সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

৭ দিনের রিমান্ডে শাহরিয়ার কবির, শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:৫৩

পৃথক মামলায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল হক বাবুকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত থেকে জানা যায়, রমনা মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ।

সকালে তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক মো. পায়েল হোসেন সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুজনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ফজলু নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর ভাষানটেক থানার মামলায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।

সকালে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. সাহিদুল বিশ্বাস সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

গতকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা থেকে একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। তারা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যেতে চেয়েছিলেন বলে জানায় লোকজন। এরপর রাতে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহরিয়ার কবিরকে।

বিষয়:

সারদায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আরও ৫৮ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি

সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেডে পুলিশ সদস্যরা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১৭:৩২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সারদা পুলিশ একাডেমির আরও ৫৮ জন ক্যাডেট উপপরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার এ তথ্য জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এর আগে গত ২ অক্টোবর প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে একই ব্যাচের ২৫২ জন শিক্ষানবিশ এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তখন প্রশিক্ষণার্থীদের স্থায়ী ঠিকানায় দেওয়া চিঠিতে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ হিসেবে জানানো হয়, তারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।

সেই সময় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ছাড়াও এর পেছনে আরও কারণ রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে পুলিশ সদর দপ্তর এই ব্যাচের ৮০১ জন শিক্ষানবিশ এসআইয়ের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একটি গোয়েন্দা সংস্থা এই তদন্ত করে।

জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। আজ ৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল।

গত ২৫ অক্টোবর রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রশিক্ষণরত ৫৯ জন উপ-পরিদর্শককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শো-কজ) দেয় কর্তৃপক্ষ।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের ক্রমবর্ধমান দাবির মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত সারদা পুলিশ একাডেমি বাংলাদেশ পুলিশে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।

এই একাডেমি আইন সমুন্নত রাখা এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তা তৈরির জন্য দায়বদ্ধ।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছয় সংস্কার কমিশন প্রধানের বৈঠক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার ঢাকায় তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে কমিশন প্রধানরা সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। তারা জানান সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।

বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান চিারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দূর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ অংশগ্রহণ করেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে বলেন, তারা সংস্কার চান। সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চান। আর সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে কমিশনের প্রধান করে ছয় কমিশন গঠন করা হয়। গত মাস থেকে কমিশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।


বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু ৩১ জানুয়ারি, দ্বিতীয় ৭ ফেব্রুয়ারি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমা ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

তিনি বলেন, ‘পূর্বের ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ইজতেমার জন্য দুইটি স্লট নির্ধারণ করা হয়েছে। গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে আগামী ৩১ জানুয়ারি-২ ফেব্রুয়ারি এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে।’

উপদেষ্টা বলেন, তাবলীগ জামায়াতের আলেমদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে আবার আলোচনা হবে। আমরা আলেমদের মধ্যে কোনো বিভেদ চাই না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সভায় বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ, মাঠ হস্তান্তর, মাঠ প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক কার্যক্রম তদারকি সংক্রান্ত কমিটি গঠন, বিদেশি মেহমানদের ভিসা প্রদান, ভিভিআইপিদের সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সার্বিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, কন্ট্রোল রুম স্থাপন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, মুসলি¬দের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেন-বাস সার্ভিস, পল্টুন ও ভাসমান ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়াও জরুরি দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মুসল্লিদের প্রাথমিক ও জরুরি চিকিৎসা প্রদান, অস্থায়ী দোকানপাট ব্যবস্থাপনা, বস্তি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ইজতেমাস্থলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রয় মনিটরিং, মাইক সম্প্রসারণ, ইজতেমাস্থলে যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণকে অবহিতকরণ, সিনেমার অশ্লীল পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ, আখেরী মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ, টঙ্গীতে অনুষ্ঠেয় ফলোআপ সভার তারিখ নির্ধারণ, বিশ্ব ইজতেমায় নামাজ পড়ানোসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ, মাঠ প্রস্তুতিকরণ ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ (অব.), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন সহ সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


