বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
১১ আষাঢ় ১৪৩২

সাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড
২৮ আগস্ট, ২০২৪ ০০:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২৪ ০০:১৮

বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যেই পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়, রংপুর ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।


উন্নয়নের পদযাত্রায় আজও আড়ালে উপেক্ষিত গৃহকর্মীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঢাকার অসংখ্য বাড়ির উঁচু দেওয়ালের আড়ালে ঢাকা পড়ে আছে এক অদৃশ্য পরিশ্রমী শ্রেণি; তারা নিরলসভাবে দিনরাত খেটে চলেছেন। তাদের শ্রম স্বীকৃত নয়, নিয়ন্ত্রিত নয় এবং সুরক্ষিতও নয়।

যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা গৃহকর্মী। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী, আবার কিশোরীও হয়ে উঠতে না পারা অনেক মেয়ে রয়েছে। তারা রান্না করেন, ঘরবাড়ি পরিষ্কার করেন, শিশুদের দেখাশোনা করেন— মানুষের বাসার এমন অসংখ্য কাজের দায়িত্ব পালন করছেন তারা। তবে সমাজে তাদের এই অবদান উন্নয়ন কিংবা শ্রমিক অধিকারবিষয়ক বৃহত্তর আলোচনায় বরাবরই উপেক্ষিত থেকে যায়।

এই তো গত ১৬ জুন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক গৃহকর্মী দিবস পালিত হলো। অথচ দেশের এই শ্রমজীবী শ্রেণির অবস্থানে কোনো অর্থবহ স্বীকৃতি বা পরিবর্তন আসার কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি।

বাড়ছে সংখ্যা ও ঝুঁকি

সরকারি জরিপ বলছে, এই খাতে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯৯-২০০০ সালে যেখানে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ ছিল ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ, তা ২০১৬-১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ ছাড়া, ২০১১ সালে ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স রাইটস নেটওয়ার্কের (ডিআরডব্লিউএন) হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখ গৃহকর্মী নিয়োজিত, যাদের অনেকেই দরিদ্র পরিবার থেকে আসা অল্পবয়সী মেয়ে।

বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা আরও বিস্ময়কর। প্রকাশিত তথ্যমতে, সারা বিশ্বে প্রায় ১০৫ লাখ মানুষ বেতনভুক্ত গৃহকর্মী—যা কানাডার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের সমান।

বাংলাদেশে এই শ্রমিকরা মাসে গড়ে মাত্র ১৫ ডলার (প্রায় ১৭৫৫ টাকা) আয় করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস)।

২০২২ সালে অক্সফামের এক সমীক্ষা জানায়, ৯৩ শতাংশ নারী গৃহকর্মী তাদের কর্মস্থলে হয়রানির শিকার হন। এর মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানসিক নির্যাতনের শিকার, ৬১ শতাংশ মৌখিক নির্যাতন এবং ২১ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার।

নেই চুক্তি, নেই সুরক্ষা

শহুরে পরিবারগুলোতে এই গৃহকর্মীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তাদের অধিকাংশই কোনো আনুষ্ঠানিক চাকরির কাঠামোর আওতায় নেই। বিআইএলএসের তথ্য অনুযায়ী, ৯০ শতাংশের বেশি গৃহকর্মীর কোনো লিখিত চুক্তি নেই।

১২ বছর বয়স থেকেই ধানমণ্ডির এক বাড়িতে কাজ করা ১৬ বছর বয়সী রিনা বলেন, ‘কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময় নাই। ভোরে উঠি, কাজ শেষ হয় গভীর রাইতে। অসুস্থ হইলে বা সামান্য ভুল করলে গালাগালি বা মার খাই। অভিযোগ করারও কেউ নাই।’

বন্ধ দরজার আড়ালে নির্যাতন

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আবারও গৃহকর্মীদের প্রতি সহিংসতা ও অপমানের বিষয়টি সামনে এনেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো গৃহকর্মীদের ওপর নিয়মিত শারীরিক নিপীড়ন, মৌখিক অবমাননা, এমনকি যৌন সহিংসতার ঘটনাও নথিভুক্ত করছে। ভয়ে, কিংবা জীবিকা হারানোর আশঙ্কায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ঘটনাগুলো প্রকাশ পায় না।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (এএসকে) মামলার দায়িত্বে থাকা ফারজানা আখতার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযোগ পাই, বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েদের কাছ থেকে যাদের কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শহরে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অতি দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। কেউ কেউ পড়াশোনার আবার কেউ ভালো জীবনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসে। তবে আসার পর আটকে পড়ে শোষণ-নির্যাতনের ফাঁদে।’

