অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগদান করেছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। যেখানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগদানকারী বিশ্ব নেতাদের স্বাগত জানান সংস্থাটির মহাসচিব।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. ইউনূস ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বিরাজ সিং রূপন এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার সম্পর্কিত হাই কমিশনার ভলকার টুর্কসহ অন্যান্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে অধ্যাপক ইউনূস গতকাল সোমবার নিউইয়র্ক পৌঁছান। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে তিনি সংস্থাটির ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-সহ তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্য দুটি দল হলো— বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চত করেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, কমিশন মনে করেছে— এই তিনটি দল রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে পারে এবং তাদের ব্যাপারে বুধবার আমরা প্রত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেব। আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে দাবি-আপত্তির সময়সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে তথ্য পাওয়া যাবে, তা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্তভাবে সনদ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসির শর্ত অনুযায়ী এই তিনটি দলই কোয়ালিফাই করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১৪৩টি আবেদন পেয়েছিলাম। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ২২টি দলের ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছিলাম। তদন্ত থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, সে তথ্যের ধারাবাহিকতায় আমরা সাতটা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কথা বলেছি যে, না তারা কোয়ালিফাই করে না। একটা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে... বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি তাদের ব্যাপারে হাইকোর্টে দায়ের করা একটা অবেদনের রায় পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর বাকি যেগুলো আছে, সাতটা দলের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি যে, না তারা কোয়ালিফাই করেন না, মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করেন না। এর ধারাবাহিকতা পুনঃতদন্ত করে কমিশন যে সিদ্ধান্তে এসেছে, সেটা আমি বলছি যে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় এবং অংশগ্রহণে অতীত নির্বাচন সংক্রান্ত ধারাবাহিকতায় তিনটা দল প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হয়েছিল জাতীয় জনতা পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (শাহ জাহান সিরাজ) এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু পরবর্তী অধিকতর যাচাই বাছাইয়ে লক্ষ্য করা গেছে যে, তাদের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নাই। সেজন্য তিনটাকেও বাতিল করা হচ্ছে। আর যে দলগুলো ছিল তার মধ্যে থেকে আম জনতার দল, বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাষানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতার পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি এই আটটা দলের সঠিকতা না পাওয়ার জন্য নামঞ্জুর করা হয়েছে।’
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমরা তিনটা দলের সঠিকতা পেয়েছি এবং সে তিনটা দল হচ্ছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই তিনটা দলের ব্যাপারে নতুন প্রার্থিত নিবন্ধনের বিষয়ে কমিশন মনে করেছে যে এই তিনটা দল রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে পারে। তাদের ব্যাপারে আগামীকাল পত্রিকায় আমরা বিজ্ঞপ্তি দেব অভিমতের জন্য। এবং ১২ তারিখের ভেতরে আমরা এই অভিমতের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। এই নির্ধারিত সময় সময়ের মধ্যে যে তথ্য পাওয়া যাবে সেটা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকভাবে এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ইসি, তবে জাতীয় লীগ নিবন্ধন পাচ্ছে না। জাতীয় লীগের ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ইসি দলটি নিয়ে আবার তদন্ত করে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, পুনঃ তদন্ত করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের, ভোটে অংশগ্রহণ ও অতীত নির্বাচনসংক্রান্ত কার্যক্রমে জাতীয় লীগের ধারাবাহিকতা পাওয়া যায়নি।
কোনো রাজনৈতিক দলকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে হলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হয়। এখন ইসিতে নিবন্ধিত দল ৫৩টি। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত আছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল নিবন্ধনের আবেদন আহ্বান করার পর ১৪৩টি দল ইসিতে আবেদন করেছিল। প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ে ১২১টি আবেদন। ২২টি দলের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে ইসি। শেষ পর্যন্ত তিনটি দল নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টিকে আদালত নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ায় আদেশের কপির অপেক্ষায় রয়েছে ইসি।
প্রতীক হিসেবে পেল শাপলা কলি, হ্যান্ডশেক ও কাঁচি
এদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে যাওয়া নতুন তিনটি রাজনৈতিক দল ইসির প্রতীক পেয়েছে। দাবি-আপত্তি শেষে দলগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পেলে এই প্রতীকগুলো দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) কাঁচি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিকে শাপলা কলি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে প্রয়োজনীয় দলিলসহ এর কারণ উল্লেখপূর্বক ১২ নভেম্বরের মধ্যে সচিবের নিকট লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। তালিকা ঘোষণা অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পরে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিএনপি মহাসচিব লিখেন, এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন।
পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও লিখেছেন, মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সকল নেতা ও নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!