অক্টোবরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২২ শতাংশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সদ্যসমাপ্ত অক্টোবর মাসে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রায় ২.৪০ বিলিয়ন বা ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত বছরের একই মাসে এসেছিল ১.৯৭ বিলিয়ন বা ১৯৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে একক মাস হিসেবে অক্টোবরে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে ৪৩ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, অক্টোবরের শেষ দিন অথাৎ ৩১ তারিখ এক দিনেই ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। আর পুরো মাসজুড়ে পাঠিয়েছেন ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। সে হিসাবে অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত দুটি কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। প্রথমত, আমদানি বিলের আন্ডার-ইনভয়েসিং উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। আগে এ প্রক্রিয়ায় বড় অঙ্কের অর্থ সরিয়ে নেওয়া হলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে অর্থপাচার অনেকটা কমেছে। ফলে হুন্ডিতে ডলারের চাহিদা কমে সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে বেশি ডলার আসতে শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, অক্টোবর মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭২ কোটি ৬১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৪ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

তবে এই সময়ে ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশি খাতের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮.৯৪ বিলিয়ন বা ৮৯৪ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে (চার মাসে) দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬.৮৮ বিলিয়ন বা ৬৮৮ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮২ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। সে হিসেবে বছরের ব্যবধানে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে দেশে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ২৪ হাজার ৭২০ কোটি টাকা বা ২৯.৯৫ শতাংশ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং সদ্য সমাপ্ত অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহের ঊর্ধ্বগতির ধারা বজায় রয়েছে সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসেও। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ছাড়া প্রত্যেক মাসেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। দেশ যখন বেসরকারি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি, সার এবং পণ্য ইত্যাদি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে রয়েছে, ঠিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো দিক বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা। গত ৩০ অক্টোবর শেষে বিপিএম৬ পদ্ধতিতেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ১৯.৮৭ বিলিয়ন ডলারে রয়েছে, এটি বৈদেশিক ঋণের নিশ্চয়তা বাড়াবে বলে মনে করেন তারা।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এসেছে। এটি এক অর্থবছরে এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।


৬ মাসে বিদেশে গেছেন ৫ লাখ কর্মী, সর্বোচ্চ ঢাকা থেকে

রংপুর বিভাগ থেকে সবচেয়ে কম অভিবাসী
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ নভেম্বর, ২০২৪ ০০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

চল‌তি বছ‌রের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) পাঁচ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। এসব কর্মীদের ম‌ধ্যে ঢাকা জেলার এক লাখ ২১ হাজার ৫২০ জন অভিবাসী র‌য়ে‌ছেন। গতকাল রোববার ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের পক্ষ থে‌কে এই তথ‌্য জানানো হ‌য়ে‌ছে। সেখানে বলা হয়, অ্যাপের অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ‌্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অভিবাসনে গতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে ৫ লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার অভিবাসী কর্মী সৌদি আরবকে তাদের পছন্দের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সৌদি আরব বর্তমানে বেশিরভাগ অভিবাসী জনসংখ্যার প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে।

সৌদি নীতিনির্ধারকদের স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার কারণে সেখানে দক্ষ এবং অদক্ষ উভয় ধরনের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে সৌদি আরবকে একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্যে পরিণত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মালয়েশিয়া প্রায় ৯৩ হাজার কর্মরত অভিবাসী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কাতার তৃতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে এই সময়ে ৩৯ হাজার ৫১৭ জন অভিবাসী কর্মী কাজের জন্য গেছেন।

‘আমি প্রবাসীর’ প্রতিবেদনে এসব অভিবাসী কর্মীদের কাজের ধরন সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হ‌য়ে‌ছে, প্রায় ৮০ শতাংশ অভিবাসী কর্মী ‘সাধারণ’ শ্রেণিতে পড়ে, সংখ্যায় যা এক লাখ ৫০ হাজারের মতো। সাধারণ শ্রেণিতে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কাজ অন্তর্ভুক্ত।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নির্মাণ কাজ; যেখানে ৬৩ হাজার ৪৬৯ জন অভিবাসী কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ৩৩ হাজার ৭৪৮ জন কর্মী নিয়ে কারখানার কাজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনের প্রথমার্ধে আরও বলা হয়েছে, মোট অভিবাসী শ্রমিকের ১০.৪ শতাংশ দক্ষ, যার মধ্যে ৩.২ শতাংশ দক্ষ পেশাজীবী, যেমন- সফটওয়্যার ডেভেলপার। বাকি ৭ শতাংশ অদক্ষ অভিবাসী। অদক্ষ থেকে দক্ষ অভিবাসনের এই পরিবর্তন বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।

