গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আজ সারা দিন দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থা আজ সারা রাত অব্যাহত থেকে আগামীকাল সোমবার দুপুর নাগাদ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রাতভর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ধারণা করছি, আগামীকাল দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। তবে এখনও বাংলাদেশের সমুদ্রগুলোর জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে, সকালে প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বর্তমান বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়া শিগগিরই পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে উল্লেখ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, স্থল গভীর নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে এগিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এছাড়া মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গভীর স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে আজ রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামীকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। তবে ওইদিন সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমবে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। ওই দিন বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলায়। যার পরিমাণ ২২৩ মিলিমিটার। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেট বিভাগে ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা বিভাগের যশোর জেলায় ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের প্রচার শুধু আইনের লঙ্ঘন নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি তৈরি করে।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার কিছু গণমাধ্যম আইন অমান্য করে শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য সম্প্রচার করেছে, যেখানে তিনি মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং অনলাইন আউটলেটগুলোতে ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামী শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। তা ছাড়া, গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘৃণা ছড়ায় প্রাক্তন স্বৈরশাসকের এমন বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে।
আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, কিছু গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ প্রচার করেছে যেখানে তিনি মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি এবং দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি যে, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমাদের জাতির ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমরা অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি তৈরির ঝুঁকি নিতে পারি না। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শেখ হাসিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীর গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের পরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছে। তদুপরি, বাংলাদেশের আইন অনুসারে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একই সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, যে কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে সরকার বিবৃতিতে বলছে, ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক নীতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম প্রথমবারের মতো সত্যিকার অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘আমরা, এমন একটি সময়ে, সংবাদ মাধ্যমগুলোকে শেখ হাসিনার অডিও এবং তার বক্তৃতাগুলো, যা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি, এগুলো প্রচার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং দায়িত্বশীলতা অবলম্বন করার আহ্বান জানাই। তার মন্তব্য, বক্তৃতা এবং তার যেকোনো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার, পুনঃপ্রচার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করে। এটি কেবল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করে। এ ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অমান্যকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আইনের অধীনে আইনি জবাবদিহিতার আওতায় পড়বে।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মিয়ানমারের মানবাধিকারসংক্রান্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে অ্যান্ড্রুজ রোহিঙ্গা সংকটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অগ্রাধিকার দিয়ে তুলে ধরার জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি স্মরণ করেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আহ্বানের উদ্যোগও প্রধান উপদেষ্টার হাত ধরেই এসেছে।
