মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্নপূরণে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ: ড. ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৫ আগস্ট, ২০২৪ ২২:২৯
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২৪ ২১:৩৮

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্নপূরণে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে দেশবাসীকে ছাত্র-জনতার স্বপ্নপূরণে সমস্ত শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই স্বপ্নপূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আপনাদের সবাইকে এই শুভ লগ্নে স্বপ্নপূরণে সমস্ত শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়ার পর আজ প্রধান উপদেষ্টা প্রথমবারের মত জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেলে তার সরকারের পতন হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে বলেন, ছাত্র-জনতার স্বপ্ন আমাদের স্বপ্ন। জাতীয় জীবনে তরুণরা একটি মহা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। সবাইকে এই সুযোগ ব্যবহার করার কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সমগ্র বাংলাদেশ একটি পরিবারের মত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণরোষের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকার প্রধান দেশ ত্যাগ করার পর আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার থাকবে পুরোপুরি সুরক্ষিত। আমাদের লক্ষ্য একটিই। উদার, গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
‘আমরা এক পরিবার, আমাদের এক লক্ষ্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো ভেদাভেদ যেন আমাদের স্বপ্নকে ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র দুই সপ্তাহ শেষ হলো। আমরা অনুধাবন করছি যে আমাদের কাছে আপনাদের প্রত্যাশা অনেক। এ প্রত্যাশা পূরণে সরকার বদ্ধপরিকর। শুধু বলবো আপনাদের একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।
সরকারের সামনে পবর্তসম চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের গণতন্ত্রহীনতা, ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের জন্য পর্বতসম চ্যালেঞ্জ রেখে গিয়েছে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত।’
তিনি এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশবাসীর প্রতি সহযোগিতা কামনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, এখনই সব দাবি পূরণ করার জন্য জোর করা, প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যক্তিবিশেষকে হুমকির মধ্যে ফেলা, মামলা গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা, বিচারের জন্য গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আদালতে হামলা করে আগেই এক ধরনের বিচার করে ফেলার যে প্রবণতা তা থেকে বের হতে হবে। ছাত্র জনতার বিপ্লবের গৌরব ও সম্ভাবনা এসব কাজে ম্লান হয়ে যাবে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টাও ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।
দুর্নীতি, লুটপাট ও গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি জবাবদিহিতামূলক রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনার অঙ্গীকার করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা হবে এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করবো।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে সফল পরিণতি দিতে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা খাত এবং তথ্য প্রবাহে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পূর্ণ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘লুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এই খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা স্থাপন, ব্যবসা বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং জনগণের জীবনযাপন সহজ করতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার আমরা উদ্যোগ সচল করেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘ মেয়াদি সংস্কারের জন্য ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কথা তুলে ধরেন।
সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্যক্রমের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের যত কার্যক্রম আছে তা সচল করা হয়েছে। বন্যা পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য করণীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনরত ব্যক্তিবর্গের প্রতি বিশেষ সহযোগিতার আবেদন করে ড. ইউনূস বলেন, ‘একটা বিশেষ ব্যাপারে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতিদিন সচিবালয়ে, আমার অফিসের আশেপাশে, শহরের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করা হচ্ছে। গত ১৬ বছরের অনেক দুঃখ- কষ্ট আপনাদের জমা আছে। সেটা আমরা বুঝি। আমাদের যদি কাজ করতে না দেন তাহলে এই দুঃখ ঘোচানোর সকল পথ বন্ধ হয়ে থাকবে।’
তিনি বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাদের কাজ করতে দিন। আপনাদের যা চাওয়া তা লিখিতভাবে আমাদের দিয়ে যান। আমরা আপনাদের বিপক্ষ দল নই। আইনসংগতভাবে যা কিছু করার আছে আমরা অবশ্যই তা করবো।
ড. ইউনূস দেশকে ঘুষ মুক্ত করতে তিনি তার সর্বশক্তি নিয়োগের অঙ্গীকার করে এ বিষয়ে দেশবাসীর সহযোগিতা ও প্রত্যাশা কামনা করেন।
তিনি বিদেশগামী শ্রমিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করা হবে জানিয়ে বলেন, বিদেশে অবস্থানরত সকলের কাছে আমার আবেদন, তারা যেন তাদের উপার্জিত অর্থ অফিসিয়াল চ্যানেলে দেশে পাঠান। দেশের অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে এই অর্থ বিশেষভাবে প্রয়োজন। কী কী ব্যবস্থা নিলে তাদের জন্য অফিসিয়াল চ্যানেলে অর্থ পাঠানো সহজ হবে সে বিষয়ে তাদের পরামর্শ প্রদানের অনুরোধ জানান।
বিভিন্ন রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ বর্তমান সরকারের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা। আমরা মানবাধিকার আইনসহ সকল আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির কোনো প্রশ্ন তোলা হবে না এমন নিশ্চয়তা প্রদানের কথা উল্লেখ করে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে সংঘটিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে বলেন, ‘আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা আমাদের পক্ষ থেকে মেয়াদ বৃদ্ধির কোনো প্রশ্ন তুলবো না। যে ক'দিন আছি সময়টুকু উপদেষ্টামন্ডলীর প্রত্যেকে নিজ নিজ সাধ্যমতো দেশের এই সংকটকালে, সংকট উত্তরণে নিজ নিজ মেধা সাধ্য মতো কাজে লাগাতে চাই।’
নির্বাচন কখন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন। আমরা ছাত্রদের আহ্বানে এসেছি। তারা আমাদের প্রাথমিক নিয়োগকর্তা। দেশের আপামর জনসাধারণ আমাদের নিয়োগ সমর্থন করেছে। আমরা ক্রমাগতভাবে সবাইকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে যাবো যাতে হঠাৎ করে আমরা কখন যাব এই প্রশ্ন উত্থাপিত না হয়। তারা যখন বলবে আমরা চলে যাবো।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করলাম, আমরা আমাদের মতানৈক্যের কারণে সেটা যেন হাতছাড়া না করে ফেলি এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এ সুযোগ এবার হারিয়ে ফেললে আমরা জাতি হিসেবে পরাজিত হয়ে যাব।
ড. ইউনূস তার ভাষণে আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে জনমুখী ও দলীয় প্রভাবমুক্ত এবং জবাবদিহীতামূলক কাঠামো সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশ কমিশন গঠনের কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানে বল প্রয়োগ ও হতাহতের যে দুঃসহ ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে বাংলাদেশে এসে তাদের তদন্ত শুরু করতে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
তিনি জানান, তদন্তের এই প্রক্রিয়া এ সপ্তাহেই শুরু হবে। তাদের প্রথম দল ইতোমধ্যে এসে গেছে।
ড. ইউনূস জানান, ইতোমধ্যে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে যে শত শত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছিলো তার অধিকাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং আটক ছাত্র জনতার মুক্তিলাভের ব্যবস্থা করেছি। পর্যায়ক্রমে মিথ্যা ও গায়েবি সকল মামলার ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষকে দঃসহ ভোগান্তি থেকে মুক্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন।


