জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি আজ রোববার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ক্ষমতায়ন: জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজের জন্য নারী (ফেজ-২)’ প্রকল্পের অ্যানুয়াল কমিউনিটি অফ প্র্যাকটিস (কপ) নেটওয়ার্ক কনভেনশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রয়োজন। উজানের দেশগুলোকে আগে থেকে বৃষ্টিপাত, স্ট্রাকচারের অবস্থা ও পানি ছাড়ার সময় জানাতে হবে। উজান-ভাটির দেশগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্য সংকট এড়াতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জিরো কার্বন নির্গমন ও লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে অর্থ আনতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উল্লেখ করে তিনি অভিযোজনের জাতীয় পরিকল্পনায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মারিয়া স্ট্রিডসম্যান ও ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলী সিং।
অনুষ্ঠানে ‘উইমেন্স ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক’ ঘোষণা করা হয় এবং পাঁচ নারী উদ্যোক্তাকে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নারীর ভূমিকা শীর্ষক পদক-২০২৪’ প্রদান করা হয়।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় নারীদের অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা ও লিঙ্গ সমতার ওপর বিভিন্ন প্যানেল আলোচনা, কর্মশালা ও উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম অভিযোগে অমৃত্যু কারাদণ্ড ও দ্বিতীয়টিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত আরও বলেছে, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। একইসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচন করেছেন, মামুনের অপরাধের সাজা সর্বোচ্চ হলেও সত্য উন্মোচন করায় তার সাজা কম হবে।
বুধবার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে।
এরই মধ্যে এ মামলায় দণ্ডিত সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদও পূর্ণ কপি পেয়েছেন। বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও কামালকে অমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া একই মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পান চৌধুরী মামুন। এর ঠিক ৯ দিন পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল। ফলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনা ও কামালকে আপিল করতে হবে।
এ মামলার পাঁচটি অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। কিন্তু রায়ে দুটি অভিযোগে ছয়টি ঘটনা আনেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে অভিযোগ-১ এ তিনটি ঘটনা আনা হয়। এর প্রথমটি ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া।
দ্বিতীয়ত ওই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে ফাঁসি দেবেন বলে উসকানি ও আদেশ। এছাড়া অপরাধ সংঘটনে আসামিরা নিজেদের অধীনস্থদের কোনো বাধা দেননি। তৃতীয়ত এরই ফলশ্রুতিতে রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি ছুড়ে হত্যা করে পুলিশ। এসব অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের অমৃত্যু কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
দুই নম্বর অভিযোগেও তিনটি ঘটনা আনেন ট্রাইব্যুনাল। এক নম্বর ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ফোনালাপ পাওয়া যায়। এসব কথপোকথনে ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের কোনো বাধা দেননি আসামিরা।
যার ফলে একই বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুলে ছয়জন আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। যা এ অভিযোগে ঘটনা নম্বর দুই। তিন নম্বর ঘটনা ওই দিন তথা ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব অপরাধে হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যা জুলাইয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করবে সরকার। এছাড়া উভয় অভিযোগে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছে।
গণহত্যার দায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম বিচারের রায়। হাসিনার মামলার রায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এছাড়া রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বড় পর্দায় বিচার কার্যক্রম দেখানো হয়।
হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পালিয়ে বর্তমানে ভারতের আশ্রয় রয়েছেন। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন। তিনি অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
গণভোট অধ্যাদেশ–২০২৫ এর খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, গণভোট পরিচালনার প্রক্রিয়া বিস্তারিত উল্লেখ করে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
