শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
১৪ আষাঢ় ১৪৩২
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিবৃতি

৯ মাসে সড়কে ঝরেছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি প্রাণ

প্রতীকী ছবিটি সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:৫২

চলতি বছরের গত ৯ মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের। আর আহত হয়েছেন সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ।

রোববার গণমাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানা যায়।

সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৪৮৫টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৮ জন এবং আহত ৯ হাজার ৬০১ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭৭ জন, শিশু ৭২৯ জন।

এর মধ্যে ২ হাজার ৪১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৯২৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭ দশমিক ২১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১২১ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২০ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৮৮ জন, অর্থাৎ ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ।

আরও বলা হয়, এই সময়ে ৮৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত, ১২৫ জন আহত এবং ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৪৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২২৭ জন নিহত এবং ২২৩ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৯২৪ জন (৩৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ), বাস যাত্রী ২৯৩ জন (৫ দশমিক ২৩ শতাংশ), পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ইত্যাদি) ৪২০ জন (৭ দশমিক ৫০ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ২৯৫ জন (৫ দশমিক ২৬ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-ইজিবাইক-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি) ১০৯৭ জন (১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ২৭৮ জন (৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১৭০ জন (৩ দশমিক ০৩ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৪৯টি (৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২১৩৪টি (৩৮ দশমিক ৯০ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৭১টি (১৪ দশমিক ৫ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৬৭০টি (১২ দশমিক ২১ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬১টি (১ দশমিক ১১ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; সড়ক এবং সড়ক পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব না হওয়া; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে।

সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; সড়ক এবং সড়ক পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব হওয়া; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে; সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।


নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে পবিপ্রবির অধ্যাপক তিন বছরের জন্য অবনমিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পবিপ্রবি প্রতিনিধি

নারী শিক্ষার্থীকে মানসিক নিপীড়ন ও যৌন হেনস্তার অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আবদুল আহাদ বিশ্বাসকে তিন বছরের জন্য সহযোগী অধ্যাপক পদে অবনমিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিনের স্বাক্ষরিত ১৯ জুনের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

চাকরি সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৫৫তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদেশ অনুযায়ী, অবনমনকালীন তিন বছর ড. আহাদ বিশ্বাস কোনো ক্লাস নিতে পারবেন না। পরীক্ষার দায়িত্ব, শিক্ষার্থীদের গবেষণার তত্ত্বাবধান কিংবা শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকেও তাকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া, এ সময় কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ বা পূর্বের অভিযোগের পুনরাবৃত্তি ঘটলে উপাচার্য তাকে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই চাকরিচ্যুত করতে পারবেন। এই বিষয়ে তার আপিল করার সুযোগও রাখা হয়নি।

তবে তিন বছর পর নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তিনি পূর্বের পদ ও স্কেলে পশু বিজ্ঞান বিভাগে যোগ দিতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য যে, অবনমনকালীন এই সময়সীমা তার সক্রিয় চাকরিকাল হিসেবে গণ্য হবে না।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ড. আহাদ বিশ্বাসকে তাৎক্ষণিকভাবে সব শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় এবং সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তার অভিযোগে বলা হয়, ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে তাকে মানসিকভাবে নিপীড়ন করতেন, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও অপমানজনক মন্তব্য করতেন এবং একাধিকবার যৌন হেনস্তার চেষ্টা করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এছাড়াও ড. আহাদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নাম্বার আটকিয়ে দেওয়া, পরীক্ষায় অনৈতিকভাবে নম্বর কেটে দেওয়া এবং টানা ৪-৫ ঘণ্টা ধরে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। গত বছরের ১৮ নভেম্বর, ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ নিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ড. আহাদ বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ, ফেনীতে সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী জেলা প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করার পদক্ষেপ, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোরের উদ্যোগ, স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে’ জড়ানোর চেষ্টা বন্ধের দাবিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ ফেনীতে সমাবেশ করেছে।

অর্ধশতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বলে আয়োজকদের ভাষ্য।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডস্থ শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে রোড মার্চের সূচনা হয়। শুরুতে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের শিল্পীরা 'দুর্গম গিরি কান্তার মরু', 'জনতার সংগ্রাম চলবেই' গানগুলো গেয়ে শোনান। আগে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা রোড মার্চে যোগ দিতে আসেন। তাদের প্রায় সবার হাতেই দেখা যায় প্ল্যাকার্ড, ব্যানার।

রোড মার্চ শুরুর আগে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, "চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার উদ্যোগের বিরোধিতাসহ রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর চালুর প্রতিবাদে এ রোর্ডমার্চ। মা মাটি মোহনা কোনোভাবেই আমরা বিদেশিদের হাতে দেব না।"