অফিস সহায়ক আব্দুস সবুরের মৃত্যুতে বাণিজ্য উপদেষ্টা ও সচিবের শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক আব্দুস সবুরের মুত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও সচিব মাহবুবুর রহমান।

তিনি মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্তেকাল করেন।

পৃথক শোকবার্তায় বাণিজ্য উপদেষ্টা ও বাণিজ্য সচিব মরহুমের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।


তিন শ্রেণির আরও ১৭৫৭ জুলাই যোদ্ধার গেজেট প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

তিন ক্যাটাগরির আহত আরও এক হাজার ৭৫৭ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়।

‘ক’ শ্রেণির (অতি গুরুতর আহত) ১০৯ জন, ‘খ’ শ্রেণির (গুরুতর আহত) ২১০ জন ও আট বিভাগে ‘গ’ শ্রেণির (আহত) এক হাজার ৪৩৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

‘গ’ শ্রেণির মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৬ জন, রংপুর বিভাগে ৯০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১১ জন, বরিশাল বিভাগে ১১৬ জন, সিলেট বিভাগে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে ১৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩৬ জন এবং ঢাকা বিভাগের ৪০৬ জন জুলাই যোদ্ধা রয়েছেন।

'জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর ৭ (খ) ধারা এবং রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬ এর সিডিউল-১ (অ্যালোকেশন অব বিজনেস) এর ক্রমিক নং ২৩-এ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেওয়া ক্ষমতাবলে এই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে পাওয়া তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এ নিয়ে মোট জুলাই যোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ালো ‘ক’ শ্রেণিতে ৬০২ জন, ‘খ’ শ্রেণিতে এক হাজার ১১৮ জন ও ‘গ’ শ্রেণিতে ১২ হাজার ৩৮ জন।

এই সংক্রান্ত বিধিমালা অনুযায়ী, ‘ক’ শ্রেণির আহতরা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তাদের ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বাকি ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এরা প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।

‘খ’ শ্রেণির আহতরা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। গত অর্থবছরে তাদের এক লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ লাখ টাকা চলতি অর্থবছরে দেওয়া হবে। তারা মাসিক ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।

‘গ’ শ্রেণির আহতরা এককালীনে এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তারা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।


নারী গৃহকর্মীর অধিকার সুরক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, নারী গৃহকর্মীর অধিকার সুরক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

সোমবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন অডিটোরিয়ামে গণসাক্ষরতা অভিযান, বিএনএসকে, সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশন, আভাস, সহায় এবং আশার আলো সোসাইটির আয়োজনে অক্সফাম ইন বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘নারী গৃহকর্মী সম্মেলন-২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম সচিব এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে তিনটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করার বিষয়ে কাজ করছি, যা বাস্তবায়িত হলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হবে। ফলে শ্রমিক নির্যাতন বন্ধে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে।

তিনি গৃহকর্মী নির্যাতন রোধেও সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সম্মেলনে গৃহকর্মীদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, কর্মঘণ্টা ও ছুটির আইনি স্বীকৃতি, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন বন্ধ, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি এবং বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।

শ্রম সচিব উত্থাপিত দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানোর আশ্বাস দেন। কোনো গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, ১৬৩৫৭ ও ১০৯২১ নম্বরে যোগাযোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।

এম সফিকুজ্জামান জানান, গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ বাস্তবায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

সম্মেলনে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা এবং জুলাই শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী। আলোচনায় অংশ নেন বিলস-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ, নারী সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক, অক্সফামের প্রতিনিধি তারেক আজিজ, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক এবিএম খোরশেদ আলম প্রমুখ।

এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, গৃহকর্মী ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


রংপুরে হিন্দু পাড়ায় হামলার ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের বক্তব্য

আপডেটেড ২৯ জুলাই, ২০২৫ ১১:৪০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু পরিবারের সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিস্তারিত জানিয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল গতকাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, ২২টি পরিবারের মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে তাদের বাড়িতেই আছে। কটুক্তির অভিযোগে আটককৃত রঞ্জন কুমার রায় এবং তার চাচার পরিবারসহ মোট ০৩টি পরিবার পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন।

আজ থেকেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বাড়িঘর মেরামত করার কাজ শুরু করা হবে।

তিনি পরিবারগুলোর সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত রয়েছে।

এদিকে রংপুরের পুলিশ সুপার মো: আবু সাইম জানান, হিন্দু পরিবারগুলোর ওপর হামলার ঘটনায় মোট ১২ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বাড়িগুলোতে ২২ টি পরিবার বসবাস করতো।

তিনি জানান, রঞ্জন আটক হওয়ার পর থেকেই তার বাবা, দাদা এবং চাচার পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আছেন। অন্যান্য ১৯ টি পরিবারের সকল পুরুষ সদস্য তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ই আছেন। ঘরবাড়ি ভাংগা থাকায় কিছু নারী সদস্য মালামাল নিয়ে রিক্সাভ্যান যোগে অন্যত্র চলে গেছে।

স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকায় সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন ও পুলিশ এর সাথে কাজ করছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত হলে নারী সদস্যগণসহ সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরবেন বলে জানান তিনি।

এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের সনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পুলিশের ৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষর করেছেন।

যেসব কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম, রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব আলম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের সংযুক্ত ডিআইজি মো. মনির হোসেন এবং পুলিশ টেলিকম ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হলো। বিধি অনুযায়ী তারা অবসরসুবিধা প্রাপ্ত হবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।


ছয় মাসে ১৯ হাজার প্রবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত

আপডেটেড ২৯ জুলাই, ২০২৫ ১০:২১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত ৬ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন দেশের ১৯ হাজারে বেশি প্রবাসীর ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত। ফেরত পাঠানো প্রবাসীদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়েই রয়েছেন, যাদের কেউ পুনরায় ভিসা নিয়ে কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

স্থানীয় গণমাধ্যম আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবাসন আইন ও শ্রম আইন লঙ্ঘন, পলাতক আসামি, মাদক বেচাকেনা, ভিসা বাণিজ্য, অবৈধ ব্যবসাবাণিজ্য, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার প্রবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, মিসরসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।

এর আগে গত রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ৬০ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


১ বছরে রেকর্ড ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ সরকারের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ১ বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঋণ শোধ করা হয়। আসল ও সুদ মিলিয়ে মোট পরিশোধ করা হয়েছে ৪০৮ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে আসল ও সুদ বাবদ প্রায় ৪.০৮৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ ঋণ পরিশোধের রেকর্ড।

এটি আগের অর্থবছরে (অর্থবছর-২৪) প্রদত্ত পরিশোধের পরিমাণ ৩.৩৭২ বিলিয়ন ডলার থেকে ২১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ আসল পরিশোধ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৫৯৫ বিলিয়ন ডলার। এটি আগের অর্থবছরের (অর্থবছর-২৪) ২.০২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৮.৮ শতাংশ বেশি।

সুদ পরিশোধের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১.৪৯১ বিলিয়ন ডলার, যা অর্থবছর ২০২৩-২৪ এর ১.৩৪৯ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১০.৫ শতাংশ বেশি।

ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, গত এক দশকে বিভিন্ন বড় প্রকল্প ও বাজেট সহায়তার জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে।

ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধি পেলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন বৈদেশিক ঋণ চুক্তি ও ঋণ বিতরণ উভয়ই কমেছে।