গণভোটে থাকবে একটি প্রশ্ন, দুটি বিকল্প: গণভোটে থাকবে মাত্র একটি প্রশ্ন— জুলাই জাতীয় সনদ আদেশ ও সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবে ভোটারের সম্মতি আছে কি না। ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বক্সে চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাবেন।
ব্যালটে সাদাকালো ও রঙিন পার্থক্য: আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট হবে সাদা কাগজে কালো প্রতীক, আর গণভোটের ব্যালট হবে রঙিন, যাতে ভোটার বিভ্রান্ত না হন।’
একই স্থানে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, গণভোট ও নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটেও একই ধরনের স্টাইল ব্যবহার করা হবে। আগামী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সরকারি প্রেসে ব্যালট ছাপার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এবং পর্যাপ্ত কাগজও রয়েছে। গণভোটের ক্ষেত্রে রঙিন কাগজে দৃশ্যমান যেকোনো কালি ব্যবহার করা হবে।
বিদেশে রেজিস্ট্রেশন ও প্রযুক্তিনির্ভর ভোট: ইসির সচিব জানান, পোস্টাল ব্যালটের জন্য উত্তর আমেরিকায় রেজিস্ট্রেশন চলছে। শনিবার অনুষ্ঠিতব্য মক ভোটের ফল অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইসি সচিব আখতার আরও জানান, প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী, আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিতরা অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ১০৮ জন প্রবাসী ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন। একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ হলেও সবার মধ্যে উৎসাহ রয়েছে।
মনিটরিং ও দায়িত্ব বণ্টন: গণভোটের জনসচেতনতা বাড়াতে দ্রুত প্রচারণা শুরু হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘অন্ধভাবে নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রশাসনের পদায়নের জন্য লটারি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।’
সংসদ নির্বাচনের জন্য নিয়োগকৃত রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারাই গণভোটেও একই দায়িত্ব পালন করবেন। গণভোটেও পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা থাকবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুলসংখ্যক ঘর-বাড়ি পুড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ ঘটনায় অসংখ্য পরিবারের নিঃস্ব হয়ে যাওয়াকে ‘সকলের জন্য বেদনাদায়ক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, ‘কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে যেসব পরিবার গৃহহীন হয়েছেন, তাদের দুঃখ-কষ্ট আমাদের সকলের জন্য বেদনার। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।’
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রায় পাঁচ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দগ্ধ শেখ সাইয়েবা মেহজাবিন (১১)। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালের দিকে তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, ২১ জুলাই একটি মর্মান্তিক বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীও দগ্ধ হয়। প্রায় ৫ মাস সে আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন ছিল। তাদের মধ্যে সাইয়েবার শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে মোট শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৩৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমাদের ইনস্টিটিউটে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা আশা করছি সেও দ্রুত ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় লটারি করে এই এসপিদের নির্বাচন করা হয়। বুধবার এসপিদের পদায়ন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, যমুনায় লটারির সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, অতীতে এসপি হিসেবে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সেই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এনা ট্রান্সপোর্টের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ১০৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই অর্থ তিনি চাঁদাবাজি করে উপার্জন করেছিলেন বলে অভিযোগ।
সিআইডি জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রমনা থানায় মামলা দায়ের করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আশির দশকের পর পরিবহন সেক্টরে যাত্রা শুরু করেন। পার্টনারশিপে একটি পুরাতন বাস কেনার মাধ্যমে তার ব্যবসার সূচনা হলেও কয়েক বছরের মধ্যে তিনি প্রায় ২০টি বাসের মালিক হয়ে ওঠেন। অল্প সময়েই তিনি পরিবহন মালিকদের সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেন। এরপর তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব বাড়িয়ে নেন। প্রথমে বিএনপির রাজনীতি, পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদও লাভ করেন।