বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২
রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

সুষ্ঠু নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার

# নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি # জামায়াত চায় নির্বাচনের পাশাপাশি সংস্কারের রোডম্যাপ # আরও তিন জোট ও একটি দলের সঙ্গে বৈঠক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শনিবার দুপুরে যমুনায় সংলাপে বসে বিএনপির ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন দফা রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড
৬ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৬ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০২

দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিশ্রুত ৬টি খাতে সংস্কার শুরুর আগে গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দফায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল দুপুর আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এর সূত্রপাত। পরে জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ইসলামী ঐক্যজোট, গণতান্ত্রিক বাম জোট ও এবি পার্টির সঙ্গেও সংলাপ করেন তিনি। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তিনি জানিয়েছেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক নম্বর অগ্রাধিকার।

ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল জানান, বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সংলাপে নির্বাচন-সংস্কারের, রোডম্যাপ দিতে বলেছি। ইউনিয়ন পরিষদ বাতিলের দাবি জানিয়েছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের কারণে বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে দেওয়ার যে আইন করা হয়েছে বিগত সরকারের সময়ে, সেটিও বাতিল চেয়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিটিতে না থাকে, সেটিও তারা চেয়েছেন। ফ্যাসিবাদের সময় গঠিত সব ইউনিয়ন পরিষদ বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

বিএনপির মহাসচিব জানান, ২০১৪ সাল থেকে পরপর তিনটি বিতর্কিত ও ভুয়া নির্বাচন করেছে যেসব নির্বাচন কমিশন, সেই কমিশনগুলোর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছেন তারা। সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিচারপতি খায়রুল হক নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার মূল হোতা। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দিয়ে এই বিচারপতি নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মূল ভূমিকা পালন করেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অনেকে দোসর হয়ে কাজ করেছে এবং লুটপাট ও মানুষের ওপর নির্যাতনে সহায়তা করেছে। এ ছাড়া গুম-খুন ও গণহত্যায় সহায়তাকারীদের অনেকেই এখনো নিজ নিজ জায়গায় বহাল আছে, অবিলম্বে তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সেসব পদে নিয়োগ করার দাবিও তারা জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে বলেছি। চুক্তিভিত্তিক কিছু নিয়োগ বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যেও দুই-একজন আছেন যারা এই গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবের যে স্পিরিট, সেটাকে ব্যাহত করছেন, তাদের সরানোর কথা বলেছি।’

বিচার বিভাগের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগের হাইকোর্ট বিভাগে এখনো পরিবর্তন হয়নি, বেশির ভাগ নিয়োগ ছিল দলীয় ভিত্তিতে। এদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। অতি দ্রুত পিপি ও জিপি নতুন নিয়োগের কথা বলেছি। তিনি বলেন, ‘যাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিষয়টা আমরা দেখার জন্য বলেছি। ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আমলে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা গায়েবি, ভুয়া সাজানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

কিছু আমলা কিছু পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তি এবং মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে সেই বিষয় সরকারকে দেখার কথাও উল্লেখ করেছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় জোর দিয়ে বলেছি, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। ভারতে থেকে তার মাধ্যমে যে সমস্ত প্রচারণা চলছে, এই বিষয়টাতে ভারতের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য; অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলবে।’

এ ছাড়া গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে, জাতিসংঘের একটি দল এসেছে, তাদের সেভাবে সহযোগিতা করছে না, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কিছু মানুষ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে-এসব প্রসঙ্গ সংলাপে তুলে ধরেছেন বলে জানান বিএনপির মহাসচিব। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে দুটি রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত। বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে যমুনায় আসেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। ঘণ্টাব্যাপী ওই সংলাপ শেষে বেরিয়ে সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের জামায়াত আমির বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে দুটি রোডম্যাপ চেয়েছে তার দল।