‘দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র’ রুখে দিতে দেশপ্রেমিক সকল জনগণকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানান তিনি।

রোড মার্চের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে ফেনী থেকে যাত্রা করে মিরসরাই, সীতাকুণ্ডে পথসভা ও মিছিল শেষে চট্টগ্রাম বন্দরের সামনে সমাপনী সমাবেশ করা হবে।

ক্যাপশন : বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।


কিশোরগঞ্জের সেই গোরখোদক মনু মিয়া আর নেই

আপডেটেড ২৮ জুন, ২০২৫ ১৪:০৪
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের বাসিন্দা গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন। শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে আলগাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মনু মিয়া তার জীবদ্দশায় প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো কবর খনন করেছেন। কবর খুঁড়তে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে তিনি ঘোড়া ব্যবহার করতেন। কিছুদিন আগে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। এই সুযোগে রহস্যজনক কারণে দুর্বৃত্তরা মনু মিয়ার ঘোড়াটিকে হত্যা করে।

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠে। তবে শারীরিক দিক বিবেচনায় তখন মনু মিয়াকে তার ঘোড়ার মৃত্যুর কথা জানানো হয়নি।

এরপর কিছুটা সুস্থ হলে তাকে ঘোড়াটির মৃত্যুর খবর জানানো হয়। ঢাকায় চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে নিজ বাড়িতে যান মনু মিয়া। আজ শনিবার সকালে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।


দেশের সকল বিভাগেই বৃষ্টির সম্ভাবনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ও সিলেট বিভাগের অনেক অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়াও খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ মধ্য প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল (শুক্রবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ডিমলায় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উল্লেখ্য, আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মোংলায় ৯৩ মিলিমিটার বা মিমি।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।

ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে।


শুল্ক চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে ঢাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অব্যাহত আলোচনায় রয়েছে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার, যেখানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাডের সাবেক বাণিজ্যনীতি প্রধান ড. রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষ দ্রুততম সময়ে চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’


লেবাননে হামলায় নিহত ১, আহত ২৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশটির দক্ষিণে শুক্রবার ইসরাইলি হামলায় একজন নারী নিহত ও অপর ২৫ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর অস্ত্রকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বৈরুত থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা শত্রুতার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে ২৭ নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি পর থেকে ইসরাইল লেবাননের ওপর, বিশেষ করে দক্ষিণে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে, যার মধ্যে দুই মাসের সর্বাত্মক যুদ্ধও অন্তর্ভুক্ত। ফলে, হিজবুল্লাহ মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।

সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘নাবাতিয়েহের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরাইলি শত্রুর হামলায়’ এক নারী নিহত ও অপর ১৪ জন আহত হয়েছে।

এনএনএ জানিয়েছে, একটি ড্রোন অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলা চালিয়েছে।

ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, সেনাবাহিনী ‘কোনও বেসামরিক ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করেনি।’

এনএনএ-এর আগে নাবাতিয়েহ অঞ্চলের আরও কয়েকটি এলাকায় ‘একের পর এক ভারী বোম হামলার’ খবর দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব হামলায় সাতজন আহত হয়েছে।

পরে শুক্রবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণে শাকরাতে ‘ইসরাইলি ড্রোন হামলায়’ আরও চারজন আহত হয়েছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলো নাবাতিয়েহ ও ইসরাইলি সীমান্তের কাছে বিউফোর্ট রিজ এলাকায় হিজবুল্লাহ’র অগ্নিনির্বাপণ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত একটি স্থানে আঘাত করেছে।

বলা হয়েছে যে, স্থানটি ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূগর্ভস্থ প্রকল্পের অংশ যা অভিযানের ফলে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারের বাইরে’ ছিল।

সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘হিজবুল্লাহ’র পুনর্বাসন প্রচেষ্টা আগে থেকেই চিহ্নিত করেছে এবং এলাকায় সন্ত্রাসী অবকাঠামোগত স্থানগুলোয় হামলা করেছে’, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডকে ‘ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে বোঝাপড়ার স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর আদ্রাই বলেছেন, অগ্নি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাইটের ভিতরে থাকা বেসামরিক ভবনে ‘একটি রকেট আঘাত হেনেছে।

তিনি বলেন,‘লেবাননের সরকার তার ভূখণ্ডের মধ্যে যা ঘটে তার জন্য দায়ী, কারণ তারা হিজবুল্লাহর ভারী অস্ত্র ও রকেট জব্দ করেনি।’