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এই রাজনৈতিক পরিচয় খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতন পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি ধারাবাহিকভাবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি সংগঠনের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং পরিবহন সেক্টরে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধে পরিবহন সচল রাখার ঘোষণা দিয়ে তিনি সংবাদ শিরোনামে থাকলেও নিজের কোম্পানির বাসগুলো রাস্তায় নামাতেন না, যা তার কৌশলের অংশ ছিল।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, চাঁদাবাজি কার্যক্রমগুলো ছিল অত্যন্ত সংগঠিত ও ভয়ভীতি-ভিত্তিক। এনায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট গড়ে বিভিন্ন অজুহাতে বাস মালিকদের কাছ থেকে প্রকাশ্য চাঁদা আদায় করতেন। দৈনিক চাঁদার পাশাপাশি মাসিক চাঁদাও নেওয়া হতো এবং নতুন বাস কোনো রুটে নামাতে হলে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা দিতে হতো। নতুন বাস কেনার সময় মালিকদের সেই বাসের একটি ভাগও এনায়েতকে দিতে বাধ্য করা হতো, না হলে বাসটি সড়কে চলতে পারত না। এর ফলে অনেক কোম্পানি বিক্রির সময় মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে চাঁদা পরিশোধ করত।
সিআইডির মুখপাত্র বলেন, ঢাকার প্রতিটি বাস টার্মিনাল তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশের বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতিগুলো থেকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হতো। সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে তিনি পরিবহন সেক্টরে ত্রাসের রাজত্ব চালাতেন। বিএফআইইউ, বিভিন্ন ব্যাংক, ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, বাংলাদেশ মালিক পরিবহন সমিতি এবং মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদসহ অন্যান্য বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্রের ওপর ভিত্তি করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। অনুসন্ধানকালে ধানমন্ডির ২টি ফ্ল্যাট এবং রূপগঞ্জের ২টি প্লট সিনিয়র স্পেশাল মহানগর জজ আদালত, ঢাকার আদেশে ক্রোক করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। একই আদালতের আদেশে তাদের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়। যার মোট স্থিতি প্রায় ১১০ কোটি টাকা। এই দুটি আদেশ গত ৩ জুলাই কার্যকর করা হয়।
সিআইডির বিশ্লেষণে দেখা যায়, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৯৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে উত্তোলন হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে এনা ট্রান্সপোর্ট প্রা. লি. এর ৪৩টি হিসাবে জমা ৯৩৪.০৪ কোটি টাকা, উত্তোলন ৯০৬.৯৬ কোটি টাকা, এনা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি. এর ৮টি হিসাবে জমা ৪১০.৩৮ কোটি টাকা, উত্তোলন ৪০৮.২৫ কোটি টাকা ও খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ব্যক্তিগত ৭৪টি হিসাবে জমা ৪৫৯.০৮ কোটি টাকা, উত্তোলন ৪০২.৭৩ কোটি টাকার তথ্য জানা যায়। সিআইডির বিস্তারিত অনুসন্ধান ফলাফলে দেখা যায়, ‘স্ট্রাকচারিং’ বা ‘স্মার্ট লেয়ারিং’ কৌশল ব্যবহার করে চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল অবৈধ অর্থ নানা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মোট ১০৭ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৭৪ টাকা মানিলন্ডারিং করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে পাওয়া প্রাথমিক সত্যতা বিবেচনায় আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
“দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি: প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, আধুনিক সেবা এবং খামারিদের সফলতা তুলে ধরতেই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। মেলায় আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ব্রাহামা জাতের গরু ও দুম্বা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুজ্জামান সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নাহিদা নাজনীন ডেইজি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন।
মেলায় অংশগ্রহণকারী উপজেলার মাদাই গ্রামের সৌখিন খামারি আবু তালেব বলেন, আমি মেলায় একটি ছাগল নিয়ে আসছি। ছাগলের ওজন ১১০ কেজি।
আরেক খামারি উপজেলার মহেশপুর গ্রামের দুলালি বেগম বলেন, আমি তিনটি দুম্বা লালন-পালন করছি। তারমধ্যে একটি দুম্বা মেলায় নিয়ে আসছি।
