মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
১৫ পৌষ ১৪৩২
একনেক বৈঠকে সিদ্ধান্ত

মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ পাচ্ছে জাপান

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ২১:২৪

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ পাচ্ছে জাপান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। কোন দেশ এটি নির্মাণ করবে তা নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। সব যাচাই-বাছাই শেষে জাপানকে কাজ দেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ২৪ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে আংশিক ঋণ দেবে জাপান। তাদের ঋণের শর্ত ভালো। প্রকল্পে অনিয়ম হলে তা বিচারের জন্য দেশটিতে আইনি কাঠামোও বেশ শক্ত বলে জানান এ উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আজ একনেক সভায় ২৪ হাজার ৪১২ কোটি টাকার চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, আগে থেকে চলমান প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির আগেও ব্যয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা গাড়ি কেনার চেয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, পার্ক ও লাইব্রেরি নির্মাণ, জলাধার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে কতগুলো গাড়ি কেনা হয়েছে, সেগুলো কোথায় আছে, কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে সব খতিয়ে দেখবে সরকার।

৫০০ শিক্ষক ভিসি হতে চান, কেউ পড়াতে চান না

ব্রিফিংয়ে শিক্ষা বিষয়েও কথা বলেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য হওয়ার জন্য শিক্ষকদের তদবিরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৫০০ শিক্ষক ভিসি হতে চান। কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে চান না। সবাই ভিসি হওয়ার জন্য তদবির করেন। শত শত শিক্ষক ভিসি হতে চান। কেউ ভিসি, কেউ প্রো-ভিসি হতে চান।

উন্নয়ন প্রকল্পের সব গাড়ির হিসাব নেবে সরকার

একনেক বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি ব্যবহারের হিসাব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। বৈঠক শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি কোথায় যায় এবং একজন কর্মকর্তা কয়টা জিপ গাড়ি ব্যবহার করেন এসব খুঁজে বের করা হবে।

তিনি বলেন, এত দিন সরকারি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে কতগুলো গাড়ি কেনা হয়েছে, সেগুলো কোথায় আছে, কিভাবে ব্যবহার হচ্ছে, সব খতিয়ে দেখবে সরকার। প্রকল্প শেষ হলে গাড়িগুলো কেন আর খুঁজে পাওয়া যায় না সব যাচাই করা হবে। এ জন্য জেলা উপজেলাসহ সারা দেশে সরকারি গাড়ি আছে তার একটি তালিকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে একনেক সভায়। কোন গাড়ি কোথায় আছে, কত দিন কার্যকর থাকে সব তথ্য দিতে বলা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।

দুর্নীতি কিছুটা কমলেও চাঁদাবাজি তেমন কমেনি

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা মন্তব্য করেন তাদের দুই মাসের শাসনামলে ‘দুর্নীতি কিছুটা কমেছে তবে চাঁদাবাজি তেমন কমেনি।’ উপদেষ্টা বলেন, চলতি প্রকল্পগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কম হওয়ায় প্রকল্পগুলোর গতি ধীর, এগুলোর অর্থ প্রবাহ বাড়বে না। অর্থ প্রবাহ বাড়াতে আগের প্রকল্পের কাজ এগোতে হবে। নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে। তবে আগে থেকে চলমান প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির আগে সেগুলোর ব্যয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা গাড়ি কেনার চেয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, পার্ক ও লাইব্রেরি নির্মাণ, জলাধার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কাজ টাঙ্গাইল পর্যন্ত হয়ে স্থবির হয়ে আছে। সেখানে যথেষ্ট বিদেশি অর্থায়ন আছে। সুদের হারও কম। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমান সরকার বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এ ছাড়া ঢাকার বাইরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।


বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় তিনি এই বর্ষীয়ান নেত্রীর প্রয়াণে নিজের এবং পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানান। শেহবাজ শরীফ বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে বেগম জিয়া যে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং দেশ ও জাতির জন্য যে আজীবন অবদান রেখে গেছেন, তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

শোকবার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের একজন ‘নিবেদিত বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, এই শোকাবহ মুহূর্তে পাকিস্তানের সরকার এবং সেদেশের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের জনগণের পাশে রয়েছে। শেহবাজ শরীফ আরও বলেন, এই কঠিন সময়ে তাঁদের আন্তরিক সমবেদনা ও প্রার্থনা মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং পুরো বাংলাদেশের মানুষের সাথে রয়েছে। তিনি মহান আল্লাহর কাছে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন।