প্রতি‌বেদ‌নে আরও বলা হ‌য়ে‌ছে, প্রতি বছর অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে, তবে এই শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ কম রয়েছে। এই ৬ মাসের সময়কালে মোট শ্রমশক্তির মাত্র ৬ শতাংশ নারী। এর মধ্যে বেশিরভাগই গৃহকর্মী, যার সংখ্যা ১৩ হাজার ১৯০।

জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের অভিবাসন প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা এক লাখ ২১ হাজার ৫২০ অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৯১ হাজার ৫৩০ জন অভিবাসী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। খুলনা ও রাজশাহী থেকে যথাক্রমে ৩৭ হাজার ২৯০ ও ৩৫ হাজার ৬৬০ অভিবাসী কর্মী এবং ময়মনসিংহ থেকে ২৬ হাজার ১০ জন কর্মী বিদেশ গিয়েছে। সিলেট থেকে অভিবাসী হয়েছে ১৭ হাজার ৩৮০ জন।

রংপুর বিভাগ থেকে সবচেয়ে কম অভিবাসী

এই সময়কালে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৭৪টি ব্যক্তিগত ভিসা ইস্যু করা হয়। গ্রুপ ভিসার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ২২৩ এবং ২৪ হাজার ৬৩৮টি, ভিসা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। পূর্ববর্তী মাসগুলোর তুলনায় স্বয়ংক্রিয় বা ওয়ান স্টপ ভিসার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। সে সময় এ সংখ্যা মোট ভিসার ১ শতাংশেরও কম ছিল।

প্রতি‌বেদ‌নে আরও বলা হ‌য়ে‌ছে, চল‌তি বছরের প্রথমার্ধের অভিবাসন পরিস্থিতি ইতিবাচক ছিল। ইতালিতে ২০ হাজার নতুন ভিসা অনুমোদনের খবর এসেছে, যা ইউরোপীয় বাজার খোলার পথে একটি সম্ভাবনাময় অগ্রগতি।


বন্ধ হচ্ছে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভ্রমণ বা অন্য কাজে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিক সংখ্যক ট্রেনের টিকিট প্রয়োজন হলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টিকিট সংরক্ষণ করা যেত। সে ক্ষেত্রে ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হতো এবং সংরক্ষণ করা এসব টিকিটের ওপর ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হতো। তবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে এখন থেকে আর টিকিট সংরক্ষণ করা যাবে না।

গতকাল রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) মো. আনসার আলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিটি সহজ লিমিটেড (লিড পার্টনার) সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গত ২৯ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত টিকিট বিক্রয় ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো টিকিট সংরক্ষণ না রাখা।

২. রেলওয়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ব্যতীত কোনো টিকিট সংরক্ষণ না করা।

৩. রেলওয়ের সংরক্ষিত আসন-সংশ্লিষ্ট ডিসিওরা তত্ত্বাবধান করবেন।

৪. টিকিট সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলে বা অন্য কোনো প্রয়োজনে টিকিট সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা অবশ্যই লিখিত নির্দেশনার ভিত্তিতে কার্যকরী করতে হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ব্যতীত কোনো টিকিট সংরক্ষণ না রাখা এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিসিওদের দালিলিক বা লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত সংরক্ষিত আসনের টিকিট রিলিজ ও তা রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, পড়বে ঘন কুয়াশা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি গতকাল রোববার এই পূর্বাভাস দেয়।

অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত এ বৈঠক হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল আলম। পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে এ মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে।