সংলাপে জামায়াতের পক্ষ থেকে সংস্কারকে এক নম্বর অগ্রাধিকার হিসেবে তুলে ধরা হয় বলে জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সংস্কারের সময় কী হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দুটি বিষয় চেয়েছি, একটা রোডম্যাপ হবে সংস্কারের, আরেকটা নির্বাচনের। সংস্কার সফল হলে নির্বাচন সফল হবে। দুটি বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘৯ অক্টোবর আপনাদের মাধ্যমে সংস্কারের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তাবনাগুলো আমরা জাতির সামনে উন্মুক্ত করব। আমরা আমাদের চিন্তা জাতির সামনে তুলে ধরব কী কী সংস্কার এই মুহূর্তে প্রয়োজন, কী কী সংস্কার পরবর্তী পর্যায়ে আমাদের লাগবে।’ সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি, দেশ শাসনের সুষ্ঠু পথ বিনির্মাণের জন্য তারা এসেছে বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজ হচ্ছে, গত তিনটি নির্বাচনে জাতি বঞ্চিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে একটা গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করা। এ জন্য কিছু মৌলিক বিষয়ে তাদের সংস্কার করতেই হবে। কী কী মৌলিক বিষয়ে তারা সংস্কার করবে—সংলাপে আমরা সেই বিষয়ে কথা বলেছি।’

শফিকুর রহমান জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে। জনগণ এবং সরকার একসঙ্গে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে পারে; সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে- সে বিষয়গুলো নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বর্তমান যে সরকার আছে, তারা কোন ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা না নিয়ে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবেন।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে বলে আসছিলাম সংস্কারের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সেই যৌক্তিক সময়টা কী হবে? এটা নিয়ে অচিরেই আমরা কাজ করব। এটা দেরি হবে না- এভাবে আমরা সামনে আগাতে চাই। দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য করণীয় কী, এমন একটি প্রশ্ন এসেছিল। আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি।’ শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, আ ন ম শামসুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম প্রমুখ। পরে একইদিনে গণতন্ত্র মঞ্চ, ইসলামী ঐক্যজোট, গণতান্ত্রিক বাম জোট ও এবি পার্টির সঙ্গেও সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসব বৈঠকে দলগুলো সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে তাদের মনোভাব ও অবস্থান তুলে ধরে। তবে সবগুলো দল সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেবে বলে মত প্রকাশ করে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।


রাশিয়াকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেছেন। সোমবার (১৪ জুলাই) তিনি এ কথা জানান। অন্যথায় মস্কোকে ব্যাপক নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। ন্যাটোর মাধ্যমে কিয়েভে নতুন অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনাও তুলে ধরেন তিনি।

ট্রাম্প জানান, তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর ‌‘খুব, খুব অসন্তুষ্ট’। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রুশ নেতা মারাত্মক এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে অস্বীকৃতি জানানোয়ে অবশেষে তার ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেছে। ৫০ দিনের মধ্যে যদি কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে আমরা খুব কঠোর শুল্ক আরোপ করব, প্রায় ১০০ শতাংশ শুল্ক। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠকের সময় ট্রাম্প এসব কথা বলেন।

এই রিপাবলিকান নেতা আরও বলেন, এগুলো হবে ‘দ্বিতীয় শুল্ক’ যা রাশিয়ার অবশিষ্ট বাণিজ্য অংশীদারদের লক্ষ্য করে করা হবে। এরই মধ্যে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় মস্কোর টিকে থাকার ক্ষমতাকে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাশিয়ান ফেডারেল কাস্টমস সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর রাশিয়ার শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার ছিল চীন, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৪ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ভারত, তুরস্ক এবং বেলারুশ।

ট্রাম্প এবং রুট নতুন একটি চুক্তিও উন্মোচন করেছেন যার অধীনে ন্যাটো সামরিক জোট যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনবে। এর মধ্যে প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি-ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারিও থাকবে এবং এগুলি ইউক্রেনে পাঠানো হবে।

রুট বলেন, এটা সত্যিই বড়। তিনি ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের অভিযোগ নিরসনের লক্ষ্যে একটি চুক্তির কথা তুলে ধরেন। ট্রাম্প অনেকদিন ধরেই দাবি করে আসছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য ইউরোপীয় এবং ন্যাটো মিত্রদের চেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করছে।

এই ন্যাটো প্রধান বলেন, জার্মানি, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন এবং ব্রিটেনও ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি যদি আজ ভ্লাদিমির পুতিনের জায়গায় থাকতাম এবং আপনার কথা শুনতে পেতাম... তাহলে আমি পুনর্বিবেচনা করতাম যে ইউক্রেন সম্পর্কে আলোচনা আরও গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা করেন যে, তিনি ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছেন এবং অস্ত্র চুক্তির জন্য ‘কৃতজ্ঞ’।