জানা যায়, জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলায় গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, মহিষ, সৌখিন খামারি ও আধুনিক প্রযুক্তি এই ৭টি ক্যাটাগরীতে ৩০টি স্টল রয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ বুধবার জারি করা এক সার্কুলারে দেশের সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, নির্বাচনকালে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হলো। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে এই সিদ্ধান্ত জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ (বুধবার) পিলখানায় বিজিবির ৫ ব্যাটালিয়ন মাঠে আয়োজিত নির্বাচন কেন্দ্রিক মক এক্সারসাইজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আজ এখানে খুব সুন্দর একটি মহড়া দেখলাম। এটি পুরোপুরি আমাদের নির্বাচনী সংস্কৃতি বিবেচনায় করা হয়েছে। সাধারণত নির্বাচনে যেসব ধরনের ঘটনা ঘটে বা যে ভাবে নির্বাচন পরিচালিত হয়, সব কনসিভেবল ডাইমেনশন মাথায় রেখে বিজিবি প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী ডিউটি নিয়মিত আসে না। ৪ থেকে ৫ বছর পরপর আসে বলে বাহিনীগুলোকে বিশেষ ট্রেনিং নিতে হয়। বিজিবির নিয়মিত কাজ সীমান্ত এলাকায়। পুলিশ ১৩০টি সেন্টারে নির্বাচনভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আনসার-বিডিবির মহড়া দেখেছি। তারাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বিজিবির এ অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যাতে তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। সে জন্য সদস্যদের তৈরি করছে।
সিইসি বলেন, প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সদস্যদের নিয়ে দায়িত্বশীলতার সাথে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আশা করি এই প্রশিক্ষণ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ প্রভাব ফেলবে। আমি আশা করি সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিক এবং ১৩ কোটি ভোটার মিলে আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অর্জন করবো।
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমি বলবো না যে পরিস্থিতি পারফেক্ট লেভেলে চলে গেছে। তবে ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছেন, রাস্তায় চলাচল করতে পারছেন। ভোটের তারিখ আসতে আসতে এটা আরও উন্নতি হবে। ৩০ তারিখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আবারও বৈঠক হবে এবং সেদিনই ডেপ্লয়মেন্ট স্ট্র্যাটেজি চূড়ান্ত করা হবে। পুলিশ চাইলে একজন দুজন মোতায়েন করা যায়। কিন্তু এভাবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যায় না। সেনাবাহিনী কন্টিনজেন্ট আকারে কাজ করে। তাই তাদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত যথাযথ বিবেচনার পর নেওয়া হবে।
একটি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “যারা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের ব্যাপারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিক, ভোটার, দেশবাসী—সবাই মিলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিহত করতে হবে।”
সরকারের উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিয়ে তিনি বলেন, এটা সরকারের নীতি-নির্ধারণী বিষয়। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে
ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ঝুঁকি অ্যাসেসমেন্ট করেছি। রেড, ইয়েলো ও গ্রিন—এই তিন জোনে ভাগ করে বাহিনী মোতায়ন করা হবে।
এ দিকে বিজিবি জানিয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে বিজিবির ১২১০ প্লাটুন সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। সন্দীপ, হাতিয়া ও কুতুবদিয়া ব্যতীত সকল উপজেলায় বিজিবি নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। সীমান্তবর্তী ১১৫টি উপজেলার মধ্যে ৬০টি উপজেলায় বিজিবি সদস্যরা এককভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।
মক এক্সারসাইজ অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারে থাকার সময় বিভিন্ন জনসভায় অংশ নিয়ে জনগণের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলতেন, আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নাই। বিদায়ের আগে শুধু এই কথা বলতে চাই- আপনাদের সেবা করাই আমার কাজ।
বক্তব্যের শেষে হাসিনা বলতেন, ‘নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেবার কিছু নেই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’
অথচ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর একে একে বেরিয়ে আসছে হাসিনার অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট জালিয়াতি থেকে শুরু করে সরকারি উপহারও ব্যাংকের গোপন ভল্টে রেখেছিলেন হাসিনা।
অগ্রণী ব্যাংকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। সেখানে সংরক্ষিত দুটি ভল্ট ভেঙে এ সম্পদের সন্ধান পায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
মঙ্গলবার রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান শাখায় ভল্ট দুটি জব্দ করা হয়।
সিআইসির এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে লকার দুটি জব্দ করেছিল সিআইসি। কিন্তু হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় আইনগত বাধা থাকায় এতদিন সেগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি। অবশেষে আদালতের অনুমতি নিয়ে গতকাল লকার দুটি ভাঙা হয়। এ সময় ৭৫১ এবং ৭৫৩ নম্বর ভল্টে ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। বর্তমানে দুই লাখ টাকা ভরি হিসাবে উদ্ধার করা স্বর্ণের বাজারদর ১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