মাসব্যাপী এই পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে সারা দেশে ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা এবং নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অন্যদিকে নভেম্বর মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টির শঙ্কা নেই। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানায় রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আগামীকাল সোমবার হালকা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া পরদিন মঙ্গলবার ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময় তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। এদিকে গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে আজ রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বাগেরহাটের মোংলায় ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


দ্রুত সময়ের মধ্যে আদানী গ্রুপের পেমেন্ট দেওয়া হবে: প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে রেমিটেন্স প্রবাহের গতি বেড়েছে। ফলে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো করতে পারছি। ভারতের আদানী গ্রুপের বকেয়া পেমেন্ট দেওয়ার গতি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেই সক্ষমতা সরকারের আছে।

রোববার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানী গ্রুপ টাকা পায় এটা সত্য। তাদের পেমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। আগের যে বিল বকেয়া আছে সেটার জন্য মূলত দায়ী পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল দেনা রেখে গেছেন।

আদানী গ্রুপকে গত মাসে আমরা ৯৭ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করা হয়েছে। যেটা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুন। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের রিজার্ভ বাড়া শুরু করেছে। আন্তজার্তিক পেমেন্টগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে হাত না দিয়েই করতে পারছি।

তিনি বলেন, পেমেন্ট ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাকি আছে। সেটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দিতে পারবো।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৬ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে টিআইবি নির্বাহী পরিচালকের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার টাকা পাচারের এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। কত টাকা পাচার হয়েছে তা বের করতে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।


বকেয়া না পেলে ৭ নভেম্বর থেকে আদানির বিদ্যুৎ বন্ধ

আদানি যদি সত্যিই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমরা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত: ফাওজুল কবির খান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের বকেয়া নিষ্পত্তির সুরাহা না হলে আদানি পাওয়ার আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে বলে খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় কয়লাভিত্তিক ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৪০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছিল। বকেয়া না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিটি।

বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য ৩১ অক্টোবর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র (এলসি) পরিশোধ করতে বলেছিল আদানি পাওয়ার। চুক্তি অনুযায়ী আদানিকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করার কথা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। তবে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকটি অপারগতা প্রকাশ করায় সেই অর্থ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা পাঠাতে চেয়েছিলেন বলে সূত্রের বরাতে লিখেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে তা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় আদানি পাওয়ার তাতে সম্মতি দেয়নি।

এ পরিস্থিতিতে আদানি পাওয়ার একটি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের চলমান লোড শেডিং আরও বেড়েছে। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়েছে ভারতীয় ওই কোম্পানি। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা ১৪৯৬ মেগাওয়াট। সক্ষমতার বিচারে এরপর আছে পায়রা (১২৪৪ মেগাওয়াট), রামপাল (১২৩৪ মেগাওয়াট) ও এসএস পাওয়ার ওয়ান (১২২৪ মেগাওয়াট) কেন্দ্র।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, কয়লা সংকটের কারণে রামপাল ও এসএস পাওয়ার ওয়ান সক্ষমতার অর্ধেকেরও কম উৎপাদন করছে। শিল্প খাতের সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, সময়মতো বিল না পেয়ে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি কেনা কমিয়ে দিয়েছে। ঋণ পরিশোধে ধীরগতির কারণে বকেয়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