অ্যান্ড্রুজ প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের উদারতায় বিশ্ব কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে স্থায়ী সমাধানের আশাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনার নেতৃত্ব বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।’
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন জাতিসংঘ সম্মেলন দীর্ঘদিনের এই সংকট নিরসনে কার্যকর সমাধানের পথ দেখাবে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সহ মৌলিক সেবা প্রদান কঠিন হয়ে পড়ছে। এ সময় তিনি পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করতে অ্যান্ড্রুজকে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বানও জানান।
টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন পক্ষকে যুক্ত করে সংকট সমাধানে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছে। তবে রাখাইন রাজ্যে স্থিতিশীলতা আনতে ও শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে, জাতিসংঘ মহাসচিবের মানবিক চ্যানেল স্থাপনের উদ্যোগটি বিদ্বেষমূলক প্রচারণার কারণে ব্যাহত হওয়ায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
তবুও টম অ্যান্ড্রুজ আশা করেন, সব পক্ষের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় দ্রুত একটি টেকসই সমাধান সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, টম অ্যান্ড্রুজ আগামী ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্টেকহোল্ডার সংলাপে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওই সংলাপের উদ্বোধন করবেন।
সরকারি এবং কূটনীতিক পাসপোর্টে পারস্পারিক ভিসা অব্যাহতি সুবিধা পেতে পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, ‘পাকিস্তানের মতো এ রকম চুক্তি আমরা আরও ৩১টি দেশের সঙ্গে করেছি। এই চুক্তি পাঁচ বছরের জন্য করা হবে । এর ফলে যারা অফিসিয়াল পাসপোর্ট এবং কূটনীতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন, তারা এখন বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন। একইভাবে পাকিস্তানের যারা অফিসিয়াল এবং কূটনীতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন— তারাও বাংলাদেশে সফর করতে পারবেন কোন ভিসা ছাড়াই। এটা একটা স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস।’
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের সম্মতি পাওয়া গেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব হিসেবে আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজ বিকেলে যোগদান করেছেন।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের ১৯৯৪ সালে সহকারী কমিশনার পদে চাকরিতে যোগ দেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস ও থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, চীন, ভিয়েতনাম, ডেনমার্ক, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে সরকারি কাজে ভ্রমণ করেছেন।
নতুন সচিব হিসেবে যোগদানের পর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং কুশল বিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (গ্রেড-১) হিসেবে দায়িত্ব পালনরত আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরকে ২০ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদায়ন করা হয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে দেড় দশক ধরে অকার্যকর থাকা বাংলাদেশ-পাকিস্তান জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী জাম কামাল খান এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক দের ব্রিফকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে খুবই ইন্টান্সিভ আলোচনা হয়েছে। জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন চালু কার্যকর করা এবং নতুন করে ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠনের আলোচনা করছি।
তিনি বলেন, দুই দেশ যৌথভাবে বা বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে ইন্টারমেডিয়েট পণ্য উৎপাদন করতে পারলে তা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এর উপর পাকিস্তান আন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করে রেখেছে। আমরা সেটা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছি। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া আমাদের চামড়া ও চিনি শিল্প উন্নয়নে সহায়তা চেয়েছি।
বশিরউদ্দীন বলেন, এক সময় পাকিস্তান আমাদের ১ কোটি কেজি চা রপ্তানিতে ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিতো, তা আবার বহাল করতে অনুরোধ করেছি।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর ৮০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে যার মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ফুড এন্ড ইন্টারমেডিয়েট পণ্য। দুই দেশের মধ্যে এসব পণ্য বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ আছে, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য নতুন ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা কৃষি ও খাদ্য পণ্য, ফল আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করেছি। স্থানীয়ভাবে চিনি উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়াতে পাকিস্তানের সহায়তা চেয়েছি । মধ্যবর্তী পণ্য উৎপাদনে পাকিস্তানের বিনিয়োগ চেয়েছি।