অগ্রণী ব্যাংকের লকারে স্বর্ণালংকার ছাড়াও বেশকিছু উপহারসামগ্রী পাওয়া গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় এসব উপহারসামগ্রী জমা না দিয়ে ব্যক্তিগত লকারে রাখা হয়েছিল। এতে আইনের লঙ্ঘন হওয়ায় হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হতে পারে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
এর আগে চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত সেনা কল্যাণ ভবনে পূবালী ব্যাংকের করপোরেট শাখায় শেখ হাসিনার নামে থাকা ১২৮ নম্বর লকার জব্দ করেছিল সিআইসি।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, পূবালী ব্যাংকের ওই শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে। একটি হিসাবে ১২ লাখ টাকা এফডিআর আছে। আরেক হিসাবে ৪৪ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।
এদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ রেহানাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১ ডিসেম্বর।
চলছে অগ্রহায়ণ মাস, আমন ধান ঘরে তুলার সঠিক সময়। প্রতি বছর যখন এই মাসটি আসে তখন সারাদেশের ন্যায় জয়পুরহাট জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে আমন ধান কাটার ধুম পড়ে যায়। এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি। জেলার বিস্তীর্ণ আমন মাঠ এখন সোনালী রঙ ধারণ করেছে। তাইতো কৃষকেরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মহোৎসব করছেন।
শুধু তাই নয়, নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে মাঠের ধান কাটার ধুম পড়েছে। নতুন ধান কেটে তা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। উৎসবের আমেজ শুধু মাঠে নয় কৃষাণীর উঠোন, রান্না ঘর জুড়ে। নতুন চালের গুঁড়া দিয়ে দুধ, চিনি বা গুড়ের মিশ্রণে নানা রকমের পিঠা-পুলি, ক্ষীর, পায়েস আয়োজনে ব্যস্ত তারা। উঠোনে শুকানো হচ্ছে ধান। সেই ধান থেকে হবে চাল, তারপর টেঁকিতে করা হবে সেই চালের গুঁড়া। আবার নতুন ধান ঘরে উঠলে বাজারে বিক্রির ধুম পড়ে যায় গুড়, পাটালি, চিনির। বাজার থেকে এসব কিনে বাড়িতে নতুন চালের ভাত, পিঠা এবং নতুন খাবারের আয়োজন করা হবে।
সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার আমন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। চারিদিকে সোনালী রঙের নতুন আমন ধানের মৌ মৌ ঘ্রান। মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম। নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম চলছে জেলার পাঁচ উপজেলা জুড়ে। এখন মাঠের সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা।
তবে, এবছর অসময়ের বৃষ্টি ও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এবার আমন ধানের ফলনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তবে, কিছু এলাকায় বিশেষ করে কালাই উপজেলায় আগাম আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং কৃষকরা খুশি। গেল বছরের তুলনায় ফলন কম হয়েছে, প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ মন। এতে আবাদি জমিতে ফলন কম হওয়া এবং বাজারে ধানের দাম কম থাকায় অনেক কৃষকরা কিছুটা হতাশ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় আমন ধান চাষ হয়েছে ৭০ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে।কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ও অসময়ের বৃষ্টিতে ১১৩ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হওয়ায় চাষ হয়েছে ৬৯ হাজার ৯৮২ হেক্টর জমিতে।
বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমান বাজারে মোটা আমন ধান বিক্রি প্রতি মণ ১২০০ টাকা ও সর্বোচ্চ চিকন ধান ১৩০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আমন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। চারিদিকে সোনালী রঙের নতুন আমন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ। মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম। নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম চলছে জেলা জুড়ে। এখন মাঠের সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। নানা ব্যস্ততায় বাড়ির উঠান ও কৃষি জমিতে ধান রেখে চলছে ধান মাড়াইয়ের মহোৎসব। বর্তমানে পুরো কাটা-মাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে এবং কৃষকরা ফসল ঘরে তোলার আনন্দ উপভোগ করছেন।
সদর উপজেলার ধারকী গ্রামের কৃষক ফেরদৌস হোসেন বলেন, এবছর ১২ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলাম। প্রতি বিঘায় ধান হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ মণ। গতবছরের চেয়ে প্রতি বিঘায় ধান কম হয়েছে ৪-৬ মণ। আবার বাজারে ধানের দাম কম। সারের দোকানে আলু রোপণের জন্য সার কিনতে গেলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না সার।