তিনি লিখেন, আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটি একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কী ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
পোস্টে মির্জা ফখরুল আরো লিখেন, আমার মেয়ে দুটির হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পড়ে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারারাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এ রকম গল্প আমাদের হাজার-হাজার নেতাকর্মীর আছে!
পরিশেষে তিনি লিখেন, আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দোয়া করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব ইনশাআল্লাহ! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ! আপনারা পাশে থাকেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ৫ আগস্টের পর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ চলছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাউজানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ১১টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কমিশন গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ কমিশন হয়ে যাবে। এটি হওয়ার পর এর সুযোগ সুবিধা বিস্তারিত জানানো হবে।
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি তদন্তে কাজ করছেন। তিনি (স্বরাষ্ট্র সচিব) ৪-৫টি দেশে চিঠি দিয়েছেন। অলরেডি দুয়েকটি দেশের বিশেষজ্ঞরা এসে তদন্ত করেছে এবং দেশের তদন্তকারী দলও তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হলে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে হাতিয়ার বা অস্ত্র চুরি হয়েছে কিনা, এ বিষয়ে আমরা তদন্তের পর জানতে পারব। এখনই তো বলা যাচ্ছে না যে চুরি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নিজেও এ ব্যাপারে তদন্ত করছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পুলিশের প্রতি আমার নির্দেশনা হলো নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর। কেউ নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আসন্ন নির্বাচনে বিগত সরকারের আমলে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছে, তাদের বেশির ভাগ কর্মকর্তাকে আমরা চেঞ্জ করব।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব ফ্যাসিস্ট পুলিশ অফিসাররা ৫ আগস্টের পর পালিয়ে গেছে, তারা এখন অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনাদের (মিডিয়া) সহযোগিতা দরকার।
অবশেষে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের (আরপিও) অধ্যাদেশ জারি করল সরকার। এতে জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, ফেরারি আসামি ভোটে অযোগ্য, মিথ্যা তথ্য দিলে এমপি পদ বাতিল এমন এক গুচ্ছ নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। থাকছে ‘না’ ভোটও।
নির্বাচন কমিশনের এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুচ্ছেদ-২ সংশোধন করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সেনা বাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনী রাখা হয়েছে। এতে সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনকে আর আগের মতো বেগ পেতে হবে না। ২০০১ ও ২০০৮ সালের ভোটে এমন বিধান ছিল।
অনুচ্ছেদ-৮ সংশোধন করে ভোটকেন্দ্র (পোলিং স্টেশন) প্রস্তুতের ক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন অফিসারের হাতে রাখা হয়েছে। আগে এ ক্ষমতা ডিসির হাতে ছিল।
অনুচ্ছেদ ৯-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বরখাস্ত করতে পারবেন, তবে ইসিকে অবহিত করতে হবে।
অনুচ্ছেদ ১২-তে বলা হয়েছে, কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি ঘোষিত হলে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবে। তিনি আর প্রার্থী হতে পারবেন না।
এছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা অন্য কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকলে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন।
কোনো প্রতিষ্ঠানের কাযনির্বাহী পদকে ‘লাভজনক’ পদের সংজ্ঞাভুক্ত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কাযনির্বাহী পদে থেকে নির্বাচন করা যাবে না। হলফনামায় দেশে-বিদেশে আয়ের উৎস এবং সবশেষ বছরের রিটার্ন জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচিত হলে এবং তা প্রমাণিত হলে এমপি পদও বাতিল করতে পারবে ইসি।
অনুচ্ছেদ ১৩ সংশোধন করে জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ-১৯-এর সংশোধনীতে ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। কোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যদি একজন থাকে, তাহলে ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোটের বিধান থাকবে। না ভোট বেশি পড়লে পুনরায় নির্বাচন হবে। ফের একক প্রার্থী থাকলে তিনি নির্বাচিত হবেন।
অনুচ্ছেদ- ২০ এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