গৃহকর্মী নিয়োগে অস্বচ্ছতা

এই অল্পবয়সী শ্রমিকদের অনেককেই শহরে আনা হয় দালালদের মাধ্যমে, অর্থাৎ অপ্রাতিষ্ঠানিক ‘নিয়োগ এজেন্ট’ বা দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে। এরা কোনো আইনি কাঠামোর আওতায় পড়েন না, বরং কমিশন খেয়ে মেয়েদের অনিরাপদ ও অপরিচিত ঘরে পাঠিয়ে দেন।

এমনই একজন সাবেক দালাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেন, ‘এটা এক ধরনের ছায়া বাজার। কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই, সরকারের নজরদারি নেই। চাহিদা আর যোগানের খেলা। কিছু মেয়েকে তো জিনিসের মতো হাতবদল করা হয়।’

সম্প্রতি ঢাকার কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি প্রশিক্ষিত গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, যারা তুলনামূলক ভালো পারিশ্রমিক দেয়। তবে এসব উদ্যোগ এখনও খুবই সীমিত।

কাগজে নীতি, বাস্তবে শূন্যতা

২০১৫ সালে সরকার ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি’ চালু করে। ওই নীতিতে ন্যূনতম মজুরি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, বিশ্রাম ও ছুটির ব্যবস্থা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও আইনি অভিযোগের সুযোগের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হলেও, তার বাস্তবায়ন কার্যত শূন্য। গৃহকর্মীদের শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতাভুক্ত না করায় এই নীতি মেনে চলার জন্য নিয়োগকর্তার ওপর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।

আওয়াজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. নাজমা আক্তার বলেন, ‘কেবল আলাদা একটি নীতিই যথেষ্ট নয়। আইনগত বাধ্যবাধকতা ও প্রয়োগ ছাড়া কিছুই বদলাবে না।’

এ কারণে অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই গৃহকর্মকে শ্রম আইনের আওতায় আনতে দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিপদের মুখে একটি প্রজন্ম

আইনি ও অর্থনৈতিক লড়াইয়ের বাইরেও এই অনিয়ন্ত্রিত খাত আরও গভীর প্রভাব ফেলে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বাস্তবতা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

শিক্ষা ও সহায়তার সুযোগ না থাকায় হাজার হাজার শিশু অল্প বয়সেই শ্রমে নিযুক্ত হচ্ছে, যা দারিদ্র্যের চক্রকে আরও জটিল করে তোলে।

১৪ বছর বয়সী মুন্নি তৃতীয় শ্রেণি পড়ার পর স্কুল ছেড়েছে। সে বলে, ‘আমি শিক্ষক হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি অন্যের সন্তান সামলাই, আর আমার নিজের বাচ্চা গ্রামে আমার মায়ের কাছে রয়েছে।’

সম্প্রতি ১৫ বছর বয়সী আরেক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয় তার কর্মস্থলের সামনে থেকে; এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

তাছাড়া, বহু গৃহকর্মীর সন্তান বড় হয় তার মায়ের থেকে দূরে কোনো গ্রাম বা বস্তিতে। বিষয়টি আর্থিক কষ্টের পাশাপাশি গৃহকর্মীদের মানসিক চাপও বাড়ায়।

এমন প্রেক্ষাপটে দেশ যখন উন্নয়নের পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে, তখন প্রশ্ন থেকে যায়— কার উন্নয়ন?