নিষিদ্ধ সংগঠনের কারও সঙ্গে আঁতাতের গন্ধ পেলে ছাড় দেয়া হবে না: ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কারও সঙ্গে আঁতাতের গন্ধ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের যারা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে, তা নাহলে জুলাই শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হবে।’

ফরিদপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ফরিদপুরের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় না দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

ডিআইজি বলেন, কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এমনকি দুর্নীতি করলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি কোনো অপরাধ পরিলক্ষিত হয় তাহলে পুলিশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো রকম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবেন। কোনো সেবাগ্রহীতা যেন থানায় এসে ভোগান্তির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মানুষের জানমাল রক্ষার্থে পুলিশের যা করণীয় তা করতে হবে। আমি শুনতে চাই না, কোনো সেবাগ্রহীতা থানায় এসে হয়রানির শিকার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার যাতে কোনো অবনতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

সভাশেষে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্বজনদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। পরে ফিতা কেটে জেলা পুলিশের মাল্টিপারপাস হলের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আজম, আজমির হোসেন এবং সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল।

এ কর্মসূচির আওতায় ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে ১৫ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।

সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনীর প্রথম দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় নির্মিত ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) প্রযোজিত ‘সময়ের বীর শহিদ তানভীর’ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ নির্মিত ‘দ্য মনসুন রেভুলেশন’ প্রদর্শিত হয়।

প্রদর্শনীতে গ্লোবাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।


আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি দ্বিগুণ করল সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্দুক, শটগান, রাইফেলসহ সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি প্রায় দ্বিগুণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১০ জুলাই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার সংক্রান্ত নতুন নীতিমালায় ফি বাড়ানোর কথা বলা হয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নতুন নীতিমালা জারি করা হয়।

২০১৬ সালের নীতিমালা অনুযায়ী পিস্তল, রিভলবার, রাইফেলের লাইসেন্স পেতে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার আয়কর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। বর্তমানে সেটি বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে লাইসেন্সের পিস্তল বা রিভলভার ফি ছিল ৩০ হাজার টাকা, এখন তা দ্বিগুণ করে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

বন্দুক, শটগান, রাইফেলের ফি ছিল ২০ হাজার টাকা, এখন তা দ্বিগুণ করে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকায়। লাইসেন্সের নবায়ন ফির ক্ষেত্রে পিস্তল বা রিভলভারের ছিল ১০ হাজার টাকা এখন দিতে হবে ২০ হাজার টাকা করে। বন্দুক, শটগান, রাইফেলের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া ৫ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

এছাড়া সব ধরনের অস্ত্রের লাইসেন্স লাইসেন্স স্থগিত করে তা জমা দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হলেও কয়েক হাজার অস্ত্র জমা পড়েনি। পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের সময় থানায় অগ্নি সংযোগ লুটপাটের ঘটনায় অনেকের জমা দেওয়া বৈধ অস্ত্রও লুট অথবা ধ্বংস হয়ে যায়।


বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের জাহাজ শিল্পসহ বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত সিঙ্গাপুরের ভারপ্রাপ্ত পরিবহন মন্ত্রী জেফ্রি সিওর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আহ্বান জানান বলে ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের জাহাজ শিল্প খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে এবং সকল প্রক্রিয়া এখন স্বচ্ছতার সঙ্গে উন্মুক্ত মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের সম্ভাবনাময় জাহাজ শিল্প খাতসহ বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।’

বৈঠকে তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় সিঙ্গাপুরের সহায়তা কামনা করেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনায় সিঙ্গাপুরের চমৎকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দর, বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে শিপইয়ার্ড নির্মাণ, মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ বন্দরসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে পারে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মেগা সম্প্রসারণ প্রকল্প বে টার্মিনাল নির্মাণে বাংলাদেশকে ৬৫০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৬৫ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই টার্মিনালটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বন্দরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে অনেকাংশে কমে আসবে আমদানি ও রপ্তানি ব্যয়। উপদেষ্টা বে-টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে পিএসএ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আসন্ন অক্টোবর মাসের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর বা বাংলাদেশের উপর্যুক্ত যে কোনো স্থানে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিপইয়ার্ড/ডকইয়ার্ড নির্মাণে সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ জানান। সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রী এ বিষয়ে উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন।

বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলো থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ ও মেধাবী মেরিনারদের সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ার জন্য উপদেষ্টা সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য সিঙ্গাপুর সরকার কর্তৃক ট্রানজিট ভিসা প্রদানের আহ্বান জানান। সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রী বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য দ্রুতই ট্রানজিট বা ওয়ার্কিং ভিসা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

