ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের নামে থাকা ব্যাংকের হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে তাদের হিসাব জব্দ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে। ওই চিঠিতে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের ছেলে, মেয়ে, মাতা, পিতা, ভাই ও বোনের হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আজ রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছে। এ নির্দেশনার ফলে এসব হিসাবে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকবে। চিঠিতে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএফআইইউ বলেছে, আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো লেনদেন করা যাবে না। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার সময় সাধারণত বাড়ানো হয়।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাব-সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাছে পাঠাবে।
এই চিঠির ফলে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের ভাই ও বোন বিএফআইইউর তদারকির আওতায় আসবেন। তার ভাই হলেন মিঠামইনে প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ বি এম শাহরিয়ার।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে ঢাকার ডিবিরপ্রধানের দায়িত্ব পালন করতেন হারুন অর রশীদ। বিভিন্ন সময়ে তিনি আলোচিত হয়েছেন। সর্বশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার পর তাকে নিয়ে সমালোচনা হয়। ওই সমন্বয়কদের মধ্যে প্রথমে তিনজনকে নেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। এরপর বাকি তিনজনকে বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিবি হেফাজতে থেকে ছয় সমন্বয়ক এক ভিডিও বার্তায় কোটা আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই দিনই ডিবি কার্যালয়ে ওই সমন্বয়কদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাওয়ার বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন হারুন অর রশীদ।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে হাইকোর্টও এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। একটি রিট আবেদনের শুনানির সময় হাইকোর্ট বলেন, এগুলো করতে আপনাকে কে বলেছে? কেন করলেন এগুলো? জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না। যাকে নেন ধরে, একটি খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে ডিবির আচরণ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে হারুন অর রশীদকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুককে জাতীয় সংসদ এলাকায় মারধর করে আলোচনায় এসেছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।
দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। মির্জা ফখরুল নিজে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যান্য আসনে প্রার্থী হলেন যারা তারা হলেন- ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক; ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান; ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়; ঢাকা-৪ তানভীর আহমেদ রবিন; ঢাকা-৫ নবী উল্লাহ নবী; ঢাকা-৫ ইশরাক হোসেন; ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস; ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব; ঢাকা-১৪ সানজিদা তুলি; ঢাকা-১৬ আমিনুল হক।
চট্টগ্রাম-১ নুরুল আমিন; চট্টগ্রাম-২ সরোয়ার আলমগীর; চট্টগ্রাম-৪ কাজী সালাউদ্দিন; চট্টগ্রাম-৫ মীর হেলাল উদ্দিন; চট্টগ্রাম-৭ হুম্মাম কাদের চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৮ এরশাদ উল্লাহ; চট্টগ্রাম-১০ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; চট্টগ্রাম-১২ এনামুল হক; চট্টগ্রাম-১৩ সরোয়ার জামাল নিজাম; চট্টগ্রাম-১৬ মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
কক্সবাজার-১ সালাহউদ্দিন আহমদ; কক্সবাজার-৩ লুৎফুর রহমান কাজল; কক্সবাজার-৪ শাহজাহান চৌধুরী; বান্দরবন- সাচিং প্রু; রাঙামাটি- দীপেন দেওয়ান; খাগড়াছড়ি- আবদুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া।
বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন; বরিশাল-২ সরদার সরসুদ্দিন আহমেদ সান্টু; বরিশাল-৪ মো. রাজীব আহসান; বরিশাল-৫ মো. মজিবুর রহমান সরোয়ার; বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান।
