সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
১৯ কার্তিক ১৪৩২

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান: হত্যাকাণ্ড তদন্তে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট, ২০২৪ ১৯:১৭

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত নৃশংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদল আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছে। জেনেভা থেকে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় এসে স্বাধীনভাবে প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের কাজ করবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশনের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে গোয়েন লুইস বলেন, খুবই সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। তারা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। গোয়েন লুইস বলেন, আগামী সপ্তাহে আমাদের (জাতিসংঘ) কয়েকজন কারিগরি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে আসবেন। তারা এসে প্রাথমিক তদন্তের কাজ করবেন। তাদের ম্যান্ডেট কী হবে, কীভাবে তারা সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন, এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।

বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। হাইকমিশনার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে জানান, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনায় শিগগিরই তদন্ত শুরু করবে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপের প্রসঙ্গ টেনে গোয়েন লুইস জানান, জাতিসংঘের প্রাথমিক তদন্ত দলটি আগামী সপ্তাহে এসে প্রাথমিক তদন্তের কাজের পাশাপাশি তাদের টার্মস অব রেফারেন্স (কাজের পরিধি), কাজের সময় সীমাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করবে।

গোয়েন লুইস বলেন, জেনেভা থেকে বাংলাদেশে এসে স্বাধীনভাবে তদন্তের কাজ করবে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি। আর এই কাজে অর্থায়ন করবে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আধা ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের ফোনালাপের উদ্ধৃতি দিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, তদন্ত দলকে সহায়তা করবে অন্তর্বর্তী সরকার।

এদিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশন বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে সরকার সবধরনের সহায়তা দেবে। আজ দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এই তদন্ত গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার বিষয়ে যা যা করার দরকার সে বিষয়ে সরকার অবশ্যই সহযোগিতা করবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব যেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। যেটি সমস্ত পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এখন সিচুয়েশন এমন যে কোনো কিছু করতে গেলেই এক ধরনের সমালোচনা আসতে পারে। কাজেই আমরা চাইব তদন্তটা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবেই হোক। এক্ষেত্রে তাদের যা যা সহায়তা করার দরকার আমর সেটি করব।

তিনি বলেন, তারা স্বাধীনভাবেই তদন্ত করুক। তারা যদি এখানে তদন্ত করতে চান তাদের নিরাপত্তার বিষয়টাও আমাদের দেখতে হবে। তারা যতই স্বাধীনভাবে করুন না কেন সেখানে আমাদের ইনভলবমেন্ট থাকতেই হবে। কারণ এই সরকারও চায় একটা স্বচ্ছ তদন্ত হোক এবং তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শাস্তি দেওয়া হোক। কাউকে ঢালাওভাবে হয়রানি করা বা সামরিক ট্রায়ালের চিন্তা সরকারের নেই। আমরা পুরোপুরি আইন অনুযায়ী কাজটা করতে চাই।

জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তাদের সঙ্গে গতানুগতিক আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। জাপান সম্বন্ধে বাংলাদেশে সাধারণত একটা ভালো মনোভাব আছে এবং সেটা তারাও জানে। তাদের এইড কোয়ালিটিও সবচেয়ে ভালোর একটি, টাকাটা আসলে সেটা আর যায় না। অনেকের ক্ষেত্রে আসে এবং যায়। কিন্তু জাপানিদের সুবিধা হলো, যখন আসে থেকে যায় এখানে।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে জাপানের সহায়তা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক খুব ভালো, সবসময়। কাজে আপনারা সহায়তা করুন।

তিনি আরও বলেন, আমি তাকে বলেছি ছোটখাটো এক হাজার লোক নিয়ে যাওয়া, এগুলোতে কোনো কাজ হবে না। কারণ, নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে ফ্লাইটে ওঠা পর্যন্ত এর মধ্যে এক হাজার বাচ্চা জন্ম দিয়ে গেল। কাজেই, যেটা করতে হবে, আসলে টেকসই একটা রিটার্নের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি তাদের নাগরিকত্বের প্রশ্নও তুলি নাই। সেটা আরও বিস্তৃত ইস্যু।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার বিষয় দেখতে হবে এবং তারা যেন অর্থনৈতিক জীবনজীবিকা পেতে পারে- এই দুব্যাপারে তারা যেন আমাদের সহায়তা করে। পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন আমাদের এ ব্যাপারে সহায়তা করে।