উল্লেখ্য, লিভার সিরোসিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় দীর্ঘ দিন লড়াই করার পর আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর এই চিরবিদায়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা শোক জানাচ্ছেন, যার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করা হলো। মূলত দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বেগম জিয়ার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের বিষয়টিই এই শোকবার্তায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।


ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীতে খালেদা জিয়ার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে: নরেন্দ্র মোদি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তার মাধ্যমে তিনি এই প্রবীণ নেত্রীর প্রয়াণে তাঁর পরিবার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নরেন্দ্র মোদি তাঁর বার্তায় খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করার পাশাপাশি এ দেশের উন্নয়ন এবং ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

শোকবার্তায় মোদি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান সবসময় অম্লান হয়ে থাকবে। ২০১৫ সালে তাঁর ঢাকা সফরের সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শিক উত্তরাধিকার ভবিষ্যতেও দুই দেশের অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে বিশেষ অনুপ্রেরণা জোগাবে। তিনি বিনম্র শ্রদ্ধায় এই বরেণ্য নেত্রীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

উল্লেখ্য, লিভার সিরোসিসসহ নানা জটিলতা নিয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর এই প্রয়াণে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশ্বনেতারা শোকবার্তা পাঠাচ্ছেন, যার ধারাবাহিকতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই আন্তরিক প্রতিক্রিয়া জানানো হলো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদির এই শোকবার্তা দুই দেশের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক মৈত্রী এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিরই বহিঃপ্রকাশ।


বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে রাষ্ট্রপতির গভীর শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিশেষ শোক বার্তায় তিনি এই বর্ষীয়ান নেত্রীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়ার ‘আপসহীন ভূমিকা’ এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বার্তায় উল্লেখ করেন যে, বেগম জিয়ার চলে যাওয়া জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার, দলের অগণিত নেতাকর্মী ও অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোকাতুর এই মুহূর্তে তিনি দেশবাসীকে মরহুমার স্মৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি তাঁর জন্য বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এবং লিভার সিরোসিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, যেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর এই চিরবিদায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বর্ণাঢ্য ও দীর্ঘ অধ্যায়ের অবসান ঘটল। বর্তমানে তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের আবহ বিরাজ করছে।


দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আনুমানিক দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তার মাধ্যমে এই বিশেষ ভাষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এ দেশের মানুষের ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর এই মহাপ্রয়াণে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সকালেই এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বেগম জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে জাতি আজ তার এক মহান অভিভাবককে হারাল। তাঁর মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।” প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে খালেদা জিয়ার নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতার থেকে একযোগে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে বেগম খালেদা জিয়ার স্মৃতির প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন, তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অবদান এবং বর্তমান শোকাবহ পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণ ও শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন। তাঁর এই ভাষণের দিকে এখন অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে পুরো দেশ।


বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চীনের প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোক প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এক বিশেষ শোকবার্তায় তিনি এই শোক প্রকাশ করেন। ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাস থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

শোকবার্তায় লি কিয়াং বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের একজন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ রাজনীতিক হিসেবে অভিহিত করার পাশাপাশি তাঁকে চীনা জনগণের একজন দীর্ঘদিনের ও অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা এবং উভয়ের কল্যাণের ওপর ভিত্তি করে একটি শক্তিশালী ও সমন্বিত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব গড়ে উঠেছিল। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে এবং দুই দেশের মৈত্রীকে সুদৃঢ় করতে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা চীন সরকার সবসময় অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে মূল্যায়ন করে।

চীনের প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে, বেইজিং সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার মাধ্যমে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও আধুনিক ও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে চীন সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে, যাতে উভয় দেশের সাধারণ মানুষ সুফল ভোগ করতে পারে।

উল্লেখ্য, লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর এই প্রয়াণে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিকরা গভীর শোক প্রকাশ করে বার্তা পাঠাচ্ছেন। বরেণ্য এই নেত্রীর বিদায়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় শূন্যতার সৃষ্টি হলো বলে মনে করছে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র চীন।


বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিএনপির সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে দেশব্যাপী সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই শোক পালনের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি জানান, আজ থেকে পরবর্তী সাত দিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সকল জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। একই সাথে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা এই সাত দিন শোকের প্রতীক হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শোক চলাকালীন প্রতিটি দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় এবং নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের জেলা কার্যালয়গুলোতে শোকবই খোলা হবে। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ নাগরিকরা তাঁদের শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। রুহুল কবির রিজভী জানান, দেশ এক মহান ও আপসহীন নেত্রীকে হারাল, যা পূরণ হওয়ার নয়।