অনুচ্ছেদ ২৬ এর সংশোধনীতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ-২৭-এ আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং যোগ করা হয়েছে। প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও দেশের ভেতরে কয়েদিরা এ সুযোগ পাবেন।
অনুচ্ছেদ ৩৬ এ বলা হয়েছে, ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন।
এছাড়াও সমভোট পেলে লটারির পরিবর্তে পুন:ভোট হবে। প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ভোটার প্রতি ১০ টাকা, দলের ব্যয় দেখানো, অনুদানের অর্থের হিসাব ওয়েবসাইটে প্রকাশ, উপপুলিশ মহাপরিদর্শক পর্যন্ত বদলিতে ইসির অনুমোদনের বিধান আনা হয়েছে। আবার মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য, গুজব ও এআই অপব্যবহার রোধে প্রার্থী ও দলের বিষয়ে অপরাধ বিবেচনা শাস্তির বিধান আনা হয়েছে।
এদিকে নিবন্ধন স্থগিত হলে প্রতীক স্থগিত, অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলে ইসির হাতে ক্ষমতা, আচরণ বিধি প্রতিপালনে ইসি কর্মকর্তাদেরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ছয় মাসের দণ্ডের পাশাপাশি সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। দলের ক্ষেত্রেও জরিমানার বিধান আনা হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়। এরপর জোটের প্রতীকের সংশ্লিষ্ট ২০ অনুচ্ছেদে সংশোধন নিয়ে বিএনপি আপত্তি তুললেও জামায়াত ও এনসিপি সংশোধন বহাল রাখার দাবি তোলে।
শেষ পর্যন্ত ওই বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হলো। এর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও জোট মনোনীত প্রার্থী বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে পারবে না, নিজ দলের প্রতীকে ভোট দিতে হবে।
সংশোধিত আরপিও অধ্যাদেশে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যৌথভাবে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে সম্মত হয়, তবে কমিশন উক্ত প্রার্থীর দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে তার রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-সহ তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্য দুটি দল হলো— বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চত করেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, কমিশন মনে করেছে— এই তিনটি দল রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে পারে এবং তাদের ব্যাপারে বুধবার আমরা প্রত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেব। আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে দাবি-আপত্তির সময়সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে তথ্য পাওয়া যাবে, তা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্তভাবে সনদ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসির শর্ত অনুযায়ী এই তিনটি দলই কোয়ালিফাই করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১৪৩টি আবেদন পেয়েছিলাম। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ২২টি দলের ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছিলাম। তদন্ত থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, সে তথ্যের ধারাবাহিকতায় আমরা সাতটা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কথা বলেছি যে, না তারা কোয়ালিফাই করে না। একটা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে... বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি তাদের ব্যাপারে হাইকোর্টে দায়ের করা একটা অবেদনের রায় পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর বাকি যেগুলো আছে, সাতটা দলের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি যে, না তারা কোয়ালিফাই করেন না, মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করেন না। এর ধারাবাহিকতা পুনঃতদন্ত করে কমিশন যে সিদ্ধান্তে এসেছে, সেটা আমি বলছি যে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় এবং অংশগ্রহণে অতীত নির্বাচন সংক্রান্ত ধারাবাহিকতায় তিনটা দল প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হয়েছিল জাতীয় জনতা পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (শাহ জাহান সিরাজ) এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু পরবর্তী অধিকতর যাচাই বাছাইয়ে লক্ষ্য করা গেছে যে, তাদের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নাই। সেজন্য তিনটাকেও বাতিল করা হচ্ছে। আর যে দলগুলো ছিল তার মধ্যে থেকে আম জনতার দল, বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাষানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতার পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি এই আটটা দলের সঠিকতা না পাওয়ার জন্য নামঞ্জুর করা হয়েছে।’