অক্টোবরে আদানি পাওয়ারকে প্রায় ৯ কোটি ডলার পরিশোধের কথা বলা হচ্ছে, যেখানে আগের মাসগুলোতে ৯-১০ কোটি ডলারের বিলের বিপরীতে ২-৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হতো। ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা কয়লার দাম ধরে আদানি পাওয়ারের ঝাড়খন্ড কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে ১০-১২ টাকায়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আদানি টাইমস অব ইন্ডিয়ার কাছে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে কোম্পানিটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা অক্টোবর মাসে ওদেরকে (আদানি পাওয়ার) প্রায় ৯৮ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি; সেপ্টেম্বরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া তাদের জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ডলারের এলসি করা হয়েছে। তার পরও তাদের এমন আচরণ খুব আশ্চর্যজনক, বিস্ময়কর এবং দুঃখজনক।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদানি যদি সত্যিই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমরা এটা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছি। গ্রাহকরা যাতে ভোগান্তির মধ্যে না পড়ে, সে জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, বিল পরিশোধে বিলম্ব, বিশেষ করে এ বিষয়ে ‘স্পষ্টতার অভাব’ ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিকে চরম পদক্ষেপ নিতে ‘প্রভাবিত’ করেছে। কারণ আদানি পাওয়ারকেও ঋণদাতাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক সফলতা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ ওই কেন্দ্রের একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশ এবং ৮০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের মধ্যে একটিকে অলস ফেলে রাখতে হচ্ছে। মাসে ৯-১০ কোটি ডলারের বিল হলে বছরে ১১০ কোটি আয় করার সুযোগ আছে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই চাহিদা ও অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে নজর দিয়েছে আদানি। বিহারের লখিসরাই সাব-স্টেশনের মাধ্যমে স্থানীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে বলা হয়েছে তাদের।


দেশে পরিবর্তন আনতে তরুণদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের মনস্থির করার ও স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষ করে তরুণদের তাদের মনস্থির করতে, চিন্তা করতে ও স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করি। স্বপ্ন হল পরিবর্তনের সূচনা। স্বপ্ন দেখলে পরিবর্তন হবে। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন তবে এটি কখনোই হবে না।’

তরুণদের দিকে ইঙ্গিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নিজেকে প্রশ্ন করুন আমি বিশ্বের জন্য কী করতে পারি? একবার আপনি কী করতে চান তা বুঝতে পারলে আপনি তা করতে পারবেন, কারণ আপনার সেই ক্ষমতা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম এখন সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। ‘তারা যথেষ্ট স্মার্ট হওয়ার কারণে নয় বরং তাদের হাতে প্রচুর প্রযুক্তি রয়েছে বলে।’

প্রযুক্তিকে আলাদিনের চেরাগ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনি যদি ছাত্র বিপ্লবের দিকে তাকান, তবে এটি প্রযুক্তির বিষয়। তারা একে অপরের সাথে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারত। তাদের কোন কমান্ড কাঠামো ছিল না।’

ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লব সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের তরুণ যুবকরা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়।

তিনি বলেন, তরুণরা রাজনীতিবিদ নয় এবং কোনো রাজনৈতিক স্বার্ধ হাসিলের চেষ্টাও তারা করছে না। তবে তারা নিজেদের জন্য একটি নতুন দেশ চায়।

বিশ্ব শান্তির কথা উল্লেখ করে, ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি বিজয়ী বলেন, বেশিরভাগ সময়, মানুষ শান্তির নামে একে অপরকে হত্যা করে।

তিনি বলেন, ‘...কিন্তু আমরা প্রতিদিন, আমাদের সমস্ত উচ্চারণ ও আমাদের সমস্ত দর্শনে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করি। আমরা শান্তি চাই। দেশের ভেতরে .শান্তি, সকল দেশের মধ্যে শান্তি এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তারঁ কাছে অত্যন্ত হাস্যকর মনে হয় যে বিশ্বের প্রতিটি সরকারেরই একটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আছে, যা আক্ষরিক অর্থে এটি যুদ্ধ মন্ত্রণালয়, কিন্তু কোনো শান্তি মন্ত্রণালয় নেই।

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘যদি আপনার লক্ষ্য শান্তি হয়, তাহলে আপনার কি শান্তি মন্ত্রণালয় থাকা উচিত নয়?’