তাঁরা আমাদের সকল প্রস্তাবে ইতিবাচকভাবে দেখেছে এবং নিউ কমিশনে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে কিনা এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবার দিকে ঝুঁকছি।, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছি। ভারত থেকেও পেঁয়াজ আনছি। সর্বাগ্রে বাংলাদেশের স্বার্থ, যেখানে দেশের স্বার্থ আছে, সেখানেই ঝুঁকছি।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবর রহমান বলেন, গত দেড় দশক পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য তেমন ছিলো না বললেই চলে। খাদ্য ও পাথরসহ বিভিন্ন পন্য আমরা নানা দেশ থেকে আমদানি করি, প্রতিযোগিতা দরে পাকিস্তান থেকে এসব পণ্য আনা গেলে প্রব্লেম নেই। একই সঙ্গে আমাদের রপ্তানি বাড়ানোতে গুরুত্ব দিছি।
বর্তমানে পাকিস্তান থেকে ইম্পোর্ট করি বেশি, রপ্তানি কম করি। আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারলে দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের ৩৯তম বৈঠকে আজ ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে।
ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীগণের পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়।
এছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদকে সংস্কার কমিশনসমূহের সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
রাজবাড়ীর পাংশায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে হাইস্কুল পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টায় পাংশা জর্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
“অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি”-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ক ও খ এই দুই গ্রুপে মোট ২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ক গ্রুপে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এবং খ গ্রুপে ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পাংশা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে- পাংশা জর্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠ, কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমি, পাংশা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাংশা সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা।
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশি মাছ সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম তৈরি এবং পরিবেশবান্ধব মৎস্যচাষে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস চালানো হয়।
চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতাটি বাস্তবায়ন করে পাংশা উপজেলা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন কমিটি।
প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নবীনগরের তিতাসপাড় ‘রসুলপুর’ এলাকায় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১২টায় নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন ‘ঐক্যবদ্ধ নবীনগর’।
মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজিব চৌধুরীর কাছে কলেজ স্থাপন সংক্রান্ত দাবিসংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করে।
‘ঐক্যবদ্ধ নবীনগর’ সংগঠনের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম মাসুদ মানববন্ধনে বলেন, “সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রসুলপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এটি বাস্তবায়িত হলে শুধু নবীনগর নয়, আশপাশের পুরো অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষায় উন্নয়ন ঘটবে।”
তিনি আরও জানান, মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা নবীনগরের কৃতি সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদ ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিকট একটি ডিও লেটার (ডেমি অফিসিয়াল লেটার) পাঠিয়েছেন, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন: ঐক্যবদ্ধ নবীনগর সংগঠন সদস্য সচিব মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, উপজেলা , জামায়াতে ইসলাম আমির,মুখলেসুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন রাজু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মকুল, আলহাজ্ব শাহ জালাল আহমেদ, পরিচালক, টেননো ড্রাগ,আবু কামাল খন্দকার, সাবেক সভাপতি, নবীনগর প্রেসক্লাব শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী,জালাল উদ্দিন মনির, কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক,আসাদুজ্জামান কল্লোল, সাবেক সাধারণ সম্পাদকমুফতি বেলায়েতুল্লাহহাফেজ ছানাউল্লাহ সাইফুল ইসলাম, এনসিপি বক্তারা বলেন, রসুলপুর এলাকায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন হলে উন্নয়ন ও জনসেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এটি বাস্তবায়নে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিশেষ অভিযানে পিস্তলসহ ৩ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কধুরখীলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন এডহক ৪৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালাহউদ্দিন আল মামুন।