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, হিজবুল্লাহকে তার যোদ্ধাদের ইসরাইলি সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ফিরিয়ে আনার কথা।

ইসরাইলকে দেশ থেকে তার সৈন্যদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হয়। কিন্তু লেবাননের দক্ষিণে পাঁচটি স্থানে তাদের রাখা হয়েছে। তারা একে কৌশলগত বলে মনে করে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে এই যুদ্ধবিরতি করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছে লেবাননের দক্ষিণে লেবাননের সৈন্য ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদেরই একমাত্র অস্ত্র বহন করা উচিত এবং সমস্ত অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়।

লেবাননের সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ভেঙে দিচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ অস্ত্র বহনের ওপর রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া অধিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইসরাইল ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রস্তাব উপেক্ষা করে চলেছে।’ তিনি ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘জাতীয় সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ‘শত্রুতা বন্ধের ব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতার’ জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছেন।

জাতিসংঘকে লেখা এক চিঠিতে লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনীর ম্যান্ডেট এক বছরের জন্য নবায়নের অনুরোধ জানিয়ে, যা আগস্টে শেষ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ইসরাইলের দখলকৃত সমস্ত লেবাননের ভূখণ্ড থেকে প্রত্যাহার ও চলমান লঙ্ঘন বন্ধ করার’ দাবি করেছে।

এই মাসের শুরুতে, ইসরাইল সতর্ক করে দিয়েছে যে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র না করা পর্যন্ত তারা লেবাননে হামলা চালিয়ে যাবে।


এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে : ফ্যাক্টওয়াচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভিডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।

বাংলাদেশে গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনসাধারণকে সঠিক তথ্য জানাতে কাজ করা স্বাধীন অনুসন্ধানী সংস্থা ফ্যাক্টওয়াচ এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং পরিচালিত হয় সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস)’র মাধ্যমে।

ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, সম্প্রতি ফেসবুক ও টিকটকে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি অনেক ভিডিও ছড়ানো হয়েছে, যেগুলোর লক্ষ্য আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে পক্ষে-বিপক্ষে উপস্থাপন করা। এসব ভিডিওর মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান দলের বরাতে বলা হয়, গত ২১ জুন ‘পলিটিক্যাল মিম’ নামের একটি ফেসবুক পেইজে ‘কেন টেম্পোস্ট্যান্ড ও চাঁদাবাজদের ভোট দেব না’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ওই ভিডিওতে হিজাব পরা এক নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘টেম্পোস্ট্যান্ড বা কোনো চাঁদাবাজকে ভোট দিলে তাদের অপকর্মের দায় আপনাকেও নিতে হবে।’

ফ্যাক্টওয়াচ নিশ্চিত করেছে, ভিডিওটি আসল নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।


দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

গলে প্রথম টেস্ট অবিশ্বাস্যভাবে ড্র হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্য কিছু না হলে যে হারতে চলেছে বাংলাদেশ, তা একপ্রকার নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল গতকালই। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে পারে কি না—শুধু তা-ই দেখার অপেক্ষা ছিল। তবে সেই আশা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা।

কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন ১১৫ রান তুলতে গিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এরপর চতুর্থ দিন শুরুর পর মাত্র ৩৪ বলেই গুটিয়ে গিয়েছে টাইগারদের ইনিংস।

দ্বিতীয় ইনিংসে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে কেবল লিটন দাসই আউট হতে বাকি ছিলেন। তবে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর পর পঞ্চম বলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।

লিটনের আউটে বাংলাদেশ ১১৭ রানে সাত উইকেট হারানোর পর স্কোরবোর্ডে আর ১৬ রান যোগ করতে পারেন লেজের দিকের ব্যাটাররা। ফলে ৭৮ রান ও এক ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবতে হয় নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড কোং-কে।

প্রথম ইনিংসে কেউ অর্ধশত ছুঁতে না পারলেও বেশ কয়েকটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে ২৪৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৩ রানেই শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। এই ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন জয়সুরিয়া।

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৮০ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ, যা শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের ৪৫৮ রান টপকে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ১৫৮, দীনেশ চান্দিমালের ৯৩ ও কুশল মেন্ডিসের ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে ওই রান করে স্বাগতিকরা।

বল হাতে তাইজুল ইসলামও পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, যা ছিল বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ পাঁচবার পাঁচ উইকেট করে নেওয়ার রেকর্ড। তবে লজ্জাজনক হারে সেই রেকর্ড ম্লান হয়েছে।