আক্রমণের বিরুদ্ধে জনগণকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে- এটি পর্যবেক্ষণ করে অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের সরকারগুলোতে শান্তি মন্ত্রণালয় ও যুদ্ধ মন্ত্রণালয় উভয় মন্ত্রণালয়ই রাখার ওপর জোর দেন।

তিনি প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেসহ বৈদেশিক সম্পর্কে শান্তি অ্যাটাশে প্রবর্তনের পরামর্শ দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে এটি আত্ম-ধ্বংসাত্মক গ্রহ। কেননা ‘আমরা শুধুমাত্র নিজেদের হত্যা করার জন্য প্রস্তুত সবকিছু করেছি।’

একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মানুষ গ্রহ ধ্বংস করতে পরিবেশ ধ্বংস করছে।

'প্রতিদিন মানুষ গ্রহকে ধ্বংস করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ভুল সভ্যতা তৈরি করেছি – আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তার বক্তব্যে এনডিসি ও এএফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সাফল্য কামনা করেন।


ইসিতে আইন অনুযায়ী সৎ ও দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন অনুযায়ী সৎ, নির্ভীক ও দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সচিব বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সৎ, নির্ভীক ও দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে। আইনে তাই বলা হয়েছে। আমি সার্চ কমিটির মেম্বার নই। আমরা কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেব।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকে কমিটির মিটিং হবে এবং মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেওয়া হবে। সার্চ কমিটি তাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করবে। অন্যান্য কাজগুলো কীভাবে হবে আজ সেটি তারা নির্ধারণ করবেন।’

কবে নাগাদ নির্বাচন কমিশন গঠন হবে- জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আইন অনুযায়ী এই কমিটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশ দেবে। এরপর রাষ্ট্রপতি কবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, সেটা তো আমরা বলতে পারব না।’

গত ২৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের নির্বাচনি কাঠামোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন তদারকির জন্য ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) নুরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম-কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মোবাশ্বের মোমেন, রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের নির্বাহী পরিচালক মো. আবরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জীনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম।

আইন অনুযায়ী, সার্চ কমিটি একবার গঠিত হলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি সদস্যপদের জন্য দুজন করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করতে ১৫ কার্যদিবসের বেশি সময় লাগে না। এরপর রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনারকে বাছাই করে ইসি গঠন করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করা অন্য কমিশনাররা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব আহসান হাবীব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মোহাম্মদ আলমগীর ও আনিছুর রহমান। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত এই কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি বহুল বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।


বর্তমান সময় পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে: নাহিদ ইসলাম 

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকার একটা পরিবর্তনকালীন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়টা সফলভাবে পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে এবং সম্ভাবনার নতুন নতুন দরজা খুলে যাবে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে দেশ পিঁছিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এসময় তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার আহ্বানও জানান।

আজ রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে মোবাইল অপারেটর রবি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকে এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আন্দোলন শুরু হয়েছিল কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে, তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য।’

যুব সমাজের আগ্রহ ও প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইল কলরেট কমানো এবং ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

বাংলাদেশে এখন কাজ করার উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার জনসমর্থিত তাই দেশ ও দেশের মানুষের উপকার হয় এমন যে কোনো কাজ করতে আমরা আগ্রহী।’

টেলিকমিউনিকেশন খাতে উন্নতির জন্য সরকার কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গ্রামীনফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আগে টেলিযোগাযোগ খাতের কোন অফিসে গিয়ে কথা বলার মতো পরিবেশ ছিল না, কিন্তু বর্তমানে পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। এখন কথা বলা যাচ্ছে এবং ফিডব্যাকও পাওয়া যাচ্ছে এটা টেলিকমিউনিকেশন খাতের জন্য খুবই ইতিবাচক।’

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব শেঠী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে টেলিকমিউনিকেশন খাতে কমিশন বেইজড বিভিন্ন লেয়ার তৈরি হয়েছে, যার ফলে মোবাইল অপারেটররা মুনাফা বঞ্চিত হচ্ছে।’

বৈঠকে রবি আজিয়াটা পিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. শাহেদুল আলম, গ্রামীণফোনের নতুন চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


গণঅভ্যুত্থানে আহত ৭ বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ৭ বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেবে তুরস্ক। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তুর্কি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনের স‌ঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎকালে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ।

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের টেলিফোন সংলাপকালে এরদোয়ান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এর জন্য তুরস্কের একটি সরকারি প্রতিনিধিদল গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করে। এ সময় নির্বাচন ব্যবস্থা, আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে তুর্কি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহের বৈঠক হয়।


banner close