যতদিন না প্রতিদিন লাখ লাখ পরিবারকে সচল রাখা গৃহকর্মীদের আইনি সুরক্ষা ও সামাজিক মর্যাদার আওতায় আনা হবে, ততদিন এই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থেকে যাবে অসম্পূর্ণ ও কষ্টদায়ক।


গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগগুলোর ওপর একটি চুক্তি গঠন করতে দ্বিতীয় দফার সংলাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বুধবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজকের আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে— রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষের নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ), জাতীয় সংবিধান পরিষদ গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও জাতীয় সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা আজকের সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে। এ সময় প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান উপস্থাপন করেন দলগুলোর প্রতিনিধিরা।

এর আগে, গত ২ জুন দ্বিতীয় দফার সংলাপের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মুহাম্মদ ইউনুস।

তার আগে, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

এরপর ২০ মার্চ থেকে প্রথম দফার সংলাপ শুরু করে কমিশন। সেখানে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়। এই দফার সংলাপ শেষ হয় ১৯ মে।

দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শেষে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন আগামী মাসে একটি সংস্কার রূপরেখা, ও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।


গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের মাসব্যাপী কর্মসূচি

আপডেটেড ২৪ জুন, ২০২৫ ১৬:৪৯
বাসস

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বিশেষ এই কর্মসূচির বিস্তারিত জানানো হয়।

গত ১৯ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করতে আগামী ১ জুলাই থেকে বিশেষ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। কিন্তু মূল ইভেন্ট শুরু হবে জুলাইয়ের ১৪ তারিখ থেকে। এটি চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য— জুলাইয়ে যে রকম পুরো বাংলাদেশ এক হয়েছিল, আবার সে অনুভূতিটাকে ফিরিয়ে আনা।’

অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত কর্মসূচি-

১ জুলাই

মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে শহীদদের স্মরণে এদিন দোয়া ও প্রার্থনা। জুলাই ক্যালেন্ডার দেওয়া হবে। জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির শুরু হবে; যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। জুলাই শহীদ স্মরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবৃত্তি চালু হবে।

৫ জুলাই

বিভিন্ন সময়ে অবৈধ আওয়ামী সরকারের জুলুম নির্যাতন প্রচারে ৫ জুলাই দেশব্যাপী পোস্টারিং কর্মসূচি চালু।

৭ জুলাই

৭ জুলাই Julyforever.org নামক একটি ওয়েবসাইট চালু।

১৪ জুলাই ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’

১৪ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার, একজন শহীদ পরিবারের সাক্ষ্য; যা চলবে ৩৬ জুলাই পর্যন্ত। জুলাই নারী দিবস হিসেবে এই দিনটিকে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিন প্রত্যেক জেলায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন। শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ৬৪টি জেলায় ও দেশের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাইয়ের ভিডিও প্রদর্শন। টিএসসিতে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, প্রজেকশন ম্যাপিং ও জুলাইয়ের গান এবং ড্রোন শো।

১৫ জুলাই ‘আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া’

১৫ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ। ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও জুলাইয়ের গান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলইডি ওয়াল ইনস্টলেশন। প্রজেকশন ম্যাপিং। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন।

১৬ জুলাই ‘কথা ক’

১৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে তিনটি বিভাগীয় শহরে ‘ভিআর শো’ প্রদর্শন। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণ অনুষ্ঠান। জুলাইয়ের গান এবং ড্রোন শো প্রদর্শন। চট্টগ্রামে জুলাইয়ের গান এবং ড্রোন শো প্রদর্শন।

১৭ জুলাই ‘শিকল-পরা ছল’

১৭ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। প্রতীকী কফিন মিছিল। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠান। বিভিন্ন প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ১৭ জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা অনুষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।

১৮ জুলাই ‘আওয়াজ উডা’

১৮ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। ১ মিনিটের প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, জুলাইয়ের গান, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও ড্রোন শো, ঢাকার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠান। ট্র্যাশন শো ও ম্যারাথন।

১৯ জুলাই ‘কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা’

১৯ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। শহীদদের স্মরণে সমাবেশ-১ নরসিংদী, সাভার। ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শন। এইদিনটিকে গণহত্যা ও ছাত্রজনতার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০ জুলাই ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’

২০ জুলাইয়ের স্মরণ ভিডিও শেয়ার। ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শন। শহীদদের স্মরণে সমাবেশ-২ (স্থান—বসিলা, মিরপুর ১০)।

২১ জুলাই ‘রক্ত গরম মাথা ঠাণ্ডা’