উল্লেখ্য, লিভার সিরোসিসসহ নানা জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর এই প্রয়াণে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতা ও শোকের আবহাওয়া বিরাজ করছে। পরিবারের সদস্য ও দলীয় হাইকমান্ডের আলোচনার ভিত্তিতে মরহুমার জানাজা এবং দাফনের সুনির্দিষ্ট সময়সূচি ও স্থান পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। বর্তমানে প্রিয় নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে হাসপাতালের সামনে এবং দলীয় কার্যালয়গুলোতে শোকাতুর হাজারো নেতাকর্মীর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।


জাতি এক মহান অভিভাবককে হারাল: খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অবিসংবাদিত প্রতীক এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি এই বর্ষীয়ান নেত্রীর প্রয়াণকে দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে অভিহিত করেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বেগম জিয়ার ইন্তেকালে জাতি আজ তার এক মহান অভিভাবককে হারাল এবং তাঁর মৃত্যুতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত মর্মাহত।

শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে, খালেদা জিয়া শুধু একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেত্রীই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, দেশপ্রেম এবং জনগণের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়েই সরকার চলতি মাসে তাঁকে ‘রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিভিআইপি হিসেবে ঘোষণা করেছিল। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর আপসহীন নেতৃত্বের গুণেই জাতি বারবার গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে মুক্তির দিশা পেয়েছে।

খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ১৯৮২ সালে এক কঠিন সময়ে রাজনীতির মাঠে আসার পর তাঁর সাহসী নেতৃত্বেই দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তি চালু করেছিলেন, যা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এ ছাড়াও নব্বইয়ের দশকে তাঁর নেওয়া অর্থনৈতিক উদারীকরণের নীতিগুলো দেশের অর্থনীতির মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

রাজনৈতিক সাফল্যের অনন্য নজির হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন যে, খালেদা জিয়া তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি, যা জনগণের কাছে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তারই প্রমাণ। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বেগম জিয়া ছিলেন প্রতিরোধের এক সাহসী প্রতীক। মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে দীর্ঘ সময় কারাবরণ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে, তবুও তিনি তাঁর নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর দৃঢ় মনোবল ও ত্যাগের উদাহরণ দেশবাসীকে আগামী দিনেও অনুপ্রাণিত করবে।

পরিশেষে, প্রধান উপদেষ্টা মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। জাতির এই শোকাবহ মুহূর্তে তিনি দেশের প্রতিটি নাগরিককে শান্ত থাকা এবং পরম ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দেশবাসীকে যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে এই কিংবদন্তি নেত্রীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও প্রার্থনা করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করেন। মূলত এক আদর্শিক ও আপসহীন নেতৃত্বের বিদায়বেলাকে বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।


খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বার্তার মাধ্যমে এই শোক জানানো হয়। শোকবার্তায় যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করেছে যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের আধুনিক ইতিহাস গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বাংলাদেশের উন্নয়নকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এবং দেশ গঠনে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান নেত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। দীর্ঘ চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে তিনি এ দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। তাঁর প্রয়াণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলসহ দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিকরা বাংলাদেশের এই অভিভাবকতুল্য নেত্রীর বিদায়ে শোকবার্তা পাঠাচ্ছেন।


বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী ও জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আর নেই।

আজ মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

সকাল সোয়া ৯টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, এই সংবাদটা নিয়ে সবার সামনে দাঁড়াতে হবে ভাবিনি। আমরা এবারও ভেবেছিলাম তিনি আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমরা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলছি আজ ভোর ৬ টায়, গণতন্ত্রের মা, আমাদের অভিভাবক, জাতির অভিভাবক আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

মৃত্যুর সময় খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে ছিলেন তাঁর জ্যেষ্ঠ ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় হাসপাতালে আরও উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান এবং প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

স্বজনদের মধ্যে ছোট ভাই শামীম এসকান্দার ও তার স্ত্রী, বড় বোন সেলিনা ইসলামসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও শেষ সময়ে হাসপাতালে ছিলেন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। পাশাপাশি কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাও ছিল তাঁর।