আর একটা বিষয় আমি বলেছি, এখানে পুনর্বাসনের বিষয়টি আলাপ আলোচনার মতোও নয়।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা যথেষ্ট করেছি, আমরা আর কোনো রোহিঙ্গাকে নিতে পারব না। পৃথিবীতে আরও অনেক দেশ আছে, এমনকি মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তওয়ালা দেশও অনেক আছে, দরকার হলে তারা নিক।

অর্থনৈতিক সহায়তার ক্ষেত্রে জাপানের সাথেও একই রকম কথাবার্তা হয়েছে জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, জাপানেরতো অনেক ঋণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে চলমানও আছে। বরং তারা আমাদের সহায়তা চেয়েছেন, যেগুলো প্রোগ্রাম চলমান আছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, যেহেতু রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আছে, আমাদের আমাদের যা অবস্থান, আমরাতো যুদ্ধ করতে যাব না কারও সাথে, পারবও না। সেজন্য আমাদেরকে দেখতে হবে, এই নিষেধাজ্ঞা রেজিমের মধ্য দিয়ে আমরা যতটুকু সহায়তা করতে পারি বা সম্পর্ক রক্ষা করতে পারি, এটার সর্বোচ্চটা আমরা করতে চাই। কারণ সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিরাট সহায়তা দিয়েছে। ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো যদি তিনটা ভেটো না দিত আমাদের পক্ষে। কাজে সেই কৃতজ্ঞতা আমাদের আছে। তাদের একজন নাবিকের কবর আছে এখানে। সেটাও আমি বলেছি যে তোমাদের অবদান নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা সবসময় শ্রদ্ধাও করি, রুশ মানুষদের আমরা বন্ধু মনে করি। তবে, আমাদেরকে নিরাপদ পথে চলতে হবে।

রূপপুরের ব্যাপারে কথা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এটা চলমান রাখার বিষয়ে আমরা যেন সহায়তা করি। আমরা বলেছি, অবশ্যই, বড় বিনিয়োগতো ইতোমধ্যে হয়েই গেছে। এটার ফলাফল যদি আমরা না পাই, শেষ না হলেতো ফলাফল পাওয়া যাবে না। সেটার জন্য আমরা সহায়তা করব এটা বলেছি।

বিষয়:

কুয়াশা দিচ্ছে শীতের বার্তা, রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীতে আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ১৪ মিনিটে। তবে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে হালকা সূর্যের দেখা মিলেছে। ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছে রাজশাহী।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, এদিন সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। আর রোববার (২ নভেম্বর) ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গেল বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজশাহী থেকে কয়ক দফা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই তিন দিনে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এই বৃষ্টির সঙ্গে বয়েছিল বাতাসও। বৃষ্টিপাত থেমে যাওয়ার পরে কুয়াশার সঙ্গে শীত অনুভব করছে রাজশাহীবাসী।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বাবু বলেন, কয়েকদিন আগে বৃষ্টিপাত হলো। বৃষ্টিপাত শেষে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। সকালে কুয়াশা পড়েছে। এটা শীতের বার্তা দিচ্ছে।


বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে:নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রতিটি আসনে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও সবাই তা পাবেন না উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার রাজধানীর বনানীতে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহের অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনী আসন বণ্টন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করবে। এ নিয়ে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে।
তিনি বলেন, ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রস্তুতি চলছে। সব সংসদীয় আসনে একাধিক ও যোগ্য প্রার্থী থাকার পরেও সবাইকে মনোনয়ন দেয়া সম্ভব নয়। যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে ছিলেন, তাদেরকেও আসন দিচ্ছে বিএনপি।
শিগগিরই মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
অনেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, মনোনয়ন বঞ্চিতদের দেশ ও জনগণের স্বার্থে, দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। কারণ ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাদের পক্ষে কাজ করে, তাদের বিজয়ী করতে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘এমন কোনো আচরণ করবেন না, যাতে পুরো বিএনপি বিব্রত হয়।’
বিএনপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির বিজয় ঠেকাতে আবারও একটি সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তবে কোনো ষড়যন্ত্র বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
এ সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি দায়িত্বশীল দল হিসেবে শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখতে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছে। একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে, অপর দিকে যথাসাধ্য সম্ভব সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন শর্ত জুড়ে গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সংকটাপন্ন করে তুলছে। এর পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন হবে কিনা, জনমনে এমন সংশয় ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এমন হবার কথা ছিল না। আগামীর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জনগণের সংশয় সন্দেহ গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে। কৌশল ও অপকৌশলের পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হলে অগণতান্ত্রিক বা অপশক্তির কাছে শেষ পর্যন্ত বিনাশর্তে আত্মসমর্পনের পথে হাঁটতে হয় কিনা এমন বিপদের কথাও সব রাজনৈতিক দলগুলোকে স্মরণ রাখার বিনীত অনুরোধ রাখেন।


তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম নেতাদের সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। ছবি: (পিআইডি)
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ। গতকাল রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফ-এর সভাপতি মাসউদুল হক জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবালয় বিটে কর্মরত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পত্র পাঠানো হলেও এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এসময় বিএসআরএফ-এর সভাপতি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের জন্য সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা চালুর বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের পাশাপাশি ৫ নম্বর গেট দিয়েও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বিএসআরএফ-এর সভাপতির প্রস্তাব আন্তরিকভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফ-এর সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন পিন্নু, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


সরকারি ভবনগুলোতে গ্রিন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রিন বিল্ডিংবিষয়ক কর্মশালায়’ গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: (পিআইডি)
আপডেটেড ২ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়ে তুলতে, সরকারি ভবনগুলোতে গ্রিন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সরকারি স্থাপনাগুলোতে মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে, বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে।

গতকাল রোববার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রিন বিল্ডিংবিষয়ক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, শুধু রঙ বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ হবে না। এতে পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ- সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় তিনি ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ঢাকার খাল ও নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দ-দূষণ কমানো ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ নগর পরিবেশের উন্নয়নে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য।

উপদেষ্টা এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।

এ কাউন্সিল গ্রিন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ এবং বাস্তবায়ন তদারকিতে ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক, পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, এইচবিআরআই-এর প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান ও স্থপতি রফিক আজমসহ প্রকৌশলী, স্থপতি, গবেষক ও নীতিনির্ধারকরা।


পরিবেশের ক্ষতি না করে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ’ সংক্রান্ত প্রান্তিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে সড়ক, রেল, বিমান ও নৌপথের সম্মিলিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ।

আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ’ সংক্রান্ত প্রান্তিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পদস্থ কর্মকর্তারা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে।’

তিনি বলেন, ‘পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করেই আমাদেরকে কাজটা করতে হবে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না, পানিকে শান্ত রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে পানি আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ।’

বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে তৈরি করেন।

এই পরিকল্পনায় দেখানো হয়, সারাদেশের সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার সমন্বয় এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অল্পবিস্তর সংস্কার ও সংযোজনের মাধ্যমে কিভাবে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা যায়।

এতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে থাকা রেলপথ, নৌপথ এবং সড়কপথের যথাযথ ব্যবহার ও কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়ানো গেলে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভব।

যোগাযোগ খাতের সবগুলো ব্যবস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই পরিকল্পনার ফলে প্রাথমিকভাবে একটি শক্তিশালী ধারণা পাওয়া গেল। এখন এটিকে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পরিকল্পনাটা করতে হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে মাথায় রেখে। অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।

‘আমরা যখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদীর কথা চিন্তা করব, তখন অবশ্যই আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে নদীগুলো আমাদের প্রাণ,’ বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যেসব ক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু সড়ক নির্মাণ করে দিলেই পুরো অঞ্চলটাকে জাতীয় কানেক্টিভিটির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব, সেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলোকে আরও পরিকল্পিতভাবে করার লক্ষ্যে একই বিভাগে একটি প্ল্যানার্স উইং গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সামষ্টিক মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনভাবে কাজ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক লাইফলাইনটা গড়ে ওঠে।

বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। এটাকে বিবেচনায় রেখে অবশ্যই এসব বন্দর থেকে সড়ক যোগাযোগ যেন সহজ ও কার্যকর হয় সে বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে। সূত্র বাসস


