মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

পুলিশের লুট হওয়া ৪০৬টি অস্ত্র ও ১২,৮৪৩টি গুলি উদ্ধার

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০২৪ ২০:০৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এদিন সারা দেশে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলের পড়ে পুলিশ সদস্যরা। সারা দেশে বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, হামলার ও ভাঙচুর করা হয়। লুটে নেওয়া হয় অস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন জিনসিপত্র।

লুটে নেওয়া অস্ত্র ও গোলাকবারুদের মধ্যে পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ৪০৬টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও ১২ হাজার ৮৪৩টি গুলি উদ্ধার করেছে। আজ বুধবার পুলিশ ও র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পৃথক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, সারা দেশ থেকে সম্প্রতি লুণ্ঠিত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের মধ্যে ৩০৯টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৬ হাজার ২৫৮ রাউন্ড গুলি, ৩১৮টি টিয়ার গ্যাস সেল, ২টি টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড এবং ৯টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পুলিশের বিভিন্ন থানা ও স্থাপনা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার চলছে। কারো কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সারা দেশে ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৬৩৪টি থানার সেবা কার্যক্রম এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। এছাড়া ১১০টি মেট্রোপলিটন থানার মধ্যে ১১০টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৫২৪টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া ৫টি থানা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস্, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সকল সরঞ্জামাদি ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় এসব থানার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এই ৫টি থানার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

এদিকে, বিকেলে র‍্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেন, গত ৫ আগস্ট দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সারা দেশে থানা পুলিশসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের কার্যক্রম চালু করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে র‍্যাব অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।

এ প্রেক্ষিতে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ স্বেচ্ছায় ফেরত প্রদান করতে র‍্যাব আহ্বান জানায়। এখন পর্যন্ত লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে ৯৭টি অস্ত্র, ৬ হাজার ৫৮৫ রাউন্ড গোলাবারুদ ও ২৮টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে-র‍্যাব-৭ উদ্ধার করে ৩৫টি অস্ত্র, ২৭৫ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৮টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ৫টি ম্যাগজিন। র‍্যাব-১০ কর্তৃক ৯টি অস্ত্র, ৬৬১ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৯টি সাউন্ড গ্রেনেড ও মাল্টিটিয়ার গ্রেনেড এবং ১০টি ম্যাগজিন। র‍্যাব-১১ উদ্ধার করেছে ১০টি অস্ত্র, ৭৭ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৪টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ২টি ম্যাগজিন। র‍্যাব-১২ কর্তৃক ৪৩টি অস্ত্র, ৫৫৫৯ রাউন্ড গোলাবারুদ ও ১১টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রমসহ নিয়মিত টহল ও নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।


মেয়াদ বেড়েছে ৬ সংস্কার কমিশনের

আপডেটেড ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ ০০:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার পতনের পর প্রথম দফায় গঠিত ৬ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক ৬টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সেগুলো হলো- নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ জন্য মোট ১১টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৫ জানুয়ারি। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনে সরকারের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন কমিশনের সদস্যরা।

চার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ১৫ জানুয়ারি বিকালে সংবাদ সম্মেলনে আসেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সেখানে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারে আসা সুপারিশগুলো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে কমিশনগুলোকে আরও এক মাস সময় দেওয়া হবে। এক মাসের মধ্যে আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হব বলে মনে করি।'

নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয় ৩ অক্টোবর। এই পাঁচ কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে ২ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার কথা ছিল।

আর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়ে ৬ অক্টোবর। এই কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল ৫ জানুয়ারির মধ্যে।

এরপর গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদন দিতে সেগুলো ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পাচ্ছে।

প্রথম দফায় ছয় কমিশন গঠনের পর গত ৪ নভেম্বর সেগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।

এই ছয় কমিশন ওয়েবসাইট খুলে মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ ও লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করে। সুপারিশমালা প্রস্তুতে এসব প্রস্তাব ও মতামত বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।


স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক এমপি বাহারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছাকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৭২ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। একই অভিযোগে আসামি করা হয়েছে বাহারের মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাকেও।

এ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা করা হয়েছে। সোমবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন ঢাকার সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, ‘সাবেক এমপি বাহার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৬ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ২৫৮ কোটি ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৫ টাকার লেনদেন করেছেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় মামলায় মেয়র তাহসীন বাহারকে আসামি করা হয়েছে। তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। আর তার ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৯৩ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তৃতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন সাবেক এমপি বাহাউদ্দীন বাহার ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা। একজন গৃহিণী হয়ে তার স্বামীর অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি বাহাউদ্দিনের দুই মেয়ে যথাক্রমে আয়মান বাহারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও আজিজা বাহারের বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক।