আটককৃতরা হলেন, কধুরখীলের রহমান ফকিরের বাড়ির মো: জাকির হোসেন (৫২), মো. আরমান হোসেন জিসান (২৮) ও জুবাইদ হোসেন রাব্বি (১৭)।
তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় পিস্তল, ৩টি ছোরা, ২টি সেলফ ডিফেন্স স্টিক ও ৩টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
বোয়ালখালী সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল প্রধান বলেন, আটককৃতরা মাদক ইয়াবার ব্যবসাসহ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। জব্দকৃত অস্ত্রসহ আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এক যুগ আগে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই সুখরঞ্জন বালি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
২১ আগস্ট সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ দাখিল করে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
শেখ হাসিনার ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বালি অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, ট্রাইব্যুনালের সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল, সাবেক চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত ও তৎকালীন তদন্ত সংস্থার প্রধান মো. সানাউল হক।
সুখরঞ্জন বালি জামায়াতে ইসলামীর নেতা প্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধের মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন।
তিনি ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বর থেকে নিখোঁজ হন।
সুখরঞ্জন বালী তার অভিযোগে বলেন, আমার ভাই বিশাবালীকে (বিশেশ্বর বালী) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের দিকে তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আমাকে পিরোজপুরের পাড়েরহাটের রাজলক্ষ্মী স্কুলে ডেকে ৭১-এ আমার ভাই বিশাবালীর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চায়। আমি তাকে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলি। কিন্তু হেলাল উদ্দিন আমাকে আমার ভাইয়ের হত্যাকারী হিসাবে প্রকৃত হত্যাকারীদের নামের সঙ্গে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামও বলতে বলে এবং তার বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে গিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলে।
আমি হেলাল সাহেবকে তখনই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিই যে, সাঈদী হুজুর আমার ভাই বিশাবালী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। সুতরাং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল সাহেব আমাকে জোরপূর্বক রাজি করাতে সেখানেই আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।
এরপর হেলাল উদ্দিন আমাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি করাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এমপি এ. কে. এম. আব্দুল আউয়াল ও পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেককে ডেকে আনে।
তারা আখতারুজ্জামান ফুলু ও কানাই লালা বিশ্বাসের নেতৃত্বে সাইদুল্লাহ লিটন, রেজাউল করিম শিকদার মন্টু, মিজানুর রহমান তালুকদার, সুমন সিকদার, দিলীপ মাঝি, রাজ্জাক খান বাদশা, মতিউর রহমান, মৃধা, শাহজাহান খান তালুকদার, মাসুদ আহম্মেদ রানা, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, গোলাম মাওলা নকিব, আমিনুল ইসলাম মিরন, ইরতিজা হাসান রাজু, খায়রুল ইসলাম মিঠু, মজনু তালুকদার, মৃধা মো. মনিরুজ্জামান, কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব ও রাসেল পারভেজ রাজাসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আরো কিছু লোককে রাজলক্ষ্মী স্কুলে হাজির করায়।
তারা সেখানে উপস্থিত হয়েই আমাকে নানা রকম চাপ ও হুমকি দিতে থাকেন। আমি সাক্ষ্য দিতে রাজি না হলে, আউয়াল ও মালেক সাহেব আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।
এরপর তাদের নির্দেশে রেজাউল করিম শিকদার মন্টু, সুমন সিকদার, দিলীপ মাঝি, রাজ্জাক খান বাদশা, শাহজাহান খান তালুকদার, মৃধা মো. মনিরুজ্জামান, মাসুদ আহম্মেদ রানা, মজনু তালুকদার ও মিজানুর রহমান তালুকদার মিলে আমাকে নির্দয়ভাবে পিটাতে থাকে। তাদের নির্যাতন শেষ হলে সাইদুল্লাহ লিটন, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, গোলাম মাওলা নকিব, আমিনুল ইসলাম মিরন, মতিউর রহমান, ইরতিজা হাসান রাজু, খায়রুল ইসলাম মিঠু ও মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লবরা আমাকে চর, থাপ্পড় ও ঘুসি মারতে থাকে ও লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকে।
তারপরও আমি হুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আগামীকাল তাদের কথা মত সাক্ষ্য দিতে রাজি না হলে, আগামীকালই আমার জীবনের শেষ দিন বলে শাসিয়ে চলে যায়।