২১ জুলাইয়ের স্মরণ ভিডিও শেয়ার। ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে সব মাদ্রাসায় জুলাইয়ের স্মরণে অনুষ্ঠান। শহীদদের স্মরণে সমাবেশ-৩ (স্থান-যাত্রাবাড়ি)।

২২ জুলাই ‘আভাস’

২২ জুলাইয়ের স্মরণে ভিডিও শেয়ার। জাহাঙ্গীরনগরে ‘অদম্য-২৪’ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন। জুলাইয়ের পঙ্ক্তিমালা। রাজু ভাস্কর্যের সামনে জুলাইয়ের কবিতা পাঠ করবেন কবিগণ।

২৩ জুলাই ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’

২৩ জুলাইয়ের স্মরণ ভিডিও শেয়ার। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সংযুক্ত করে অনুষ্ঠান। বৈশ্বিক সংহতি: জুলাই আন্দোলনে বিদেশি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে যারা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের নিয়ে অনলাইন ও অফলাইন আয়োজন। দূতাবাসগুলোতে জুলাইয়ের কিছু নির্বাচিত ছবি ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি। জুলাই গ্রাফিতি প্রদর্শনী।

২৪ জুলাই ‘কি করেছে তোমার বাবা’

২৪ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার শিশু শহীদদের স্মরণে দেশব্যাপী কর্মসূচি, দেশব্যাপী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘২৪-এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন’ প্রতিযোগিতা, নারায়ণগঞ্জে শিশু শহীদ রিয়া গোপের স্মরণে অনুষ্ঠান, শিশু শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান, জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও গান, শিশু অ্যাকাডেমিতে জুলাইয়ের শিশু শহীদদের থিম করে একটি আইকনিক ভাস্কর্য স্থাপন, শিশুদের জন্য জুলাই আন্দোলনকে উপজীব্য করে গ্রাফিক নভেল প্রকাশ। এই দিনটি আয়োজন করা হয়েছে শিশু শহীদদের স্মরণে

২৫ জুলাই ‘চলো ভুলে যাই’

২৫ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। মঞ্চে বিপ্লব: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট নাট্যমঞ্চ প্রস্তুত করে নাটক দেখানো হবে।

২৬ জুলাই ‘পলাশীর প্রান্তর’

২৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের জমায়েত ও অনুষ্ঠান। মাদ্রাসার ভূমিকা নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। জুলাইয়ের র‌্যাপ গানের অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমিতে জুলাইয়ের প্রকাশিত বই নিয়ে বইমেলা।

২৭ জুলাই ‘ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর গান’

২৭ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক সংলাপ। কালচারাল প্যারাডাইম শিফট তথ্যচিত্র ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা নিয়ে ভিডিওচিত্র প্রচার।

২৮ জুলাই ‘চলো ভুলে যাই’

২৮ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। প্রধান উপদেষ্টার একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। জুলাইয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুষ্ঠান। ‘মনসুন আর্কাইভ’র প্রকাশ। ‘চিকিৎসা নেই, লাশ নেই’ শীর্ষক তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনী। সারা দেশে রক্তদান ও মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন।

২৯ জুলাই ‘বাংলা মা’

২৯ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। জুলাই অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক বুদ্ধিবৃত্তিক প্যানেল ডিসকাশন। গাজীপুরে অথবা সাভারে শ্রমিকদের সমাবেশ।

৩০ জুলাই ‘চল চল চল’

৩০ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। অনলাইনে জুলাই স্মরণ। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখা সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান। জুলাই অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক বুদ্ধিবৃত্তিক প্যানেল ডিসকাশন।

৩১ জুলাই ‘কাণ্ডারি হুঁশিয়ার’

৩১ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। দেশব্যাপী সব কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির স্মরণে অনুষ্ঠান।

৩২ জুলাই (আগস্ট ১) ‘গণজোয়ার’

৩২ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। ৬৪টি জেলায় জুলাই নিয়ে বানানো তথ্যচিত্র প্রদর্শন। সব বাংলাদেশি দূতাবাসে জুলাই নিয়ে বানানো নির্বাচিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। ‘২৪ জুলাই ফটোগ্রাফারের চোখ দিয়ে’ কফি টেবিল বুক প্রকাশনা। জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির সমাপ্তি।