টেস্ট ইতিসাসে এটি বাংলাদেশের ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। আর সর্বোচ্চ ৯ বার টাইগারদের এই তেতো অভিজ্ঞতা দিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে একই সংখ্যক টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে জেতার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। এই রেকর্ডে শ্রীলঙ্কা আজ প্রোটিয়াদের পাশে বসল।


ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরল ৪ প্রাণ, আহত ১৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের হাসাড়ায় ট্রাকের পেছ‌নে এক‌টি বা‌সের ধাক্কায় চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের সিংপাড়া-নওয়াপাড়া ও হাসাড়া ব্রিজ-২-এর মধ্যবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— যশোরের মধুগ্রাম থানার বজলুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান (৬৫), পাগলাদাহ থানার ইনসান আলির ছেলে ডা. জালাল (৬৫), ডা. আব্দুল হালিম (৫৫) এবং হেলপার পাগলাদাহ থানার মো. বাপ্পির ছেলে হাসিব (৩২)। তারা সবাই যশোরের বাসিন্দা।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, যশোর থেকে ঢাকাগামী একটি নাইট কোচ হামদান এক্সপ্রেস চলন্ত একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পর উভয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানের সড়ক দ্বীপে রেলিংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান।

খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় চারজনে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।

মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী বাহিনী যৌথভাবে কাজ করে দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটি সরিয়ে নেয়। সাময়িক বিঘ্নের পর এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শনিবার দক্ষিণ ফিলিপাইনের উপকূলে ৬.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।

ম্যানিলা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি দাভাও অক্সিডেন্টাল প্রদেশের নিকটতম এলাকা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে ১০১ কিলোমিটার (৬৩ মাইল) গভীরে আঘাত হানে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

সারাঙ্গানির দ্বীপের একজন প্রাদেশিক উদ্ধারকারী মারলাউইন ফুয়েন্তেস এএফপিকে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পটি তেমন শক্তিশালী ছিল না, তবে কার্যালয়ের টেবিল এবং কম্পিউটারগুলো (প্রায় পাঁচ সেকেন্ড) কেঁপে উঠেছিল’।

কোনও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

ফিলিপাইনে ভূমিকম্প একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় ’রিং অফ ফায়ার’ এর পাশে অবস্থিত। জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের একটি বৃত্ত।

বেশিরভাগ ভূমিকম্পই এতটাই দুর্বল যে মানুষ তা অনুভব করতে পারে না, কিন্তু শক্তিশালী এবং ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পগুলো এলোমেলোভাবে আসে এবং কখন ও কোথায় ঘটবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য কোনও প্রযুক্তি নেই।


পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেফতার ১ হাজার ৬১৬ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে ঢাকাসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৬১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিভিন্ন মামলার এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১ হাজার ৬০ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫৫৬ জন রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর আজ এ তথ্য জানান।

এ সময় একটি বিদেশী পিস্তল ও চার রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।


কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিল্প উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। কারখানাটি পুরোদমে উৎপাদনে থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আজ রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের (কেপিএমএল) অতিথি ভবনের সম্মেলনকক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কেপিএমএলের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। আজ এক তথ্য বিবরণীতে একথা জানানো হয়।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে প্রচুর পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন, বিদেশ থেকে কাগজ আমদানি না করে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। মিলের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হবে। বিদেশি ক্যামিকেলের ওপর নির্ভর না করে দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

মতবিনিময় সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, কেপিএমএলের এমডি শহীদ উল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, কেপিএমএল সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাকসহ কেপিএমএলের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভা শেষে তিনি কেপিএমএল কারখানা পরিদর্শন করেন এবং কারখানার বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।


আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। এর ফলে এই সব মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা চিরতরে সকল কলঙ্ক ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।’

আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত (২৮ মে পর্যন্ত) ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কাজ চলছে।

ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছিল তারা।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার কর্তৃক অবহেলার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয় এই আহ্বান জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ের কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা করে কমিটি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে রাজনৈতিক মামলার তালিকা পাঠাতে পারে।

এর আগে ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘এই পরিপ্রেক্ষিতে, বিএনপি ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল।’

তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি, নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করে, ইতোমধ্যেই প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

আইন উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল দুটিকে তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিট (যেখানে প্রযোজ্য) এর মতো প্রাসঙ্গিক নথি না পাঠানোর জন্যও দোষারোপ করে বলেছেন যে, এটি মামলা প্রত্যাহার বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ।

উপদেষ্টা সম্প্রতি তার যাচাইকৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে, ২০২৫ তারিখে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ইতোমধ্যে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলার তালিকাসহ এফআইআর ও চার্জশিট জমা দিতে আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।


banner close