আমি তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপনে চলে যাই। দীর্ঘদিন আমি বিভিন্ন বাড়িতে লুকিয়ে থাকি। হেলাল উদ্দিন, এ. কে. এম. আব্দুল আউয়াল, হাবিবুর রহমান মালেক, আখতারুজ্জামান ফুলু, কানাই লালা বিশ্বাস, মিজানুর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে আমাকে করা নির্যাতনের অনেক দিন পর একদিন সাঈদী হুজুরের ছেলে জনাব মাসুদ সাঈদী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আমার ভাই বিশাবালী হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানতে চান। আমি তাকে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলি। তখন মাসুদ সাঈদী জানতে চান, এই সত্য ঘটনা আমি ট্রাইবুনালে এসে বলতে রাজি আছি কি-না? জবাবে আমি সম্মতি প্রকাশ করলে, জনাব মাসুদ সাঈদী আমার ভাইয়ের হত্যার প্রকৃত ঘটনা ট্রাইব্যুনালে এসে বলার জন্য অনুরোধ জানান।
আমি তার অনুরোধ গ্রহণ করি এবং সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য সাঈদী হুজুরের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে রাজি হই। সেই মর্মে আমি, সুখরঞ্জন বালি, সাঈদী হুজুরের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে ৩ নভেম্বর ২০১২ সালে বিকালের দিকে ঢাকায় আসি এবং জনাব মাসুদ সাঈদীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে ৪ তারিখ ট্রাইব্যুনালে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম স্যারের কাছে নিয়ে আসেন। উনাকে আমি আমি সব খুলে বলি।
এরপর ৫ নভেম্বর ২০১২ এর সকালে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামের অফিসে মাসুদ সাঈদী আমাকে নিয়ে যান। তখন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম সাহেব আমাকে তার গাড়িতে করে ট্রাইব্যুনালের দিকে রওয়ানা দেন। তার গাড়িতে আরও ২ জন আইনজীবী- জনাব মনজুর আহমেদ আনসারী ও জনাব হাসানুল বান্না সোহাগ ছিলেন, যাদের নাম আমি পরে জানতে পারি।
আমার সামনের গাড়িতে জনাব মাসুদ সাঈদী ছিলেন এবং তার সঙ্গেও একজন আইনজীবী ছিলেন। তার নাম আবু বকর সিদ্দিক, যা আমি পরে জানতে পারি। ট্রাইবুনালের গেটের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখতে পাই। ট্রাইব্যুনালের মূল গেটের কাছে আমাদের গাড়ি এসে পৌঁছালে পুলিশ আমাদের গাড়ি আটকে দেয়।
আটকে দেওয়ার পর সামনের গাড়ি থেকে নেমে মাসুদ সাঈদী পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এর মধ্যে কিছু বুঝে উঠার আগেই সাদা পোশাকে থাকা অনেক লোক ও পুলিশ মিলে এড. মিজান স্যারের গাড়ি ঘিরে ফেলে।
সেখানে আমাকে দেখে তারা বলে ‘শুয়োরের বাচ্চা, তোকেই তো আমরা খুঁজছি। নাম নিচে নাম।’ এই কথা বলেই একজন পুলিশ আমার কানের নিচে প্রচণ্ড জোরে থাপ্পড় মারে। এরপর আমার শার্টের কলার ধরে আমাকে মারতে মারতে জোরপূর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে একটা সাদা রঙের পুলিশ পিকআপে তুলে নেয়।
আমার সাথে থাকা আইনজীবী ও মাসুদ ভাই তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে তারা আর আমার কাছেই আসতে পারেননি।
গাড়িতে উঠিয়েই তারা আমার চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। এ অবস্থাতেই তারা আমাকে অজানা একটি স্থানে নিয়ে যায়। এটি ছিল একটি জানালাবিহীন অন্ধকার ঘর, যেখানে প্রায় দুই মাস আমাকে বন্দি রাখা হয় এবং খাদ্য ও আলো থেকে বঞ্চিত করে প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।
পরবর্তীতে আমাকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ক্যামেরা ও আলো ছিল। সেখানে সাঈদী হুজুরের- বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করতে চাওয়া হয়।
আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিই যে, আমার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে সাঈদী হুজুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং আমি প্রকৃত হত্যাকারীদের চিনি এবং তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত আছি।
কিন্তু আমি তাদের কথা মত সাঈদী হুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায়, তারা আমাকে দিনের পর দিন বৈদ্যুতিক শক দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। আমার শরীরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তারা বৈদ্যুতিক শক দেয়নি (বিশেষ করে আমার গোপনাঙ্গে তারা বেশি শক দেয়)।
এরপর তারা আমাকে কোটি টাকা ও একটি বাড়ি দেওয়ার প্রলোভনের মাধ্যমে আমার মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমি তাতেও রাজি না হওয়ায়, আমাকে প্রায় দুই মাস ঐ গোপন জায়গায় আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
তাদের চরম নির্যাতনের মুখে আমি অসুস্থ ও অজ্ঞান হয়ে পড়লে, আমাকে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়া হত।
আমার জ্ঞান ফিরে এলে, আবার তারা আমাকে ঐ গোপন স্থানে নিয়ে যেত। নিয়ে গিয়ে আবারো পূর্বের ন্যায় তারা আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতো।
এরপর একদিন আমাকে চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে তোলা হয় এবং কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রার পর যখন গাড়ি থামে। তখন আমি বাথরুমে যাওয়ার কথা বললে, তারা আমার চোখ খুলে দেয়। তখন দেখতে পাই আমাকে সীমান্ত এলাকায় আনা হয়েছে।
সেখান থেকে বিজিবির সহায়তায় আমাকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত বৈকারী বাজার সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফ আমাকে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই নির্মমভাবে মারধর করে, আমাকে হাত বেঁধে নির্যাতন করে। পরে তারা আমাকে বশিরহাট নিয়ে যায়। বশিরহাট সাবজেলে ২২ দিন রাখার পর সেখান থেকে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় এবং সেখানে আমাকে মোট ৫ বছর আটক রাখে।