৩৩ জুলাই (আগস্ট ২) ‘আমি বাংলায় গান গাই’

৩৩ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। বাংলাদেশের সব জেলার ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্রজেকশন ম্যাপিং।

৩৪ জুলাই (আগস্ট ৩) ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’

৩৪ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। শাহবাগ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত শোভাযাত্রা। রিকশায় জুলাইয়ের গ্রাফিতি অঙ্কন ও রিকশা মিছিল। ৬৪টি জেলায় জুলাই নিয়ে বানানো তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।

৩৫ জুলাই ( আগস্ট ৪ ) ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’

৩৫ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। সারা দেশে জুলাই যোদ্ধাদের সমাগম, জুলাইয়ের কার্টুনের প্রদর্শনী। ৬৪টি জেলায় ‘স্পটলাইট অন জুলাই হিরোজ’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।

৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ‘শোনো মহাজন’

৩৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। ৬৪ জেলার কেন্দ্রে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ। শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, শহীদদের জন্য প্রার্থনা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে বিজয় মিছিল, এয়ার শো। গানের অনুষ্ঠান, ‘জুলাইয়ের ৩৬ দিন’সহ জুলাইয়ের অন্যান্য ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, ড্রোন শো এবং র‌্যাপের সঙ্গে বচসা।


আগামীকাল বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৫’ উদ্বোধন করবেন।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় পরিবেশ পদক এবং বৃক্ষরোপণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করবেন।

এছাড়াও তিনি সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করবেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে আগামী ২৫ জুন থেকে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলা শুরু হচ্ছে।

তিনি জানান, পরিবেশ মেলা চলবে ২৫ থেকে ২৭ জুন এবং বৃক্ষমেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’ এবং বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’।

উপদেষ্টা বলেন, এ উপলক্ষ্যে জেলা-উপজেলা এবং ঢাকা মহানগরের ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, স্লোগান প্রতিযোগিতা, সেমিনার ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বৃক্ষমেলা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ করা হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে মোবাইলে এসএমএস প্রচারণা, ব্যানার স্থাপন ও জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ১৯৯৫-৯৬ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ-বছর পর্যন্ত ৪ লাখ ২৬ হাজার ৮৪২ হেক্টর ব্লক বাগান, ৭২ হাজার ৫৮১ কিমি স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ২০ কোটি ৬২ লাখ চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়েছে। সামাজিক বনায়নের ২ লাখ ৫০ হাজার উপকার ভোগীর মধ্যে ৫০৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়া হাতি, শকুন, শাপলা পাতা মাছ, পরিযায়ী পাখি, হাঙর, ডলফিন, ঘড়িয়াল সংরক্ষণ কার্যক্রম চালু আছে। হালনাগাদ করা হয়েছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, বাতিল করা হয়েছে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক প্রকল্প এবং পূর্বাচল এলাকাকে জীববৈচিত্র্য অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।


গুমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গুম সংক্রান্ত ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কমিশন তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনার পেছনে শুধু দেশীয় নিরাপত্তা বাহিনীই নয় বরং বিদেশি অংশীদারদের ভূমিকা এবং বাহিনীর অভ্যন্তরীণ দ্বিধা ও মতবিরোধও কাজ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের একটি অংশ গুমসহ নানা বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, যার ফলে অনেককে পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে ভুগতে হয়েছে।

কমিশন বলেছে, গুম ছিল না বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার ফল, বরং এটি এমন একটি কাঠামোগত ব্যবস্থা, যেখানে আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকতাও ছিল-বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার নামে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সম্পৃক্ততা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, গুম সংক্রান্ত বিষয়ে নিরপেক্ষ মত দেওয়ার কারণে তাকে সহকর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়, নতুন পদায়নের আগেই তার সম্পর্কে সতর্ক বার্তা ছড়ানো হত, এমনকি তার পরিবারের ওপর নজরদারি চলত।

এক যুবক কমিশনকে জানান, তার ভাই একটি গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করতেন। তাকে রাজনৈতিক ‘বিরোধীদের’ তালিকা করতে বলা হয়। পরে দেখা যায়, তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে, যা জানার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তার ভাই এবং শেষ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