কুমিল্লা-১ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন; কুমিল্লা-৩ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ; কুমিল্লা-৪ মঞ্জুরুল আহসান মুলী; কুমিল্লা-৫ মো. জসিম উদ্দিন; কুমিল্লা-৬ মো. মনিরুল হক চৌধুরী; কুমিল্লা-৮ জাকারিয়া তাহের; কুমিল্লা-৯ মো. আবুল কালাম; কুমিল্লা-১০ মো. আব্দুল গফুর জুঁইয়া; কুমিল্লা-১১ মো. কামরুল হুদা।
নোয়াখালী-১ এ এম মাহবুব উদ্দিন; নোয়াখালী-২ জয়নাল আবেদীন ফারুক; নোয়াখালী-৩ মো. বরকত উল্লাহ বুলু; নোয়াখালী-৪ মো. শাহজাহান; নোয়াখালী-৫ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম; নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ মাহবুবের রহমান শামীম।
ময়মনসিংহ-১ সৈয়দ এমরান সালেহ; ময়মনসিংহ-২ মোতাহের হোসেন তালুকদার; ময়মনসিংহ-৩ এম ইকবাল হোসেইন; ময়মনসিংহ-৪ মো. আবু ওয়াহাব আখন্দ ওয়ালিদ; ময়মনসিংহ-৫ মোহাম্মদ জাকির হোসেন; ময়মনসিংহ-৬ মো. আখতারুল আলম; ময়মনসিংহ-৭ ডা. মো. মাহবুবুর রহমান; ময়মনসিংহ-৮ লুতফুল্লাহেল সাজেদ; ময়মনসিংহ-৯ ইয়াসের খাঁন চৌধুরী; ময়মনসিংহ-১১ ফকর উদ্দিন আহমেদ।
পঞ্চগড়-১ ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ অসির; পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ; ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; ঠাকুরগাঁও-৩ মো. জাহিদুর রহমান জাহিদ; দিনাজপুর-১ মো. মনজুরুল ইসলাম; দিনাজপুর-২ মো. সাদিক রিয়াজ; দিনাজপুর-৩ বেগম খালেদা জিয়া; দিনাজপুর-৪ মো. আকারুজ্জামান মিয়া; দিনাজপুর-৬ অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
নীলফামারী-২ এ এইচ মো. সাইফুল্লাহ রুবেল; নীলফামারী-৪ মো. আব্দুল গফুর সরকার; লালমনিরহাট - ১ মো. হাসান রাজিব প্রধান; লালমনিরহাট -৩ আসাদুল হাবিব দুলু; রংপুর- ১ মো. মোকাররম হোসেন সুজন; রংপুর-২ মোহাম্মদ আলী সরকার; রংপুর-৩ মো. সামসুজ্জামান সামু; রংপুর -৪ মোহাম্মদ এমদাদুল হক ভরসা; রংপুর-৫ মো. গোলাম রব্বানী; রংপুর-৬ মো. সাইফুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম-১ সাইফুল ইসলাম রানা; কুড়িগ্রাম- ২ মো. সোহেল হোসেন কায়কোবা; কুড়িগ্রাম-৩ তাজভীর উল ইসলাম; কুড়িগ্রাম-৪ মো. আজিজুর রহমান; গাইবান্ধা-১ খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী; গাইবান্ধা-২ মো. আনিসুজ্জামান খান বাবু; গাইবান্ধা-৩ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক; গাইবান্ধা -৪ মোহাম্মদ শামীম কায়সার; গাইবান্ধা-৫ মো. ফারুক আলম সরকার।
জয়পুরহাট-১ মো. মাসুদ রানা প্রধান; জয়পুরহাট-২ আব্দুল বারী; বগুড়া-১ কাজী রফিকুল ইসলাম; বগুড়া-৩ আব্দুল মুহিত তালুকদার; বগুড়া-৪ মো. মোশারফ হোসেন; বগুড়া-৫ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ; বগুড়া-৬ তারেক রহমান; বগুড়া-৭ বেগম খালেদা জিয়া; চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ মো. সাজাহান মিয়া; চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. আমিনুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জ -৩ মো. হারুনর রশিদ।
নওগাঁ-১ মো. মোস্তাফিজুর রহমান; নওগাঁ-২ মো. সামসুজোহা খান; নওগাঁ-৩ মো. ফজলে হুদা বাবুল; নওগাঁ-৪ ইকরামুল বারী টিপু; নওগাঁ-৬ শেখ মো. রেজাউল ইসলাম; রাজশাহী-১ মো. শরীফ উদ্দীন; রাজশাহী-২ মো. মিজানুর রহমান মিনু; রাজশাহী-৩ মোহাম্মদ শফিকুল হক মিলন; রাজশাহী-৪ ডি.এম.ডি. জিয়াউর রহমান; রাজশাহী -৫ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম; রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চাঁদ।
নাটোর-১ ফারজানা শারমিন; নাটোর-২ রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু; নাটোর-৪ মো. আব্দুল আজিজ; সিরাজগঞ্জ -২ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু; সিরাজগঞ্জ-৩ ভিপি আয়নুল হক; সিরাজগঞ্জ-৪ এম আকবর আলী; সিরাজগঞ্জ-৫ মো. আমিরুল ইসলাম খান; সিরাজগঞ্জ-৬ এম এ মুহিত; পাবনা-২ এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব; পাবনা-৩ মো. হাসান জাফির তুহিন; পাবনা-৪ হাবিবুর রহমান হাবিব; পাবনা-৫ মো. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
মেহেরপুর-১ মাসুদ অরুন; মেহেরপুর-২ মো. আমজাদ হোসেন; কুষ্টিয়া -১ রেজা আহম্মেদ; কুষ্টিয়া-২ রাগীব রউফ চৌধুরী; কুষ্টিয়া-৩ মো. জাকির হোসেন সরকার; কুষ্টিয়া-৪ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি; চুয়াডাঙ্গা-১ মো. শরীফুজ্জামান; চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদ হাসান খান; ঝিনাইদহ-৩ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান; যশোর-১ মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি; যশোর-২ মোছা. সাবিরা সুলতানা; যশোর-৩ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত; যশোর-৪ টি.এস. আইয়ুব; যশোর-৬ কাজী রওনকুল ইসলাম।
