সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে ‘সুশান্ত দাস গুপ্ত’ নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর করা একটি পোস্টকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
সুশান্ত দাস গুপ্ত নামে ওই ব্যক্তি তার পোস্টে ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের মধ্যে ল্যান্ড ফোর্সেস টকস’ এর একটি ছবি শেয়ার করে প্রশ্ন করেন, ‘ডিল ডান?’ ‘সেন্ট মার্টিন গন?’
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ জানিয়েছে, সেন্ট মার্টিন কোনো দেশের কাছে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরও জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের মধ্যে ল্যান্ড ফোর্সেস টকস কয়েক বছর ধরে চলছে। এর সপ্তম আসর ২০২৩ সালের ১৪ থেকে ১৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের ফোর্ট শ্যাফটারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই টকসের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনকে জড়িয়ে কোনো ধরনের পোস্ট নিছক গুজব। অন্তর্বর্তী সরকার অনেকবার জানিয়েছে যে সেন্ট মার্টিন কোনো বিদেশি দেশের কাছে কোনো উদ্দেশে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই।
এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে মোরশেদ মাহবুবুল নামে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারীর করা পোস্টেরও ব্যাখ্যা দিয়েছে সিএ প্রেস উইং।
মোরশেদ মাহবুবুল নামের ওই ব্যক্তি তার পোস্টে দাবি করেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বর্তমান অবস্থা: ১. সাগরে মাছ ধরা বন্ধ; ২. পর্যটক আসা সম্পূর্ণ বন্ধ; ৩. হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ তিন মাস; ৪. বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ শাটডাউন।’
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন কমপক্ষে ২০ ধরনের বিপদের মুখে পড়েছে। সম্প্রতি ‘এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভান্স’ নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় একথা বলা হয়েছে।
এদিকে, পর্যটনের কারণে সেন্ট মার্টিনে উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন উজাড়, দূষণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, কচ্ছপের আবাস ধ্বংস, প্লাস্টিকের ব্যবহার, মিঠাপানির সংকট, জোয়ারে সমুদ্রভাঙনসহ নানা বিপদ দেখা দিয়েছে।
ক'মাস ধরে দ্বীপে আরেকটি নতুন বিপদ হাজির হয়েছে। সেখানে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ক্ষতিকর সাদা মাছির উৎপাত। এই মাছি দ্বীপের গাছপালা ধ্বংস করছে। সাদা মাছির কারণে গত কয়েক মাসে ৩০০ নারকেল গাছ মারা গেছে বলে জানা যায়।
বিশেষজ্ঞরা সেন্ট মার্টিনের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অপরিকল্পিত পর্যটনকে দায়ী করছেন।
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গবেষণা অনুযায়ী, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির ৪১ ভাগ প্রবাল ধ্বংস হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ থামানো না গেলে ২০৪৫ সালের মধ্যে এই দ্বীপের সব প্রবল ধ্বংস হবে যাবে, আর দ্বীপটি ডুবে যাবে। সরকার এই দ্বীপ রক্ষায়, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে, আর বেআইনি স্থাপনার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বৃহত্তর জনস্বার্থে। দেশের একমাত্র প্রবালের দ্বীপ সেন্ট মার্টিন বেঁচে থাকবে আগামী প্রজন্মের জন্যও।
জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ও স্বতন্ত্র দ্বীপ রক্ষায় বিভিন্ন দেশ নানা উদ্যোগ নেয়। কারণ, এ ধরনের দ্বীপ তৈরি হতে হাজার হাজার বছর লাগে। কিন্তু কিছু পর্যটকের কয়েক যুগের অত্যাচারে তা কয়েক বছরের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সেন্টমার্টিন রক্ষায় সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা সেন্ট মার্টিনের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অপরিকল্পিত পর্যটনকে দায়ী করছেন। তাঁরা বলছেন, মৌসুমি পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও পরিবেশবিধ্বংসী বিনোদনের ফলে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। গত এক যুগে দ্বীপটি রক্ষায় সরকার তিন দফায় পর্যটন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছিল। সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর একটি প্রকল্প চালু করে। কিন্তু পর্যটন ব্যবসায়ীদের চাপে ওই অবস্থান থেকে সরে আসে সরকার।