পরে জানতে পারি, দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে আমার থাকার বিষয়টি জনাব মাসুদ সাঈদী জানতে পারেন এবং আমার ছেলেকে ভারত পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর তারই উদ্যোগে এবং মানবাধিকার সংস্থা ও ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সহায়তায় আমি কারাগার থেকে মুক্ত হতে সক্ষম হই।
কারাগারে থাকার সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আমার সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করে এবং আমার নির্যাতনের বিবরণ নথিভুক্ত করে।
দেশে ফিরে এলেও আমি পিরোজপুরের নিজ গ্রামে নিরাপত্তার কারণে যেতে পারিনি, বরং আত্মগোপনে নিজ জেলার বাইরে অবস্থান করি।
আমি আমার ছেলে-মেয়ের মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর জানতে পারি যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে আমাকে অপহরণের পর আমার আইনজীবীগণ ট্রাইব্যুনালের বিচারকগণের নিকট তাৎক্ষণিকভাবে আমার অপহরণের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারকগণ, তৎকালীন চিফ প্রসিকিউটর, শাহবাগ থানার ওসি, রমনা জোনের ডিসি ও অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সিদ্ধান্ত দেন যে, আমাকে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণ করা হয়নি। অথচ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা ছিল। বিশেষ করে আমাকে যেখান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল সেই গেটের সামনেই দুটি সিসি ক্যামেরা ছিল। সেই ক্যামেরা দুটিসহ স্থাপিত সিসি টিভি ক্যামেরায় পুরো বিষয়টি রেকর্ড হওয়ার কথা।
আমার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি স্বত্বেও ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিম সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে বা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। সেটি না করে জনাব নাসিম আমার বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করার দায়ে আমার আইনজীবীদের বিরুদ্ধে উল্টা আদালত অবমাননার অভিযোগ আনায়ন করেন।
আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমি নিজ চোখে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার ভাইকে হত্যার ঘটনা দেখেছি। সেখানে সাঈদী হুজুর ছিলেন না। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়ায় এবং সত্য সাক্ষী দিতে ট্রাইবুনালে আসার কারণে আমাকে গুম, অপহরণ, নির্যাতন ও প্রায় পাঁচ বছর ভারতে অবৈধভাবে কারাবন্দি করে রাখার হয়।
তার বিরুদ্ধে করা মামলা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো। তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ রাখা এবং শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কারাগারে তাকে হত্যা করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।
সুখরঞ্জন বালি বলেন, আমাকে করা গুম, অপহরণ, শারীরিক মানসিক নির্যাতন ও আমাকে জোর করে ভারতে পাচারের ঘটনা-সবই ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। আমাকে অপহরণ করে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আমার মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে আর এর সবই ছিল একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।
আমি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাকে করা অপহরণ, গুম এবং ৫ বছর অবৈধভাবে কারাবন্দি রাখাসহ আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়ের আমি বিচার চাই।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সাথে ঘোষণা করছে যে, রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি ফ্যান ও সকল অপো রেনো-প্রেমীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা, বহুল প্রতীক্ষিত ‘নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি কনটেস্ট’ শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা কেবল চ্যালেঞ্জ নয়; বরং একইসাথে, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে উঠে আসা রাতের সৌন্দর্য গভীরভাবে উপলব্ধির এক আমন্ত্রণ।
শহরের ঝলমলে আলো থেকে শুরু করে মধ্যরাতের উদযাপন, তারকাময় আকাশের নিচে ধারণ করা পোর্ট্রেট থেকে শুরু করে অন্ধকার রাস্তায় ফিসফিসিয়ে বলা গল্প – রাতের অনন্য ভঙ্গিকে নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করতে এখানে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। শহরের প্রাণবন্ত দৃশ্য, বিয়ে ও রাস্তায় আড্ডার আনন্দ, সন্ধ্যার পর পোর্ট্রেটের সৌন্দর্য, অন্ধকারে গতিশীলতার শক্তি, রাতের প্রাকৃতিক শোভা এবং অন্ধকারে স্থাপত্যের চিরন্তন মহিমা – এরকম বিভিন্ন থিমে প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হবে। প্রতিটি ছবি অবশ্যই অপো স্মার্টফোনে ধারণ করা মৌলিক সৃষ্টি হতে হবে। শিল্পকৌশল বাড়াতে সীমিত পরিসরে এডিটিং অনুমোদিত থাকলেও, খুব বেশি পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়; যেন প্রতিটি সাবমিশনেই মৌলিকত্ব অটুট থাকে।