হার্ট ও ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা তদারকি করেন।

এই মাসের শুরুতে চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরবর্তীতে তা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়া ‘আপসহীন নেত্রী’ উপাধি পেয়েছিলেন। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে জীবনের পরম সত্যের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

রাজনীতিকদের জীবনে উত্থান-পতন থাকে। মামলা-মোকদ্দমা, গ্রেপ্তার, কারাবাস, নির্যাতন, প্রতিপক্ষের আক্রমণ- এসবও তাঁদের জীবনে অভাবনীয় নয়। খালেদা জিয়াও চরম পর্যায়ের এমন নির্যাতন সহ্য করেছেন। সহ্য করেছেন স্বামী-সন্তান হারানোর গভীর শোক আর দীর্ঘ রোগযন্ত্রণা।

রাজনৈতিক জীবনে মতাদর্শিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছাড়াও প্রতিপক্ষের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ, লাঞ্ছনা ও নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া।

বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন, যিনি ১৯৯১ সাল থেকে তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নির্বাচিত নারী সরকারপ্রধান ছিলেন।

১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের ঘরে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে দেশভাগের পর তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে চলে আসেন। তাঁদের আদি বাড়ি ফেনীতে। তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং পরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬০ সালে তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন।

জিয়াউর রহমান বীর উত্তম রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বেগম জিয়া ফার্স্ট লেডি হিসেবে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে অংশ নেন। এ সময় তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার এবং নেদারল্যান্ডসের রানি জুলিয়ানাসহ বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

১৯৮১ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি বিএনপিতে সাধারণ সদস্য হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের মার্চে তিনি ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৪ সালের আগস্টে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

বেগম জিয়া দেশের রাজনীতিতে একটি অনন্য রেকর্ডের অধিকারী। তিনি কখনো কোনো আসনে পরাজিত হননি। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পাঁচটি পৃথক আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তিনটি আসনেই বিজয়ী হন।সূত্র : বাসস


জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সফলভাবে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন ড. ইউনূস।

সাক্ষাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট, বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান চলাচল, অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া শ্রম সংস্কার এবং দুই দেশের সামগ্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশে এক বছরের দায়িত্বপূর্ণ মেয়াদ শেষে দেশে ফেরার প্রাক্কালে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন গত ১৭ মাসে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সফলভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।

অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বিশেষভাবে নতুন শ্রম আইনকে ‘অসাধারণ ও ব্যতিক্রমধর্মী’ বলে উল্লেখ করেন। তার মতে, এসব সংস্কার বাংলাদেশে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে। তিনি আগের সরকারগুলোর আমলে শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে করা ৪৬টি মামলার মধ্যে ৪৫টি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেন।

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা নতুন শ্রম অধ্যাদেশকে ‘একটি উৎকৃষ্ট আইন’ হিসেবে উল্লেখ করে জানান, দেশের শীর্ষ স্থানীয় শ্রমিক নেতারা এ সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুসমর্থনের বিষয়টিও ইতিবাচকভাবে দেখছেন।

সাক্ষাতে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার অর্থায়ন নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব এলাকায় আশ্রয় শিবিরগুলোতে বসবাসরত এক মিলিয়নের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার জন্য জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে সবচেয়ে বড় দাতা। ভবিষ্যতেও এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিদায়ী সাক্ষাতে এক বছরের দায়িত্বকালে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ করার জন্য ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি তাকে বাংলাদেশের ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে আবার বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

সাক্ষাতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।


দেশ গড়তে নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগী হোন

* দোতলায় বেলকনিতে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নেতাকর্মীদের * বর্ণিল সাজে সজ্জিত কার্যালয়, হাজার হাজার নেতাকর্মীর প্রাণচাঞ্চল্য
আপডেটেড ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ দেড় যুগ পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) নয়াপল্টন কার্যালয়ে এলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টা ৩৫মিনিটে তিনি রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছান। তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে দলীয় কার্যালয়। দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হন। তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়। তিনি দোতলায় বেলকনিতে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদেশে বলেন, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগী হোন। আমাদের যার যতটুকু অবস্থান আছে, সেখান থেকে আসুন- আমরা আমাদের দেশটাকে নতুন গড়ে তোলার চেষ্টা করি। যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা সচেষ্ট হই। কোথাও যদি রাস্তায় এমনি কাগজ পড়ে থাকে, ময়লা হয়ে থাকে তখনই সেটাকে আমরা সরিয়ে দেব। এভাবে ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে দেশটাকে গড়ে তুলি।

নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, এখন সবাইকে অনুরোধ করব, দ্রুত রাস্তাটাকে খালি করে দিন, যাতে সাধারণ মানুষ চলাফেরা করতে পারে। সকলে ভালো থাকবেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন।

তারেক রহমান বলেন, আজকে এখানে আমাদের কোনো অনুষ্ঠান নেই। আমরা যদি এই রাস্তটা বন্ধ করে রাখি তাহলে সাধারণ মানুষের চলাচলের অসুবিধা হবে। যেহেতু কোনো অনুষ্ঠান নেই। সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব আমরা যেন এখান থেকে চলে যাই। ইনশাআল্লাহ কর্মসূচি যখন নেবো তখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবো। সকলে দোয়া করবেন।

বিকাল ৪টা ৫মিনিটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। ব্যাপক মানুষের ভিড় ডিঙিয়ে তারেক রহমান গাড়ি কার্যালয়ের সামনে আনতে নিরাপত্তা কর্মীদের বেগ পেতে হয়। বিকাল ৩টার দিকে গুলশানের বাসায় থেকে বের হয় তারেক রহমানের গাড়িবহন। নয়াপল্টন সড়কে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতি তার গাড়িবহর ধীর গতিতে এগুয়ে যায়।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার পর গত রোববার প্রথম গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসে দাপ্তরিক কাজ সেরেছিলেন তারেক রহমান। আর সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সাংগঠনিক কাজে অংশ নেন। তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে তাকে স্বাগত জানাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নেয়।

এসময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিলেন বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ আরও নেতারা।


মনোনয়নপত্র জমার সময় আর বাড়ছে না: নির্বাচন কমিশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময় আর বাড়ছে না বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক সময়সীমা শেষ হওয়ার পর কমিশন এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে। এর ফলে আগে ঘোষিত নির্বাচনী তফশিল অনুযায়ীই পরবর্তী সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান যে, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজই ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন এবং এই সময়সীমা বাড়ানোর কোনো অবকাশ নেই। তফশিল অনুযায়ী আজ সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সারাদেশের আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়গুলোতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শেষ দিনে দেশের বিভিন্ন আসনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপক ভিড় এবং উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ করা গেছে।

সারাদেশে আজ দিনভর মোট কতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেন, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন যে বর্তমানে সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। জেলা ও অঞ্চলভিত্তিক এই বিশাল তথ্যভাণ্ডার সংকলন করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আজ রাত ১০টার মধ্যে দেশজুড়ে কতজন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তার একটি সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান কমিশন গণমাধ্যমকে জানাতে পারবে।

ঘোষিত নির্বাচনি সময়সূচি অনুযায়ী, আজ সংগৃহীত এসব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবং তা চলবে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর পর্যায়ক্রমে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের, আপিল নিষ্পত্তি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মূলত একটি সুশৃঙ্খল নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতেই কমিশন তফশিলের ওপর অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


ওসমান হাদির খুনিদের ধরিয়ে দিতে শিখ সংগঠনের ৫৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রদানের জন্য ৫৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শিখ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এই বড় অঙ্কের পুরস্কারের কথা জানায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে, যেখানে বলা হয়েছে যে হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে, এই পুরস্কার ঘোষণা করল সংগঠনটি।

এসএফজে-এর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হাদির খুনিদের বর্তমান অবস্থান জানানো, তাঁদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা অথবা তাঁদেরকে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে সহায়ক যেকোনো তথ্যের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হবে। সংগঠনটির জেনারেল কাউন্সেল গুরপতবন্ত সিং পান্নুন এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি ভারতের মোদী সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ডটি ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে পরিচালিত একটি সুপরিকল্পিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অংশ। তিনি এই ঘটনার সাথে কানাডায় শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের ধরনের মিল রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, এই পুরস্কার ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য হলো অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করা। তবে শিখ সংগঠনের এই গুরুতর অভিযোগ ও পুরস্কার ঘোষণার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভারত সরকার বা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর পল্টনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরীফ ওসমান হাদি। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওদিকে পুলিশি তদন্তে ফয়সালসহ মূল আসামিদের অবস্থান নিয়ে নানা তথ্য উঠে এলেও শেষ পর্যন্ত তাঁদের ভারতে পলায়নের বিষয়টিই এখন প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।


banner close