মাগুরা-১ মো. মনোয়ার হোসেন; মাগুরা-২ নিতাই রায় চৌধুরী; নড়াইল-১ বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম; খুলনা -২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু; খুলনা-৩ রকিবুল ইসলাম বকুল; খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল; খুলনা-৫ মোহাম্মদ আলী আসগর; খুলনা-৬ মনিরুল হাসান বাপ্পী; সাতক্ষীরা-১ মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব; সাতক্ষীরা-২ আব্দুর রউফ; সাতক্ষীরা-৩ কাজী আলাউদ্দীন; সাতক্ষীরা-৪ মো. মনিরুজ্জামান।
বরগুনা-১ মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা; বরগুনা-২ নুরুল ইসলাম মনি; পটুয়াখালী- ১ এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী; পটুয়াখালী - ৪ এ বি এম মোশাররফ হোসেন; ভোলা-১ গোলাম নবী আলমগীর; ভোলা- ২ মো. হাফিজ ইব্রাহীম; ভোলা- ৩ মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বীক্রম; ভোলা- ৪ মো. নুরুল ইসলাম নয়ন।
ঝালকাঠি- ২ ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্ট; পিরোজপুর-২ আহমেদ সোহেল মঞ্জুর; পিরোজপুর ৩ মো. রুহুল আমিন দুলাল; টাংগাইল-১ ফকির মাহবুব আনাম স্বপন; টাংগাইল-২ আব্দুস সালাম পিন্টু; টাংগাইল-৩ এসএম ওবায়দুল হক নাসির; টাংগাইল-৪ মো. লুৎফর রহমান মতিন; টাংগাইল-৬ মো. রবিউল আউয়াল লাবলু; টাংগাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী; টাংগাইল-৮ আহমেদ আজম খান; জামালপুর-১ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত; জামালপুর-২ এ ই সুলতান মাহমুদ বাবু; জামালপুর-৩ মো. মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল; জামালপুর-৪ মো. ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম; জামালপুর-৫ শাহ মো. ওয়ারেস আলী মামুন।
শেরপুর-১ সানসিলা জেবরিন; শেরপুর-২ মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী; শেরপুর-৩ মো. মাহমুদুল হক রুবেল; ময়মনসিংহ-১ সৈয়দ এমরান সালেহ; ময়মনসিংহ-২ মোতাহের হোসেন তালুকদার; ময়মনসিংহ-৩ এম ইকবাল হোসেইন; ময়মনসিংহ-৫ মোহাম্মদ জাকির হোসেন; ময়মনসিংহ-৬ মো. আখতারুল আলম; ময়মনসিংহ-৭ ডা. মো. মাহবুবুর রহমান; ময়মনসিংহ-৮ লুতফুল্লাহেল মাজেদ; ময়মনসিংহ-৯ ইয়াসের খাঁন চৌধুরী; ময়মনসিংহ-১১ ফকর উদ্দিন আহমেদ।
নেত্রকোনা-১ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল; নেত্রকোনা-২ মো. আনোয়ারুল হক; নেত্রকোনা-৩ রফিকুল ইসলাম হিলালী; নেত্রকোনা-৪ মো. লুৎফুজ্জামান বাবর; নেত্রকোনা-৫ মো. আবু তাহের তালুকদার; কিশোরগঞ্জ-২ এডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন; কিশোরগঞ্জ-৩ ড. ওসমান ফারুক; কিশোরগঞ্জ-৪ মো. ফজলুর রহমান; কিশোরগঞ্জ-৫ মো. শরীফুল আলম; মানিকগঞ্জ-২ মঈনুল ইসলাম খাঁন; মানিকগঞ্জ-৩ আফরোজা খান রিতা; মুন্সীগঞ্জ-১ শেখ মো. আবদুল্লাহ; মুন্সীগঞ্জ-২ মিজানুর রহমান সিনহা; গাজীপুর -২ এম মঞ্জুরুল করিম রনি; গাজীপুর-৩ অধ্যাপক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু; গাজীপুর-৪ শাহ রিয়াজুল হান্নান; গাজীপুর -৫ ফজলুল হক মিলন।
নরসিংদী-১ খায়রুল কবির খোকন; নরসিংদী-২ ড. আব্দুল মঈন খান; নরসিংদী-৩ সরদার মো. সাখাওয়াত হোসেন; নরসিংদী-৪ ইঞ্জি. মো. আশরাফ উদ্দিন বকুল; নরসিংদী-৫ মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দীপু; নারায়ণগঞ্জ-১ নজরুল ইসলাম আজাদ; নারায়ণগঞ্জ -২ মো. আজহারুল ইসলাম মান্নান; নারায়ণগঞ্জ-৫ মো. মাসুদুজ্জামান; রাজবাড়ী- ১ আলি নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম; ফরিদপুর- ২ শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম; ফরিদপুর- ৩ নায়াব ইউসুফ আহমেদ; ফরিদপুর- ৪ শহীদুল ইসলাম বাবুল; গোপালগঞ্জ - ১ মো. সেলিমুজ্জামান মোল্লা, গোপালগঞ্জ -২ ডা. কে এম বাবর আলী; গোপালগঞ্জ-৩ এস এম জিলানী।
মাদারীপুর- ১ কামাল জামান মোল্লা; মাদারীপুর- ৩ আনিসুর রহমান; শরীয়তপুর - ১ সাইদ আহমেদ আসলাম; শরীয়তপুর- ২ মো. শফিকুর রহমান কিরণ; শরীয়তপুর-৩ মিয়াঁ নুরুদ্দিন আহমেদ অপু; সুনামগঞ্জ-১ আনিসুল হক; সুনামগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ কয়সর আমমেদ; সুনামগঞ্জ-৫ কলিম উদ্দিন মিলন; সিলেট-১ খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী; সিলেট-২ মোছা. তাহসিনা রুশদীর; সিলেট-৩ মোহাম্মদ আবদুল মালিক; সিলেট-৬ এমরান আহমেদ চৌধুরী।