গত ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের পর আত্মগোপনে বাহার পরিবার। গত ২৬ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন গুলি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন ওরফে বাহারকে প্রধান আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার দোসর কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন ওরফে বাহারকে প্রধান আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।


‘হাসিনার সময় ঢাবি ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।

সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কর্তৃক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এটা যে কত আনন্দের, উচ্ছ্বাসের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আসতাম, তখন কত বক্তৃতা, কত রাজনৈতিক বিতর্ক, আলোচনা আমরা মধুর ক্যান্টিন থেকে করেছি। সেই আনন্দের দিন যেন হারিয়ে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সাহস পেতাম না। মাঝেমধ্যে যদি যেতামও তখন গাড়ির জানালাটা নামিয়ে দিতাম, যাতে কেউ না দেখে। শেখ হাসিনার আমলে এই ধরনের একটি চরম ফ্যসিবাদের প্রাণকেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরিবেশকে চারদিক থেকে বিপন্ন করা হয়েছিল।

ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা পৃথিবীতে ছাত্ররাজনীতির যত ইতিহাস পড়েছি, যখন একনায়কের শাসন চলছিল, তখনও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করপোরেট স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তখনো আন্দোলন চলেছে। কিন্তু হাসিনা সে সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছিল।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হাসান খান, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ।


বিজিবির জন্য কেনা হচ্ছে সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস (টিয়ারশেল) কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে সবসময় প্রাণঘাতী অস্ত্রই দেওয়া ছিল। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, বিজিবি কেন সাউন্ড গ্রেনেড মারেনি, কেন কাঁদানে গ্যাস মারেনি? কিন্তু এগুলো তো বিজিবির কাছে নেই। তাদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র, যেটা তারা ব্যবহার করতে পারেনি।
তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু বিজিবি এগুলো ব্যবহার করেনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবির কাছে এগুলো নেই, তারা কীভাবে এগুলো ব্যবহার করবে? এখন আমরা তাদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছি, তাদের জন্য এসব জিনিস ক্রয় করা হবে। প্রাণঘাতী অস্ত্র তাদের কাছে আছে। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেলের মতো যেসব জিনিস, তাদের কাছে নেই, সেগুলো তাদের জন্য ক্রয় করা হবে।
সীমান্ত এখন স্থিতিশীল জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।
বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশিদের বিষয়ে তিনি বলেন, এর আগে একটি সার্কুলার দিয়েছিলাম যে আমাদের দেশে অনেকেই অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৪৯ হাজার ২২৬ বিদেশি বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। এখন সেটা কমে আসছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জনে। আগামী ৩১ জানুয়ারি তাদের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এরমধ্যে এসব বিদেশির মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা আমরা রাজস্ব আয় করেছি। বিদেশিদের কাজ দিতে হলে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু যদি তারা সেটা না নিয়ে থাকেন, তাহলে যেই সংস্থা তাদের চাকরি দেবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পুলিশ, র‍‍্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন

পুলিশের জন্য লৌহ রংয়ের পোশাক, র‍‍্যাবের জন্য সবুজ জলপাই ও আনসারের জন্য সোনালী গম রংয়ের পোশাক নির্বাচন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছে৷। নতুনভাবে পুলিশের জন্য লৌহ রংয়ের পোশাক, র‌্যাবের জন্য সবুজ জলপাই ও আনসারের জন্য সোনালী গম রংয়ের পোশাক নির্বাচন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাশেষে এসব সিদ্ধান্ত জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী৷

তিনি বলেন, আমরা পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারদের জন্য তিনটি পোশাক নির্ধারণ করেছি। এসব পোশাক পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে। যেসব পোশাক রয়েছে সেসব আস্তে আস্তে বদলে ফেলা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পোশাক পরিবর্তনে বড় ধরণের অর্থ সংকুলানের সমস্যা হবে না।

এছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস কেনা হচ্ছে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তে সবসময় প্রাণঘাতী অস্ত্রই দেওয়া ছিল। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, বিজিবি কেন সাউন্ড গ্রেনেড মারেনি, কেন কাঁদানে গ্যাস মারেনি? কিন্তু এগুলো তো বিজিবির কাছে নেই। তাদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র, যেটা তারা ব্যবহার করতে পারেনি।’

গেল ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু বিজিবি এগুলো ব্যবহার করেনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবির কাছে এগুলো নেই, তাহলে তারা কীভাবে এগুলো ব্যবহার করবে?’