এক সৈনিক জানান, তাকে একটি গোপন বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়েছিল যেখানে বন্দিদের প্রতি ছিল চরম নিষ্ঠুরতা। তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যেন স্বাভাবিক ব্যবহার না করা হয়, বরং বন্দিদের কষ্ট দেওয়ার নির্দেশ মেনে চলা হয়। এমনকি বন্দিদের সামনে কথা বলাও নিরুৎসাহিত করা হতো; পরিবর্তে ইশারা ও শিসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলা হতো- যা অনেক ভুক্তভোগীর বর্ণনায়ও উঠে এসেছে।

তবে প্রতিবেদন জানায়, ওই সৈনিক একপর্যায়ে প্রতিরোধের ছোটখাটো চেষ্টা করতেন, যেমন নিজের খাবার বন্দিদের দিয়ে দিতেন। এক বন্দি কমিশনকে সরাসরি জানান, ওই সৈনিকের দেওয়া খাবারে তিনি বেঁচে ছিলেন।

আরেকজন র‌্যাব গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, তাকে একজন দীর্ঘদিনের বন্দিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা অমান্য করেন এবং ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্বে থেকে তার অবস্থান ধরে রাখেন।

কমিশনের ভাষায়, ‘সবসময়ই যে অবাধ্যতার ফলাফল তাৎক্ষণিক হয়, তা নয়। কেউ কেউ তাদের অবস্থান জানানোর পরও টিকে ছিলেন।’ যেমন দুজন র‌্যাব সদস্য র‌্যাব গোয়েন্দা প্রধানকে নিজ হাতে লেখা চিঠিতে জানান যে তারা বেআইনি কোনো আদেশ পালন করবেন না।

এক চিঠিতে লেখা ছিল: ‘যদি কোনো অভিযান আইন বহির্ভূত বা আইন বহির্ভূত গুলি চালানোর উদ্দেশে হয়, তাহলে আমি তাতে অংশ নিতে পারব না।’

প্রতিবেদন জানায়, বিগত সরকারের পতনের পর এই ধরনের কয়েকটি নোট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছিল, যা পরে গণভবন থেকে উদ্ধার হয়।

তবু কমিশনের ভাষায়, ‘এরপরও গুমের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যেখানে ট্রেনলাইন কিংবা চলন্ত যানবাহনের নিচে ফেলে লাশ গুম করা হয়েছে।’

প্রতিবেদন বলছে, ‘গুমের মতো অপরাধকে অনেকাংশে অঘোষিতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল এবং যারা এসব করেছিল, তারা প্রকৃত অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হননি।’

কমিশনের প্রতিবেদন জানায়, আন্তর্জাতিক সংযোগও এই ঘটনার পেছনে কার্যকর ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছাড়াও, আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পশ্চিমা সহযোগিতার সুবিধাও পেয়েছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয় একজন ভুক্তভোগী কমিশনকে জানান, তাকে ডিবির হেফাজতে দুজন আমেরিকান নাগরিক জেরা করেছিলেন। যদিও তারা সরাসরি নির্যাতনে অংশ নেয়নি, তথাপি তাদের উপস্থিতিই এই বেআইনি আটক ব্যবস্থাকে বৈধতা দেয়।


পিরোজপুরে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন মালিকদের কাছে হস্তান্তর পুলিশ সুপারের

আপডেটেড ২৩ জুন, ২০২৫ ২৩:০৯
এস এম আবু জাফর , পিরোজপুর 

পিরোজপুর উদ্ধারকৃত ২৬টি মোবাইল ফোন তিনটি ফেসবুক ফেইক আইডি ও একটি হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করে

মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার। সোমবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন মালিকদের মাঝে হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের।

পুলিশ সুপার জানন, পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলা থেকে ২৬ টি মোবাইল, তিনটি ফেসবুক ফেইক আইডি ও একটি হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করে জেলা পুলিশের আইসিটি ও মিডিয়া সেল শাখা। উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ও হ্যাক হওয়া ফেইজবুক আইডি মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