প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট, চলবে আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত; এরপর আগামী ৩১ আগস্ট বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সৃজনশীলতার মানদণ্ডে সেরা কাজগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। এতে গ্র্যান্ড উইনার একটি একদম নতুন অপো রেনো স্মার্টফোন জিতবেন, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পাবেন একটি অপো এনকো এয়ার৪ প্রো। তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবেন এক্সক্লুসিভ অপো টি-শার্ট ও ফ্রেমড ফটো স্বীকৃতি। চতুর্থ থেকে বিশতম স্থান অধিকারী প্রতিযোগীরা প্রত্যেকে তাদের বিজয়ী ছবির ফ্রেমড ফটোর মাধ্যমে স্বীকৃত হবেন।
এই প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে রয়েছে অপো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি, যা এআই-চালিত ফটোগ্রাফি ও অসাধারণ নাইট ইমেজিংয়ের মাধ্যমে ক্রিয়েটরদের আরও সক্ষম করে তোলে। এর এআই লো লাইট ফটোগ্রাফি এমনকি সবচেয়ে কম আলোতেও প্রতিটি ডিটেইল ও ইমোশন নিখুঁতভাবে ধারণ করতে সক্ষম। এর ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেম এবং এআই লাইভফটো ২.০, এআই ইরেজার ও এআই রিফ্লেকশন রিমুভারের মতো অত্যাধুনিক এআই ফিচার প্রতিটি ফ্রেমকেই শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করে; পাশাপাশি, এর এআই এডিটর ২.০ মাত্র এক ট্যাপে সহজ ও সাবলীল এডিটের সুযোগ করে দেয়। রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজির প্রতিটি ফিচার রাতের ফটোগ্রাফিকে অসীম সম্ভাবনার ক্যানভাসে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে অপোর প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “অপোতে আমরা বিশ্বাস করি, ফটোগ্রাফি কেবল ছবি তোলার বিষয় নয়; এটি আবেগ, স্মৃতি ও শিল্প ধারণের মাধ্যম। রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি আমাদের ব্যবহারকারীদের রাতের অন্ধকারেও নিজেকে প্রকাশের সুযোগ দেয়। ‘নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি কনটেস্ট’ সৃজনশীলতার প্রতি একটি শ্রদ্ধা, যেখানে প্রতিটি রাতকে মাস্টারপিস করে তুলতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।”
এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির সাথে শিল্পের সমন্বয় অব্যাহত রাখলো অপো; যেখানে রাতের অসামান্য সৌন্দর্যের অনন্য সব গল্প খুঁজে বের করা, তৈরি করা বা শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সকল ব্যবহারকারীকে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে।
এই প্রতিযোগিতা এবং অপো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ facebook.com/OPPOBangladesh বা www.oppo.com/bd ভিজিট করুন
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিষ পানে তানজু আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরির বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানজু আক্তার উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের মধ্যম করলডেঙ্গা গ্রামের প্রবাসী মো.নুরুন্নবীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, তানজু আক্তারের স্বামী মো.নুরুন্নবী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই রয়েছেন। রাতে তানজুকে প্রবাস থেকে নুরুন্নবী মুঠো ফোনে না পেয়ে, পাশের বাড়ির এক বয়স্ক মহিলাকে মুঠো ফোনে জানান তার স্ত্রী কল ধরছে না, ঘরে গিয়ে একটু খবর নিতে। ওই মহিলাসহ প্রতিবেশীরা তানজুকে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেন। এরপর তানজু বিষ পান করেছে জানালে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫’ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে বিজিবি সদর দপ্তর, পিলখানায় ‘বিজিবির মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সকালে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের শহীদ ক্যাপ্টেন আশরাফ হল সংলগ্ন পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করে এ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।
‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এর এই প্রতিপাদ্যের কথা উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমরা ঐতিহ্যগতভাবে মাছে ভাতে বাঙালি। আমাদের আমিষের চাহিদার ৬০ শতাংশ মাছ থেকে আসে। মাছের আমিষ অন্য যেকোনো প্রাণীজ আমিষের চেয়ে অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। শুধু আমিষের ঘাটতি পূরণই নয়, মাছ চাষ আয়বর্ধক কর্মসংস্থানেরও একটি অন্যতম উৎস। বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবির প্রতিটি স্থাপনার পুকুর-জলাশয় সংস্কার করে সেখানে মাছ চাষের আহ্বান জানান। এছাড়াও, বিজিবি’র প্রতিটি সদস্যকে দেশের সকল মহৎ কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখারও আহবান জানান। পরিশেষে, বিজিবি মহাপরিচালক আমাদের ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে দেশি মাছ চাষ করে আমিষের ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে মেধাসম্পন্ন জাতিনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ সফল করার আহ্বান জানান।