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমরা তিনটা দলের সঠিকতা পেয়েছি এবং সে তিনটা দল হচ্ছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই তিনটা দলের ব্যাপারে নতুন প্রার্থিত নিবন্ধনের বিষয়ে কমিশন মনে করেছে যে এই তিনটা দল রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে পারে। তাদের ব্যাপারে আগামীকাল পত্রিকায় আমরা বিজ্ঞপ্তি দেব অভিমতের জন্য। এবং ১২ তারিখের ভেতরে আমরা এই অভিমতের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। এই নির্ধারিত সময় সময়ের মধ্যে যে তথ্য পাওয়া যাবে সেটা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকভাবে এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ইসি, তবে জাতীয় লীগ নিবন্ধন পাচ্ছে না। জাতীয় লীগের ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ইসি দলটি নিয়ে আবার তদন্ত করে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, পুনঃ তদন্ত করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের, ভোটে অংশগ্রহণ ও অতীত নির্বাচনসংক্রান্ত কার্যক্রমে জাতীয় লীগের ধারাবাহিকতা পাওয়া যায়নি।
কোনো রাজনৈতিক দলকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে হলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হয়। এখন ইসিতে নিবন্ধিত দল ৫৩টি। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত আছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল নিবন্ধনের আবেদন আহ্বান করার পর ১৪৩টি দল ইসিতে আবেদন করেছিল। প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ে ১২১টি আবেদন। ২২টি দলের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে ইসি। শেষ পর্যন্ত তিনটি দল নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টিকে আদালত নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ায় আদেশের কপির অপেক্ষায় রয়েছে ইসি।
প্রতীক হিসেবে পেল শাপলা কলি, হ্যান্ডশেক ও কাঁচি
এদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে যাওয়া নতুন তিনটি রাজনৈতিক দল ইসির প্রতীক পেয়েছে। দাবি-আপত্তি শেষে দলগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পেলে এই প্রতীকগুলো দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) কাঁচি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিকে শাপলা কলি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে প্রয়োজনীয় দলিলসহ এর কারণ উল্লেখপূর্বক ১২ নভেম্বরের মধ্যে সচিবের নিকট লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতিসংঘের বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন (কনফারেন্স অব পার্টিজ-কপ)-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব শুধু পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ না রেখে মহিলা ও শিশু, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে।
মঙ্গলবার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-৩০) অংশীজনের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা প্রায়শই শুধু পরিবেশের ক্ষতির দিকেই সীমাবদ্ধ থাকে। অথচ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতও এই পরিবর্তনের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন। কার্বন নিঃসরণে ধনী দেশগুলোর দায় রয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। অথচ ভুক্তভোগীর তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর।
উপদেষ্টা বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শুধু মানুষ নয়, প্রাণিকুলও বিপদে পড়ে। কৃষিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে, যা খাদ্যনিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
তিনি বলেন, ইতঃপূর্বে ধনী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর দেওয়া কথা রাখেনি। তারা নেট জিরো- এর কথা বলছে। তারা নেট জিরো নাম আনছে অথচ জিরোর আগে কীভাবে হয় নেট হয়? ধনী রাষ্ট্রগুলো কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে অথবা যেমন আছে সেভাবে রেখে গাছ লাগিয়ে বা টেকনোলজি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে দেশীয়ভাবে বা অঞ্চলভিত্তিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমাম উদ্দীন কবীর। ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-৩০)’ এর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এই অবস্থা বজায় থাকলে খুব ভালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব হবে।’
গতকাল সোমবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার উত্তর আবিরপাড়া গ্রামে ডরমিটরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ছোটখাটো কোনো ঘটনা বা কোনো বড় ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বারী, সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার পারভেজ, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আসিফ উল্লাহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকায় উপজেলা ডরমিটরি ভবন নির্মাণ করছে। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উপজেলা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণের জন্য ইছাপুরা গ্রামে নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেন।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত দল জোটগতভাবে ভোটে অংশগ্রহণ করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান রেখেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ২০২৫ (আরপিও) জারি করা হয়েছে।