কালাই উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক জয়নুল হোসেন বলেন, এবার ২৫ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলাম। আগাম জাতের ধান হওয়ায় বিঘা প্রতি ২৫ মণ ধান পেয়েছি।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, এবার জেলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে পরিমিত বৃষ্টি হওয়ায় ধানি জমিতে পানি থাকায় ধানের খাদ্যে ঘাটতি দেখা দেয়নি। এতে ফলন ভালো হয়েছে। ধানে চিটা হবে না। ফলন ভালো হওয়ায় ধান উৎপাদনের মাত্রা ঠিক থাকবে।আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সব ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।
রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা ও পরিধি দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য শহরের তুলনায় ঢাকায় মানুষের আনাগোনা বাড়ছে। আর এতে করে ঢাকা নবম থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ শহরে পরিণত হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ঢাকা বৃহৎ শহরের তালিকার প্রথমস্থানে চলে আসবে।
জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে বুধবার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আগে বিশ্বের বৃহৎ শহর ছিল জাপানের রাজধানী টোকিও। কিন্তু টোকিওকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা। দ্বিতীয়তে ঢাকা। আর তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে টোকিও। সর্বশেষ ২০০০ সালের দিকে জাতিসংঘ জাপানের প্রাণকেন্দ্রকে সবচেয়ে বড় শহর হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, জাকার্তায় এখন বাস করেন ৪ কোটি ১৯ লাখ মানুষ। ঢাকায় ৩ কোটি ৬৬ লাখ আর টোকিওতে থাকেন ৩ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের অর্থনীতি এবং সামাজিক বিষয়ক বিভাগের ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্ট ২০২৫’ শীর্ষক রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মেগাসিটির সংখ্যা ৩৩-এ পৌঁছেছে। যেখানে ১৯৭৫ সালে শুধুমাত্র আটটি মেগাসিটি ছিল। যেসব শহরে ১ কোটির বেশি মানুষ থাকেন সেগুলোকে মেগাসিটি বলা হয়।
এই ৩৩টি মেগাসিটির মধ্যে ১৯টিই এশিয়ায়। এছাড়া শীর্ষ ১০টি মেগাসিটির ৯টির অবস্থানও এশিয়াতে। এগুলো হলো ভারতের নয়াদিল্লি (৩ কোট ২ লাখ বাসিন্দা), চীনের সাংহাই (২ কোটি ৯৬ লাখ বাসিন্দা), চীনের আরেক শহর গুয়াংজু (২ কোটি ৭৬ লাখ বাসিন্দা), ফিলিপাইনে মানিলা (২ কোটি ৪৭ লাখ বাসিন্দা), ভারতের কলকাতা (২ কোটি ২৫ লাখ বাসিন্দা) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল (২ কোটি ২৫ লাখ বাসিন্দা)।
এরমধ্যে শুধুমাত্র মিসরের রাজধানী কায়রো বিশ্বের শীর্ষ ১০ মেগাসিটির একটি, যেটি এশিয়ার বাইরে। কায়রোতে থাকেন ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ।
অপরদিকে আমেরিকা অঞ্চলে সবচেয়ে বড় শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে থাকেন ১ কোটি ৮৯ লাখ মানুষ। সাব-সাহারান অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাইজেরিয়ার লাগোস।
জাতিসংঘ বলেছে, ঢাকার জনসংখ্যা এত বাড়ার কারণ হলো প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ রাজধানীতে দলে দলে এসেছেন। যাদের অনেকে কাজ বা সুযোগের সন্ধানে, অনেকে বন্যা ও সমুদ্রস্তর বাড়ার ঝুঁকির কারণে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন।
সূত্র: আলজাজিরা
অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য যেকোনো অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ফের দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় সোয়া ৬ কোটি মানুষ। এরা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল আমারিতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল, এ সময়ে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। ফলে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছিল, এবং আরও ৯০ লাখ মানুষ অতি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছিল। ফলে তাদের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পয়ঃনিষ্কাশনের মত জরুরি সেবাগুলো পাওয়াও সহজ হয়েছে। তবে ২০১৬ সাল থেকে দারিদ্র্য কমার গতি ধীর হয়েছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও কম অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে।
বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও বৈষম্য মূল্যায়ন ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২২ সময়ে চরম দারিদ্র্য ১২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং মাঝারি দারিদ্র্য ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য যেকোনো অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের মুখে পড়ে আবারও দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়ে গেছে।
২০১৬ সালের পর থেকে তুলনামূলকভাবে কম অর্ন্তভুক্তিমূলক হয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিপথ বদলে গেছে। দেখা গেছে, প্রবৃদ্ধির সুফল পেয়েছেন ধনী মানুষ, ফলে আয় বৈষম্য বেড়ে গেছে। কৃষির ওপর ভর করে গ্রামীণ এলাকাগুলো দারিদ্র্য হ্রাসে নেতৃত্বের ভূমিকায় উঠে আসে। একই সময়ে শহরে দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমেছে। ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জন বাংলাদেশি শহরে বাস করতে শুরু করেছেন।