সমাজ-রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়: রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্ম করে তাদের কোনো ছাড় নয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
গতকাল শনিবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একটি অসত্য সংবাদে রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, কোনকিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো কারো কারো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সমাজবিরোধী কাজে যেই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
রিজভী বলেন, রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ, কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়ত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এখনও আতংকমুক্ত নয়।
রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট যারা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে এর দাম বেড়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।


সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: ইসি আনোয়ার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুয়াকাটা প্রতিনিধি

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজ বলেছেন, সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গতকাল শনিবার কুয়াকাটায় অবস্থিত কোডেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি আনোয়ার বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচনী আইন (আরপিও)-তে সংশোধন আনা হয়েছে। এখন রিটার্নিং কর্মকর্তারা চাইলে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন।’
এ সময় তিনি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটা কোডেক ট্রেনিং সেন্টারের সভাকক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে পটুয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিস। এ কর্মশালায় পটুয়াখালী জেলার আট উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় ৬০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান।


জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ইজতেমা : ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

রোববার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা জানান, দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইজতেমার তারিখ ঠিক করা হবে।


নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত বিষয়ে ২য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী প্রতিনিধি

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় নোয়াখালীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ২ দিন ব্যাপী ২য় ব্যাচে গ্রাম আদালত বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

শনিবার (০১ নভেম্বর) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণে কোর্স ডিরেক্টর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ এবং কোর্স কোর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন, উপপরিচালক (অ.দা.) মোহাম্মদ ইসমাইল।

এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের গ্রাম আদালতের উপর হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। গ্রাম আদালত পরিচালনার উপর বড় পর্দায় নাটিকা প্রদর্শন করা হয়। প্রশিক্ষনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ গ্রাম আদালতের উপর একটি মক ট্রায়াল প্রদর্শন করেন।

প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও কোর্স ডিরেক্টর খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, গ্রামের বিরোধগুলো আপনারাই নিষ্পত্তি করে থাকেন। তবে সেই বিরোধগুলো যাতে গ্রাম আদালতের মাধ্যমেই নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী সমাধা করা হয় সে দিকে লক্ষ রাখবেন। আপনাদের আন্তরিকতায় গ্রামের হতদরিদ্র মানুষগুলো অল্প সময়ে গ্রাম আদালতের সেবা নিতে পারবে। ছোটখোটো কোনো বিরোধ নিয়ে পক্ষরা যাতে থানা বা জেলা আদালতে না চলে যায় তার জন্য প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রাম আদালতের বিষয়ে প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থাও করতে হবে।

গ্রাম আদালতে গত ৬ মাসে মামলা গ্রহণে ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থান অর্জনকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পুরস্কৃত করা হয়।

প্রশিক্ষণ পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মো. আহসান উল্লাহ চৌধুরী মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়কারী মো. নুরে আলম সিদ্দিক এবং চাটখিল উপজেলা সমন্বয়কারী রবিউল হাসান, প্রোগ্রাম এন্ড ফাইন্যান্স এসিস্ট্যান্ট ফয়েজ আহমেদ।


নবীনগরে আধিপত্য বিস্তারে হামলা পাল্টা হামলা নিহত ১ জন গুলিবিদ্ধ ৩

আপডেটেড ২ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৮
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববর্তী বিরোধকে কেন্দ্র করে আবারও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মনেক মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণিশাহ মাজার বাজার ও আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বড়িকান্দি গণিশাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে স্থানীয় কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩০) আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় হঠাৎ একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপন মিয়া ও হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) এবং নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন।

গুলির শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুলিবিদ্ধদের প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন মিয়া মারা যান।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিপনের পক্ষের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় প্রতিপক্ষের এলাকায় হামলা চালায়। তারা গণিশাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় শিক্ষক এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে গুলি চালায়। এতে এমরান মাস্টার (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই এবং শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

পরে বিক্ষুব্ধরা থোল্লাকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের একাধিক বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। এতে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে রাতেই নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক এবং নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নবীনগর থানার ওসি মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, “গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটেছে।”

এ ঘটনায় এলাকায় এখনো টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।


মোহাম্মদপুরে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক দুই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ব্যবসায়িক আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে মো. রাসেল (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিপ্লব নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউসিং এলাকার ৪ নম্বর রোডে ঘটনাটি ঘটে । পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ‘পেপার বাবু’ ও তার সহযোগী মোবারককে আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, রাতে রাসেল ও বিপ্লব নবীনগর হাউসিং এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ওই সময় মোটরসাইকেলে এসে একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। রাসেলের ঘাড়ে কোপ লাগলে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রমনা জোনের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (এসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, স্থানীয় এলাকায় মুরগির ব্যবসা ঘিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত রাসেল ও অভিযুক্ত পেপার বাবু একই ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

তিনি আরও বলেন, “পেপার বাবুর বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার পেছনে কারা মদদ দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পুলিশ জানায়, হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রস্তুতির কাজ চলছে এবং এলাকার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীজুড়ে যানজট, জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি

বৃষ্টিতে ঢাকার সড়কে যানজট। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ নভেম্বর, ২০২৫ ০১:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাঝ কার্তিকে শনিবার দুপুরে নেমে আসে সন্ধ্যা, কালো মেঘ গর্জে নামলো বৃষ্টিও। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

এই সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে টাঙ্গাইলে ৫৭ মিলিমিটার। এছাড়া কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও খুলনা জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

'লঘুচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি,' বলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির।

এদিকে বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি যেন থামছিল না। অঝোর ধারায় ঝরেই চলেছিল৷ একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি; অন্যদিকে যানজট আর জলাবদ্ধতায় নাকাল ছিল রাজধানীবাসি।

শনিবার বিকাল চারটা নাগাদ ঢাকার আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। এরপর সাড়ে চারটা নাগাদ শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। বিকাল ৫টা নাগাদ বাড়তে শুরু হয় এই বৃষ্টি। সন্ধ্যা সাতটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশিরভাগ অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু বড় সড়কের একপাশেও পানি জমে গেছে। বৃষ্টির কারণে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। সব মিলিয়ে অফিস ফেরত সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

বিকাল ৫টার দিকে মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হন আয়েশা সুলতানা। নেমেই দেখেন তুমুল বৃষ্টি। যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। যাবেন রামপুরা। রিকশা-সিএনজির চালকরা চাইছেন দ্বিগুণ ভাড়া। অগত্যা দ্বিগুণ ভাড়ায় রিকশা নেন তিনি। কাকরাইল এসে পড়েন যানজটে। সন্ধ্যা সাতটায়ও বাসায় পৌঁছাতে পারেননি বলে তিনি জানান।

একই অবস্থার শিকার ঢাকার প্রায় সব অফিস ফেরত সাধারণ মানুষের।

জরুরি কাজে বের হবেন রাজাবাজারের বাসিন্দা জামাল হোসেন। অঝোর বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। পরে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বের হন তিনি। তবে বাঁধ সাধে রাস্তার ওপর জমে থাকা পানি। তার ভাষ্য, ঢাকার সড়কে হাঁটু পানি পার হওয়া যেন নদী পার হওয়ার মতোই বিড়ম্বনা।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দক্ষিণ ছত্তিসগড় ও এর আশেপাশে যে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি অবস্থান করছিল, সেটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এটি লঘুচাপ আকারে পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের এলাকা থেকে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে, জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিন রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল।

সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং এর আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপ সৃষ্টি হলে আগামী বুধবার থেকে আবারও বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।'

তবে আর রোববারও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে, নভেম্বরেও ভেজা আবহাওয়া

নভেম্বরের শুরুতেই দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ছে। দুর্বল হয়ে পড়া লঘুচাপের পর আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাপমাত্রায় সামান্য ওঠানামা দেখা দিতে পারে—কোথাও কমবে, কোথাও আবার সামান্য বাড়বে।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, দক্ষিণ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিনত হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে

তিনি আরও জানান, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে

আগামী বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের প্রথম দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


নির্বাচনের আগে বিদেশে যেতে পারবেন না সরকারি কর্মকর্তারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো কর্মকর্তা বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না।

বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের সব সচিবের কাছে নতুন পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রের অনুলিপি উপদেষ্টাদের একান্ত সচিবদেরও দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা আগের নির্দেশনাগুলোর পরিপন্থী।

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করার অনুরোধ করা হলো।’


banner close