সোমবার (০৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়-এ অধ্যাদেশের গেজেট জারি করেছে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একগুচ্ছ সংশোধন আনা হয়েছে আরপিও-তে।
গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়। এরপর জোটের প্রতীকের সংশ্লিষ্ট ২০ অনুচ্ছেদে সংশোধন নিয়ে বিএনপি আপত্তি তুললেও জামায়াত ও এনসিপি সংশোধন বহাল রাখার দাবি তোলে।
অবশেষে জোট করলেও ভোট করতে হবে স্ব স্ব দলের প্রতীকে-এমন বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হলো। এর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও জোট মনোনীত প্রার্থী বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবে না, নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে।
আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারির মধ্যে নির্বাচনী আইনের সব ধরনের সংস্কার কাজ শেষ হলো। এরইমধ্যে ভোটার তালিকা আইন সংশোধন, নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইন সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন, ভোটকেন্দ্র নীতিমালা, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষণ নীতিমালা, সাংবাদিক নীতিমালাসহ সব ধরনের আইন-বিধি সংস্কার করেছে ইসি। আরপিও সংশোধন হওয়ায় এর আলোকে দ্রুত দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা জারি করবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
আরপিও-এর অনুচ্ছেদ ২০ (প্রতীক বরাদ্দ) সংশোধন করে একটি বিধান যোগ করা হয়েছে, যা জোটবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোর একক প্রতীক বরাদ্দের সুযোগকে আরও স্পষ্ট ও বিস্তৃত করেছে।
জোটবদ্ধ দলের প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে সংশোধিত আরপিও-তে বলা হয়েছে, যদি দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী দিতে সম্মত হয়, তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আবেদন সাপেক্ষে সেই প্রার্থী যে দলের অন্তর্ভুক্ত, সেই দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকটি জোটবদ্ধভাবে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দিতে পারবে। এই আবেদনটি আর্টিকেল ১১ এর অধীনে তফসিল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে ইসির কাছে করতে হবে।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার তার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে।
গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে এই সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সভায় গণভোট কবে হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এবং জুলাই সনদে বর্ণিত প্রস্তাবের যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে—সেসব ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই—সেটাও রাজনৈতিক দলসহ সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আসিফ নজরুল জানান, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়। ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে—এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
তিন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর যৌথ সিদ্ধান্ত চায় সরকার
এদিকে গণভোট কবে হবে? গণভোটে বিষয়বস্তু কি হবে? জুলাই সনদে ভিন্নমত প্রসঙ্গে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে? এসব বিষয় নিয়েও ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মতামত ব্যক্ত করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আসিফ নজরুল বলেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থেকে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংশোধন আদেশ চূড়ান্তকরণ, এবং এতে উল্লিখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় উল্লেখ করা হয়, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও সংস্কারের কয়েকটি সুপারিশের বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া গণভোট কখন আয়োজন হবে এবং এর বিষয়বস্তু কি হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। সেজন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে অর্থাৎ গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে? গণভোটে বিষয়বস্তু কি হবে? জুলাই সনদ এর বর্ণিত ভিন্নমত প্রসঙ্গে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে? তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা মতামত ব্যক্ত করেন।
ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোন পথে এগুবো—গণতন্ত্রের পথে নাকি তার বাইরে—এটা এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে। গণতন্ত্র যেন আরও এগিয়ে যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