পিরোজপুর পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের আরও জানান, পিরোজপুর জেলা পুলিশের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। মাদক ও অন্যান্য বিষয় জেলা পুলিশ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও অপরাধজনিত যে কোন বিষয় জেলা পুলিশ এর তৎপর অব্যাহত থাকবে।


মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদাকে আটকের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয় জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনায় বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়; তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তার হয়েছেন নুরুল হুদা।’

‘তবে তাকে গ্রেপ্তারের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। এ ঘটনার তদন্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কৃষিজমি দখল রোধে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিদেশি ফলের পাশাপাশি দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে, যেন এসব ফল হারিয়ে না যায়।’

পরিদর্শনের সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ, হর্টিকালচার সেন্টারের এনামুল হকসহ পুলিশ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপদেষ্টা হর্টিকালচার সেন্টারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নানা দিক নির্দেশনা দেন।


ভালুকায় পৃথক অভিযানে হেরোইন, ইয়াবা ও পেথিডিন ইনজেকশনসহ আটক ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ময়মনসিংহের ভালুকায় পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে হেরোইন, ইয়াবা ও নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। রবিবার (২২ জুন) রাতভর এসব অভিযান পরিচালনা করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার মেদুয়ারী এলাকার বাঘসাতরা মোড় বাজারের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ মো. আতিকুর রহমান (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি মেদুয়ারী গ্রামের মৃত সিরু মিয়ার ছেলে। একই রাতে, সাড়ে ৩টার দিকে মাহমুদপুর ব্রিজ ঘাট এলাকার আনন্দ সাব্বির অটো ওয়ার্কশপের সামনে থেকে মো. মনিরুজ্জামান (৩০) নামের এক যুবককে ২০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। অপদরিকে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তেপান্তর হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের সামনে চেকপোস্টে জামালপুরগামী রাজীব পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-১৪-১৫৭৪) তল্লাশি করে ৯১১ পিস পেথিডিন ইনজেকশনসহ মো. ফারুক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি নেত্রকোনা সদর উপজেলার পশ্চিম কাটলী গ্রামের বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। আটককৃত তিনজনের বিরুদ্ধেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। আতিকুর ও ফারুকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক পুরোনো মাদক মামলা রয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


দেশব্যাপী স্কাউটস কাব কার্নিভালের উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ স্কাউটস এর দেশব্যাপী আয়োজিত কাব কার্নিভালের উদ্বোধন করেছেন।

সারাদেশে ৫২৭টি জায়গায় একযোগে এই কার্নিভাল শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস স্কাউটস কার্নিভালের উদ্বোধন করেন। একইসাথে তিনি বিজয়ী স্কাউট সদস্যদের হাতে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।


স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব নতুন সভ্যতা গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

রোববার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বক্তব্য রাখেন।


নির্বাচনের প্রস্তুতি: ইসি ও সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করছে ইইউ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সুশীল সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

রবিবার (২২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় ইউরোপীয় দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।

ইইউ দূতাবাস বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের জন্য আরও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে সুশীল সমাজকে ক্ষমতায়নে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি ও এর অংশীদাররা।

ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির (ইপিডি) সহায়তায় এর অংশীদার সংগঠন আনফারেল ১৮ থেকে ২০ জুন ঢাকায় তিনদিনব্যাপী একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে। এর বিষয়বস্তু ছিল নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ।

ইইউ দূতাবাস জানায়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সব অংশগ্রহণকারী একমত পোষণ করেছেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রণয়নে সহযোগিতা এবং এতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনের কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দুই দিন বিরতি দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজ রবিবার রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে।

রবিবার (২২জুন) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ আলোচনায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

এতে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। আগের আলোচনার সমাপ্তি টানতেই আজকের এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন-নিউজ সরাসরি সম্প্রচার করছে। বৈঠকে আলী রীয়াজ ছাড়াও আরও উপস্থিত রয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

এর আগে, গত ১৭ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের পর তার পরের দিন অবশ্য অংশ নিয়েছিল দলটি।

এদিকে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কাছাকাছি আসতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতেই এনসিসি গঠনের কথা বলা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন নিয়েও দলগুলোর ঐকমত্য হয়নি গত সপ্তাহে হওয়া চার দিনের সংলাপে। এ পর্যায়ে ঐকমত্যের সংজ্ঞা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ পেয়েছে। কমিশন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথাও ভাবছে।

গত সপ্তাহের সংলাপের অগ্রগতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই বিষয়গুলোতে একদিকে রয়েছে বিএনপি এবং সমমনা পাঁচটি দল; তাদের কাছাকাছি অবস্থান বামপন্থি সিপিবি, বাসদের। বিএনপির বিপরীত অবস্থানে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টিসহ বাকি দলগুলো। যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি, জেএসডির অবস্থানও বিএনপির বিপরীতে।

নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাসে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবের বিপক্ষে অনড় অবস্থান ধরে রেখেছে বিএনপি এবং সমমনা এলডিপি, এনডিএম, লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট এবং ১১ দলীয় জোট।

চার দিনের সংলাপে ৩০ রাজনৈতিক দল এবং জোট শুধু ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিলে শর্ত সাপেক্ষে ঐকমত্য হয়েছে। যদিও জামায়াত বলেছে, শুধু অর্থবিল এবং আস্থা প্রস্তাব নয়, সংবিধান সংশোধনেও এমপিরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না। বিএনপি বলেছে, যুদ্ধাবস্থায়ও দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না এমপিরা।


বিশ্বজুড়ে বাড়ছে বাংলাদেশি শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
    ২০২৪ সালে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন এক লাখ ৮ হাজার বাংলাদেশি

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই এই সংখ্যা বেড়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কাছে ২৮ হাজার ৪৭৩ বাংলাদেশি শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।

তবে শুধু শরণার্থী নয়, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনও করছেন অনেক বাংলাদেশি। ২০২৪ সালে এক লাখ ৮ হাজার ১৩১ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। অধিকাংশ বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ২৪ হাজার ১২৬ বাংলাদেশি জাতিসংঘের কাছে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। ২০২২ সালে ২৩ হাজার ৯৩৫ জন, ২০২১ সালে ২২ হাজার ৬৭২ জন এবং ২০২০ সালে ১৮ হাজার ৯৪৮ জন বাংলাদেশি নিজেদের শরণার্থী দাবি করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেন। এছাড়া ২০১৯ সালে শরণার্থী হিসেবে জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশিদের আবেদনের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৭৬৬, ২০১৮ সালে ২১ হাজার ২২ এবং ২০১৭ সালে ১৬ হাজার ৭৮০টি।

২০২৪ সালে এক লাখ ৮ হাজার ১৩১ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এছাড়া ২০২৩ সালে ৭৫ হাজার ৮৬৭ জন বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। ২০২২ সালে ৬১ হাজার ২৯৮ জন, ২০২১ সালে ৬৫ হাজার ৪৯৫ এবং ২০২০ সালে ৬৪ হাজার ৬৩৬ জন বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৮৬০ এবং ২০১৮ সালে ৬২ হাজার ৮৬০।

তবে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যে যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে দেখা যায়, আশ্রয়প্রার্থীদের বেশিরভাগই সুযোগসন্ধানী বা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছেন।

অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, অনেকে অবৈধ পথে লাখ লাখ টাকা দিয়ে ইউরোপ যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে অবৈধ হয়ে থাকেন বছরের পর বছর। এরপর এরা শরণার্থী হিসেবে স্থায়ী হওয়ার আবেদন করেন।

তিনি বলেন, কিছু দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত, যেমন মিয়ানমার, সিরিয়া, আফগানিস্তান- এসব দেশ থেকে কেউ গেলেই অটোমেটিক তারা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য না। আমাদের অনেকে অবৈধ হিসেবে গিয়ে শরণার্থী পরিচয় দেন, কিন্তু ইউরোপ জানে এরা অবৈধ অভিবাসী।

আসিফ মুনীর আরও বলেন, তবুও ইউরোপের দেশ ইতালি, ফ্রান্স আমাদের এই অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করছে। কিন্ত বাস্তবিক অর্থে যারা অবৈধ পথে এসব দেশে যাচ্ছেন এরা শরণার্থী নন। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বহু মানুষ ইউরোপে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে বহু বাংলাদেশি আছেন যারা শরণার্থী হিসেবে গিয়েছেন।


banner close