এ ধরনের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ও স্বতন্ত্র দ্বীপ রক্ষায় বিভিন্ন দেশ নানা উদ্যোগ নেয়। কারণ, এ ধরনের দ্বীপ তৈরি হতে হাজার হাজার বছর লাগে। কিন্তু কিছু পর্যটকের কয়েক যুগের অত্যাচারে তা কয়েক বছরের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সেন্ট মার্টিন রক্ষায় সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিনকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী, সেন্টমার্টিন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সর্বশেষ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সেন্টমার্টিন নিয়ে আন্তর্জাতিক ওশান সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, দুই দশকের মধ্যে দ্বীপটি পুরোপুরি প্রবালশূন্য হতে যেতে পারে। বিশ্বজুড়ে বিলুপ্তপ্রায় জলপাই রঙের কাছিম, চার প্রজাতির ডলফিন, বিপন্ন প্রজাতির পাখিসহ নানা বন্য প্রাণীর বাস এই দ্বীপে। এসব প্রাণীও দ্বীপটি ছেড়ে চলে যাবে।
এসব বিষয় মাথায় রেখে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে সেন্টমার্টিনের সৈকতে আলো জ্বালিয়ে বারবিকিউ, দোকানপাটে বেচাকেনা, সৈকতের পাথরে সংগ্রহ, মোটরসাইকেলসহ যেকোনো ধরনের যানবাহনে চলাচল নিষিদ্ধসহ ১৪টি বিধিনিষেধ আরোপ করে। কিন্তু গণবিজ্ঞপ্তি কার্যকর কিংবা তদারক করা হয়নি।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল সীমিত করাসহ ১৩টি বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ২৩ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং টেকসই পর্যটন নীতিমালা ২০২২’ শীর্ষক নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সর্বশেষ বৈঠক হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে দিনে ৯০০ পর্যটককে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হবে। আগ্রহীদের মাথাপিছু সরকারকে এক হাজার টাকা করে রাজস্ব দিতে হবে। দ্বীপের হোটেলে রাতযাপন করতে হলে দিতে হবে দুই হাজার টাকা। আগামী পর্যটন মৌসুম অর্থাৎ নভেম্বর থেকে এই নির্দেশনা কার্যকরের কথা থাকলেও এখন কেউ সেন্টমার্টিন যেতে পারছেন না।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের বিষয়টি নিয়ে উল্টো প্রচার শুরু হয়। সেখানে মার্কিন ঘাঁটি তৈরিসহ নানা ধরনের প্রচার চলতে থাকে।
সর্বশেষ গত ২২ অক্টোবর অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে নভেম্বরে পর্যটকেরা যেতে পারলেও রাতে থাকতে পারবেন না। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে গিয়ে রাতেও থাকতে পারবেন। তবে ওই সময় দিনে দুই হাজারের বেশি পর্যটক যেতে পারবেন না। আর ফেব্রুয়ারিতে পর্যটকেরা সেখানে যেতে পারবেন না।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমরা দ্বীপটি বাঁচাতে চাই। এটি দেশের সবার সম্পদ। পর্যটকেরা দায়িত্বশীল আচরণ করলে দেশের ওই সম্পদ রক্ষা পাবে।’
সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে ‘কক্সবাজারে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়ন জোট’নামের একটি সংগঠন। জোটের নেতৃত্বে থাকা অনেকের সেন্টমার্টিনে আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেল প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে ।’
বাংলাদেশের সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালনা পর্ষদ ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন করেছে।
স্ট্রেংদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি (এসআইটিএ) শীর্ষক এই প্রকল্প বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি খাতগুলোর আধুনিকায়ন, তথ্যের স্বচ্ছতা, রাজস্ব আহরণ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয় ও আর্থিক তদারকির ক্ষেত্রে চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।
এই প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ সরকারী ক্রয় কর্তৃপক্ষ এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের শাসন কাঠামো ও সক্ষমতা শক্তিশালী করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোর ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে ও দুর্নীতি হ্রাসে সহায়তা করবে। এতে বাংলাদেশ এমন আধুনিক সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবে, যা একটি উদীয়মান অর্থনীতির চাহিদা পূরণে সক্ষম।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্প সরকারি সেবার গুণগত মান ও প্রবেশগম্যতা বাড়াবে এবং এর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে।’
বিশ্বব্যাংক জানায়, এ প্রকল্পের পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে আরও একটি উন্নয়ন নীতিগত ঋণ নিয়ে আলোচনা চলছে, যা এই মাসের শেষ দিকে বোর্ড আলোচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে। এতে রাজস্ব আহরণ, ব্যাংক খাত, তথ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সেবা প্রদান এবং নিরীক্ষা ও জবাবদিহিতার স্বচ্ছতা উন্নয়নের জন্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