গতকাল সোমবার জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও ২০২৫-২০২৬ সালের ৪র্থ ধাপের আনসার কোম্পানি বা প্লাটুন সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে হলে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়—ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু চিফ ইলেকশন কমিশনার নই, একজন নাগরিকও। নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব এই নির্বাচনকে সফল করা।’
সিইসি বলেন, আনসার-ভিডিপি বাহিনী আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করবে। এই প্রশিক্ষণ হলো একটি বিনিয়োগ। প্রশিক্ষণ যত বাড়বে, দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস তত বাড়বে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য দিয়ে ‘এআই ব্যবহার করে ভুয়া খবর ছড়ানো সম্ভব। তাই যাচাই ছাড়া কোনো তথ্য শেয়ার করবেন না। আনসার সদস্যরা তৃণমূল পর্যায়ে এই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারেন।’
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে, যা ভুয়া তথ্য যাচাই ও প্রতিরোধে কাজ করবে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও ভোট দিতে পারবেন জানিয়ে সিইসি বলেন, এবার থেকে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও নিজেদের ভোট দিতে পারবেন। এজন্য নির্বাচন কমিশন ১৬ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোটিং এপ’ চালু করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রেশন করে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘যারা দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরাই ভোট দিতে পারেন না। এবার আমরা সেই সুযোগ নিশ্চিত করছি। ভোটের ব্যালট তাদের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে এবং নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ভোট দেওয়া যাবে।’
সিইসি আরও জানান, প্রবাসী ভোটার এবং আইনি হেফাজতে থাকা নাগরিকদের (জেলবন্দিদের) ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেও নির্বাচন কমিশন বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রশিক্ষিত আনসার-ভিডিপি সদস্যরা দায়িত্বশীলভাবে কর্তব্য পালন করে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহৃত হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ইনসিডেন্ট রিপোর্ট ও ছবি আপলোড করবেন, যা সংশ্লিষ্ট রেসপন্স টিম (সেনাবাহিনী, পুলিশ বা আনসার) সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এতে নির্বাচনী সমন্বয় আগের চেয়ে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সি তরুণ সদস্যরা মূল ভূমিকা রাখবে। তাদের সাহস, কর্মদক্ষতা ও দায়িত্ববোধ নির্বাচনী নিরাপত্তায় নতুন গতি আনবে। পুরো মোতায়েন প্রক্রিয়া হবে ডিজিটাল এভিআইএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে, যেখানে শতভাগ সদস্যের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক থাকবে। আগের মতো গ্রুপভিত্তিক মোতায়েনের প্রচলন চিরতরে বন্ধ করা হয়েছে, যা নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।
দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। মির্জা ফখরুল নিজে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যান্য আসনে প্রার্থী হলেন যারা তারা হলেন- ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক; ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান; ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়; ঢাকা-৪ তানভীর আহমেদ রবিন; ঢাকা-৫ নবী উল্লাহ নবী; ঢাকা-৫ ইশরাক হোসেন; ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস; ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব; ঢাকা-১৪ সানজিদা তুলি; ঢাকা-১৬ আমিনুল হক।
চট্টগ্রাম-১ নুরুল আমিন; চট্টগ্রাম-২ সরোয়ার আলমগীর; চট্টগ্রাম-৪ কাজী সালাউদ্দিন; চট্টগ্রাম-৫ মীর হেলাল উদ্দিন; চট্টগ্রাম-৭ হুম্মাম কাদের চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৮ এরশাদ উল্লাহ; চট্টগ্রাম-১০ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; চট্টগ্রাম-১২ এনামুল হক; চট্টগ্রাম-১৩ সরোয়ার জামাল নিজাম; চট্টগ্রাম-১৬ মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
কক্সবাজার-১ সালাহউদ্দিন আহমদ; কক্সবাজার-৩ লুৎফুর রহমান কাজল; কক্সবাজার-৪ শাহজাহান চৌধুরী; বান্দরবন- সাচিং প্রু; রাঙামাটি- দীপেন দেওয়ান; খাগড়াছড়ি- আবদুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া।
বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন; বরিশাল-২ সরদার সরসুদ্দিন আহমেদ সান্টু; বরিশাল-৪ মো. রাজীব আহসান; বরিশাল-৫ মো. মজিবুর রহমান সরোয়ার; বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান।
কুমিল্লা-১ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন; কুমিল্লা-৩ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ; কুমিল্লা-৪ মঞ্জুরুল আহসান মুলী; কুমিল্লা-৫ মো. জসিম উদ্দিন; কুমিল্লা-৬ মো. মনিরুল হক চৌধুরী; কুমিল্লা-৮ জাকারিয়া তাহের; কুমিল্লা-৯ মো. আবুল কালাম; কুমিল্লা-১০ মো. আব্দুল গফুর জুঁইয়া; কুমিল্লা-১১ মো. কামরুল হুদা।