মৌলভীবাজার-১ নাসির উদ্দিন আহমেদ মীঠু; মৌলভীবাজার-২ সওকত হোসেন সকু; মৌলভীবাজার-৩ নাসের রহমান; মৌলভীবাজার-৪ মো. মজিবর রহমান চৌধুরী; হবিগঞ্জ-২ আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন; হবিগঞ্জ-৩ আলহাজ মো. জি কে গউস; হবিগঞ্জ-৪ এস এম ফয়সাল; ব্রাহ্মনবাড়িয়া- ১ এম এ হান্নান; ব্রাহ্মনবাড়িয়া- ৩ মো. খালেদ হোসেন মাহবুব; ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ মুশফিকুর রহমান; ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ মো. আব্দুল মান্নান।
চাঁদপুর - ১ আ ন ম এহসানুল হক মিলন; চাঁদপুর - ২ মো. জালাল উদ্দিন; চাঁদপুর - ৩ শেখ ফরিদ আহমেদ; চাঁদপুর - ৪ মো. হারুনুর রশিদ; চাঁদপুর - ৫ মো. মমিনুল হক; ফেনী-১ বেগম খালেদা জিয়া; ফেনী-২ জয়নাল আবেদীন; ফেনী-৩ আব্দুল আওয়াল মিন্টু; লক্ষ্মীপুর-২ মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া; লক্ষ্মীপুর-৩ মো. শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
প্রার্থী ঘোষণার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মির্জা আব্বাস, হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণা করছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম পড়ে শোনান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আসন্ন নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। এসময় তিনি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন।
আসন্ন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ঘোষিত তালিকায় তিনটি আসনে নির্বাচনের কথা রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে লড়বেন বেগম খালেদা জিয়া।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার তার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে এই সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সভায় গণভোট কবে হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এবং জুলাই সনদে বর্ণিত প্রস্তাবের যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে—সেসব ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই—সেটাও রাজনৈতিক দলসহ সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আসিফ নজরুল জানান, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়। ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে—এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে, এর বিষয়বস্তু কী হবে এবং জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।
ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরই একুশে বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা একাডেমি। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর সময়-নির্ধারণ বিষয়ে সমিতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কয়েকটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থার পরামর্শও পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপর ফেব্রুয়ারি মাসেই মেলা আয়োজনের প্রস্তাব সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবসম্মত বলে গৃহীত হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরই মেলার তারিখ ঘোষণা করা হবে- সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়।
এ ছাড়া অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আয়োজনের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে বাংলা একাডেমি নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বলেও এ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে এর আগে ২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়োজনের সময় ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায় বাংলা একাডেমি।
ওই সময় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে যে অমর একুশে বইমেলা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের মতামতের ভিত্তিতে বইমেলার যে তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল, তা স্থগিত করা হলো।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় ধরনের পরিবর্তন এলো ভোটার তালিকায়। দেশে এখন মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। দুই মাসের ব্যবধানে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন।
গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, আগামী ১৮ নভেম্বর এই সংশোধিত ভোটার তালিকাটি চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে। এই তালিকাকে ভিত্তি করেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশন এক বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ভোটার তালিকা প্রকাশ করলো। তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। গত দুই মাসে ভোটার বেড়েছে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন। এই মোট ভোটারের মধ্যে ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ পুরুষ, ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ নারী এবং ১ হাজার ২৩০ জন হিজড়া। ভোটার হালনাগাদের এই প্রক্রিয়া কমিশনের নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ। সর্বশেষ হালনাগাদ শেষে এই নতুন সংখ্যা নিয়েই নির্বাচন কমিশন ভোটের আয়োজন করবে ইসি।
একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ীই অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ নভেম্বরের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর এ সংক্রান্ত আর কোনো সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, দাবি-আপত্তি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন যুক্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন। এ ভোটার তালিকা দিয়ে সংসদ নির্বাচন করা হবে। ১৭ নভেম্বরের মধ্যে দাবি-আপত্তি জানানো যাবে। দাবি-আপত্তি শুধু এ নতুনদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অন্যদেরটা আগে হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা ১৮ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে।
এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। এর আগে গত ৩১ আগস্ট ভোটার সংখ্যার কথা জানিয়েছিল ইসি। সেই তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ। তার আগে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ৯ কোটি ১১ লাখ।
উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ বৈষম্যমূলক ধারা সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ বৈষম্যমূলক কমিশন গঠনে সহায়ক এবং প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীন ও কার্যকর কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এমন ধারা অব্যাহত থাকায় টিআইবি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জন্মলগ্ন থেকে কমিশনের অকার্যকরতার অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে টিআইবিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের দেওয়া অনেক প্রস্তাব অনুমোদিত খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী গৃহীত হয়নি; যা কমিশনের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে গত ৩১ অক্টোবর নতুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
তিনি বলেন, কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মর্যাদা ও এখতিয়ারে বৈষম্য সৃষ্টি করে, যা কমিশনের অকার্যকরতার অন্যতম কারণ। সব কমিশনারের পদমর্যাদা ও সুবিধার সমতা নিশ্চিত করা জরুরি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় চেয়ারম্যান ও কমিশনার বাছাইয়ের পর প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের নাম প্রকাশের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
একইভাবে কোনো সংস্থার আটক স্থান আইনবহির্ভূত বিবেচিত হলে তা বন্ধ করা ও দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রস্তাবও উপেক্ষিত হয়েছে, যা টিআইবির মতে হতাশাজনক।
তিনি বলেন, কোনো আইন মানবাধিকার সংরক্ষণের পরিপন্থী হলে কমিশনকে তা পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সংশোধনের সুপারিশ করার সুযোগ থাকা উচিত ছিল। পাশাপাশি ধারা ১৪-তে এই আইনকে মানবাধিকারসংক্রান্ত অন্যান্য আইনের ওপর প্রাধান্য দেওয়ার বিধান থাকলে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে কমিশনের ভূমিকা শক্তিশালী হতো।
বিবৃতিতে টিআইবি উল্লেখ করে, সব অভিযোগে প্রাথমিক অনুসন্ধান বাধ্যতামূলক রাখার বিধান কমিশনের কাজে দীর্ঘসূত্রতা বাড়াবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকারদের জন্য হয়রানি ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তি আরো দুরূহ করবে।
এ ছাড়া কমিশনে বা তদন্ত দলে প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে সীমিত করা, প্রেষণ প্রক্রিয়ায় কমিশনের মতামত বাধ্যতামূলক করা এবং এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সবার জন্য উন্মুক্ত ও যোগ্যতার ভিত্তিতে রাখার সুপারিশও বিবেচিত হয়নি বলে টিআইবি জানায়।
সংস্থাটি আরো প্রস্তাব করে, কমিশনের বাৎসরিক আর্থিক নিরীক্ষা সম্পন্নের পর প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইটে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত, যেন প্রতিষ্ঠানটির জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা আরও সুসংহত হয়।