‘এখন আমরা তাদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছি, তাদের জন্য এসব জিনিস ক্রয় করা হবে। প্রাণঘাতী অস্ত্র তাদের কাছে আছে। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেলের মতো যেসব জিনিস, তাদের কাছে নেই, সেগুলো তাদের জন্য ক্রয় করা হবে। এসব কেনার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের কাছে এগুলো আছে, কিন্তু বিজিবির কাছে নেই,’ যোগ করেন উপদেষ্টা।

সীমান্ত এখন স্থিতিশীল অবস্থায় জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেখানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।

বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশিদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘এরআগে একটি সার্কুলার দিয়েছিলাম যে আমাদের দেশে অনেকেই অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৪৯ হাজার ২২৬ বিদেশি বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। এখন সেটা কমে আসছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন। আগামী ৩১ জানুয়ারি তাদের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এরমধ্যে এসব বিদেশির মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা আমরা রাজস্ব আয় করেছি। বিদেশিদের কাজ দিতে হলে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু যদি তারা সেটা না নিয়ে থাকেন, তাহলে যেই সংস্থা তাদের চাকরি দেবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আজ চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন ড. ইউনূস

ফিরে পরিদর্শন করবেন ‘আয়না ঘর’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ ০০:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

তিনি জানান, আজ সোমবার রাতে চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। সফর দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া ছাড়াও দাভোসে ফোরামের সাইডলাইনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড ছাড়াও কয়েকটি সংস্থা প্রধান, বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা রয়েছে তার। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী ২৪ জানুয়ারি দাভোস থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের। ব্রিফিং আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি, নাইম আলী।

শিগগির ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

এদিকে সুইজারল্যান্ড থেকে ফিরে এসে যে কোনো দিন গুমের ঘটনায় আলোচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার আবাসিক দপ্তর ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন তার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানিয়ে ‘জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল’ যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে তা পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা। প্রধান উপদেষ্টা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করলে গুমের শিকার ব্যক্তিরা আশ্বস্তবোধ করবেন ও অভয় পাবেন বলে জানান তারা। বৈঠকে কয়েকটি গুমের ঘটনার নৃশংস বর্ণনাও প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের তদন্তে যে ঘটনাগুলো উঠে এসেছে, তা গা শিউরে ওঠার মতো। আমি শিগগিরই আয়নাঘর পরিদর্শনে যাব।’

উল্লেখ্য, গত মাসে গুমের ঘটনায় গঠিত এ কমিশন তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করে। ওই প্রতিবেদনে মর্মস্পর্শী কয়েক শত ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার নির্বাচিত কিছু অংশ গণমাধ্যমে সরবরাহ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এ তদন্ত কমিশনের কাজ অব্যাহত রয়েছে।


সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা 

সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

সাকিব ছাড়া আরও একজনের বিরুদ্ধে একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আইএফআইসি ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিবের বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিব আল হাসানসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন- সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন, ডিরেক্টর ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর এ মামলার বিচারক আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। এদিন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ডিরেক্টর ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। তবে সাকিব আল হাসান ও অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির হননি। এ জন্য আদালত তাদের দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোম্পানিটির কার্যক্রম সাতক্ষীরায়। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে এক কোটি এবং টার্ম লোন হিসেবে দেড় কোটি টাকা বনানী শাখার আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। পরে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে নেওয়া টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় ব্যাংকটি এই টাকা মেয়াদি ঋণে পরিবর্তন করে। টাকা ফেরত চেয়ে কয়েক দফা নোটিশ দেওয়ার পর কোম্পানিটি ব্যাংককে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর চার কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয়। তবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা না থাকায় চেক বাউন্স করে। পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর ৩০ দিন পার হলেও তা না পেয়ে আদালতে এসে মামলা করে।

সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডারের মধ্যে একজন যিনি একই সাথে দীর্ঘদিন তিন ফরম্যাটের (টেস্ট, ওয়ান-ডে, টি২০) ক্রিকেটে শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে ছিলেন। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন রেকর্ড শুধু সাকিবেরই। সাকিব ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত বছরের ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে সাকিব সংসদ সদস্য পদ হারান। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান। মাঝে তার দেশে ফেরার গুঞ্জন শোনা গেলেও তিনি আর দেশে ফেরেননি। দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান তিনি। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও রয়েছে। মাঝে সাকিব-শিশির দম্পতির ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়েছিল।