নোয়াখালী-১ এ এম মাহবুব উদ্দিন; নোয়াখালী-২ জয়নাল আবেদীন ফারুক; নোয়াখালী-৩ মো. বরকত উল্লাহ বুলু; নোয়াখালী-৪ মো. শাহজাহান; নোয়াখালী-৫ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম; নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ মাহবুবের রহমান শামীম।
ময়মনসিংহ-১ সৈয়দ এমরান সালেহ; ময়মনসিংহ-২ মোতাহের হোসেন তালুকদার; ময়মনসিংহ-৩ এম ইকবাল হোসেইন; ময়মনসিংহ-৪ মো. আবু ওয়াহাব আখন্দ ওয়ালিদ; ময়মনসিংহ-৫ মোহাম্মদ জাকির হোসেন; ময়মনসিংহ-৬ মো. আখতারুল আলম; ময়মনসিংহ-৭ ডা. মো. মাহবুবুর রহমান; ময়মনসিংহ-৮ লুতফুল্লাহেল সাজেদ; ময়মনসিংহ-৯ ইয়াসের খাঁন চৌধুরী; ময়মনসিংহ-১১ ফকর উদ্দিন আহমেদ।
পঞ্চগড়-১ ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ অসির; পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ; ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; ঠাকুরগাঁও-৩ মো. জাহিদুর রহমান জাহিদ; দিনাজপুর-১ মো. মনজুরুল ইসলাম; দিনাজপুর-২ মো. সাদিক রিয়াজ; দিনাজপুর-৩ বেগম খালেদা জিয়া; দিনাজপুর-৪ মো. আকারুজ্জামান মিয়া; দিনাজপুর-৬ অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
নীলফামারী-২ এ এইচ মো. সাইফুল্লাহ রুবেল; নীলফামারী-৪ মো. আব্দুল গফুর সরকার; লালমনিরহাট - ১ মো. হাসান রাজিব প্রধান; লালমনিরহাট -৩ আসাদুল হাবিব দুলু; রংপুর- ১ মো. মোকাররম হোসেন সুজন; রংপুর-২ মোহাম্মদ আলী সরকার; রংপুর-৩ মো. সামসুজ্জামান সামু; রংপুর -৪ মোহাম্মদ এমদাদুল হক ভরসা; রংপুর-৫ মো. গোলাম রব্বানী; রংপুর-৬ মো. সাইফুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম-১ সাইফুল ইসলাম রানা; কুড়িগ্রাম- ২ মো. সোহেল হোসেন কায়কোবা; কুড়িগ্রাম-৩ তাজভীর উল ইসলাম; কুড়িগ্রাম-৪ মো. আজিজুর রহমান; গাইবান্ধা-১ খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী; গাইবান্ধা-২ মো. আনিসুজ্জামান খান বাবু; গাইবান্ধা-৩ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক; গাইবান্ধা -৪ মোহাম্মদ শামীম কায়সার; গাইবান্ধা-৫ মো. ফারুক আলম সরকার।
জয়পুরহাট-১ মো. মাসুদ রানা প্রধান; জয়পুরহাট-২ আব্দুল বারী; বগুড়া-১ কাজী রফিকুল ইসলাম; বগুড়া-৩ আব্দুল মুহিত তালুকদার; বগুড়া-৪ মো. মোশারফ হোসেন; বগুড়া-৫ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ; বগুড়া-৬ তারেক রহমান; বগুড়া-৭ বেগম খালেদা জিয়া; চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ মো. সাজাহান মিয়া; চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. আমিনুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জ -৩ মো. হারুনর রশিদ।
নওগাঁ-১ মো. মোস্তাফিজুর রহমান; নওগাঁ-২ মো. সামসুজোহা খান; নওগাঁ-৩ মো. ফজলে হুদা বাবুল; নওগাঁ-৪ ইকরামুল বারী টিপু; নওগাঁ-৬ শেখ মো. রেজাউল ইসলাম; রাজশাহী-১ মো. শরীফ উদ্দীন; রাজশাহী-২ মো. মিজানুর রহমান মিনু; রাজশাহী-৩ মোহাম্মদ শফিকুল হক মিলন; রাজশাহী-৪ ডি.এম.ডি. জিয়াউর রহমান; রাজশাহী -৫ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম; রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চাঁদ।
নাটোর-১ ফারজানা শারমিন; নাটোর-২ রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু; নাটোর-৪ মো. আব্দুল আজিজ; সিরাজগঞ্জ -২ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু; সিরাজগঞ্জ-৩ ভিপি আয়নুল হক; সিরাজগঞ্জ-৪ এম আকবর আলী; সিরাজগঞ্জ-৫ মো. আমিরুল ইসলাম খান; সিরাজগঞ্জ-৬ এম এ মুহিত; পাবনা-২ এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব; পাবনা-৩ মো. হাসান জাফির তুহিন; পাবনা-৪ হাবিবুর রহমান হাবিব; পাবনা-৫ মো. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
মেহেরপুর-১ মাসুদ অরুন; মেহেরপুর-২ মো. আমজাদ হোসেন; কুষ্টিয়া -১ রেজা আহম্মেদ; কুষ্টিয়া-২ রাগীব রউফ চৌধুরী; কুষ্টিয়া-৩ মো. জাকির হোসেন সরকার; কুষ্টিয়া-৪ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি; চুয়াডাঙ্গা-১ মো. শরীফুজ্জামান; চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদ হাসান খান; ঝিনাইদহ-৩ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান; যশোর-১ মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি; যশোর-২ মোছা. সাবিরা সুলতানা; যশোর-৩ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত; যশোর-৪ টি.এস. আইয়ুব; যশোর-৬ কাজী রওনকুল ইসলাম।
মাগুরা-১ মো. মনোয়ার হোসেন; মাগুরা-২ নিতাই রায় চৌধুরী; নড়াইল-১ বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম; খুলনা -২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু; খুলনা-৩ রকিবুল ইসলাম বকুল; খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল; খুলনা-৫ মোহাম্মদ আলী আসগর; খুলনা-৬ মনিরুল হাসান বাপ্পী; সাতক্ষীরা-১ মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব; সাতক্ষীরা-২ আব্দুর রউফ; সাতক্ষীরা-৩ কাজী আলাউদ্দীন; সাতক্ষীরা-৪ মো. মনিরুজ্জামান।