বাংলাদেশ ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি ‘সি’-এর সদস্য হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। বৈঠকে উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


তিস্তার ভাঙন রোধে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। তিনি বলেন- স্বল্প সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে তীর সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর চলমান তীররক্ষা বাঁধ পরিদর্শনের সময় এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন- তিস্তা নদীর স্থায়ী বাঁধের দাবি যৌক্তিক, তবে তা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় ও পরিকল্পনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তিস্তার সর্বোচ্চ ভাঙনপ্রবণ ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় ইতোমধ্যে ১৯ কিলোমিটার তীররক্ষা বাঁধের কাজ চলছে এবং বাকি ২৬ কিলোমিটারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে- এই অংশের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই চুক্তির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

তিনি জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি গণশুনানি সম্পন্ন হয়েছে, যাতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও অংশগ্রহণ করেছেন। এসব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহে পাঠিয়েছে এবং সবার মতামতের ভিত্তিতেই পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা হবে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান, রংপুর অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. সুবেদার ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নুর আলম, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে উপদেষ্টা রাজারহাট উপজেলার গতিয়াসাম ক্লিনিক সংলগ্ন তিস্তার বাঁধ এবং রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা রেলসেতুর উজানে ডান তীররক্ষা বাঁধের চলমান কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন।


‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক অভিযান, অর্থদন্ড প্রদান’’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৪ জুলাই (সোমবার) ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হাছিবুর রহমান, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -রুপগঞ্জ -এর আওতাধীন আতলাসপুর, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ২টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ১.৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইনের আনুমানিক ৫৫০ টি বাড়ির ১,০০০ টি আবাসিক ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ২" ব্যাসের আনুমানিক ৮০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।

একই দিনে, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুনিজা খাতুন এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস টি এন্ড ডি পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার, জোবিঅ-সাভার -এর আওতাধীন বলিয়ারপুর, হেমায়েতপুর, ঋষিপাড়া, বাগবাড়ী, তেঁতুলঝোড়া, সাভার এলাকার ৩টি পয়েন্টে অবৈধ গ্যাস লাইনের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে কে এস ফ্যাশন এন্ড ওয়াশিং প্ল্যান্ট, মেসার্স লেটেস্ট ওয়াশিং প্ল্যান্ট ও মিটারবিহীন আবাসিক সংযোগ (গ্রাহকের নাম: রেজাউল ইসলাম, গ্রাহক সংকেত নং: ১৩৮-৪৩০৫৫) হতে মেসার্স এ ওয়ান ডিজাইন নামক ওয়াশিং নামক ০৩ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৪৮০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এতে মাসিক ২০,৭০,৭৬৯/- গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এ সময় উক্ত ০৩ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ -টাঙ্গাইল -এর বিশেষ অভিযানে আকুর টাকুর পাড়া ও বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল এলাকার অতিরিক্ত চুলা ব্যবহারের কারণে ১১ টি রাইজারের ৩১টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।


‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধি পেতে ইচ্ছুক নন অধ্যাপক ইউনূস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রীয় সংস্কারে ভূমিকা রাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'জাতীয় সংস্কারক' ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেছেন।

এর প্রেক্ষিতে সরকার আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অধ্যাপক ইউনূস নিজে এমনভাবে ঘোষিত হতে ইচ্ছুক নন এবং সরকারও তাঁকে এ ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'জাতীয় সংস্কারক' ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট থেকে যে রুল জারি করা হয়েছে, সেটি সরকারের নজরে এসেছে এবং আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর সরকার যথাসময়ে এই রুলের জবাব দেবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার স্পষ্ট করতে চায় যে, অধ্যাপক ইউনূস নিজে এমনভাবে ঘোষিত হতে ইচ্ছুক নন এবং সরকারও তাঁকে এ ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না। আবেদনকারী নিজ উদ্যোগে এই রিটটি দায়ের করেছেন বলে মনে হয় এবং কীসের ভিত্তিতে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে-তা পরিষ্কার নয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।


যুবদলকে জড়িয়ে বিএনপি'র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে- সংবাদ সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা যুবদলের আওতাধীন টবগী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মজনু কে জড়িয়ে একটি শালিশ কে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে টবগী ইউনিয়ন যুবদল।

সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয় গত ৮ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে বিএনপি ও যুবদলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি মহল ওই ভিডিওটি প্রকাশ করে। ওই ভিডিওটি টবগী ইউনিয়ন যুবদলের নজরে আসলে অভিযোগকারী মনিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। মনিরকে না পেয়ে টবগী যুবদলের পক্ষ থেকে ভিডিওর সত্যতা জানতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ওই ভিডিওর অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি।

আজ মঙ্গলবার ( ১৫ জুলাই ) দুপুর ১টায় টবগী ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিনিয়র সহ সভাপতি খোকন হাওলাদার।

এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান , বিএনপি ও টবগী ইউনিয়ন যুবদলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তারা টবগী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মকান্ডে ঈর্শান্বিত হয়ে যুবদলের সভাপতিকে টার্গেট করেছে।

তিনি জানান, অভিযোগকারী মনির ও তার পরিবারের সদস্যরা টবগী ইউনিয়নের ভোটার নয়। তারা ৫ই আগষ্টের পূর্বে চট্টগ্রামে ছিলো ওখানে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে গা ঢাকা দিতে এখন এইখানে এসে আত্নগোপন করেছে। মনির নেশাগ্রস্ত ও বখাটে প্রকৃতির। মনির ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক খারাপ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে একটি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করতে মনিরের বাড়িতে পুলিশ এসে তাকে আটক করতে গেলে তার পরিবারের সদস্যরা ওই সময়ের ভিডিও ধারন করে রাখে। ওই ভিডিওটি চালিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যুবদল সভাপতি মঞ্জু বয়াতী তার উপর হামলা করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই ভিডিওতে পুলিশ সদস্যদের স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যা ভিডিওটি দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।

তিনি আরো জানান, রুহুল আমিন নামে জনৈক ব্যক্তি বিদেশে বসে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে মিথ্যা ভিডিও ছড়াচ্ছে। ওই ভিডিওটি সহকারী এ্যার্টনী জেনারেল এবি এম ইব্রাহিম খলিল রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অসিন থেকে তথ্যের যাচাই বাছাই না করে পুলিশের গ্রেফতারের সময়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে যুবদল সভাপতিকে অভিযুক্ত করে। যা অতি দুঃখজনক। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির এমন আচরনে আমরা মর্মামহ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আমাদের দলের কেউ কোনো অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলে আমরা দলীয়ভাবে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনছি। ইনশাআল্লাহ্ ভবিষ্যতে আমাদের এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।


মতভিন্ন বিষয়গুলোতে স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে দলগুলোর প্রতি আলী রীয়াজের আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাদের দায়দায়িত্ব অনুভব করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের চতুর্দশ দিনের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায়ও কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এখনো যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে তা নিয়ে স্বল্পতর সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কমিশন কোনো আলাদা সত্ত্বা নয়, এটি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচেষ্টার অংশীদার। তাই, আমরা যদি ব্যর্থ হই, এই ব্যর্থতা কমিশনের একার নয়, আমাদের সকলের। কাজেই ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় আমাদের সফল হতে হবে। এই সাফল্যের মাপকাঠি হচ্ছে একটা কাঠামোগত সংস্কারে আমরা কতটুকু একমত হতে পারছি তার ওপর।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।


প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে এবং কোন স্কুলগুলো ভালো করছে, সে ব্যাপারে মূল্যায়ন জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষাখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। কিন্তু মূল যে উদ্দেশ্য—শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সেটি সাধন হয়নি। আমরা মূল্যায়ন করে স্কুলগুলোকে র‍্যাংকিং করছি। যেসব স্কুলের বাচ্চারা পিছিয়ে আছে, তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছি।’

শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, মূল্যায়নে দেখা গেছে, যেসব স্কুলের মান ভালো সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও তার সঙ্গে অন্য সহকর্মীদের সম্পর্ক, ব্যবহার ইত্যাদি বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।

এ সময় প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নের পাশাপাশি নতুন নিয়োগের বিষয়েও নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কীভাবে যোগ্যদের নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কয়েকটা ক্যাটাগরি করে দিতে হবে। যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন, অভিজ্ঞ, তারা প্রাধান্য পাবেন। এর পাশাপাশি তরুণদেরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।’