উচ্চ আদালতে আপিল না থাকা খালাসপ্রাপ্তদের জামিন: পিপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিম্ন আদালতে খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল না থাকলে জামিনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ আদেশে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন দুই শতাধিক আসামি। রোববার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে ঢাকা মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।

স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জুয়েল মুন্সি সুমন গণমাধ্যমকে জানান, যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় উচ্চ আদালতে কোনো আপিল বিচারাধীন নেই, শুধু তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রায় ২০০ আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আদালতের লিখিত আদেশ পাওয়ার পর সঠিক সংখ্যা বলা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারক বলেছেন যাদের বিরুদ্ধে এখন কোনো আপিল বিচারাধীন নেই তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে’।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। ওই ঘটনার পর বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় দেন হাইকোর্টে। রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে। পাশাপাশি আরও ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। আর খালাস পান ২৮৩ জন।

তবে হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। ফলে হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

এদিকে, বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহিদ পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।


তিন বছরের মধ্যে রাজস্ব আয় দেড়গুণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে এই লক্ষমাত্রা প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। একইসঙ্গে পরবর্তী দুই অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের প্রক্ষেপণও করা হয়েছে। এতে ২০২৬-২৭ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের প্রক্ষেপিত লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ ৪৯ হাজার কোটি এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরের জন্য তা আরও বাড়িয়ে ৭ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। সে হিসাবে মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সরকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেড়গুণের বেশি বা ৫২ দশমিক ২৪ শতাংশ বাড়াতে চায়।

সম্প্রতি রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণসংক্রান্ত বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির (বিএমসি) সভায় এ প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। প্রস্তাবিত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করতে আগামী বুধবার বিএমসির পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট অনেক বড় করার প্রয়োজন নেই। ঘাটতিটাও কম রাখতে হবে। তাহলে মূল্যস্ফীতির চাপ কম থাকবে। এক্ষেত্রে ভারসাম্য করে নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে অর্থনীতি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যেহেতু সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে, সেহেতু সরকারের আর্থিক নীতিও এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয়ের পরিস্থিতিও ভালো নয়। বিদেশি সহায়তা সেভাবে আসছে না। এসব বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য ও প্রায়োগিক একটি বাজেট দরকার।

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গণমাধ্যমে বলেন, ‘অর্থনীতি এমন পর্যায়ে রয়েছে যে ব্যয় সংকোচন প্রয়োজন। আবার রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিও দরকার। তবে রাজস্ব আদায়ের প্রয়োজনটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যয়ের সঙ্গে যেন সম্পর্কিত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

সাধারণ মানুষের ওপর যেন রাজস্ব আদায় চাপ সৃষ্টি না করে সেদিকে গুরুত্ব রাখা উচিত জানিয়ে এই গবেষণা পরিচালক বলেন, ‘এই বাজেটের বেশির ভাগ অর্থ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে। তাই আয় অর্জন করে ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে বাজেট বাস্তবায়ন করা উচিত। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে ব্যয়ের কাঠামো মাথায় রেখে এবং সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি না করে রাজস্ব উৎস নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’

এরই মধ্যে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগামী অর্থবছরের জন্য ৮ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আকার কমানো হলেও আসন্ন বাজেটের ব্যাপ্তি ৮ লাখ কোটি টাকার নিচে নামবে না বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। আগামী অর্থবছরের মোট বাজেটের দুই-তৃতীয়াংশ রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে যোগান দিতে চায় সরকার।

এনবিআরের তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৫ কোটি টাকা। অথাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রাজস্ব আহরণ কমেছে ৪২ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা বা প্রায় ২৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের রাজস্ব অহরনের লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে বাকি সাত মাসে ৩ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে, যা অসম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

