রিয় ছিলেন।


ই-পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে ভোগান্তি ও দুর্নীতি কমবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ই-পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে ভোগান্তি ও দুর্নীতি কমবে, সময়ও বাঁচবে।

সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ই-পারিবারিক আদালতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সবচেয়ে বড় অফিস হোয়াটসঅ্যাপ। তিনি হোয়াটসঅ্যাপেই বেশি কাজ করেন। কাজেই আমাদেরও ডিজিটাইলেশনের দিকে আগানো উচিত।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ে আমরা ২১টি রিফর্ম করেছি। আমরা আশা করি, আমাদের পরে যে রাজনৈতিক দল আসবে তারা দেশকে ভালোবেসে এগুলো ধরে রাখবে।

আসিফ নজরুল বলেন, পারিবারিক মামলার ক্ষেত্রে আমরা তা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি। এখন ২০ জেলায় চালু করেছি, যাওয়ার আগে ৬৪ জেলায় চালু করব। আশা করি, ৫ বছরের মধ্যে মামলার জট ৫০ শতাংশ কমে যাবে।


নববধূকে হত্যার অভিযোগ স্বামী গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বগুড়ায় কয়েক মাস আগে পরিবারে অমতে প্রেম করে বিয়ে করেন রিয়াজুল ইসলাম নাফিজ। এরপর কৈপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। রোববার তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হলে রিয়াজুল একপর্যায়ে তার স্ত্রী আফিয়া আক্তার স্বপ্নাকে (২০) হত্যা করে। পরে পুলিশ রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করে। স্বজনদের অভিযোগ, তিন মাস আগে পরিবারের অমতে প্রেম করে নাফিজ ও স্বপ্না বিয়ে করে। পরে নাফিজের পরিবার বিয়ের মেনে নিতে আফিয়ার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা ও ১টি মোটরসাইকেল যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার নিজ গ্রামে গিয়ে রোববার দুপুরে কৈপাড়া ভাড়া বাসায় ফেরেন আফিয়া। এরপর সন্ধ্যায় তিনি মুঠোফোনে কয়েকবার বাবা-মাকে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানাতে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামী–স্ত্রী তুমুল ঝগড়া করছিলেন। হঠাৎ নীরবতা নেমে আসায় সন্দেহবশত বাসায় ঢুকে স্বপ্নাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। রিয়াজুল ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।

ঘটনার পরপরই উত্তেজিত এলাকাবাসী রিয়াজুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে এবং লাশ থানায় নিয়ে যায়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বসির জানান, “এটি হত্যা নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু— তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সব দিক তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার অভিযোগে স্বামীকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


২৭ নভেম্বর থেকেই ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ীই আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। গতকাল রোববার রাতে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন।

এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের দাবিতে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজশাহী ও ময়মনসিংহে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধের কারণে শনি ও রোববার বেশ কয়েক ঘণ্টা ট্রেন চলাচলও বন্ধ থাকে। আন্দোলনকারীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন।

এতে আরো বলা হয়, পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে কিছু প্রার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন এবং কেউ কেউ সংগঠিতভাবে অনশনেও বসেছেন। তাদের কয়েকজন প্রতিনিধি কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছেন, সমাবেশ করেছেন এবং কমিশন কার্যালয় ঘেরাও করার ঘটনাও ঘটেছে।

কমিশন জানায়, ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ২০২৪ সালের নভেম্বরে। আবেদন জমা নেয়া হয় ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত। চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১০ হাজার ৬৪৪ জনকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৩ জুন লিখিত পরীক্ষার তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে—এ দাবি বাস্তবসম্মত নয় বলে উল্লেখ করে পিএসসি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কখনোই সীমিত সময়ের বিষয় নয়; বরং দীর্ঘ সময়ের পড়াশোনা ও ধারাবাহিক অনুশীলনের ওপরই এ প্রস্তুতি নির্ভর করে। পরীক্ষা এড়ানো বা পিছিয়ে দেয়ার প্রবণতা একজন সম্ভাব্য সরকারি চাকরি–প্রার্থীর শৃঙ্খলাবোধের সঙ্গে যায় না বলেও উল্লেখ করে কমিশন।

পিএসসি জানায়, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ক্যাডার ও নন–ক্যাডার পরীক্ষার জট দূর করাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। দ্রুত পরীক্ষা সম্পন্ন ও ফল প্রকাশ নিশ্চিত করতে মে–জুনে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়, যার আওতায় দুটি বিশেষ বিসিএসসহ বহু পরীক্ষার কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন কোনো পরীক্ষা পেছালে রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ব্যাঘাত তৈরি হবে—এই কারণেই পরীক্ষা পেছানোর প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানায় কমিশন।

পিএসসি ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচিও প্রকাশ করেছে।

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর এবং চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৮টি বিভাগীয় শহরে—ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ। তবে পদ–সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় পরীক্ষার আয়োজন শুধুমাত্র ঢাকাতেই হবে বলে জানানো হয়েছে।

পিএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, সবাই যেন ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ থেকেই পরীক্ষায় অংশ নেন।


ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

আগামী ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. আতিকুস সামাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, ফুলকোর্ট সভায় অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ফুলকোর্ট সভা বিচারপতিদের কথা বলার নিজস্ব ফোরাম। এতে নীতি-নির্ধারণী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গত দেড় বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার ফলে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবনতির কোনও আশংকা নেই।

রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসবে, সেই সময়ে বিভিন্ন দলের মিছিল-মিটিংয়ের সংখ্যা বেড়ে যাবে। তবে এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কোন সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি, তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির মধ্যেই ছিল। আমাদের গত দেড় বছরের প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’

ভূমিকম্প হলে করণীয় বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ভূমিকম্প নিয়ে অনেক দেশ কিছু অ্যাপ তৈরি করেছে যার মাধ্যমে ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার ১০ সেকেন্ড পূর্বে সতর্কতামূলক বার্তা জানানো হয়।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশেও এ ধরনের আগাম সতর্কতামূলক মোবাইল অ্যাপ চালু করা যায় কি না সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে বিশেষ করে নগর এলাকায় উন্মুক্ত বা খোলা জায়গার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধে আমাদের এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে। তিনি এসময় সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণের আহ্বান জানান।

ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন অগ্নিদুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট যথেষ্ট সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। তবে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সেটা ভিন্ন বিষয়। সবাইকে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি।

ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


banner close