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে অতিদ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেন অধ্যাপক ইউনূস। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রেও নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে পরে অন্য উপজেলায়, শহরের কাছে কোনো স্কুলে শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করেন, তারা সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোরেন। এ ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা ও প্রক্রিয়া থাকতে হবে। কেবল ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বদলি হতে পারবেন।’

স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, স্কুলের অবকাঠামো নারীবান্ধব কিনা—এসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভবন নির্মাণের সময় কমিটিতে অন্তত একজন নারী স্থপতি রাখতে হবে যাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ হয়। পরিকল্পনায়, চিন্তায় ও বাস্তবায়নে মেয়েদের বিষয়ে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে, সব ব্যবস্থা রাখতে হবে।’

এ ছাড়া দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরির বিষয়েও জোর দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।


তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে 'নোটস্ অন জুলাই' পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা সংগ্রহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

'নোটস্ অন জুলাই' পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ কার্যক্রমের আওতায় সোমবার (১৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ৭০০ জনের স্মৃতিকথা সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থা এবং জেলা তথ্য অফিসসমূহের মাধ্যমে আগামী ৫ই আগস্ট পর্যন্ত 'নোটস্ অন জুলাই' পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই পোস্টকার্ডে জুলাই গণঅভ্যুত্থান-সম্পর্কিত স্মৃতি ও মতামত প্রদান করতে পারবেন।


আর্থিক খাতে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সদ্য নিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

একইসঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত আর্থিক খাতের সংস্কারমূলক কর্মসূচির জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেন।

গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। এসময় জুট এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকালে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভূটানের জন্য নিযুক্ত ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসমে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময়ে জুট বাংলাদেশের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার কথা জানান এবং ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভূটান ও নেপালে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর পূর্ববর্তী দায়িত্বকালের কথা স্মরণ করেন।

অধ্যাপক ইউনূসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি এবং আপনার দুর্দান্ত টিম চমৎকার কাজ করছে, তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক খাতে কিছু চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে জুট বলেন, ‘আমরা আমাদের যাত্রা চালিয়ে যেতে এবং বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।’

তিনি গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের জন্য এটি এক আবেগময় মুহূর্ত ছিল।’

প্রধান উপদেষ্টা জুটের সমর্থন ও প্রশংসার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন দেশ ধ্বংসস্তূপের মত ছিল, যেন তা ভূমিকম্প পরবর্তী ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমাদের কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। তবুও সকল উন্নয়ন সহযোগী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এটা আমাদের অনেক সহায়তা করেছে, আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।’

অধ্যাপক ইউনূস জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ‘তারা জাতিকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত জুলাইয়ে আমাদের তরুণরা যা করেছে, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে আমাদের মেয়েরা ও নারীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। আমরা আজ জুলাই নারী দিবস পালন করছি। তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়। তরুণরাই আমাদের দেশের কেন্দ্রবিন্দু। আমাদেরকে তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।’

অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বব্যাংককে আহ্বান জানান, বাংলাদেশকে যেন তারা শুধুমাত্র ‘একটি ভৌগোলিক সীমানা’ হিসেবে না দেখে বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হলে গোটা দক্ষিণ এশিয়া সমৃদ্ধ হবে। আমরা যদি নিজেদের আলাদা করি, তাহলে উন্নয়ন হবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধা ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের একটি সমুদ্র আছে, যা আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দেশেই তরুণদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাই আমরা তাদের বলেছি—তাদের কারখানাগুলো এখানে নিয়ে আসুক। আমরা শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করবো, যেন বাংলাদেশ একটি উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে ওঠে।’

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নারীর ক্ষমতায়নে অধ্যাপক ইউনূসের কাজের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে সমর্থন দিয়ে যাব। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প চালু হয়েছিল, যা পরবর্তীতে অন্যান্য দেশেও অনুসরণ করা হয়েছে।’

জুট জানান, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে তরুণদের জন্য সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করবে।’

তিনি উল্লেখ করেন, গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে এবং আগামী তিন বছরেও একই ধরনের সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

তিনি চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) সর্বশেষ তথ্য জানান।

লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, এনসিটির নতুন পরিচালন ব্যবস্থার ফলে কনটেইনার হ্যান্ডলিং উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা একে আরও কার্যকর করা। আমরা ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে নিট বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি, যা ইন্ট্রা-কোম্পানি ঋণ এবং শক্তিশালী ইকুইটি বিনিয়োগের মাধ্যমে হয়েছে।’


banner close