তারা বলছেন, রাজস্ব আহরণ না বাড়লেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে সরকারের ব্যয়। এতে বাড়ছে সরকারের ঋণনির্ভরতাও। বর্তমানে সরকারের রাজস্ব আয়ের সিংহভাগই চলে যাচ্ছে ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধে। এক সময় সরকারের পরিচালন ব্যয়ের ৩০ শতাংশেরও কম অর্থ ব্যয় হতো ঋণের সুদ পরিশোধে। কিন্তু চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পরিচালন ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি অর্থ এ খাতে ব্যয় করতে হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণ অনুসারে, চলতি অর্থবছরে সরকারকে সবচেয়ে বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এমনকি চলতি অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ রাজস্ব আয়কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থাটি আগের দুই অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল, সেটি পূরণ করতে পারেনি সরকার। এ অবস্থায় চলমান ঋণ কর্মসূচির অধীনে প্রতি বছরই বাংলাদেশের জন্য রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াচ্ছে আইএমএফ। চলতি অর্থবছরের জন্য সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে সংস্থাটি। যদিও দেশের বিদ্যমান প্রতিকূল অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) একজন গবেষণা পরিচালক বলেন, চলতি অর্থবছরের বিদ্যমান রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব। এ বছর এটি অর্জনের সম্ভাবনা নেই। জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী অস্থিরতা ছাড়াও দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতির মধ্যে আমদানিতে ধীরগতি ও নিত্যপণ্যে শুল্ক ছাড় শুল্ক কম আদায়ে ভূমিকা রেখেছে। অতি দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা। পাশাপাশি অর্থবছরের পুরো বাজেট সংশোধন করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুতুলকে সরাতে পররাষ্ট্রে দুদকের চিঠি

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক পদ থেকে শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদক থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি দুর্নীতির মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নিয়োগে শেখ হাসিনা প্রভাব খাটিয়েছেন। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এদিকে গত বছরের ৩০ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানান, আর্থিক ও ফৌজদারি মামলা থাকায় পুতুলের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে চায় না বাংলাদেশ সরকার। তাই এখন থেকে তার পরিবর্তে ডব্লিউএইচওর সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে সংস্থাটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে এ অঞ্চলের ৮ দেশের সরাসরি ভোটে ৭-১ ব্যবধানে জয়ী হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এই নিয়োগ পেতে ২০২৩ সালে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়ে পুতুলের জন্য ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালান স্বয়ং শেখ হাসিনা ও তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


আব্দুস শহীদ, আনোয়ারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও তার স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সাত কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগ দখলে রেখেছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ। এ ছাড়াও নিজ ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১৮টি হিসাবে মোট ২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সন্দেহজনকভাবে লেনদেন করেছেন। টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এই মামলা রুজু হয়েছে।

আর তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তার বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এ ছাড়াও তার নামে-বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়া কবির বিন আনোয়ারের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ দুই কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। এর বাইরেও তার ৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক।

তৌফিকা আহমেদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছে দুদক।

তার ৬টি ব্যাংক হিসাবে সাত কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং ২২ হাজার ২৮০ মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’


শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্সের সদস্যদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গঠিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত, শিগগিরই সেসব সেল পরিদর্শনের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্সের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা জানান।

বিকেল সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানিয়ে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলগুলো পরিদর্শনের অনুরোধ জানান কমিশনের সদস্যরা।

তারা জানান, প্রধান উপদেষ্টা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করলে গুমের শিকার ব্যক্তিরা আশ্বস্ত বোধ করবেন এবং অভয় পাবেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে কয়েকটি গুমের ঘটনার নৃশংস বর্ণনা শোনান তদন্ত কমিশনের সদস্যরা। ছয় বছরের শিশুকেও গুম করা হয়েছে বলে কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানান তারা।

কমিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের তদন্তে যে ঘটনাগুলো উঠে এসেছে তা গা শিউরে ওঠার মতো। আমি শিগগিরই আয়নাঘর পরিদর্শনে যাব।’


কবি নজরুলের নাতি বাবুল কাজী আর নেই

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী (৫৯) ইন্তেকাল করেছেন।

আজ রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (ইমার্জেন্সি) ডা. শাওন বিন রহমান ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করছেন। তার অধীনেই চিকিৎসাধীন ছিলেন জাতীয় কবির এই নাতি।

গতকাল শনিবার অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল।

বাসার বাথরুমে গ্যাসলাইটার বিস্ফোরণে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন।

বাবুল কাজী জাতীয় কবির পুত্র সব্যসাচী কাজীর ছোট ছেলে। তার বোন দুই বোন খিলখিল কাজী ও মিষ্টি কাজীর বরাত দিয়ে শাওন বিন বলেন, তিনি স্বভাবতই সকালে ওয়াশরুমে ধূমপান করেন। শনিবার একইভাবে ধূমপানের সময় লাইটার জ্বালাতে গেলে সেটা বিস্ফোরণ হয়ে পুরোটা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।


banner close