এসআইটিএ প্রকল্পটি এসব কার্যক্রমের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে এবং এসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তুলবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার সুলেমানে কুলিবালি বলেন, ‘পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাকে নিয়ে একটি সমন্বিত কৌশলে কাজ করার ফলে সরকারের কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যাবে, যা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্প ও প্রস্তাবিত উন্নয়ন ঋণ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে এবং সরকারকে আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর সেবাপ্রদান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।’
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে তারা ৪৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদমুক্ত ও স্বল্পসুদের ঋণ প্রদান করেছে।
নির্বাচনকালীন প্রস্তুতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের জন্য যে তারিখই নির্ধারণ করুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব প্রস্তুতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আছে।
আজ শনিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে ছোটখাটো ঘটনা ঘটবেই। তবে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই এমন কথা বলা যাবে না।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আগের তুলনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। এবার কোরবানির ঈদে ছোটখাটো চুরি বা ছিনতাই ছাড়া বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ঈদ যাত্রা থেকে শুরু করে সামগ্রিক যানজট পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি দেশে রাস্তা থাকার কথা ২০ শতাংশ, সেখানে রাস্তা আছে ৭ শতাংশ। তার ওপরে দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য যানজট নিরসন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এর আগে সকালে উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে পুলিশের হাতে মরণাস্ত্র না দেয়ার ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশের একেক অংশের হাতিয়ারের চাহিদা একেক রকমের। চাহিদা অনুযায়ী তা সরবরাহ করা হবে। আর্মড পুলিশের হাতিয়ারের সঙ্গে নৌ পুলিশের মিল নেই, আবার নৌ পুলিশের সঙ্গে শিল্প পুলিশের মিল নেই। সবদিক বিবেচনা করে প্রয়োজনমাফিক হাতিয়ার সরবরাহ করা হবে।
তবে পুলিশের হাতে ভারী অস্ত্র দেয়া থেকে সরকার বিরত থাকবে বলে জানিয়েছেন এ উপদেষ্টা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের ছুটি শেষে রবিবার খুলছে দেশের সব সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
গত ৭ জুন দেশে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। ঈদুল আজহার আগে গত ৪ জুন ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস।
সেই হিসেবে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দূর-দূরান্তে ঈদ উদযাপন করতে গেছেন তারা শনিবারের মধ্যেই রাজধানীতে এসে পৌঁছাবেন। তবে রাজধানী এখনো তার পুরোনো রূপে ফেরেনি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রথমে ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ছয় দিন ছুটি দিয়েছিল সরকার। পরে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশের ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে এবার ঈদুল আজহায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঈদের বর্ধিত ছুটি দিতে গত মে মাসের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের দুই শনিবার (১৭ ও ২৪ মে) কর্মদিবস হিসেবে সরকারি অফিসসমূহ খোলা রেখেছিল সরকার।
পটুয়াখালীর দশমিনা ও গলাচিপায় বিএনপি এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় ১৪৪ ধারার আদেশ অব্যাহত রয়েছে।
আগামীকাল রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত দশমিনা উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়ন ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন এবং গলাচিপা পৌর শহর ও তার আশপাশের এলাকায় এ আদেশ বলবৎ থাকবে। গতকাল এ দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগন এ আদেশ জারি করেন এবং মাইকিং এর মাধ্যমে তা জনসাধারণকে জানিয়ে দেয়া হয়। এ আদেশ চলাকালীন সময় সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য ও সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র বহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া একসঙ্গে ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাচল সম্পূর্ন নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত দশটায় গলাচিপার পাতাবুনিয়া গ্রামে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ এবং রাত আটটার দিকে চরবিশ্বাস বাজারে বিএনপি ও গন অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