ইআরডির তথ্যানুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ৮.৩২৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করেছে, যা আগের অর্থবছরে (অর্থবছর-২৪) এ ছিল ১০.৭৩৯ বিলিয়ন ডলার।

একই সময়ে ঋণ বিতরণও কমে দাঁড়ায় ৮.৫৬৮ বিলিয়ন ডলারে, আগের অর্থবছরে যা ছিল ১০.২৮৩ বিলিয়ন ডলার।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ প্রতিশ্রুতির তালিকায় শীর্ষে ছিল বিশ্বব্যাংক, যারা ২.৮৪ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এর মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা। এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দেয়, যার মধ্যে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা। জাপান ১.৮৯ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অন্যদিকে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ৫৬১ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ঋণ বিতরণে শীর্ষে ছিল এডিবি, যারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২.৫২ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছে। এরপর বিশ্বব্যাংক ২.০১২ বিলিয়ন ডলার, জাপান ১.৫৮ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার, এআইআইবি ৫২৭ মিলিয়ন ডলার, চীন ৪১৫ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ১৮৫ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করে।


ঢাকার আকাশ প্রতিরক্ষায় বিমানঘাঁটি অপরিহার্য: বিমান বাহিনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর আকাশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকায় জঙ্গি বিমানঘাঁটি রাখা অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর শহিদুল ইসলাম। গতকাল সোমবার তেজগাঁওয়ের এভিয়েশন ইউনিভার্সিটির পুরাতন পিএসসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা থেকে জঙ্গি বিমান প্রশিক্ষণ ঘাঁটি সরানো হবে না উল্লেখ করে শহিদুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধবিমান পরিচালনায় বিশাল জায়গার প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি রাজধানীর আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতেও এই ঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বহু দেশের রাজধানীতেও এমন ঘাঁটি রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিমানবাহিনীর জরুরি সমন্বয়ক কেন্দ্রের এয়ার কমডোর মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে থাকবে বিমান বাহিনী। প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।

দুর্ঘটনার সময় পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ ছিল কি না জানতে চাইলে মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবে। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাইলট তৌকিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ঘটনার দিন স্কুলে ৭৩৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৫৩৮ জন। নিচ তলার গ্রিল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পুরো জায়গাটি একসময় নিচু ছিল। পরে বালু ফেলে মাটি উঁচু করা হয়। এর আগেই ভবনের নিচ তলায় গ্রিল বসানো হয়েছিল শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই।‘

প্রিন্সিপাল আরও জানান, স্কুল আবার কবে খুলবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।


বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের মাটি থেকে সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদ করব।’

আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

৪০ মিনিটব্যাপী ওই বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান শুল্ক আলোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জ্যাকবসন বাংলাদেশের সংস্কার প্রচেষ্টা ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি তার সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন, যা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া কমিশনের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন, যা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মূল সংস্কারগুলোর বিষয়ে ঐক্য গঠনে সচেষ্ট।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, কমিশন খুবই ভালো কাজ করছে। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করছেন।’


নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশের প্রশিক্ষণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়ে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’

তিনি জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদারের ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনের সময় ৬০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।


ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা থেকে বিএনপির ওয়াকআউট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রণ এবং ন্যায়পাল নিয়োগ প্রক্রিয়ার আলোচনায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০তম দিনের আলোচনার শুরুতে ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত জানায় দলটি।

বেলা সাড়ে ১১টার পরে বিষয়টি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, তাদের দল এ আলোচনায় অংশ নেবে না।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা উপস্থিত থাকবেন কিন্তু আলোচনায় অংশ নেবেন না। একটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ না নিলে পুরো সংলাপ বন্ধ করা সম্ভব নয়।

অবশ্য কিছু সময় পর বিএনপি আবার আলোচনায় যোগ দেয়।

তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, একটি বড় দল আলোচনায় অংশ না নিলে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আলোচনায় অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়।


টেকনাফে বিজিবির অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সৈয়দ নূর (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

অভিযানে ১টি ওয়ান শুটার গান, ১টি এলজি, ১ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।

সোমবার বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে আরো বলা হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) জানতে পারে, একটি অপরাধীচক্র সমুদ্রপথে মাদক এনে টেকনাফ ও আশপাশের এলাকায় বেচাকেনা করছে। এরপর লে. কর্নেল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবির একাধিক দল টেকনাফ শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালায়।

একপর্যায়ে টেকনাফ পৌরসভার খানকারপাড়া এলাকা ঘিরে ফেলে বিজিবি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রোববার দুপুরে সৈয়দ নূরকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাদক সরবরাহকারী মো. হারুন অর রশিদ বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকের একটি প্যাকেট নূরের কাছে রেখে আরেকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে নূরের বাড়ি তল্লাশি করে বিপুল পরিমান মাদক, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

আটক নূর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


banner close