টিআইবির মতে, গ্লোবাল অ্যাসোসিয়েশন অব ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনসের মানদণ্ড অনুসারে কমিশনকে স্বাধীন, কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উচিত অধ্যাদেশটি দ্রুত সংশোধন করা।
গণভোট কবে হবে? গণভোটে বিষয়বস্তু কি হবে? জুলাই সনদে ভিন্নমত প্রসঙ্গে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে? এসব বিষয় নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মতামত ব্যক্ত করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এ ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অনেক সহজ হবে।
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ‘করবী হলে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থেকে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংশোধন আদেশ চূড়ান্তকরণ, এবং এতে উল্লিখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় উল্লেখ করা হয়, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও সংস্কারের কয়েকটি সুপারিশের বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া গণভোট কখন আয়োজন হবে এবং এর বিষয়বস্তু কি হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। সেজন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে অর্থাৎ গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে? গণভোটে বিষয়বস্তু কি হবে? জুলাই সনদ এর বর্ণিত ভিন্নমত প্রসঙ্গে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে? তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা মতামত ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুত সময়ের মধ্যে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অনেক সহজ হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণ করার কোনো সুযোগ নেই, সেটাও সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশ খুব সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে। গণতন্ত্রের উত্তরণ নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনের ওপর।
সোমবার সকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটের অ্যাপ উন্মুক্ত করা হবে ১৬ নভেম্বর। যারা নির্বাচনি দায়িত্বে থাকবেন তারা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিবেন।
সাবেক মুখ্য সচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কামাল সিদ্দিকী আজ (সোমবার) ভোরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নাল্লিলিাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
সকালে তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
মরহুমের নামাজে জানাজা বাদ আছর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে মিরপর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছে উপদেষ্টা পরিষদ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে ব্রিফ করা হবে।
জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যেকোনো দিন গণভোট হতে পারে বলে জানিয়েছে।
আর জামায়াত ও তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ ৮ রাজনৈতিক দল বলছে, নভেম্বরেই এই গণভোট আয়োজন করতে হবে। এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট আয়োজন হলে তাদের আপত্তি নেই।
এ প্রেক্ষাপটে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সম্প্রতি জানান, গণভোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে।
রাজশাহীতে আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ১৪ মিনিটে। তবে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে হালকা সূর্যের দেখা মিলেছে। ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছে রাজশাহী।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, এদিন সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। আর রোববার (২ নভেম্বর) ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গেল বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজশাহী থেকে কয়ক দফা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই তিন দিনে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এই বৃষ্টির সঙ্গে বয়েছিল বাতাসও। বৃষ্টিপাত থেমে যাওয়ার পরে কুয়াশার সঙ্গে শীত অনুভব করছে রাজশাহীবাসী।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বাবু বলেন, কয়েকদিন আগে বৃষ্টিপাত হলো। বৃষ্টিপাত শেষে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। সকালে কুয়াশা পড়েছে। এটা শীতের বার্তা দিচ্ছে।