ঈদুল আজহার টানা দীর্ঘ ছুটি শেষ। ১০ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে আজ। কাল রোববার থেকে খুলছে সরকারি-আধা সরকারিসহ বেসরকারি প্রায় সব অফিস। ব্যাংক পাড়াও খুলছে কাল। ফলে ছুটি শেষে কাল থেকে শহরের কর্মজীবন আবারও শুরু হচ্ছে।
তাই তো গতকাল শুক্রবার শহরের ট্রেন স্টেশন, লঞ্চ ঘাট ও বাস টার্মিনালে ফিরতি মানুষের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঈদে ছুটি না পাওয়ায় অনেকেই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এখন ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।
গতকাল শুক্রবার গাবতলী বাস টার্মিনাল ও আমিনবাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে বাসে প্রবেশ ও প্রস্থান—দুই দিকেই যাত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান। গতকাল ভোর ও রাতে কিছুটা চাপ থাকলেও সারাদিনে পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। বেশির ভাগ বাসেই যাত্রী অর্ধেকের মতো। কাউন্টার মাস্টাররা বলছেন, অনেকে এখনও ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন, আবার ফিরেও আসছেন অনেকে।
গাবতলী বাস টার্মিনালে প্রবেশের শুরুতেই থাকা হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার থেকে জানানো হয়, এখনো প্রচুর পরিমাণে লোকজন ঢাকার বাইরে যাচ্ছে। ভোরের দিকের বাসগুলোতে যাত্রীসংখ্যা একটু বেশি থাকে। এরপর সকাল দশটা থেকে মোটামুটি বিকাল পর্যন্ত যাত্রীর চাপ একটু কম থাকে। তবে বিকাল-সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্তর গাড়িগুলোতে ঈদের ছাড়া স্বাভাবিক দিনগুলোর মতোই যাত্রী আছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে সড়ক থেকে নির্দিষ্ট সময় পর পর বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। ৪০/৪৫ সিটের বাসগুলোতে ১৫-২০ জন করে যাত্রী রয়েছেন।
এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের তথ্যমতে শুক্রবার ফিরতি যাত্রার ছিল চতুর্থ দিন। এদিন সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
যাত্রীদের বেশিরভাগই পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে গিয়েছিলেন। ঈদ উদযাপন শেষে তারা কর্মস্থলে ফিরছেন।
রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ এসেছেন সপরিবারে, কেউ একা। সবার সঙ্গে ছিল ব্যাগ, স্যুটকেস ও শিশুরা। রংপুর থেকে আসা যাত্রী সালমা আক্তার বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলাম, এখন ফিরতে হচ্ছে চাকরির কারণে। ভিড় একটু বেশি, তবে নিরাপদে এসেছি।’
নীলফামারী থেকে আসা আরেক যাত্রী হাসান জামিল বলেন, ‘অফিস শুরু রোববার। কিন্তু ফিরতি টিকিট শুক্রবারেরটা পেয়েছিলাম। তাই আগেভাগেই আসতে হয়েছে।’
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকে ১০টা আন্তঃনগর ট্রেন কমলাপুরে ঢুকেছে। সব ট্রেন সঠিক সময়ে ও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছেছে।’
অন্যদিকে সদরঘাট লঞ্চঘাটেও ঢাকায় ফিরতি যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। আবার অনেককেই এখন বাড়ি যেতেও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি কাল ১৪ জুন পর্যন্ত হওয়ায় এখন পর্যন্ত রাজধানীমুখী যাত্রা রয়েছে স্বস্তিকর ও শৃঙ্খলাপূর্ণ। মানুষজন আরও দুই তিন দিন আগে থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। কাল রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ম দিবস শুরু হবে।
যুক্তরাজ্যে চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকালে দেশে ফেরেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি আজ শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।’
এর আগে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী ফ্লাইটটি শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
অধ্যাপক ইউনূস গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া তিনি সফরকালে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।
এই সফরে অধ্যাপক ইউনূস 'কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ সম্মাননা গ্রহণ করেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
চার দিনের সরকারি সফরে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমেন্সের স্পীকার ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ১৫ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০২ জনে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জনে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে তারেক রহমানের প্রস্তাবে সম্মত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
আজ শুক্রবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে যৌথ বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান লন্ডনে সফররত প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
এসময় তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।
এমন প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বহুল আলোচিত বৈঠক শেষ হয়েছে।
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বহুল আলোচিত আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে লন্ডনের বাসভবন থেকে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান।
সকালে দ্য ডরচেস্টারের সামনে জড়ো হওয়া বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার কয়েকশ নেতা-কর্মী তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
এদিকে, ড. খলিলুর রহমান ও বিএনপি নেতা আমীর খসরু দ্য ডরচেস্টার হোটেলে পৃথক বৈঠক করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মধ্যে বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন।
উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকটি এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।
সকলের দৃষ্টি এখন লন্ডনের দিকে, কারণ অনেকেই আসন্ন নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এটিকে একটি সম্ভাব্য মোড় হিসেবে দেখছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচনের সময়সূচি, প্রস্তাবিত সংস্কার, জুলাই সনদ, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুমোদন, অন্তর্বর্তী প্রশাসনের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রস্থান কৌশল ও তারেক রহমানের বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফিরে আসা সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
বিএনপি নেতারা এই বৈঠককে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে টানাপোড়েন নিরসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেন। একই সঙ্গে তারা পরামর্শ দেন যে সময়সূচি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দুপুর ২টায় ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠক শুরু হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার কিছু আগে হোটেল পৌঁছান তারেক রহমান। তাকে হোটেলে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ অন্যান্যরা।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় বাসা থেকে রওনা হন।
জানা গেছে, ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যকার এই বৈঠক ওয়ান টু ওয়ান হবে। সেখানে দুই পক্ষের আর কারও অংশ নেওয়ার সম্ভবনা নেই।
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলের উদ্বৃতি দিয়ে সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির জানান, তারেক রহমান বাসা থেকে রওনা হওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন ও দীর্ঘদিন ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করছে ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথেও বেড়েছে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ।
এনিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ একদিনে ৩৮ হাজার ৫৩৯ টি যানবাহন পারাপার হয় এবং টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার (১১ জুন) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ হাজার ৫৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়।
এর মধ্যে সেতু পূর্ব অংশের উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১৬ হাজার ৩৮০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশের ঢাকাগামী লেনে ২২ হাজার ১৫৯ টি যানবাহন পারাপার হয় এবং টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫০ টাকা। সেতু দিয়ে প্রতি মিনিটে ২৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
অনেক প্রত্যাশাকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ শুক্রবার।
দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ঐতিহাসিক এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকটি দেশের কোটি কোটি মানুষের মনে ও প্রাণে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ও ফলাফল জানার জন্য দেশে ও বিদেশে থাকা বাংলাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আগ্রহ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা ‘দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেবে এই বৈঠক’।
বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ ও আলোচিত দুই নেতার এই বৈঠকে আলোচনার এজেন্ডা কি হতে। পারে তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। তবে স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারসহ রাজনীতিতে সাম্প্রতিক যুক্ত হওয়া অনেক বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হলে তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন- দলের পক্ষ থেকে তারেক রহমান জাতীয় নির্বাচনের তারিখ অন্তত ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নিয়ে আসা অন্যতম এজেন্ডা হিসাবে তুলে ধরবেন। এটি এক রকম নিশ্চিত। বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে ড. ইউনূস চাইবেন এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময়সীমা ধরে রেখে সংস্কার ও বিচারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে।
এছাড়াও তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রাসঙ্গিকতা, জুলাই সনদ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সেক্টরে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণ, নির্বাচন কমিশন, আদালতের রায়ের পরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভবিষ্যৎ কাঠামো, রাখাইনে মানবিক করিডোর, বন্দর ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসবে।
বিএনপি’র যুক্তরাজ্য শাখার নেতারা জানান, বৈঠকের আলোচ্যসূচী নির্ধারণের জন্য লন্ডন সফররত প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধির সঙ্গে তারেক রহমানের প্রতিনিধি দলের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। গত বুধবার এই আলোচনা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবারও তারেক রহমানের একজন প্রতিনিধি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেছেন বলে এক ভিডিও বার্তায় জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠক প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বার্তা সংস্থা বাসস’কে বলেছেন, ‘এই বৈঠক নিয়ে আমরা ভীষণ আশাবাদী। শুধু আমরা কেনো পুরো দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন লন্ডনের দিকে। নিশ্চয়ই দুই নেতার মধ্যকার বৈঠকে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটা যৌক্তিক সমাধান আসবে।
সমঝোতার পথ খুলবে। যার মধ্য দিয়ে জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথ খুঁজে পাবে।’
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘গোটা জাতি প্রত্যাশা করে আছে এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে দেশের রাজনৈতিক সকল সঙ্কট কেটে যাবে। আমাদেরও বিশ্বাস, এটি হবে একটি ঐতিহাসিক বৈঠক। এই বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে। শীর্ষ পর্যায়ের এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে জাতীয় ভিত্তিতে একটা গ্রহণযোগ্য ফয়সালা বা সিদ্ধান্ত হবে।’
যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এমএ মালেক জানিয়েছেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রস্তুতি সভা করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। আজ শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ডরচেস্টার হোটেলের সামনে সংহতি জানিয়ে অবস্থান নেবেন।
তারা পুরো বৈঠকের সময়ই সেখানে থাকবেন।
যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আজ লন্ডনে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। সেখানে তাঁরা বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ সকাল ১১:২০ মিনিটে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়, যা ছিল একেবারে ব্যক্তিগত।’
বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে রাজা চার্লসকে অবহিত করেন।
তিনি আরও জানান, প্রায় ৩০ মিনিটের এ বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। যেহেতু রাজা চার্লস বহুদিন ধরে প্রফেসর ইউনূসকে চেনেন, সেহেতু নানা বিষয় নিয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘এই পুরো সফরের মধ্যে আমি বলব, এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।’
একান্ত সাক্ষাতের পর, রাজা ও রাণীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি ছবি উপহার হিসেবে প্রফেসর ইউনূসকে প্রদান করা হয়, যা প্রধান উপদেষ্টার জন্য একটি বড় সম্মানের ছিল বলে জানান প্রেস সচিব।
বাকিংহাম প্যালেসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসকে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের জন্য স্বাগত জানান রাজা চার্লস।
নিয়মিত কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সাক্ষাতের পাশাপাশি রাজা চার্লস এমন ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ দেন, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন- বিশেষ করে যারা রাজকীয় নিয়োগ পেয়ে থাকেন বা তাদের নামে প্রদত্ত পুরস্কার গ্রহণ করছেন।
ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে বা ‘অডিয়েন্স’ প্রদান করে রাজা চার্লস নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের কাজের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেন এবং তাঁদের সম্পর্কে আরও জানার পাশাপাশি রাজকীয় অভিজ্ঞতা উপভোগ করার সুযোগ করে দেন।
`অডিয়েন্স’ মানে হলো রাজা ও কাউকে একান্তভাবে সাক্ষাৎ প্রদান করা।