বরগুনা-১ মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা; বরগুনা-২ নুরুল ইসলাম মনি; পটুয়াখালী- ১ এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী; পটুয়াখালী - ৪ এ বি এম মোশাররফ হোসেন; ভোলা-১ গোলাম নবী আলমগীর; ভোলা- ২ মো. হাফিজ ইব্রাহীম; ভোলা- ৩ মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বীক্রম; ভোলা- ৪ মো. নুরুল ইসলাম নয়ন।
ঝালকাঠি- ২ ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্ট; পিরোজপুর-২ আহমেদ সোহেল মঞ্জুর; পিরোজপুর ৩ মো. রুহুল আমিন দুলাল; টাংগাইল-১ ফকির মাহবুব আনাম স্বপন; টাংগাইল-২ আব্দুস সালাম পিন্টু; টাংগাইল-৩ এসএম ওবায়দুল হক নাসির; টাংগাইল-৪ মো. লুৎফর রহমান মতিন; টাংগাইল-৬ মো. রবিউল আউয়াল লাবলু; টাংগাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী; টাংগাইল-৮ আহমেদ আজম খান; জামালপুর-১ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত; জামালপুর-২ এ ই সুলতান মাহমুদ বাবু; জামালপুর-৩ মো. মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল; জামালপুর-৪ মো. ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম; জামালপুর-৫ শাহ মো. ওয়ারেস আলী মামুন।
শেরপুর-১ সানসিলা জেবরিন; শেরপুর-২ মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী; শেরপুর-৩ মো. মাহমুদুল হক রুবেল; ময়মনসিংহ-১ সৈয়দ এমরান সালেহ; ময়মনসিংহ-২ মোতাহের হোসেন তালুকদার; ময়মনসিংহ-৩ এম ইকবাল হোসেইন; ময়মনসিংহ-৫ মোহাম্মদ জাকির হোসেন; ময়মনসিংহ-৬ মো. আখতারুল আলম; ময়মনসিংহ-৭ ডা. মো. মাহবুবুর রহমান; ময়মনসিংহ-৮ লুতফুল্লাহেল মাজেদ; ময়মনসিংহ-৯ ইয়াসের খাঁন চৌধুরী; ময়মনসিংহ-১১ ফকর উদ্দিন আহমেদ।
নেত্রকোনা-১ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল; নেত্রকোনা-২ মো. আনোয়ারুল হক; নেত্রকোনা-৩ রফিকুল ইসলাম হিলালী; নেত্রকোনা-৪ মো. লুৎফুজ্জামান বাবর; নেত্রকোনা-৫ মো. আবু তাহের তালুকদার; কিশোরগঞ্জ-২ এডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন; কিশোরগঞ্জ-৩ ড. ওসমান ফারুক; কিশোরগঞ্জ-৪ মো. ফজলুর রহমান; কিশোরগঞ্জ-৫ মো. শরীফুল আলম; মানিকগঞ্জ-২ মঈনুল ইসলাম খাঁন; মানিকগঞ্জ-৩ আফরোজা খান রিতা; মুন্সীগঞ্জ-১ শেখ মো. আবদুল্লাহ; মুন্সীগঞ্জ-২ মিজানুর রহমান সিনহা; গাজীপুর -২ এম মঞ্জুরুল করিম রনি; গাজীপুর-৩ অধ্যাপক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু; গাজীপুর-৪ শাহ রিয়াজুল হান্নান; গাজীপুর -৫ ফজলুল হক মিলন।
নরসিংদী-১ খায়রুল কবির খোকন; নরসিংদী-২ ড. আব্দুল মঈন খান; নরসিংদী-৩ সরদার মো. সাখাওয়াত হোসেন; নরসিংদী-৪ ইঞ্জি. মো. আশরাফ উদ্দিন বকুল; নরসিংদী-৫ মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দীপু; নারায়ণগঞ্জ-১ নজরুল ইসলাম আজাদ; নারায়ণগঞ্জ -২ মো. আজহারুল ইসলাম মান্নান; নারায়ণগঞ্জ-৫ মো. মাসুদুজ্জামান; রাজবাড়ী- ১ আলি নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম; ফরিদপুর- ২ শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম; ফরিদপুর- ৩ নায়াব ইউসুফ আহমেদ; ফরিদপুর- ৪ শহীদুল ইসলাম বাবুল; গোপালগঞ্জ - ১ মো. সেলিমুজ্জামান মোল্লা, গোপালগঞ্জ -২ ডা. কে এম বাবর আলী; গোপালগঞ্জ-৩ এস এম জিলানী।
মাদারীপুর- ১ কামাল জামান মোল্লা; মাদারীপুর- ৩ আনিসুর রহমান; শরীয়তপুর - ১ সাইদ আহমেদ আসলাম; শরীয়তপুর- ২ মো. শফিকুর রহমান কিরণ; শরীয়তপুর-৩ মিয়াঁ নুরুদ্দিন আহমেদ অপু; সুনামগঞ্জ-১ আনিসুল হক; সুনামগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ কয়সর আমমেদ; সুনামগঞ্জ-৫ কলিম উদ্দিন মিলন; সিলেট-১ খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী; সিলেট-২ মোছা. তাহসিনা রুশদীর; সিলেট-৩ মোহাম্মদ আবদুল মালিক; সিলেট-৬ এমরান আহমেদ চৌধুরী।
মৌলভীবাজার-১ নাসির উদ্দিন আহমেদ মীঠু; মৌলভীবাজার-২ সওকত হোসেন সকু; মৌলভীবাজার-৩ নাসের রহমান; মৌলভীবাজার-৪ মো. মজিবর রহমান চৌধুরী; হবিগঞ্জ-২ আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন; হবিগঞ্জ-৩ আলহাজ মো. জি কে গউস; হবিগঞ্জ-৪ এস এম ফয়সাল; ব্রাহ্মনবাড়িয়া- ১ এম এ হান্নান; ব্রাহ্মনবাড়িয়া- ৩ মো. খালেদ হোসেন মাহবুব; ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ মুশফিকুর রহমান; ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ মো. আব্দুল মান্নান।
চাঁদপুর - ১ আ ন ম এহসানুল হক মিলন; চাঁদপুর - ২ মো. জালাল উদ্দিন; চাঁদপুর - ৩ শেখ ফরিদ আহমেদ; চাঁদপুর - ৪ মো. হারুনুর রশিদ; চাঁদপুর - ৫ মো. মমিনুল হক; ফেনী-১ বেগম খালেদা জিয়া; ফেনী-২ জয়নাল আবেদীন; ফেনী-৩ আব্দুল আওয়াল মিন্টু; লক্ষ্মীপুর-২ মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া; লক্ষ্মীপুর-৩ মো. শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
প্রার্থী ঘোষণার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মির্জা আব্বাস, হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণা করছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম পড়ে শোনান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আসন্ন নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। এসময় তিনি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেন।