রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
৬ পৌষ ১৪৩২

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান অবৈধ: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:২৪

কুইক রেন্টাল আইন নামে পরিচিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তির বিধান অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। দায়মুক্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষে গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০-এর ৯ ও ৬ (২) ধারা অনুযায়ী, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন বা মামলা করা যাবে না। এ ধারা দুটি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট করা হয়।

রিটে বলা হয়, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে অস্বাভাবিক খরচ আর অনিয়মের কারণেই বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। অথচ সে অনিয়মকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আইন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব অনিয়মের কোনো বিচারও চাওয়া যাবে না- এটা জনস্বার্থবিরোধী ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্টে বেঞ্চ সোমবার রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে আজ হাইকোর্ট রায় দেন। ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের জানান, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ সাধারণত কুইক রেন্টাল আইন নামে পরিচিত। আইনটির ৬-এর (২) উপধারা ও ৯ নম্বর ধারার সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি।

তিনি বলেন, ৬ এর ধারায় বলা আছে, জ্বালানিমন্ত্রী তার একক বিবেচনায় কোনো একক ব্যক্তি বা কোম্পানির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবেন। এখানে মন্ত্রীর একক বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা, যত টাকায় ইচ্ছা চুক্তি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর আইনটির ৯ নম্বর ধারায় বলা আছে, কাকে চুক্তি দেওয়া হয়েছে, কত টাকার চুক্তি করা হচ্ছে, এসব ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে আদালতে শরণাপন্ন হওয়া যাবে না। দুটি ধারাই সংবিধানের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে এই আইনজীবী অভিযোগ করেন, ধারা দুটির অপব্যবহারের ফলে বিগত সরকারের আমলে কুইক রেন্টালের পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৬(২) ধারা অনুযায়ী বেশ কিছু কুইক রেন্টাল আইন স্থাপন করা হয়েছে। কুইকরেন্টাল আইন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করুক আর না করুক তারা টাকা পাবে। এ ধারা মূলত লুটপাটের বিশেষ বিধান আইন হয়ে গেছে। এ জন্য আদালত ৬(০২ ধারাাকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করেছেন। আইনের এই ৬(২) ধারায় অধীনে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো সরকার পুনর্মূল্যায়ন করতে পারবে এবং যাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তাদের স্বার্থে চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করতে পারবে, দর কষাকষি করতে পারবে। এখন সরকার পুনর্মূল্যায়ন করে যারা বসে বসে টাকা নিচ্ছে তাদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারবে।


তারেক রহমানের ফেরার ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে অব্যাহতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

লন্ডনে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে তাঁর ঢাকা ফেরার নির্ধারিত ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে দুইজন কেবিন ক্রুকে সরিয়ে নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মূলত গোয়েন্দা সংস্থার নেতিবাচক প্রতিবেদন এবং ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিমান সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া ওই দুই কেবিন ক্রুর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তাঁদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাঁদের পরিবর্তে নতুন দুজনকে ওই ফ্লাইটে দায়িত্ব দিয়েছে। এর আগেও গত মে মাসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি ফ্লাইটের ক্ষেত্রেও একই ধরনের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ক্রু পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছিল।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এই বিশেষ ফ্লাইটে তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাও সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রস্তুতির মাঝেই নিরাপত্তাজনিত এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করল বিমান কর্তৃপক্ষ।


জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে ইসির বৈঠক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটকে কেন্দ্র করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি শুরু হয়। ভোটের তফসিল ঘোষণার পর তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে এটিই নির্বাচন কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ।

বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান উপস্থিত রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সিইসির পাশাপাশি চারজন নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির সিনিয়র সচিবও এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। তিন বাহিনী প্রধান নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে ইসি সচিব তাঁদের আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান। মূলত নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে, দুপুর ১২টার এই বৈঠকের পর আজ দুপুর আড়াইটায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত আরেকটি বড় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সিইসির সভাপতিত্বে ওই সভায় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং এনএসআই, ডিজিএফআই, বিজিবি, র‍্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসারসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধ এবং প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নির্ধারিত আচরণ বিধিমালা ২০২৫-এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করা হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আজকের এই ধারাবাহিক সভাগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনের একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রাখা। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এই বিশেষ সভা শেষে আজ বিকেলেই গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সভার সিদ্ধান্ত ও গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত এই তৎপরতা রাজনৈতিক অঙ্গনেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।


নিরাপত্তা শঙ্কায় চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের কার্যক্রম স্থগিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বন্দরনগরীতে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের (আইভ্যাক) কার্যক্রম আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থিত আইভ্যাক তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামের এই কেন্দ্রে ভিসার আবেদন গ্রহণসহ অন্যান্য সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আইভ্যাক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি সন্তোষজনক মনে হলে পুনরায় কার্যক্রম চালুর বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে গত বুধবার একই ধরনের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের কার্যক্রম দুপুর থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। যদিও পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার সেই কেন্দ্রটি পুনরায় সচল হয়। মূলত সাম্প্রতিক নানা কর্মসূচি ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়েই চট্টগ্রামে এই নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এই স্থগিতাদেশের ফলে চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ভিসা প্রত্যাশীদের পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।


ছায়ানটে হামলা ও অগ্নিসংযোগ: ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত বাংলা সংস্কৃতি চর্চার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছায়ানটের প্রধান ব্যবস্থাপক দুলাল ঘোষ বাদী হয়ে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডি মডেল থানায় এই মামলাটি করেন। ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম আজ রোববার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত ছায়ানট ভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। তারা ভবনের সিসি ক্যামেরা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি সংগীতচর্চায় ব্যবহৃত মূল্যবান বাদ্যযন্ত্র যেমন—তবলা, হারমোনিয়াম ও বেহালা ভেঙে ফেলে এবং বিভিন্ন কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ন্যাক্কারজনক হামলায় প্রতিষ্ঠানের অপূরণীয় ক্ষতি হলেও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক আর্থিক পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ক্ষতিগ্রস্ত ছায়ানট ভবন পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। উল্লেখ্য, শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর একই রাতে ঢাকার তেজগাঁও ও কারওয়ান বাজার এলাকায় ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডেইলি স্টার’ ও ‘প্রথম আলো’ কার্যালয়েও হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ছায়ানট কর্তৃপক্ষ এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড: তদন্তের অগ্রগতি জানাতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তদন্তে পাওয়া তথ্য ও গ্রেফতারদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) একটি সমন্বিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজধানী এই সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে কতটুকু এগিয়েছে এবং মূল অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা এই সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।

এদিকে, ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটিকে গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আদালত পূর্ণাঙ্গ হত্যা মামলা হিসেবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে রিকশায় থাকাকালীন সন্ত্রাসীরা তাকে মাথায় গুলি করে। এর ছয় দিন পর গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহতের ভাই আবু বকর সিদ্দিকের ইমামতিতে গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা শেষে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে র‍্যাব ৮ জনকে এবং পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। র‍্যাবের হাতে গ্রেফতারদের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা, মা, স্ত্রী, শ্যালক ও সহযোগীরা রয়েছেন। অন্যদিকে, পুলিশ গ্রেফতার করেছে সীমান্ত দিয়ে ফয়সালকে অবৈধভাবে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা মানবপাচারকারী ও অন্য এক সহযোগীকে। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশের সব প্রধান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সম্মিলিতভাবে তদন্তের সার্বিক চিত্র এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করবে।

উল্লেখ্য, শরীফ ওসমান বিন হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণার পাশাপাশি ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ এবং ‘ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নতুন এক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তার এই মর্মান্তিক মৃত্যু দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে গভীর শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে এই স্পর্শকাতর মামলার পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ ও পলাতক আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।


সুদানে নিহত ৬ শান্তিরক্ষীর জানাজা সম্পন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় সেনা মসজিদ প্রাঙ্গণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

মর্যাদাপূর্ণ এই জানাজায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও অশ্রুসিক্ত নয়নে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিশেষ বিমানে করে শহীদ শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দেশে আনা হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর একটি ড্রোন হামলায় তারা শাহাদতবরণ করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন নাটোরের করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মন্ডল, রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।

একই হামলায় আরও নয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান ও নারী সদস্যসহ আরও বেশ কয়েকজন রয়েছেন। বর্তমানে তারা সবাই শঙ্কামুক্ত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশের মান রক্ষায় ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি এই সেনাদের এমন আত্মত্যাগ দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি ও গভীর গর্বের বিষয় হিসেবে গণ্য হচ্ছে।


সহিংসতা-হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ড এবং এর পরের সহিংসতার ঘটনায় দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানায় লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক অফিস।

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, সহিংসতার অংশ হিসেবে প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার ও ছায়ানটের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয় এবং নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসব সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব ঘটনায় মানুষ আহত হয়েছেন, সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে, এমনকি প্রাণহানিও ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ ছাড়া ধর্ম অবমাননার অভিযোগের পর হিন্দু পোশাক শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসব সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব ঘটনায় মানুষ আহত হয়েছেন, সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে, এমনকি প্রাণহানিও ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে।


শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ওসমান হাদির বিদায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সহকর্মীসহ লাখো ছাত্র-জনতার ভালোবাসায় চির বিদায় নিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে এদিন বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকের ইমামতিতে হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জানাজা শেষে কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্যন্ত আসেন তার অনুসারীরা।

এ সময় তার সহকর্মীরা অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। শপথ নেন হাদির স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত রাখবেন। তারা বলেন, লাখো মানুষের ভালোবাসা প্রমাণ করে জীবিত হাদির চেয়ে শহীদ হাদি অনেক বেশি শক্তিশালী।

আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আজকে আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাদির জানাজা পড়েছি। আমাকে আজকে প্রধান উপদেষ্টা ডেকেছেন, আমি যাইনি। আল্লাহ হাদিকে শাহাদাতের জজবা হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত তৃতীয় শহীদ হিসেবে আল্লাহ কবুল করেছেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। দেশের জন্য তার যে ত্যাগ আল্লাহ তা কবুল করুক।’

তিনি বলেন, ‘তার পরিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত পরিবারের অংশ। আমরা তার চূড়ান্তভাবে সম্মান জানাতে আমাদের এ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে কবরস্থ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সন্তানকে বুকে নিয়েছে। মা তার ছেলেকে বা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে গ্রহণ করেছে।’

বক্তব্য শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাদির বড় ভাই। এ সময়, হাদীর পরিবারের লোকজন এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও অন্যান্য নেতারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, ডাকসু নেতারা, এবং ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার সময় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পরদিন ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ‌৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহীদ হাদির মরদেহবাহী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে। পরে এয়ারপোর্ট থেকে হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমাঘারে রাখা হয়। সেখান থেকে গতকাল শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দেন।


মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকারের জানাজা রবিবার, দেওয়া হবে গার্ড অব অনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বীর উত্তমের জানাজা আগামীকাল রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এদিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারের প্যারেড গ্রাউন্ডে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন এ কে খন্দকার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি এক কন্যা, দুই পুত্র এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এ কে খন্দকারের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি। বাবার কর্মসূত্রে রংপুরে জন্ম হলেও তার পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার ভারেঙ্গা গ্রামে। তার বাবা খন্দকার আব্দুল লতিফ ছিলেন ব্রিটিশ আমলের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং মা আরেফা খাতুন ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিণী। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে এ কে খন্দকার ছিলেন তৃতীয়। বাবার চাকরির সুবাদে বগুড়া করোনেশন স্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তিনি মালদা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।

বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনের অধিকারী এ কে খন্দকার ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে (পিএএফ) পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। কর্মজীবনে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ফাইটার পাইলট হিসেবে এবং পরবর্তীতে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর, ফ্লাইট কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি পিএএফ প্ল্যানিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং একই বছর ঢাকায় পাকিস্তান বিমান বাহিনী ঘাঁটির সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে নিয়োগ পান।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এ কে খন্দকার উইং কমান্ডার হিসেবেই মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন এবং ডেপুটি চিফ অব স্টাফ বা উপ-সর্বাধিনায়কের গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন প্রবাসী সরকার তাকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি দেয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ব্যক্তিগত উপ-প্রধান সেনাপতি হিসেবে রণাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুসংগঠিত করতে তার অসামান্য অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।


সব বন্দরে দ্রুতই আরটিজিএস চালু, কক্সবাজার হবে প্রথম ক্যাশলেস জেলা: গভর্নর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে আরও গতিশীল ও সহজতর করার লক্ষ্যে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে খুব দ্রুতই সার্বক্ষণিক লেনদেনের জন্য ‘রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট’ বা আরটিজিএস (RTGS) সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। একই সঙ্গে তিনি জানান, দেশের প্রথম জেলা হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে ‘ক্যাশলেস জেলা’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে নারী এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সিঙ্গাপুর, দুবাই ও হংকংয়ের আদলে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করতে হবে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র; এখানকার সমুদ্রবন্দর, ইপিজেড ও ভারী শিল্পের সম্ভাবনাকে পূর্ণ রূপ দিতে আর্থিক খাতের সুদৃঢ় ভূমিকা অপরিহার্য। তিনি উৎপাদনমুখী খাতে পর্যাপ্ত ও স্বল্পমূল্যের ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

গভর্নর আরও নির্দেশনা দেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমসমূহের অব্যবহৃত তহবিল এ অঞ্চলের উপযুক্ত গ্রাহকদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অংশ হিসেবে প্রতিটি ব্যাংককে অন্তত একটি বিদ্যালয়ে আর্থিক সাক্ষরতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ও ক্যাশলেস লেনদেনের উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. খসরু পারভেজ। সভায় চেম্বার প্রতিনিধি, বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তা, অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন এবং নানা সুপারিশ তুলে ধরেন।


হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহবান জাতিসংঘ মহাসচিবের

আপডেটেড ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে এই ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মহাসচিবের এই বার্তা গণমাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে সহিংসতা থেকে বিরত থেকে উত্তেজনা প্রশমন এবং দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

এদিকে, হাদি হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাদির মৃত্যুর ঘটনায় তিনি জেনেভা থেকে এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলেন, প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা কেবল সমাজের বিভাজনকেই আরও গভীর করবে এবং সবার অধিকার ক্ষুণ্ন করবে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।


জাতীয় কবির সমাধির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ওসমান হাদি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তার দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। দাফন শেষে বিকেল ৪টার দিকে কবরের পাশে সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মরহুমের বড় ভাই ড. মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক।

এর আগে বেলা ৩টার দিকে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

শনিবার দুপুর আড়াইটার পর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ভাই। জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষের ঢল নামে। ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। জানাজা উপলক্ষে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

জানাজায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জানাজার আগে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব জাবের ও ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।

জানাজার আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো এবং বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন তুমি সব বাংলাদেশির বুকে থাকবে। হাদির নির্বাচনী আকাঙ্ক্ষার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ওসমান হাদি নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিল এবং দেখিয়ে দিয়ে গেছে কীভাবে বিনয়ের সঙ্গে মানুষের কাছে গিয়ে প্রচারণা চালাতে হয়। তার সেই শিক্ষা আমরা গ্রহণ করলাম। তিনি আরও বলেন, হাদি কোথাও হারিয়ে যাবে না। তাকে আমরা আল্লাহর কাছে আমানত রাখলাম এবং তার আদর্শ ধারণ করে জাতির অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাব।


হাদি যুগ যুগ ধরে আমাদের সঙ্গে থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে আবেগঘন শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, হাদি কখনো হারিয়ে যাবে না, তাকে কেউ ভুলতে পারবে না। সে যুগ যুগ ধরে আমাদের সঙ্গেই থাকবে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জানাজায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিদায়ী এই বীর যোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রিয় হাদি, তোমাকে আজ বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতর আছো এবং বাংলাদেশ যতদিন আছে, ততদিন তুমি সকল বাংলাদেশির হৃদয়ে থাকবে। হাদির ‘বল বীর- চির উন্নত মম শির’ মন্ত্রকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ড. ইউনূস বলেন, হাদি আমাদের কানে এমন এক মন্ত্র দিয়ে গেছে যা কেউ কখনো ভুলতে পারবে না। আমরা দুনিয়ার সামনে মাথা উঁচু করে চলবো, কারও কাছে মাথা নত করবো না।

শরিফ ওসমান হাদির নির্বাচনী প্রচারণার ধরণ ও বিনয়ের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, হাদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়ে গেছে কীভাবে বিনীতভাবে মানুষের কাছে যেতে হয় এবং প্রচারণা চালাতে হয়। তার এই শিক্ষা ও আদর্শ জাতীয় রাজনীতিতে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি। তিনি হাদির বিদেহী আত্মাকে আল্লাহর কাছে আমানত হিসেবে সঁপে দিয়ে বলেন, আমরা সবসময় তোমার কথা স্মরণ রেখে জাতির অগ্রগতির পথে চলতে থাকবো।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকার পুরানা পল্টনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়, সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


banner close